মৃত্যু হয়েছে ১০ দিন আগেই, কিন্তু সেই মৃত নাতির দেহ (Dead Body) আগলেই রয়েছেন এক ৬৫ বছরের বৃদ্ধা। তাঁর এমন কাণ্ড দেখে হতবাক প্রতিবেশীরা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttapradesh) বারাবাঁকির (Barabanki)। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবেশীরা গত কয়েকদিন ধরেই বৃদ্ধার বাড়ি থেকে এক দুর্গন্ধ পেতেন। ফলে সন্দেহ হওয়ায় পুলিসের কাছে খবর দেয় তাঁরা। এরপর পুলিস এসে সেই বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। সোমবার সকালে সেই বৃদ্ধার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় এক মৃতদেহ। আর এই মৃতদেহটি তাঁরই নাতির।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রিয়াংশু। তার বাবা-মা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। ফলে সে তার ঠাকুমার সঙ্গেই থাকত। সোমবার পুলিসের কাছে প্রতিবেশীরা অভিযোগ দায়ের করলে অবিলম্বে সেই বাড়িতে পৌঁছয় পুলিস। এরপর দেখতে পান, সেই মৃতদেহকে স্নান করাচ্ছেন বৃদ্ধা। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিস জানিয়েছে, সেই বৃদ্ধা শুধুমাত্র তাঁর নাতির দেহ স্নানই করাতেন না, তার জামা-কাপড়ও নিয়মিত পরিবর্তন করতেন। রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে, তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বৃদ্ধার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁরাই জানান যে, প্রিয়াংশুর বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে তার ঠাকুমার সঙ্গেই থাকত সে। এরপর সেই বৃদ্ধাই স্বীকার করেন যে, তাঁর নাতির প্রায় ১০ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। ঘটনায় আহত অন্তত ৩০ জন বাসযাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের এটাওয়াহতে আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের উপর। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তি থেকে বাসটি গুজরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। এরপর এটাওয়ার কাছে আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের উপরে আচমকাই বাসটি উল্টে যায়। ঘটনায় আহত হন অন্তত ৩০ জন বাসযাত্রী।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সার্কল অফিসার নগেন্দ্রকুমার চৌবে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘শ্রাবস্তি থেকে গুজরাতের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। সেই বাসে ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। তবে কারও আঘাতই গুরুতর নয়। আহত সকলকেই সাইফাই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। খুব সম্ভবত বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সেই কারণেই দুর্ঘটনা।’
তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। সত্যিই চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কি? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বেড়েই চলেছে তাপপ্রবাহ (Heat Wave)। আর যার ফলে বেড়ে চলেছে মৃত্যুমিছিলও। তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বালিয়াতেই মৃত্যু (Death) হয়েছে ৭০ জনের। তবে এটা তাপপ্রবাহের জেরেই মৃত্যু না, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, মৃত্যুর জন্য ‘হিটস্ট্রোক’ দায়ী নয়। রাজ্য সরকার জানিয়েছেন, মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আরও একটি জেলা দেওরিয়ায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন। ওই সংবাদমাধ্যম থেকে আরও জানা গিয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যু হচ্ছে, এই বিবৃতি দেওয়ায় পরই উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় দুই চিকিৎসককে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বয়ানের অভিযোগও তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিহারেও প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই তাপপ্রবাহের জন্য। তবে বিহার সরকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘হিটস্ট্রোক’-কে স্বীকার করে নিয়েছেন।
তীব্র গরমে নাজেহাল উত্তর প্রদেশ। তীব্র গরমে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গরমে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে শতাধিক মানুষ ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। গত তিন দিনে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা হাসপাতালে প্রায় ৪০০-এর বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, মৃত্যুর কারণ অনেক কিছুই হতে পারে। তবে তীব্র গরম এর একটি অন্যতম কারণ হতে পারে, বলে বক্তব্য চিকিৎসকদের।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে বেশ কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে। জুন মাসের ১৫ তারিখ প্রবল গরমে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ জুন ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭ জুন মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি মেডিক্যাল টিম সেখানে যাচ্ছে এত মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর যথার্থ কারণ জানা যায়নি।
আরও জানা গিয়েছে, এতো বেশি মানুষ হাসপাতালে যাচ্ছেন যে তাঁদের জন্য স্ট্রেচার পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের কর্মীরা কাঁধে করে অনেককে বেড পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হচ্ছে যখন ১০ জন মানুষ একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তির জন্য উপস্থিত হচ্ছেন।
মর্মান্তিক মৃত্যু। আগুনে (Fire) পুড়ে মৃত্যু হল মা ও পাঁচ সন্তানের। কপাল জোরে বেঁচে গেলেন ওই মহিলার স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কুশীনগরের ঊর্ধ্বাগ্রামে। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সঙ্গীতা। নৈশভোজ সেরে ওই মহিলা তাঁর পাঁচ সন্তানকে নিয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। আর গরমের কারণে তাঁর স্বামী নবমী রাতে ঘরের বাইরে শুয়েছিলেন। সকলেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। আচমকা আগুন লেগে যায় ঘরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সারা ঘরে ছড়িয়ে যায় আগুন। সন্তানদের নিয়ে ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন সঙ্গীতা দেবী। চেষ্টা করেও নেভাতে পারলেন না আগুন। চোখের সামনেই স্ত্রী, দুই পুত্র অঙ্কিত (১০), বাবু (১) এবং তিন কন্যা লক্ষ্মীনা (৯), রীতা (৩), গীতাকে (২) আগুনে ঝলসে যেতে দেখলেন।
স্থানীয়রা দূর থেকে দেখতে পান দাউদাউ করে আগুন ঝলছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন দমকলে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দমকল এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পর ঘরের ভিতর থেকে অগ্নিদগ্ধ দেহগুলিকে উদ্ধার করে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিস।
অদ্ভূত! একটি আস্ত সাপকে (Snake) চিবিয়ে খেল এক ৩ বছরের শিশু। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) ফারুখাবাদের (Farrukhabad)। জানা গিয়েছে, অক্ষয় নামের এক ৩ বছরের শিশু ঘরের বাইরে খেলছিল। তখনই পাশের এক জঙ্গল থেকে একটি ছোট সাপ তার সামনে চলে আসে। এরপরই সেটিকে মুখে ঢুকিয়ে নিয়ে চিৎকার করতে থাকে সে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর কোনও ক্ষতি হয়নি শিশুটির(Child)।
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে ৩ বছরের খুদে সাপ সামনে দেখতে পেয়ে মুখে ঢুকিয়ে নেয়। এরপর তার চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘর থেকে দৌঁড়ে বেরিয়ে আসে তার ঠাকুমা। খুদের মুখে সাপ দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মুখ থেকে টেনে বের করে দেন তিনি। এরপর তিনি চিৎকার করতে থাকলে পরে শিশুটির বাবা-মা এসে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। সঙ্গে সাপটিকেও নিয়ে যায় তাঁরা, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে আশ্চর্যের ব্যাপার। ডাক্তাররা শিশুটিকে অনেকক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর জানান, তার মধ্যে কোনও বিষ পাওয়া যায়নি। বরং সে একদম সুস্থ আছে। তারা আরও জানান যে, সাপটি আসলে একটি ছোট সাপ ছিল, আর সেই সাপটি বিষহীন ছিল। তাই শিশুটির কোনও ক্ষতি হয়নি।
মর্মান্তিক! বিয়ের (Wedding) রাতে বাসর ঘরেই মৃত্যু নব বর-বধূর। পরে একই চিতায় দাহ করা হল তাঁদের মৃতদেহের। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বারাইচ জেলার। জানা গিয়েছে, বিয়ে বেশ ধুমধাম করেই বিভিন্ন রীতি-নীতি মেনেই করা হয়েছে। এরপর বিয়ের পরের দিন তাঁদের বাসর ঘর থেকে বের করা হয় মৃতদেহ। তবে তাঁদের মৃত্যুর কারণ কী, তা পরে ময়নাতদন্তের (Post-mortem) পর বেরিয়ে আসে।
সূত্রের খবর, ২২ বছর বয়সী বরের নাম প্রতাপ যাদব ও ২০ বছর বয়সী বউয়ের নাম পুষ্পা। ৩০ মে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর তাঁদের বিয়ে শেষে বর-বউকে এক ঘরে পাঠানো হয়। এরপর দিনই সেই ঘর থেকেই বেরিয়ে আসে মৃতদেহ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিস। তাঁরা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁদের দু'জনেরই মৃত্যুর কারণ হল হার্ট অ্যাটাক।
বারাইচ জেলার এসপি প্রশান্ত বর্মা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এসেছে যে, পুষ্পা ও প্রতাপের মৃত্যু হার্ট অ্যাটাকের ফলেই হয়েছে। এরপর পুরো গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে তাঁদের দেহ একসঙ্গে একই চিতায় দাহ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কুকুরের (Dog Attack) আক্রমণে ফের গুরুতর জখম এক ৮ বছরের খুদে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) মিরাটের (Meerut)। ২৯ মে, সোমবার রাতে আচমকা এক পিটবুল প্রজাতির কুকুর কামড়ে দেয় এক ৮ বছরের নাবালিকাকে। এর আগেও একাধিকবার কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। কিছুদিন আগেই খবরে এসেছিল, এক ডেলিভারি বয় পোষ্য কুকুরের ভয়ে তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। আর এবারে প্রকাশ্যে এল এক শিশুর উপর আক্রমণ করার খবর।
সূত্রের খবর, মিরাটের বৈষ্ণোদেবী কলোনিতে বর্ণিকা নামক আহত ওই শিশুর বাড়ি। ঘটনার দিন বর্ণিকা তার বোনের সঙ্গে বাড়ির কাছাকাছি সাইকেলে ঘুরছিল। আর সেসময় বর্ণিকার উপর ঝাপিয়ে পড়ে সেই পিটবুল কুকুরটি। এরপর তারা দুজনেই সাইকেল থেকে পড়ে যায়। বর্ণিকার বোন কুকুরটি দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু বর্ণিকাকে সামনে পেয়ে তাকে কামড়ে দেয় কুকুরটি। এরপরই তার চিৎকারে আশেপাশে লোকজন জড়ো হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় এলাকার স্থানীয়রা পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। কিন্তু এখনও জানা যায়নি, সেই পিটবুলের মালিক কে। তবে তাঁকে খোঁজা শুরু করেছে পুলিস। তাঁর হদিশ পেতেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
বর্তমানে বিয়ে মানেই সেখানে হতেই হবে প্রি-ওয়েডিং, পোস্ট ওয়েডিং শ্যুট। আবার বিয়ে ঘিরে এমন কিছু করতে হবে, যা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হবে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে গিয়ে এমন কাণ্ড করে বসলেন এক মহিলা, যার জন্য তাঁকে দিতে হল মোটা টাকার জরিমানা। এক ভাইরাল ভিডিওতে (Viral Video) দেখা গিয়েছে, এক মহিলা বিয়ের পোশাক পরে চলন্ত গাড়ির বনেটের উপর বসে রিলস বানাচ্ছেন। মহিলার এমন উদ্ভট আচরণে হইহই পড়ে গিয়েছে। ট্রাফিক নিয়ম ভাঙায় তাঁকে জরিমানাও দিতে হয়। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh)।
#Prayagraj: A bride Varmika sat on top of a moving car bonnet to make a reel for her social media account Hrs later she uploaded the video which went viral, was issued challans of Rs 16500 for violating traffic rules. @HiHyderabad @igrangealld @ADGZonPrayagraj @prayagraj_pol pic.twitter.com/VLu2eInR20
— R V K Rao_TNIE (@RVKRao2) May 22, 2023
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা ভর্নিকা। তাঁকে রবিরার প্রয়াগরাজের সিভিল লাইন এলাকায় এক সাদা রংয়ের চলন্ত এসইউভি গাড়ির বনেটের উপর লেহেঙ্গা পরে বিয়ের সাজে বসে থাকতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, তাঁকে রিলস বানাতেও দেখা যায়। তাঁকে এমন অবস্থায় দেখে ও তাঁর ভিডিও ভাইরাল হতেই এই বিষয়টি পুলিসের নজরে আনা হয়। ট্রাফিক নিয়ম ভাঙার ফলে ও চলন্ত গাড়ির বনেটের উপর বসার ফলে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি চালান কাটা হয়। তাঁকে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হয় ট্রাফিক আইন ভাঙার ফলে।
আরও জানা গিয়েছে, ভর্নিকার এমন কাণ্ড প্রথম কিছু নয়, এর আগেও তিনি হেলমেট ছাড়া স্কুটি চালিয়ে নিয়ম ভেঙেছিলেন। তখনও তাঁকে জরিমানা করা হয়েছিল।
চুরি করতে এসে ঘরেই মদ পান করে ঘুমিয়ে পড়ল চোর। এমনটাও আবার হয় নাকি! এই ঘটনা শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। সূত্রের খবর, লখনউয়ে এক বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে সেখানে দামি ওয়াইন দেখে নিজের লোভ সামলাতে পারল না চোর। ফলে ওয়াইন খেয়ে নেশা হয়ে যেতেই সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে সেই চোর। এরপর বাড়ির সদস্য বাড়িতে ফিরে এলে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়।
সূত্রের খবর, যে বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল সেই বাড়ির মালিকের নাম স্বরানন্দ। তিনি প্রাক্তন সেনা জওয়ান। তিনি লখনউয়ের নির্মলার কাটারি পার্টে বসবাস করেন। তিনি জানিয়েছেন, যখন চোর বাড়িতে আসে, তখন তাঁরা এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে ফিরতেই দেখেন তাঁর বাড়ির গেট ভাঙা ও ঘরে সবকিছু এলোমেলো হয়ে রয়েছে। আবার বিছানায় আরাম করে শুয়ে রয়েছে এক অজানা ব্যক্তি, তার পাশে রয়েছে ওয়াইনের ফাঁকা বোতলও। তবে সেই চোরকে তখনই ডাকেননি তাঁরা, পুলিসে খবর দিলে তখনই তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিস সেই চোরকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে জানায়, তার নাম সালিম। সে চুরি করতে এসে চোখের সামনে দামি ওয়াইন দেখে নিজেকে সামলাতে পারেনি ও তার সঙ্গীও তাকে জোর করতেই সেবন করেছিল। বাড়ি থেকে চুরি করার পরই সে ওয়াইন খায়। কখন যে সে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে, তা নিজেও জানে না। অন্যদিকে তার সেই সঙ্গী নিখোঁজ ও তাকে খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিস। আরও জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়িতে ১০০ গ্রাম সোনা, ৫০ হাজার টাকার ৪০ টি শাড়ি, দেড় লাখ টাকার রূপো পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অভিযোগ উঠছে, তার সেই সঙ্গীই সেগুলো নিয়ে পালিয়েছে। তাই তাকে খুঁজে বের করতে তৎপর পুলিস।
বিয়ে (Marriage) চলাকালীন মণ্ডপে কনেকে এক ধাক্কা দিলেন বর। টাল সমালাতে না পেরে পড়ে যান কনে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) কনৌজে। এই ঘটনার জেরে বিঘ্ন ঘটল বিয়েতে। ভেঙে গেল বিয়ে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মমতো বিয়ের সব কাজ এগোচ্ছিল। চলছিল মালাবাদল। তখনই বর জানতে পারেন, কনের বাড়িতে যে পণ দেওয়ার কথা ছিল, তা পুরোপুরি দেওয়া হয়নি। একটি এসি কম পড়েছে। তাতেই রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পাত্র। রাগের মাথায় মালা খুলে ছুড়ে ফেলেন বর। এরপর কনেকে এক ধাক্কা দেন তিনি। ধাক্কার টাল সামলাতে না পেরে মণ্ডপ থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান কনে। মুহূর্তের মধ্যে বিয়েবাড়ি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পাত্র এবং পাত্রীপক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। বিচারের জন্য পঞ্চায়েতের কাছে যান দুই পরিবারের প্রতিনিধিরা। পঞ্চায়েতে থেকে এই বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
ভিন রাজ্যের দুই শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার উত্তাল হল বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে এ রাজ্যে কাজ করতে এসে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে প্রাণ হারালেন মথুরার দুই ভাই বিষ্ণু এবং বিকাশ তানওয়ার। দেহ উদ্ধার করতে এলে পুলিসকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। ধান কাটার কাজে এই রাজ্যে এসেছিলেন বিষ্ণু এবং বিকাশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ধানকাটার গাড়ি নিয়ে যশপুর গ্ৰাম পঞ্চায়তের সালুংচি গ্ৰাম থেকে কাজ সেরে সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্ৰামের দিকে রওনা দেন। রাস্তায় ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার তাঁদের গাড়ির সঙ্গে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সদাইপুর থানার পুলিসকর্মীরা। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের এলাকাছাড়া করে ক্ষিপ্ত জনতা। এলাকাবাসীদের দাবি, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা না আসা পর্যন্ত দেহ দুটি ছাড়া হবে না। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে অবশ্য দেহ পুলিসের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। দুপুরের দিকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
বরপক্ষ ও কনেপক্ষের লড়াইয়ে (Fight) বিয়েবাড়ি (Wedding) বদলে গেল রণক্ষেত্রে। দু-পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি এবং শেষে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এই লড়াইয়ের জেরে আহতও হয়েছেন অনেকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) আগ্রার শাহগঞ্জে। ঘটনার ভিডিও (Video) ভাইরাল (Viral) হয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, বিয়ের আসরে বর কনেকে মাঝে রেখে তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন আত্মীয়স্বজনেরা। তখনই বর এবং কনেপক্ষের মধ্যে আচমকাই বচসা শুরু হয়। তারপরেই শুরু হয় জোরদার সংঘর্ষ। সূত্রের খবর, বিয়ে বাড়িতে নাচানাচিকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ তৈরি হয়।
— K.RAJ. 🇮🇳🚩 (@Kulwant70838898) May 5, 2023
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে চিৎকার করছেন এক মহিলা। বরকে লড়াইয়ের মধ্যে থেকে টেনে বের করার চেষ্টাও করছেন কেউ কেউ। কেউ তো আবার লড়াই থামানোর চেষ্টাও করছেন।
মুহূর্তের মধ্যে আনন্দ নিমেষে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিয়েবাড়ি ফেরত বাস দুর্ঘটনার (Bus Accident) কবলে পড়ে। যার জেরে মৃত্যু (Death) হয়েছে পাঁচ জনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জালাউন জেলার মধুগড় থানা এলাকার গোপালপুরায়। জানা গিয়েছে, বাসটিতে প্রায় ৪০ জন ছিল। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, বাসটিতে একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। এরফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিসও। বাসটি রাস্তার উপর উল্টে গিয়ে পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। প্রতিবেদন লেখা অবধি জানা গিয়েছে যাত্রীদের উদ্ধার করা গেলেও বাসটি এখনও নয়ানজুলিতে ডুবে আছে। বাসের মধ্যে আর কোনও যাত্রী রয়েছে কিনা সেটাও দেখছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, বাসের সঙ্গে যে গাড়িটির ধাক্কা লেগেছে, সেই গাড়িটির এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। তবে দ্রুত গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
প্রেমিকার বিয়ে আটকাতে মৃত্যুর (Death) অভিনয়ে গ্রেফতার (Arrest) এক যুবক। অভিযোগ, ভিন্ন জাতি হওয়ায় ওই যুবকের সঙ্গে বিয়েতে সম্মতি না দিয়ে অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তরুণীর পরিবার। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar pradesh) সম্ভল জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম ওয়াসিম। তিনি শাবাজপুর কালা গ্রামে থাকেন। সেই গ্রামেরই এক তরুণীর সঙ্গে যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
তবে ভিন্ন জাতের কারণে তরুণীর পরিবার বিয়েতে সম্মতি দেয়নি। তাই অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তাঁর। প্রেমিকার বিয়ের কথা মেনে নিতে না পেরে বিয়ে ভাঙার পরিকল্পনা করেন যুবক। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের অভিযোগ এনে বিয়ে ভেঙে দেবেন। তাই ছক কষে নিজেই নিজের মৃত্যুর ভুয়ো সংবাদ ছড়িয়ে দেন। মৃতদেহের ভিডিও বানিয়ে তা বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন।
ভিডিওতে গিয়েছে, যুবকের সারা শরীর রক্তাক্ত, হাত এবং পা বাঁধা। এমনকি, জিভও বেরিয়ে আসে। এই ভিডিও নিজের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে লুকিয়ে থাকেন অন্য জায়গায়। ভিডিওটি দেখা মাত্র যুবকের বাবা, মা পুলিসের দ্বারস্থ হন। তাঁরা ওই তরুণীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন। এর কিছুদিন পরেই ওয়াসিমকে গ্রেফতার করা হয় এবং মৃতদেহের ওই ভুয়ো ভিডিওটি রেকর্ড করেছিলেন যে বন্ধু তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস।