ফের খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিতর্কে রামনবমী উদযাপন করা নিয়ে। রামনবমীর অনুষ্ঠান প্রত্যাহার করতে বলা হল রেজিস্ট্রার-এর তরফে। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। প্রথমে অনুষ্ঠান পালনের জন্য় অনুমতি দেওয়া হলেও পরে অনুমতি প্রত্যাহার করে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রামনবমী উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু নোটিশ দিয়ে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করল। তবে ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট করা অনুমতি বাতিল করা হল, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারকে ফোন করলেও রেজিস্ট্রার ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ।
যদিও রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো থেকে ইফতার পার্টি সবকিছুই সুপরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠিত হলেও কেন রামনবমী পালন করার অনুমতি দিতে দ্বিচারিতা? প্রশ্ন তুলছেন রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে রাম নবমীতে। তাহলে কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমী পালন করা যাবেনা, যা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শুরু বিতর্ক। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও এক গবেষকের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের ফলেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় জলপাইগুড়ির মালবাজারে। ওই ছাত্রীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
অভিযোগ, ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্র এবং বাংলা বিভাগের এক গবেষক মিলে তাঁর মেয়েকে শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করত। যে কথা মৃত্যুর আগে পরিবারকে ওই ছাত্রী জানিয়েছিলেন বলেও দাবি। এমনকী জোর করে ওই ছাত্রীকে নেশা করানোর অভিযোগও উঠেছে।
এবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি বৈঠকের ডাক দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই বৈঠকে থাকবেন রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্টস-সহ একাধিক আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই মৃত ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনা হওয়ার কথা।
যদিও এই ঘটনার পর সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকেও। ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছাত্র সংগঠন এফএসডি-র তরফেও দৃষ্টিহীন ছাত্রীর মৃ্ত্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে চরম ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে দেওয়া হল 'গো ব্যাক' স্লোগান। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে সরব হন TMCP ও AIDSO-এর কর্মী সমর্থকেরা।
বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বহুদিন ধরে আটকে রয়েছে। দ্রুত যাতে এই সমস্যার সমাধান হয় তার দাবি জানান তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিস। একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির পর বিক্ষোভকারীদের আটকে দেন তাঁরা। যদিও সেই জায়গা থেকেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তাঁরা। বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে আসেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কনভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েন TMCP ও AIDSO-র পড়ুয়ারা। তৃণমূল ছাত্রনেতা অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড রাজ্যপাল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন।
পড়ুয়ারা বিক্ষোভ করলেও পুলিসি হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন রাজ্যপাল। পরে শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান।
ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে বাম বাধায় আটকে গেল রাম কর্মসূচি। অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস।
রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের সমর্থকেরা। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। ABVP শিবিরের দাবি, বামেরা তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।
যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সূত্রের খবর, মারমুখী ছাত্রদের মধ্যে পড়ে আহত হন তিনি। এছাড়াও ABVP সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে DSF, SFI সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের ৪ জন সদস্য আহত। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য। সাসপেন্ড হতে হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্রকে। সোমবার সন্ধেবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের অবমাননা করেছেন রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্র। সে কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর জায়গায় আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় ডিন অফ স্টুডেন্টসকে রেজিস্ট্রারের কাজ পরিচালনার কথা বলা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
এ প্রসঙ্গে সুবীর কুমার মৈত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি নিরুপায়। হাইকোর্টের নির্দেশেই তিনি সাসপেন্ড করেছেন।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি টানাপড়েন চলছিল। গত বছরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বিটি রোড ক্যাম্পাস থেকে কাজ করার পরিবেশ নেই বলে খোদ আচার্যকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করছেন।
মণি ভট্টাচার্যঃ ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠেছে মাটি। নতুন বছরের প্রথমদিনেই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ জাপান। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। হাহাকার আর আতঙ্ক যেন গ্রাস করেছে গোটা জাপানে। তার মধ্যেই আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউও। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় জাপানে স্বপরিবারে আটকে পড়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিস বিভাগের অধ্যাপক। সিএন-এর প্রতিনিধির কাছে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি।
অধ্যাপক সুদীপ্ত দাস বললেন, বছরের প্রথম দিনে স্ত্রী ও চার মাসের সদ্যোজাত কন্যাকে নিজে জাপানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টোকিও স্কাইটিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই ভূমিকম্পের সতর্কতা ঘোষণা হয়। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেরাও অনুভব করেন জোরালো কম্পন। আটকে পড়েন স্কাইটিতে। লিফট বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন বছরের সূচনা উপলক্ষে এদিন বহু মানুষের সমাগম হয়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে।
সুদীপ্ত দাস আরও জানান, তিনি স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গবেষণার জন্য রয়েছেন জাপানে। তিনি বোলপুরের নতুন পুকুর এলাকার বাসিন্দা। এখনও ক্রমাগত আফটারশক হচ্ছে বলে জানান তিনি। আবহাওয়াও খারাপ হচ্ছে। জাপানের প্রশাসন ও ভারতীয় দূতাবাস এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই সহায়তা করেছে। তবুও ভয়েই দিন কাটাচ্ছেন অধ্যাপক।
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পে এখনও অবধি ৫০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জাপান প্রশাসনের তরফে। গুরুতর জখম বহু। এখনও অবধি ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানের বিভিন্ন জায়গায়। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোটো উপকূল। শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে সেখানে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ঘরের সামনে বিতর্কিত পোস্টার। পোস্টারে লেখা ভিসিকেই কটাক্ষ করে নানারকম কৌতুকমূলক লাইন। লেখা রয়েছে, 'তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার চেয়ার খানি চাই।' এমনকি তাতেই কার্টুনের মাধ্যমে এক ব্যক্তির চেয়ার আটকানোর ছবি ছাপিয়ে লেখা, 'আমায় ছেড়ে যাস না প্লিজ, আমায় ছেড়ে যাস না।' পাঁচিলে, দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি ছাপিয়েছে কেউ বা কারা। আর তা নিয়েই ফের তৈরি হল বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ভিসি কে? তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমত অচলাবস্থা চলছেই। গত বছর ডিসেম্বরের ২৮ তারিখেই জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের। এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং এখান থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছেও নেই। ঘটনাকে 'অভূতপূর্ব' বলেই মন্তব্য করেছিলেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। এবার ভিসির ঘরের সামনে পোস্টার বিতর্কে সেই অচলাবস্থাকেই টেনে আনলেন তিনি।
এদিকে যাকে নিয়ে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যখন রাজ্যপাল তাঁকে অপসারণ করেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের পদ থেকে। সেই বুদ্ধদেব সাউ এবার পোস্টার বিতর্কে সুর চড়ালেন। তিনি বললেন, যাঁরা এই কাজ করেছেন, এতে তাঁদের মনুষ্যত্ব, তাঁদের চরিত্র কেমন তা বোঝা যাচ্ছে।
তবে এর জেরে একমাত্র সমস্যার মুখে পড়তে হবে পড়ুয়াদেরই। উপাচার্য কে তা না জানা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু কাজও যেতে পারে আটকে। আর এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই এবার এই সব পোস্টার রহস্য। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
মণি ভট্টাচার্যঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! জানেই না কর্তৃপক্ষ। ফলত, সমাবর্তনের পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে? এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের, এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ফলে এটা স্পষ্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছে নেই। এছাড়া সিএনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রারও একই উত্তর দেন।
এই রকম পরিস্থিতি এর আগে কখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। তাই এই ঘটনাকে অভূতপূর্ব বলেই মনে করছেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। উপাচার্য কে তা জানতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজ আটকে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পার্থপ্রতিম রায়ের সাফ কথা, ভিসি যেই থাকুন না কেন সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বা বুদ্ধদেব সাউকে পরিষ্কার করে জানাতে হবে।
রাজ্যের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের অচলাবস্থায় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন এই বিশ্ববিদ্যালেয়ের পড়ুয়ারা। এমনকি সমাবর্তনের সার্টিফিকেট নিয়েও বাড়তে পারে অনিশ্চয়তা।
মণি ভট্টাচার্যঃ যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কর্তৃক অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে অপসারণের ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে আছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ঘটনাক্রমে রবিবার সমাবর্তনের আগেই শনিবার রাজ্যপাল কর্তৃক অপসারণ করা হয় যাদবপুরের অন্তর্বর্তী ভিসি বুদ্ধদেব সাউকে। এরপর পাল্টা শনিবার মধ্যরাতে বিকাশ ভবনের তরফে যাদবপুরকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয় রাজ্যপালের ওই নির্দেশ বেআইনি। চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করে সুপারিশ করা হয় যে বুদ্ধদেব সাউই থাকবে যাদবপুরের উপাচার্য। এরপর অবশ্য রবিবার রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য ও যাদবপুর ACT অমান্য করার জন্যই বুদ্ধদেব সাউকে সরানো হয়েছে। এছাড়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্য শিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয় গুলির সায়ত্ব শাসনে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এখন প্রশ্ন, গোটা ঘটনায় আইন অনুযায়ী সঠিক কে? কী বলছে যাদবপুর ১৯৮১ ACT? তারই খোঁজ নিল সিএন।
১৯৮১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্য পরিচালনার জন্য একটি ACT গঠন করা হয়। যা ১৯৮৩ সালে পাশ হয় বিধানসভায়। তারপর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান, পরীক্ষা, সমাবর্তন, সহ সমস্ত প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় এই ACT অনুযায়ী।জানা গেল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮১ ACT এর ৮ নম্বর রুলের ২,৩ ও ৯ নম্বর রুলের ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ করবেন কেবল আচার্য। যদিও ১৯৮১ এর সেই ACT খানিক পরিবর্তন করা হয় ২০১১ সালে। সেখানে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা রাজ্যপালকে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ যদি শূন্য থাকে সেক্ষেত্রে আচার্য ওই পদে অন্তর্বর্তী ভিসি বা ভারপ্রাপ্ত ভিসিকে নিয়োগ করতে পারেন এবং তিনিই ওই নিয়োগ প্রত্যাহার করতে পারেন।
সুতরাং গোটা ঘটনায় যা স্পষ্ট হল, অন্তবর্তী ভিসি নিয়োগের অ্যাপয়েন্টমেন্ট অথরিটি কেবলমাত্র আচার্য বা রাজ্যপালের। সেখানে রাজ্যশিক্ষা দপ্তর, বিকাশ ভবন বা শিক্ষামন্ত্রী কেউই কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। তাহলে রাজ্যপাল কর্তৃক অপসারণ হতেই পারে, মত বিশেষজ্ঞদের। শুধু তাই না, রাজভবন সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন বুদ্ধদেব সাউ। সুপ্রিম নির্দেশে তিনি অন্তর্বর্তী ভিসি হিসেবে থাকলেও, বুদ্ধদেব সাউ নিজেকে ভিসি বলেই দাবি করতেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি আইন অমান্য করেছেন বুদ্ধদেব সাউ। ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপাল কর্তৃক যাদবপুরের অন্তর্বর্তী ভিসি অপসারণে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা।
রাজ্যপালের অপসারণ নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির বুদ্ধদেব সাউ। আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হচ্ছিল যাদবপুরে সমাবর্তন। তাই কি সরতে হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে! এই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অপসারণ করেন বুদ্ধদেব সাউকে। ফলে সমাবর্ত নিয়ে জটের মধ্যেই অপসারিত হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। তবে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়ে মধ্যরাতে নির্দেশিকা দিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা সমাবর্তন। তার আগের সন্ধ্যায় এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, এই অপসারণ রাজ্যপাল করতে পারেন না। যেহেতু মামলা সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। এছাড়া যাদবপুরকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এই অপসারণ অবৈধ। এছাড়া ওই চিঠিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক রায়ও উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজভবন থেকে শনিবার উপাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে তাঁর কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, রবিবার কি আদৌ যাদবপুরে হবে সমাবর্তন? সে প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন সকলে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অপসারণের খবর পেয়েই সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে রাতেই বৈঠকে বসেছেন ইসির সদস্যরা। রাজ্যপালকে আম্রন্ত্রণ জানানো নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারিতা বলেও মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সেলফি পয়েন্ট তৈরি করার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। ইউজিসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রের থ্রিডি নকশা মেনে তৈরি করতে হবে সেলফি পয়েন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালদের এই নির্দেশিকা দিয়েছেন ইউজিসি সচিব মণীশ জোশী। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এর পিছনে ইউজিসির যুক্তি, সেলফি পয়েন্ট ক্যাম্পাসে ভেদাভেদ বন্ধ করতে সাহায্য় করবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মাহাত্ম্য তুলে ধরতে সাহায্য় করবে।
কিন্তু প্রশ্ন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের কোথায় হবে সেলফি পয়েন্ট? যদিও নির্দেশিকায় থ্রিডি নকশার মাধ্যমে তা বলে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই সেলফি পয়েন্ট তৈরি করতে হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কোনও কোনও সূত্র মারফত খবর, সেলফি জোনের পটভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখতে বলা হয়েছে। তবে তার উল্লেখ নির্দেশিকায় কোথাও নেই।
আর ইউজিসির এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের। এমনকি মোদীর প্রচারের ক্ষেত্রে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে ইউজিসির মতো সংস্থাকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।
শুধু তাই নয়, দেশের তরুণ সমাজকে নিশানা করতেও এহেন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজনৈতিকমহলের একাংশ। যদিও এই বিষয়ে ইউনির্ভাসিটি গ্রান্ট কমিশন অর্থাৎ ইউজিসির তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে যেভাবে বিতর্ক যেভাবে মাথা চাড়া দিচ্ছে তাতে এহেন নির্দেশ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত সরকার নেয় সেদিকেই নজর সবার।
ফের র্যাগিং-এর অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। কয়েকমাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। আর এই নিয়েই তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। কিন্তু সেই ঘটনার পর ফের র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল, যার ফলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
র্যাগিং-এর শিকার হয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর পর ফের একই অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই মেইন হোস্টেলেই র্যাগিং-এর শিকার হয়েছে এক পড়ুয়া। স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া নিজের পরিচয় গোপন রেখে ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'হোস্টেলে থাকতে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না। এই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।' এমনই কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া।
ফের রাজ্যে যুবতীর রহস্যমৃত্যু। কিছুদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। এবারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (Burdwan University) থেকে উদ্ধার করা হল এক যুবতীর পচাগলা দেহ। যুবতীর মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে যুবতীর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। মৃত যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের এক জলাশয় থেকে এক যুবতীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে জলাশয়ে যুবতীর পচাগলা দেহ ভাসতে দেখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। এর পরই বর্ধমান থানার পুলিসকে খবর দেওয়া হয়।ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যালে। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যালে।
তবে এটি খুন নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, দেহ কোথা থেকে বা কীভাবেই বা জলাশয়ের মধ্যে এল, তা এখনও জানা যায়নি। এছাড়াও যুবতীর পরিচয় কী, এ সমস্ত কিছু জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিস।
বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ স্বীকৃতি অর্জন করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরেই বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে বসানো হয়েছে শ্বেতপাথরের ফলক। এই ফলককে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ফলকে লেখা ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। তার নিচে খোদাই করা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। অভিযোগ, এর জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। এবার এই নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
এই ফলক বিতর্কে রবিঠাকুরের ছবি বুকে ধরে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস-ও এই বিষয়ে জবাব চেয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন মুখ খুলতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে এবার জমা পড়ল চার্জশিট। বুধবার আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, চার্জশিটে কলেজের ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব়্যাগিং এবং পকসো ধারাতেও অভিযোগ এনেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার প্রথম বর্ষের ছাত্রের। ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদ, মিছিল, এককথায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস। র্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার তা কার্যত স্বীকার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে একাধিক পড়ুয়াকে আটক করে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধেই এদিন কলকাতা পুলিসের তরফে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।