
পুঁজি ২২২ রান। তারমধ্যে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা একাই দিলেন চার ওভারে ৬৮ রান। নিট ফল, মঙ্গলের বর্ষাপাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে মাঠ ছাড়ল ভারত। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব জানালেন, পরিকল্পনায় ভুল ছিল না, কিন্তু সব ভেস্তে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
১২ বলে ৪২ রান। এই সমীকরণ থেকেই মঙ্গলবার ম্যাচ বার করেছে অস্ট্রেলিয়া। আসলে ভারতের মাঠে ২২২ যে কোনও রান নয়, তা প্রমাণ করেছেন ম্যাক্সওয়েল এবং অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। তাই সূর্যর মতে, সব হল কিন্তু ম্যাক্সওয়েলকে আউট করা গেল না।
গুয়াহাটির মাঠেও টোন সেট করে দিয়েছিলেন রুতু। তাঁর অপরাজিত ১২৩ রান অক্সিজেন দিয়েছিল সিরিজ জয়ের। কিন্তু কল্পতরু ভারতীয় বোলারদের সৌজন্যে আপাতত রায়পুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাতেও ছেলেদের প্রশংসা অধিনায়কের গলায়। স্কাইয়ের গলায় আলাদা অনুভূমি রুতুর ব্যাটিং নিয়েও।
কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে দাপুটে জয় টিম ইন্ডিয়ার। অস্ট্রেলিয়াকে ৪৪ রানে হারিয়ে রানে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে লিড নিল টিম ইন্ডিয়া। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২৩৫ রান তোলে ভারত। হাফসেঞ্চুরি করেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। হাফসেঞ্চুরি রুতুরাজ ও ইশান কিষাণেরও। রিঙ্কুর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্লগ ওভারে বড় রান তুলে নেয় ভারত। সেই বাড়তি রানই বাঁচিয়ে দেয় ভারতকে। ১৯১ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
২৩৬ রান তাড়়া করতে নেমে শুরুতেই ঝটকা খায় অস্ট্রেলিয়া। ৭ ওভারেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। ম্যাথিউ শর্ট ও ইঙ্গলিশকে ফেরান রবি বিষ্ণোই। ম্যাক্সওয়েল ফেরেন অক্ষর প্যাটেলের ডেলিভারিতে। স্মিথকে ফেরান প্রাসিদ কৃষ্ণা। ২৫ বলে ৪৫ রান করেন মার্ক স্টয়নিস। ২২ বলে ৩৭ ডেভিডের। ম্যাথিউ ওয়েড টিকে থাকলেও পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
একই ওভারে পরপর দুই উইকেট তুলে অস্ট্রেলিয়াকে আটকে দেন প্রাসিদ কৃষ্ণা। ২০ ওভার ব্যাট করলেও ভারতের রান তাড়া করা সম্ভব হয়নি ব্যাগি গ্রিনদের।
বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। আর এই সিরিজের জন্য দায়িত্ব পাচ্ছে নতুন কোচিং দল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাহুল দ্রাবিড়কে। বদলে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভিভিএস লক্ষ্মণকে। গোটা বিশ্বকাপে ভারতের কোচ ছিলেন দ্রাবিড়। যদিও মাঝে মধ্যে দায়িত্ব সামলেছেন লক্ষ্মণ। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্য়াকাডেমির প্রধান তিনি। তবে শুধু দ্রাবিড় নয়, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য গোটা কোচিং টিমকেই বদল করা হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত ভারতের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন বিক্রম রাঠোর। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে সীতাংশু কোটককে। পাশাপাশি নতুন বোলিং কোচ করা হয়েছে সাইরাজ বাহুতুলেকে। এবং ফিল্ডিং কোচ হয়েছেন মুনীশ বালি।যদিও জানা গিয়েছে, ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্তই রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে চুক্তি ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। সেই চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। সেকারণে আপাতত তাঁর বদলে অন্য কোচ নিয়োগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শুরু হল সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS2023)। দিন ব্যাপী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসেছে নিউটাউনে (Newtown) বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে। নিউটাউনে বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে দু-দিন ব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন দেশ ও বিদেশের একাধিক শিল্পপতি।এই উপলক্ষে সেজে উঠেছে বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টার। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্বর। রাজ্যের লক্ষ্মীলাভের আশায় মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জানা গিয়েছে, সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, আইটিসি-র এমডি সঞ্জীব পুরী, টিসিজি গ্রুপের পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, আম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, জিন্দাল গ্রুপের কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল, নিরঞ্জন হিরানন্দানি, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, রাজন ভারতী মিত্তল, উমেশ চৌধুরী, মেহুল মোহাঙ্কা-সহ রাজ্য ও দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতিরা।
সূত্রের খবর এবার আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, স্পেন, ফ্রান্স সহ বিদেশের মোট ২৮টি দেশের প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার সেক্রেটারি ইলেইন এফ মার্শাল, ইউকে ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড ডেভিস, পোল্যান্ডের মন্ত্রী গ্লেজর্জ টোবিজস্কি ছাড়াও কিম ইউং রক ও ফ্যাব্রিজিও সালাকে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রার পর থেকে এবারের বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের দিকে নজর সব মহলের। নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে তাবড় শিল্পপতি ও উদ্যোগপতিদের এই চাঁদের হাটে রাজ্যে শিল্পে বড় বিনিয়োগ আসবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক কর্তারা।
মেসির মায়ামিতে টিম ইন্ডিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আমেরিকায় হার্দিকরা। সিরিজে এখনও ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ভারত। শেষ ম্যাচে সূর্য-তিলক জুটিতে গায়নায় ম্যাচ জিতেছে মেন ইন ব্লু। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচে ফ্লোরিডায় খেলবে ভারতীয় দল।
পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে এখনও পর্যন্ত হার্দিকের ভারতের পারফরম্যান্স মিশ্র। প্রথম দুটি ম্যাচ হারের পর বেশ চাপে ছিল টিম ইন্ডিয়া। শেষ ম্যাচে গায়নায় যেন একটু স্বস্তি ফিরেছে।
১২ অগাস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ খেলবে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী বছর আমেরিকাতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন আয়োজকরা
আগারকার (Agarkar) ফেরার পরেই দল থেকে বাদ পড়লেন বিরাট (Virat), রোহিতরা (Rohit)! ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিসিআই। টিমে নেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। সহ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। দলে ফিরলেন সঞ্জু স্যামসন। এছাড়াও একঝাঁক তারকা এবার টিটোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছেন। দলে এসেছেন তিলক ভার্মা, যশস্বী জয়সওয়াল। সুযোগ পেয়েছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার।
বোর্ডের নির্বাচক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দল ঘোষণা অজিত আগরকরদের। দায়িত্ব নেওয়ার পরই টি টোয়েন্টি দল বেছে নিল নির্বাচক কমিটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে ও টেস্ট টিমও বেছে নিতে হবে তাঁদের। এরপরই আসল পরীক্ষা। এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করবেন আগরকররা।
কারা কারা রয়েছেন টি টোয়েন্টি দলে:
হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), সূর্যকুমার যাদব (সহ অধিনায়ক), ইশান কিষাণ, সঞ্জু স্যামসন, শুভমান গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, তিলক ভার্মা, অক্ষর প্যাটেল, যুজভেন্দ্র চাহাল, কুলদীপ যাদব, রবি বিষ্ণোই, আর্শদীপ সিং, উমরান মালিক, আবেশ খান, মুকেশ কুমার।
মাধ্যমিকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ১২ জন পড়ুয়া স্থান করে নিয়েছিলেন প্রথম দশে। উচ্চমাধ্যমিকেও মেধাতালিকায় জয়জয়কার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের। বুধবার দ্বাদশের ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়, এই স্কুল থেকে ৯ জন প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছে। এবার রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম স্থানাধিকারীও এই স্কুলেরই। শুভ্রাংশু সর্দার। অঙ্কের সঙ্গে অর্থনীতি এবং স্ট্যাটিস্টিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে ৪৯৬ নম্বর পেয়েছেন তিনি। তাঁর আরও ৮ সহপাঠী এবারে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। স্কুলে দ্বিতীয় এবং রাজ্যে চতুর্থ হয়েছেন নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভ্রাংশুর থেকে মাত্র তিন নম্বর কম পেয়েছেন তিনি। আর নরেন্দ্রনাথের থেকে দু'নম্বর কম পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন অর্কদীপ ঘরা।
রাজ্যে সপ্তম হয়েছেন এই স্কুলেরই বিতান শাসমল, অর্ক ঘোষ এবং অভিরূপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। ৪৮৯ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম হয়েছেন নরেন্দ্রপুরের সৈয়দ সাকলাইন কবির। তাঁর থেকে এক নম্বর পেয়ে নবম হয়ে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন সায়ন সাহা এবং অর্কপ্রতিম দে। এই ফলাফলে আপ্লুত নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ। তিনি জানান, ২০১৫ সালের পর ফের উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে স্কুলের পড়ুয়ারা। এদিকে শুভ্রাংশু যে ভালো ফল করবেন তা নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি। তবে অঙ্ক, অর্থনীতি ও স্ট্যাট নিয়ে যে তিনি প্রথম হবেন, তা ভাবতে পারেননি স্বামী ইষ্টেশানন্দ।
এবছর ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি হলেও পাশের হারের নিরিখে মেয়েদের টেক্কা দিল ছেলেরা। গত ৬ বছরের মধ্যে প্রথম ছাত্রীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল ছাত্ররা। উচ্চ শিক্ষা সংসদের সভাপতি, চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এবছর ছাত্রদের পাশের হার ৯১.৮৬ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৭.২৬ শতাংশ। প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ কম।
উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৪৪ জন। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৯১ জন। পাশ করেছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৭ জন পরীক্ষার্থী। উল্লেখ্য, এবছর যাঁরা উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন, তাঁরা কেউই করোনার কারণে ২০২১-এ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেননি। তাই, উচ্চ-মাধ্যমিকই ছিল তাঁদের জীবনের বড় পরীক্ষা।
প্রসূন গুপ্ত: মহেন্দ্র সিং ধোনি, ভারতীয় ক্রিকেটের এক কিংবদন্তি। সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কও বটে। তাঁর হাতেই উঠেছিল টি-২০ বিশ্বকাপ এবং সীমিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপও। আইপিএল ট্রফিও উঠেছে বেশ কয়েকবার তাঁর হাতে অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে। মাঝখানে ১ বছর চেন্নাই দল না থাকায় অন্য দলে খেললেও ফের ফিরেছেন শ্রীনিবাসনের চেন্নাইতে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে খেলা শুরু সেই ২০০৪-এ, আজকে ২০ বছর বাদেও খেলে চলেছেন মাহি। ভারতের হয়ে ধাপে-ধাপে খেলা ছেড়েছেন প্রায় ৩-৪ বছর। বর্তমানে ধোনির বয়স ৪১-এর বেশি।
এই বয়সে সকলেই ক্রিকেট ছেড়ে দেন এমন নয়। কিন্তু ভেবে দেখার বিষয় তিনি ব্যাটার-উইকেট রক্ষক, যা তাঁকে ভয়ঙ্কর ব্যস্ত রাখে মাঠে। অনেকেই ভেবেছিলেন গত বছর হয়তো ধোনি খেলা ছেড়ে কমেন্ট্রি বক্সে চলে যাবেন। কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তিনি খেলবেন। ওই যে বার্তা আছে 'যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো'। এ বছর ধোনিকে মাঠে খুবই ক্লান্ত লেগেছে। প্রথম খেলা পড়েছিল গুজরাত দলের বিরুদ্ধে। উল্টো দিকের অধিনায়ক তথা ভারতীয় দলের তরুণ তুর্কি হার্দিক পান্ডিয়াকে যতটা চনমনে লেগেছিল, ততটাই ক্লান্তি ছিল গুরু ধোনির মধ্যে।
ওই ম্যাচে হেরেছিল কিন্তু সোমবারের লখনৌ ম্যাচে জিতেছে চেন্নাই। খেলাটি যারা দেখেছেন তারা নিশ্চিত বলবেন, ধোনি কেন ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন। এটা ঠিক তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। কিন্তু ফিনিশার মানে অন্তত ২০ ওভার ম্যাচে ১৫ ওভারের মধ্যে নামা উচিত, যা আগে নামতেন। কিন্তু এ বছর কোথায় তাঁর অবস্থান। যদিও ১২ রান করলেন দু'বলে এবং শেষ বলে আউট হলেন। তাই আরও আগে নামলে কী হতো জানা গেল না। এছাড়া উইকেটরক্ষক উইকেটের পিছনে বারবার বসবেন-উঠবেন। কিন্তু দেখা গেল ধোনি মোটামুটি দাঁড়িয়ে কিপ করছেন। এটা থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক বয়স তো হলো এবার নোঙ্গর ফেলো ধোনি।
২০১৯ থেকে ২০২৩ চার চারটে বছর কেটে গিয়েছে। তবু হতাশা কাটেনি ভারতের। দু’বারই সেমিফাইনালে এসে স্বপ্নভঙ্গ হলো ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের (ICC Women’s World Cup T20)। টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল হরমনপ্রীত কৌররা (Harmanpreet Kaur)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ছিল টিম ইন্ডিয়া। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অজি বাহিনী ৪ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে করে ১৭২। জবাবে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ভারতীয় দলের রান ১৬৭। মাত্র ৫ রানে পরাজিত হলো ভারত।
অধিনায়ক হরমনপ্রীতের রান আউটের পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন। একা ২২ গজে দাঁড়িয়ে জেমাইমা রডরিগেজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। ব্যক্তিগত রান করেন ৫২। কিন্তু রান আউটের পর আর খেলায় ফিরতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। নিজের রানআউট নিয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন হরমনপ্রীত।
ম্যাচ শেষের সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি জানিয়েছেন, আরো একটু সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন ছিল। এর আগে ২০২০ সালে মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।
এবার বাজেটে মধ্যবিত্তদের যেমন সুরাহা দিয়েছে মোদী সরকার, তেমনভাবেই বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম। সেই তালিকায় একদম উপরে আছে সিগারেট। ধূমপায়ীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়ে সিগারেটের উপর ১৬ শতাংশ কর আরোপ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে স্মার্ট ফোনের যুগে মানুষের হাতে আরও বেশি করে ফোন তুলে দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মোবাইলের যন্ত্রাংশের উপর চাপানো অন্তঃশুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে কমবে মোবাইলের দাম। একইভাবে টিভির যন্ত্রাংশের অন্তঃশুল্কেও ছাড় দিয়েছে সরকার। ফলে টিভির দামও কমবে। কিন্তু যারা একটু সৌখিন, তাঁদের কাছে হেঁশেলের জন্য দুঃসংবাদ। রান্নাঘরের ইলেকট্রিক চিমনির দাম বাড়বে। বাজেটে চিমনির অন্তঃশুল্ক বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করেছে মোদী সরকার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়তে চলেছে রুপোর দাম। রুপোর উপরে বসানো অন্তঃশুল্কের পরিমাণ বেড়েছে এই বাজেটে।
এদিকে, কমবে ক্যামেরার লেন্সের দামও। লেন্সের উপর চাপানো শুল্ক কমিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি কমবে শিশুদের দেশি খেলনার দাম। বাজেটে খেলনার উপর শুল্কে ছাড় পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, যারা এই মুহূর্তে সাইকেলের উপর নির্ভরশীল, তাঁদের জন্য সুখবর। দেশি সাইকেলের দামও কমবে বাজেটের পর। দেশে তৈরি সাইকেলের উপর কর কমিয়েছে সরকার।
কিন্তু বিদেশী ই-ভেহিকেল বা ইলেকট্রিক গাড়ির দাম বাড়বে। এই গাড়ির উপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কমছে দেশে তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ির দাম। কাঁচামালের উপর চাপানো শুল্ক কমানো হয়েছে।
অপরদিকে, কমছে হিরের দামও। বাজেটে হিরের উপর চাপানো শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এমনকি বাজেটের পর সস্তা হবে লিথিয়াম ব্যাটারি। ব্যাটারির দাম বেশ খানিকটা কমতে চলেছে শুল্ক ছাড়ের জেরে।
এছাড়া ইমিটেশন গয়নার দাম, প্ল্যাটিনাম ধাতুর যাবতীয় গয়নার দাম বাড়ার সঙ্গে কিছুটা বাড়তে পারে সোনার দামও। এমনকি, আমদানিকৃত রবারের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করেছে সরকার। ফলে বাড়তে চলেছে টায়ার টিউবের দাম।
মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফুটিয়ে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-এ (Union Budget 2023) বড়সড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitharaman)। নতুন কর কাঠামো বুধবার ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বেতনভুকদের কাছে যে কাঠামো যথেষ্ট সাশ্রয়ী। নগদ অর্থের সংস্থানও করতে পারবেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি, এমনটাই দাবি অর্থনীতিবিদদের। জানা গিয়েছে, বছরে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর ছাড়। পাশাপাশি আয়কর ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। কারও বছরে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে ৪৫ হাজার টাকা আয়কর (Income Tax) দিতে হবে, যা আগের তুলনায় ২৫% কম। যাঁর ১৫ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আয় তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা কর দিতে হবে। আগে দিতে হত ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রায় ৪০ হাজার টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন একজন বেতনভুক।
জানা গিয়েছে, ০ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বছরে আয় করলে কোনও কর দিতে হবে না। ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক আয়ে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ। বাৎসরিক আয় ৬ লক্ষ টাকা থেকে ৯ লক্ষ টাকা হলে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ। বাৎসরিক আয় ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মধ্যে হলে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ। ১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হবে ২০ শতাংশ। বছরে আয় যদি ১৫ লক্ষ টাকার বেশি হয় তা হলে ৩০ শতাংশ হারে দিতে হবে কর। এভাবেই নতুন কর কাঠামো ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Finance Minister) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2023)। দ্বিতীয় মোদী সরকারের পূর্ণাঙ্গ এই বাজেট বক্তৃতার দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। বুধবার সকাল থেকেই শেয়ার বাজার সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এদিন রাষ্ট্রপতির থেকে বাজেট বক্তৃতার অনুমতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (Union Cabinet) বৈঠক বসে। সেখানেই অর্থ মন্ত্রকের তৈরি করা বাজেটে সিলমোহর বসানো হয়। প্রান্তিক এবং জনজাতি মানুষের উন্নয়নে এই বাজেটে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এদিন বক্তৃতার শুরুতেই এমনটাই জানান অর্থমন্ত্রী। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সারির শহরগুলোয় পরিকাঠামো উন্নয়নে এবং দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি ঘটাতে বিশেষ জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এযাবৎকাল বাজেটে ঘোষিত প্রকল্প এবং বরাদ্দ এক নজরে।
টেট ২০২২ (TET 2022) আয়োজনে পর্ষদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও তাঁর অবস্থান একই। এদিন বিচারপতি (Justice Ganguly) বলেন, "শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board) যদি ভালো কাজ করে তার প্রশংসা আমি করবোই। সরকারের যদি সঠিক ভূমিকা থাকে তবে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata) কাজের প্রশংসা করবো। আবার যদি দেখি শিক্ষা পর্ষদ কোনও ভুল কাজ করছে তবে তার সমালোচনাও আমি করবো। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।"
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলা চলাকালীন এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, রবিবার রাজ্যজুড়ে হওয়া টেটে বসেন ৭ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। এই বিরাট আয়োজনকে সুষ্ঠু রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। রবিবার ছুটির দিনেও পথে ছিল পর্যাপ্ত বাস, ছিল অতিরিক্ত ট্রেন।
কিন্তু প্রশাসনিক এই তৎপরতার সঙ্গেই একাধিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। কোথাও বায়োমেট্রিক বিকল, কোথাও অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভুল ঠিকানার মতো অভিযোগ উঠেছে। তবে পরীক্ষার সন্ধ্যায় পর্ষদ সভাপতি দাবি করেছেন সুষ্ঠু হয়েছে চলতি বছরের টেট। এই আয়োজনের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।
১১ নভেম্বর, ২০২২ আয়োজিত টেট (TET 2022) পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় সন্তোষপ্রকাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly)। 'টেট হওয়ার পর কার্বন কপি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কাজ ভালো হচ্ছে।' এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এহেন মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টেট-২০২২ ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা থাকবে। ৫.৫ লক্ষের বেশি ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আদালতে জানালের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। রবিবার রাজ্যজুড়ে টেটে বসেন ৭ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রেখেছিল রাজ্য প্রশাসন। ছুটির দিন হলেও পথে ছিল পর্যাপ্ত বাস, ছিল অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা।
যদিও একাধিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। কোথাও বায়োমেট্রিক বিকল, কোথাও অ্যাডমিট কার্ডের পরীক্ষা কেন্দ্রের ভুল ঠিকানার মতো অভিযোগ উঠেছে। যদিও পরীক্ষার সন্ধ্যায় পর্ষদ সভাপতি দাবি করেছেন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে চলতি বছরের টেট পরীক্ষা। এই আয়োজনের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময়ের অপেক্ষা, তার উপর লাগাতার আন্দোলন, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ, আদালতের কড়া দাওয়াই, হাজার টানাপোড়েন, সব কাটিয়ে অবশেষে রবিবার রাজ্যে (West Bengal) হয়ে গেল প্রাথমিক টেট (Primary TET) পরীক্ষা। মোটের উপর রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণ ভাবেই টেট হয়েছে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু রাজ্যজুড়ে চালচিত্র বলছে অন্য কথা। শহর কলকাতা (Kolkata) থেকে জেলা, একাধিক জায়গায় উঠে এল চরম ভোগান্তি আর অব্যবস্থার ছবি। অনেক পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ পরিবহণ ব্যবস্থা ঠিক ছিল না, রবিবার বলে যানবাহন কম ছিল। ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। টেট পরীক্ষা দিলে পরিবহণের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।
এদিকে শুধুমাত্র যানবাহন সমস্যাই নয়, পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁজতে গিয়েও হাঁড়ির হাল পরীক্ষার্থীদের। টেট পরীক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানা ভুল নিয়ে বিভ্রান্ত পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের এডমিট কার্ডে রয়েছে ভুল ঠিকানা। সল্টলেক লবণ হ্রদ বিদ্যাপীঠ এডি ব্লকে কিন্তু এডমিট কার্ডে লবণ হ্রদ বিদ্যাপীঠ বিডি ব্লক উল্লেখ করা রয়েছে। অভিযোগ, হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করলেও কোন রকম সহযোগিতা করা হয়নি। কোন্নগর বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে টেট পরীক্ষার সিট্ পড়ে। কিন্তু পিনকোডে ভুল থাকার জন্য অনেকেই পৌঁছন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কন্যা নগর স্কুলে। আবার এক স্কুলের বাইরে নোটিস দেখা যায় যে সেখানে নয়, পরীক্ষা রয়েছে সোদপুরের একটি স্কুলে। এরপরেই বিভ্রান্ত পরীক্ষার্থীদের গাড়ি করে নির্দিষ্ট স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে বিষয় থেমে থাকেনি এখানেই। অন্যান্য বিভ্রান্তির সঙ্গেই দেখা গেল হয়রানির আরও এক চিত্র। শাঁখা পলা খুলিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশের নির্দেশ, আর যার ফলে অগত্যা মহিলাদের সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে খুলতে হয় শাঁখা। এমনকি দূর দূরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করতে পারেননি, অথচ ব্যাগ বাইরে কোথায় রাখবেন তাও কিছু নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। ফলে ব্যাগে ফোন, পার্স ফেলে মানসিক অশান্তির মধ্যে পরীক্ষা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ। কড়াকড়ি করতে গিয়ে সেটা বারাবারিতে পরিণত হয়েছে, দাবি পরীক্ষার্থীদের।
তবে টেট পরীক্ষা শেষ হলেও শেষ হয়নি অশান্তি। কলকাতার প্রখ্যাত দেশপ্রিয় পার্ক তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনে বিক্ষোভে সামিল হলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা নির্দিষ্ট সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছিলেন। পরীক্ষা শুরুর আগে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্যতম বায়োমেট্রিক। কিন্তু তাঁদের সেই পদ্ধতি সম্পন্নই হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে বায়োমেট্রিক না হলে তাঁরা অনুপস্থিত বলে বিবেচিত হবেন বলে আশঙ্কা, আর তাতেই বিক্ষোভে সামিল পরীক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও খবর। যতক্ষণ না সমস্যার সমাধান হবে ততক্ষণ স্কুলেই অবস্থান করবেন বলে হুঁশিয়ারি পরীক্ষার্থীদের।
অপরদিকে দূর্ঘটনার কবলে টেট পরিক্ষার্থী। সিউড়ির মাঝি গ্রাম থেকে হেতমপুরে টেট পরিক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন পরীক্ষার্থী শুভশ্রী দে। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে চারচাকা গাড়ি। ঘটনায় আহত শিশু সহ তিনজন। এদিন সকালে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থেকে একটি গাড়িতে চাতরা রামাই পন্ডিত কলেজে টেটের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়িতে কলেজের একজন কর্মী ছাড়াও ছিলেন পুলিশকর্মীরা। সাঁইতাড়া ও মির্জাপুরের মাঝামাঝি গাড়িটি মুখোমুখি ধাক্কা মারে একটি পিক আপ ভ্যানে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতুলপুর থানার পুলিশ। এরপরই তড়িঘড়ি পুলিশের অপর একটি গাড়িতে করে প্রশ্নপত্র চাতরা রামাই পন্ডিত কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদ সভাপতি দাবি করেন, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে পরীক্ষা। এই আয়োজনকে সফল করার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ধন্যাব্দ জানান। পাশাপাশি পুলি প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসায় সরব ছিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।