মেলবোর্নে বিরাট জয়। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup 2022) শেষ বলের থ্রিলার। পাকিস্তানকে চার উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত (India VS Pakistan) । জয় এল ভারতের ঝুলিতে।দীপাবলির আগেই বড়ো উপহার দিল কিং কোহলির (Virat Kohli) ব্যাট। একা কুম্ভের মতো দুর্গ রক্ষা করলেন। কোহলির চওড়া ব্যাট যেন খাপ খোলা তরবারি। ৫৩ বলে অপরাজিত ৮২। ছ'টা চার। চারটে ছয়। শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হ্যারিস রৌফদের জারিজুরি শেষ কোহলির ব্যাটের সামনে। আর বিরাটকে সঙ্গ দেন হার্দিক। ৪০ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। আর ফ্রি হিট, ওয়াইড, আউট, ওভার বাউন্ডারির মতো ঘটনাবহুল রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে আসে তৃপ্তির জয়।
মেলবোর্নে শুরুটা ছিল ভারতের। শেষেও মেন ইন ব্লু-এর দাপট বজায় ছিল।টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান রান পাননি। তবে লড়াই করার মতো রান করেছিল পাকিস্তান। ৮ উইকেটে ১৫৯। তিন উইকেট পেলেন পান্ডিয়া। অর্শদীপ আরও তিন। আর ভারত করেছে ৬ উইকেটে ১৬০ রান।
প্রথমে নড়বড়ে শুরু করেছিল ভারত। রাহুল, রোহিত, সূর্যকুমার কেউ রান পাননি। কিন্তু কোহলি ছিলেন। ওয়াঘার সীমান্তের ওপারে পৌঁছে যাওয়া ম্যাচ এপারে নিয়ে এলেন। মেলবোর্ন থেকে ভারত। শুধু জয় হো।
শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের (TET 2014 Job Aspirants) মধ্যরাতে জোর করে পুলিস বাসে তুলেছে বিধাননগর পুলিস (Bidhannagar Police)। ইতিমধ্যে পুলিসের 'অতি সক্রিয়তার' বিরুদ্ধে সরব হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার অপর্ণা সেন (Aparna Sen), সোহিনী সরকার, শ্রীলেখা মিত্ররা (Sreelekha Mitra)। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ জট কাটাতে সরকারকে আলোচনায় বসার আর্জি জানালেন বিদ্বজ্জনেরা (Intellectuals)। এমনকি মধ্যরাতে পুলিসি বলপ্রয়োগে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টাকে ধিক্কার জানিয়েছেন অপর্ণা সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, বিনায়ক সেনরা।
তাঁরা লিখেছেন, 'সংবাদ মাধ্যমে আমরা দেখেছি যে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য কীভাবে বিধাননগর পুলিশ বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনাকে আমরা ধিক্কার জানাই এবং পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি। ১৪৪ ধারা বলবৎ করার আদেশ দিতে গিয়ে মাননীয় বিচারক মন্তব্য করেন, "পুলিশ কি পাওয়ার লেস?" এই মন্তব্য অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিক সুরক্ষার বিরোধী বলে মনে করি। অবিলম্বে সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠার আবেদন জানাচ্ছি এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের যাতে না করা হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করছি।'
এই বিবৃতির নিচে সই করেন-- ডাক্তার বিনায়ক সেন, অপর্ণা সেন, ডাক্তার কুণাল সরকার, বিভাস চক্রবর্তী, সুমন মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রেশমি সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায় এবং দেবলীনা দত্ত।
শুক্রবার মধ্যরাতে করুণাময়ীতে পুলিসি ধরপাকড়ের তীব্র নিন্দা পরিচালক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেনের। তিনি ট্যুইটে লেখেন, 'অনশনকারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত করেছে তৃণমূল সরকার। অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৪৪ ধারা কার্যকর কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই অনৈতিক কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।' শুধু অপর্ণা সেন নয় কালকের ঘটনায় সরব টলিউডের একাধিক পরিচিত মুখ। শুক্রবার রাতেই অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের ফেসবুক পোস্ট, 'এঁরা যত বেশি পড়ে, তত বেশি জানে, তত কম মানে।'
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র আবার একধাপ এগিয়ে। তিনি নিজের ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে তৃণমূল সমর্থকদের সরে যেতে বার্তা পাঠান। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী ঋদ্ধি সেন লেখেন, 'ধিক্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশকে এক শান্তিপূর্ণ ,যোগ্য আন্দোলনের গায়ে এমন বীভৎস আঘাত করার জন্য। এই জঘন্য কাজের মাশুল গুনতে হবে রাষ্ট্রকে।'
তবে শুধু তারকা জগৎ রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেও এই পুলিসি 'অতিসক্রিয়তার' সমালোচনা করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, 'বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতার পুলিস টেট ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিসি বর্বরতার আশ্রয় নিচ্ছে। এটা পশ্চিম বাংলা না হিটলারের জার্মানি।'
যদিও শুভেন্দুর ট্যুইটকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ শান্তনু সেন জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে পুলিসের উপর হামলা করে। যাঁদের নেতা পুলিসের উদ্দেশ্যে কুকথা বলেন, তাঁদের মুখে এসব কথা মানায় না। বারবার চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে ঘোষণা করার পর পুলিস আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ কাজ করছে। বাংলার পুলিস দক্ষ এবং সংবেদনশীল। বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য আন্দোলনকারীদের প্ররোচনা দিয়েছে।
৮৪ ঘণ্টার ধর্না তুলতে সময় লাগলো মাত্র ১৫ মিনিট। শুক্রবার মধ্যরাতে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে ধর্নায় বসা চাকরিপ্রার্থীদের (TET 2014) ভ্যানে তোলে বিধান নগর পুলিস (Bidhannagar Police)। যদিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মাইকিং শুরু করে পুলিস। ১৪৪ ধারা জারি থাকা জায়গা থেকে সরে যেতে চাকরিপ্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দেয় বিধান নগর কমিশনারেট। সেদিন দুপুরেই হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল, ১৪৪ ধারা কার্যকর রাখতে পদক্ষেপ নেবে পুলিস। পাশাপাশি পর্ষদ অফিসে যাতে কর্মীদের ঢুকতে এবং বেরোতে অসুবিধা না হয় নিশ্চিত করবে পুলিস।
যদিও ধর্না সরানো নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি আদালত। তারপরেই কোর্ট নির্দেশকে হাতিয়ার করে আসরে নামে বিধান নগর কমিশনারেট। বিকেলের পর থেকে করুণাময়ী এবং এপিসি ভবনের মাঝে বাড়তে থাকে পুলিস। শুরু হয় মাইকিং। ইতিমধ্যেই সন্ধ্যা বাড়লে একের পর এক অনশনকারী অসুস্থ হতে শুরু করে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সরলেও অনেকেই সহযোদ্ধাদের পাশে থাকতে অসুস্থ শরীরেই ধর্নাস্থলে থেকে যান। ক্রমেই রাত বাড়ে। আন্দোলনের ধারা পরিবর্তন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
অবশেষে রাত ১২টার পর সক্রিয় হয় পুলিস। প্রথমে ধর্নাস্থল ছাড়তে দু'মিনিট সময় দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের। সেই আবেদনে কাজ না হওয়ায় ধর্নাস্থলে ঢুকে বল প্রয়োগ শুরু করে পুলিস। প্রায় ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় অনশনে থাকা ক্লান্ত-শ্রান্ত চাকরিপ্রার্থীদের টেনেহিঁচড়ে-চ্যাংদোলা করে পুলিসের বাসে তুলে বিধান নগরের তিন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, এসব চাকরিপ্রার্থীরা ফের ফিরে যাবেন মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে। সেখানেই অবস্থান মঞ্চে কালো ব্যাজ করে বিক্ষোভ দেখাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। একইসঙ্গে পুলিসের এই হামলার প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই ধর্নায় নেতৃত্ব দেওয়া তিন চাকরিপ্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই অভিযোগ করেন তাঁদের সহকর্মীরা। যদিও বৃহস্পতিবার রাতেই ঘোষণা হয়েছে, 'শান্তিপূর্ণ অনশনে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের বল প্রয়োগ করে পুলিসি বাসে তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার থেকেই আন্দোলনে নামছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।' বড়সড় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে করুণাময়ী, শিয়ালদহ এবং হাওড়ায় মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিস।
২০১৪ টেট (TET 2014) নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের করুণাময়ীতে (Karunamoyee Agitation) চলা অবস্থান বিক্ষোভের ৭২ ঘণ্টা পার। প্রায় দু'দিনের বেশি সময় ধরে তাঁরা চালাচ্ছে আমরণ অনশন। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, 'চাকরির নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান তুল্বেন না তাঁরা।' যদিও পর্ষদ (Primary Board) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে ইন্টারভিউতে বসতেই হবে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু তাঁরা অনড়। টেট পাশ করে ইতিমধ্যে তাঁরা দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তাই আর কোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না। স০ংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে পর্ষদকে পাল্টা অবস্থান জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।
ইতিমধ্যে যেখানে ২০১৪ টেটের নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান, তার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পৃথক অবস্থান বিক্ষোভে ২০১৭ টেটের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আবার বক্তব্য, '২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা ইতিমধ্যে দু'বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের একবারও ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি। পর্ষদ কি তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করছে? দু'পক্ষের এই টানাপোড়েনে যখন উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর, তখন পর্ষদের দায়ের করা মামলায় অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত জানিয়েছে, আচার্য ভবন এর সামনে ১৪৪ ধরা কার্যকর করবে বিধাননগর কমিশনারেট। পর্ষদ অফিসে ঢোকা এবং বেরনোর জন্য কর্মীদের নিরাপত্তা দেবে পুলিস। তবে অবস্থান সরানো নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ কার্যকর করবে। সেদিন আদালতে রেগুলার বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
হাইকোর্ট এভাবে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পর করুণাময়ী চত্বরে বাড়ে পুলিসি সক্রিয়তা। সন্ধ্যা বাড়তেই অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য মাইকিং শুরু করে পুলিস। নয়তো আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিস। পাল্টা আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, 'নিয়োগ পত্র না নিয়ে একচুলও নড়বেন না তাঁরা। প্রয়োজনে মার খাবেন এবং গুলি খাবেন, কিন্তু নিয়োগ না পেলে অবস্থানস্থল ছাড়বেন না তাঁরা।' আদতে এটা চাকরিপ্রার্থীদের ডু অর ডাই ম্যাচ, এমনটাই জানান চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিকে, ২০১৪ টেট নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের করুণাময়ীতে চলা অবস্থান বিক্ষোভের ৭২ ঘণ্টা পার, অনশনের পার ৫০ ঘণ্টা। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে একফোঁটা জল এবং খাবার তাঁরা মুখে তোলেননি। ইতিমধ্যে অন্তত ৪-৫ জন অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। পুলিস এসে অসুস্থ চাকরিপ্রার্থীদের মেডিক্যাল সহযোগিতার প্রস্তাব দিলেও, সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন চাকরিপ্রার্থীরা। শেষ পাওয়া খবরে, গুরুতর অসুস্থ এক চাকরিপ্রার্থীকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিস।
করুণাময়ীতে ২০১৪ টেট (TET 2014) চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভের ২৪ ঘণ্টা পার। মঙ্গলবার সকাল থেকে নিয়োগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনে (Fast onto Death) চাকরিপ্রার্থীরা। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। অনশনমঞ্চে থাকা অন্য চাকরিপ্রার্থীরা (Job Aspirants) অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠান। পুলিস কোনওরকম সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিধান নগর পুলিসের তরফে মাইকিং চলেছে। যেহেতু চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানমঞ্চ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। যেহেতু হাসপাতাল রয়েছে তাই এটা একটা সাইলেন্ট জোন। শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে মাইকিংয়ে। যদি চাকরি প্রার্থীরা জায়গা না ছাড়েন তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই হুঁশিয়ারিও বিধাননগর পুলিসের তরফে দেওয়া হয়।
এতে উত্তেজনা বাড়ে। চাকরিপ্রার্থীরা পাল্টা তাঁদের সঙ্গে থাকা জল, ফল, শুকনো খাবার ছুড়ে ফেলে আমরণ অনশনের ডাক দেন। এদিন সকাল ১১টা থেকে চলছে সেই অনশন। তাঁদের একটাই দাবি, 'নিয়োগপত্র হাতে না পেলে তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এটা ডু অর ডাই আন্দোলন।' তাঁদের এই অবস্থার জন্য প্রাইমারি বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে দায়ী করছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
সরকার সবকিছু কোর্টের উপর ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন চাইলে অযোগ্যদের নিয়োগ খারিজ করে আমাদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারে। এমন দাবিও করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিকে, করুণাময়ীর অবস্থান বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন দেখছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানান, একস্তরীয় বা বহুস্তরীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে এই আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা নিয়োগ জট কাটিয়ে নিয়োগ করতে যাচ্ছি।
তাঁর আবেদন, 'যারা নট ইনক্লুডেড তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করুক। স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়োগ হবে। প্রতি বছর দুটি টেট হলে আগামি দিনে আরও শূন্যপদ বেরোবে।' তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীদের বয়সের সর্বোচ্চ সীমা সংক্রান্ত জটিলতায় সরকারের কোর্টে বল ঠেলেছেন পর্ষদ সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, '২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা একটা মঞ্চ তৈরি করেছেন। আমি সেই মঞ্চের চার জনের সঙ্গে কথা বলেছি। ২০২০-তে ১৬৫০০ নতুন পদ তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে ১৬,৫০০ শূন্যপদের জায়গায় ১৩,৪৬৫ পদে নিয়োগ হয়েছে। ২০১৪-র টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা দু'বার ইন্টারভিউয়ে অংশ নিয়েছেন।'
ডেথ ওভারে মহম্মদ শামির বোলিংয়ে বিশ্বকাপ (T-20 World Cup) প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে (India beats Australia) ৬ রানে হারাল ভারত। ২০ ওভারে পড়েছে চার উইকেট, তার মধ্যে একটি রান আউট বাদে বাকি তিন উইকেট শামির (Mohammad Shami) ঝুলিতে। এদিন ফিল্ডিংয়ে অসামান্য ছিলেন বিরাট কোহলি (virat kohli)। ডিরেক্ট থ্রো-তে একটি রান আউট করেন কিং কোহলি। পাশাপাশি শেষ ওভারে বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁর দুর্দান্ত ক্যাচ ম্যাচ ঘুরিয়েছে ভারতের দিকে।
টি-২০ বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ এবং তারপর সাউথ আফ্রিকা সিরিজ, ডেথ অভার ভুগিয়েছে ভারতকে। ১৯ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের স্পেলে বিপক্ষ ম্যাচ জিতে বেড়িয়ে গিয়েছে। মহম্মদ শামির এদিনের আগুনে বোলিং সেই শূন্যস্থান পূরণ করে দিল। এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
টি-২০ বিশ্বকাপে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৮৬ রান তোলে ভারত। অর্ধশতরান করেন কেএল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব। সেই রান তাড়া করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ডেথ ওভারে ভাল বল করলেন ভারতীয় বোলাররা। দীর্ঘদিন পর ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে ফিরে সেই আগুনে স্পেল মহম্মদ শামির। যা কিছুটা হলেও উদ্বেগ কমিয়েছে রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়দের।
প্রসূন গুপ্ত: মহেন্দ্র সিং ধোনি চলে যাওয়ার পরে ভারতীয় ক্রিকেট দল কেমন একটা ছন্নছারা ভাবে চলছে। রবি শাস্ত্রীর আমলে আইসিসির কোনও বড় ট্রফি নেই। বিরাট কোহলি অধিনায়ক হওয়ার পরে তাঁর মধ্যে সৌরভ গাঙ্গুলির আগ্রাসন দেখা গেলেও নিজের ফর্ম হারিয়ে গত দু-আড়াই বছর বড় রানের বাইরে। নেতৃত্ব ছেড়েও ফর্মে ফিরতে পারছিলেন না বিরাট। তবে এশিয়া কাপ এবং সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বড় রান তাঁকে হয়তো কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় দলে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ভালো খেলে দিলেও ধারাবাহিকতার অভাব। বিশেষ করে ডেথ ওভার বোলিংয়ে শামি, বুমরাহর অভাব দেখা যাচ্ছে। ব্যাটিংয়ে কেএল রাহুল অফ ফর্ম, কোনওদিন রান পাচ্ছেন রোহিত, কোনওদিন ফ্লপ।
এভাবেই ব্যাটিং চলছে, তবে এর মধ্যে ধারাবাহিক ভালো খেলছেন সূর্যকুমার যাদব| বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলে রেকর্ড করলেন সূর্য। টি-২০ বিশ্বকাপের একটু স্বস্তিতে টিম ইন্ডিয়া। অন্যদিকে বোলিংয়ের অবস্থা তথৈবচ। ভুবনেশ্বর কুমারের মতো প্রতিভাবান বোলারের অফ ফর্ম ভাবাচ্ছে দ্রাবিড়দের। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে আর্ষদীপের বোলিং কিছুটা কমিয়েছে দুশ্চিন্তা। ঠিক কোন রহস্যে ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামিকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে কেউ জানে না। আসলে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে বড্ড বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। মিডল অর্ডার থেকে টেল এন্ড, বিশেষ করে উইকেট কিপিং, সব জায়গাতেই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ধারাবাহিক অফ ফর্মে থাকা ঋষভ পন্থ যেমন জায়গা পাচ্ছে। তেমনই জায়গা পাচ্ছেন দীনেশ কার্তিক।
গত তিন মাসে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের ফল আশানুরূপ হলেও, আইসিসি টুর্নামেন্টে তীরে এসে তরী ডোবার ইতিহাস ভারতের সেই ২০১৪ থেকে। এদিকে, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে ভারত প্রতিকূল পিচে খেলবে। সেখানে গ্রিনটপ বা দ্রুতগামী বোলারদের উপযুক্ত উইকেটই অপেক্ষা করবে। এই মুহূর্তে আর্ষদীপের বল সুইং করেছে। চোটের কবলে জসপ্রীত বুমরা। এই মুহূর্তে দরকার উইকেট টেকার মহম্মদ শামিকে। প্রশ্ন উঠেছে মহম্মদ সিরাজকে নিয়েও। তিনি এত আশা জাগানোর পর কোথায়? প্রশ্ন উইকেটের পিছনে কে থাকবে পন্থ নাকি কার্তিক? এসব নিয়ে ভারতের এখনই ভাবা দরকার।
২০১৪ টেট (TET) মামলার তদন্তে আদালতে ধমক খেল সিবিআই (CBI)। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ যে ১০ জন চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের জেরা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ আদালতের। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এঁদের কারও মেধাতালিকায় নাম ছিল না। এমনটাই আদালতে সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাই এই ১০ জনকে জেরা করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্যানেল সংক্রন্ত যে নথি জমা দিয়েছে, তা কার্যকরী নয়। শুনানিতে জানিয়ে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশে বলেন, ১৭ অগাস্ট বোর্ড প্যানেল সক্রান্ত নথি জমা দিয়েছে। কিন্তু যে দশ জনের বিরুদ্ধে প্যানেলে নাম না থাকা সত্বেও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ, তা বোর্ডের আজকের জমা দেওয়া নথি থেকে স্পষ্ট নয়। মোট নম্বর-সহ তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত ব্রেকআপ-সহ কে কত নম্বর পেয়েছে, তা জানতে চায়। তাই এবার মামলারকারীর আইনজীবী ও বোর্ডের আইনজীবীরা এক সঙ্গে পর্ষদের অফিসে বসবেন। প্যানেলে ওই দশ অভিযুক্তর ব্রেকআপ-সহ নম্বর খতিয়ে দেখে যাচাই করবে। দেখা হবে সত্যিই পাস না করে তারা চাকরি পেয়েছে কিনা।'
বিচারপতি জানান, ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডের অফিসে উভয়পক্ষকে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ঠিক কী হয়েছে এদিনের শুনানিতে --
#২০১৪ টেটের ভিত্তিতে যে দুটি নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়েছিল তার মেধাতালিকা আদালতে পেশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
#২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিকের মেধাতালিকা পেশ
#চার ব্যাগ নথি পেশ পর্ষদের
#দু'টি ব্যাগ ২০১৬-র এবং দুটি ব্যাগ ২০২০-র
# নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা পেশ করা হয়নি। তাই এই মুহূর্তে এই তালিকার এই মামলায় কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই: বিচারপতি
# সব নথি পর্ষদে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি।
# যদিও আদালতের নির্দেশ ছাড়া আজকে পেশ করা নথি নষ্ট করা যাবে না: হাইকোর্ট
# এই মামলার সঙ্গে যুক্ত কোন নথিই নষ্ট করা যাবে না: হাইকোর্ট
#গত ১৭ অগাস্ট মেধাতালিকা পেশের জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
# আপাতত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের যে ১০ ঘনিষ্ঠ পাশ না করে চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের নথি যাচাই হবে
# মামলাকারী এবং পর্ষদের আইনজীবীরা পর্ষদের অফিসে বসে এঁদের নথি যাচাই করবেন
# ১৬-ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে
# নথি যাচাই করে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা বানাবেন মামলাকরির আইনজীবীরা। নথি সই করবেন পর্ষদের সচিব
# পরবর্তী শুনানি ২১ শে সেপ্টেম্বর।
এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ১০ জনের মধ্যে ৮ জন সিবিআইয়ের কাছে গিয়েছেন ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। ২ জন আসেনি। এদিন আদালতকে এমনটাই জানায় সিবিআই