গর্ভপাতের (Abortion) ক্ষেত্রে মহিলার বিবাহিত ও অবিবাহিত ফারাক অসাংবিধানিক। দেশের সব নারীর নিরাপদে গর্ভপাতের অধিকার আছে। বৃহস্পতিবার এমন ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আইনি ভাবেই গর্ভাবস্থার (Pregnancy) ২০-২৪ সপ্তাহের মধ্যে অবিবাহিত মহিলারা গর্ভপাত করাতে পারবেন। এই মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট জানান, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইনের সংশোধন প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
অবিবাহিত মহিলারা সন্তান সম্ভবা হলে গর্ভপাত করাতে পারবেন কিনা? এ বিষয়ে প্রশ্ন ছিল। সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে, বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। গর্ভপাতে বৈবাহিক ধর্ষণ-ও ধর্ষণ। এমন মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, 'বিবাহিত মহিলারও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। সম্মতি ছাড়া স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে এক জন মহিলা সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়তে পারেন।
যদিও এদেশে বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেই নিরিখে শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ উল্লেখযোগ্য। এমনটাই মত আইনজ্ঞদের।
প্রসূন গুপ্ত: বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০২৫ অবধি বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়িত্বে থাকতে পারবেন। কার্যত খুশি সৌরভ ভক্তরা বিশেষ করে বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু এখানেই অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে যে দায়িত্বে থাকার অধিকার পেয়েছেন ঠিকই সৌরভ এন্ড কোম্পানি। কিন্তু স্বপদে অর্থাৎ সভাপতির পদে সৌরভ কতদিন থাকতে পারবেন?
প্রথমত বিশ্ব ক্রিকেট বোর্ড বা আইসিসির সভাপতির পদ খালি হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা ওই পদে সৌরভ গাঙ্গুলিকে চাইছেন। পাকিস্তান থেকে নিউজিল্যান্ড চাইছে, সৌরভকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। দু-একটি দেশের আপত্তি থাকলেও সেসব ম্যানেজ করা যাবে বলেই ধারণা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু সৌরভ শেষ পর্যন্ত রাজি হবেন কি? একবার ওই পদে গেলে ফের ফিরে এসে দেশের ক্রিকেটের দায়িত্ব পাওয়া কঠিন। ডালমিয়া ছাড়া আর কেউই ফিরে পাননি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গুরু দায়িত্ব।
দ্বিতীয় সমস্যা ঘরের অন্দরেও। আপাতত বোর্ড সচিব হিসেবে অমিত শাহর পুত্র জয় ২০২৫ অবধি কমিটিতে থাকছেন মহারাজের সঙ্গে। কিন্তু ২০২৫ এর পর ৩ বছর এঁরা কেউই ক্রিকেট বোর্ডের কোনও পদে থাকতে পারবেন না, যাকে প্রশাসনিক পরিভাষায় কুলিং পিরিয়ড বলছে। এমনটাই এটিই ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রশ্ন হচ্ছে ২০২৮ এর আগে জয় আর ফিরতে পারবেন না বোর্ডের কোনও দায়িত্বে। জয় শাহ কি এটা মেনে নেবেন?
ইতিমধ্যে ফুটবল বোর্ডের বা এআইএফেরের সভাপতি হয়েছেন বিজেপি সদস্য কল্যাণ চৌবে। বাইচুং ভুটিয়াকে রীতিমতো হেলায় হারিয়েছেন তিনি। তাই ক্রিকেট পিচে জোর গুঞ্জন বোর্ড সভাপতি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জয় শাহের। সেখানে বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভকে আইসিসি-তে পাঠিয়ে ফাঁকা আসন পূর্ণ করার উদ্যোগ নিতেই পারেন অমিত পুত্র।
২০২৫ অবধি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সভাপতি এবং সচিব হিসেবে থাকছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) এবং জয় শাহ (Jay Shah)। প্রশাসনিকস্তরে কুলিং অফ পিরিয়ড নিয়ে বিসিসিআইকে স্বস্তি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লোঢা কমিটির সুপারিশ মেনে দেওয়া পূর্বতন রায় বুধবার পুনর্বিবেচনা করেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট আগে জানিয়েছিল রাজ্য সংস্থা এবং বোর্ড মিলিয়ে সর্বোচ্চ ছ'বছর প্রশাসনিক পদে থাকা যাবে। তারপর যেতে হবে কুলিং অফ পিরিয়ডে। অর্থাৎ পদ ছাড়তে হবে ক্রীড়া প্রশাসককে।
কিন্তু বুধবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য সংস্থায় ৬ বছর এবং বোর্ডে ছয় বছর অর্থাৎ ১২ বছর প্রশাসক পদে থেকে তারপর কুলিং অফে যাওয়া যাবে। সেই হিসেব ধরলে ২০২৫ পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সভাপতি এবং সচিব পদে বহাল থাকছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহ।
সৌরভ এবং জয় দু'জনেই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার পদে ছিলেন। ২০১৯ সালে সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি হলে ছাড়েন সিএবি-র পদ। ২০১৫ থেকে সিএবি সভাপতি সৌরভ। একইভাবে গুজরাত ক্রিকেট সংস্থার পদেও দীর্ঘদিন ধরে আসীন জয় শাহ। তাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে এই দুয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট পূর্বতন রায়ে স্থির থাকলে পদত্যাগ করতে হবে সৌরভ এবং জয় শাহকে। এই আশঙ্কার মধ্যেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জেরে আরও তিন বছর পদে থেকে গেলেন এই দু'জন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) উপাচার্য পদে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্বহাল খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে (Spureme Court) যাচ্ছে রাজ্য। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায় সামনে আসতেই বৈঠক করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং শিক্ষামন্ত্রী। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice Chancellor) রাখতে শীর্ষ আদালতে দরবার করবে তাঁরা।
এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় দফার নিয়োগ অবৈধ। মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানোর নির্দেশ আদালতের।
২০২১ সালের ২৭ অগাস্ট তাকে পুনরায় উপাচার্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা দফতর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সিদ্ধান্ত খারিজ করলো হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় উপাচার্য হিসেবে সোনালীদেবীর পুণরায় নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তাঁর অভিযোগ, 'নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনে দ্বিতীয় দফায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় বহাল করা হয়নি। এই নিয়োগ নিয়ে অজ্ঞাত রাজ্যপালও।'
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবী তাঁদের মতো করে যুক্তি সাজানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু মামলাকারীদের যুক্তি এবং তথ্য-প্রমাণকে মান্যতা দিয়ে পুনরায় নিয়োগ খারিজ করে মহামান্য আদালত।
তৃণমূলের ১৯ রাজনীতিবিদের সম্পত্তি নিয়ে মামলায় দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা হাইকোর্টে দায়ের মামলার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যান। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল এবং সুহান মুখোপাধ্যায়। সেই শুনানিতেই স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চ। ফলে বড়সড় স্বস্তি তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর।
এই মামলা ৫ বছরের পুরনো হলেও কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি ওই মামলায় ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে ছিল সেই মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টের ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়ায়, আপাতত ওই মামলায় কোনও শুনানি করা যাবে না।
এদিকে, যে ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন--
ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, অমিত মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,মলয় ঘটক, শিউলি সাহা, অরূপ রায়,সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বর্ণকমল সাহা, জাভেদ খান, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ। এছাড়াও নাম রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিংয়ের। যাদের মধ্যে একজন বিজেপির টিকিটে লোকসভায় জিতে একুশের ভোটের পরে তৃণমূলে ফিরেছেন। অপরজন আপাতত রাজনীতিতে সক্রিয়। এঁদের পাশাপাশি প্রয়াত দুই নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডেরও নাম রয়েছে তালিকায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাও রয়েছেন সেই তালিকায়।
অভিযোগ, ২০১১ সালের পর অর্থাৎ তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এসব নেতাদের সম্পত্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শীর্ষ আদালতে তৃণমূল দাবি করেছে, ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবারের পর সোমবারেও সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল শীর্ষ আদালত। ইডির দায়ের করা মামলায় প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের বেঞ্চের নির্দেশ, 'চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না ইডি।'
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে অভিষেকের রক্ষা কবচ সোমবার অবধি বাড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার সেই রক্ষাকবচ বাড়ল ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি। এদিন সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শুক্রবার যখন সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দেয়, তখন তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির ডাকেই হাজিরায় দিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি ইডি দফতর থেকে বেড়িয়ে আসেন। তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
তিনি বলেন, 'এর আগে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল, এবার আদালতের নির্দেশে কলকাতায় ডেকেছে। এটা আমার নৈতিক জয়। আমি সমনের চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। যদিও সংবাদ মাধ্যম আগেও খবরটা করেছে। বিজেপির একমাত্র পথের কাঁটা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারছে না। তাই বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে তদন্তে সহযোগিতা করব, তিন বার কেন ৩০ বার ডাকলেও আসব। আমার স্ত্রীকেও তিন বার তলব করা হয়েছে। আগেও যে কথা বলেছি, আজকেও বলছি যদি ৫ পয়সাও নিয়ে থাকি প্রমাণ হয়, তাহলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রাখবেন, ফাঁসিকাঠে ঝুলবো। কিন্তু প্রমাণ করুন পাঁচ পয়সা নিয়েছি।'
তিনি জানান, ইডি-সিবিআই জুজু দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা নত করার মতো ছেলে নই। দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ কী আমরা জানি। অনেক বাঙালির রক্তের বিনিময়ে দেশে স্বাধীনতা এসেছে। তাই আগের নিজের ছেলেকে দেশপ্রেমের পাঠ শেখান। আপনার ছেলে বিসিসিআইয়ের সচিব হয়েও দেশের পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেছেন। এভাবেই অমিত শাহকেও নিশানা বানান অভিষেক।
সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার বড়সড় ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত জায়গা কলকাতা হাইকোর্ট। এই মন্তব্য করে শুভেন্দুর আবেদন ফেরালো শীর্ষ আদালত। নন্দীগ্রামের বিধানসভা ভোট গণনাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তরের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে হাইকোর্টেই মামলা ফেরাল শীর্ষ আদালত। এরপরেই পিটিশন প্রত্যাহার করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনে SC আদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। তিনি পিটিশন প্রত্যাহার করেন।
শুভেন্দুর নির্বাচনকে কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। সুভেন্দু দাবি করেছিলেন যে বিষয়টি অন্য কোনও হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হোক।
দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিলেন উদয় উমেশ ললিত (Justice UU Lalit)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi), উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর এবং বিচারপতি ললিতের পরিবার। স্বল্প সময়ের এই অনুষ্ঠানে বিচারপতি উদয় ইউ ললিতকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। জানা গিয়েছে, মাত্র তিন মাস অর্থাৎ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন বিচারপতি ললিত।
প্রথা অনুযায়ী বিদায়ী প্রধান বিচারপতি তাঁর উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করে যান। সেই মোতাবেক বিচারপতি ইউইউ ললিতের নাম শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আইন মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব করেন বিচারপতি এনভি রামান্না। দেশের সদ্যনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি প্রথম ব্যক্তি, যিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থেকে বিচারপতি এবং পরে প্রধান বিচারপতি হলেন। এর আগে বিচারপতি এসএম সিকরি শীর্ষ আদালতের আইনজীবী থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং পরে প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাম জন্মভূমি মামলা সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ নিষ্পত্তি করেছে, সেই সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি ললিত। এই বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে ২০১৯-র ১০ জানুয়ারি, এই মামলার চূড়ান্ত শুনানির আগেই নিজেকে রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলা থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ললিত।
সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত প্রশাসক কমিটি (COA) সরতেই ভারতীয় ফুটবলের (AIFF) উপর থেকে নির্বাসন তুলে নিল ফিফা (FIFA)। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের এই নিয়ামক সংস্থা। অর্থাৎ ভারতে আয়োজিত হতে চলা অনূর্ধ্ব-১৭ (U-17 Womens World Cup) মহিলা বিশ্বকাপের আর কোনও বাধা রইল না। প্রায় ১১ দিন পর উঠল ফিফার এই নির্বাসন। এই খবরে স্পষ্টতই স্বস্তিতে ফুটবলপ্রেমী বাঙালিরা।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ১৫ অগস্ট ভারতীয় সময় মধ্য রাতে এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করেছিল ফিফা। ভারতীয় ফুটবল সংস্থা বা AIFF-র কাজে ‘তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশের’ অভিযোগ তুলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এআইএফএফ-কে পাঠানো চিঠিতে ফিফা জানিয়ে দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত প্রশাসক কমিটিকে (সিওএ) অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। দ্রুত নির্বাচন করতে হবে। এরপরেই শুরু হয়েছিল কূটনৈতিক পর্যায়ের দৌত্য।
তড়িঘড়ি শীর্ষ আদালতে আবেদন করে দেশের সলিসিটির জেনারেল। কোর্ট নিয়োজিত প্রশাসক কমিটি তুলতে আবেদন করে মোদী সরকার। সেই আবেদনের শুনানিতে সোমবার সিওএ-কে সরিয়ে দেয়। পাশাপাশি তীব্র কটাক্ষ করে AIFF-র প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলকে।
এরপরেই এআইএফএফ-র ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সুনন্দ ধরের হাতে। পাশাপাশি, ফিফা এবং এএফসির নির্দেশ মেনে চলার কথা বলা হয়। গোটা ঘটনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লিখিত আকারে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ জানিয়ে দেওয়া হয় ফিফাকে।
কেন্দ্রের আবেদনকেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার প্রশাসক কমিটি (সিওএ) (Committee of Administrators) ভেঙে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যাকে এই বছরের শুরুতে এআইএফএফ-এর কাজকর্মের তত্ত্বাবধানের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (All India Football Federation) এর নির্বাচনও (postponed election) এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অগাস্টের শেষ সপ্তাহের বদলে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, এআইএফএফ-এর জেনারেল সেক্রেটারি প্রতিদিনের কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন। এআইএফএফ-এর সভাপতি, সহ সভাপতি কোষাধ্যক্ষ-সহ ২৩ সদস্য থাকবেন। যার সদস্য হবেন ৬ জন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়।
তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে ফিফা ১৫ আগস্ট এআইএফএফ-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এবং বলেছিল যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ভারতের পক্ষে U17 মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন করা সম্ভব হবে না। শীর্ষ আদালত এআইএফএফ-এর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুনান্দো ধরকে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
৩রা অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসক কমিটির অধীনে এআইএফএফ-এর নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছিল ২৮শে অগাস্ট। ৩৬ জন বিশিষ্ট খেলোয়াড়কে ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছিল। কিন্তু ফিফা, যেটি স্বতন্ত্র সদস্যদের ইলেক্টোরাল কলেজ গঠনের পক্ষে ছিল না, ১৫ আগস্ট ভারতীয় ফুটবল দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
আজ সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে সলিসিটার জেনারেল বলেন, "আমাদের দেশের ফুটবলারা খেলার সুযোগ পাবেন না। আমরা দেশে বিশ্বকাপের সুযোগ হারাতে পারি। আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফিফা।" একটি বিশদ আদেশে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূদের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চও ২৮ অগাস্ট এআইএফএফ-এর নির্বাচন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে। যাতে পরিবর্তিত ইলেক্টোরাল কলেজ এবং নতুন নিয়ম মেনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে যে "এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন বিষয়গুলি একচেটিয়াভাবে মহাসচিব দ্বারা দেখা হবে। মহাসচিব দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রশাসক কমিটির অস্তিত্ব বন্ধ হয়ে যাবে। প্রশাসক কমিটি ইতিমধ্যেই খসড়া সংবিধানের সারণি সহ জমা দিয়েছে।
এরই মাঝে আদালতে আবেদন করেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া। তাঁর দাবি ছিল, পুরনো খসড়া প্রস্তাবের মতই তাঁদের মনোনয়নও যেন গৃহীত হয । তবে তা হবে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। ভাইচুং তাঁর আবেদনে এও জানিয়েছেন, প্রাক্তন ফুটবলারদেরও কমিটিতে থাকা জরুরি।
ভারতীয় ফুটবলে বা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনেকে কবে শুনেছেন যে নির্বাচন করে সভাপতি ঠিক করেছে। ফেডারেশন কিন্তু একসময় দাবি করতো, সবকিছু নিয়মমাফিক হয়ে থাকে। যদি তাই হবে তবে বিষয়টি শীর্ষ আদালত অবধি গেলো কেন? আদালত কার্যকরী কমিটি বাতিল করে সাময়িক তদারকি কমিটি গড়ে দিলো কেন? এরকম সাময়িক কমিটি দেখে বিশ্ব ফুটবল বা ফিফা কেনইবা ভারতীয় ফুটবলকে ব্যান করলো? এরকম প্রশ্ন অনেকের?
কিন্তু এখন বিপাকে পরে দ্রুত নির্বাচন এনে একটা স্থায়িত্ব আনার চেষ্টা চলেছে এআইএফএফ-র অন্দরে। সভাপতি পদে ইতিমধ্যে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পাহাড়ি বিছে বাইচুং ভুটিয়া। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা যেতে পারে কলকাতার দুই বড় ক্লাবে গোলরক্ষক থাকা কল্যাণ চৌবেকে। কল্যাণ আবার বর্তমানে বিজেপির অন্যতম পরিচিত মুখ।
যদিও প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি বা প্রফুল প্যাটেল দীর্ঘদিন এআইএফএফের দায়িত্বে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রে রাজনীতির পটপরিবর্তন হলেও ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে কোনও রাজনৈতিক দল এর আগে মাথা ঘামায়নি। যদিও প্রিয় বা প্রফুল কেউই প্রাক্তন ফুটবলার ছিলেন না বরং রাজনীতির নেতাই ছিলেন।
এবারে কিন্তু নতুন কমিটি করতে নির্বাচন আসছে এবং এই নির্বাচন অনেকটাই দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক পটভূমিকায়। যত দ্রুত একটি স্থায়ী কমিটি হবে তত দ্রুতই ফিফা ভারতীয় ফুটবল থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে বলেই খবর। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা কোনওভাবেই আদালত অনুমোদিত অস্থায়ী কমিটি মানবে না। কাজেই দ্রুত নির্বাচন আসছে নতুন সভাপতি গড়তে। সাধারণত এআইএফএফ বা বিসিসিআইয়ের মতো সংস্থায় সভাপতির ক্ষমতা অসীম। তিনি বাকি পদগুলির ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিষয়টি কিন্তু এবার আর সাধারণ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে নেই।
একদিকে পদপ্রার্থী ভারতের সর্বকালের সেরা ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া, অন্যদিকে প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে। শোনা যাচ্ছিল, মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের বড় ভাই অজিত বন্দ্যেপাধ্যায়ও প্রার্থী হতে পারেন। বাইচুংয়ের পিছনে রয়েছে সারা ভারতের আবেগ, যদিও ভোট তো আর সাধারণ জনতা দেবে না, দেবে নানা রাজ্যের ফুটবল কমিটির সদস্যরা। কল্যাণ সেরকম বড় মাপের খেলোয়াড় না থাকলেও ইস্ট-মোহনে খেলেছেন। তিনি মোহনবাগানের প্রয়াত সম্পাদক অঞ্জন মিত্রর জামাইও বটে। কিন্তু এটাই তাঁর বড় পরিচয় নয়। তিনি বিজেপির সদস্য তথা গত লোকসভা ও বিধানসভায় প্রার্থীও হয়েছেন পদ্ম প্রতীকে। জানা যাচ্ছে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন মোদী-শাহর গুজরাত থেকে। স্বাভাবিক ভাবে বলে দেওয়া যায় তাঁকে জিতিয়ে আনার প্রয়াস জারি থাকবে। এবার তবে ভারতীয় ফুটবলে স্থায়িত্ব আনতে বাইচুংয়ের বাই-সাইকেল কিক না কল্যাণের পাঞ্জা? কীসে ভরসা, তা সময়ের অপেক্ষা।
ভারতীয় ফুটবল সংস্থা বা এআইএফএফ-র উপর থেকে ফিফার নির্বাসন তুলতে ইতিমধ্যে দৌত্য শুরু করেছে কেন্দ্র। খুব দ্রুত বেরোবে সমাধানসূত্র। সুপ্রিম কোর্টকে বুধবার এই তথ্য দিলেন দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। কেন্দ্রের এই অবস্থানে সন্তুষ্ট শীর্ষ আদালত আগামি সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে শুনানি। ভারতীয় ফুটবলের সঙ্কট কাটাতে সুপ্রিম কোর্টে দরবার করেছিল মোদী সরকার। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। সেই শুনানিই সোমবার পর্যন্ত স্থগিত রাখলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। মঙ্গলবারই ফিফার সঙ্গে দু'দফায় কথা হয়েছে। কিছুটা হলেও বরফ গলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি এই সঙ্কট মিটে যাবে।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভারতীয় ফুটবল সংস্থার উপর থেকে কী ভাবে নির্বাসন উঠবে! কারণ, এআইএফএফ নির্বাসিত হওয়ার পরে ভারতে মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ময়দানের আরও একটি সূত্র বলছে, বিশ বাঁও জলে এটিকে মোহনবাগানের এএফসি কাপের ভবিষ্যৎ। যদিও সলিসিটর জেনারেলের এদিনের দাবিতে কোর্ট মনে করেছে, সঠিক পথেই এগোচ্ছে কেন্দ্রের সরকার।
তাই সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রকে আরও কয়েক দিন সময় দিতে চাইছেন তাঁরা। তাই শুনানি পাঁচ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বারবার সিবিআই হাজিরা এড়াচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কেন্দ্রীয় সংস্থার (CBI) সমন বারবার এড়ানোয় এবার গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। এই আশঙ্কায় আগেভাগেই রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল। শারীরিক অসুস্থতা কারণ দেখিয়ে এই আবেদন করতে চলেছেন রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডল। সূত্রের খবর, সিবিআই তাঁকে জেরা করতে পারে, কিন্তু কোনওভাবেই যাতে গ্রেফতার না করে। এই আবেদনই শীর্ষ আদালতের কাছে রাখছেন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিকে, তৃণমূল নেতাকে জমি ছাড়তে নারাজ সিবিআই। আইনি পথে তাঁকে আরও কোণঠাসা করতে কোমর বাঁধছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করছে সিবিআই। সেই ক্যাভিয়েটে সিবিআই অভিযোগ করবে, তদন্তে অসহযোগিতার করছেন তৃণমূল নেতা। তাই যাতে একপক্ষ শুনে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যাতে কোনও নির্দেশ না দেয়।
অপরদিকে, চিকিৎসার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে চেন্নাই যাওয়ার পরামর্শ দিলেন শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের পরিচালন সভাপতি মলয় পিট। দেশের বিখ্যাত সার্জেন জে এস রাজকুমারের কাছে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও এই পরামর্শের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরে পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত মণ্ডল। কোথায় সেটা অপারেশন করলে ভালো হয়, তার আলোচনার জন্য শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের সভাপতি মলয় পিটকে বাড়িতে ডেকে পাঠান অনুব্রত। তখনই এই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এমনকি বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা চাইলে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন মলয়বাবু।
ভীমা কোরেগাঁও মামলায় (Bhima Koregaon) সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন অশীতিপর সমাজকর্মী ভারভারা রাও (Varvara Rao)। বুধবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) বিচারপতি ইউইউ ললিত তাঁর রায়ে জানান, আশা করব এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করবেন না সমাজকর্মী। জানা গিয়েছে শারীরিক কারণে মঞ্জুর হয়েছে তাঁর জামিন। বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই সমাজকর্মী। হাইকোর্ট ভারাভারার শারীরিক কারণে পাওয়া স্থায়ী জামিন খারিজ করেছিল।
ভারাভারার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৭-এর ৩১ ডিসেম্বর পুণের এলগার পরিষদ সমাবেশে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে পরদিন কোরেগাঁও-ভীমা যুদ্ধ স্মারকের কাছে হিংসা সংঘটিত হয়েছিল। পুণে পুলিসের অভিযোগ ছিল, এই সমাবেশ সংগঠনে যুক্ত ছিল মাওবাদীরা। পরে এই ঘটনার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। ২০১৮-এর ৮ জানুয়ারি ভারাভারার বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করে পুলিস। সেই বছর ২৮ অগস্ট হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ভারাভারাকে।