
অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআই-কে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চ সিবিআইকে ওই নোটিস জারি করে।
গরুপাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের।
বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআই-কে নোটিস জারি করার নির্দেশ দেন। তদন্ত কোন পর্যায় আছে, তা জানা দরকার বলেও মনে করেন বিচারপতি। তারপরই জামিনের আবেদন বিবেচনাও করা হবে। এমনই জানিয়েছেন তিনি।
'শিক্ষা ব্যাবস্থা ব্যক্তিগত অহংয়ের জায়গা নয়,' রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। বাংলার উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে এবার নয়া মোড়। এবার নিয়োগ জট মেটাতে সার্চ কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল, ইউজিসি-কে নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই নামের প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের শুনানিতে বিচারপতিরা রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, যদি আদালত একটি সার্চ কমিটি গঠন করতে চায়, তাহলে তাঁদের কী বক্তব্য। রাজ্য সরকারের তরফে একটি আবেদন করা হয়, তাহলে কমিটিতে কে কে থাকবেন, সেই দায়িত্বও আদালত যেন নেয়। আদালতই দায়িত্ব নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করে দিক।
রাজ্যপাল ও UGC-র তরফ থেকেও আইনজীবীরা জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট তিন পক্ষকেই বলে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি তৈরির জন্য তিন থেকে পাঁচ জন বিশেষজ্ঞের প্রস্তাবিত নামের তালিকা তৈরি করতে। সেই প্যানেল থেকেই বিশেষজ্ঞদের কমিটি তৈরি করবে শীর্ষ আদালত। তার ভিত্তিতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে। একটি সার্চ কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট।
মূলত রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এই সার্চ কমিটি। অর্থাৎ উপাচার্য নিয়োগে পুরো রাশ নিজের হাতে নিল শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, এর আগের শুনানিতে আদালত স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল, রাজ্যপাল অর্থাৎ চ্যান্সেলর, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিক্ষামন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে। শুক্রবারের শুনানিতে সেই বিষয়টি আবার উত্থাপিত হয়। আদালত এদিনও জানতে চায়, আদৌ রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল এই ধরনের কোনও আলোচনায় বসেছিল কিনা।
পিছিয়ে গেল গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি মামলা। সিবিআই-এর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। এর আগে নিম্ন আদালত এবং দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন তাঁর খারিজ হয়ে যায়। শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদির এজলাসে শুনানি তালিকাভুক্ত ছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।
বারবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনেরর মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, যে কোনও মূল্যে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জেলে রয়েছেন। সিবিআই-এর আইনজীবী অবশ্য বারবারই অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করেছিলেন। সিবিআই-এর বরাবরই বক্তব্য, ‘উনি ভীষণই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই সময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’
এর আগে অনুব্রতর সিবিআই- বিশেষ আদালত, দিল্লি হাইকোর্টেও অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। সিবিআই-এর বিশেষ আদালত অনুব্রতর আর্জিই সেভাবে শোনেনি।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত বছরের অগস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। তারপর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। বর্তমানে তিহাড় জেলেই রয়েছেন তিনি। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও বর্তমানে জেলেই। তিনিও জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদনও চার মাস পিছিয়ে যায়। তাঁর জামিনের আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার তদন্ত এখন বাংলা থেকে সরে দিল্লিতে গিয়েছে। আসানসোল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত থেকে সরে মামলা গিয়েছে দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। গরু পাচার মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর্থিক দুর্নীতি মামলাও। ৪৪/১ সি ধারায় স্থানান্তরের আবেদন করে ইডি। তাতে নিম্ন আদালতের বিচারক সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারপরই মামলা সরে দিল্লিতে।
সুপ্রিম কোর্টের থেকে নির্দেশ পেয়ে রাজ্যের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আদাজল খেয়ে নেমেছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই তদন্তে বৃহস্পতিবার হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই ব্যাপারে তাঁকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি।
সল্টলেকে থেকে গ্রেফতার অয়ন শীলকে জেরা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানতে পেরেছিল, রাজ্যের ১৫টির বেশি পুরসভায় নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল ইডি এবং সিবিআই। সম্প্রতি এই তাদেরই এই তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই এই দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের প্রথম মন্ত্রী হিসাবে তলব করা হয়েছিল সুজিত বসুকে। সিবিআইয়ের দাবি, অনেক আগে থেকেই রাজ্যের মন্ত্রীকে এই ব্যাপারে নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদি তিনি না আসেন পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ করা হবে তা পরে বিবেচনা করে দেখা হবে।
নারীদের (Women) সম্মানার্থে এবারে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টে মহিলাদের সম্পর্কে প্রায়ই একাধিক 'আপত্তিকর শব্দ' ব্য়বহার করা হয়, ফলে সেই বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করেই একটি নির্দেশিকা দিল সুপ্রিম কোর্ট। 'হ্যান্ডবুক অন কমব্যাটিং জেন্ডার স্টিরিওটাইপস' (Handbook on combating Gender Stereotypes) অর্থাৎ মহিলাদের সম্পর্কে চিরাচরিত বা প্রচলিত ধারণা প্রতিরোধের জন্য এক হ্যান্ডবুক প্রকাশ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেখানে প্রায় ১০০টির বেশি শব্দ চিহ্নিত করা হয়েছে ও এগুলোর পরিবর্তে কোন শব্দ বা প্রবাদ বলা যেতে পারে, তার উল্লেখও করা হয়েছে হ্যান্ডবুকে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হ্যান্ডবুক প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আদালতের রায়ে সচরাচর মহিলাদের বিষয়ে কিছু কিছু শব্দ প্রয়োগ অনুচিত। ফলে সেইসব আপত্তিকর শব্দের পরিবর্তে কিছু অন্য শব্দই এখন থেকে আদালতে ব্যবহার করা হবে। এই হ্যান্ডবুকের উদ্দেশ্যই হল মহিলাদের প্রতি সম্মান বা সংবেদশীলতা বজায় রাখা। যেমন- এখন থেকে আদালতে কোনও রায়দানে মহিলাদের 'হাউসওয়াইফ' বলা যাবে না, এর বদলে বলতে হবে 'হাউসমেকার'। আবার 'প্রস্টিটিউট' বদলে বলতে হবে 'সেক্স ওয়ার্কার'।
কলকাতা হাই কোর্টের তিন বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্ট। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট দেশের হাই কোর্টগুলির ২৫ জন বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করেন। তার মধ্যে ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের তিন বিচারপতি। এই তালিকায় আছেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শীর্ষ আদালতের সুপারিশ অনুযায়ী, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীকে পটনা হাই কোর্ট, বিচারপতি শেখার ববি সরাফকে এলাহাবাদ হাই কোর্ট ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এলাহাবাদ থেকে এক বিচারপতিকে কলকাতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তকে কলকাতায় বদলির সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি ভবনের থেকে জারি করা হয়েছিল প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মণিপুরে (Manipur Violence) ‘আইনের শাসনের প্রতি বিশ্বাস' ফেরাতে নানা চেষ্টা চলেছে। এবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার মণিপুরের হিংসা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। সেখানে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজের তদারকির জন্য প্রাক্তন বিচারপতিদের (তিন জনই মহিলা) নিয়ে একটি কমিটি গড়ল সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়াও মণিপুরে পাঠানো হবে ৪২টি স্পেশ্যাল ইনভেস্টেগেশন টিম তথা 'সিট'।
মণিপুরের বিভিন্ন হিংসার ঘটনার তদন্ত, ত্রাণের কাজ, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং বিভিন্ন ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানের পুননির্মাণের মতো মানবিক কাজগুলি পর্যালোচনার জন্য প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের গড়া কমিটিতে রয়েছে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত তিন মহিলা বিচারপতি। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল। এছাড়া কমিটিতে থাকছেন বম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শালিনী ফাঁসালার জোশী এবং দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আশা মেনন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মণিপুরের জনগণের আস্থা বাড়ানোর জন্যই তাদের চেষ্টা। তিনি বলেছেন, ১১ টি এফআইআর সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেবে যাতে তদন্তকারী দলে ৫ জন আধিকারিককে ডিএসপি বা এসপি পদমর্যাদার হতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, এই অফিসারদের অন্য রাজ্যের হতে হবে, তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলবেন। প্রধান বিচারপতি আরও বলেছেন রাজ্য সরকার ৪২ টি সিট তৈরির কথা বলেছে। সুপ্রিম কোর্ট চায় প্রতিটি সিটের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে একজন পরিদর্শক থাকা উচিত, যিনি অন্য রাজ্যের আধিকারিক হবেন। এছাড়াও অন্য রাজ্য থেকে ডিএজি পদমর্যাদার ৬ জন আধিকারিক থাকা উচিত, যাঁরা ওই ৪২ টি সিটের কাজের তত্ত্বাবধান করবেন।
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যেপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এক্রিয়ারের বাইরে গিয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এবার একই অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাজ্য-রাজনীতিতে রাজভবন বনাম রাজ্যের সংঘাতে এই ঘটনা নয়া মোড়। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি অভিযোগ করেছেন, উপাচার্য নিয়োগে কোনও আইন মানছেন না সিভি আনন্দ বোস। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন গৃহীত হয়েছে। এ নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত কী বলে সে দিকেই আগামী দিনে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে, তাঁর নিয়োগ করা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মাস খানেক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অমিতাভ দত্ত। কিন্তু তিনি প্রাপ্য সমস্ত সুবিধা নিচ্ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে। একই দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপর শুক্রবার তাঁকে আচমকা উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তবে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা জানা যায়নি।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ মামলায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। 'মোদি' পদবী নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুরাত আদালতে একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় সাংসদ রাহুল গান্ধী। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পর লোকসভা কর্তৃক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তার সংসদ পদ খারিজ করা হয়। এবার ওই মামলায় সুরাত আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আপাতত লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বস্তিতে থাকবে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, মোদি পদবী নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করায় সুরাট আদালতে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সুরাত আদালত তাঁকে দু বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয। সুরাত আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাহুল গান্ধী। যদিও সেখানে সুরাত আদালতের রায় বহাল থাকে। এরপর সংসদ পদ বাঁচাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধী দল নেতা রাহুল গান্ধী। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক পর্যায়ে সুরাট আদালতের এই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের কথা জানিয়েও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ তাঁর বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মানিকের জামিনের আর্জি জানানো হয়নি। আপাতত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক। পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত মামলার তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এ বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি হবে না আপাতত।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এই মুহূর্তে জেলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বারবার জামিন খারিজ হচ্ছে তাঁর। এমনকী মানিক ভট্টাচার্য স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য প্রস্তুত। তারপর এই মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান তাঁরা। বিচারক ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মানিক সংক্রান্ত মামলায় তাঁদের তদন্ত শেষ হয়েছে কি না। এর কিছু সময় পরেই দেখা যায়, আদালতে ইডি-র পক্ষ থেকে একটি নথি পেশ করা হয়। কিন্তু তা পেশ করার আগেই তারা আদালতকে জানায়, চার্জ গঠনের আবেদন তারা করছে না।
জোড়া স্বস্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি হয়েছিল। এবার ইডিকে সেই নোটিস তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত বলেছে, বিদেশযাত্রার সাত দিন আগে ইডির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় কিসন কউল ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ইডির হয়ে সওয়াল করেন।
গত সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে, তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানো উচিত নয়। এমনই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই চোখের চিকিৎসা করাতে দুবাই যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডাকা যাবে না। এক মামলার শুনানিতে এই নির্দেশই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়োজনে ইডি আধিকারিকদের কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি যে অন্য শহরে ডেকে পাঠাচ্ছে তা নিয়ে আপত্তি তুলে মামলা করেছিলেন অভিষেক রুজিরা। যদিও এই মামলার শুনানি শেষে দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ইডি ডাকলে দিল্লি যেতেই হবে অভিষেক ও রুজিরাকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁরা। আগেই সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। শুক্রবার সেই স্থগিতাদেশই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।
২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি হিমা কুহেলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এর ফলে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকছে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রশিক্ষিতরা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না।
২০১৭ সালের প্রশিক্ষিত চাকরী প্রার্থীরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। তারপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত থাকবে।
মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ মণিপুর সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। আদালতের হুঁশিয়ারি, সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করবে। এদিকে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, অপরাধীদের যাতে মৃত্যুদণ্ড হয় তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাতে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মণিপুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। দেখা যায় দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানো হচ্ছে (যদিও সিএন-ডিজিটাল ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। অভিযোগ, ওই দুই মহিলাকে গণধর্ষণও করা হয়।
ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই বৃহস্পতিবার সকালে তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, সভ্য সমাজের জন্য ওই ঘটনা নিন্দাজনক। অন্যদিকে মেইতেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেই ওই নিন্দাজনক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।
কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) চিঠি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। 'সুপ্রিম' রক্ষাকবচ পেলেন না তৃণমূল সাংসদ। সিবিআইয়ের মতো ইডিও জেরা করতে পারবে অভিষেককে। সোমবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপই করতে চাইল না শীর্ষ আদালত।
কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট অভিষেককে জেরার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন অভিষেক। এদিন সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, হাই কোর্টের একক বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল তাতে হস্তক্ষেপ করলে তদন্তে বাধা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আদালত এ ব্যাপারে নাক গলাবে না। তবে, অভিষেককে যে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, তা তৃণমূল নেতাকে দিতে হবে না বলে জানিয়েছে আদালত। এদিকে, অভিষেক-রুজিরার বিদেশ যাত্রার অনুমতির মামলা শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষ চিঠি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ইডি এবং সিবিআই চাইলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় মামলা। ওই মামলা সরিয়ে দেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে। তারপর সেই মামলা আবার হাইকোর্টেই ফিরে আসে। বদলে যায় বিচারপতির এজলাস।
মামলাটি যায় বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে। তবে তাতেও সুরাহা হয়নি অভিষেকের। ইডি এবং সিবিআইয়ের জেরার হাত থেকে কোনওরকম রক্ষাকবচ পাননি। উল্টে জরিমানা করা হয় অভিষেক ও কুন্তলকে। পরে ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক। শীর্ষ আদালতে জরিমানার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। কিন্তু, আদালত জানিয়েছিল, অভিষেককে জেরা করতে পারবে সিবিআই। এবার ইডি-কেও অভিষেককে জেরার ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট।
৩২ হাজার প্রাথমিক চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ (suspension) দিল সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছে। কয়েকমাস আগে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পরে বদল করে ৩২ হাজার করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি চার মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেখানে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, ওই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে কাজ করতে হবে না। তাঁরা যেমন নিযুক্ত ছিলেন তেমনই থাকবেন। তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
এর পর হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ। সেখানে বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী এবং কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দেয়।