আবারও উত্তপ্ত সন্দেশখালি। সন্দেশখালি থানার সামনে থেকে সুকান্ত মজুমদারকে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দিল পুলিস। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদেরও। তাদেরকে সন্দেশখালি ঘাট থেকে জোর করে লঞ্চে তোলা হয়। পুলিসের সঙ্গে সংঘাত থেকে শুরু হয় ধস্তাধস্তি বিজেপি নেতাদের।
বৃহস্পতিবার অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছয় সুকান্ত। প্রথমে বাধার মুখে পড়লেও পরে বাধা বিপত্তি এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত জেলবন্দি বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহের বাড়িতে যান তিনি। সেখান থেকেই সন্দেশখালি থানায় যেতে শুরু ধুন্ধুমার কাণ্ড। তারপর পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতার করা হয় সুকান্তকে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্য়েই PR বন্ডে তাঁকে জামিন করানো হয়।
সুকান্ত অসুস্থ থাকলেও সন্দেশখালি কাণ্ডে ঝাঁঝ বাড়াতে মরিয়া বিজেপি। বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিসি বাধার মুখে পড়ে অসুস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অসুস্থ সুকান্তকে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সল্টলেক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। ওদিকে এরপর আজ বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি কাণ্ডে বসিরহাটএসপি অফিস ঘেরাওয়ের জন্য রওনা দিয়েছে শুভেন্দু। সূত্রের খবর আজও তাঁকে পথেই আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ। যেমনটা গত মঙ্গলবার হয়েছিল। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে রীতিমত বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও বাতিল করতে হয় শুভেন্দুকে।
ওদিকে সুকান্তর মাথায় ও কোমরে চোট রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। অসুস্থ সুকান্তকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে তিনি সুকান্তর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় তিনি জানান, আমি এখনও কোনও রিপোর্ট পেশ করিনি। রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট চেয়েছি, সেটি দেখে কেন্দ্রকে পাঠাব। পরে হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সন্দেশখালির পথে 'দাবাং মোডে' সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাট স্টেশন থেকে বাইকে করে এসপি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিসি বাধা এড়াতে সুকান্তর এই ফন্দি। এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি সমর্থকরাও সন্দেশখালির পথে এগিয়ে যান।
হৃদয়পুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বসিরহাট যান সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে লোকাল ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়ি করে যেতে গেলে পুলিসের বাধা আসতো। এরফলে যানজট তৈরি হত। যদিও বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
সন্দেশখালিতে যে নৈরাজকতার শাসন এতদিন ধরে চলছিল, তার তীব্র ধিক্কার জানান সুকান্ত মজুমদার। নারীদের অসম্মান। নারীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ ও বেআইনি জমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির আজ, মঙ্গলবার এই অভিযান বলে জানান তিনি।
সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) 'স্বামী বিবেকানন্দ'কে নিয়ে মন্তব্যের কারণে বিতর্ক তুঙ্গে। ফলে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রাজ্যের শাসকদল। অমিত শাহ-সুকান্ত মজুমদারের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করে শাসকদলের নেতারা। এদিন মিছিল করে, ফুটবল খেলে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের।
রবিবার ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হয় লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। এই অনুষ্ঠান শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ঘিরে সরব তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, সুকান্ত স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। পবিত্র গীতাপাঠের আসরে দাঁড়িয়ে কুৎসিত রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেছেন এবং সেটা করতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দকে অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আর এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতার পথে প্রতিবাদে নামে যুব তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'বাংলা বহু যুগ ধরে সনাতন সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক। পশ্চিমবঙ্গ একটা সময় ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল।' এরপরেই তিনি জুড়েছিলেন, 'গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভালো, যাঁরা বলছেন তারা বামপন্থী প্রোডাক্ট।'
শাসকের প্রতিবাদ, সুকান্ত মজুমদার এভাবে ভারতবর্ষে যুবশক্তির ধারককে অপমান করতে পারেন না। মঙ্গলবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে পদযাত্রা হাতিবাগান এবং হেদুয়া হয়ে শেষ হয় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে। মিছিলে উপস্থিত যুব তৃণমূলের অনেক সদস্য। ছিলেন সৌম্য বক্সী, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ-সহ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর একটি মিছিল হয় ভবানীপুরে। এদিকে যখন তৃণমূল বিজেপিকে ধিক্কার জানাতে পথে নেমেছে তখনই এই দিনই বঙ্গ সফরে জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। বিবেকানন্দকে নিয়ে কটুক্তি করায় ক্ষমা চাইতে হবে সুকান্ত মজুমদারকে এই দাবি তুলে ধিক্কার দেন শাসকদলের নেতৃত্বরা।
এদিন পথে নেমে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি সায়নী ঘোষের নেতৃত্বে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য তার লজ্জা পাওয়া উচিত। বাংলার মনীষীদের সম্পর্কে এই ধরণের কটুক্তি করে নিজেদের জায়গাটাই বাংলার মাটিতে নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে বলে বিজেপিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী।
এদিকে সুকান্তর বিরুদ্ধে যখন সুর চড়িয়েছে শাসকদল, তখন সুকান্ত মজুমদারও টুইটে সাফ জানান, স্বামীজি রাজনীতির ঊর্দ্ধে। তিনি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে টুইটে উল্লেখ করেন, স্বামীজির মূর্তির হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ধরানোর প্রয়োজন নেই। বিজেপির মৃল আদর্শের মধ্যেই রয়েছেন স্বামীজি। সুতরাং চোরেদের জ্ঞান বাণী নিষ্প্রোয়োজন।
বছর ঘুরলেই চব্বিশের মহারণ। তার আগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। সূত্রের খবর, বাংলার সংগঠন-সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়েই এদিন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দেখা করলেন। সূত্রের খবর, বাংলার সংগঠন নিয়ে আলোচনার সঙ্গেই বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সুকান্ত মজুমদার আলোচনা করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। এই বৈঠকে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সূত্রের খবর, ভোটের আগে রাজ্যের বেশকিছু আইপিএস-এর বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। শাসক দল ঘনিষ্ঠ অফিসারদের নিয়ে আগেও বারবার সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বললেন, 'সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা। উনি বাংলায় আসবেন সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, জনসভায় যোগ দেবেন। জনসভা করতে আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। বাংলাকে পাখির চোখ করে রাজ্যে প্রচারকাজে আসবেন প্রধানমন্ত্রীও।' আগামী লোকসভা ভোটে বাংলা কেন্দ্রীয় বিজেপির পাখির চোখ, এই ইঙ্গিতই দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
নভেম্বরে বিজেপির কলকাতা চলো কর্মসূচিতে সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই লক্ষে কোমর বেঁধেছে বঙ্গ বিজেপিও। এবার সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে ফের বঙ্গ সফরের প্রতিশ্রুতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায়।
'চাচা আপন প্রাণ বাঁচা,' বিজেপি প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুমকি দিতে এসে, পাল্টা তাড়া খেয়ে পালালেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর ব্লকের শুকদেবপুর অঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী সোনালী রায়কে হুমকি দিতে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তাড়া খেলেন দুষ্কৃতীরা। তাড়া খেয়ে প্রাণপনে উদ্দম ছুট লাগালেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখনও অবধি হওয়া হিংসা প্রবণ এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেজন্যই এদিন তিনি উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান। চোপড়া সহ গঙ্গারামপুর ব্লকে যখন তিনি গিয়ে পৌঁছন, তখন তিনি খবর পান শুকদেবপুর অঞ্চলের বিজেপি প্রার্থী সোনালী রায়কে, তাঁর বাড়ি গিয়ে মনোনয়ন তুলতে বলে হুমকি দেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেই সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুষ্কৃতীদের দেখে রীতিমতো তাড়া করেন সুকান্ত মজুমদার। তারপরেই ওখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর তিনি ওই বিজেপি প্রার্থী সোনালী রায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁকে আশ্বস্ত করেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই একাধিক দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি (BJP)। বৃহস্পতিবার রাজীব সিনহার (Rajib Sinha) সাংবাদিক বৈঠকের পরই জেলা এবং বিভাগীয় স্তরের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ওই বৈঠকেই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ, মনোনয়নের জন্য মাত্র ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে হবে। এমনই একাধিক দাবি জানিয়ে শীঘ্রই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
বিজেপি সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বের উপরই ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারপরেই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমরা চাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে ভোট হোক। শান্তিপূর্ণ ভোট, রক্তপাতহীন ভোট চাই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য আরও বেশি সময় দেওয়া দরকার। এটা ঠিক হয়নি। তাই আমরা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
কিছুদিনের ফারাকেই ফের রাজ্যে আসতে চলেছে এনসিপিসিআরের (NCPCR)। আজ অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যে আসতে পারে এনসিপিসিআরের একটি দল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি মালদহ এবং তিলজলার শিশু নিগ্রহের (Minor) ঘটনায় রাজ্য এসেছিলেন এনসিপিসিআর সদস্যরা এবং এনসিপিসিআর সভাপতি প্রিয়াঙ্ক কানুনগো (Priyank Knungo)। যার পরে রাজ্য-কেন্দ্র দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। প্রিয়াঙ্ক কানুনগো অবশ্য রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, আদালতকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন।
আজ অর্থাৎ শনিবার কালিয়াগঞ্জের কিশোরী নিগ্রহের ঘটনায় ফের রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। শনিবার তিনি বলেন, 'রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, পশ্চিমবঙ্গে শিশু নিগ্রহের ঘটনা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে।'
পাশাপাশি, মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসে, তিনি উত্তর দিনাজপুর পুলিশ সুপারের অফিসের ধরণায় বসেন। শনিবার দুপুর থেকেই কালিয়াগঞ্জের ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কালিয়াগঞ্জ পৌঁছে তিনি মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। এরপর তিনি মৃতার পরিবারকে আশ্বস্ত করেন ও সঠিক বিচার পাইয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার এদিন রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, 'রাজ্যে এরকম সন্ত্রাস বেড়ে চলেছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে।' এছাড়া তিনি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
জীবনকৃষ্ণের পুকুর-শুদ্ধি কর্মসূচি গ্রহণ করতে গিয়ে বিপাকে বিজেপি (BJP)। মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উপস্থিতিতে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পুকুর-অভিযানে বিশৃঙ্খলা ও আইনভঙ্গের জেরে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল পুলিস। বৃহস্পতিবার বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের পুকুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ জেলা বিজেপির নেতারা। পথে তাদের বাধা দেয় পুলিস। দফায় দফায় পুলিসের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দায়ের হয়েছে এফআইআর।
বড়ঞা থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরে নাম রয়েছে বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার-সহ স্থানীয় বিজেপি নেতাদের। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া, নারীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে আক্রমণেরও অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই এফআইআর ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুকুর অভিযানে ব্যর্থ হয়ে বৃহস্পতিবার বড়ঞা থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলার পুলিস সুপার সুরিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, যেখানে সভা করা হবে বলে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল, সেখানে সভা হয়নি। অন্য একটি জায়গায় সভা করার পরিকল্পনা চলছিল। রাস্তায় ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়। তখন ওই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতা, কর্মীরা পুলিসের উপর আক্রমণ চালান। মহিলা পুলিসের উপরেও হামলা হয়। এতে বেশ কয়েক জন পুলিসকর্মী আহত হন। কর্মসূচিতে উপস্থিত এক নেতা আলাদা নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তাই আগাম অনুমতি ছাড়া, বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে সভার অনুমতি দেওয়া যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিস সুপার।
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) বড়ঞায় সভা করতে যাওয়ার পথে বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিসের। ঘটনাস্থলে পুলিসের সঙ্গে একপশলা খণ্ডযুদ্ধ বিজেপি কর্মীদের। পুলিস সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আন্দি কালীবাড়ি থেকে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি অবধি একটি মিছিল করতে যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহার পুকুর শুদ্ধিকরণ অভিযানে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা।
অভিযোগ ওই মিছিল শুরু হওয়ার আগেই তাঁদেরকে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিস, ধাক্কাধাক্কি করা হয় সুকান্ত অনুগামীদেরও। ওই মিছিল শুরুতে পুলিস তাঁকে বাধা দিলে পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খন্ডযুদ্ধ বাঁধে। তাদের আরও অভিযোগ শান্তিপূর্ণভাবে ওই মিছিল শুরু করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। হঠাৎ বিশাল পুলিস বাহিনী এসে বাধা দেয় এবং তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিজেপি কর্মীদের।
১০০ দিনের টাকা-সহ বিভিন্ন বকেয়ার দাবি নিয়ে ধর্নায় (Protest) বসেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী (CM), সরব হয়েছিলেন দলের অধিকাংশ। এবার আলিপুরদুয়ারে দলীয় সভায় গিয়ে ১০০ দিনের টাকা না দিলে দিল্লি স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পাল্টা পুরোনো টাকার হিসাব চাইলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
শনিবার আলিপুরদুয়ারের সভায় পঞ্চায়েত ভোট, চা শ্রমিকদের নিয়ে বললেও, ১০০ দিনের কাজ প্রসঙ্গ টেনে মূলত টার্গেট করেন বিজেপিকে। শনিবারের সভা থেকেই অভিষেক বলেন, '২৫ জন সাংসদকে নিয়ে টাকা চাইতে দিল্লি গিয়েছিলাম, দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিট মন্ত্রী দেখা করেননি।' তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে আরও বলেন, 'পারলে রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করুন, বাংলার মানুষকে আমি ভাতে মারতে দেব না।' শনিবার এই সভা থেকেই তিনি হুঙ্কার দিলেন, 'আপনারা সই করুন। ৪ লক্ষ সই দিন আলিপুরদুয়ার থেকে, আমি ১ কোটি চিঠি দেব বাংলা থেকে, দেখি কতদিন কান বুজে থাকে কেন্দ্র।' তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন শনিবার, 'আপনারা সঙ্গে থাকুন, টাকা আমি ছিনিয়ে আনবই।'
ওদিকে বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীও ধর্না করেছেন ৩০ ঘন্টা। অভিষেকের দাবিও ঠিক একই। কিন্তু বিভ্রান্তিটা অন্য জায়গায়। চলতি সপ্তাহেই, শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি একটি লিস্ট দেখিয়ে দাবি করেন, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে, ইউপিএ আমলে ২০০৬-২০০৭ থেকে ২০১৩-২০১৪ অর্থবর্ষ অবধি ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এনডিএ অর্থাৎ বিজেপির আমলে ২০১৪-২০১৫ থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষ অবধি, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার বলেন, 'কংগ্রেসের থেকে বিজেপি আমলে বেশি টাকা পেয়েছে বাংলা। এই টাকার হিসেব কেন প্রকাশে আনছেন না সরকার?' সুকান্ত আরও অভিযোগ করেন, 'তৃণমূল ওই টাকা লুটে খেয়েছে।'
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বঞ্চনার অভিযোগে হুঙ্কার দেওয়া যায়, ধরণায় বসা যায়। কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলন করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের হিসাব দেওয়া যায় না! যদিও সাধারণ মানুষের কি এই হিসাব দেখার নিয়ম আছে? সব থেকে বড় কথা হলো কজনেরই বা এই হিসাব দেখার প্রয়োজন আছে! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতির এই টাল-বাহানার মধ্যে প্রশ্ন অনেক, সন্দিহানও অনেক, কিন্তু উত্তর কই!
এক বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে দেশের সেরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সাংসদ রত্ন সম্মানে (Award) ভূষিত হলেন দুই বঙ্গ সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) এবং সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এক বেসরকারি সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে, কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলের বাংলার রাজ্য সভাপতিরা সম্মানিত হলেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি সাংসদ রত্ন পুরষ্কার কমিটি ঘোষণা করে। ১৩ জন সাংসদ এবং ১ জন বর্ষিয়ান সাংসদকে তাঁদের জনহিতকর প্রশ্ন ও সরকারকে দিশা দেখানো কর্মকুশলতার জন্য, সাংসদ রত্ন সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে।
অধীর ও সুকান্ত ছাড়াও সংসদ রত্ন সম্মান পেলেন বিজেপির বিদ্যুৎ বরণ মাহাতো, হীনা বিজয়কুমার গাভিট, গোপাল চিনায়া শেঠি ও সুধীর গুপ্ত। কংগ্রেসের কুলদীপ রাই শর্মা ও ছায়া বর্মা। এনসিপির ডা.আমোল রামসিং কোলহে ও এফ টি এ খান। সিপিআইএমর ডা. জন ব্রিটাস, আরজেডির মনোজ কুমার ঝা ও সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ভি পি নিশাদ।