অসমাপ্ত সুইসাইড নোট(Suicide Note)লিখে সমাজমাধ্যমে পোস্ট বাঙালি অভিনেত্রী পায়েল ঘোষের (Actress Payel)। তার এরকম পোস্ট দেখে উদ্বিগ্ন নেট দুনিয়া। প্রায় দু-বছর আগে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের (Anurag Kashyap) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী। তখন থেকেই নানাভাবে চর্চায় এসেছিলেন অভিনেত্রী। এবার তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি চিরকূটে সুইসাইড নোট লিখে পোস্ট করলেন। তার ওই নোটে লেখা, 'আমি পায়েল ঘোষ, আমি যদি আত্মহত্যা (Suicide)করি কিংবা হার্টঅ্যাটাকে মারা যাই তবে কে এর জন্য দায়ী থাকবে...?' কার উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য অভিনেত্রী পায়েলের, তা নিয়ে চিন্তিত অনুরাগীরা। অনেকে তাঁকে মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরামর্শ দেন।
এরকম হুমকি-জনিত সুইসাইড নোট দেখে সক্রিয় হয়েছে ওশিওয়ারা থানার পুলিস। এদিকে, এই পায়েল ঘোষ বছর দুই আগে পরিচালক-প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ বা মি টু-র অভিযোগ এনেছিলেন। সেই সময় বেশ চর্চায় ছিল এই প্রসঙ্গ।
তবে তাঁর অসমাপ্ত সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে মুম্বই পুলিস তাঁর বাড়ি আসেন। পুলিস আসার সেই খবর নিজেই সামাজিক মাধ্যমে জানান অভিনেত্রী পায়েল। তিনি আরও বলেন,'আমি সুশান্ত নই, মরলে সবাইকে ফাঁসিয়ে মরবো।' ঠিক কাকে উদ্দেশে করে এমন লিখলেন অভিনেত্রী? প্রশ্ন তো উঠবেই।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই ঘর থেকে উদ্ধার পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ।পড়াশোনার চাপ নাকি বাবা-মায়ের উপর রাগ, ঠিক কোন কারণে এই পথ বেছে নিল কিশোর, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ থানার স্যান্ডেল বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়া গ্রামের এই ঘটনা রবিবার রাতের। বাড়িতে বাবা-মা না থাকার সুযোগেই নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দেয় ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিরণময় বিশ্বাস। জানা গিয়েছে মৃতের বয়স ১৮। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতাল পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত ছাত্রের মা জানান, 'উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নিজের ঘরে বসেই পড়াশোনা করছিল হিরণময়। বিরিয়ানি খেতে চাওয়ার কথা বলে মাকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেয় সে। ঠিক সে সময়ে আত্মঘাতী হয় কিশোর।' মায়ের দাবি, 'গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ছেলের। সেই সম্পর্কের কারণেই আত্মহত্যা। ছেলের মৃত্যুর পিছনে হাত আছে মেয়েটির।'
হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগর এসডি ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করত মৃত ছাত্র হিরণময় বিশ্বাস। তার পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল হিঙ্গলগঞ্জ হাইস্কুলে। তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্যে তার সহপা ঠীরাও এসে উপস্থিত হয় বসিরহাট হাসপাতালের সামনে।
রেললাইনের পরপর শুয়ে তিনটি ছিন্নবিছিন্ন দেহ (Death Body)। এই দেহ তিনটি একই পরিবারের তিন জনের। সম্পর্কে তাঁরা মা, মেয়ে এবং ছেলে। মধ্যপ্রদেশের (Madhayapradesh) নরসিংহপুর জেলার ঘটনায় ছেলের পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিস। সেখানেই লেখা ছিল তাঁদের মৃত্যুর নেপথ্যে বাবার অত্যাচার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, মৃত কিশোরের বয়স ১৯ বছর। তাঁর বোনের বয়স মাত্র ১৬। তাঁদের সঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁদের মা-ও। তিনজন পরিকল্পনা করে একসঙ্গে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছেন। পুলিস আরও জানান, যুবকের পকেট থেকে যে চিরকুটটি পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা গিয়েছে, যুবকের বাবা তাঁদের খুব হেনস্থা করতেন। প্রতিদিনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে আসতেন। মা-বোনকে মারধরও করতেন। বাবার এই অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতেই চরম সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বাবার এই অত্যাচারের জন্যই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন পরিবারের তিন সদস্য।
পুলিসের এসডিপিও শশী পাঠক জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে গদরওয়ারা রেলস্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে ওই তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত মদ্যপ ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পাকিস্তানের (Pakista) দক্ষিণ-পশ্চিমের বালুচিস্তান (Balochistan) প্রদেশের সিবি এলাকায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ (suicide blast)। কেঁপে ওঠে এলাকা। আর এই ঘটনায় অন্তত ৯ জন পুলিস (Police Death) নিহত হয়েছেন। আহত আরও ১৩ জন।
সোমবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বালুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার (১০০ মাইল) পূর্বে অবস্থিত সিবিতে হামলাটি হয়েছে। পুলিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই এলাকায় একটি পুলিস ট্রাকে একটি মোটরসাইকেল হামলাকারী আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়।
সোমবারের হামলার দায় এখনও কোনও গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। গ্যাস ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বালুচিস্তানে শোষণের অভিযোগ এনে জাতিগত বালুচ গেরিলারা কয়েক দশক ধরে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বোমা বিস্ফোরণে আহত পুলিস সদস্যদের উদ্ধারের পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পরপরই বম্ব স্কোয়াড ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ (Suicide) উদ্ধার। মহেশতলায় মোল্লার গেটে সন্তোষপুর গভর্নমেন্ট কলোনি এলাকার ঘটনা। ঘটনার তদন্তে মহেশতলা থানার(Maheshtala Police) পুলিস। শোকের ছায়া পরিবারে। জানা গিয়েছে, মৃত পরীক্ষার্থীর নাম সৌভিক অধিকারী। সৌভিক সন্তোষপুর গর্ভমেন্ট কলোনি নেতাজি সুভাষ বিদ্যালয়ের ছাত্র। এবছরই উচ্চ মাধ্যমিক দিত সৌভিক।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ওই পরীক্ষার্থী বাথরুমে ঢোকে। বেশ কিছুক্ষণ বাথরুম থেকে বাইরে না বেরোলে বাড়ির লোকজন দরজায় ঠোকাঠুকি করে। তাতেও কোনও সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা বাথরুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ভিতরে ঢুকতেই সৌভিককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পরিবারের লোকজন।
তত্ক্ষনাত্ পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। তাঁদের বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পরীক্ষার্থীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই সৌভিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় শোকের ছায়া পড়েছে পরিবারের লোকজনের মধ্যে। তবে কী কারণে সৌভিক আত্মঘাতী হলো, এই নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
দম্পতির জোড়া দেহ (Twin Body) উদ্ধার। এক দম্পতির জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর (Baruipur Incident) দেপাড়ারেল কলোনির ঘটনা। ঘটনাস্থলে বারুইপুর থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম সুজয় দাস (১৯) ও বসুমতি দাস(১৮)। বছর দুয়েক আগে প্রেম ভালোবাসা করে বিয়ে করেছিলেন সুজয়-বসুমতি।
কোনওরকম কর্মসংস্থান ছিল না সুজয়ের। তাঁদের একটা ৯ মাসের সন্তানও রয়েছে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে সুজয় ও বসুমতির শিশু সন্তানের কান্নার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে যায়। দরজা খুলেই দেখেন ঘরের চালে ঝুলন্ত অবস্থায় সুজয়। বসুমিতার দেহও বিছানায় উপর পড়ে।
স্থানীয়দের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মঘতী হয়েছে ওই দম্পতি। অভাবের কারণে সাংসারিক বিবাদ লেগেই ছিল পরিবারে। যার জেরেই এমন ঘটনা। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিস।
মর্মান্তিক ঘটনা! মঙ্গলবার হায়দরাবাদের (Hyderabad) কাছে একটি স্কুলের ক্লাসরুমের মধ্যেই গলায় দড়ি (hanging) দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) হল ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্র। একাদশ শ্রেণির এই ছাত্র নিকটবর্তী শহরাঞ্চলের বাসিন্দা। তার সহপাঠীরা ক্লাসে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়েছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর।
বাকি ছাত্রদের অভিযোগ, একটি নাইলনের দড়ির সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্র। যদিও কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই ছাত্র। স্কুলের হস্টেলেই থাকত। রাত ১০টায় পড়া শেষ হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। স্কুলের সব কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়। তারপর একটি ক্লাসরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
হস্টেলের অন্যান্য ছাত্ররা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হস্টেলের ওয়ার্ডেন কেন গাড়ির ব্যবস্থা করেননি তা স্পষ্ট নয়। ওই ছাত্রের এক বন্ধুর অভিযোগ, পরীক্ষায় ভালো করার চাপ তাকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে। এদিকে বিচারের দাবিতে কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা।
ছাত্রের আত্মহত্যার জন্য আচার্য নামে এক স্কুলকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ছাত্ররাও তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছে। স্কুল দুদিনের জন্য বেসরকারী ছুটি ঘোষণা করেছে এবং শিক্ষার্থীদের সকলকে বাড়ি পাঠিয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (HS Student) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে উদ্ধার দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের মধ্যেই বিক্ষোভ ছাত্রীর পরিবারের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে লাভপুর থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই এই পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করছে লাভপুর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম রাণীজা পারভীন। ময়ূরেশ্বরের দোগাছি গ্রামের বাসিন্দা। লাভপুর জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল রাণীজা পারভীন। সূত্রের খবর, রাণীজাকে হস্টেলের ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থাতে দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে লাভপুর প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিত্সকেরা ওই পরীক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে ছাত্রীর পরিবারের দাবি, বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ স্কুল থেকে ফোন করে রাণীজার শরীর খারাপের খবর জানানো হয়। এমনকি রাণীজাকে লাভপুর প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করার কথাও জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছলে নাবালিকাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, রাণীজাকে কেউ খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এরপরই স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতার আত্মীয়-পরিজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিস।
প্রেম করে বিয়ে, পরিবার মেনে না নেওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অশোকনগর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। জানা গিয়েছে, মৃতদের বাড়ি অশোকনগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুকুর এলাকায়। স্বামীর বয়স কুড়ির কোটায় আর স্ত্রীয়ের বয়স সাড়ে ১৭ বছর। এই মৃত্যুর আগের একটি ভিডিও পুলিসের হাতে এসেছে। সেখানে মৃত নাবালিকা, তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলেছে বলে শোনা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আপলাইনে ৪টে ৩০ নাগাদ ফাস্ট ট্রেনের তলায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই দু'জন। মৃত্যুর সময় দুজন-দুজনের হাত ধরে ছিল এমনটা জানা গিয়েছে জিআরপি সূত্রে। এদিকে, নাবালিকার বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে উলটে যুবকের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, 'মেয়েকে আমি বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম। বলেছিলাম যেমন প্রেম পর্ব চলছেও চলুক। এরপর দুই বাড়ি দেখাশোনা করে বিয়ে দেব। কিন্তু ওরা মেয়েকে আটকে রেখেছিল।'
রিজেন্ট পার্ক গঙ্গাপুরী এলাকায় একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট এলে তবেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিস।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃহস্পতিবারের পর আর দেখতে পাওয়া যায়নি চট্টোপাধ্যায় দম্পতিকে। স্থানীয়রা জানান, 'এটা অবিশ্বাস্য! একই পরিবারের তিন জন কী করে আত্মহত্যা করতে পারে। যাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা বেশ মিশুকে ছিলেন।' পচা দুর্গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়েই এই দেহ উদ্ধার হয়েছে।'
গ্রুপ ডি (Group D Job) চাকরির জন্য টাকা দিয়ে কাজ না পাওয়ায় আত্মহত্যার ঘটনা মুর্শিদাবাদের লালগোলার এক চাকরিপ্রার্থীর (Lalgola Incident)। মৃতের সুইসাইড নোটে জনৈক এক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। এদিকে, এই আত্মহত্যার (Suicide case) ঘটনার তদন্ত করে পুলিস মৃতের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দিয়েছে। এই পুলিসি তদন্তের বিরোধিতায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মামলা দায়েরের অনুমতি। বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
জানা গিয়েছে, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থী আবদুল রহমানের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তায় অভিযোগে সিবিআই তদন্ত চেয়ে আবেদন আদালতে। মুর্শিদাবাদের লালগোলায় গত সেপ্টেম্বরে আত্মহত্যা করেন আবদুল রহমান। তিনি গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদনকারী আইনজীবীর অভিযোগ, 'আত্মহত্যার পর একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। ওই সুইসাইড নোটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ কারা কারা এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ নিয়েছিলেন, সেই তালিকার উল্লেখ ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল চাকরির পেতে গেলে নির্দিষ্ট অর্থ দিতে হবে।'
তবে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু আবদুল রহমানের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিট পেশ করেছে লালগোলা থানার পুলিস। ওই চার্জশিটে আবদুল রহমানকেই অভিযুক্ত করেছে পুলিস।
ইন্টালিজেন্স ব্যুরো বা আইবি কর্তার সরকারি বাংলোয় আত্মঘাতী এক সিআরপিএফ জওয়ান। তুঘলক রোডের এই ঘটনা শুক্রবার সন্ধ্যার বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ৫৩ বছরের রাজবীর কুমার সিআরপিএফের এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। আইবি ডিরেক্টরের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীতে ছিলেন তিনি। নিজের সার্ভিস রাইফেল কালাশনিকভ থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাজবীর।
জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের ছুটি কাটিয়ে শুক্রবারই বাড়ি থেকে ফিরেছেন রাজবীর। যোগ দেন কাজেও। তাই পারিবারিক কারণে মানসিক অবসাদে ভুগে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা। আইপিসির ১৭৪ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিস।
যদিও এই ঘটনার পরে আইবি কর্তার নিরাপত্তা সুরক্ষিত, এমনটাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর।
নিজের পড়ার ঘর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Exam 2023) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীর নাম পল্লবী মণ্ডল। সোনারপুর পৌরসভার (Sonarpur Municipality) ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপাড়াতে ভাড়ার বাড়িতে থাকতো পল্লবী এবং তার বাবা-মা। পল্লবীদের আদি বাড়ি ছিল জয়নগর থানার ঢোসা গ্রামে।
এ প্রসঙ্গে আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারি শুরু হবে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার ২০ দিন আগেই মধ্যে মোবাইল আসক্তি কেড়ে নিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জীবন। বৃহস্পতিবার বিকালে পড়াশোনা বন্ধ রেখে বসে বসে মোবাইল ঘাঁটছিল সে। তাকে একটু বকাঝকা করে কাজে বেড়িয়ে যান পল্লবীর মা দেবযানী মণ্ডল। বাবা বিভাস মণ্ডল কাজ থেকে তখনও ফেরেননি। রাতে বাবা-মা বাড়িতে ফিরে পল্লবীকে নাম ধরে ডেকে কোন সাড়া না পেয়ে তার পড়ার ঘরে যান।
সেখানেই তার ঝুলন্ত দেহ দেখে চিৎকার করে ওঠেন তারা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। আকস্মিক এই ঘটনায় হতবাক পল্লবীর পরিবার। ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পল্লবীর নিথর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
ঘর থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আবু সুফিয়ান(২৪)। তিনি পেশায় একজন বেকারি শ্রমিক (Labour Suicide)। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে বছর খানেক আগে জেলে গিয়েছিলেন আবু সুফিয়ান। প্রায় সাত আট মাস জেল খেটে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতেই ঘুমিয়েছিলেন যুবক। বুধবার সকালে আবু সুফিয়ান দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে না বেরনোয় শুরু হয় ডাকাডাকি। তবে ঘরের ভিতর থেকে কোনওরকম সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন পরিবারের লোকজন।
তখনই ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পরিবার। পরিবারের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন আবু সুফিয়ান।
অনেকক্ষণ ধরেই প্ল্যাটফর্মের (Platfrom) এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘোরাঘুরি করছিলেন এক ব্যক্তি। বাকি যাত্রীরা কেউ গল্পে মগ্ন, আবার কেউ মোবাইলে ব্যস্ত। ওই ব্যক্তি মাঝে মাঝে উঁকি মারছিলেন ট্রেন (Train) আসছে কিনা দেখার জন্য। তাঁর পাশে ছিলেন এক মহিলা যাত্রী। কিন্তু ওই ব্যক্তির আনমনা ভাব দেখে বোঝার উপায় ছিল না তিনি কী করতে চলেছেন।
ট্রেন স্টেশনে ঢুকতেই সকলে চমকে গেলেন। প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ট্রেন যখন ঢোকে ওই ব্যক্তি লাফ দিয়ে ট্রেনের সামনে শুয়ে পড়েন। পাশে থাকা মহিলা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। আর বাকিরা চিৎকার শুরু করেন। ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে যায়। কাটা পড়ে মৃত্যু হয় ব্যক্তিটির।
ওই ব্যক্তির উপর দিয়ে ট্রেনটি চলে যায়। চোখের সামনে এক ব্যক্তিকে লাইনে ঝাঁপ দিতে দেখেও অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার ছিল না সহযাত্রীদের। ঘটনাটি মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে স্টেশনের। পুরো ঘটনাটির ভিডিও ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ওই ব্যক্তি রেলের চিফ লোকো ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। এখন প্রশ্ন কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন? এর পিছনে কাজ সংক্রান্ত কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।