পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজ্যে বহু সংখ্যক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। সম্প্রতি এক আরটিআই করে এমনই সব বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ২০২১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Medinipur) ১২২ জন কৃষক ও খেতমজুর আত্মহত্যা করেছেন। এমনটাই বলছে সেই আরটিআই (RTI) রিপোর্ট।
উল্লেখ্য, রাজ্যের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই পরিসংখ্যান তৈরি করে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি। ২৭ শে অগাষ্ট আরটিআই কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী আরটিআই করেন। অর্থাত্ তাঁর জবাবেই পশ্চিম মেদিনীপুরের স্টেট পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার এন্ড ডেপুটি সুপারিটেনডেন্ট অফ পুলিসের তরফে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাতে গোটা দেশের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে অন্য কয়েকটি রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের নামের পাশেও কৃষি ও কৃষি সম্পর্কিত ক্ষেত্রে আত্মহত্যা দেখানো হয়েছে শূন্য। শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই ২৩ থানা এলাকায় তথ্য প্রদান করা হয়েছে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে ৬৩ জন আত্মহত্যা করেছেন। গোয়ালতোড়ে ১৪ ও আনন্দপুরে ১০ জনের আত্মহত্যার তথ্য রয়েছে।
তবে পশ্চিমবঙ্গের তরফে এনসিআরবি-তে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলছে না আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্য। এনসিআরবি-তে দেওয়া তথ্য রাজ্যের তরফে ২০২১ সালে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেননি বলেই জানানো হয়। তবে কি সঠিক তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার? আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্য সঠিক হলে, তা কতটা চিন্তার?
হরিয়ানার (Haryana) কারনালের অসন্ধ থানায় (Assandh police station) লকআপে থাকা এক অভিযুক্ত আত্মহত্যা (Suicide)করেছে বলে অভিযোগ। সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে ঝুলন্ত অবস্থায় (Hanging) তাঁকে উদ্ধার করে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার।
নিহত ওই অভিযুক্তের নাম রমেশ ফান্দা। ৩০ বছর বয়সী ওই অভিযুক্ত আসান্দের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে পুলিস হেফাজতে নেয়। এরপরই রবিবার রাতে তাঁকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঝুলতে দেখতে পাওয়া যায় লক-আপে। পুলিস জানায়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু নিহত ওই অভিযুক্তের পরিবারের লোকের দাবি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। মৃতের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যরা অসন্ধ থানায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করার দাবিতে থানার সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এদিন।
বাঁকুড়া (Bankura) শহরের লোকপুর এলাকার ভকতপাড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনার পর বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায় ওই যুবকের নাম শিবনাথ ভকত, বয়স কুড়ি বছর। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্র। বাবার নাম তরুণকান্ত ভকত এবং বাবা থাকতেন দুর্গাপুরে (Durgapur)। বাড়িতে থাকতেন মা ও তার বোন। মঙ্গলবার তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না।
বাবা অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী। এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা যায়, ওই ছাত্র কোনো বাজে ব্যাপারে জড়িত ছিল না এবং পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। রাতে বাড়িতে একাই ছিল। আকস্মিক মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। বুধবার ভোর ৫টায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিয়ে (marriage) হয়েছে দীর্ঘদিন, কিন্তু হয়নি সন্তান। একদিকে অবসাদ, অন্যদিকে পারিবারিক অশান্তি। সহ্য করতে না পারায় আত্মঘাতী (suicide) গৃহবধু। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ থানার সান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের কনকনগর গ্রামের।
জানা যায়, বছর ৩০ এর পুষ্পরানী সরকার, বছর ৪০-এর স্বামী রবি সরকার। তিনি পেশায় একজন চাষি (farmer)। বিয়ে হওয়ার পর দীর্ঘ ১০-১২ বছর তাঁদের কোনও সন্তান না হওয়া থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। তবে এরই মধ্যে বচসা, গন্ডগোল, মারধর, অশান্তি লেগেই থাকতো পরিবারে। যার জন্য পুষ্পরানী পাশের ১৩ নম্বর সান্ডেলের বিল গ্রামের বাপের বাড়িতে চলে যান। শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়িতে না থাকার সুবাদে আবার ফিরে আসেন বুধবার সকালবেলায়। কিন্তু এদিনও অশান্তি চরমে ওঠে। এসবের মধ্যেই হঠাৎই দেখা যায় পুষ্পরানীর মৃতদেহ বাড়ির বারান্দায় পড়ে রয়েছে।
মুখ থেকে রক্ত ও গ্যাজলা বেরোতে দেখা যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতে চিহ্নও দেখা যায়। পাশে স্বামী বসে আছেন। এই নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াতেই মৃত বধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে দেখেন, মেয়ে নিথর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে ঘরের বারান্দায়।
এই ঘটনার পরই হিঙ্গলগঞ্জ থানায় পুলিসের কাছে মেয়েকে আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ায় পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন মৃত গৃহবধূর বাবা মোহন বীর। ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস। এদিন মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাটে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানা পুলিস।
মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। হঠাৎই ভোরবেলায় ফেসবুকে লাইভে (facebook live) আসেন এক যুবক। সেখানে দেখা যায় ঘরে বসে কাঁদছেন ওই যুবক। কিন্তু কেন? তিনি লাইভে বলছেন, আর কিছুক্ষণ পরেই সব শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ তিনি নিজেকে শেষ করে দেবেন। আত্মহত্যার (suicide) পথ বেছে নিয়েছেন। কারণ, তিনি বিজেপি (bjp) করেন। তাই তাঁকে খুনের (murder) হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শেষ করে দেওয়া হবে গোটা পরিবারকেও, এমনই অভিযোগ তাঁর। হাড়হিম করা এই ঘটনা হুগলির। ঘটনার পরই পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে অভিযুক্ত কুণাল সরকারকে আটক করা হয়। এরপর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
হুগলির চুঁচুড়ার কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা ২৮ বছরের অভিষেক চৌধুরী। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে সময় এই ফেসবুক লাইভ করা হয়েছিল, তখন তা কারও নজরে পড়েনি। পরে মঙ্গলবার সকাল হতেই তাঁর বন্ধুরা বাড়িতে গিয়ে পৌঁছয়। সোমবার রাতে ছেলে ঘুমোচ্ছেন এই ভেবেই ঘুমিয়েছিলেন বাবা–মা। কিন্তু বন্ধুদের কথায় দরজা ভাঙতেই দেখা যায় ছেলের ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরই কাটগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, এই এলাকার "আমরা কজন" ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকারের বিরুদ্ধে। ফেসবুক লাইভে অভিযোগ তুলেছেন খোদ অভিষেক চৌধুরী। যদিও স্থানীয় ক্লাবের সম্পাদক কুণাল সরকার এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। যদিও স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি কুণালের পরিবারের।
এ যেন এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড। শিক্ষকের (Teacher) যৌন লালসার শিকার ছাত্রী (student)! কোচিং সেন্টারের মধ্যে দিনের পর দিন চলত এই নারকীয় কাণ্ড। ভয়ে, লজ্জায়,সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার (suicide) চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হতে গ্রেফতার (arrest) অভিযুক্ত শিক্ষক। শিক্ষিত হয়ে লাভ কী? এখন এই প্রশ্নই নরেন্দ্রপুরবাসীর মনে। দিন কয়েক আগে হুগলির জিরাটের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককেও যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে হুগলি গ্রামীণ থানার পুলিস।
জানা যায়, নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানার একটি কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বলবীর সিং নামে এক শিক্ষক। তাকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য নিজের খুশি মত সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠাত। তারপরে ওই ছাত্রীকে দিনের পর দিন যৌন নিগ্রহ করত। কাউকে না জানানোর হুমকিও দিয়েছিল। লজ্জায়, ভয়ে কাউকে বলতে না পেরে বাথরুমে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করে ওই নির্যাতিতা ছাত্রীটি। পরে মায়ের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রীর মা। মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
চুরির মিথ্যে অপবাদ মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী (suicide) এক শ্রমিক। গোটা ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বুদবুদ (Budbud) থানার অন্তর্গত কোটা চণ্ডীপুর গ্রাম এলাকায়। কারখানার গেটের সামনে বুধবার সকাল থেকে তুমুল বিক্ষোভ (protest) শুরু করে দেয় মৃতের পরিবার।
বাবা মারা যাওয়ার পর বিধবা মাকে নিয়ে একাই থাকতেন দুর্গাপুরের (Durgapur) কোটা চণ্ডীপুর গ্রামের বছর ২৬-এর মিঠুন ঘড়ুই। কোটা শিল্পতালুকে একটি মদের কারখানায় কাজ করতেন মিঠুন। কিন্তু মঙ্গলবার মদ চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মিঠুনকে কারখানার গেট থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষ বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর সমাজে সম্মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই শ্রমিক। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মিঠুনের মা ও তাঁর পরিবার পড়শিরা।
খবর চাউর হতেই মিঠুনের সহ কর্মীরা কোটা শিল্পতালুকে থাকা ওই মদের কারখানার গেটের সামনে এসে ভাঙচুর শুরু করে। বুধবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। কারখানার গেটের সামনে উত্তেজিত শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে এদিন কর্তৃপক্ষ কারখানায় ঢুকতে বাঁধা দেয় কর্মীদের। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিস ঘটনাস্থলে এলে বুদবুদ থানার পুলিসকে ঘিরে ধরে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, এর আগেও এইরকম মিথ্যে অভিযোগ করে শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই অন্যায় কর্মকান্ডের কোনও বিচার হয়নি। এই ঘটনার পেছনে কারখানার নিরাপত্তারক্ষিরাও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ লাগছে।
সরকারের তরফে শিক্ষারত্ন পুরস্কার জুটলেও অবসরের ৩ বছর পরেও মেলেনি পেনশন (pension)। ফলে আর্থিক অনটন থেকে মানসিক অবসাদ, আর এরপরই পরিণতি মর্মান্তিক। ঘটনাটি মেমারির দেবীপুরের (Debipur)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ দেবীপুরে নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিস ওই শিক্ষকের (teacher) দেহ উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে (hospital) পাঠানো হয়।
পুলিস (police) ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ডঃ সুনীল কুমার দাস, বয়স ৬৩ বছর। তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন ২০১৯ সালের ৫ ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর হাতে শিক্ষারত্ন পুরস্কার তুলে দেন। এমনকি সরকারি ও বেসরকারি তরফে শিক্ষক হিসাবে আরও বহু সম্মান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি অবসর নেন। অভিযোগ, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। তবে প্রধান শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও পেনশন দেওয়া হয়নি তাঁকে। অবসরের পর লাগাতার ৩ বছর ধরে বিকাশভবন ও নিজের স্কুলে ঘুরলেও মেলেনি পেনশন। এরপরই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও আত্মঘাতী হন।
খবর পেয়েই মেমারি থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষারত্ন পাওয়া শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় সরকার।
এক নৃত্য (dance) শিক্ষকের (teacher) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য শহর কলকাতায় (Kolkata)। জানা যায়, মহেশতলার (Maheshtala) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নুঙ্গি চ্যাটার্জি পাড়ার বাসিন্দা বছর ২৪ এর অনুপম রায় একজন ডান্স শিক্ষক ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর অস্বাভাবিক মৃৃত্যুতে (death) শোকের ছায়া পরিবারে।
পরিবার সূত্রে খবর, অনুপম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর নিজের বাড়ির দুতলার উপরে ঘরে চলে যায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেও তাঁর কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে তাঁর বাবা ঘরে গিয়ে দেখেন অনুপম গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। এরপরই তাঁর বাবা চেঁচিয়ে ওঠেন। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিসকে খবর দিলে পুলিস হাসপাতালে গিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তবে পরিবারের একমাত্র ছেলে অনুপম কী কারণে এমন ঘটনা ঘটাল, তা জানেন না পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিস।
ভয়ানক কাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিনই স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে মরণঝাঁপ। সোমবার সাত সকালেই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন মা। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলেও। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে (Durgapur)। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত মায়ের নাম সীমা পণ্ডিত, বয়স ২৬ বছর। মৃত দুই ছেলের নাম প্রেম পণ্ডিত, বয়স ৮ বছর। অন্যজন বছর ৬ এর প্রাণিত পণ্ডিত। পানাগড়ের (Panagarh) অনুরাগপুরে থাকতেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সীমাদেবীর স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত অত্যাচার করতেন স্ত্রী এবং তাঁর দুই ছেলের উপর। রবিবার সেই অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর সেই অত্যাচারের শিকার হয়ে সোমবার সাত সকালেই পানাগর রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন মা এবং দুই ছেলে।
ঘটনার পরই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিস। পুলিস পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে। পাশাপাশি স্বামীর খোঁজে পুলিস।
প্রথমে চুরির অপবাদ, এরপর শুরু হয় মারধর। তবে এখানেই শেষ নয়, ঘরে গিয়ে নিচুজাতি বলে পরিবারকে গ্রামছাড়া করার হুমকিও (threat) পর্যন্ত দেওয়া হয়। আর এসবের ফল মর্মান্তিক। ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় কিশোরের ঝুলন্ত দেহ (hanging body)। মর্মান্তিক এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) থানার মোহনপুর গ্রামের।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিষ্ণু বাগদী ওরফে আকাশ বাগদী, বয়স ১৩ বছর। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (police) ইতিমধ্যেই দোকান মালিক মিলন কুন্ডু ও কর্মচারী বিশ্বজিৎ পালকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মোহনপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় মিলন কুন্ডু নামে এক মুদিখানা ব্যবসায়ীর দোকানে সামগ্রী আনতে যায় আকাশ বাগদী। অভিযোগ সেই সময় চুরির অপবাদ দিয়ে দোকান মালিক মিলন কুন্ডু ও দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ পাল তাকে মারধর করে। এমনকি বাড়িতে চড়াও হয়ে নিচুজাতি বলে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয়। এরপরই অপমানে আকাশ বাগদী গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলের এই মৃত্যুর একমাত্র দায় দোকান মালিক মিলন কুন্ডুর। সঠিক বিচারের আর্জি জানিয়েছে পরিবার। তবে একবিংশ শতকে দাড়িয়েও এমন ঘটনায় চক্ষুচড়কগাছ গ্রামবাসীদের।
ছুটি না নিয়ে একটানা কাজ করার ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক জওয়ান (Army) কখনও গুলি করে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছে। আবার কখনও সার্ভিস রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছে ব্যারাকে থাকা সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে। তাদের নিয়ম মেনে ছুটি (holiday) দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার সতর্ক হল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)।
দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্নাতকোত্তরের চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যের দুরবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। সাপ্তাহিক কোন ছুটি না নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা হাসপাতালে কাজ করার ফলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে্ন পোস্ট গ্রাজুয়েটের মেডিক্যাল ছাত্ররা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য। এর ফলে কেউ আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন। আবার কেউ নানান ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। যা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে রোগী চিকিৎসা ব্যাবস্থায়।
সে কারণে গত ২৮ শে জুন এই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। এই বৈঠকের পর সমস্ত দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্নানকোত্তরের চিকিৎসক পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সাপ্তাহিক ছুটি দিতে হবে। আর যাঁরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁদের কাউন্সেলিং করা থেকে শুরু করে, যোগাভ্যাস এবং ছুটি দিতে হবে প্রয়োজন মত।
পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত সমস্যা দেখভালের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্নানকোত্তরের মেডিক্যালের পড়ুয়ারা তাঁদের সমস্যা ইমেইল মারফত কিংবা কমপ্লেইন বক্সে লিখিতভাবেও জানাতে পারবেন বলে জানায়।
এক আত্মঘাতী হামলায় কাবুলে (Kabul blast) নিহত তালিবান (Taliban) নেতা রহিমুল্লা হাক্কানি। আফগানিস্তানের (Afganisthan) তালিবান সরকারের ধর্মীয় নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। বৃহস্পতিবার সে দেশের সংবাদ সংস্থা টলো নিউজ এই খবর দিয়েছে। যে খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
জানা গিয়েছে, ধর্ম পণ্ডিত, শিক্ষক শেখ রহিমুল্লা হক্কানি বৃহস্পতিবার কাবুলের একটি স্কুলবাড়ির কাছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেই সময় জলসায় উপস্থিত এক ব্যক্তির কৃত্রিম পায়ে লুকিয়ে থাকা বিস্ফোরক থেকেই এই বিস্ফোরণ। এমনটাই টলো নিউজ সূত্রে খবর।
এদিকে, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল ইস্তক সে দেশে তালিবান এবং পাক তালিবানের ছায়া যুদ্ধ চলছে। আর পাক তালিবানকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তালিবান বিরোধী অপর গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্ক। যদিও এই জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানে জোট সরকারের শরিক। কিন্তু ক্ষমতা বৃদ্ধির লড়াইয়ে তারা তালিবান থেকে পিছিয়ে। তাই তৈরি হয়েছে বৈরিতা।
এদিনের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ সেই বৈরিতার বহিঃপ্রকাশ কিনা খতিয়ে দেখবে তালিবান পুলিস। অন্যদিকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানে সক্রিয় হতে মরিয়া। এসবের মাঝে পড়ে প্রায়ই তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে বিস্ফোরণ এবং মৃত্যুর খবর মিলছে।
ছোটপর্দার পরিচিত মুখ শৈবাল ভট্টাচার্য (Saibal Bhattacharya)। বিভিন্ন ধারাবাহিকে (serial) বাবা, কাকার মতো পার্শ্ব চরিত্রে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। কাজও করছিলেন ভালই। কিন্তু সোমবার রাতে আত্মহত্যার(commit to suicide) চেষ্টা করেন অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য। কসবায় নিজের ফ্ল্যাট(flat) থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিনেতাকে। মাথায়, হাতে ও ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের(sharp weapon) আঘাত নিয়ে ভর্তি চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিস সূত্রে দাবি, অভিনেতা নিজেই নিজেকে আঘাত করেছেন ধারাল অস্ত্র দিয়ে। সূত্রের খবর, মদ্যপ অবস্থায়(drunk) নিজেকে মাথায় আঘাত করে পায়ে আঘাত করে অভিনেতা। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পরিবার, সহকর্মীরাও।
কিন্তু কেন? কেন নিজেকে এইভাবে শেষ করতে চাইছিলেন অভিনেতা ? এর পিছনে কি ডিপ্রেশন কাজ করছিল ? তবে মদে আসক্তি ও পেশাগত ডিপ্রেশনের কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মাথায় এবং পায়ে ক্ষতের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো ক্ষত রয়েছে । ধারাল অস্ত্রের আঘাতের কারণে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই বছরেই পরপর বেশ কয়েকজন টেলি অভিনেত্রীর আত্মহত্যাকে ঘিরে ইন্ডাস্ট্রিতে আলোড়ন পড়ে যায়। এবার এক টলি অভিনেতার আত্মহত্যার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হল শিল্পীমহলে।
ঘটনার তদন্তে কসবা থানার পুলিস । প্রশ্ন উঠছে বারবার কেন ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা? শুধুই কি মানসিক অবসাদ নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও অন্য কোনও কারণ, উত্তর খুঁজছে পুলিস।