Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Song

Song: 'রক্তবীজ'-এর নতুন গান মুক্তি, বাংলা সিনেমায় ডেবিউ করলেন 'নন্দী সিস্টার্স'

বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব, দুর্গাপূজা। পুজোয় সিনেমা প্রেমীদের মনোরঞ্জন করতে তৈরি পরিচালকেরা। মুক্তির অপেক্ষায় বেশ কিছু নতুন বাংলা সিনেমা। অনেক সিনেমা ট্রেলার মুক্তি পেয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। এখন একে একে গান মুক্তি পাওয়ার পালা। চলতি বছর দুর্গাপূজায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় দর্শকদের উপহার দিতে চলেছেন 'রক্তবীজ' (Raktabeej)। এর আগেই সিনেমার ট্রেলার এবং একটি গান মুক্তি পেয়েছিল। এবার মুক্তি পেল আরও একটি গান। সে গানেই লুকোনো ছিল একটি সারপ্রাইজ।

রক্তবীজ সিনেমার নতুন গান 'নাক্কু নাকুড় না যাও ঠাকুর'। এই গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় দুই শিল্পী। প্রসঙ্গত সামাজিক মাধ্যমে দুই সঙ্গীতশিল্পী অন্তরা নন্দী এবং অঙ্কিতা নন্দী বেশ জনপ্রিয়। সকলেই তাদের চেনেন নন্দী সিস্টার্স হিসেবে। এতদিন সামাজিক মাধ্যমে গান করলেও এবার বড় পর্দায় তাদের ডেবিউ হয়ে গেল।

বাংলা ছবিতে গান গাওয়া বহুদিনের স্বপ্ন ছিল অন্তরা-অঙ্কিতার। তাই নতুন গান মুক্তি পেতেই সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তাঁরা। অন্তরা একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, 'আমরা আমাদের খুশি ধরে রাখতে পারছি না। আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল বাংলা সিনেমা জগতে কাজ করা। যা অবশেষে সত্যি হয়েছে।'

7 months ago
Theme song: ‘মা তোমার এত রূপ, দেখিনি তো আগে’ স্পেনে বসেই থিম সং লিখলেন মমতা

গত কয়েকবছর ধরেই দুর্গাপুজোয় থিম সং-য়ের চল শুরু হয়েছে। তবে প্রতিবছরই ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজোর দিকে নজর থাকে সকলের, কেননা এই পুজোর থিম সং লিখে আসছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবারেও তার অন্যথা হল না। সুদূর স্পেনে বসেই সুরুচি সংঘের থিম সং লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী।

গানের প্রথম লাইন ‘মা তোমার এত রূপ, দেখিনি তো আগে’ । গানের প্রাথমিক সুরও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত প্রায় ৭-৮ বছর ধরে তিনিই লিখে আসছেন সুরুচির থিম সং। পুজোর সময় প্যান্ডেলের লাইনে দাঁড়ালেই লুপে চলতে থাকে সেই থিম সং। একাধিক নামজাদা শিল্পীরা যেমন শ্রেয়া ঘোষাল, শান , কুমার শানুরা এই গান গেয়েছেন। ‘পৃথিবীকে সুস্থ করতে প্লাস্টিক বর্জন করতে হবে’, এই বার্তাও দেবে সুরুচি সংঘের থিম।

7 months ago
Song: 'ও আন্তাভা' থেকে কপি করা আবার প্রলয়ের 'খেলা হবে'! রাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ

পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) আসন্ন ছবি 'আবার প্রলয়' (Abar Proloy) ওটিটি'তে মুক্তি পেতে চলেছে ১১ অগাস্ট। ইতিমধ্যেই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। একইসঙ্গে সিনেমার আইটেম সং 'খেলা হবে' গানের ঝলকও মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশী এবং সদ্য টলিউডে পা দেওয়া অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে দেখা যাবে এই গানে। তবে পুরো গানটি মুক্তি পাওয়ার আগেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

গানের ঝলক দেখেই নেটিজেনদের দাবি, নাচের স্টেপগুলি পুষ্পা সিনেমার 'ও আন্তাভা' থেকে কপি করা। প্রসঙ্গত 'ও আন্তাভা' গানটি সুপারহিট গানগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুকে দেখা গিয়েছিল এই গানে নাচতে। সেই নাচের ষ্টেপের পুনরাবৃত্তি দর্শক খুঁজে পেয়েছেন 'খেলা হবে' গানে। অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া সামাজিক মাধ্যমে গানের ঝলক শেয়ার করেছিলেন। সেই গানের কমেন্টে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'আবার সামান্থাকে কপি! নতুন কিছুর আশায় ছিলাম।'

View this post on Instagram

A post shared by Faria (@nusraat_faria)

রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত 'প্রলয়' ছবিটি বক্স অফিসে দারুন হিট করেছিল। 'আবার প্রলয়' যদিও মুক্তি পাবে ওটিটিতে। তবে সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বাড়ছে। অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তীর মতো অভিনেতাদের দেখা যাবে এই সিনেমায়। প্রযোজনার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি। ছবি মুক্তির দিন গোনা শুরু।



9 months ago


Jawan: মুক্তি পেল শাহরুখের 'জওয়ান' সিনেমার প্রথম গান 'জিন্দা বান্দা'

পাঠানের পর দর্শকদের জন্য আরও একটি সিনেমা নিয়ে তৈরী রয়েছেন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। তাঁর আসন্ন সিনেমার নাম 'জওয়ান'(Jawan)। পরিচালনায় রয়েছেন, দক্ষিণের তথা সর্বভারতের জনপ্রিয় পরিচালক এটলি। এর আগে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমার টিজার। সেই ঝলক দেখেই বোঝা গিয়েছিল পাঠানের মতোই ধামাকেদার সিনেমা হতে চলেছে জওয়ান। সিনেমার প্রথম গানেও সেই ঝলক পাওয়া গেল।

সোমবার মুক্তি পেয়েছে জওয়ান সিনেমার গান 'জিন্দা বান্দা'। যদিও গানের শুরুতে শাহরুখের সংলাপ শোনা গিয়েছে আবহে। কিং খান বলছেন, নীতিতে যখন আঁচ আসে, তখন এর সঙ্গে লড়াই করা জরুরি। পুরুষ যদি বেঁচে থাকে, তাহলে নজরে আসা জরুরি। যদি পুরুষ হয়, তাহলে যেন জীবিত হয়।' এরপর শুরু হয়েছে অনিরুদ্ধ সম্পাদিত গান। শাহরুখকে দেখা গিয়েছে, চেনা মেজাজে। সঙ্গে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী সানিয়া মালহোত্রা এবং প্রিয়ামণিকে।

ইতিমধ্যেই এই গান নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চর্চা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বড় পর্দায়, হিন্দি-তামিল ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি। অভিনেত্রী নয়নতারাকে দেখা যাবে কিং খানের বিপরীতে। ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাবে জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেতা বিজয় সেতুপতিকে। ছবিতে অবশ্য বিশেষ দৃশ্যে দেখা যাবে দীপিকা পাডুকোনকে। প্রিভিউ এবং প্রথম গান শুনে দর্শকের আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে।

9 months ago
Singer: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় হালফিলের গান প্রয়াত গায়কদের কণ্ঠে, ক্ষুব্ধ গায়কদের একাংশ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে কি না হয়! এতদিন মাত্র কয়েকটি ক্লিকেই সাধারণ মানুষের কল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছিল কম্পিউটারের পর্দায়। কখনও দেশের ধনীরা হয়ে উঠছেন বস্তির বাসিন্দা। কখনও জনপ্রিয় তারকারা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে খাবার বিক্রি করছেন আবার কখনও নিজের স্বপ্নের ঘর সাজিয়ে তুলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(AI)। এতদিন এই সবই হচ্ছিল ছবিতে। এবার অসম্ভব সম্ভব হচ্ছে কণ্ঠস্বরে।

অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া 'ও বেদরদেয়া' গানটি মুক্তি পেয়েছিল খুব বেশিদিন হয়নি। এদিকে বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কেকে এবং সিঁধু মুসাওয়ালা প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের কণ্ঠেই 'ও বেদরদেয়া' গানটি শোনা যাচ্ছে। অবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগে যে সবই সম্ভব তা বোঝা গিয়েছে আরও একবার। অন্যদিকে গায়ক আতিফ আসলাম ভারতে আর গান গান না, তাঁর গলাতেও শোনা গিয়েছে গানটি।

তবে বলিউডের মিউজিক ডিরেক্টর থেকে গায়ক কেউ এই বিষয়টি ভালো ভাবে নিচ্ছেন না। তাঁদের বক্তব্য এই যে, কোনও জীবিত গায়কের অনুপস্থিতিতে তাঁর কণ্ঠ ব্যবহার করা যাবে তা ভালো কথা। কিন্তু কোনও প্রয়াত গায়কের কণ্ঠস্বর এভাবে ব্যবহার করা একেবারেই উচিৎ নয়। গানের কপিরাইট বলতে আর কিছুই থাকছে না এতে।

10 months ago


Adipurush: আদিপুরুষ-এর নতুন চমক! মুক্তি পেল ছবির নতুন গান 'রাম সিয়া রাম'

১৬ জুন মুক্তি পেতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'আদিপুরুষ' (Adipurush)। ওম রাউত (Om Raut) পরিচালিত এই ছবি নিয়ে বিতর্ক-সমালোচনা কিছু কম হয়নি। তবে সেসবকে সঙ্গী করেই মুক্তি পেতে চলেছে 'আদিপুরুষ'। তবে এই ছবি নিয়ে একাধিক সমালোচনা থাকলেও দর্শকদের মন ছুঁয়েছে ছবির গানগুলো। প্রথমে মুক্তি পেয়েছিল 'জয় শ্রী রাম' গানটি। আর এবারে প্রকাশ্যে এল নতুন গান 'রাম সিয়া রাম' (Ram Siya Ram)। আর এই গান মন জুড়িয়ে যাওয়ার মতো একটি গান, যা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের ২৯ মে, সোমবার মুক্তি পেয়েছে এই গান।

এই নিয়ে আদিপুরুষ-এর দ্বিতীয় গান মুক্তি পেল। এই গান গেয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সচেত ও পরম্পরা ট্যান্ডন। এই গান মুক্তি পেতেই তোলপাড় নেটদুনিয়া। মাত্র কিছু ঘণ্টার মধ্যেই এই গানে ভিউ এসেছে ১০ লক্ষের বেশি। গানটিতে রাম ও সীতার প্রেমকাহিনী দেখানো হয়েছে। তার সঙ্গে চোখধাঁধানো ভিএফএক্স ও সিনেমাটোগ্রাফি মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। এই গান মুক্তি পেতেই  নেটিজেনরা কেউ লিখেছেন, 'এই গানটিই এই ছবির আত্মা।'

রামায়ণের কাহিনি অবলম্বনে আদিপুরুষ ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক ওম রাউত। ছবিতে শ্রীরামের চরিত্রে রয়েছেন বাহুবলী খ্যাত তারকা প্রভাস। সীতার ভূমিকায় কৃতি স্যানন এবং লক্ষ্মণের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা সানি সিংকে। রাবণ লঙ্কেশের ভূমিকায় নজর কাড়বেন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। আদিপুরুষ-এর টিজার একাধিক সমালোচনার কেন্দ্রে থাকলেও এর ট্রেলার, গানগুলো দর্শকের মন জয় করেছে। এখন এই ছবি মুক্তির আশায় বসে রয়েছেন প্রভাস ও কৃতির অনুরাগীরা।

11 months ago
Adipurush: মুক্তি পেল 'আদিপুরুষ' ছবির নতুন গান 'জয় শ্রী রাম'

বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'আদিপুরুষ' (Adipurush) খুব শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে। রামায়ণ-কে নতুন আদলে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক ওম রাউত (Om Raut)। এই ছবিতে দেখা যাবে অত্যাধুনিক ভিএফএক্স ও টেকনোলজি। যদিও ছবির টিজার নিয়ে সমালোচনার শেষ ছিল না। কিন্তু ট্রেলার মুক্তির দিন দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেয় এই ছবি। আর এবারে অবশেষে মুক্তি পেল নতুন গান 'জয় শ্রী রাম' (Jai Shri Ram)। গান মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এর ভিউ বেড়েই চলেছে।

View this post on Instagram

A post shared by Prabhas (@actorprabhas)

শনিবার আদিপুরুষ-এর এই প্রথম গান মুক্তি পেল। মুক্তির সঙ্গেই এই গান দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালয়ালম ও কন্নড় একাধিক ভাষায় মুক্তি পেল 'জয় শ্রী রাম' ট্র্যাক। গানটি পরিচালনা ও গেয়েছেন অজয়-অতুল। লিখেছেন মনোজ মুনতাশির। গানের ভিজ্যুয়াল প্রকাশ্যে আসার পরই কুড়িয়েছে প্রশংসা। কয়ের মিনিটের এই গান তো বটেই সঙ্গে গানের ভিজ্যুয়ালের দ্বারা আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এক অন্য জগতে।

ওম রাউতের পরিচালনায় প্রথমবার বড় পর্দায় জুটি বাঁধছেন প্রভাস আর কৃতি শ্যানন। রাম-সীতার ভূমিকায় এই তারকা যুগলকে দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে বসে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। তার আগে ছবির সংগীত পরিচালক অজয়-অতুল ভক্তদের জন্য নিয়ে এসেছেন এই মন ছুঁয়ে যাওয়া গান।

11 months ago
Police: পুলিসের হাতে বন্দুকের বদলে গিটার! তাঁর গান শুনে মুগ্ধ নেট দুনিয়া

কে বলে পেশার পাশাপাশি শখ পূরণ হতে পারে না! পেশা ও শখ একসঙ্গে হতে পারে না, এই কথাকে ভুল প্রমাণ করে দিল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। কারণ সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দিল্লি পুলিসের কিছু কর্মী দিল্লির সুন্দর আবহাওয়া উপভোগ করতে গানে মেতে উঠেছেন। এক পুলিস কর্মীর হাতে বন্দুকের বদলে দেখা গেল গিটার। আর অন্যরা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন। পুলিস কর্মীর গলায় গান শুনে মুগ্ধ। তবে গান তো সবাই করে, এই পুলিস কর্মীর কন্ঠস্বর সত্যিই প্রশংসনীয়। ফলে নেটাগরিকরাও তাঁর প্রশংসা করেছেন।

View this post on Instagram

A post shared by Rajat Rathor (@rajat.rathor.rj)

কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে বৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে দিল্লির আবহাওয়া মনোরম। ফলে এই আরামদায়ক আবহাওয়াকে উপভোগ করতে গান-বাজনা করতে শুরু করেছেন। জানা গিয়েছে, যিনি গান করছেন তাঁর নাম রজত রাঠোর। তিনিই এই ভিডিও তাঁর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে লিখেছেন, যখন নিজের দায়িত্ব ও প্যাশনকে সমানভাবে কেউ ভালোবাসে।' ভিডিওতে তাঁকে সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের গান 'তেরে হোনে লাগা হুঁ' গাইতে দেখা যায়। নেটিজেনরা জানিয়েছেন, তাঁর কন্ঠস্বরের প্রেমে পড়ে গিয়েছেন তাঁরা।

12 months ago


Irfan: ইরফান খানের মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই মুক্তি পাবে তাঁর শেষ অভিনীত সিনেমা

বলিউড সিনেমা জগতের অন্যতম জনপ্রিয় নক্ষত্র ইরফান খান (Irfan Khan)। তাঁর অভিনয় দর্শকরা আজও মুগ্ধ চোখে দেখে। এখনও দর্শকরা বিশ্বাস করেন ইরফান খানের মতো সাবলীল-সুন্দর অভিনেতা হিন্দি সিনেমার জগতে কম আছে। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে ২০২০ সালে প্রয়াত হন ইরফান। আজও দর্শক সেই শোক ভুলতে পারেননি। ইরফান প্রয়াত হওয়ার আগেই 'দা সং অফ স্করপিয়ন্স' (the song of scorpions) ছবিতে কাজ করছিলেন। ইরফানের শেষ ছবি হিসেবে সেই সিনেমা এবার মুক্তি পেতে চলেছে বড় পর্দায়।

সেই সিনেমায় ইরফানের সহ অভিনেতা তিলোত্তমা সোম একটি পোস্টার ছবি আপলোড করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'ভালোবাসা, প্রতারণা এবং একটি গান।' অভিনেত্রী ট্রেলার মুক্তির সুখবরও দিয়েছিলেন ওই পোস্টে। এই সংবাদে ভীষণ খুশি ইরফান ভক্তরা। এক নেটিজেন লিখেছেন,'অবশেষে। এই সিনেমার অপেক্ষায় ছিলাম অনেকদিন।'

ইরফান পুত্র বাবিলও এই সিনেমা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। বাবা অভিনীত শেষ ছবির ট্রেলার নেট মাধ্যমে শেয়ার করে বাবিল লিখেছেন, 'ভালোবাসা, আবেশ এবং প্রতারণার হৃদয়ে মোচড় দেওয়া একটি জলজ্যান্ত সিনেমা আসতে চলেছে।' ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অবশ্যই রয়েছেন ইরফান খান। বিপরীতে দেখা যাবে গলশিফতেহ ফারাহানিকে। পর্দায় এঁদের রসায়ন দেখতে অধীর আগ্রহে রয়েছেন নেটিজেনরা।  ২৯ এপ্রিল ইরফান খানের মৃত্যুদিন। তার ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল মুক্তি পাবে 'দা সং অফ স্করপিয়ন্স'।

12 months ago
Mithila: 'প্রেমে পড়া বারণ', মিথিলার বাংলা গান ভাইরাল নেট দুনিয়ায়

নতুন প্রজন্মের কাছে মিথিলা পালকর (Mithila Palkar) চেনা মুখ। বেশ কয়েকটি ইউটিউব সিরিজে কাজ করেছেন। ওটিটিতেও অভিনয় করেছেন। ইরফান খান, দলকির সলমানের সঙ্গে 'কারওয়া' ছবিতে কাজ করেছিলেন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে বলিউড ছবি 'ত্রিভঙ্গ'তে। সিনেমায় কাজলের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। মিথিলার মিষ্টত্ব বেশ মনে ধরেছে দর্শকদের। তাঁর কোঁকড়ানো চুলে যেন ঢেউ খেলে যায় কত হৃদয়। এবার বাংলা গান গেয়ে আবারও মন জয় করলেন মারাঠি কন্যা।

নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন মিথিলা। সেখানে দেখা গিয়েছে তিনি গান গাইছেন। তাও আবার বাংলা গান। টলিউডের 'সোয়েটার' সিনেমার 'প্রেমে পড়া বারণ' গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। মিথিলা সেই গানটিই গেয়েছেন। মারাঠি কন্যা বাংলা গানটি যে বেশ মন দিয়ে শিখেছেন তা শুনেই বোঝা গিয়েছে। সেলফি ক্যামেরায় নিজেই ভিডিও বন্দি করেছেন গানটি। তাঁর বাঙালি ভক্তরা ইতিমধ্যেই গানটি শেয়ার করতে শুরু করেছেন নেট মাধ্যমে।

View this post on Instagram

A post shared by Mithila Palkar (@mipalkarofficial)

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বাংলা গান গেয়েছেন মিথিলা। 'অন্তহীন' ছবির 'ফেরারি মন' গেয়ে আপলোড করেছিলেন কোনও এক বৃষ্টির দিনে। লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া বাংলা গান, 'না যেও না-রজনী এখনও বাকি' গানটিও আয়ত্ত করে ফেলেছেন মিথিলা। সেই গানও শুনেছেন তাঁর ভক্তরা।  এবার তাঁর 'প্রেমে পড়া বারণ' শুনে যেন আরও বেশি করে প্রেমে পড়ে যাচ্ছেন দর্শকেরা। গানের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি কলকাতা আসার সুখবর দিয়েছেন মিথিলা।

one year ago


Viral: উত্তরপত্রজুড়ে বলিউডি গান, শিক্ষকের রিমার্কস আরও চমকপ্রদ

পরীক্ষা দিতে বসে মাথায় কোনও না কোনও গানের সুর ঘোরাফেরা করে, এই কথাটা অস্বীকার করার মতো মানুষ খুবই কম। কারণ এমনটা প্রায় সবারই হয়ে থাকে। এবার এমনই এক ছাত্রকে দেখা গেল, যার পরীক্ষা দেওয়ার সময় বলিউডের গান তো মাথায় ঘুরছিলই, এমনকি তিনি উত্তরপত্রে সেটি লিখে দিয়ে গিয়েছেন। তবে শুনলে অবাক হবেন, ছাত্রের এমন কাণ্ড দেখে শিক্ষকও লিখেছেন, 'তুমি আরও উত্তর (গান) লিখতে পারো।' ইতিমধ্যেই এই উত্তরপত্রের ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে।

View this post on Instagram

A post shared by CHANDIGARH UNIVERSITY MEMES (@cu_memes_cuians)


এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এই উত্তরপত্র চন্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। তিনি সেই উত্তরপত্রে পেয়েছেন শূন্য। কারণ তিনি মাত্র ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। কিন্তু তাতেও লিখেছেন বলিউডের গান। প্রথম প্রশ্নের উত্তরে লেখেন, 'থ্রি ইডিয়টস' ছবির 'গিভ মি সাম সানসাইন'-এর কিছু লাইন। এরপর দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে গান বাদ দিয়ে শিক্ষকের উদ্দেশে লিখেছেন, 'আপনি খুব ভালো মানুষ। আমি এত কঠিন কাজ করতে পারি না, তা আমার অক্ষমতা। ভগবান! আমাকে বুদ্ধি দাও।' তারপরেই তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে আবার আমির খানের ছবির গান বেছে নেন পড়ুয়া। 'পিকে' ছবির গান 'ভগবান হ্যাঁ কাঁহা রে তুঁ' গানের কিছু লাইন লিখেছে তিনি।

এরপর শিক্ষকের মন্তব্য দেখেও অবাক নেটদুনিয়া। তিনি লিখেছেন "You should write more answers (songs)"। এই মন্তব্য তিনি রেগে নাকি মজা করে লিখেছেন, তা বোঝা যায়নি। তবে এই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করার পরেই এতে ৪ লক্ষের উপরে ভিউ এসেছে। কমেন্ট সেকশনে বয়ে চলেছে ঠাট্টা-মশকরায় ভরা মন্তব্য।

one year ago
Special story: লালনের চোখে 'মনের মানুষ' (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: গানের মধ্যে দিয়ে সৃষ্ট আনন্দ, অন্তরের অন্দরমহলে 'ফানা'কে প্রতিষ্ঠিত করে। সাঁই-দরবেশরা ঈশ্বরের অচিন্ত্যনীয় সত্তার মধ্যে মিশে যায়, পরিভাষায় তা হলো ফানা। আসলে সঙ্গীতময় মিলন সত্যই হলো সুফীতত্ত্বের 'সামা'। বাউল কবিদের ভাষায়- 'আমি কোথায় পাব তারে/ আমার মনের মানুষ যে রে/ হারায়ে সেই মানুষে- তার উদিশে/ দেশবিদেশে বেড়াই ঘুরে।' কিন্তু লালনের বড় দুখ। কারণ লালনের কথায়- 'আপনারে আপনি চিনি নে'/ দীন দনের পর যার নাম অধর/ তারে চিনবো কেমনে।

এই 'আপনারে আপনি চেনা' ফ্রয়েডিয় মনোবিজ্ঞানের আত্মরতি নয়, তার কারণ এই আপন কিন্তু সেই চিদানন্দস্বরূপ অংশকলা। মায়ার ঘোরে চোখ বোজা থাকলে সাঁইয়ের রুপ চেনা যায় না। অথচ সাঁই এবং লালন এক জায়গাতেই থাকেন, তবু তাদের মধ্যে লক্ষযোজন দূরত্ব।

'মনের মধ্যে মনের মানুষ করো অন্বেষন'-এটাই বাউল দর্শনের মর্মবানী। এই অন্বেষনেরই কথা আমরা রবীন্দ্রনাথের গানেও পাই। সেদিক থেকে রবীন্দ্রনাথও বাউল, রবি বাউল। রবি বাউল মনের মানুষকে চিহ্নিত করেছেন প্রাণের মানুষ রুপে।

বাউলদের মানুষতত্ত্ব ঠিক মানবতত্ত্ব নয়। মানুষ বলতে বাউলরা যা বোঝেন তা মানব নয়। মানুষ অচিন পাখির মতো খাঁচার ভেতর আসা যাওয়া করে। আরশী নগরে পড়শীর মতো বসত করে। বাউলরা মানুষকে যে স্থান দেয় তা অন্যরা দেয় ভগবানকে। লালন যেখানে শ্রেষ্ঠ, সেখানে তিনি মিষ্টিক। তাঁর কথাগুলো সহজ, কিন্তু তিনি যা বলতে চান তা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

লালনের মনের মানুষ, গগন হরকরার মনের মানুষ, রবীন্দ্রনাথের প্রাণের মানুষ, হাসন রাজার অন্তরিয়া, প্রকৃতপক্ষে একই। লালনের মনের মানুষের এই যে অন্বেষন, কোথায় যেন আমাদের জীবনের অনুসন্ধান হয়ে দাঁড়ায়।

one year ago
Lalon: লালনের চোখে 'মনের মানুষ' (প্রথম পর্ব)

সৌমেন সুর: গৌড়ীয় বৈষ্ণবমত, সুফী মার্গ এবং সহজিয়া পথ--এই তিন ধারাতেই লালনের অভিষেক ছিল বলেই তাঁকে কোন একটি ধারায় চিহ্নিত করা যায় না। লালন ছিলেন একজন উচ্চাঙ্গের সাধক। তাঁর সম্বন্ধে বলা হয়, 'আউল বাউল দরবেশ সাঁই/ লালন সাঁইয়ের উপরে আর নাই।' লালনের গানে আমরা পাই- 'সব লোকে কয়, লালন কি জাত সংসারে/ লালন বলে, জাতের কিরুপ, দেখলাম না এই নজরে...।' বাউলের কাছে দেহভান্ডই হলো ব্রক্ষ্মান্ড। এই দেহ মন্দিরেই তাদের মনের মানুষ। জড় দেহের মধ্যে কীভাবে চিদানন্দময় অনন্তের স্বাদ পাওয়া যায়, বাউলরা তারই সন্ধান করেন। এই অধরা মনের মানুষকেই তাঁদের দেবতা জ্ঞান করেন, যিনি কোনও মন্দিরে বা মসজিদে থাকেন না, বাউলদের বানীই হলো- 'এই মানুষে আছে সেই মানুষ।' কিন্তু লালনের জীবনে 'এই মানুষে সেই মানুষের দর্শন লাভ অর্থাৎ অন্বেষন সম্পূর্ন হয়নি। তাঁর আত্মা অপরিতৃপ্ত।'

বাউলরা বেদ মানে না, কোরান মানে না, মন্দির মসজিদ মানে না, পূজা-পার্বন মানে না, রোজা নামাজ মানে না। দেবদেবী, অবতার, পয়গম্বর মানে না। এমনকি ঈশ্বর, আল্লাকেও ডাকে না। তাই বলে বাউলরা নিরশ্বরবাদী নয়। তাদের যিনি সাঁই তিনি অলখ মানুষ। সকলের অন্তরেই তিনি রয়েছেন। অন্তরেই তাঁকে পাওয়া যায়। লালন একেই মনের মানুষ বলেছেন।

মরমীয়া সাধক কবি হাসন রাজারও একই রকম উপলব্ধি হয়েছিল। একটা কিছু তাঁর সামনে ছিল, যা তিনি ধরেও ধরতে পারতেন না, তাকেই হাসন রাজা অন্তরিয়া বলেছেন। রবীন্দ্রনাথের উপলব্ধিও একই ছিল। আসলে সাঁই-দরবেশের 'অহং' বোধ থাকে না। তারা ঈশ্বরের অচিন্তনীয় সত্ত্বার মধ্যে নিমজ্জিত হন। এই মিশে যাওয়ার পরিভাষা হলো 'ফানা'। 'ফানা' না হলে অটল প্রাপ্তি হয় না। আর প্রেমিক ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়াকে সামা বলে। এই মিলিত হওয়াকেই বাউলতত্ত্বে বলা হয় চাঁদের গায়ে চাঁদ লাগা- এটি সম্ভব নৃত্যগীতের মাধ্যমে।

one year ago


Special: প্যারোডি গান হারিয়ে গেল(শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: রঞ্জিতবাবু রবীন্দ্রনাথকে বিনম্র প্রণাম জানিয়ে বললেন,'কাজী নজরুল ইসলাম একটা খুব অন্যায় কাজ করে ফেলেছেন। তিনি আপনার 'নমো হো নমো' গানটির অনুকরনে একটি হাসির গান লিখে ফেলেছেন। আর তার থেকেও বেশি অন্যায় করে ফেলেছি আমি নিজে। আমি গানটি রেকর্ড করে ফেলেছি। অন্যায় জেনেও গানটি একবার শোনার অনুরোধ করছি। যদি মনে করেন তবেই অনুমোদন দেবেন।'

কবিগুরু গানটি চালাতে বললেন। শুনতে শুনতে কবির মনে কৌতুক প্রকাশ হল। আবার চালাতে বললেন। এবার শোনার পর বললেন,'অনুমতি দিতে পারি একটা শর্তে। বার্তাটি হল তিনটে রেকর্ড দিতে হবে।' সবাই শুনে হেসে ফেললেন। এভাবেই জন্ম হল প্যারোডি গানের। যাত্রা শুরু হল সেই তখনই। এরপর এই কাজে এগিয়ে আসেন তৎকালীন দুই কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক ও সতীশ ঘটক। সতীশ ঘটক কবিগুরুর একটি গান, 'তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী'র অনুসরণ করে লেখেন, 'তুমি কেমন করো পান করো হে চুনি'। আর কুমুদরঞ্জন মল্লিক রবিঠাকুরের 'সে যে কাছে এসে' এই রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুসরনে লেখেন, 'আমার পাকার যখন কথা ছিল।' কিন্তু দু'জনের কারও অনুমতি পাওয়া হল না, কারণ গুরুদেব প্রয়াত হন।

মিন্টু দাশগুপ্ত ও দীপেন মুখোপাধ্যায় দু'জনেই অপেক্ষা করে বলেন, বিচিত্রানুষ্ঠানের স্বাদ বদলের জন্য থাকতো প্যারোডি গান, হাস্যকৌতুক, মুকাভিনয়, আবৃত্তি ইত্যাদি। কিন্তু হঠাৎ করেই এগুলো সব হারিয়ে গেল। দীপেনবাবুর কথায় 'লক্ষ্য করে দেখবেন জীবনমুখী, ব্যান্ডের নামে যেসব গান হচ্ছে তার অনেকগুলোই প্যারোডি। পাতালঘর ছবিতে খরাজ মুখার্জির গানটার কথা ভাবুন। তাহলে আমাদের বেলায আপত্তি কেন!'

সবশেষে বলতে হয়, বর্তমানে হাসি জীবন থেকে প্রায় উঠে গিয়েছে। সেখানে যদি প্যারোডি গান হাসির মোড়কে জীবন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরা যায়-তাতে ফল ভালো ছাড়া খারাপ কোথায়! আশা করছি-আবার যেন বাজারে প্যারোডি গানে রমরমিয়ে ওঠে। তথ্যঋন- দীপক মজুমদার।  (সমাপ্ত) 

one year ago
Special: প্যারোডি গান হারিয়ে গেল(প্রথম পর্ব)

সৌমেন সুরঃ প্যারোডি গানে একমসয় দর্শককে মাতিয়ে রেখেছিলেন শিল্পী মিন্টু দাশগুপ্ত, দীপেন মুখোপাধ্যায়, রঞ্জিত রায়, অমল চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। মিন্টুবাবুর গলায় বিষাদের সুর, 'আমাদের গান শেষ হয়ে গেল।' তাঁর আক্ষেপ যে ভুল নয় আজকের সংগীত জগতের দিকে তাকালে তা মর্মে-মর্মে টের পাওয়া যায়। নতুন প্রজন্মের এই ধরনের গানের ব্যাপারে তেমন কোনও আগ্রহ নেই।

প্যারোডি গান মিন্টুবাবুর হাত ধরে আসেনি। ওর মতে এ ধরনের গান-এর স্রষ্টা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ বেশ কিছু হাসির গান লিখেছেন। কাজী নজরুল ইসলামও পিছিয়ে নেই। ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দও অবশ্য গান ভেবে লেখেননি। লিখেছেন কবিতা। সেই কবিতায় দুর্দান্ত সুরের মায়াজালে সনৎ সিংহের গাওয়ার গুনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্যারোডি গানের আলোচনা করতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের রচনাতেই। রবীন্দ্রসংগীতের প্যারোডি করেন স্বয়ং কাজী নজরুল।

তিনি রবীন্দ্রসংগীতের আদলে একটি গান লেখেন। জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত 'আমায় ক্ষমো হে ক্ষমো, নমো হে নমো'-র অনুকরণে নজরুল লেখেন, 'একবার নাম হে নাম।' নজরুলের বাড়িতে প্রায়ই গানের আড্ডা বসতো। সেই আড্ডায় রঞ্জিত রায়ও থাকতেন। যিনি একাধারে অভিনেতা ও গায়ক। গান গাইলেও তিনি মূলত ছিলেন হাসির গানের শিল্পী। একবার 'নাম হে নাম' গানটি শুনে তিনি ঠিক করেন গানটি রের্কড করবেন। করলেনও এবার প্রকাশ হবে কীভাবে। রবীন্দ্রগানের অনুকরণ যেহেতু, তাই গুরুদেবের অনুমতির প্রয়োজন। ঠিক হলো জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যাওয়ার। রঞ্জিতবাবু এইচএমভি রিজিওন্যাল ম্যানেজার হেম সোমকে সঙ্গে নিলেন। যথারীতি প্রণাম ও আলাপ পর্ব শেষে রঞ্জিতবাবু আসল কারণটাই নিবেদন করলেন বিনীতভাবে। (চলবে) তথ্যঋণ/ দীপক মজুমদার।

one year ago