
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার শীতলা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম মালা বোস এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম সমীর মণ্ডল। পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী। অভিযোগ, প্রায়শই মদ্যপান করে মালা বোসের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত তাঁর স্বামী সমীর মণ্ডল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মালা বোস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার কারণে মালা তাঁর বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ মালা বোসের বাপের বাড়ি গিয়ে তাঁকে বাইরে বেরতে বলেন তাঁর স্বামী। তারপর স্ত্রী বাড়ির বাইরে বেরোতেই শুরু হয়ে যায় কথা কাটাকাটি। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ছুরি নিয়ে স্বামী সমীর মণ্ডল তাঁর স্ত্রী মালা বোসের উপর হামলা চালান। চিৎকার শুনে বাইরে আসতেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত স্বামী। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালা বোসের। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে এবং থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্ত্রীকে খুন করে পালালেও মঙ্গলবার সকালেই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিস। ধৃতকে এদিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি হওয়ার ছয়দিনের মাথায় ঘটনার কিনারা করল পুলিস। ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৩ই অক্টোবর। উদ্ধার করা হয়েছে সোনা ও রুপোর গহনা এবং নগদ টাকা। গ্রেফতার পাঁচ দুষ্কৃতী ও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সহ মোট ছয় জন।
শুক্রবার বারুইপুর পুলিস সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালী সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, সোনারপুরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ দুষ্কৃতীকে। তাদেরকে জেরা করে কুলতলির মহিষমারি এলাকা থেকে সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি হওয়া অভিযুক্ত এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও সোনারপুর থানার পুলিস। ধৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম বিদ্যুৎ।
সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে প্রথমে একটি বাইক চিহ্নিত করে পুলিস এবং পরে ওই বাইক চিহ্নিত করে ডাকাত দলকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিস। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং আট রাউন্ড তাজা কার্তুজ। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৪০ গ্রাম সোনা, ১০০ গ্রাম রুপোর গহনা সহ নগদ ৩০ হাজার টাকা।
নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্য়ু ঘিরে চাঞ্চল্য়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সোনারপুরের বনহুগলী এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম তাপস বিশ্বাস। ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবারের লোকজন। সেই ক্ষোভে পরিবারের সদস্য়রা ভাঙচুর চালায় ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে সোনারপুরের চৌহাটি এলাকার বাসিন্দা তাপস বিশ্বাস মানসিক অবসাধে ভুগছিলেন। তারপর তাঁকে দিন ১৫ আগে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এদিন ভোর রাতে হঠাৎ তাঁর শরীর খারাপ করে। তারপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় ওই নেশমুক্তির কর্তৃপক্ষ। সেখানে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার খবর মৃতের পরিবারকেও দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের লোকজন এসে ভাঙচুর চালায় ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে। প্রায় ৬০ জনের বেশি মানুষ চিকিৎসার জন্য আছেন। ১০ জনের মত মহিলাও চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার জেরে সকলেই আতঙ্কিত।
ভিনরাজ্য়ে কাজ করতে গিয়ে এবার মৃত্য়ু হল এক মহিলা শ্রমিকের। অসুস্থ আরও ১২ জন মহিলা শ্রমিক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রুবী কুমারী। ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। সোনারপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর এলাকার একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। অনান্য় মহিলা শ্রমিকদের অভিযোগ, বারংবার অসুস্থতার কথা জানালেও ছুটি দিত না তাঁদের। এই ঘটনার প্রতিবাদে কারখানায় ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অন্যান্য শ্রমিকরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সোনারপুর থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা গিয়েছে, বিগত চারদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন রুবী কুমারী৷ বমি, কাশী সহ একাধির শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাঁর৷ অভিযোগ, তিনি বারংবার ছুটির কথা জানালেও তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়নি৷ এমনকি কোনওরকম চিকিৎসাও করানো হয়নি বলে অভিযোগ৷ অসুস্থতার মধ্যেও তাঁকে কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন সুলোচনা কুমারী ও সংগীতা কুমারী৷ কারখানার হোস্টেলে থাকতেন রুবী৷
যদিও কারখানার কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছেন৷ কারখানার ম্যানেজার বিশ্বরঞ্জন মিশ্রের দাবি, তাঁর কাছে কোনও ছুটি চাওয়া হয়নি৷ এদিন শরীর খারাপের কথা জানতে পারেন তিনি৷ এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিস৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় টানা পোড়েন। যার ফলে অকালে ঝরে গেল একটি জলজ্যান্ত প্রাণ। এই ঘটনায় ওই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম পিঙ্কি মাইতি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।
জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী পিঙ্কি মাইতির সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হয়েছিল সোনারপুরের যুবক ঈশান দাসের। তারপরেই প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয় তাঁরা। তিনমাস আগে পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঈশানকে বিয়ে করেছিল পিঙ্কি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কির উপর শুরু হয় অত্যাচার। এরপর হঠাৎই পিঙ্কির দিদির কাছে ফোন আসে যে, তাঁর বোন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে পিঙ্কি। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে তাঁর।
এই ঘটনায় ঈশান সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় সোনারপুর থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঈশানকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।
সিসিটিভির সূত্র ধরে সোনারপুরে (Sonarpur) বাইক চুরি (Bike Theft) চক্রের হদিশ পেল সোনারপুর থানার পুলিস। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বাইক। ধৃতরা বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিসের। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে সোনারপুর থানার পুলিস জানিয়েছে।
সোনারপুর থানা এলাকার হরিনাভীর বাসিন্দা বিধান দেবনাথ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক চুরি হয়ে যায়। ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরাও পড়ে। তিনি চোরকে চিনহিত করতে পারেন। এরপর রাতে দোকান বন্ধ করার পর সেই চোরকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে বুধবার পাকড়াও করে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিস এসে তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শানু দেবনাথ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতে বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মিলন মাঝি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বারুইপুর পুলিস জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্ত্রীকে খুন করে ডোবায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর (Sonarpur) চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পুলিস সূ্ত্রে খবর, মৃতার নাম তরুণা খাতুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় নিয়ে যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
মৃতার পরিবার জানিয়েছে, গত পাঁচ বছর আগে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালাগজের তরুণা খাতুনের সঙ্গে চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাগির বস্তির ফরিদ হোসেনের বিবাহ হয়। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মেয়ে হওয়ার পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। এই বিবাদের বিষয় নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশিও হয়েছে। এমনকি অভিযোগ জানানো হয় চোপড়া থানাতেও। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তরুণার ছোট বোনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তারপর থেকে তরুণা নিখোঁজ। আর কোনও যোগাযোগ হয়নি তাঁর।
এরপর রবিবার সকালে জাগির বস্তিতে ফরিদ হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন একটি ডোবায় তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর খবর দেওয়া হয় মৃতার পরিবারের লোকজন এবং চোপড়া থানায়। এই ঘটনা শোনামাত্রই মৃতার পরিবারের লোকজনেরা চোপড়া থানায় এসে অভিযুক্ত ফরিদ হোসেনের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। বেশ কিছুক্ষণ চোপড়া থানায় বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিজনেরা। বর্তমানে তরুণা খাতুন দু'মাসের গর্ভবতী ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজনেরা। কন্যা সন্তান হওয়ার কারণেই স্ত্রীকে খুন করে
ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের।
সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে অজ্ঞাতপরিচিত এক তরুণীর অর্ধনগ্ন পচাগলা দেহ (Dead Body) উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর (Sonarpur) থানার প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুস্তিয়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনারপুর থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে মৃতার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলকার বাচ্চারা খেলাধূলো করার সময় ওই নির্মীয়মান বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ অনুভব করে। এমনকি সেপটিক ট্যাঙ্কের উপরে প্রচুর মাছি উড়তে দেখে এলাকাবাসীদের বিষয়টি জানায়। তারপরেই বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী এসে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে দেখলে সেখানে ওই মহিলার দেহটি দেখতে পান। ঠিক এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে।
রাজ্য পঞ্চায়েতের পুনর্নির্বাচন চলাকালীনই ৮ জন বাইক চোরকে (Bike Theft) গ্রেফতার (Arrest) করলো সোনারপুর (Sonarpur) পুলিস (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। ধৃতদের থেকে মোট ৯টি বাইক ও দুটি বাইকের পার্টস উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ৮ জন বাইক চোরের নাম রাহুল দেব (১৯), ধ্রুব বিশ্বাস (১৮), সারবন চৌধুরি (১৮), বাসুদেব মণ্ডল (১৯), তুফান গাজী (৪৫), নাজবুল হোসেন (২৩), রাহুল গায়েন (২৩) ও পিন্টু হালদার (৩৪)। ধৃতদের অধিকাংশই রায়দিঘী ও মথুরাপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজপুর, সোনারপুর এলাকার ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নানান জায়গা থেকে বাইক চুরির অভিযোগ দায়ের হচ্ছিল সোনারপুর থানায়৷ একাধিক বাইক চুরির অভিযোগ পেয়ে সোনারপুর থানার পিসি ইনচার্জ অর্ঘ্য মণ্ডলের নেতৃত্বে তৈরি করা একটি টিম ওই এলাকাগুলিতে নজরদারি শুরু করে৷ তারপরেই অভিযুক্তদের হদিস পায় পুলিস।
বারুইপুর জেলা পুলিসের ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধৃতরা চুরি করার জন্য সোনারপুরের সুভাসগ্রাম এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেয়৷ শুধু তাই নয় ধৃতদের প্রত্যেকেই গাড়ির গ্যারেজে আগে কাজ শিখেছে, কিভাবে গাড়ির পার্টস খুলতে হয়। তারপরেই বাইক চুরি করার কাজ শুরু করে তারা। প্রথমে ধৃতরা বাইকটি চুরি করতো। তারপরে সঙ্গে সঙ্গে বাইকের নম্বার প্লেট বদলে দিত। এমনকি বাইকের সমস্ত পার্টস খুলে বিক্রিও করে দিত তারা। এইভাবেই দিনের পর দিন অনায়াসে চুরির কাজ করে গিয়েছে অভিযুক্তরা।
শিয়ালদহ দক্ষিণ (Sealdah South) শাখায় ওভারহেডের (OverHead) তার ছেড়ে বিপত্তি। যার জেরে দীর্ঘক্ষন ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার বিকেল পাঁচটা দশের সময় সোনারপুর (Sonarpur) ও নরেন্দ্রপুর স্টেশনের মধ্যেখানে ওভারের তার ছিড়ে যায়। এর ফলে সব স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ওই শাখার ট্রেন গুলি। অফিস ফেরৎ সময় এমন ঘটনায় রীতিমত বিপাকে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এ ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি রেলের তরফে তাঁর সারাইয়ের কাজ শুরু করে রেল কর্মীরা। ওদিকে জনজোয়ার সৃষ্টি হতে থাকে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায়। প্রায় দেড়ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যে সাড়ে ছটায় ফের ওই শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়া বিপত্তি হয়েছিল। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।'
তিন বছর পর সিআইডির (CID) তৎপরতায় বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ টুম্পার মৃতদেহ (Dead Body)। ২০২০ সালে হঠাৎ নিখোঁজ হন টুম্পা মণ্ডল। তারপরেই সোনারপুর (Sonarpur) থানায় টুম্পার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই টুম্পা মণ্ডলের স্বামী ভোম্বল মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিস (Police)। এরপরেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে টুম্পার খোঁজ করছিল পুলিস। তবে তখন তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় তখন আদালতে জামিন পেয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ঘটনার তদন্তভার নিয়ে অভিযুক্ত স্বামী ভোম্বল মণ্ডলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে সিআইডি। সিআইডির জেরার মুখে পড়ে স্ত্রী টুম্পা মণ্ডলকে খুন করার কথা স্বীকার করল অভিযুক্ত স্বামী। দীর্ঘ জেরার পর অভিযুক্ত ভোম্বল জানান, সোনারপুরের মিলনপল্লীতে ভাড়ার বাড়িতে থাকার সময় ২০২০ সালে স্ত্রীকে খুন করে সে। তারপরে ওই ভাড়া বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কে দেহটি ফেলে প্রমাণ লোপাট করে বলে স্বীকার করে অভিযুক্ত। ধৃতের বয়ান অনুযায়ী ওই ভাড়া বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্বার করে সিআইডি।
এই ঘটনায় ওই বাড়িওয়ালা জানান, লকডাউনের সময় স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নেয় ভোম্বল মণ্ডল। কিছুদিন থাকার পরই তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তার বেশ কিছুদিন পরে ভোম্বলের এক আত্মীয় বাড়ির বকেয়া ভাড়া মিটিয়ে ওদের ঘরের মধ্যে থাকা সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে যান।
ফিল্মি কায়দায় অটো চুরির ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের জয়নগরে। ঘটনার তদন্তে নেমে বারুইপুর পুলিস ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬টি অটো। পুলিস সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীরা যাত্রী সেজে প্রথমে অটো রিজার্ভ করত। তারপর অটোতে কিছু সামগ্রী তোলার নাম করে অটোর ড্রাইভারকে নিয়ে যাওয়া হতো অটোর থেকে কিছুটা দূরে।
তার মধ্যেই অন্য এক ব্যক্তি এসে অটোর নিয়ে চম্পট দিতেন। এভাবেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মেটিয়াবুরুজ, জয়নগর, মন্দিরবাজার, বিষ্ণুপুর, চম্পাহাটি এলাকায় এই চক্র কাজ করতেন। দুষ্কৃতীরা অটো চুরি করে নম্বর প্লেট বদল করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রিও করে দিতেন। এমনকি বেশ কয়েকটি অটো তারা নিজেরাই চালাচ্ছিলেন।
পুলিস আরও জানায়, প্রথমে সালাউদ্দিন মোল্লা নামের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরও চার জন রিসিভারকে গ্রেফতার করে পুলিস। তবে এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে, পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। শুক্রবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ধৃত ওই ৫ জনকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করেছে পুলিস।
বিমানের জাল (Fake) টিকিট (Flight Ticket) প্রতারণার ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার (Narendrapur Police) পুলিস৷ অভিযুক্তকে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার জগদীপোতা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইপিসির ৪২০, ৪০৭, ৪৬৭ ও ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস৷ ধৃতকে শুক্রবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম সোমা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বাঁকুড়ার দোলতলা এলাকার বাসিন্দা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তিনি গত ৫ বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে ভাড়ায় থাকেন। মাই ট্রিপ নামে একটি এজেন্সি খুলে গত ১৫ বছর ধরে তিনি ট্রাভেলের ব্যবসা করছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, বেহালার পাঠকপাড়া অঞ্চলের ট্রাভেল এজেন্সি মেরিনা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলের কর্ণধার আশিস গোস্বামী। গত ২ বছর ধরে তিনি সোমা চট্টোপাধ্যায়কে চেনেন৷ তাই তাঁকে ২৪ জনের কাশ্মীর ট্রিপের আপ ও ডাউনের টিকিট কাটতে দেন আশিসবাবু৷ এমনকি এই টিকিট কাটার জন্য তাঁকে দেওয়া হয় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা৷ এর মধ্যে ওই মহিলাকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ক্যাশে এবং বাকি টাকা অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট করেন আশিসবাবু৷ গত বছর আগষ্ট মাসেই তিনি এই টাকা দিয়েছিলেন৷ এর আগেও একাধিকবার ওই মহিলাকে টিকিট কাটতে দিয়েছিলেন আশিসবাবু৷
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৮ই এপ্রিল ২৪ জনের একটি দলের কাশ্মীর যাওয়ার কথা এবং তাঁদের ফেরার কথা ছিল ১৬ই এপ্রিল৷ তবে গতকাল বিকাল ৩টা নাগাদ তিনি জানতে পারেন তাঁকে যে টিকিট দেওয়া হয়েছিল সেগুলি নকল। তারপরই তিনি পুলিসে খবর দেন।
গাড়ি চুরির (Car Theft) অভিনব প্রতারণা (Fraud) চক্রের হদিশ সোনারপুরে (Sonarpur)৷ কলকাতা (Kolkata) ও শহরতলি এলাকায় গাড়ি চুরির একাধিক চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ৷ নিজের গাড়ি বিক্রির জন্য যাঁরা অনলাইনে বিজ্ঞাপন (Online Advertisement) দিতেন তাঁদেরকেই টার্গেট করত অভিযুক্তরা৷ তাঁদের গাড়ি হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাস অর্জনের জন্য ওই ব্যক্তির নামে ব্যাঙ্কের চেক বা ভুয়ো ডিমান্ড ড্রাফট বানানো হতো৷ সেটি দেখেই বিশ্বাস করে গাড়ি হস্তান্তরের সমস্ত কাগজে সাইন করতেন বিক্রেতারা৷
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সপ্তাহের এমন দিন ও সময় বেছে নিত যাঁতে বিক্রেতারা ব্যাঙ্কে যেতে না পারেন৷ আর সে সময়ের মধ্যেই গাড়িটি বিক্রি করে দিত অন্যকে৷ এই কাজের জন্য কেবল একজন নয়, নানা এলাকায় বহু মানুষকে কাজে লাগানো হত বলে অভিযোগ৷ আর যারা এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত তারা কোনওদিন সামনে আসত না৷ এরকম একাধিক গাড়ি চুরির অভিযোগ দায়ের হয় নরেন্দ্রপুর থানায়৷
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে প্রতারণা চক্রের দু'জন পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, এরা দুজনেই কাস্টমার, লেনদেনের জন্য নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কাজ করেছেন৷ ধৃতরা অভিষেক পাইক ও অমল বাল্মিকী৷ এর সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত আছে বলে পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে৷ ধৃতদের বুধবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি গাড়ি ও একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিস৷ ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে।
ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার(Cow Sumggling)! পুলিস ধাওয়া করতেই লাইট পোস্টে ধাক্কা গাড়ির। ঘটনায় আহত গাড়ির চালক। গাড়ির চালককে উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার(South 24 Parganas)সোনারপুর মোড় এলাকায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোনারপুর থানার(Sonarpur Police) পুলিস। গাড়িতে থাকা আর দুই ব্যক্তি পালতক। গাড়ির ভিতর থেকে তিনটি গরুকে উদ্ধার করে পুলিস। তিনটি গরুর মধ্যে একটির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি ইনোভা গাড়ি সোনারপুর মোড় থেকে রাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। সোনারপুর থানার পিসি পার্টির সন্দেহ হওয়ায় ওই গাড়িকে ধাওয়া করে। পুলিসের গাড়ি ধাওয়া করছে দেখে সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়া শনি মন্দিরের কাছে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনোভা গাড়ির পিছনের সিট খুলে গরু পাচারের কাজ চলছে। গাড়িটিতে মোট তিনটি গরু ছিল। দুর্ঘটনায় একটি গরু ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে, পুলিস সুত্রে খবর। বাকি দুটি গরুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিসের অনুমান, পুলিসের সন্দেহ এড়াতেই ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার করা হচ্ছিল।