বিমানের জাল (Fake) টিকিট (Flight Ticket) প্রতারণার ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার (Narendrapur Police) পুলিস৷ অভিযুক্তকে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার জগদীপোতা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইপিসির ৪২০, ৪০৭, ৪৬৭ ও ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস৷ ধৃতকে শুক্রবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম সোমা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বাঁকুড়ার দোলতলা এলাকার বাসিন্দা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তিনি গত ৫ বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে ভাড়ায় থাকেন। মাই ট্রিপ নামে একটি এজেন্সি খুলে গত ১৫ বছর ধরে তিনি ট্রাভেলের ব্যবসা করছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, বেহালার পাঠকপাড়া অঞ্চলের ট্রাভেল এজেন্সি মেরিনা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলের কর্ণধার আশিস গোস্বামী। গত ২ বছর ধরে তিনি সোমা চট্টোপাধ্যায়কে চেনেন৷ তাই তাঁকে ২৪ জনের কাশ্মীর ট্রিপের আপ ও ডাউনের টিকিট কাটতে দেন আশিসবাবু৷ এমনকি এই টিকিট কাটার জন্য তাঁকে দেওয়া হয় ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা৷ এর মধ্যে ওই মহিলাকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ক্যাশে এবং বাকি টাকা অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট করেন আশিসবাবু৷ গত বছর আগষ্ট মাসেই তিনি এই টাকা দিয়েছিলেন৷ এর আগেও একাধিকবার ওই মহিলাকে টিকিট কাটতে দিয়েছিলেন আশিসবাবু৷
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৮ই এপ্রিল ২৪ জনের একটি দলের কাশ্মীর যাওয়ার কথা এবং তাঁদের ফেরার কথা ছিল ১৬ই এপ্রিল৷ তবে গতকাল বিকাল ৩টা নাগাদ তিনি জানতে পারেন তাঁকে যে টিকিট দেওয়া হয়েছিল সেগুলি নকল। তারপরই তিনি পুলিসে খবর দেন।
গাড়ি চুরির (Car Theft) অভিনব প্রতারণা (Fraud) চক্রের হদিশ সোনারপুরে (Sonarpur)৷ কলকাতা (Kolkata) ও শহরতলি এলাকায় গাড়ি চুরির একাধিক চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ৷ নিজের গাড়ি বিক্রির জন্য যাঁরা অনলাইনে বিজ্ঞাপন (Online Advertisement) দিতেন তাঁদেরকেই টার্গেট করত অভিযুক্তরা৷ তাঁদের গাড়ি হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাস অর্জনের জন্য ওই ব্যক্তির নামে ব্যাঙ্কের চেক বা ভুয়ো ডিমান্ড ড্রাফট বানানো হতো৷ সেটি দেখেই বিশ্বাস করে গাড়ি হস্তান্তরের সমস্ত কাগজে সাইন করতেন বিক্রেতারা৷
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সপ্তাহের এমন দিন ও সময় বেছে নিত যাঁতে বিক্রেতারা ব্যাঙ্কে যেতে না পারেন৷ আর সে সময়ের মধ্যেই গাড়িটি বিক্রি করে দিত অন্যকে৷ এই কাজের জন্য কেবল একজন নয়, নানা এলাকায় বহু মানুষকে কাজে লাগানো হত বলে অভিযোগ৷ আর যারা এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত তারা কোনওদিন সামনে আসত না৷ এরকম একাধিক গাড়ি চুরির অভিযোগ দায়ের হয় নরেন্দ্রপুর থানায়৷
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে প্রতারণা চক্রের দু'জন পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, এরা দুজনেই কাস্টমার, লেনদেনের জন্য নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কাজ করেছেন৷ ধৃতরা অভিষেক পাইক ও অমল বাল্মিকী৷ এর সঙ্গে আরও অনেকেই যুক্ত আছে বলে পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে৷ ধৃতদের বুধবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি গাড়ি ও একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিস৷ ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে।
ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার(Cow Sumggling)! পুলিস ধাওয়া করতেই লাইট পোস্টে ধাক্কা গাড়ির। ঘটনায় আহত গাড়ির চালক। গাড়ির চালককে উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার(South 24 Parganas)সোনারপুর মোড় এলাকায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোনারপুর থানার(Sonarpur Police) পুলিস। গাড়িতে থাকা আর দুই ব্যক্তি পালতক। গাড়ির ভিতর থেকে তিনটি গরুকে উদ্ধার করে পুলিস। তিনটি গরুর মধ্যে একটির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি ইনোভা গাড়ি সোনারপুর মোড় থেকে রাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। সোনারপুর থানার পিসি পার্টির সন্দেহ হওয়ায় ওই গাড়িকে ধাওয়া করে। পুলিসের গাড়ি ধাওয়া করছে দেখে সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়া শনি মন্দিরের কাছে একটি ইলেকট্রিক পোস্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনোভা গাড়ির পিছনের সিট খুলে গরু পাচারের কাজ চলছে। গাড়িটিতে মোট তিনটি গরু ছিল। দুর্ঘটনায় একটি গরু ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে, পুলিস সুত্রে খবর। বাকি দুটি গরুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিসের অনুমান, পুলিসের সন্দেহ এড়াতেই ইনোভা গাড়িতে করে গরু পাচার করা হচ্ছিল।
অনলাইন বুকিং অ্যাপের (Online Booking Apps) সাহায্যে মাল্টিপ্লেক্সে হারিয়ে যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার সোনারপুর থানার পুলিসের (Sonarpur Police)। সোনরপুরের তরুণী সায়ন্তনী মিত্র নরেন্দ্রপুরের এক শপিং মলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুল করে সিনেমা শেষে সিটেই ব্যাগ ফেলে (Bag Lost) আসেন তিনি। নীচে নেমে তাঁর ব্যাগের কথা মনে পড়লেও ফের উঠে গিয়ে দেখেন ব্যাগ নেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই ব্যাগে ওই তরুণী এবং তাঁর মায়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিল। তাই এহেন জরুরি নথি সমৃদ্ধ ব্যাগ খোওয়া যাওয়ায় উদভ্রান্ত হয়ে পড়েন সায়ন্তনী।
হারানো ব্যাগের সন্ধান পেতে প্রথমে নরেন্দ্রপুর থানা পরে সোনারপুর থানার দারস্থ হয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, সিনেমা হলে সায়ন্তনীর আশপাশে যারা ছিলেন, তাঁরা সকলেই একটি অনলাইন অ্যাপের সাহায্যে টিকিট বুক করেছিলেন। সেই অ্যাপের সাহায্য নিয়েই পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারেন তরুণীর পাশে বসা এক মহিলা ওই ব্যাগ নিয়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর বাড়ি আবার গড়িয়াতে। তাঁকে চিহ্নিত করে এবং যোগাযোগ করে খোয়া যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে সোনারপুর থানার পুলিস।
এই প্রসঙ্গে ব্যাগ ফিরে পেয়ে আপ্লুত সেই তরুণী জানান, 'শুক্রবার বিকেলে নরেন্দ্রপুরের একটি মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখে ব্যাগ রেখে বেড়িয়ে আসি। নিচে নেমে আমার ব্যাগের কথা মনে পড়ে। আবার হলে ফিরে কর্তব্যরত কর্মীদের ব্যাগ হারানোর কথা বললে, ওরা খুঁজে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। এই ব্যাগে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল। ব্যাগ খুঁজে পেতে আমি নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হই। ওরা আমাকে সোনারপুর থানায় পাঠায়। ওখানকার অর্ঘ্যবাবু ব্যাগ ফিরে পেতে আমাকে সাহায্য করে। আমি ব্যাগ খুঁজে পাবো এই আশা করিনি। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে যেভাবে ভালো কাজ করে মিরাকেল ঘটিয়েছে সোনারপুর থানা, আমি কৃতজ্ঞ।'
মাত্র ৪ থেকে ৫ মাসের ভালোবাসার সম্পর্ক। এরই মধ্যে দুঃসাহসিক কাণ্ড! প্রেমিকার ছেলেকে অপহরণ করে চম্পট প্রেমিক। ঘটনার পরই প্রশাসনের দ্বারস্থ প্রেমিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস (police)। অবশেষে বুধবার শেওড়াফুলি (Sheoraphuli) থেকে গ্রেফতার (arrest) করা হয় অভিযুক্তকে। ঘটনার পর অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই যুবতী। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরের (Sonarpur)।
স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ (Divorce) হয়েছে বহুদিন। এরপর নিজের বছর দশেকের ছেলেকে নিয়েই সোনারপুর এলাকায় থাকতেন ওই যুবতী। মাস ছয়েক আগে তাপস দে নামে শেওড়াফুলির এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোন মারফৎ পরিচয় হয়। সেই থেকেই দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতীর অভিযোগ, লাগাতার ওই যুবক তাঁকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করত। কিন্তু তিনি কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি হননি। আর এরপরই শুরু মনোমালিন্য। শুরু হয় নানাভাবে তাঁকে ব্ল্যাকমেলিং। এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই যুবতীর ছেলেকে স্কুল থেকে অপহরণ করে অভিযুক্ত।
তাঁকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে থাকে এমনকি ছেলেকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। ছেলেকে ফিরে পেতে সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। সোনারপুর থানার পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। উদ্ধার হয় ওই শিশুটিও।
যুবতী জানান, বিভিন্নভাবে তাঁকে বলেও যখন তিনি রাজি হননি বিয়ের জন্য, তখন তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে ধৃত। তাঁর ছেলেকে প্রথমে মা অসুস্থ, এই বলে নিয়ে যায়। এরপর মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলেই তাকে ট্রেন থেকে ফেলে প্রাণে ফেলার হুমকি দেয়। তবে ঘটনার পর ওই নাবালক যথেষ্ট আতঙ্কে।
সোনারপুরের (Sonarpur) কামরাবাদ রেলগেট এলাকার শুটআউটের (shootout) ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) এক। যদিও লাল্টু হাজরা খুনে জড়িত পাঁচ জন। রবিবার জানিয়েছে বারুইপুর জেলা পুলিস। এই শুটআউট-কাণ্ডে লাল্টু হাজরা নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় বন্ধুর বাড়িতে। পাশাপাশি পুলিস উদ্ধার করেছিল গুলির খোলা-সহ দুই রাউন্ড গুলি। লাল্টুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস (police) ঘটনার তদন্তে নামে। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনের কিনারা করে পুলিস। দীপ হালদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এমনকি, এই শুটআউটের আসল কারণও জানতে পারে পুলিস। বারুইপুর জেলা পুলিসের এক কর্তা জানান, '১৯ তারিখ ভোরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাল্টু হাজরার দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরেই সোনারপুর থানার তদন্তে জানা গিয়েছে দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় দুটি দলের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই দুই দলের মধ্যে একটি গ্রুপ দীপের। অপর গ্রুপে ছিল বিশ্বজিৎ। কিন্তু সেই সময় ঝামেলা করে দীপ পালায়, অথচ তার দলের কয়েকজনকে ধরে নিগ্রহ করা হয়। সেই থেকে বিশ্বজিৎ সরকারের উপর রাগ ছিল দীপের গ্রুপের।'
জানা গিয়েছে, ১৮ তারিখ রাতে দীপের সহযোগীরা ময়ূখের বাড়িতে গিয়েছিল। কারণ ওই বাড়িতে বিশ্বজিৎ ঘুমোতেন সঙ্গে লাল্টুও থাকতেন। কিন্তু গিয়ে বিশ্বজিৎকে পাওয়া যায় না। সেই সময় পাঁচ জনের সঙ্গে লাল্টুর বচসা শুরু হলে, গুলি চালানো হয়। গুলি চলার পর অভিযুক্তরা ভয় পেয়ে এলাকা ছাড়ে। প্রথমে তারা ভেবেছিল গুলি লাল্টুর হাতে লেগেছে, কিন্তু সেই গুলি পেটেও লেগেছিল। যদিও সেদিন পাঁচ জনের ঠিক কে গুলি চালিয়েছিল সেটা খোলসা করেননি পুলিসকর্তা।
তিনি জানান, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চলেছে, সেটা এখনও উদ্ধার হয়নি। গত এপ্রিল মাসে দীপ ও তাঁর সহযোগী বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হওয়ায় গ্রেফতার হয়েছিল। যদিও সেই গ্রেফতারির সঙ্গে এই হত্যা কাণ্ডের কোনও যোগ নেই।
ফের রাজ্যে শুটআউটের (shootout) ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এক যুবক। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় গুলির খোলা, দুই রাউন্ড গুলি-সহ যুবকের দেহ। শোকাহত পরিবারের প্রত্যেক সদস্য। পরিবারের দাবি, সঠিক শাস্তি যেন দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। পরিবারের অভিযোগের তিরে রয়েছেন ওই এলাকারই দুই ব্যক্তি। এর আগেও এই দুই ব্যক্তি হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনাটি সোনারপুরের (Sonarpur) কামরাবাদ এলাকার। রাতদুপুরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম লাল্টু হাজরা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ লাল্টু বাড়িতে ভাত খেয়ে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে ঘুমাতে যান। তাঁরা ৪ বন্ধু একসঙ্গে কামরাবাদের ময়ুখ ভট্টাচার্য নামে অপর এক বন্ধুর বাড়িতে রাতে এসে থাকতেন। তবে শুক্রবার অন্য বন্ধুরা না আসায় লাল্টু হাজরা একাই গিয়েছিলেন। এরপর বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক বন্ধুর সঙ্গে রাত ১২.১৫ নাগাদ কথা হয় লাল্টুর। বিশ্বজিৎ রাত ২.১৫ মিনিট নাগাদ বাড়িতে এসে দেখেন ঘরে রক্তাক্ত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন লাল্টু।
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। করা হচ্ছে ময়নাতদন্ত। এদিকে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, লাল্টুর খুব কাছ থেকে পেটে ও হাতে গুলি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
প্রেমে ব্যর্থতা। সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী (suicide) এক ছাত্রী (student)। এবারই মাধ্যমিক পরীক্ষা (Secondary Examination) দেওয়ার কথা ছিল ওই ছাত্রীর। মর্মান্তিক ঘটনাটি সোনারপুরের (Sonarpur) নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট (Suicide note)।
জানা যায়, মৃতা সাউথ পয়েন্ট স্কুলের কৃতী ছাত্রী ছিল। ছাত্রী সোনারপুর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মেয়ে। বাবা ও মার একমাত্র মেয়ে ছিল ওই ছাত্রী। পড়াশোনা ও মিষ্টি ব্যবহারে এলাকার সকলের প্রিয় ছিল সে। শুক্রবার ভোররাতে ঘরের আলো জ্বলছে বলে মেয়ের ঘরে দেখতে যান ওই ছাত্রীর বাবা। কিন্তু সেখানে গিয়েই তার বাবা হতবাক হয়ে পড়েন। তিনি দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে তাঁর মেয়ের দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়।
এরপর পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শুক্রবারই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওই ছাত্রীর। ছেলেটি তার কাছে যাওয়ার জন্য চাপ দিত ছাত্রীকে। ছেলেটির ফোন নম্বরও লিখে গিয়েছে ছাত্রী তার সুইসাইড নোটে। ইতিমধ্যেই ছাত্রীর ফোন ও সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিস। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
মানসিকতা আজ কোথায়! ৪ বছরের এক শিশুকে খুন (murder) করার অভিযোগ পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি করায় ৪ বছরের এক শিশুকে দেওয়ালে মাথা ঠুকে ও গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে পিসেমশাই। পিসেমশাইয়ের এমন অমানবিক আচরণে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর (Sonarpur) থানা এলাকার বেনিয়া বৌ এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনআরএস (NRS) হাসপাতালে ভর্তি আরও এক ৩ বছরের শিশু। ঘটনার পর অভিযুক্তকে রাতেই গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস।
পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম প্রসেনজিৎ মণ্ডল। এই দুই শিশুকে পিসেমশাইয়ের হেফাজতে রেখে কাজে গিয়েছিলেন তাঁদের মা। মঙ্গলবার রাতের বেলায় খাবার না খেতে পেয়ে দুই শিশুই কান্নাকাটি শুরু করে। এতেই রেগে যায় ধৃত প্রসেনজিৎ। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থাতে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তারপর দুই শিশুর মাথা ঠুকে দেন তিনি। এতে তারা আরও কান্নাকাটি করলে তাদের গলাটিপে ধরে অভিযুক্ত। শিশুদের এইভাবে মারধর করার আওয়াজ শুনে বিষয়টি বাড়ির মালিক হান্নান মণ্ডলকে জানায় প্রতিবেশী। এরপর প্রতিবেশীরাই এসে দরজা খুলতে বললে প্রসেনজিৎ প্রথমে রাজী হয়নি। তারপর জোর করে দরজা খুলে তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখে কাঁথা মুড়ি দিয়ে দুই শিশুকে শোয়ানো রয়েছে।
এরপরই খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। পুলিস গিয়ে ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যায়। কিন্তু সেখানে গেলে এক শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করে ও অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানায় চিকিত্সকরা। ঘটনার পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। দোষীর শাস্তির দাবি তুলেছে পরিবার।
ছাদে কাপড় মেলা নিয়ে বচসা। যার জেরে শাশুড়িকে জুতো পেটা করলেন বৌমা। কামড়ে তুলে নেওয়া হয় হাতের মাংসও। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর (Sonarpur) থানা এলাকার। এরপরই থানায় দায়ের হয় লিখিত অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (police)।
জানা যায়, সোনারপুর থানা এলাকার সুভাষগ্রামের বাসিন্দা পুতুল দাস। বাড়িতে রয়েছেন ছেলে ও বৌমা। তবে পারিবারিক অশান্তির কারণে পুতুল দেবী তাঁর একটি ঘরে একাই থাকেন নিজের মত। অভিযোগ, বৌমা রুবি দাস নিত্যদিনই অকথ্য ভাষায় কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। তবুও এতদিন সহ্য করেছেন তিনি। তবে এই সহ্যের সীমা ভাঙে বৃহস্পতিবার। সেদিন ছাদে কাপড় মেলাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ির সঙ্গে বিবাদ বাঁধে বৌমার। শুরু হয় ফের অকথ্য ভাষায় অপমান। আর এরপরই এমন ঘটনা, যা কল্পনাও করতে পারেননি পুতুল দেবী। অভিযোগ, এক দু কথা থেকে হঠাৎই তাঁর হাতে কামড়ে দেন বৌমা। শুধু তাই নয়, তাঁর পায়ের জুতো খুলে শাশুড়ির মুখে মারতে শুরু করেন। অথচ ঘটনাস্থলে নির্বাক দাঁড়িয়ে ছেলে। ঘটনার পরই শুক্রবার প্রাথমিক চিকিত্সা করিয়ে থানার দ্বারস্থ হন অসহায় পুতুল দেবী। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে সোনারপুর থানার পুলিস।
বেসরকারি কুরিয়র সংস্থার প্রোফাইল হ্যাক করে ডেলিভারি বয়কে ডেকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই ডেলিভারি বয় (delivery boy)। ঘটনাটি শনিবার বিকেলে সোনারপুর (Sonarpur) থানা এলাকার লালগেটের কাছে ঘটে। এরপরই সোনারপুর থানায় (police station) অভিযোগ দায়ের আতঙ্কিত পরিবারের।
জানা যায়, জখম ওই ডেলিভারি বয় দীপঙ্কর নাইয়া নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার লস্করপুরের বাসিন্দা। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। অভিযুক্ত যুবকের নাম সৌরভ নস্কর। সৌরভও লস্করপুরের বাসিন্দা। সৌরভ একসময় একই বেসরকারি কুরিয়র সংস্থায় কাজ করত। যার জন্য চক্রান্তের বিষয়টি আরও স্পষ্ট বলেই মনে করছে পরিবার। ওইদিন দীপঙ্কর একটি পার্সেল দিতে বের হন। আর এরপরই তাঁকে একটি জায়গায় ডাকা হয়। পরিবার জানায়, সেদিন আগে থেকেই ওই জায়গায় একটি গাড়িতে করে সৌরভ ও তাঁর ৪ সঙ্গী দাঁড়িয়ে ছিল। দীপঙ্কর আসতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় ও অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় কোনওরকমে রক্ষা পায় দীপঙ্কর।
পরিবারের আরও অভিযোগ, কিছুদন আগে দীপঙ্করের ভাইকেও মারধর করে সৌরভ। সেইসময় সৌরভের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবাকে এই ঘটনার কথা জানান দীপঙ্কর। তারই বদলা নিতে এই হামলা বলে দীপঙ্কর ও তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে সোনারপুর থানার পুলিস (police)।