
ফের শিরোনামে উঠে এলো জগদ্দল। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। ঘটনার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিতেই পথেই মৃত্যু হয় ওই কর্মীর। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম ভিকি যাদব (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ সিংয়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিকি যাদবের বাড়ির সামনে বাইকে করে তিনজন লোক এসে তাঁর খোঁজ করতে থাকে। এরপর ভিকি তাঁর নিজের পরিচয় দিতেই এলোপাথারি গুলি চালানো হয় তাঁর ওপর। মোট ১১ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তার মধ্যে ৯ টি গুলি গিয়ে লাগে ভিকির শরীরে। গুলির লাগার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ভিকি। তারপর স্থানীয়রা গুলির শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখে ভিকি মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
পুলিসের অনুমান, রাজনৈতিক কোনও কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে যারা গুলি করেছে তারা ভাড়া করা লোক বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ এন আর এস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকি যাদবের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। তারপরই তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে মৃতদেহ। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে গোটা এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, গতবছর ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয় ভিকির আত্মীয় বিজেপি কর্মী আকাশ যাদবের। সেই কারণে অনেকবারই সিবিআই তদন্তের জন্য ডেকেছে ভিকি যাদবকে। আকাশ যাদব খুনের অন্যতম সাক্ষী এই ভিকি। এখন প্রশ্ন উঠছে আকাশ যাদবের খুনের সঙ্গে কি কোনও ভাবে ভিকির খুনের সংযোগ আছে। নাকি ভিকির খুন কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা! তা জানতেই তদন্তে নেমেছে পুলিস।
জয়নগরের পর এবার ডায়মন্ড হারবার। তৃণমূল নেতা খুনের তিনদিনের মাথায় ফের একই জেলায় শুট আউট। ভাইফোঁটার দিন দিদির বাড়িতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ এক যুবক। সূত্রের খবর, নিহত যুবকের নাম মিঠুন সরদার (২৮)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই শুটআউট। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজনও। অভিযগের তীর দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্তের নাম পরেশ মণ্ডল, অজয় মণ্ডল। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক বলে পুলিস জানিয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
নিহত মিঠুন সরকারের স্ত্রী জানিয়েছেন, মিঠুন সরদারের দিদি আর জামাইবাবুর প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চরমে পৌঁছায় বুধবার। মিঠুন সরকারের কাছে ফোন আসে। এরপর ঝামেলা মেটাতে দিদির বাড়িতে গেলে বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এমনকি গুলিও চালায়।আর তা বুকে গিয়ে লাগে মিঠুনের।
দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জোড়া খুন জয়নগরে। উৎসবের মধ্যেই ফের রক্ত ঝড়ল রাজ্যে। এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে ওই ঘটনায় সইফুদ্দিন লস্কর নামের ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে। এরপরে ওই তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রাম।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যেকদিনের মত এদিনও সকাল বেলা প্রার্থনার জন্য বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। অভিযোগ সেই সময় তাঁকে আক্রমণ করা হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় স্থানীয় এই তৃণমূল নেতার। গুলির শব্দেই ছুটে আসেন গ্রামের মানুষ। সঙ্গেসঙ্গে আহত তৃণমূল নেতাকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ এরপরেই সইফুদ্দিন লস্করের অনুগামী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মোরসালিম লস্করের নেতৃত্বে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। দুস্কৃতি সন্দেহে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগও ওঠে। এছাড়া আরও তৃণমূল নেতা খুনে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সইফুদ্দিনের স্ত্রী সেরিফা বিবি, স্থানীয় বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। পাশাপাশি সইফুদ্দিন স্থানীয় বামনগাছি অঞ্চল সভাপতি ছিল। এ ঘটনার পিছনে কোনো রাজনৈতিক শত্রুতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ফের চলল শহরে গুলি। ময়লা ফেলাকে কেন্দ্র করে গুলি চলার অভিযোগ কসবার বৈকুণ্ঠ ঘোষ রোডে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সৌমিত মণ্ডল প্রায় প্রতিদিনিই এলাকার একটি ক্লাবের সামনে ময়লা ফেল যেত। তাতে বহুবার বারণ করা হলেও তিনি কথা শোনেননি। মঙ্গলবার রাতে ময়লা ফেলতে আসলে তাঁকে বাধা দেন স্থানীয়রা। তখন তিনি বন্দুক নিয়ে এসে চড়াও হন।
স্থানীয়দের দাবি ওই ব্যক্তি বেশ প্রভাবশালী ছিলেন এলাকায়। অভিযোগ যে গাড়ি তিনি ব্যবহার করেন, তাতে প্রেস ও পুলিসের স্টিকার রয়েছে একসঙ্গে। এ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এলাকার মহিলাদের গালাগালি, পরিচারিকাকে পয়সা না দেওয়া এমন অনেক ধরনের কুকর্ম করতেন তিনি। তবে প্রতিবাদ জানালেই ভয় দেখাতেন বন্ধুকে দেখিয়ে, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত একজনকে লক্ষ্য করে দু রাউণ্ড গুলি চালান, তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কেউ আহত হয়নি এমনিই দাবি স্থানীয়দের। কেন সামান্য বিষয়ে গুলি চালালেন অভিযুক্ত! অভিযুক্তের স্ত্রীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, তিনি এ বিষয়ে জানেননা।
ঘচনার পর থেকেই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। অভিযুক্তের সমস্ত গাড়ি বাঙচুর করেন স্থানীয়রা। তবে এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুুখে প্রশাসনের ভূমিকা। এর আগেও বহুবার স্থানীয়রা অভিযোগ জানালেও কেন নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা! গাড়িতে কেনই বা একসঙ্গে পুলিস ও সংবাদ মাধ্যমের স্টিকার। এ বিষয়ে কেন কোনও ব্যাবস্থা নেয়নি পুলিস। তবে সবকিছুর মাঝেই কী লুকিয়ে রয়েছে কোনও প্রভাবশালীর তথ্য?
প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউট (Shoot Out)। পেট্রোল পাম্পের এক মহিলা কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) সালানপুর থানার (Salanpur Police Station) অন্তর্গত জেমারী এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যে ভাইরাল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ।
যদিও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ওই মহিলা কর্মী মঞ্জু মারান্ডি। তিনি জানান, একটি স্কুটি করে তিন যুবক তেল ভরতে এসেছিল। ৫৫ টাকার তেল ভরে গাড়িতে। তারপর তাঁর চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কিন্তু মিস ফায়ার হয়ে যায়। এরপর মহিলা কর্মী সহ পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা ছুটে পালাতে শুরু করে। অপরদিকে স্কুটিতে আসা ওই তিনজনও পালিয়ে যায়। তবে পালানোর আগে আরও একবার গুলি করে জানান মঞ্জু।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে সালানপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।
রাজ্যে ফের শ্যুটআউট (Shoot Out)। পাওনা টাকা নিয়ে বচসার জেরে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার খন্ডঘোষের আড়িন গ্রামে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ ১ যুবক। জানা হিয়েছে, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম অভিজিৎ রায় ওরফে দুষ্টু (২৬)। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খন্ডঘোষ থানার পুলিস।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, যুবকের বাঁদিকে কাঁধে গুলি লেগেছে। অভিজিৎ পুরোনো গাড়ি কেনাবেচা করতেন। সেই সূত্রে আজ, বুধবার বাড়িতে টাকা আদায়ের জন্য আস এক যুবক। এরপর অভিজিৎ-এর সঙ্গে দশ হাজার টাকা নিয়ে বেশকিছুক্ষণ কথাও হয় ওই যুবকের।
এরপর বাথরুমে ঢুকে যায় অভিজিৎ এবং বাথরুম থেকে বের হতেই অভিজিৎকে গুলি চালায় ওই যুবক বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে বাইক নিয়ে চলে যায় অভিযুক্ত।
ঘটনার পর প্রতিবেশী ও পুলিস জখম যুবকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল অর্থাৎ গুলিবিদ্ধ যুককের বাড়িতে আগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকেলেও গত সপ্তাহ দুয়েক আগে সেই দুটি ক্যামেরা খুলে এনে নিজের দোকানে লাগান। তারপরেই এই ঘটনা।
রাতের অন্ধকারে শ্যুট আউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের (Cooch Behar) খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায়। ১৭ নং জাতীয় সড়কের (National Highway) উপর থেকে উদ্ধার এক জমি ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ (shoot out) দেহ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জাতীয় সড়কের (NH 31) উপর এমন ঘটনায় আতঙ্কিত আশপাশের মানুষজন। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রের খবর, সুশীল চন্দ্র দাস নামের ওই জমি ব্যবসায়ী পুন্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত খারিজা কাকড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটে। জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান তাঁদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কে বা কারা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস।
আদালত থেকে বেরিয়ে চার বন্ধু গাড়িতে ফেরার পথে লক্ষ্য করেন একটি বাইক তাঁদের পিছু নিয়েছে। এ ঘটনা টের পাওয়ার পরেই তাদের গাড়ির গতি বাড়াতে শুরু করেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ে বাইকের গতিও। অভিযোগ গাড়িটি বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোল এলাকা ছেড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছাকাছি আসতেই বাইকের পিছনে বসে থাকা যুবক দুহাতে দুটি বন্দুক নিয়ে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে গাড়িতেই জখম হন জিয়াবুল হক শেখ, নুর মহম্মদ শেখ এবং গোবিন্দ মণ্ডল নামে তিন যুবক।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা দেড়টা নাগাদ একটি চার চাকা গাড়িতে চড়ে চালক-সহ পাঁচ যুবক বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক ধরে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এই পাঁচজনই বাঁকুড়া জেলা আদালতে আইনি কাজে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় তাঁদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ দুই বাইক আরোহীর বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে আহত জিয়াবুলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের দয়ালপুর গ্রামে। নুরের বাড়ি গলসির তেঁতুলমুড়ি গ্রামে। গোবিন্দর বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার পাবড়াডিহি গ্রামে। এদিকে গুলি চলা শুরু হতেই ভয়ে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। ততক্ষণে গুলিবিদ্ধ হয়ে গিয়েছেন তিনজন। সকলকেই গুলি এড়িয়ে কোনওমতে গাড়ি থেকে নেমে পার্শ্ববর্তী একটি বাউন্ডারি ঘেরা জায়গায় আত্মগোপন করেন।
এঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ বাঁকুড়া থেকে বেরোনোর সমস্ত রাস্তা ঘিরে ফেলে। তল্লাশি শুরু হয় বাঁকুড়া থেকে বেরোতে থাকা প্রতিটি বাস ও ছোট গাড়িতে। যদিও এখনও পর্যন্ত দুই দুষ্কৃতীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অ্যামাজন ম্যানেজারের (Amazon Manager) মৃত্যুর রহস্য এবারে প্রকাশ্য়ে এল। পুলিস সূত্রে খবর, তাঁকে খুন করার পিছনে মূল অভিযুক্ত 'মায়া গ্যাং'-এর ১৮ বছরের এক যুবক মহম্মদ সমীর ও তার সঙ্গীরা। সরু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সাইড দেওয়া নিয়ে ঝামেলা। শুরু হয় কথা কাটাকাটি-বচসা, এরপর তা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। তার মাঝেই আচমকা গুলি। আর তারপরই প্রাণ হারালেন দিল্লির (Delhi) ভজনপুরার যুবক। মঙ্গলবার মধ্যরাতের সেই হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অ্যামাজনের ম্যানেজার হরপ্রীত গিলের। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বাকিদের খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার যখন ভজনপুরার সুভাষ বিহার এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যামাজন ম্যানেজার হরপ্রীত, সে সময় ওই রাস্তা দিয়ে পার্টি সেরে ফিরছিল মহম্মদ সমীর ওরফে মায়া, গনি, সোহেল, মহম্মদ জুনেইদ এবং আদনান নামে এক দল তরুণ। রাস্তা সরু থাকায় হরপ্রীতদের বাইকের সঙ্গে মায়াদের একটি স্কুটারের ঘষা লাগে। আর সেখান থেকেই বচসা শুরু হয়। তার পরই হরপ্রীত এবং তাঁর বন্ধুকে গুলি করেন মায়ারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হরপ্রীতের। গোবিন্দ গুরুতর জখম। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মায়া ও গনিকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিদের খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিস।
তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি (Shootout) চালানোর অভিযোগ উঠছে তৃণমূলেরই অঞ্চল যুব সভাপতির (TMC Worker) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কদম্বগাছি এলাকায়। এই ঘটনায় দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অঞ্চল যুব সভাপতিকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিস। অভিযুক্তকে রবিবার আদালতেও তোলা হয়। যদিও এই ঘটনায় ধৃত তৃণমূল যুব সভাপতি দাবি করে, তাকে চক্রান্ত করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে শনিবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শনিবার রাতেই তৃণমূল নেতা শওকত আলি সরদারের ছেলে জাহাঙ্গির আলি সর্দার কদম্বগাছি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ই তৃণমূল নেতা সরদার মেহেবুব হাসান তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হননি তিনি। অভিযোগকারীর দাবি, এই ঘটনার পরেই সমস্ত বিষয়টি নিয়ে দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত সরদার মেহেবুব হাসান ওরফে নয়নকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভিযুক্তর দাবি, আইএসএফ ও তৃণমূলের একটি অংশ চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। অভিযুক্তর দিদি বলেন, 'আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করে। আইএসএফের সঙ্গে দলের একটি বড় অংশের জোট মেনে নিতে পারেনি ভাই। সেই কারণেই ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবো।'
অভিযুক্তের আইনজীবি অলোক সমাজপতি বলেন, 'আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইন দেওয়া হয়েছে। এর কোনও ভিত্তি নেই। কারণ পুলিস অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি।'
রবিবার ভোররাতে গুলি চলল বসিরহাটে। এদিন, তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামলা এলাকার ঘটনা।
মৃতের নাম শেখ সাহেব আলী। তৃণমূল কংগ্রেসের কিষান-ক্ষেতমজুর সেলের হাড়োয়া এক নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে খাশবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহারী গ্রামের ২৪৩নং বুথের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব। জানা গিয়েছে, বাড়িতে ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোররাতে অঞ্চল সভাপতির বাড়ি ফিরছিলেন শেখ সাহেব। বাইকে চেপেই ফিরছিলেন। সামলা বাজার এলাকায় আসতেই তাঁর পথ আটকে দেয় ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী। ঘিরে ধরে তাঁকে। অভিযোগ, এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
গুলির শব্দ ও তৃণমূল নেতার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁকে তড়িঘড়ি হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সকালে পুজোর ফুল কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ (Shootout) হল এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াপাড়া (Noyapara) থানার অন্তর্গত ২১ নম্বর রেলগেটের সামনে। গুরুতর আহত (Injured) অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুরেরে বিএন হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুরের বিএন হাসপাতালে থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাডা় ও বাসুদেবপুর থানার পুলিস (Police) বাহিনী। ঘটনাস্থলে থাকা বাকি দোকানদের কাছ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানায়, ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তির নাম রবিন দাস। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ২১ নম্বর রেলগেটের সামেনে ফুল কিনতে যায়। ঠিক তখনই দুইজন দুষ্কৃতী বাজারে আসে এবং ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে দুই রাউণ্ড গুলি করে। প্রথম গুলিটি না লাগলেও দ্বিতীয় নম্বর গুলিটি রবিন দাসের পিঠে লাগে। তারপরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুই দুষ্কৃতী। পুলিসের দাবি, ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ঘটনার সময়কার ফুটেজ গুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি ওই ফুটেজে দুই অভিযুক্তকেও দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই দুই অভিযুক্তর খোঁজে তাল্লাশিও করা হচ্ছে।
লেকটাউনে (Laketown) দমকল কর্মী স্নেহাশীষ রায়কে গুলি (Shootout) করে খুন (Death) করার ঘটনায় নয়া মোড়। এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত সাগর হালদার সহ ৪ জনকে। এমনকি অভিযুক্তদের অস্ত্র সরবরাহ করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জু মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে। পুলিস (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ব্যক্তিগত কারণেই পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে ওই দমকল কর্মীকে। এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের নাম সাগর হালদার, তন্ময় পাল, আকাশ মল্লিক, আয়ুষ শর্মা এবং আফরাজ আনসারি। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বিধান নগরের ডিসি বিশপ সরকার জানান, ধৃত সাগর হালদারের সঙ্গে মৃত স্নেহাশীষ রায়ের একটি যৌথ লটারির ব্যবসা ছিল। তবে ব্যবসাটি কোনওকারণে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সাগরের মনে হয়েছিল এই ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পিছনে স্নেহাশীষ দায়ী। এছাড়াও সাগর একবার নিজের স্ত্রী ও স্নেহাশীষকে একসঙ্গে দেখে ফেলে। যার জন্যে তার সন্দেহ হয়েছিল স্নেহাশীষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে কোনও ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। আর মূলত এই দুটি কারণেই সাগর স্নেহাশীষকে খুন করার পরিকল্পনা করে।
পুলিস আরও জানায়, সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এই খুনের কথা স্বীকার করে। এমনকি সে নিজেই বলে, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই সে দমকল কর্মীকে খুন করেছে। স্নেহাশীষকে খুন করার জন্য সাগর তন্ময় পালকে সুপারিশ করে। তন্ময় পাল ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে সুপারি দিয়েছিল আকাশ মল্লিককে। পরে আকাশ মল্লিক কিলারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। আর তারপরেই খুন করা হয় ওই দমকল কর্মীকে, প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এমনটাই জানাচ্ছেন পুলিস।
ভোট পরবর্তী হিংসা বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। পুননির্বাচনের দাবিতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, দলীয় পতাকা নিয়ে রাস্তা অবরোধ ও বোমাবাজি করা হচ্ছে ক্রমাগত। প্রায় বেশিরভাগ বুথেই শুরু হয়েছে সেই বিক্ষোভ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের পর থেকেই শুরু হয়েছে এই ঘটনা। শনিবার ভোট শেষ হয়ে গেলেও হিংসা, মারামারি, বোমাবাজি এখনও বন্ধ হয়নি। শনিবার দিনভর বুথে বুথে চলেছে ব্যালট লুঠ, ছাপ্পা ভোট ও মারধর। তবে এখনও সেই ঘটনা অব্যাহত রয়েছে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে।
আমডাঙা, নন্দকুমার, দিনহাটা, সালার সহ বেশকিছু পঞ্চায়েত এলাকা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল সিপিআইএম-এর সংঘর্ষে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বোমাবাজি। যদিও পুলিস বাহিনীকে দেখা গিয়েছে এই ঘটনায় লাঠি চার্জ করতে। বিক্ষোভকারীদের আটক করে তাঁদের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করছে পুলিস। তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
তবে নির্বাচনের দিন অর্থাত্ শনিবার পুলিসের সক্রিয়তা তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে অনেক কর্মী সমর্থকদের। বোমের আঘাতে, গুলির আঘাতে আহতও হয়েছেন অনেকে। তবে আজা সেই দিকে পুলিসের ততপরতা অনেকখানি লক্ষ্য করছে রাজ্যবাসী।
অর্ধেক নির্বাচন সম্পূর্ণ। আর এই নির্বাচনের মধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে মারধর, ছাপ্পা ভোট, ব্যালট বক্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, গুলি, বোমাবাজির মত ঘটনা। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের জেলায়গুলিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। তারপরেই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি, মারধর শুরু হয়েছিল। সব মিলিয়ে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আহত-নিহতও হয়েছেন বহু। ঠিক একইভাবে কোচবিহারের প্রত্যেক বুথেই শুরু হয়েছে অশান্তি। তবে কোচবিহারের দিনাহাটতে এই নির্বাচন নিয়ে একটু বেশিই উত্তাপ তৈরি হয়েছে। দিনহাটার ভিলেজ ওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীরপাট স্কুলে বিজেপি কর্মীকে গুলির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চিরঞ্জিত কাজী, রাধিকা বর্মন নামের দুই বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে ইতি মধ্যেই চিরঞ্জিত কাজীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি রাজ্যে ভোট ঘোষণা হবার পরে কোচবিহারে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ অর্থাৎ নির্বাচনের দিনে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা ফলিমারি গ্রাম ৪/৩৮ নম্বর বুথ কেন্দ্রে বোমাবাজি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে বিজেপির এজেন্ট মাধব বিশ্বাস নামের ওই ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। দিনহাটা নিউ গীতালদাহ এলাকায় চলল গুলি আহত ৩ জন বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার পরেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ নজরুল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। ভোট কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভোট কর্মীরা৷ কোচবিহারের বেশ কিছু জায়গায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙা ১, ২ এবং ১৯৭ নম্বর বুথে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দী ছেচুড়া ৮/২১৭ বুথে ভোট বয়কট।
এমনকি গোটা কোচবিহার বিহার জুড়ে ব্যালট বক্স চুরি করার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মূলত ছাপ্পা ভোট দিয়ে শাসক দলকে জয়ী করতেই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে শাসক দল, এমনটাই অভিযোগ। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে বিরোধী দলের কর্মীরা। এত গুলি, বোমাবাজি, মারধরের পরেও বুথের বাইরে দেখা মিলছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সব মিলিয়ে বেশ এখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কোচবিহার।