
পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেপ্রসঙ্গে এবার আদালত কক্ষে বুর্জ খালিফার প্রসঙ্গ টানলেন সিবিআই-এর আইনজীবী। এর আগেই অবশ্য প্রাথমিক টেট দুর্নীতি প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের তুলনা করেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গও তোলেন বিচারপতি। তার পরিপ্রেক্ষিতে পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খালিফার সঙ্গে তুলনা করেন সিবিআই-এর আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেসময় সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির বিস্তৃতি যেন আমেরিকার টুইন টাওয়ারের মতো। একটি স্তম্ভ স্কুল সার্ভিস কমিশনের এবং অন্যটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
বৃহস্পতিবার মূলত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শুনানি ছিল। গত সপ্তাহেই সেবিষয়ে একটি রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেসময়ই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের তুলনা করেন সিবিআই এর আইনজীবী।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া চার শিক্ষককে অন্তর্বর্তী জামিন দিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। কিছুদিন আগেই, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন চার শিক্ষক। অভিযুক্ত চার শিক্ষককেই এদিন অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিল আদালত। ৬ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই চার প্রাথমিক শিক্ষকের। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ অগস্ট সাইগর হুসেন, সীমার হুসেন, জাহিরউদ্দিন শেখ ও সৌগত মণ্ডলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশের ১২ দিন পর চারজনকেই অন্তর্বর্তী জামিন দিল আদালত।
আদালত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রথমে সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে এই চার শিক্ষক টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিল। কিন্তু পরে ৭ অগস্ট আদালতে হাজিরা দিয়ে নিজেদের আগের বয়ান থেকে পুরোপুরি সরে গিয়েছিলেন ওই চার প্রাথমিক শিক্ষক। টাকা দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন তাঁরা আদালতে। এরপর শনিবার তাঁদের ফের অভিযুক্ত চার শিক্ষককে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদিন তাঁরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জানান, তাঁরা তদন্তে সিবিআইকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করবেন। এরপর আদালত ওই চার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন।
চার শিক্ষকের আইনজীবী এদিন আদালতের বাইরে বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছে তদন্তের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় বা কোনও গোপন জবানবন্দি দেওয়ার প্রয়োজন হলে, শিক্ষকরা তাতে ইচ্ছুক কি না। জবাবে একজন শিক্ষক প্রথমে জানান, তিনি ইচ্ছুক। তারপর বাকিরাও জানান, তাঁরা ইচ্ছুক। তখন সিবিআই-এর আইনজীবী কিছুটা আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, যেহেতু এঁরা তদন্তে সহযোগিতায় রাজি, তাই এঁদের আটকে রাখার মতো কোনও কারণ নেই। তাই চারজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।’
দুবাইতে (Dubai) কাজে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৪৫ জন বাঙালি (Bengali)। বাড়ি ফিরতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ (Social Media) মাধ্যমে তাঁরা করুণ আর্তি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) সেই ভিডিও। জানা গিয়েছে, ওই ৪৫ জনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলায়। সোমবার সিএন এই খবর সম্প্রচার করে। সেই খবর দেখে বুধবার সকালে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর প্রতারিতদের পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠালেন। আর দুবাইতে আটকে পড়া সকলকে ফেরাবে বলে তাদের আশ্বস্ত করলেন তিনি।
আটক ওই বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, নদিয়ার একজন এজেন্ট নাজমুল তাঁদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নেয় দুবাই শহরে কাজ দেবে বলে। গত একমাস আগে তাঁদেরকে দুবাইতে নিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে রেখে পাসপোর্ট কেড়ে নেয়। কোনও রকম কাজও দেয় না বলে অভিযোগ। বর্তমানে অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এরফলে বাড়ি ফেরার কাতর আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবার পরিজনেরা।
বড়সড় ধাক্কা খেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। এবারে দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Scam) প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ অন্যদের ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী সীমা সিসোদিয়ার সম্পত্তিও।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'মণীশ সিসোদিয়া-সহ দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তদের ৫২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।' গত ফেব্রুয়ারি মাসে তদন্তে নেমেই দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে একই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটিকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার হওয়ার পরে একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্ট এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
এদিন ইডির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত মণীশ সিসোদিয়া, তাঁর স্ত্রী সীমা সিসোদিয়া, আমনদীপ সিং ঢাল, রাজেশ জোশি, গৌতম মালহোত্রা-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে মণীশ ও তাঁর স্ত্রীর দুটি সম্পত্তি রয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। এই দুটি সম্পত্তি ছাড়াও ব্যাঙ্কে থাকা ১১ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) তদন্তে নেমে বড়সড় 'তথ্য' উঠে এল ইডির (ED) হাতে। সূত্রের খবর, বাংলা থেকে প্রায় ২২ বার বিদেশ গিয়েছেন একাধিক প্রভাবশালী। তাও আবার এক বছরে ২২ বার। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সরাসরি নাম না করলেও ইডি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রভাবশালী তালিকায় এক সাংসদ, তাঁর হিসাবরক্ষক ও দু’জনের পরিবারের সদস্যেরা রয়েছেন। তিন বছরের মধ্যে কেন তাঁদের এত বার বিদেশে যেতে হয়েছে, কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করার জন্যই ২২ বার বিদেশ ভ্রমণ? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে ভ্রমণের টিকিট কাটা হয়েছিল। সেই সংস্থায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, ২২ বারের মধ্যে ১৫ বারই দুবাই গিয়েছেন প্রভাবশালীরা। আর বাকি তো লন্ডন, তাইল্যাণ্ডও রয়েছে ওই তালিকায়। ইতিমধ্যেই সংস্থার মালিকদের ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। বিদেশে প্রভাবশালীদের নামে সংস্থা খোলার জন্য পাচারের টাকার বড় অংশ ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে সেই টাকাই দেশে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের নামে ও বেনামে তৈরি সংস্থায় পাঠানো হয়েছে বলে দাবি ইডির।
তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা বিনয় মিশ্রও ইডির আতশকাচের তলায় রয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, একসময় একাধিকবার বিদেশ গিয়েছিলেন তিনিও। শুধু তাই নয়, পাচারকারীদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগের মধ্যস্থতা করতেন বিনয়ই। কয়লা পাচারের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝির বয়ানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকলেও ইডির (ED) তলবে হাজির তৃণমূল (TMC) যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয় তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে। সেই মোতাবেক আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় সিজিও কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছলেন তিনি। সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ইডিকে ১০০ শতাংশ সহায়তা করব।'
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতেই সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চার পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছিল ইডি। সেই মোতাবেক সায়নীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আইটি রিটার্ন কপি সহ সায়নীকে হাজির হতে বলা হয়েছিল বলে খবর, সূত্রের আরও খবর, সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই জন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদমর্যাদার ইডি কর্তা সহ আরও অনেকে থাকতে পারেন।
ওদিকে বেলা সাড়ে ১১ টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দিকে আঙ্গুল তোলেন সায়নী।ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি প্রচারে ছিলাম, ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে ডাকা হয়েছে আমাকে, আমি সশরীরে হাজির হয়েছি। এবং আমি তদন্তে ইডিকে একশো শতাংশ সহযোগিতা করব।'
রোজভ্যালি (Rose Vally), চাকরি দুর্নীতি, কয়লাকাণ্ড (Coal Scam) সহ একাধিক অভিযোগে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) কাঠগড়ায় তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বিজেপির একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন।
সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ, ২৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রোজ ভ্যালি, সারদা, নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচারের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। বাংলার মানুষ এই দুর্নীতি ভুলতে পারবে না বলেও মন্তব্য তাঁর।
মঙ্গলবার মেরা বুথ, সবসে মজবুত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত বুথ স্তরের নেতা ও কর্মীদের বার্তা দেওয়ার জন্যই ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় উপস্থিত থেকে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। কোচবিহারে সোমবার মোদীকে তুলোধনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মঙ্গলবারও মোদীকে নন্দলাল বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
অবশেষে আড়াই মাস পর জেল থেকে বেরোতে পারলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। ৭ ঘণ্টার জন্য জেলের বাইরে বেরোতে পেরেছিলেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যই শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল তাঁকে। তবে কিছু শর্ত রাখা হয়েছিল। ফলে আজ, শনিবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে ফিরলেন মণীশ সিসোদিয়া। তবে দেখা হল না স্ত্রীর সঙ্গে। সিসোদিয়া বাড়িতে ঢোকার আগেই স্ত্রীকে দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালে (Loknayak Hospital) ভর্তি করতে হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মণীশ সিসোদিয়াকে অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব সহ কোনও গ্যাজেট, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে আদালতের নির্দেশ মেনেই এদিন সকাল ১০টার পর পুলিসের পাহাড়ায় মথুরা রোডে নিজের বাড়িতে পৌঁছন মণীশ সিসোদিয়া। কিন্তু এদিন সকালে সিসোদিয়া বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ফলে নিজের বাড়িতে কিছুক্ষণ থাকার পরই তাঁকে ফের তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রী ব্রেন এবং নার্ভের জটিল রোগে ভুগছেন।
কিছুটা স্বস্তি পেলেন দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। অবশেষে কিছুক্ষণের জন্য হলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন মণীশ সিসোদিয়া। অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্যই দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Scam) গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জেলবন্দি তিনি। কিছুদিন আগেই প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তবে এবারে তাঁর স্ত্রী-এর জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন তিনি।
তবে আজ, ২ জুন দিল্লি হাইকোর্ট থেকে কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মণীশ সিসোদিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কিছু শর্ত রয়েছে। দিল্লি আদালত থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল, ৩ জুন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত, ৭ ঘণ্টা তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এই সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যে মণীশ সিসোদিয়া মোবাইল, ট্যাব-সহ কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করতে পারবেন না, ইন্টারনেটে সংযোগ করতে পারবেন না, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইডির বিরুদ্ধে অসত্য বলা ও তদন্তকে ভুলপথে চালিত করার অভিযোগ তুললেন কুন্তল ঘোষ। শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। কালীঘাটের কাকু-র গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। কুন্তল জানান, "ইডি মিথ্যা কথা বলছে।" ইডিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কুন্তল জানান, ইডির ক্ষমতা থাকলে তাঁর বক্তব্য নিয়ে আদালতে পেশ করা হোক।
শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মামলায় আলিপুরের বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে কুন্তল ও তাপসদের। শুক্রবার আদালতে ঢোকার আগে তাপস মণ্ডল বলেন, "যা বলার কুন্তল বলবে।" তাপস মণ্ডলই প্রথম কালীঘাটের কাকুর কথা সামনে আনেন। নাম উঠে আসে গোপাল দলপতিরও।
ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস 'কালীঘাটের কাকু' সঙ্গে বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যোগাযোগের কথা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন।
আবগারি নীতি মামলায় অস্বস্তি বাড়ল দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। মঙ্গলবার, ৩০ মে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি নীতি মামলায় (Liquor Scam) গ্রেফতার করে সিবিআই। রাজধানী দিল্লিতে মদ নিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকজন ডিলারকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই আম আদমি পার্টির নেতার বিরুদ্ধে। আর এবারে তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।
দিল্লি হাইকোর্টে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা এদিন মণীশ সিসোদিয়ার জামিন খারিজ করেছেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন তিনি।' ফলে তাঁকে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি।
ফের হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) প্রতারণার খবর শিরোনামে। পরিশ্রম না করেই উপার্জন, এই লোভ দেখিয়েই ফাঁদ তৈরি করা হয়। আর সেই ফাঁদেই পা দিতেই খোয়াতে হল লক্ষাধিক টাকা। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার (Noida) এক মহিলার সঙ্গে। জানা গিয়েছে, তাঁকে বলা হয়েছিল ইউটিউব ভিডিওতে (Youtube Videos) লাইক করলেই মোটা টাকা উপার্জন হবে। কিন্তু সেই কাজ করেই একনিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে গেল ৪.৩৮ লক্ষ টাকা। এরপরই বুঝতে পারেন যে, প্রতারিত হয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, নয়ডার সেক্টর ৬১-এর বাসিন্দা সেই মহিলা। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পার্ট-টাইম চাকরির জন্য এক মেসেজ পান। প্রতারকরা তাঁকে জানান, বিনা পরিশ্রমেই অর্থ উপার্জন করতে তাঁকে শুধুমাত্র কিছু ভিডিও লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে হবে। এরপর তাঁকে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপেও যোগ করা হয়। এরপর তাঁকে কিছু কাজ দেওয়া হয়। আবার তাঁকে বিশ্বাস করানোর জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে কিছু টাকাও দেওয়া হয়। কিন্তু ফের তাঁকে কিছু কাজ দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৪.৩৮ লক্ষ টাকা। এরপর নয়ডা পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কারা এই ঘটনার পিছনে তার তদন্ত করছে নয়ডা পুলিস।
পুর-নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর হাইকোর্টকে ইডি জানিয়েছিল শুধু শিক্ষায় নয়, দুর্নীতির জাল বিছিয়ে রয়েছে পুরসভার নিয়োগেও। এরপর এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়। এরই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরল নিয়োগ দুর্নীতি মামলা।
ঠিক তার পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই দুটি মামলার দায়িত্ব পায়, দায়িত্ব পেলেও খুব একটা সুবিধা পায়নি শাসক দল। ঠিক তখনই পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অমৃতা সিনহার এজলাসে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় রাজ্য। যদিও হাকিম বদলালেও বদল হয়নি হুকুম। অমৃতা সিনহা পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে বহাল রাখলেন। এরপর এ ঘটনার তদন্তে সিবিআই ফের তাদের হেফাজতে অয়নকে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক তখনই অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের পুনর্বিবেচনার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে ধরপাকড় অব্যাহত। রীতিমতো শাসকদলের বহু নেতা, এমনকি মন্ত্রীও (Minister) জেলে আছেন। নিয়োগ দুর্নীতির এই মামলা পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। এবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে হানা দিল সিবিআই (CBI)। রবিবার দুপুরে তাদের বেশ কয়েকজন আধিকারিক পর্ষদ ভবনে অভিযান চালায়। সূত্রের খবর, সেখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিবিআই সূত্রে খবর, শিক্ষক এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের অস্বচ্ছতার অভিযোগে যে মামলা চলছে আদালতে, তারই তদন্তে গোয়েন্দাদের এই অভিযান। সূত্রের খবর, পর্ষদের অফিস থেকে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কয়েক জন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে হানা দিয়েছে সিবিআই। এসএসসি-র নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চেয়ে এই তল্লাশি বলে খবর। তাছাড়া কারা নিয়োগ করেছেন, কী ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে— এই সমস্ত বিষয়ে উত্তর জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। গত বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়কে মূলত জেরা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তা ছাড়া কিছু দিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সল্টলেকের অফিসে সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছে যায়। নিবেদিতা ভবনের তিন এবং চার তলায় তল্লাশি চালান তাঁরা।
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) এবার বিপাকে ধৃত অয়ন শীল (Ayan Shil)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির (ED) খপ্পরে আগেই পড়েছিল অয়ন শীল। ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায় নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। বিচারপতি অমৃত সেনার এজলাসে রাজ্যের এই আর্জি কোন কাজেই এলোনা বরং এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে যোগ হলো ইডি।
পুর নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তা সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ফের হাইকোর্টে আসে। কিন্তু মামলার বেঞ্চ বদল হয়। মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। শুক্রবার তিনিও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছেন। আবার এদিনই আদালতে দাঁড়িয়ে ইডি দাবি করল, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে একা অয়ন শীলই (Ayan Sil) তুলেছিলেন ৪০ কোটি টাকা।
এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই তদন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, রাজ্য সরকারের উচিত দফতরগুলিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই তদন্তে সহযোগিতা করা। অয়ন শীলের মতো আরও যাঁরা যুক্ত তাঁদের খুঁজে বার করতে যেন সিবিআই দ্রুত পদক্ষেপ করে সে কথাও বলেছেন বিচারপতি।
ইডির বক্তব্য, রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থা বলেছে, যে কায়দায় অয়ন শীলের সংস্থা ওএমআর শিট বিকৃত করে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিল তাতে সরকারি অফিসারদেরও যোগ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এসবের মধ্যেই আবার জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের ছেলের বান্ধবীর বাবা পুর দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে অয়নের স্ত্রী, ছেলে, বান্ধবীকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
শুধু তাই নয়। ইডি এদিন আরও বলেছে, শুধু পুরসভা নয়। জেলা পরিষদে নিয়োগেও কলকাঠি নেড়েছিল অয়নের সংস্থা। তবে এর শুরু বাম জমানায়। ২০০৯ সালে হুগলি জেলা পরিষদে নিয়োগের দায়িত্বে ছিল অয়ন শীলের সংস্থা। সেই সময়ে হুগলি জেলা পরিষদের সভাপতি ছিলেন অসিত পাত্র।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তা খারিজ হয়ে গিয়েছে এদিন। যা রাজ্য সরকারের কাছে ধাক্কা হিসাবেই দেখছেন অনেকে।