
এর আগে একাধিকবার গেরুয়া শিবিরের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ নিয়েও তাঁকে কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়। কথা বলা হচ্ছে দক্ষিণী তারকা প্রকাশ রাজের (Prakash Raj) বিষয়ে। 'স্পষ্টবাদী' এই অভিনেতার নাম জড়াল আর্থিক তছরুপের মামলায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি করা হয়েছে। ফলে পঞ্জি স্কিমের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে তলব করেছে ইডি। আগামী সপ্তাহেই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তামিলনাড়়ুর একটি স্বর্ণবিপণী সংস্থার বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকার পঞ্জি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই স্বর্ণবিপণীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে কাজ করেছেন প্রকাশ রাজ। সেই সূত্রেই পঞ্জি কেলেঙ্কারি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চেন্নাইয়ে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিনেতাকে। বুধবার বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানায়, 'তদন্তে উঠে এসেছে প্রণব জুয়েলার্স এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আম জনতার হকের টাকা মেরে মোটা টাকা ফেরানোর প্রলোভন দেখিয়ে পাবলিকের থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছে।'
ফলে এই সংস্থার সঙ্গে প্রকাশ রাজের যোগসূত্র পেয়েই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এর অধীনে গত ২০ নভেম্বর দক্ষিণী অভিনেতাকে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে আরও তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলায় শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের প্যান কার্ডের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। এবারে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের প্যান কার্ডের তথ্যও খতিয়ে দেখতে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে এই সংস্থার প্যান কার্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতেই মুম্বইয়ে প্যান কার্ডের সদর দফতর ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিপোজিটরি লিমিটেড (NSDL)-কে চিঠি দিল ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, অভিষেক, রুজিরা এবং সুজয় কৃষ্ণের ব্যক্তিগত প্যান কার্ড ছাড়াও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস এর প্যান কার্ড সম্পর্কিত তথ্য জানতে চিঠি দিয়েছে NSDL কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর আয়-ব্যয় এবং সম্পত্তি নিয়ে আরও খোঁজ করতে শুরু করেছে ইডি। কিছুদিন আগেই ৫ হাজার পাতার যে নথি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেগুলোর তথ্য মিলিয়ে দেখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সংস্থার প্যান কার্ড সংক্রান্ত তথ্যও চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। কত দিন তাঁকে সেখানে রাখা হবে? আদতে তাঁর কী হয়েছে? এই নিয়েই ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই তাঁর চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি বোর্ড। বিভিন্ন ধরনের বিভাগীয় প্রধানদের এই বোর্ডে রাখা হয়েছে। তবে কবে হাসপাতাল থেকে বালুকে ছাড়া হবে,অথবা ঠিক কি কি অসুবিধা রয়েছে, এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন খোদ হাসপাতাল সুপার থেকে শুরু করে বিভাগীয় প্রধানরা। তবে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মঙ্গলবার রাতে জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম-এ। তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। এর পরই তাঁর চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। জানা যায়, তাঁকে কার্ডিও বিভাগে ভর্তি করানো হলেও মেডিক্যাল বোর্ডে রাখা হয়নি কোনও কার্ডিওলজি বিভাগের কোনও চিকিৎসকই ছিল না সেখানে। তবে বালু প্রথম থেকেই পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে যাওয়ার দাবি করলে ইতিমধ্যেই তাঁকে একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখে গিয়েছেন। তবে তাঁর ঠিক হয়েছে, এই বিষয়ে কেউই কিছু বলতে চাননি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলেও হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। আরও কিছুদিন মন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আরও জানা গিয়েছে, ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাফির মাধ্যমে মন্ত্রীর রক্তের প্রবাহ নির্ণয় করা হচ্ছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলেও তাঁকে কবে ছাড়া হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বুধবার আদালতে হাজির করানো হয় বাকিবুর রহমানকে (Bakibur Rahman)। এদিন তাঁর আইনজীবী দেবজ্যোতি সেনগুপ্তকে জামিনের আবেদন করতে দেখা যায়নি। এর পরই বাকিবুরকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু এদিন আদালতে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, শুধু আটা নয়, চাল নিয়েও একই ধরণের দুর্নীতি হয়েছে। ফলে চাল কীভাবে চুরি করা হয়েছে, সে নিয়েও তদন্ত করছে ইডি। ইডির দাবি, এই দুর্নীতিতে ডিলাররা এবং সমবায় সমিতিও জড়িত।
এদিন বাকিবুরকে আদালতে হাজির করানো হলে ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভুয়ো শিবির করে ভুয়ো চাষির নাম করে ধান কেনার ভান করতেন বাকিবুর রহমান। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ব্যবহার করা হত আধিকারিকদের সিলও। এ ভাবে খাদ্য দফতরের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন বাকিবুর। ইডির আইনজীবী আদালতে আরও জানান, ধান কেনার ক্ষেত্রে খাদ্য দফতরের ভুয়ো অফিসার এবং ভুয়ো সমবায় সমিতির মাধ্যমে সব লেনদেন হত। ধান কেনার জন্য শিবিরের আয়োজন না করেই ধান কেনা হত ও সরকার নির্ধারিত টাকা পেত ভুয়ো সমবায় সমিতি এবং ভুয়ো চাষিরা। ফলে আসল চাষিরা বঞ্চিত হতেন ও মূল চক্রিরা আড়ালেই থাকতেন।
বুধবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাকিবুরকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) এবারে এল নয়া মোড়। যাঁরা ডিস্ট্রিবিউটর, তাঁরাই রেশন দোকানের মালিক! এমনটাই আপাতত দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, ডিস্ট্রিবিউটরদের মধ্যেই অনেকেই রেশন দোকানের মালিক বা ডিলার)। ফলে রেশন দুর্নীতি হলেও অনেক ক্ষেত্রে রেশন দোকানের মালিক ও ডিস্ট্রিবিউটর একই ব্যক্তি হওয়াতে অভিযোগ জানাতেন না। নিয়োগ দুর্নীতির পর (Recruitment Scam) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সৌজন্যে পর্দাফাঁস হয়েছে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam)। ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চালকল মালিক বাকিবুর রহমান থেকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই আবহেই ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ইডির হাতে।
নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতির পর এবারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সৌজন্যে পর্দাফাঁস হয়েছে রেশন দুর্নীতির। বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। আদালতের নির্দেশে আপাতত জেল হেফাজতে আছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁদের অনুমান রাজ্যে প্রায় কয়েকশ কোটি টাকার রেশন দুর্নীতি হয়েছে। আবার ইডি আধিকারিকরা দাবি করেছে, ডিস্ট্রিবিউটারদের অনেকেই বেনামে রেশন দোকানের মালিক ছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের সন্ধান শুরু করেছেন তাঁরা। নদিয়ার একজনকে চিহ্নিতও করেছেন তাঁরা। ইডি সূত্রে খবর, এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরি করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রেশন দুর্নীতির জট খোলার চেষ্টায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
কয়লা পাচার মামলায় (Coal Scam) অস্বস্তি বাড়ল আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Malay Ghatak)। তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন ফেরাল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High court)। এর আগে ১৩ বার তাঁকে সমন পাঠানো হলেও তিনি মাত্র দু'বার ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কয়লা পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে বাংলার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের। ১৩ বার তাঁকে সমন পাঠানো হলেও তিনি মাত্র দু'বার ইডির ডাকে সাড়া দিয়েছেন। কখনও নির্বাচন, আবার কখনও রাজ্যের প্রশাসনিক দায়িত্বের অছিলায় হাজিরা এড়িয়েছেন মলয় ঘটক। এই আবহে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা খারিজের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাংলার আইনমন্ত্রী। তবে তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। মলয়ের লাগাতার গরহাজিরায় বিস্ময়প্রকাশ হাইকোর্টের।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা অবাক করে যে, মামলাকারীকে গত দু'বছরে ১৩ বার তলব করেছে ইডি। এর মধ্যে মাত্র দু'বারই তিনি হাজিরা দিয়েছেন। এরপরই বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা রায় জানিয়ে দেন, মলয়ের আবেদনে কোনও সাড়া দেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে কোনও রক্ষাকবচও নয়। আদালত আরও জানিয়েছে যে, মলয়কে ইডির কলকাতার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ন্যূনতম ২৪ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে বাংলার আইনমন্ত্রীকে। নোটিসের কপি পাঠাতে হবে রাজ্যের পুলিস কমিশনার এবং মুখ্যসচিবকেও। সেই সঙ্গে তদন্তকারী আধিকারিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে রাজ্যের পুলিস প্রশাসন। কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটক যেভাবে বারবার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন, তা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। তদন্তে সহযোগিতা না করে কেন তিনি বারবার হাজিরা এড়াচ্ছেন? আর কেনই বা রক্ষাকবচ পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন, উঠছে প্রশ্ন।
চারদিনের জেল হেফাজত শেষে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করার কথা ছিল রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে(Jyotipriya Mallick)। কিন্তু জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ তিনি আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে পারবেন না। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে পেশ করা হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। ইডি হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে বারবার বলতে শোনা যায়, তিনি খুবই অসুস্থ, মৃত্যুশয্যায় প্রায়। তাঁর বাঁদিক প্যারালাইসিস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালই আছে। আর এর পরই আজ জানা যাচ্ছে, তিনি আদালতে সশরীরে যেতে পারবেন না, ভার্চুয়ালি মাধ্যমে তিনি হাজিরা দেবেন।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি গ্রেফতার করে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এর পর এই ঘটনার তদন্তে বালুকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। গত শুনানিতে ব্যাঙ্কশাল আদালত বালুকে চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ফলে বিগত চারদিন তাঁর ঠিকানা ছিল প্রেসিডেন্সি জেল। জেলে পৌঁছতেই একের পর এক আবদার শুরু হয়। তাঁর দাবি, তিনি মন্ত্রী, জেলে থাকবে কেন? তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হোক। এর পর তিনি জেলে বসেই ফোনেরও দাবি করেন। ফলে 'বালুর বায়না' যেন শেষই হতে চায় না। আজ জেল হেফাজত শেষে তাঁকে আদালতে পেশ করার দিন, কিন্তু জানা যাচ্ছে, তিনি অসুস্থ, ফলে তাঁকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হবে। ফলে এখন এটাই দেখার ভার্চুয়ালি মাধ্যমে পেশ করার পর বালুর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন কিনা। জামিনের আবেদন করলেও সেই জামিন আদালত মঞ্জুর করবে নাকি ফের বালুর ঠিকানা হবে প্রেসিডেন্সি জেল।
রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) জেরবার রাজ্য। চালকল মালিক থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে জেল হেফাজতে রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর এবারে রেশনের সামগ্রী বিলিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় (Bagda)। এরকম ঘটনা এর আগেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে। কিন্তু এতদিন ভ্রূক্ষেপ ছিল না প্রশাসন ও পুলিসের। কিন্তু প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবারে জেলে যেতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন থেকে রাজ্য পুলিস। জানা গিয়েছে, রেশনের সামগ্রী বিলিতে প্রায় ৫ বছর ধরে অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে বাগদার হরিনাথপুর এলাকায়। দিনের পর দিন মিলছে কম রেশন সামগ্রী। ১৯ কেজির স্লিপ দিয়ে ১৫ কেজি পণ্য দেওয়ার অভিযোগ। ফলে এই অভিযোগে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রেশন ডিলারকে ঘিরে বিক্ষোভে সামিল বাসিন্দারা। চাপে পড়ে অবশেষে নিজের দোষের কথা স্বীকার করলেন খোদ রেশন ডিলারের ছেলে শান্তনু সাধু।
রেশন দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেশন বণ্টনে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রাহকরা। কোথাও কম সামগ্রী, কোথাও পোকা ধরেছে ন্যায্য সামগ্রীতে, আবার কোথাও রেশনে দেওয়ার খাদ্যের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশু খাদ্য। এবারে রেশনের সামগ্রী পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বাগদার হরিনাথপুর এলাকার গ্রামবাসীদের। অভিযোগ, প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন গ্রাহকের থেকে ৫ বছর ধরে চাল, আটা, চুরি করেছে হরিনাথপুরের রেশন ডিলার। চাপে পড়ে অভিযোগ স্বীকার রেশন কর্মীর। তাঁর দাবি, ডিলারের কথা মতোই কাজ হয়েছে। এর পর মঙ্গলবার রেশন ডিলার নিবেদিতা সাধুর ছেলে শান্তনু সাধুর কাছে প্রশ্ন করতেই তিনি জানান, 'ভুল হয়েছে'।
ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন বাগদা ফুড ইন্সপেক্টর সঞ্জীব চক্রবর্তী ও বাগদা থানার পুলিস। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন ফুড ইন্সপেক্টর। পাশাপাশি রেশন ডিলারের ছেলে শান্তনু সাধু ও কর্মচারীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিস।
'শরীর ভালো নেই, শরীরের একদিক প্যারালাইসিস হয়ে যাচ্ছে', এ কথা বারংবার বলেছেন রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু কালীপুজোর দিন রবিবার সকালে এক অন্য দৃশ্যই দেখা গেল। এবারে বালুকে দেখা গেল, তিনি হাঁটতেই পারছেন না, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিন তিনি ক্ষীণ স্বরে বললেন, 'মরে যাব আর বাঁচবো না।'
রবিবার সকালে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য। আজ সকালেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা রওনা দেন, তাঁদের সল্টলেকের অফিস থেকে। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে ফিরেও আসেন তাঁরা। সল্টলেকের অফিসে প্রবেশ করার সময়ই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ক্ষীণ স্বরে বলে উঠলেন, 'শরীর অত্যন্ত খারাপ, মৃত্যু শয্যায় প্রায়। এক সাইড প্রায় প্যারালাইসিস হয়ে গেছে।' হাসপাতালে যাওয়ার সময়ও জানিয়েছিলেন, 'আমি মরে যাব, আর বাঁচবো না।' এই যাওয়া-আসার মাঝেই যে কী বিড়বিড় করে বললেন, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে এদিনও ইডি দফতরে এসেছিলেন প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা। বেরিয়ে যাওয়ার সময় রামস্বরূপ শর্মা জানিয়েছেন, 'আমার যা বলার ইডিকে বলে দিয়েছি। বাড়ি থেকে যা খাবার দিয়েছে সেটাই নিয়ে এসেছি।'
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) নাম করে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মাকে (RamSwarup Sharma)। শুক্রবারের পর আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুরে ইডি দফতরে ফের এলেন রামস্বরূপ শর্মা। আর ইডির দফতর থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। ইডি দফতরে 'সাহেব' অর্থাৎ মন্ত্রীকে খাবার দিতে এসেছেন, এমনটাই দাবি করে এক বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তিনি। রামস্বরূপ জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়র নাম করে কয়েকজন এসে সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছিল।
শনিবার দুপুরে ইডি দফতরে হাজির হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা। যদিও তাঁর দাবি, তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাবার নিয়ে এসেছেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন। এর পর তিনি সিএন-এর মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'সাহেবের নাম করে অচেনা লোক উল্টোডাঙ্গার রাস্তায় সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কেন সই করিয়েছিল জানিনা।'
এছাড়াও রামস্বরূপকে ফ্ল্যাট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমার টাকা, আমার সেলুনের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। এখন কেষ্টপুরে থাকি, কেষ্টপুরেই ফ্ল্যাট আছে। ২০ বছর সেলুনে রোজগার করে সেই টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাট কিনেছি। ২০ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। সাহেব ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। টাকা নিয়েছিলাম লোন হিসাবে, ধারে নিয়েছিলাম। সাহেবের কাছ থেকে লকডাউনের আগে টাকা নিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের আগে লকডাউনের আগে রেজিস্ট্রি হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা শোধ করেছি, বাকি টাকা পাবে, মাঝে মাঝে শোধ করব। আজ ইডি ডেকেছিল, ওনারা যা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বলেছি যা হয়েছিল তাই বলেছি। নথি, প্যান কার্ড, ব্যাংক ডিটেলস জমা নিয়েছে।'
মন্ত্রীর পরিচারক আরও বলেন, 'ওনার সম্পত্তির কথা বলতে পারব না, যেগুলো জানিনা সেগুলো বলতে পারব না। আমি কোনও কিছুতে নেই। কোনও কিছু জানি না। নগদ টাকা নিয়েছিলাম জ্যোতিপ্রিয়র কাছ থেকে, মাসে মাসে শোধ করে দেব। ডিরেক্টর থাকার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আপনারা বলছেন বলেই জানতে পারছি, আগে জানা ছিল না।'
বাকিবুরের থেকে ঋণ নিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। নিজেই জানালেন মন্ত্রী। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে বাকিবুর রহমান ও রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁদের ইডি হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে জেরা পর্ব। জেরা পর্বের পরই নয়া নয়া তথ্য উঠে আসছে ইডির হাতে। এবারে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, আর এই তথ্য খোদ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ই দিয়েছেন।
ইডি সূত্রে খবর, কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বাকিবুর রহমানের থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডি জেরায় স্বীকার করলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালু। তবে সেই টাকা নিজের নামে নেননি বলেই সূত্রের খবর। তিনি জেরায় দাবি করেছেন, ওই ৯ কোটি টাকার উপর তিনি ২০১৬ সালে আয়কর জমা দিয়েছিলেন। নিজের মেয়ে ও স্ত্রীর নামে সেই আয়কর জমা পড়েছিল বলে দাবি বালুর। আয়কর দফতর থেকে নথি সংগ্রহ করে বালুর দাবি যাচাই করছে ইডি। তবে ব্যাঙ্ক থেকে না নিয়ে বাকিবুরের থেকে ঋণ কেন নিয়েছিলেন? তার সদুত্তর দিতে পারেননি মন্ত্রী।
অন্যদিকে ইডি আধিকারিকদের অনুমান, কালো টাকাকে সাদা করতেই একাধিক কোম্পানি খোলা হয়েছিল। ফ্লাওয়ার মিল, হোটেল ব্যবসা ছাড়াও বিনিয়োগ করা হয়েছিল পেট্রোল পাম্পে। ২০১৯ সালে তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি কোম্পানি তৈরি করে সাহা ব্রাদার্স। আর এই দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরে রয়েছে একাধিক ব্যবসায়ী। রেশন দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই, এমনটাই অনুমান ইডির।
আজ ইডি দফতরে ফের হাজিরা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁর হাজির হওয়ার কথা ইডি দফতরে। ফলে মনে করা হচ্ছে, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার মধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি তাঁকে ফের তলব করেছে, বুধবার সকালেই এই খবর প্রকাশ্যে আসে।
গত মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন ছিল। জন্মদিনেই ইডি নোটিস পাঠায় অভিষেককে। এরপরেই তিনি যাবেন কিনা সেটা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তবে অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা যে বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি দফতরে যাবেন।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) ইতিমধ্যেই ইডি হেফাজতে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমান ও রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই দুর্নীতি মামলায় প্রায় নিত্যদিনই নতুন নতুন তথ্য আসছে ইডি আধিকারিকদের কাছে। এবারে ইডির হাতে এল রেশন দুর্নীতির কালো চক্রের বিভিন্ন তথ্য। এই নিয়ে মঙ্গলবার ইডির তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখান উঠে এসেছে, কীভাবে রাইস মিলের মালিকরা কৃষকদের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বানাতেন ও এছাড়াও কীভাবে চাল খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা করতেন তাঁরা।
ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, রাজ্য পুলিসের কাছে অনেকদিন আগেই অভিযোগ এসেছিল যে, কিছু বেসরকারি সংস্থা বিনা লাইসেন্স ছাড়াই রেশনের চাল, আটা মজুত করত ও তা বিক্রি করত। এছাড়াও রাজ্য পুলিসের কাছে অভিযোগ এসেছিল, কিছু রাইস মিলারের মালিকরা ভুয়ো কৃষকের নাম করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে শস্যের সরকারি সাহায্য মূল্য নিজেদের পকেটে পুরে মুনাফা অর্জন করত। এর পরই ইডি আধিরকারিকরা তদন্তে নামলে আরও এক তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ইডির অভিযোগ, অন্ত্যোদয় যোজনা, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ও পিএইচএইচ-এর আওতায় উপভোক্তাদের প্রায় ৩০ শতাংশ রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করা হত। তারপর সেই টাকা দিয়েই নিজেদের পকেটে পুরত রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও মিলের মালিকরা। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে যে কৃষকদের চাষের জন্য সাহায্য মূল্য দেওয়া হয়, তা আত্মসাৎ করে নিত রেশন ডিস্ট্রিবিউটর ও মিলের মালিকরা।
ফলে ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এক অভিযুক্ত অবশেষে স্বীকার করেছে, তারা এইভাবে 'কালোবাজারি' করে প্রতি কুইন্টাল প্রতি প্রায় ২০০ টাকা করে মুনাফা করত মিলের মালিকরা।
মন্ত্রীর পরিচারককে ২০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট! মঙ্গলবার এই ফ্ল্যাটেরই হদিশ মিলল কেষ্টপুর অঞ্চলে। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গত মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় নিত্যদিনই একের পর এক নয়া তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। আর এবারে হদিশ পাওয়া গেল বালুর পরিচারক রাম স্বরূপের ২০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট।
ইডি সূত্রে খবর, পরিচারক রাম স্বরূপের ফ্ল্যাটের মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কানন অঞ্চলে শান্তিনিকেতন অ্যাপার্টমেন্টের চতুর্থ তলে তাঁর এই ফ্ল্যাট। আর এই অ্যাপার্টমেন্টের অন্যান্য বাসিন্দারা জানান, তাঁরা জানতেন রাম স্বরূপ মন্ত্রীর পরিচারক হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা আরও জানান, মাঝেমধ্যেই তাঁর এই ফ্ল্যাটে এসে থাকেন তিনি। সূত্রের খবর, এই ফ্ল্যাটের পাশাপাশি কলেজ স্ট্রিটেও রাম স্বরূপের বাড়ি রয়েছে। আবার, মল্লিকের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করলেও রাম স্বরূপ রাজ্য কৃষি দফতরেও কর্মরত। ইডি সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সেই পরিচারককে।
ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই ফ্ল্যাট কেনার টাকা তিনি কীভাবে পেয়েছিলেন? সামান্য পরিচারক হয়ে ২০ লাখি ফ্ল্যাট কীভাবে কিনতে পারলেন? কৃষি দফতরেও চাকরি কীভাবে পেলেন তিনি? তবে কি রেশন দুর্নীতির সৌজন্যে বাড়ির পরিচারকের নামে সম্পত্তি বানাতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? এই প্রশ্নগুলোই এই মুহূর্তে উঠে আসছে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে ফের হানা ইডির। ইডি সূত্রে খবর, নিউটাউনে কুন্তল ঘোষ যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন, সেখানেই ফের তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল কুন্তলের সেই ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা।
প্রায় ১০ মাস আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সেই ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষকে। সেখানে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন কুন্তল। সম্প্রতি ইডির গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ফ্ল্যাটটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, বেনামে ফ্ল্যাটটি কিনে নিজেকে সেখানে ভাড়াটে হিসাবে দেখাতেন কুন্তল। তাঁর গ্রেফতার পর ঘুরপথে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছে আবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে ইডি। এর পরই জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটে ভাড়াটে হিসাবে থাকতেন কুন্তল ঘোষ। তাঁর গ্রেফতারির পর ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিয়েছেন তার মালিক। ফ্ল্যাটটি এখন নতুন মালিকের দখলে রয়েছে।
তবে কুন্তলের গ্রেফতারির পর কেন সেই ফ্ল্যাট এত তাড়াতাড়ি বিক্রি করা হল, সেই ফ্ল্যাটের আসল মালিক কে বা কুন্তল কি সেখানে সত্যিই ভাড়াটে হিসাবে থাকতেন কিনা, সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার সকালে ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাটেই চলত কুন্তলের চাকরি দেওয়ার সেটেলমেন্ট।