
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অ্যাকশন মোডে সিবিআই (CBI)। সোমবার ফের ২ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। আর এবারে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার করা হল নিয়োগ সংক্রান্ত আরও নথি ও অ্যাডমিট কার্ড। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কাউন্সিলরের বাড়িতে এই নথিগুলো কোথা থেকে এল? আর এরই তদন্ত করছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। উদ্ধার করা হয় ১৪ থেকে ১৫ টি চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড এবং ৫ থেকে ৬ টি বদলি সংক্রান্ত নথি। সমস্ত নথি, সিবিআইয়ের কাছে প্রাপ্ত নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও অ্যাডমিট কার্ডের প্রার্থীদের এবং যাঁদের বদলি সংক্রান্ত নথি পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, তাঁদের খুব শীঘ্রই তলব করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এবং এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি। প্রায় ১০০ পাতার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কলকাতা পুরসভার একজন কাউন্সিলরের বাড়িতে এত নিয়োগ সংক্রান্ত নথি কেন ছিল এ নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। প্রয়োজনে তাঁকেও তলবের সম্ভাবনা রয়েছে সিবিআইয়ের তরফে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেও রাজনৈতিক মহলে পরিচিত এই কাউন্সিলর।
রাজ্য জুড়ে বেড়ে চলা দুর্নীতির আবহেই গ্রুপ সি (Group C) মামলায় তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। আদালতের ডেডলাইনকে মাথায় রেখেই ময়দানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এবারে রাজ্যের এসএসসি গ্রুপ সি পদে চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষাকর্মীদের নথি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এর পরই নড়েচড়ে বসেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আদালতের চাপ বাড়তেই অ্যাকশন মোডে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য শেষ করতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে শিক্ষকদের পর এবারে গ্রুপ সি পদে চাকরি পাওয়া ক্লার্কদের নথি চেয়ে পাঠাল সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর পর পর্ষদের পক্ষ থেকে সমস্ত জেলার স্কুল পরিদর্শকদের চিঠি দিয়ে গ্রুপ সি পদে চাকরি পাওয়া ক্লার্কদের নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত নথি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে আসলেই তা সিবিআই-এর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই জেলবন্দি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থেকে শিক্ষাদফতরের একাধিক কর্তা। এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনোর দিশা দেখতে এখনও ব্যর্থ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যেই ঘাড়ে এসে পড়েছে আদালতের ডেডলাইন। সেই নির্দেশকে মাথায় রেখেই তদন্তের জাল গোটাতে তৎপর তাঁরা। তদন্তে মূল মাথার সন্ধানের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।
কয়লা পাচার (Coal Scam) কাণ্ডে নয়া মোড়। কয়লা পাচার কাণ্ডে এবারে ইডির পর সিবিআই। ফলে আরও বিপাকে রাজ্যের আইনমন্ত্রী। কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের ব্যাঙ্কের সমস্ত লেনদেনের বিষয়ে আরও খতিয়ে দেখার জন্য এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে তলব করল সিবিআই। আগামী ১৩ ডিসেম্বর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে।
সুপ্রিম নির্দেশে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে, দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয়ের ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে ডাকা নিয়ে সরগরম হয়ে আছে রাজ্য রাজনীতি। কয়লা পাচারকাণ্ডে অস্বস্তি বাড়ল মলয় ঘটকের। সিবিআই সূত্রে খবর, আইনমন্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। মলয় ঘটক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেন দেখতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। তাই মন্ত্রী সহ মোট ৫ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি তলব করেছে সিবিআই।
বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে চলছে তদন্ত। তদন্তের গতি বাড়ানোর পরামর্শ হাইকোর্ট থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও। নির্দেশের পর চূড়ান্ত তৎপর সিবিআইও। মলয় ঘটকের ব্যাঙ্কের তথ্য জানতে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তো আসবেন নিজাম প্যালেসে। তারপর কয়লা পাচার কাণ্ডে আসল দোষী বেরিয়ে আসবে তো? মুখোশ খুলবে তো দোষীদের? উত্তরের অপেক্ষাতেই রাজ্যবাসী।
এবারে কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। তাঁর বাড়িতে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি কোথা থেকে এল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। শাহী সভার পর থেকেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও তৎপর সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শাসক দলের একাধিক নেতা-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রায় তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি, বেসরকারি কলেজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য। নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুজল আনসারির কলেজ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো ওএমআর শিট। আর শুক্রবার দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল নিয়োগ সংক্রান্ত নথি।
বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৮ লক্ষ টাকা। একই সঙ্গে সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে সোনাও। এর পরই আজ জানা গিয়েছে, বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রাথমিক নিয়োগের নথি থেকে শুরু করে বদলি সংক্রান্ত একাধিক নথি। কিন্তু অন্যদিকে দেবরাজের দাবি, বাড়ি থেকে নথি পাওয়া গেলেই তাতে প্রমাণিত হয় না যে, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। কোনও চাকরিপ্রার্থী তাঁকে কোনও নথি দিতেই পারেন। তবে তাতে চাকরি হল কিনা, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কিনা, তা দাবি করা যায় না।
আবার কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়ি থেকেও বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর দুটি মোবাইল ফোন এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। আবার বড়ঞার সুজল আনসারির বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন, ডায়েরি, কিছু ওএমআর শিট সহ ব্যাঙ্ক পাসবইয়ের জেরক্স নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) নিস্তার নেই এসএসকেএম হাসপাতালে থেকেও। বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতের নির্দেশ ছিল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হাসপাতালের ভিতরেও সর্বক্ষণ রাখতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন। যার একটি লিঙ্ক থাকবে ইডির কাছে। অপর লিঙ্ক থাকবে জেল সুপারের কাছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল সকাল শুরু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তুতি।
হাসপাতালের সুপার আসেননি। তবে আধিকারিকরা এসে উঠেও গেছেন কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিসিইউর ৫ নম্বর কেবিনে। সব মিলিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে নজরদারির ঘেরাটোপে রাখার জন্য, সবরকম প্রস্তুতি তুঙ্গে। এখন শুধু অপেক্ষা এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার পীযুষ রায়ের সইয়ের। তারপরেই ইডি করবে বালুর উপর নজরদারি। মূলত সারাদিন তিনি কী করছেন, প্রভাবশালী মানুষের প্রভাব কোথাও খাটছে না তো? এসব দেখতেই সিসিটিভির নজরাধীন হচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এসএসকেএমে গিয়েও স্বস্তি মিলল না জ্যোতিপ্রিয়র। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে সর্বক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন রাখার নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। এদিন বিচারক জেল সুপারকে আরও নির্দেশ দেয় যে, ওই সিসিটিভি ফুটেজের লিংক দিতে হবে ইডির তদন্তকারী অফিসারকে। পাশাপাশি এই মামলার শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতে বিচারক শুভেন্দু সাহার বেঞ্চে শুনানির সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ আদালতকে জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবার জানেননা তিনি কেমন আছেন! তার সুগারের সমস্যা রয়েছে। কিডনি ৭৫% নষ্ট। এরপর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী আদালতের মাধ্যমে তাঁর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট চেয়ে আবেদন করেন। যদিও জ্যোতিপ্রিয়র তরফে কোনও জামিনের আবেদন এদিন করা হয়নি। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী বলেন, 'আমরা তাঁর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি, এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওদিকে ইডির পক্ষে আইনজীবী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জেল হেফাজতের আবেদন জানান। এদিন ইডির আইনজীবী, ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে আবেদন করে, বর্তমান বনমন্ত্রী অর্থাৎ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাই হাসপাতালে অবাধ প্রবেশধিকার যাতে রোখা যায় সে বিষয়ে যেন আদালতের নজরদারি করেন। এ ছাড়া ইডির পক্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এ যাবৎ চিকিৎসার রিপোর্ট আদালতের মাধ্যমে পাওয়ার আবেদন জানানো হয়। এরপরেই আদালত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের উদ্দেশে নির্দেশ দেয়, হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বাইরের কেউ এসে যাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, সেটি দেখতে হবে। পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার এবং এসএসকেএম হাসপাতালে কী কী চিকিৎসা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এবারে শাসক দলের নেতা ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল বেশ কিছু ভুয়ো ওএমআর শিট, একটি মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যুজুড়ে তৃণমূল একাধিক বিধায়ক-কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে শুধুমাত্র শাসক দলের নেতারা নন, নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ঝান্টু শেখের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। এর পর তাঁর ছেলে সুজল আনসারির কলেজেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। আর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় ভুয়ো ওএমআর শিট।
জানা গিয়েছে, আজ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট অবধি সুজল আনসারির বাড়ি ও কলেজে তল্লাশি চালানো হয়। এর পর বেশ কিছু ভুয়ো ওএমআর শিট, একটি মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে সুজল আনসারির কলেজ থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, বড়ঞা থানার কুলি মোড়ের বাসিন্দা ঝান্টু শেখ পেশায় ব্যবসায়ী। ঝান্টু শেখের ভালো নাম মোহাম্মদ আনারুল হক আনসারি। তাঁর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয়। জানা গেছে, এই ঝান্টু শেখ ছাড়াও তাঁর ছেলে সুজল আনসারির নামেও রয়েছে একাধিক বাড়ি, সম্পত্তি ও বেসরকারি কলেজ। দুপুর ১টা থেকে বড়ঞার এক কলেজে শুরু হয়েছিল তদন্ত। তারপর সুজল আনসারির ভাই চঞ্চল আনসারিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কলেজে বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর কোন কোন অ্যাকাউন্টে কত কত টাকা গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি ডাইরির পাশাপাশি চঞ্চল আনসারির মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ওএমআর শিট উদ্ধার করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও জানা গিয়েছে, সুজল আনসারি বর্তমানে কোথায় আছে তা কেও জানে না। সূত্রের খবর, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এই সুজল আনসারির। এছাড়াও আজ ঝান্টু শেখকে তাঁর ছেলের বিষয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, 'আমার ছেলে চোর। তবে শুধু তাই নয়, তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও চরম দুর্ব্যবহার করেন।'
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। এবারে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল লক্ষ লক্ষ টাকা। সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে ২৪ লক্ষ টাকার বেশি।
শাহী সভার পরই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তৎপর সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। এর পর বেলা গড়াতেই সেখানে আনা হয় টাকা গোনার মেশিন। এর পরই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি থেকে নগদ ২৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম আগেই স্বীকার করেছিলেন যে, তাঁর কাছে বর্তমানে ২৪লক্ষ ১২ হাজার টাকা ছিল। এই টাকা তিনি তাঁর জমি বিক্রি করে জমা করে রেখেছিলেন বাড়িতে। আর সিবিআই সূত্রেও জানা গিয়েছে যে, আনুমানিক সেই পরিমাণ টাকাই উদ্ধার হয়েছে। কাউন্টিং মেশিনটি আবার পুনরায় ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক নিয়োগে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া মানা হয়নি, এমনই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার শুনানিতে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। জানা গিয়েছে, চলতি বছর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি স্কুলে নিয়ম না মেনে, কাউন্সেলিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠে। বেশ কয়েকজন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এরপর মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এদিন ওই মামলার শুনানিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল জাস্টিস গাঙ্গুলি। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে।
এদিন এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, শুধুমাত্র বয়স এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অর্থাৎ DPSC রুলে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হয়। সবল জবাবে রাজ্যের বক্তব্যের পাল্টা মামলাকারীর দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হয়নি, বরং অন্যান্য কয়েকটি জেলা অর্থাৎ বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়ম মেনেই হয়েছে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কাঁটায় বিদ্ধ রাজ্য সরকার অর্থাৎ তৃণমূল। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই হাজতে আছেন তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সহ অন্তত হাফ ডজন নেতা। এরই পাশে বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য জুড়ে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি রাজ্য সরকারের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়া সেটা বলা চলে।
এবারে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে আনা হল টাকা গোনার মেশিন। তবে কি শাসক দলের এই বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হবে কোটি কোটি টাকা! এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। শাসক দলের একাধিক নেতা-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই জানা গিয়েছে, বেলা গড়াতেই জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে ইতিমধ্যেই টাকা গোনার মেশিন আনল সিবিআই।
শাহী সফরের পরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। আর তল্লাশি চলাকালীন টাকা গোনার মেশিন আনা হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই বিধায়কের বাড়ি থেকে কত টাকা উদ্ধার করা হয়, সেটাই এখন দেখার। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতার বাড়িতে রাখা টাকা গুনতে মেশিন আনতে হয়েছিল।
শাহ সফরের পরের দিনই সক্রিয় সিবিআই। সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সল্টলেক, মুর্শিদাবাদ, কলকাতার কিছু জায়গায় তৃণমূল কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সকাল থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওদিকে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ঘনিষ্ঠ জাফিকুল জড়িয়ে আছেন কি না তার তদন্তেই এদিন সকালে ডোমকলে আসেন তারা। এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার ধর্মতলার সভা থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ দুর্নীতি নিয়ে মমতা ও তৃণমূলকে টার্গেট করেন। তারপর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে বহু যায়গায় সিবিআই হানা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডোমকলের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে। বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের গ্ৰেফতারের পর এবার ফের সিবিআই হানা বড়ঞায়, বড়ঞা থানার কুলি মোড়ের বাসিন্দা ঝান্টু সেখ পেশায় ব্যবসায়ী তার বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয়। জানা গেছে এই ঝানটু শেখের বেশ কিছু বেসরকারি কলেজ ও বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা ঝান্টু শেখের বাড়িতে পৌঁছেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ওদিকে পাটুলি, সল্টলেকে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের। পাটুলিতে নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। ওদিকে বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র পরিষদ সদস্য ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই হানা। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই এর এই অভিযান বলে সূত্র মারফত খবর।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এল নয়া মোড়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী জামিন পাওয়ার পর এবারে জামিন পেলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ অর্থাৎ বুধবার শর্তসাপেক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জামিন দিল।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু রয়েছে কিছু শর্ত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের শর্ত অনুযায়ী, তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে কল্যাণময়কে। কলকাতার বাইরে তিনি যেতে পারবেন না। কল্যাণময় প্রবেশ করতে পারবেন না বিধাননগর কমিশনারেট এবং পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায়। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে পাসপোর্ট নিম্ন আদালতে জমা রাখতে হবে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃতীয় আধিকারিক ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর টানা ছয় ঘণ্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পর টানা ১৪ মাস পরে কল্যাণময়ের জামিনের আবেদন শর্তসাপেক্ষে মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।
কুন্তলের জন্য 'ফেঁসে' গিয়েছেন। কুন্তলই কালীঘাটের কাকুর নামে টাকা তুলত তাঁর কাছ থেকে। বিস্ফোরক দাবি করলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারও হল না আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তাপস মণ্ডলের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার। তবে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস।
প্রাইমারি টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলায় আলিপুর আদালতে মঙ্গলবারও হল না সুরাহা। পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার। তবে বুধবারই জামিন মিলবে নিশ্চিত তাপস। আদালত থেকে সংশোধনাগারে যাওয়ার পথে এদিন একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করলেন তাপস মণ্ডল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফ জবাব, 'সব দোষই কুন্তলের। তদন্ত প্রক্রিয়াকে বিপথে চালু করছে কুন্তল ঘোষ।' সাংবাদিকদের প্রশ্ন, 'শুধুই কি কুন্তল টাকা নিয়েছিল, নাকি আরও অনেকেই এই চক্রে?' টাকা শুধু কুন্তলই নিয়েছিল। যে টাকা কুন্তলকে দেওয়া হয়েছে তার হিসেব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের পেশ করছেন। এমনকি কাদের টাকা সেই বিষয়ও জানানো হয়েছে দাবি অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের। লক্ষাধিক টাকা কুন্তলকে দিয়েছে বলেও বিস্ফোরক তাপস।
তাপস মণ্ডলের আরও দাবি গোপাল দলপতি তাঁর লোক। তাঁর টাকা নিয়েই কুন্তলকে দিয়েছে। এখন কুন্তল গোপালকে জড়াচ্ছে কেন। এবিষয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই তাপসের। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, 'কালীঘাটের কাকুর নাম বলেছিলেন, আর কারোর নাম আছে?' তাপস এর উত্তরে বলেন, 'না, কালীঘাটের কাকুর নাম করেই কুন্তল টাকা তুলেছে আমার কাছ থেকে। সব টাকাগুলো কালীঘাটের কাকুকেই দিত।' তবে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক ছাড়া অন্য কেউ আর জড়িত কিনা সে বিষয়ে সদুত্তর দিলেন না তাপস।
সোমবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মন্ত্রীকে সোমবারই এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-কে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা আইসিইউ-তে রেখেই তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করার পরই মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা জানাবেন যে, কবে তাঁকে ফের কার্ডিওলজি বিভাগের ৫ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
জানা গিয়েছে, সোমবার হঠাৎ রক্তচাপ কমে যায় রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর পরই তাঁকে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করবেন। এছাড়াও ইতিমধ্যে তাঁকে সাইকিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞকেও দেখানো হয়েছে। এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বনমন্ত্রী।
আরও জানা গিয়েছে, সোমবার রক্তচাপ অনেকটা কমে গেলেও মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে। নতুন করে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়নি। তবে তাঁকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য আইসিইউ-তেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর পরই জানানো হবে যে, ফের কবে তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ওএমআর শিট (OMR Sheet) কেলেঙ্কারিতে নয়া মোড়। মুম্বইয়ের সংস্থা থেকে বাজেয়াপ্ত মূল মূল্যায়ন পত্র, আর সেই মূল্যায়ন পত্র থেকেই নয়া মোড় সিবিআই তদন্তে। জানা গিয়েছে, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফে মূল্যায়ন নম্বর পর্ষদকে দেওয়া হয়। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফে মুম্বইয়ের সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মূল্যায়নের। কিন্তু ওএমআর শিটের নম্বর ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে জমা পড়া তালিকার মূল্যায়নে বিস্তর ফারাক। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই হাত বদলের পরই হয়েছে নম্বরে কারচুপি। মুম্বইয়ের ওই সংস্থার এক কর্তাকে এবার তলব করতে চলেছে সিবিআই। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ থেকেও। কার নির্দেশে নম্বরে বদল, জানতে তৎপর সিবিআই।
সূত্রের খবর, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির একাধিক কর্তার বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা মুম্বই গিয়ে সেই সংস্থার থেকেও একাধিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। সিবিআইয়ের হাতে আসা এই নয়া তথ্য প্রসঙ্গে বঞ্চিত এক চাকরীপ্রার্থী অরুণিমা পালের দাবি, এই অভিযোগ আমরা বারবার করে আসছি। আমাদের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। আর মাস্টারমাউন্ড মানিক ভট্টাচার্য।