Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Sand

River: সন্দেশখালির রায়মঙ্গল নদী বাঁধে ১৫০ ফুট ধস, মোখা আতঙ্কের মধ‍্যেই নতুন বিপর্যয়

মোখা আতঙ্কের মধ‍্যেই নতুন বিপর্যয় সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালিতে রায়মঙ্গল নদী বাঁধে ১৫০ ফুট ধস (Erosion)। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) দু'নম্বর ব্লকের মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আতাপুর তালতলার রায়মঙ্গল নদী বাঁধের ঘটনা। ঘটনাস্থলে বিডিও (BDO) ও এনডিআরএফ (NDRF) আধিকারিকরা। নদী বাঁধে ধস নামায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ঐ এলাকায়।  

সূত্রের খবর, এই এলাকায় মোকা যদি প্রভাব ফেলে পাশাপাশি নদীর জলোচ্ছ্বাস অতিরিক্ত হয় তাহলে বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কাও রয়েছে। নদী বাঁধ ভাঙলে মণিপুর, কোরাকাটি, তালতলা, ধুচনেখালি সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি দু'নম্বর ব্লকের বিডিও অর্ণব মুখার্জীর নির্দেশে মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে রায়মঙ্গল নদী বাঁধে ধসের জায়গাটুকু মেরামতির কাজ চলছে। 

এই বিষয়ে সন্দেশখালি দু'নম্বর ব্লক ডেভেলপমেন্ট বিপর্যয় মোকাবিলা দলের আধিকারিক আবুল কাশেম জানান, ইতিমধ্যেই নদী বাঁধ পরিদর্শন করা শুরু হয়ে গিয়েছ। বেশ কয়েকটি নদী বাঁধ দুর্বল রয়েছে সেখানেও যাতে দ্রুত মেরামতি করা যায়, তার জন্য সব রকম চেষ্টাও চালানো হচ্ছে।

12 months ago
Sand: অবৈধভাবে বালি আর মাটি কাটার অভিযোগ, চাষের জমি তলিয়ে যাচ্ছে অজয়ের গর্ভে

অবৈধভাবে বালি আর মাটি (sand smuggling) কাটার অভিযোগ। এর জেরে দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসার অজয়পল্লী এলাকার নয়-নয় করে প্রায় সাড়ে তিনশো বিঘে জমি চলে গিয়েছে অজয় নদের গর্ভে। কাঁকসার অজয়পল্লীর প্রায় তিনশো পরিবার চাষবাসের উপর নির্ভরশীল। রুটি রুজি বলতে এই চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা। অভিযোগ, অজয় নদের কোল ঘেঁষে বেআইনিভাবে বালি আর মাটি কাটার জন্য আজ রুটিরুজি বিপন্ন হচ্ছে এলাকার মানুষজনদের। স্থানীয় প্রশাসন থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সকলকে লিখিত আকারে সবটা জানিয়েছেন। কিন্তু এর কোনও সুরাহা হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।

গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, যদি এভাবে নদী গর্ভে চলে যেতে থাকে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি, তাহলে রুটিরুজি হারিয়ে তাঁদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।

এ বিষয়ে কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভবানী প্রসাদ ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রশাসনকে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলবেন। কারণ অন্যায়ের সঙ্গে কোনও আপোস করবে না দল। যদিও প্রশাসনের পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। গ্রামবাদীদের অভিযোগ অজয়ের কোল ঘেঁষে যেভাবে বিঘের পর বিঘে জমি বেআইনিভাবে বালি আর মাটি কাটার জন্য নদীগর্ভে যাচ্ছে, তাতে করে আজ রুটিরুজি হারিয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষতের পথে এগোচ্ছে তাঁরা। যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, খোঁজখবর নিয়ে এই বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ নেবেন।

one year ago
Tollywood: কলকাতায় জুবিলি উৎসব, নজর কাড়া পোশাকে লাইমলাইট কাড়লেন সন্দীপ্তা

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভূতপূর্ব প্রশংসা পেয়েছে 'জুবিলী' (Jubilee) সিরিজটি। জুবিলীর প্রেক্ষাপট ৪ এর দশকের। সিনেমা জগতে তখন নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। রায় টকিজের মালিক শ্রীকান্ত রয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee)। বিনোদ দাসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপারশক্তি খুরানা। এছাড়াও সিরিজে অভিনয় করেছেন অদিতি রাও হায়দারি, ওয়ামিকা গাব্বি সহ বহু তারকা। আপাতত এই সিরিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক। সম্প্রতি সিরিজের পুরো টিম কলকাতায় এসেছিলেন উদযাপনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনও (Sandipta Sen)। 


অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সম্প্রতি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। জুবিলির প্রিমিয়ারে গিয়েছিলেন তিনি। একটি গোলাপি রঙের জাম্পস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। একাধিক ছবি তুলেছেন সেখানে।  ছবি দিয়েছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। ছবির সঙ্গে ক্যাপশন দিয়ে সন্দীপ্তা লিখেছেন, 'স্বাধীনতা পূর্বে বলিউডের মন্ত্রমুগ্ধকর গল্প জুবিলি। শ্রীকান্ত রয়ের চরিত্রে নিখুঁত অভিনয় করেছেন বুম্বা দা।'


সন্দীপ্তা আরও লিখেছেন, 'জুবিলিতে প্রত্যেক অভিনেতার অভিনয় অসাধারণ এবং অমিত ত্রিবেদীর সঙ্গীত পরিচালনা অসাধারণ।' অভিনেত্রীর ছবির নিচেও জুবিলির প্রশংসা করেছেন দর্শক। একইসঙ্গে সন্দীপ্তার পোশাকের প্রশংসা নেট দুনিয়ায়।


one year ago


Food: বাড়িতে বানান সুস্বাদু চিকেন স্যান্ডুইচ, অতিথিদের আপ্যায়ন করুন

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: চিকেন স্যান্ডুইচের প্রতি বাচ্চা থেকে বুড়ো সবারই সমান আকর্ষন রয়েছে। ছুটির দিন বিকেলে নিজের হাতে চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরি করে পরিবারের সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে খুশি হতে পারেন। চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরির পদ্ধতি--- ১৬টি পাউরুটির স্লাইজ নিয়ে ধারগুলো ছুরির সাহায্যে কেটে নিন। একটা পাত্রে দেড়শো গ্রাম মাখনের সঙ্গে পাঁচ গ্রাম মাস্টারড পাউডার  (সর্ষের গুঁড়ো) নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিন। একটা সসপ্যানে পাঁচশো গ্রাম ড্রেসড চিকেন, একটা বড় আদার চাক, একটা বড় পেঁয়াজের চারটে খণ্ড, দুটো তেজ পাতা, একটা দারচিনির স্টিক, অর্ধেক করে কাটা একটা বড় গাজর, আন্দাজমতো নুন ও জল দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে সিদ্ধ করুন। চিকেন সম্পূর্ন সিদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে শুধুমাত্র সিদ্ধ করা চিকেনগুলো তুলে নিন। ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে হাতের সাহায্যে হাড়গুলো থেকে চিকেনের মাংসগুলো আলাদা করুন। 

ছুরির সাহায্যে সিদ্ধ করা চিকেন সরু লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। একটা পাত্রে সিদ্ধ করা চিকেন, পচিশ গ্রাম পারসলি পাতা কুচি, দশ গ্রাম সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো, আন্দাজ মতো নুন, ছয় টেবিল চামচ মেয়নিস নিয়ে হাতের সাহায্যে খুব ভাল করে মেখে মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করে নিন। স্যান্ডুইচের পুর তৈরি হয়ে গেল। এবার প্রতিটি পাউরুটির স্লাইজের উপর পুরু করে মাখন ও মাস্টারড পাউডারের মিশ্রণটা মাখিয়ে নিন। এবার মাখন ও মাস্টারড পাউডারের মিশ্রণ মাখানো পাউরুটির স্লাইজের উপর সমানভাবে চিকেনের পুরটা রেখে অপর পাউরুটির স্লাইজ দিয়ে চাপা দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে দিন। 

এভাবে বাকিগুলো করে নিন। সবগুলোতে পুর ভরে পাউরুটির স্লাইজ দিয়ে ঢাকা দিয়ে হাতের সাহায্যে চেপে ধারালো ছুরির সাহায্যে কোনাকুনি ভাবে ত্রিভুজাকারে কেটে নিন। চিকেন স্যান্ডুইচ তৈরি হয়ে গেল এবার পরিবেশন করুন।

one year ago
Parineeti: পরিণীতি ও রাঘবের বিয়েতে সিলমোহর দিলেন হার্ডি সান্ধু! কী বললেন অভিনেত্রীর বন্ধু?

বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra) ও আপ নেতা রাঘব চাড্ডার (Raghav Chadda) সম্পর্ক এখন তুমুল চর্চায়। রাজনৈতিক মহল ও বলি পাড়ায় বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরেই তো তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন রটেছে, এবার এর মাঝেই আরও এক মজাদার তথ্য ফাঁস করলেন গায়ক হার্ডি সান্ধু (Harrdy Sandhu)। সম্পর্ক নিয়ে রাঘব ও পরিণীতি মুখে কুলুপ আঁটলেও তাঁদের বিয়ে নিয়ে কথা বললেন পরিণীতির বন্ধু সান্ধু। তবে কি খুব শীঘ্রই নিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন পরিণীতি ও রাঘব, কী বললেন হার্ডি?

গুঞ্জনের মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে বিখ্যাত গায়ক হার্ডি সান্ধু বলেই দিলেন যে, রাঘব ও পরিণীতি বিয়ে করতে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি আর পরিণীতি যখন ২০২২ সালে 'কোড নেম: তিরঙ্গা' নামে ছবির জন্য শ্যুটিং করছিলেন, তখনই একবার বিয়ে নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল। সেই সময় পরিণীতি নাকি বলেছিলেন যে, তিনি তখনই বিয়ে করবেন যখন তিনি তাঁর সঠিক মানুষকে খুঁজে পাবেন। এরপরেই সান্ধু বলেন, 'অবশেষে এটা হচ্ছে, তার জন্য আমি খুব খুশি। আমি পরিণীতিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।' এখানেই শেষ নয়, সান্ধু জানিয়েছেন তিনি পরিণীতিকে ফোন করেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 

অর্থাৎ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, পরিণীতি তাঁর সেই সঠিক মানুষকে অবশেষে খুঁজে পেয়েছেন। রাঘব ও পরিণীতি মুখ বুঁজে থাকলেও আসল সত্য ফাঁস হয়েই গেল। অবশেষে হার্ডি সান্ধুই তাঁদের বিয়েতে সিলমোহর দিয়ে দিলেন। এর আগে আপ নেতা সঞ্জীব অরোরার শুভেচ্ছাবার্তায় রাঘব ও পরিণীতির বাগদানের কথা জানা গিয়েছিল। এবারে বিয়ে যে হচ্ছে, তাঁরই খবর সরাসরি দিলেন হার্ডি সান্ধু। ফলে এবারে রাঘব ও পরিণীতি অনুরাগীরা মুখিয়ে রয়েছেন তাঁদের বিয়ে দেখার জন্য। 

one year ago


Darjeeling: শীতের বিদায়বেলায় বরফের ছোঁয়ায় শ্বেতশুভ্র সান্দাকফু

সান্দাকফুতে (Sandakphu) ফের তুষারপাত। যা দেখে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) অদূরে এই পর্যটন কেন্দ্রে মরশুমের তৃতীয়বার তুষারপাত (SnowFall) হলো বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়া (Weather) দফতর সূত্রে খবর, বিগত দু'দিন ধরে উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টিপাত চলছে। সে জন্যই হয়তো তুষারপাত সান্দাকফুতে। 

দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পাহাড়ে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে।  এখনই বৃষ্টি থামছে না উত্তরবঙ্গে। হাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর যে, আগামী আরও দু'দিন বৃষ্টি হবে পাহাড়ে। একই সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকছে। চলতি মাসের ২০-২১ তারিখে পাহাড়ি এলাকা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে একটু বেশি বৃষ্টি হবে। তবে আবহবিদদের মতে, এই বৃষ্টি চা চাষের জন্য উপকারী।

পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু ( ৩৬৩৬ মি ), যা দার্জিলিং জেলার সিঙ্গলিলা ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত। সাধারণত দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ট্রেকিংয়ে যান এখানে। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে এই সান্দাকফু থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা অর্থাৎ স্লিপিং বুদ্ধ রেঞ্জ স্পষ্ট দেখা যায়। তবে এবার শীতের বিদায়ে গোটা সান্দাকফুর বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট সবই ঢেকেছে বরফে। ২৬ শে ফেব্রুয়ারি প্রথম তুষারপাত এবং ১৫ মার্চ সান্দাকফুতে তুষারপাত হয়। প্রচন্ড ঠান্ডা সহ্য করে আসা পর্যটকদের দাবি, 'তাঁরা তুষারপাত উপভোগ করেছেন।'


one year ago
Bangla: বাংলা ও বিশ্বে সত্যজিৎ চর্চা (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: সত্যজিৎ-এর তিন প্রজন্মের সম্পাদনায় ছোটদের মাসিক পত্রিকা 'সন্দেশ' বাংলা পত্রিকা জগতে একটা উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। ১৯১৩ সালে পিতামহ উপেন্দ্র কিশোর রায় 

ছোটদের এই অসাধারন পত্রিকা নিজ উদ্যোগে সম্পাদনা ও প্রকাশনা শুরু করেছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৬০ সাল থেকে আমৃত্যু সত্যজিৎ সম্পাদনা করে গিয়েছেন 'সন্দেশ' পত্রিকা। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি লেখালেখির প্রতিও ছিল তাঁর প্রগাঢ় ভালোবাসা। আমরা প্রিয় সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে ৬০টি গ্রন্থ পেয়েছি। এছাড়া একাধিক গ্রন্থও তিনি আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা শহরে সত্যজিতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে তাঁর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আবার বেশকিছু পুরসভা সত্যজিৎ রায়ের নামে রাখা হয়েছে রাস্তার নাম। এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর, রিষড়া, বিষ্ণুপুর প্রভৃতি পুরসভার নাম উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একদা গ্রাম বোড়ালে রাখা হয়েছে সত্যজিৎ-র আবক্ষ মূর্তি। যেখানে পথের পাঁচালী ছবির শুটিং হয়েছিল।

প্রায় তিন দশকের পরিচালনা জীবনে তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন ২৮টি কাহিনীচিত্র, ৫টি তথ্যচিত্র ও ৩টি দূরদর্শন চিত্র। দেশ-বিদেশের সব ধরনের চলচ্চিত্রের সম্মানই তাঁকে ভূষিত করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। 'দাদা সাহেব ফালকে' থেকে 'ভারতরত্ন' সম্মান এবং দেশ বিদেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি.লিট. উপাধি, বিশ্বভারতীর 'দেশিকোত্তম সম্মান', 'গোল্ডেন লায়ন অব সেন্টমার্ক' পুরস্কার ও 'ম্যাগসেসাই' পুরস্কার তিনি লাভ করেন।

১৯৭৮ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান 'লিজিয়ন অব অনার' সম্মানে ভূষিত হন সত্যজিৎ রায়। ১৯৯২ সালে 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টে' এর জন্য বিশেষ অস্কার পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। সত্যজিৎ রায় সমগ্র মানুষের কাছে গর্ব, অহংকার। বাংলার তথা বাঙালির কাছে তিনি চিরকাল অমর হয়েই থাকবেন।    

one year ago
Death: প্রয়াত পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী, অঞ্জন চৌধুরীর পুত্রের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া

মঙ্গলবার সকালেই সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলার সংগীত জগৎকে। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের ছন্দপতন। প্রয়াত ধারাবাহিক পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী। সম্পর্কে সন্দীপ বাবু প্রয়াত চিত্র পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর ছেলে। শুটিং সেটে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে একবালপুরের এক নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন তিনি।

সেখানেই মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। ছোট পর্দার একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকের পরিচালক ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোক স্তব্ধ দুই বোন রুমকি এবং চুমকি চৌধুরী। শোকস্তব্ধ টলিপাড়া। অনেকেই তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

one year ago


Felu Da: ফের ফেলুদা, কে বেশি সাবলীল?

প্রসূন গুপ্ত: কোথায় আছে 'বাপ কা বেটা, সিপাই কা ঘোড়া - কুছ নেহি ফির ভি থোড়া থোড়া'। অর্থাৎ বাবার মতো ছেলে না হলেও কিছু গুণ তো এটা। এটা কি বিশ্বখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ক্ষেত্রেও বলা যেতে পারে? তুলনা করা সর্বদা হয়তো ঠিক নয়, কিন্তু বিখ্যাত বাবা বা মায়ের ছেলে বা মেয়ের মধ্যে মানুষ সবসময়ে খুঁজে পেতে চায় পুরাতন প্রতিভাকে।

সত্যজিৎ রায় ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার ব্যক্তিত্ব। তাঁর বাবা সুকুমার রায় এবং দাদু উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী ছিলেন চিরকালীন শিশু সাহিত্যিক। সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়ও চিত্র পরিচালনাতে হাত দিয়েছিলেন পিতার জীবদ্দশায়। আজও চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার সন্দীপ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নন। সিনেমার ক্ষেত্রেও ওই একই কথা প্রযোজ্য। তিনি দীর্ঘদিন ছবি পরিচালনা করছেন। গোটা তিন চারেক ছবি ছাড়া বাবার কাহিনী বা আবহ সংগীত নিয়েই তাঁকে কাজ করতে হচ্ছে।

সত্যজিৎ বিভিন্ন বিষয় ছবি করেছেন। বাস্তব জগতের কঠিন কাহিনী তুলে ধরে জগৎ বিখ্যাত হয়েছিলেন। মৃণাল সেন বলেছিলেন, এই মানুষের বিকল্প আগামীতে খুঁজে পাওয়া কঠিন। সত্যজিৎ ব্যোমকেশ এবং স্বরচিত ফেলুদা নিয়ে ছবি করেছেন। একটি ব্যোমকেশ, যাঁর চরিত্রে অভিনয়ে নিয়ে এসেছিলেন উত্তমকুমারকে। এরপর গত পনেরো /ষোলো বছরে বহু ব্যোমকেশ নিয়ে ছবি হয়েছে কিন্তু কোনোটাই সত্যজিৎ/উত্তমকে টপকে যেতে পারেনি। তেমনই ফেলুদা যে ভাবে সত্যজিৎ তৈরী করেছিলেন তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করলেও সন্দীপ, সত্যজিৎকে পেরিয়ে যেতে পারেননি।

এমনটা বোধহয় আশা করাটাও অনুচিত। সত্যজিৎ দুটি ফেলুদাকে নিয়ে ছবি করেছিলেন। যেখানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ফেলুদা, জটায়ু ছিলেন সন্তোষ দত্ত। আর কেন ফেলুদা হচ্ছে না প্রশ্নের উত্তরে সত্যজিৎ জানিয়েছিলেন, সন্তোষ নেই ফেলুর ছবিতে, জটায়ু হবে কে? সন্দীপ! সন্দীপ ছাড়াও অন্য এক পরিচালক ফেলুদা নিয়ে ছবি করেছেন।

বহু অভিনেতা জটায়ুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিন্তু কাউকেই উপযুক্ত মনে হয়নি। এবারেও সন্দীপ 'হত্যাপুরী' নাম যে ছবিটি করলেন তাতে জটায়ুর ভূমিকায় ছিলেন অরিজিৎ গুহ। অত্যন্ত খারাপ লেগেছে জটায়ু। জটায়ু অত মোটা ছিলেন না, তাছাড়া তাঁর মধ্যে যে সরলতা ছিল তাও উধাও অরিজিতের মধ্যে।

একই কথা ফেলুদার চরিত্র নিয়েও। কখনও সব্যসাচী চক্রবর্তী কখনও অন্য কেউ যেমন এবারে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত , কেউই সৌমিত্রকে ছুঁতে পারেননি। সব্যসাচী কাছাকাছি গেছেন মাত্র অন্যরা তাও নন। পিতার গল্প নিয়ে আর কত সন্দীপ? এবারে নিজস্বতা আসুক।

one year ago
Sandwich: বাড়িতে বানান সুস্বাদু বোম্বাই চাটনি স্যানডুইচ

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: ছুটির দিনে ব্রেকফাস্ট বা বিকালের জল খাবারের মেনুতে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু বোম্বাই স্যানডুইচ। এই স্যানডুইচ বানিয়ে নিজে খেয়ে তৃপ্ত হয়ে ও বাড়ির লোকজনদের খাইয়ে মন জয় করতে পারেন। বোম্বাই চাটনি স্যান্ডুইচ তৈরির পদ্ধতি--- মিক্সিতে এক আঁটি ধনেপাতা, এক আঁটি পুদিনা পাতা, ছয়টা কাচা লঙ্কা, বারোটা রসুনের কোয়া, এক ইঞ্চি আদা, একটা পাতি লেবুর রস, আন্দাজমতো নুন, হাফ চা চামচ চিনি, চার টেবিল চামচ জল ও একটা পাউরুটির স্লাইস দিয়ে একটা মিশ্রণ বা পেস্ট তৈরি করে নিন। হয়ে গেলে একটা পাত্রে ঢেলে আলাদা করে রাখুন।

বোম্বাই গ্রিন চাটনি তৈরি হয়ে গেল। হাফ পাউন্ড পাউরুটির স্লাইসের ধারগুলো ধারালো ছুরির সাহায্যে কেটে নিন। এবার পাউরুটির প্রতিটি স্লাইসের উপর এক চা চামচ করে মাখন মাখিয়ে নিন। মাখন মাখানো হলে ওর উপর এক টেবিল চামচ করে গ্রিন চাটনি মাখান। এবার একটা মাখন ও  গ্রিন চাটনি মাখানো পাউরুটির স্লাইসের উপর গোল গোল করে কাটা চারটে করে সিদ্ধ করা আলু, টমেটো ও শশার স্লাইজ রেখে উপর থেকে  সামান্য চাট মশলা ছড়িয়ে দিয়ে একটা মাখন ও গ্রিন চাটনি মাখানো পাউরুটির স্লাইজ চাপা দিয়ে দিন। এবার ধারালো ছুরির সাহায্যে ত্রিকোন করে কাটুন। চাইলে স্যান্ডুইচ গ্রিলারে দিয়ে গ্রিল করে নিতে পারেন বা এমনি কাচা স্যান্ডুইচ পরিবেশন করতে পারেন।

one year ago


Jharkhand: দিনরাত প্রশাসনের মদতেই অবৈধভাবে বালি বোঝাইয়ের অভিযোগ!

জেলা প্রশাসকের নির্দেশ সত্ত্বেও চলছে রাতের অন্ধকারে এবং দিবালোকের আলোতেও অবৈধভাবে বালি বোঝাইয়ের কাজ চলছে। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চিরকুণ্ডা (Chirkunda) থানার অন্তর্গত পাঞ্চেৎ ফাঁড়ির অধীনে তিনটি বালি ঘাট থেকে ক্রমাগত প্রায় বালি তোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যেখানে জেলা প্রশাসকের স্পষ্ট নির্দেশ, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ করা যাবে না। সেখানে কী ভাবে চলছে এই বালি উত্তোলন আর বোঝাইয়ের কাজ? বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে  নিয়ে পাঞ্চেতের তিন পঞ্চায়েতের প্রধানরা এবং গ্রামীণরা পাঞ্চেত ফাঁড়ির ওসির বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিন পঞ্চায়েত প্রধান হলেন, পাতলাবাড়ি পঞ্চায়েত প্রধান নিভা দেবী, বান্দা পূর্ব পঞ্চায়েত প্রধান শচীন মণ্ডল, বান্দা পশ্চিম প্রধান ভৈরব মণ্ডল।

বান্দা পূর্ব পঞ্চায়েত প্রধান শচীন মণ্ডল পাঞ্চেত ফাঁড়ির ওসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, 'পঞ্চায়েতে তিনটি বালি ঘাট রয়েছে, যেখান থেকে ক্রমাগত শত শত ট্রাক্টর বালি তোলা হয়। ওসি প্রতিটি ট্রাক্টর থেকে ৫০০ টাকা আদায় করেন। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'যেসব ট্রাক্টর মালিকরা ৫০০ টাকা কাটমানি দিতে চান না, তাঁদের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নেয় পুলিস।' আরও দুই পঞ্চায়েত প্রধানের গলায়ও একই সুর।

এই বালি ঘাটে স্নান করতে যাওয়া মহিলা এবং ওয়ার্ড মেম্বার জানান, 'ঘাট থেকে ক্রমাগত বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। তার মধ্যেই ওই ঘাটে স্নান করতে হয়। প্রতিবাদ করলে বালি মাফিয়ারা বলে, সবটাই ওসিকে টাকা দিয়ে হচ্ছে। ফলে তাদের কেউ ক্ষতি করতে পারবেনা। থানায় একাধিকবার জানান হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি সিএন-এর প্রতিনিধি ওসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি। যদিও ফোন ধরে তো, সিএন শুনেই কেটে দেন ফোন।

এই পুরো ঘটনার বিষয়ে নিসার এসডিপিও পিতাম্বর সিং খেরওয়ার বলেছেন যে, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

one year ago
Sweet: বাঙালি মানে রসগোল্লা! আছে আরও হরেক মিষ্টি, জানুন লেডিকিনি-সন্দেশের ইতিহাস

 প্রসূন গুপ্ত: বাঙালি মানেই কি রসগোল্লা? বাংলা মানে তো এপার ওপার দুই বাংলাকেই বোঝায়, তার মধ্যে প্রশ্ন থেকেই যায় রসগোল্লাটি ঠিক কোন বাংলার। ঢাকা থেকে বাংলাদেশের যে কোনও শহরে বা গ্রামের যে কোনও মিষ্টির দোকানে রসগোল্লা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মানুষ মিষ্টি খেতে ভালোবাসে না, এমন নয় কিন্তু তাদের প্রিয় খাদ্য ভাত। পারলে তিন বেলাতেই ভাত হলে ভালো। তার সঙ্গে মাছ অবশ্যই এবং ইলিশ তাদের প্রিয় খাদ্য। পদ্মার ইলিশ তো এমনিতেই বিশ্ব বিখ্যাত। তবে নিমন্ত্রণ বাড়িতে অবশ্যই শেষ প্লেটে রসগোল্লা থাকে তবে ওপার বাংলার বাঙালিকে কেউ রসগোল্লা নিয়ে ব্যঙ্গ করে না। এই খ্যাতি বা ব্যাঙ্গ এপার বাংলাতে। এমনিতেও বাংলার রসগোল্লা ওড়িশাকে হারিয়ে ভারতের নাকি বিশ্বের সেরা। কিন্তু যতই সেরা হোক বাঙালিকে সন্তুষ্ট করতে বাংলায় বেড়াতে আসা সেলিব্রেটিরা রসগোল্লার উদাহরণ দেয় আজকেও।

এখন মিষ্টি প্রধান এ বাংলাতে কি শ্রেফ রসোগোল্লাই বিখ্যাত। বোধহয় না, ছানার সন্দেশের প্রচলন কিন্তু আদি ও অকৃত্রিম এই বাংলায়। রসগোল্লা এসেছে অনেক পরে। রাজা-রাজরার আমলে মিষ্টি বলতে চালের পায়েস ও সন্দেশ বিখ্যাত ছিল। এই সন্দেশের কোনও আকার ছিল না। মানুষ খেত মূলত কাঁচাগোল্লা, অনেকটা মোয়ার মতো গোল করে বিক্রি হতো বা বাড়িতে বানানো হতো। এই গোল সন্দেশ নাকি একবার গরম চিনির সিরায় পরে গিয়ে রসগোল্লার জন্ম নেয়। পরবর্তীতে এই ছানার মিষ্টি থেকে রসগোল্লার রেসিপিতে চমচম ইত্যাদিও তৈরি হয়। অবশ্য ছানা ভেজে নতুন এক মিষ্টির জন্ম হয়েছিল যা ব্রিটিশ আমলে লেডি ক্যানিংয়ের প্রিয় মিষ্টি হয়। যার নাম ওনার নামের সঙ্গে মিলিয়ে লেডিকিনি দেওয়া হয়। সুতরাং শুধু রসগোল্লা নয় বিভিন্ন ছানার মিষ্টির জন্যই বাংলা বিখ্যাত।

এদিকে, সদ্য রাজ্যপাল হয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। বোস জানিয়েছেন, তাঁর কর্মজীবন শুরু কলকাতায়। তিনি বাঙালিকে ভালো করে চেনেন। তাঁর অনেক প্রিয় জিনিসের মতো প্রিয় রসগোল্লাও।

one year ago
Asansol: 'টাকার বিনিময়ে বালি চুরিতে মদত টিএমসি নেতাদের', সহকর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

তৃণমূল নেতার অভিযোগে উত্তাল আসানসোলের (Asansol) রাজনীতি। আসানসোলের তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC) তথা রাজ্য তৃণমূল নেতা অশোক রুদ্র সিএন-কে জানান, তৃণমূল নেতাদের বালি চুরির (Sand Mafia) কারণে বুধবার ভোর রাতে প্রাণ গিয়েছে দুই যুবকের। ওভারলোড বালির গাড়ি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বহুবার ওভারলোড বালির গাড়ির বিরুদ্ধে আসানসোলের পুলিস কমিশনার এবং স্থানীয় ওসিকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কিছু লোক বালি গাড়িপিছু ৩০০ টাকা করে নিয়ে ওভারলোড বালি পাচারে মদত দিচ্ছে। এতে প্রাণ যাচ্ছে নিরীহ মানুষের।

যদিও অপর তৃণমূল নেতার দাবি, কারা টাকা নেয় সেটা পুলিস জানে। স্থানীয় থানার আলী বাবু সব জানেন। কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর রাতে আসানসোল হিরাপুর থানার চিত্রা মোড়ের কাছে ওভারলোড বালির গাড়িতে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় রাস্তায় পড়ে থাকা যুবকের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে বড় বড় গাড়ি। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিস কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল অবিরাম বালির ওভারলোড ব্যবসার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। কিছুদিন আগেও দেখা গিয়েছে, আসানসোলের দামোদর নদীতে গিয়ে ওভারলোড বালির গাড়ি আটকাতে। কাগজ পত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করতে। তাঁরও অভিযোগ ছিল প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের মদতে এই কাজ হচ্ছে।

বুধবারের এই ঘটনার পর অগ্নিমিত্রা পলের দাবি, জায়গায় জায়গায় বালি রয়েছে। ওভারলোড গাড়ি ছুটছে। পুলিসের পকেটে কিছু টাকা গুঁজে দিলে আর তৃণমূল নেতাদের খুশি রাখলেই সব মাফ। তবে এখন প্ৰশ্ন উঠেছে, তৃণমূল এক নেতার এতদিন পর এই বিস্ফোরক অভিযোগের কারণ কী? যদিও তাঁর সাফাই, মুখ্যমন্ত্রীর ও রাজ্য সরকারের বদনাম করার চেষ্টায় বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই। এখন দেখার প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়।

2 years ago


Smuggling: বিহারে বালি পাচারের আগেই বালি বোঝায় ট্রাক্টর আটক

বিহারে (Bihar) বালি পাচারের (Sand smuggling) আগেই বালি বোঝায় ট্রাক্টর আটক করল বিধান নগর থানার পুলিস (Police)। গ্রীন টাইপুনালের নির্দেশে নদী থেকে তিন মাস বালি পাথর তোলার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বালি মাফিয়ারা বিভিন্ন নদী থেকে বালি পাথর তুলে বিহারে পাচার করে আসছিলেন।

প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে অবাধে দিনের বেলায় এইভাবে বালি পাচার হচ্ছে সেই নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে। অবশেষে ফাঁসিদেওয়ার বিধান নগর থানা পুলিসের উদ্যোগে নাকা চেকিং শুরু করা হয়। এই নাকা চেকিং চলাকালীন ট্রাক্টর চালক পুলিসকে দেখে গাড়ি ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। অবশেষে পুলিস সেই বালি বোঝায় ট্রাকটারটি থানায় নিয়ে আসে। এবং ট্রাক্টর চালকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

বলা যায়, বেআইনি বালি পাচারে পুরোপুরি রাশ পড়ছে না জেলায়।  দুষ্কৃতী সেখান থেকে নিয়মিত বালি তুলে রাতে ডাম্পারে বোঝাই করে ভিন রাজ্যে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রাই। এক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বালি মাফিয়াদের উৎপাত রুখতে।

2 years ago