অক্সিজেন মাস্ক পড়ে হাসপাতালের বেডে বসে ধূমপান। আগুনে মুখ পুড়ল মহিলার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে হাবড়া হাসপাতালে। সূত্রের খবর, বেডে বসে অক্সিজেন মাস্ক পরে ধূমপান করছিলেন তিনি। সেই সময় আগুনে মুখ পুড়ে যায় তাঁর। ঘটনাকে ঘিরে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় নিয়ে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাবড়ার হাটথুবা ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা অরুণা অধিকারী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আহত অরুণা অধিকারীর ধূমপানের নেশা ছিল। তাই তিনি হাসপাতালে বেডে অক্সিজেন মাস্ক পড়া অবস্থায় বিড়ি ধরিয়েছিলেন। সেই বিড়ির আগুন লেগে নিমেশে পুড়ে যায় ওই মহিলার মুখ। পাশের বেডের রোগীরা আগুন দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করলে ছুটে আসেন কর্তব্যরত নার্সরা। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোমবার ওই মহিলাকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতাল বেডে বিড়ি বা দেশলাই পৌঁছলো কী করে বা একজন রোগী হাসপাতাল বেড়ে বসে ধূমপান করে কীভাবে? তাই হাবড়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। তবে এই ঘটনা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য রোগীরা।
বাড়ির জল রাস্তায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ। তার জেরে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পেটে লাথি মারার অভিযোগ প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ পল্লীতে। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ।
অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, এদিন সকালে তিনি কাজে বেরোনোর পর ফোনে খবর পেতেই বাড়িতে ফিরে দেখে তাঁর স্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। জিজ্ঞাসা করতেই তাঁর স্ত্রী বলেন বাড়ির জল যাওয়া নিয়ে প্রতিবেশী উত্তম অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আচমকায় উত্তম অধিকারীর পরিবার বাড়িতে ঢুকে চড়াও হয় তাঁর উপর। এবং বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ এরপর ওই গৃহবধূর পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।
যদিও তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চিকিৎসার জন্য আবার অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূর স্বামী শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত পরিবারও শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দাবি করে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। দুই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
ফের একবার শিরোনামে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল।অভিযোগ, জীবিত সদ্যোজাতকে বদলে মৃত শিশুর দেহ রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া রানাবস্তির বাসিন্দা বেদশ্রুতি দাসের পুত্র সন্তানের জন্ম হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পরিবারের কথা অনুযায়ী, জন্মের পর থেকেই শিশু স্বাভাবিক ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভুগলেও তেমন কোন বিপদের আশঙ্কা ছিল না বলেই জানানো হয়েছিল। এরপর জন্মের দুই দিন কাটতেই ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর তরফে।
এরপর ওই সদ্য়োজাতের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁদের অভিযোগ, বাচ্চা বদল করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। দ্বারস্থ হয়েছেন থানায়ও। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক। তাহলেই সবটা স্পষ্ট হবে। মৃত শিশুর মায়ের এখন একটাই আর্তি যে নিজের বাচ্চাকে ফিরে পাওয়া।
বর্তমান সমাজে যেখানে মানুষে মানুষে চলছে লড়াই, প্রায়ই শোনা যায় খুনের ঘটনা। সেখানে একটি পথ কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক পুলিস আধিকারিকের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। জানা গিয়েছে, মৃত সাব ইন্সপেক্টর-এর নাম করুণাকান্তি রায়। বাড়ি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের টোটাগছ এলাকায়। তিনি জলপাইগুড়ি পুলিসের মনিটরিং সেলের অফিসার ইনচার্জ-এর দায়িত্বে ছিলেন।
জানা গিয়েছে, এদিন করুণাকান্তি রায় তাঁর বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে জলপাইগুড়ির পুলিস লাইনে যাচ্ছিলেন প্যারেড রাউণ্ডে যোগ দিতে। সেই সময় জলপাইগুড়ির হাসপাতাল পাড়ায় একটি পথকুকুর তাঁর বাইকের সামনে চলে আসে। সেই পথ কুকুরটিকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এর ফলে গুরুতর জখম হন তিনি।
এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাওয়া মাত্রই কোতোয়ালি থানার পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ইন্সপেক্টরকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুলিস মহলে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য। সাসপেন্ড হতে হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্রকে। সোমবার সন্ধেবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের অবমাননা করেছেন রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্র। সে কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর জায়গায় আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় ডিন অফ স্টুডেন্টসকে রেজিস্ট্রারের কাজ পরিচালনার কথা বলা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
এ প্রসঙ্গে সুবীর কুমার মৈত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি নিরুপায়। হাইকোর্টের নির্দেশেই তিনি সাসপেন্ড করেছেন।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি টানাপড়েন চলছিল। গত বছরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বিটি রোড ক্যাম্পাস থেকে কাজ করার পরিবেশ নেই বলে খোদ আচার্যকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করছেন।
'টাকা মাটি, মাটি টাকা'। মানুষের চরিত্র নির্মাণে মাইলফলক রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের এই বাণী। কিন্তু জীবনের ইঁদুর দৌড়ের কাঠিন্যতায় একটু একটু করে করে যেন মুছে যাচ্ছে সেই সব বাণী। সত্যিই কি টাকা ছাড়া জীবনযুদ্ধ জেতা সম্ভব? সেই প্রশ্নই ফের উস্কে দিল হাওড়ার এই ঘটনা। নগদ টাকা পায়নি হাসপাতাল। বকেয়া বিলের নগদ টাকা চেয়ে রোগীকেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ বেসরকারি এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর, ইউটিআই ইনফেকশন ও নিউরো সমস্যা নিয়ে হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন হাওড়ার রামেশ্বর মালিয়ালিনের বাসিন্দা হিতাংশ আগরওয়াল। হিতাংশ আগরওয়ালের ১০ লক্ষ টাকার মেডিক্লেম থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা খরচ বাবদ ইন্সুরেন্স কোম্পানির তরফে অ্যাপ্রুভ্ড হয়েছিল শুধুমাত্র ১ লক্ষ টাকা। হাসপাতালের দাবি, মেডিক্লেমের টাকা বাদে বাকি টাকা ক্যাশে মিটিয়ে দিতে চাপ দেয় ওই নার্সিংহোম। অভিযোগ, এরপর গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে বকেয়া টাকা চেয়ে হিতাংশ আগরওয়ালকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় হাসপাতালের OPD IPD প্রধান এম কিউ রাজা নামের এক ব্যক্তি। শুধুমাত্র তাই নয়। জোর করে ডিসচার্জ শিটে সই করিয়ে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ খোদ রোগীর।
ওষুধের ভুল ডোজ দেওয়া, রোগীর পরিবারকে কেবিনেই আটকে রাখার অভিযোগও ওঠে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এর আগেও অভিযোগ মিলেছিল ওই নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে, তদন্তের আশ্বাস প্রশাসনের।
কিছু দিন আগেই এ রাজ্যের চিকিৎসা ব্য়বস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসাতেও নাকি গড়বড়! সেখানে সাধারণের অবস্থা কতটা তলানিতে? টাকা ছাড়া তবে স্বাস্থ্যের চাকা এতটুকুও এগোয় না এ রাজ্যে?
প্রায় ২২ দিন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই কামারহাটির বিধায়ক বলেছিলেন তিনি ভালো নেই। এবারে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন মদন মিত্র। শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ ফের তাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অসংলগ্ন কথাবার্তা ও রক্তাল্পতা জনিত সমস্যার কারণে তাঁকে এবারে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে তৎপর ছিল ইডি। এরই মাঝে শুক্রবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছে বিধায়কের বলে জানতে পারা গিয়েছে। কথায় কিছুটা অসংলগ্নতা ছিল তাঁর। সেই কারণে তাঁকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত তাঁকে এমারজেন্সি বিভাগে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ডিসেম্বর মাস নাগাদ মদন মিত্রকে এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাঁধের অস্ত্রোপচার এর জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু এক মাস হতে না হতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। বর্তমানে ডক্টর সৌরেন পাঁজা-এর অধীনে ভর্তি হয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
বুধবার রাত থেকে 'কালীঘাটের কাকু'-এর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি এসএসকেএম-এ। অবশেষে গভীর রাতে সম্পন্ন হল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া। বুধবার রাত ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সেখানে ১২ টা ৫২ মিনিট নাগাদ তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। বিভিন্ন স্কেলে তার কন্ঠস্বর নেওয়া হয়েছে ও ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবেও। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, এর আগে কাকুর শারীরিক অসুস্থতা কথা বলে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করতে দেয়নি এসএসকেএম। সেই কাজ জোকা হাসপাতালে ৩০ মিনিটে সম্পন্ন হল কী করে? এছাড়াও জোকা ইএসআই হাসপাতালে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া সেই কাকু আবার এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি কেন?
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে কণ্ঠস্বর দিতে অসহযোগিতা করছিলেন 'কাকু'। এরপর কাউন্সিলিং করা হয় চিকিৎসকদের তরফে। তারপর তিনটি বাক্য বলতে বলা হয় তাকে। পরপর দুবার তিনটি বাক্য বলতে বলা হয়। ইডি সূত্রে খবর, ইডি তরফে পরিকল্পনা ছিল, কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি রেখে দেবে। যার ফলে ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে রাখা যেতে পারে কি? এর উত্তরে ইডিকে সোজাসুজি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কালীঘাটের কাকুর উপর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র একজন কার্ডিওলজির পেশেন্ট, তার বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তাকে রাখার মত পরিকাঠামো নেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে। এর পাশাপাশি সিকিউরিটির বিষয় থাকে। জোকা ইএসআই রাখতে পারবেনা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ইডি আধিকারিকদের কার্যত বাধ্য হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে ফিরিয়ে দিতে হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। গভীর রাত প্রায় ৩টে ৩২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ১ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
তবে এই ইএসআই হাসপাতালের ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া 'কালীঘাটের কাকু'র ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য এত বেগ পেতে হল কেন ও এসএসকেএম হাসপাতাল কেন তাকে অসুস্থ প্রমাণ করতে মরিয়া, তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
১) কণ্ঠস্বর নমুনা দেওয়ার জন্য সুস্থ কালীঘাটের কাকু। জোকা ইএসআই বোর্ডের এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কাকুর নমুনা সংগ্রহ করে ইডি। তাহলে এত দিন অসুস্থতার কথা বলে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহে বাধা ছিল এসএসকেএম?
২) ইএসআই হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড যাকে ফিট সার্টিফিকেট দিচ্ছে, সেই ব্যাক্তি এসএসকেএম হাসপাতালে আনফিট কি করে?
৩) ইএসআই মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী একজন সুস্থ ব্যক্তিকে এসএসকেএম কেবিনে ভর্তি করা হল কেন?
৪) কাউকে আড়াল করতেই কি এসএসকেএম-এ আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কাকুকে। সেটা হলে কার নির্দেশ মেনে এই কাজ করছে এসএসকেএম?
৫) ৩০ মিনিটেই যেখানে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হলো, সেখানে ইডিকে সহযোগিতা না করে কার নির্দেশে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ বাধা হয়েছিল এসএসকেএম?
এবার মঙ্গলবার শহরের রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন ২০২২ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। রীতিমত মুখে কালি মেখে, থালা বাজিয়ে, প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সেজে প্রতিবাদ জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা। এছাড়াও শঙ্খ বাজিয়ে, ফুটবল খেলে, প্রতীকী টেট সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হলেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৫ বছর পর গত ২০২২-এর ডিসেম্বরে হয়েছিল প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা হলেও এখনও ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি এবং প্যানেল প্রকাশ হয়নি। ঠিক এই কারণেই ইন্টারভিউর বিজ্ঞপ্তি এবং প্যানেল প্রকাশের দাবিতে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার তাঁদের এই মিছিল শিয়ালদহ থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল অবধি যায়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি থাকলেও যেহেতু তাঁদের জানানো হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী এখানে নেই তাই তাঁর দফতরের আধিকারিক এর কাছে এই ডেপুটেশন দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় কর্মসূচি।
মঙ্গলবার নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের এক অভিনব পন্থাও বেছে নিয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সেজে প্রতিবাদ জানালেন তিনি, যাঁর হাতে একটি থালা এবং সেখানে লেখা লক্ষীর ভাণ্ডার চাই না, ২০২২ টেটের ইন্টারভিউর নোটিস চাই। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর এ বিষয়ে কোনও হেলদোল না থাকাতেই এমন অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন বলে জানালেন এই চাকরিপ্রার্থী।
পাশাপাশি এদিন প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রী সাজা চাকরিপ্রার্থীর মতে, তাঁদের লক্ষীর ভাণ্ডার নয়, কোনও ভাতা নয়, চাই কেবল স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ।
তবে চাকরিপ্রার্থীদের জানান তাদের ইন্টারভিউ প্যানেল যদি জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্রকাশ করা না হয় তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা। এছাড়াও চাকরিপ্রার্থীদের মতে পাশের রাজ্য বিহারে যদি সাড়ে ৪ লক্ষ জনের চাকরির ব্যবস্থা করা যায়, যদি অসমে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হয় তাহলে বাংলায় কেন নয়? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৫০০ টাকা করে ভাতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন, এমনটাই জানালেন আন্দোলনরত ২০২২ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।
শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের বহু নেতা-মন্ত্রী বর্তমানে রয়েছেন জেলে। তার মধ্যেই নিয়োগের দাবিতে রাজপথে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছেন রাজ্যের বহু বঞ্চিত যোগ্য চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু আন্দোলনই সার। দীর্ঘ আন্দোলন, একাধিক বৈঠকেও সুরাহা তো মেলেইনি উল্টে বহুবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বহু চাকরিপ্রার্থীকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেছে পুলিস। এতো দুর্নীতি, এতো অন্যায়, এতো বঞ্চনা শেষে বছর ঘুরলেও নিয়োগ কিন্তু সেই তিমিরেই। আর কতদিনই বা রাজ্যের যোগ্য শিক্ষিত প্রজন্মকে হকের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করতে হবে? এ লজ্জার দায় কার? প্রশ্ন উঠলেও উত্তর কিন্তু অজানাই থেকে যাচ্ছে।
হঠাৎ অসুস্থ টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান (Hina Khan)। এমনকি হাসপাতালে ৪দিন ধরে ভর্তিও রয়েছেন তিনি। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে হাসপাতালের ছবি শেয়ার নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। হঠাৎ তাঁর কী হল, এই নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর অনুরাগীরা।
জানা গিয়েছে, আচমকা জ্বর আসায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় হিনা খানকে। গত ৪ দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন। ৪ দিন ধরে কার্যত হাই ফিভারে ভুগছেন বলে জানান জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ফলে তাঁর শরীর একেবারেই ভাল নেই। কোনও কিছু করতে পারছেন না। ফলে গত ৪ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান হিনা। তবে তিনি খুব দ্রুতই সুস্থ হবেন, সেটাই জানিয়েছেন তিনি। কয়েক মাস আগেই এক বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। ফলে আবার তাঁকে হাসপাতালে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা।
এদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। পোস্ট করে লিখেছেন, "গত চার দিন ধরে ধুম জ্বরে ভুগছি। চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তা বৃথা। জ্বর কিছুতেই কমছে না। ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রায় ১০২-১০৩ জ্বর রয়েছে গায়ে।" এখন তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রার্থনায় নায়িকার অনুরাগীরা।
সদ্যোজাত কন্য়াসন্তান জন্মের পর থেকেই গুরুতর অসুস্থ। মানসিক অবসাদে হাসপাতালেই গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা প্রসূতির। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম পায়েল সিং। এরপর হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন পুরুলিয়ার আদ্রা শহর লাগোয়া বেঁকো গ্রামের পায়েল সিং। সেদিন রাতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর সদ্যোজাতের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে ওই হাসপাতালেই ভেন্টিলেশানে রাখা হয়। সন্তানের অসুস্থতায় রীতিমত ভেঙে পড়েন মা পায়েল। বারংবার সেই কথা নিজের মা কেও জানিয়েছিলেন পায়েল।
এরপর এদিন সকালে মা কে বাইরে পাঠিয়ে হাসপাতালে বেড থেকে উঠে প্রসূতি বিভাগের তিনতলায় চলে যান পায়েল। সেখানে রেলিংয়ের সঙ্গে গলায় নিজের শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন পায়েল সিং সর্দার। হাসপাতালের ভিতরে রোগীর আত্মহত্যার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বুধবারও লোকসভায় 'সাসপেনশন' অব্যাহত। এবারে সাসপেন্ড করা হল কেরলের দুই সাংসদকে। প্রথম জন, আলাপুঝার সিপিএম সাংসদ এএম আরিফ। দ্বিতীয় জন, আঞ্চলিক দল কেরল কংগ্রেস (মণি)-র নেতা তথা কোট্টয়মের সাংসদ সি থমাস। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে লোকসভা এবং রাজ্যসভা থেকে মোট ১৪৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এর মধ্যে লোকসভার সাংসদ সংখ্যাই ৯৭ জন।
আবারও হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। মেয়েকে সুস্থ করার দাবিতে মন্ত্রীর পায়ে ধরে কাতর আবেদন রোগীর আত্মীয়র। রবিবার সাতসকালে মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্য়া ৭ টা নাগাদ মেদিনীপুরের কলগাং এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়েকে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১ টা নাগাদ কোন কিছু পরীক্ষা না করিয়ে সোজা তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ।
আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে আরও একটি অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ বাড়ির লোকের। আর তারপরে এই রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই রোগী। তারপরে তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় আইসিইউতে। এদিন ভোরবেলায় ওই রোগীর বাড়ির লোককে জানানো হয় মেয়ের অবস্থা খারাপ। এই কথা শোনা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোক।
অন্য়দিকে বিশেষ কাজে মন্ত্রী বীরবাহা হাসদা এসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। মন্ত্রীকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে আবেদন জানালেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোক। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যে আউটপোস্ট রয়েছে সেখানে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অসুস্থ মেয়েটির বাড়ির লোকজন।
রাজ্য়ের পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অনুমদিত ই-টিকিট বিক্রির ট্রাভেল সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এই খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসল সরকারি পরিবহন সংস্থা। টার্মিনিটেড করা হল দুর্গাপুরের সরকারি পরিবহন সংস্থার অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট নিউ ইউরেকা ট্রাভেলস ক্লাবকে।
দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ওই বেসরকারি ট্রাভেল সংস্থা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার ই-টিকিটের প্রিন্সিপাল বিক্রয় এজেন্ট ছিল। অভিযোগ, গত ২০১৮ থেকে ২০২১ এই তিন বছরে ওই সংস্থা সরকারি পরিবহন সংস্থার আই.ডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনৈতিক কিছু কাজ করে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২১ আর্থিক বর্ষে ৭ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা এই সংস্থা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কোশাগাড়ে জমা দেয়নি।
এরপর চলতি বছরের ২৩ নভেম্বর দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই বেসরকারি ট্রাভেল সংস্থার বিরুদ্ধে। তারপরেও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এই বিষয়ে। এরপর গত ২৬ নভেম্বর সিএন এই খবর সম্প্রচার করে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকারি পরিবহন সংস্থা।
চলতি মাসের ৫ তারিখ একটি চিঠি ইস্যু করে জানিয়ে দেওয়া হয় গত ২৭ নভেম্বর ওই সংস্থাকে টার্মিনিটেড করা হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে এতো বড় আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েও কেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা একটা সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি করে ফেললো? তাহলে কি কোনও প্রভাবশালীর ভয়েই কি এই কড়া সিদ্ধান্ত নিতে এতো দেরি? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ট্রাভেল সংস্থার কর্তারা।
আদিবাসী ব্যক্তির পর এবার মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নির্বীজকরণের অভিযোগ। নির্বীজকরণের অভিযোগ বারংবার উঠে আসছে নদিয়ার ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নির্বীজকরণ নিয়ে প্রথমে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক মাধব রায়। অভিযোগ, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওই মাধব রায়কে প্রথমে করোনা ভ্যাকসিনের নাম করে হাসপাতালে নিয়ে এসে নির্বীজকরণ করানো হয়।পরবর্তীতে আবারও সেই নির্বীজকরণ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয় শান্তিপুর থানায়।
অভিযোগ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি খোকন দেবনাথকে (৬২) নির্বীজকরণ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, খোকন দেবনাথ বিবাহিত হলেও তাঁর কোনও সন্তান হয়নি এখনও। তা সত্ত্বেও তাঁকে ভুল বুঝিয়ে নির্বীজকরণ বা এনএসভি করানো হয় বলে অভিযোগ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার সমস্ত পুরুষ।
তবে নির্বীজকরণ বা এনএসভি-এর ক্ষেত্রে সরকারি একটি অনুদান হিসেবে তিন ধাপে টাকা পাওয়া যায়। প্রথমত, নির্বীজকরণের ক্ষেত্রে যে আশাকর্মী রোগীকে নিয়ে আসবে সেই আশা কর্মী একটি টাকা পাবে। দ্বিতীয়ত, যিনি এনএসভি করবেন বা যাকে করানো হবে সেও একটি টাকা পাবে। অন্যদিকে, যে চিকিৎসক এই অপারেশন করবেন তিনিও টাকা পাবেন। সেক্ষেত্রে ফুলিয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাদেরকে এনএসভি বা নির্বীজকরণ করানো হয়েছে তাঁরা কেউই টাকা পায়নি। যার কারণে অনুমান করা যাচ্ছে হাসাপাতালের ভিতরেও চলছে দুর্নীতি।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কখনো দরিদ্র আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ আবার কখনো বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের নিয়ে গিয়ে ভুল বুঝিয়ে কিংবা বোকা বানিয়ে করানো হচ্ছে নির্বীজকরণ বা এনএসভি। বারংবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও উদাসীন প্রশাসন। নির্বীজকরণের অভিযোগ ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের সামনে সামিল হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।