বৃহস্পতিবার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার (Arrest) হওয়ার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে (Indefinite Leave) গেলেন বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী (Dr Chandranath Adhikary)।
গত মঙ্গলবার তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করার জন্য। তবে চিকিৎসা শেষে তিনি বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি নাকি সুপারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি মন্তব্য করেন, তাঁকে ১৪ দিনের জন্য সাদা কাগজে ছুটি লিখে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এসবের পরেই যখন বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হলেন, তারপর তিনি নিজের জীবনের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। তাছাড়া তিনি মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছুটি নিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে তিনি ফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে বিশদে আর কী কী বললেন, আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভুল করে এক সদ্যোজাতকে একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। এই ঘটনায় কর্তব্যরত নার্সের শাস্তির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখালেন শিশুর পরিবারের লোকজন।
বিক্ষোভ সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে যেতে হয় কোতুলপুর থানার পুলিসকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির পরিবারের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ভুল করে টিকার ডাবল ডোজ দেওয়া হলেও শিশুটি সুস্থ রয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিরোমণিপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসমা খাতুন গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে গতকাল এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন। রোগীর পরিবারের দাবি, প্রসবের পর গতকাল সদ্যোজাতকে প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া হয়। আজ দুপুরে হাসপাতালের তরফে প্রসুতির নাম ধরে ডাকলে পরিবারের লোকজন সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতালের নার্সদের কাছে যান। অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত এক নার্স শিশুটিকে পুনরায় সেই টিকা দিতে উদ্যোগী হলে পরিবারের লোকজন ওই নার্সকে গতকালের ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু তারপরও টিকার কার্ড না দেখেই কর্তব্যরত নার্স শিশুটিকে পুনরায় ওই টিকা দেন বলে পরিবারের অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই হাসপাতালের নার্সরা রোগীর পরিবারকে বিষয়টি অন্যত্র না জানানোর জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ।
এরপরই শিশুর পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কর্তব্যরত ওই নার্সের শাস্তির দাবি তোলেন শিশুর পরিবারের লোকজন। শিশুর পরিবারের আশঙ্কা, টিকার ডাবল ডোজের প্রভাবে শিশুটির শরীরে প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও পরবর্তীতে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
একই টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ডাবল ডোজ প্রয়োগ হলেও চিন্তার তেমন কিছু নেই। তা সত্বেও ওই শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কুলতলি ব্লকের কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Primary Health Centre)। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমনিতেই বেহাল দশা। চারদিক ভরে উঠেছে আগাছা এবং জঙ্গলে। বহু ঘরেরই দরজা, জানালা নেই। সর্বত্রই জার্ণতার ছাপ। আর তারই মধ্যে ১৫-১৬ বছর ধরে ঘর দখল করে রয়েছে একটি যাত্রা কোম্পানি (Jatra Company)। চলছে যাত্রাপালার রিহার্সাল (Rehearsal)। যাত্রার নাম "সুন্দরীর বুকে শয়তানের থাবা"।
অথচ এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতালে চিকিৎসককে পাওয়া যায় না। চিকিৎসার জন্য বারো কিলোমিটার দূরের জামতলা ব্লক হাসপাতালে যেতে হয় রোগীদের। হাসপাতালের জমি দখল হয়ে গিয়েছে। সেখানেই জমি দখল করে চলছে চাষবাস ইত্যাদি।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, একটি ঘরের মধ্যেই বড় বড় ট্রাঙ্কে রয়েছে যাত্রার সরঞ্জাম। রয়েছে আলো, সাউন্ড সিস্টেম সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র।
প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতালে যেখানে চিকিত্সা পরিষেবাই ঠিকমতো পাওয়া যায় না, সেখানে কীভাবে হাসপাতালের ঘর দখল করে একটি যাত্রাপালা গোষ্ঠী তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে। যাঁরা ঘর দখল করে এসব করছেন, তাঁদের অবশ্য এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই।
এক সময় এখানে সবই ছিল। কোয়ার্টারগুলিও সব ভর্তি ছিল। কিন্তু কোনও একটি ঘটনার পর সব ফাঁকা হয়ে যায়। এখন ডাক্তার, নার্স আসেন বটে, তবে ওই নাম কা ওয়াস্তে। এখানে যে এভাবে যাত্রাপালার রিহার্সাল চলে, তা সবারই জানা, জাক্তাররাও জানেন, দাবি এক কর্মীর।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা ও অশোক সাহাকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এসএসসি(SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে রাতভর জেরা(interrogation) করা হয় এসপি সিনহাকে।গতকাল মেডিক্যাল টেস্টের(medical test) পর সিবিআই দফতরে চলে রাতভর জেরা। জেরায় নিয়োগ সুপারিশের দায় এড়িয়েছেন তিনি। কমিটির(committee) প্রধান হলেও তাঁর কাছে পূর্ণ ক্ষমতা(power) ছিল না। তাঁর সই(sign) জাল করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, জেরায় দাবি এসপি সিনহার।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন কনভেনর শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং এসএসসি-র প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে বুধবার গ্রেফতার করে সিবিআই৷ সূত্রের খবর, এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা কমিটিকে কারা নিয়ন্ত্রণ করত, বেআইনিভাবে চাকরি কাদের নির্দেশে দেওয়া হত, এসপি সিনহা এবং অশোক সাহার থেকে তা জানতে চেয়েছিলেন সিবিআই কর্তারা৷ যদিও, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই অভিযুক্ত দু'জন এড়িয়ে গিয়েছেন বলে খবর৷ এরপরেই তাঁদেরকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলার তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হলেন এই দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে এফআইআর করেছে, তাতে এসপি সিনহার নাম রয়েছে একেবারে প্রথমে। আর চার নম্বরে রয়েছে অশোক সাহার নাম। উল্লেখ্য হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও এঁদের নাম ছিল।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় এবার সিবিআই (CBI) গ্রেফতার (Arrest) করল এসএসসি-র (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha) এবং প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাঁদের প্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলার তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হলেন এই দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে এসপি সিনহা সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন। এমনকী তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই যে প্রয়োজনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, সেকথাও হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে এফআইআর করেছে, তাতে এসপি সিনহার নাম রয়েছে একেবারে প্রথমে। আর চার নম্বরে রয়েছে অশোক সাহার নাম। উল্লেখ্য হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও এঁদের নাম ছিল।
ফের অসুস্থতার (Illness) কথা জানিয়ে এবার দশমবারের জন্য সিবিআই হাজিরা এড়ালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি ফের দু সপ্তাহ সময় চেয়েছেন বলে খবর। তবে এবার অসুস্থতাকে ঢাল করতে গিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন অনুব্রত। এদিন আরও মারাত্মক বিষয় সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের (CBI) হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখনও নিজের প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন।
এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, তাঁর হাসপাতালে ভর্তি থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। তখনই তিনি বুঝে গেলেন, এসএসকেএমে তাঁর আর কোনও প্রভাব কাজ করছে না। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তিনি ফিরে আসেন নিজের গড় বোলপুরের বাড়িতে। আর এখানে আসার পরই খাটাতে শুরু করেন তাঁর প্রভাব।
সূত্র মারফত্ জানা গিয়েছে, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপারকে তিনি নির্দেশ দেন, তাঁর বাড়িতে টিম পাঠিয়ে চিকিত্সা করানোর জন্য। চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারী অকপটে স্বীকারও করেছেন যে, তিনি হাসপাতালের সুপারের নির্দেশেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন টিম নিয়ে। চন্দ্রনাথ মণ্ডল ছুটিতে ছিলেন। এমনকী ছুটিতে সুপারও (Super)। সেই অবস্থাতেই সুপার তাঁকে ফোন করে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিত্সকের টিম পাঠানোর কথা বলেন। ওই চিকিত্সক তখন সুপারকে বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে হাসপাতালে আসতে বলুন। সরকারি হাসপাতালের টিম কেন কারও বাড়িতে যাবে? সুপার এর উত্তরে জানিয়ে দেন, সরকারি হাসপাতালের কোনও প্রেসক্রিপশনের দরকার নেই। সাদা কাগজে লিখলেই হবে।
এরপর আসে অনুব্রতর পালা। সেখানেও চাপ। তাঁরই কথামতো ওই চিকিত্সক লিখে দিলেন ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথা। যদিও ওই চিকিত্সকই একান্তে স্বীকার করেছেন, অনুব্রতর কলকাতায় যাওয়ার মতো অবস্থা রয়েছে।