Breaking News
BJP: জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা' মামলায় জোর ধাক্কা রাজ্যের! বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতারে 'না' হাইকোর্টের      Recruitment Scam: ফের তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে উদ্ধার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও অ্যাডমিট কার্ড!      Congress: স্বাধীনতার পর প্রথম তেলেঙ্গানায় সরকার গঠনের পথে কংগ্রেস      Deganga: গুরুতর অভিযোগ! মিড ডে মিলের চাল লুকিয়ে রাখা হচ্ছে স্কুলের শৌচালয়ে      Sujoykrishna: সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টে 'ঢিলেমি'! এসএসকেএম-এর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন      Recruitment Scam: এবারে দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি!      Jyotipriya: এসএসকেএম-এও নেই স্বস্তি! সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন রাখার নির্দেশ আদালতের      CBI: কোথাও বিধায়ক, কাউন্সিলর, কোথাও ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা, রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় সিবিআই      Mamata Banerjee: 'অনেক বিধায়কের কোটি কোটি টাকা', বিজেপি বিধায়কদের চাঁচাছোলা আক্রমণ মমতার      Amit Shah: লোকসভার আগে বিজেপির শাহী সভা যেন প্রেস্টিজ ফাইট, সভার লাইভ আপডেট     

Ritwick

Cinema: মৃণাল-পত্নীকে চিঠি লিখেছিলেন ঋত্বিক-পত্নী, হলদেটে পাতার ছেঁড়া চিঠিতে বন্দি সময়কাল

শুভশ্রী মুহুরী: বাংলা সিনেমা জগতে নব জোয়ার এনেছিলেন তিন পরিচালক, সত্যজিৎ-মৃণাল-ঋত্বিক (Satyajit-Mrinal-Ritwick)। তৎকালীন বাণিজ্যিক ছবির প্লট ভেঙে তুলে ধরেছিলেন জীবনের প্রতিচ্ছবি, সমাজের প্রতিভূ। পরিচালকেরা প্রয়াত হয়েছেন কবেই। কিন্তু সেই সাদা-কালো চিত্রনাট্যের মায়ায় আজও আবদ্ধ সিনেমাপ্রেমী বাঙালিরা। সেই সময়ে পরিচালকদের পাশাপাশি তাঁদের স্ত্রী-পরিবার সবাই আত্মিক বন্ধনে জড়িয়ে পড়তেন। ভালো খারাপে একে অপরের পাশে দাঁড়াতেন। পরবর্তী প্রজন্ম কেবল তাঁদের গল্প শুনেছেন। তবে এবার সম্পর্কের লিখিত আখ্যান উঠে এলো এক চিঠিতে। 

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি চিঠি ঘুরপাক খাচ্ছে। পুরোনো হলদেটে এক কাগজে, খানিকটা ছিঁড়ে যাওয়া নীল কালিতে লেখা একটি চিঠি। যেমন তেমন চিঠি নয়। পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের স্ত্রী চিঠি লিখেছিলেন মৃণাল সেনের স্ত্রীকে, তাও আবার মৃণাল সেনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে। বহু বছর পর মায়ের পুরোনো ব্যাগ ঘাটতে গিয়ে অমূল্য এই চিঠি খুঁজে পেয়েছেন মৃণাল পুত্র কুণাল সেন। সেই চিঠি সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। গীতা সেনকে কী লিখেছেন সুরমা ঘটক? সুরমা ঘটকের লেখা বানান, শব্দ গঠন এবং যতিচিহ্ন অপরিবর্তিত রেখে সেই চিঠি তুলে ধরা হল। 

ঋত্বিক পত্নী সুরমা লিখেছেন, "গীতা আজ মৃণাল সেনের জন্মদিন। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মৃণালবাবুকে জানাচ্ছি। মৃণাল বাবুরা একটি যুগের প্রতীক। একটা স্বপ্ন নিয়ে-কাঁধে একটা ঝোলা নিয়ে রওয়ানা হয়েছিলেন জীবনের পথে-এরপর সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। ইতিহাসের পাতায় মৃণাল সেন নামটি উজ্জ্বল হয়ে আছে ও থাকবে। - আর সত্যজিতের পরে মৃণাল ও ঋত্বিক, বা ঋত্বিক ও মৃণাল শব্দ দুটি সবসময়ই একসঙ্গে উচ্চারিত হয়।"


মৃণাল সেনের সঙ্গে ঋত্বিক পত্নী সুরমার সম্পর্কের সমীকরণ কেমন ছিল, সেই উল্লেখ পাওয়া যায় এই চিঠির পাতা থেকেই। সুরমা ঘটক লিখেছেন, "মৃণালবাবু সবসময়ই আমার প্রতি সহানুভূতিশীল। মনে পড়ে আমাকে শ্মশান থেকে হাত ধরে উনির বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ছিলে তুমি ও অনুপকুমার পরে বেলা ও নৃপেন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি। সবাই মিলে সেদিন আমায় উদ্বার করে দিয়েছিলে।" 

সুরমা চিঠিতে তাঁর জীবনে মৃণাল সেনের অবদান নিয়ে আরও স্মৃতিচারণ করেছিলেন। তবে নেটিজেনদের বুকে বিঁধছে চিঠির শেষের দিকের একটি লাইন। সুরমা আক্ষেপের সুরে গীতা সেনকে লিখছেন, "একটা যুগ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের মধ্যেইতো মানুষ বেঁচে থাকে।"

সামাজিক মাধ্যমে মৃণাল এবং ঋত্বিক প্রেমীরা এই চিঠি রেখে দিতে চাইছেন তাঁদের টাইমলাইনে। একটা যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই চিঠির প্রতিটি শব্দ, বয়ে চলেছে সেই সময়কাল। 


6 months ago
Film: কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায় অয়নের ছবিতে ঋত্বিক-সোহিনী, বিতর্কে কী প্রতিক্রিয়া?

মনি ভট্টাচার্য: নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের পর এবার অয়ন শীল প্রযোজিত সিনেমা (Bengali Film) রাজ্য রাজনীতির চর্চায়। কুন্তলের মতোই নিয়োগ-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার অয়ন শীল। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে তৈরি ছবির পরিচালক জাতীয় পুরস্কারজয়ী কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)। অয়নের প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে তৈরি কবাড্ডি-কবাড্ডি ছবিতে অভিনয় করেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার এবং অর্জুন চক্রবর্তীর মতো টলিউডের পরিচিত মুখ। এমনকি এই ছবিতে নাকি অভিনয় করেন অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীও। ছবির একটি অনুষ্ঠানে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তীদের (Rittik Chakraborty) সঙ্গে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকেও। এবার শিক্ষা দুর্নীতিতে এই ছবির প্রযোজক অয়নের নাম জড়ানোর পর, তাঁর প্রযোজিত সিনেমা নিয়ে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় কি টলিউডের উল্লিখিত পরিচিত মুখ?

ইতিমধ্যে সামনে এসেছে অয়নের সংস্থার ব্যানারে হওয়া, কবাড্ডি-কবাড্ডি সিনেমার টাইটেল-লঞ্চের ছবি। এই প্রসঙ্গে সিএন ডিজিটালের তরফে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, 'শ্বেতা ওই সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তাই ওই সিনেমার টাইটেল লঞ্চে একই মঞ্চে সবাইকে দেখা গিয়েছে। এর বেশি শ্বেতার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। প্রযোজকের আয়ের উৎস অবশ্যই জানা উচিত, কিন্তু একজন অভিনেতার পক্ষে সেটা সবসময় জানা হয়ে ওঠে না।'

এই অভিনেতা আরও বলেন, 'সিনেমায় অভিনয় করার পর সাধারণত এধরনের বিতর্ক কোনওভাবেই কাম্য নয়। একটা ছবি করার সময় প্রযোজকের সমস্ত তথ্য, কাগজপত্র একজন অভিনেতার পক্ষে খতিয়ে দেখা হয়ে ওঠে না।'

তবে ইডি যদি তদন্তের স্বার্থে আমাকে ডাকে, তবে নিশ্চয় যাবো। সিএন ডিজিটালের কাছে এই মন্তব্য করেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। এদিকে, এদিন এবিষয়ে কথা বলার জন্য পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ওই সিনেমায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মঙ্গলবার সোহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, ব্যস্ততার কারণে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারেননি অভিনেত্রী।

9 months ago