সাতসকালে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার এক মহিলার মৃতদেহ। শুক্রবার ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে পর্ণশ্রী থানার অন্তর্গত শ্যামসুন্দর পল্লীতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পর্ণশ্রী থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শ্যামসুন্দর পল্লীতে রাস্তায় ধারের একটি পুকুরে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক মহিলার দেহ ভাসতে দেখা যায়। তারপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। মৃত ওই মহিলার মুখে জড়ানো ছিল ওড়না, পায়ে চটিও পড়েছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অনুমান, অন্য কোনও জায়গায় খুন করে হয়তো এই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে খুন নাকি আত্মহত্যা? তা জানতে পুরো ঘটনাটাই খতিয়ে দেখছে পর্ণশ্রী থানার পুলিস। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
নাকা চেকিং চালানোর সময় এক বাইক চালকের কাছ থেকে উদ্ধার হয় টাকার বান্ডিল। প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে গাংনাপুর থানার পুলিস। সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ভোটের সময় অশান্তি এড়াতে আগাম তৎপর হয়েছে রানাঘাট জেলা পুলিস। আর তারই অঙ্গ হিসেবে গাংনাপুর থানা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় সোমবার রাত থেকে নাকা চেকিং শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোররাতে আনুমানিক ৪ টে ৪৫ নাগাদ গাংনাপুর বাজার এলাকায় একটি বাইককে সন্দেহজনকভাবে আসতে দেখে দাঁড় করায় পুলিস। আর এরপরই তল্লাশি চালিয়ে বাইক চালকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। পুলিস সূত্রে আরও খবর, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। কোথা থেকে এত নগদ টাকা নিয়ে ওই বাইক চালক কোথায় যাচ্ছিল তা জানতে বাইক চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিস।
হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হল এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম কল্যাণাশিস ঘোষ (৪৫)। হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার গভীর রাতে হাসপাতালের কোয়ার্টারের ভিতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ। এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সূত্রের খবর, গত ছ'বছর আগে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিসিনের চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কল্যাণাশিস নামের ওই ব্য়ক্তি। বর্তমানে তিনি এম আর বাঙুর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। করোনার সময়কাল থেকে বিশেষ দায়িত্ব ছিল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ওই চিকিৎসকের।
পারিবারিক কারণে মানসিক অবসাদের জেরে ওই চিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। ইতিমধ্য়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। খবর দেওয়া হয়েছে মৃত ওই চিকিৎসকের পরিবারের কাছেও। আজ, সোমবার মৃত চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্ত হবে।
পাচারের আগেই উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা সহ নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। ঘটনায় আটক দুই অভিযুক্ত। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ এবং নারকটিক্স বিভাগের কাছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হল আশরাফুল এবং প্রজাপতি নামে দুই ব্যক্তি। যদিও পরে আশরাফুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ এসটিএফ এবং নারকটিক্স বিভাগের যৌথ বাহিনীর কাছে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৭৬ এ এপিসি রোডে অভিযান চালায়। তারপর সেখানের একটি ঘর থেকে ১০০ ইমেল করে ৩৬০০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ উদ্ধার হয়। সকালে-সন্ধ্য়া প্রচুর পরিমাণে বাক্স বাইরে থেকে আসত বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ৩৬০০ টি নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের বোতল উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশের আরও একটি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে ৪২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিস। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ এবং লালবাজারের নারকটিক্স বিভাগ
সাত সকালে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল দুই নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুই নাবালিকার মধ্য়ে একজন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা। যার নাম সুমি মুরমু (১৮)। আর একজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চন্দ্রকোনা থানার পুলিস এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নজরে আসে ওই দুই নাবালিকার মৃতদেহ। তারপরেই খবর দেওয়া হয় থানায়। মৃতদেহ দুটির চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ভাঙ্গা মোবাইলের টুকরো, একটি ছুরি, চুড়িদারের একটি ওড়নার মধ্যে দুইজনে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে।
ওই দুই নাবালিকাকে ঝুলতে দেখে স্থানীয়দের অনুমান তারা আত্মহত্য়া করেনি। তাদেরকে কেউ মেরে এভাবে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কে বা কারা... কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এবার এসটিএফ-এর জালে ভুয়ো জাল নোট পাচারকারী। গ্রেফতার চার অভিযুক্ত। কলকাতার মিলেনিয়াম পার্ক থেকে উদ্ধার ৯০ হাজার টাকার জাল নোট। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল এনামুল মণ্ডল, কমল মণ্ডল, আমজাদ আলী খান, মোঃ খুরেশি।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার ভাষা দিবসের দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নর্থপোর্ট থানা এলাকার অধীনে মিলেনিয়াম পার্কে অভিযান চালায় এসটিএফ এর একটি দল। তারপর সন্দেহজনক চার ব্য়ক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ পর গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল মুদ্রা। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকারীদের কলকাতার সি.এম.এম ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়।
সূত্রের খবর, অনুসন্ধানের সময় বিপুল পরিমাণ ৫০০ টাকার নোট এবং ১০০ টাকার নোট উদ্ধার হয় ওই চার জাল নোট কারবারির কাছ থেকে। তাতে ১৭০ টি ৫০০ টাকার নোট এবং ৫০ টি ১০০ টাকার নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসটিএফদের অনুমান, বিদেশে জাল মুদ্রা পাচারের ছক কষেছিল ওই চার অভিযুক্ত। কিন্তু জাল নোট পাচারের আগেই পুলিসের জালে ধরে পড়ে যায় অভিযুক্তরা। এর আগেও জাল মুদ্রা পাচারের সময় পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায় তারা।
এই জাল নোটের কারবার কতদিন ধরে চলছে? এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি না? ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হলে সবটাই সামনে আসবে, মত ওয়াকিবহাল মহলের। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোনোর মতোই এই ঘটনায় আবার কোনও প্রভাবশালীর নাম বেরিয়ে আসে কিনা, জানাবে সময়ই।
হোটেল থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল-এর কুমারপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রোহন প্রসাদ রাম (২১)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। কিন্তু মৃত যুবকের দাদার অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর ভাইকে। ঘটনার পর হোটেলে অবৈধ কাজের অভিযোগে হোটেল বন্ধের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসীরা।
মৃতের দাদা জানিয়েছেন, রোহন প্রসাদ রাম কোনও বান্ধবীকে নিয়ে হোটেলে এসেছিলেন। কিন্তু এদিন খবর পেয়ে রোহনের দাদা এসে দেখেন উক্ত হোটেলের ৩০৬ নম্বর ঘরে তাঁর ভাইয়ের মৃতদেহ পরে রয়েছে। আর তার পাশেই পরে রয়েছে একটি বন্দুক। যা দেখে তাঁর দাদার মনে হচ্ছে রোহনকে গুলি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চার ভ্যান পুলিস। এরপর রোহনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, আত্মহত্য়া করেছে ওই যুবক। তবে আত্মহত্যা নাকি খুন তার তদন্তে নেমেছে আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিস।
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগেই রাজ্য়েজুড়ে সন্ধান মিলছে বোমার। এবার বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার বালতি ভর্তি সকেট বোমা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানার ডেপুটি পাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে এক মহিলা তাঁর বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে একটি বালতি দেখতে পায়। বালতিটি দেখা মাত্রই ওই মহিলাটি অনুমান করে যে ওই বালতির ভিতরে বোমা আছে। তারপরেই স্থানীয় সিভিককে খবর দেওয়া হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে রানীনগর থানার পুলিস এসে ওই জায়গাটিকে ঘিরে ফেলে।
যদিও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ব্যাপক পরিমাণে বোমাবাজি এবং বোমা উদ্ধার হয়েছে। তবে কি লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও রানীনগরের ডেপুটি পাড়া এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি হচ্ছে? সেই কারণেই রানীনগর থানার পুলিসের পক্ষ থেকে পুলিস পিকেট করে পাহারা দিয়ে রাখা হচ্ছে। আজ অর্থাৎ সোমবার বম্ব ডিস্ক জাল টিম এসে বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুকুরের ধার থেকে উদ্ধার হল বছর নয়ের জ্ঞানহীন বিবস্ত্র নাবালিকা। যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী এক যুবক। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার নোকারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুটিসালুয়া গ্রামে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল ওই নয় বছরের নাবালিকা শিশুটি। খেলা শেষে সব বাচ্চারা বাড়ি চলে আসলেও বাড়ি ফেরেনি বছর নয়ের শিশুটি। এরপর ওই নাবালিকা নিখোঁজের বিষয়টি বাকি বাচ্চাদের জিজ্ঞেসা করা হলে তারা জানায়, প্রতিবেশী এক যুবক ওই নাবালিকাকে খেলার মাঠের পাশে একটি পুকুর ধারে নিয়ে গিয়েছে।
এরপর ওই নাবালিকার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের মেয়েকে বিবস্ত্র ও অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। তারপর তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোপার্স ফাঁড়ির পুলিস। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে প্রতিবেশী ওই যুবকের বিরুদ্ধে রানাঘাট থানায় যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি ওই নাবালিকা পরিবারের। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিস।
দু'দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার নাবালিকা ছাত্রীর মুন্ডুহীন মৃতদেহ। মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে মালদহের ইংরেজ বাজারের এলাকা থেকে। উল্লেখ্য, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্য়ায় মালদহ সফরে গিয়েছিলেন। তার আগের দিন ইংরেজ বাজারের উত্তর বালুচর এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রী। ব্যবসায়ীর নাবালিকা কন্যা খুনের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে মালদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড় ও রথবাড়ি মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ নাবালিকা একটি বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজারের উত্তর বালুচরে। ব্য়বসায়ী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে বাড়ির সামনেই খেলাধুলো করছিল তাঁর নাবালিকা মেয়ে। কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে থেকে আচমকাই উধাও হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এরপর বাড়ির সবাই উত্তেজিত হয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজির পরে অবশেষে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকার মৃতদেহ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ওই নাবালিকার এক আত্মীয়কে পুলিস গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন বলে পুলিসের অনুমান। বাড়ির সামনে থেকেই ওই নাবলিকাকে অপহরণ করা হয়। তারপর মালদহ শহর থেকে কিছুটা দূরত্বে আম বাজার এলাকার থেকে ওই নাবালিকার মৃতদেহটি উদ্ধার হয়।
বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার গলায় জিআই তার জড়ানো অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মঙ্গলবার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় রাজারহাট থানা সংলগ্ন কাশীনাথ পুর বাজার এলাকায়। তবে মৃত ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় জন্য় পাঠায়। ঘটনার তদন্তে রাজারহাট থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাঁশ বাগানে গলায় তার জড়ানো অবস্থায় মৃত ওই ব্য়ক্তিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান ওই ব্যক্তি লরির খালাশী হতে পারে। এরপর পুলিস খোঁজ চালিয়ে রাস্তার পাশ থেকে একটি মার্বেল ভর্তি লরিও উদ্ধার করে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই লরিতে থাকা দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই মৃত্য়ুর সম্পর্কে তারা কী জানে? খুন নাকি অন্য় কোনও রহস্য রয়েছে এর পিছনে, সঠিক কারণ জানতে রাজারহাট পুলিস কুকুর দিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালায়।
প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে গৃহবধূকে পাচার ও খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে তাঁকে রান্না ঘরের নিচে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার ইশ্বরী গাছা ঢালী পাড়ায়। জানা যায়, মৃত যুবতীর নাম রহিমা খাতুন (২৪)। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে গোপালনগর থানার নতিদাঙ্গার বাসিন্দা রহিমা খাতুনের সঙ্গে গোপালনগরের সাতবেড়িয়া বাসিন্দা সেলিম মণ্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের আট বছর পর রহিমা তাঁর গ্রামের প্রতিবেশী বাকিবিল্লা মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর রহিমা তাঁর সাত বছরের মেয়েকে রেখে বাকিবিল্লার সঙ্গে মুম্বাই চলে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের।
এরপর রহিমা তাঁর মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্য়মে যোগাযোগ রাখলেও পাঁচ মাস ধরে কোনো যোগাযোগ হয় না তাঁর পরিবারের। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে গোপালনগর থানায় পাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয় বাকিবিল্লা ও তার বোন তারাবানু মন্ডলের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাকিবিল্লা ও তারাবানুকে জেরা করে জানতে পারে, ছয় থেকে সাত মাস আগে বসিরহাটের বাদুড়িয়ার ঈশ্বরীগাছায় তারাবানুর শ্বশুরবাড়িতে রহিমাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে রান্না ঘরের মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। খুনের অভিযোগে পুলিস বাকীবিল্লা ও তার বোন তারাবানু কে গ্রেফতার করে।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪-এর একটি ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয় তিনজনের মৃতদেহ। একসঙ্গে পুরো পরিবারের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন ছেলে সুমনরাজ মৈত্র (৩৯) মা অপর্ণা মৈত্র (৬৮) ও বাবা স্বপন মৈত্র (৭৫)। তবে তাঁরা আত্মহত্য়া করেছেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট জানা যায় নি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিসের হাতে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা।
বুধাবার সকাল থেকে ওই বন্ধ ফ্ল্য়াট থেকে প্রতিবেশীরা পচা দুর্গন্ধ টের পায়। তারপর তাঁরা খবর দেয় পুলিসকে। ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস এসে ফ্ল্য়াটের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান বাবা,ছেলে ও মায়ের মৃতদেহ ঝুলছে। ওই মৃতদেহগুলি আলাদা আলাদা ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
প্রাথমিকভাবে পুলিস ঘটনাটিকে আত্মহত্য়ার ঘটনা বলে মনে করলেও সঠিক কোনও তথ্য় মেলেনি। কিন্তু আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখতে পুলিসের নজরে পড়ে মৃত সুমনরাজ মৈত্রের এক ফেসবুক লাইভ। ২৮ ডিসেম্বর মৃত সুমন রাজ মৈত্র ফেসবুকে দুটি ২১ মিনিটের লাইভ করে জানিয়েছেন, যে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। অনেকেই হুমকি দিচ্ছে এই কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাই আমার ছোট মামা বলেছেন তিনি আমাকে আমাকে এখান থেকে শিফট করে দেবে। এই শিফট করার ব্যাপারটা সমস্যার সমাধান নয়। এমনকি বেশ কিছুদিন হলো এখানকার অনেক বাচ্চারা আমাকে আর আমার বাবা-মাকে পাগল পাগল বলছে। আমরা খুব কষ্টে ভুগছি। এইভাবে থাকা যায় না তাই আমাদের একটা ডিসিশনে আসতে হবে। সেই ডিসিশনটা আমরা নিয়ে ফেলেছি।
স্কুল পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল কার্তুজ সহ আগ্নেয়াস্ত্র। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পাথরঘাটা এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, স্থানীয় সুদর্শন নগর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিস। বুধবার ওই পড়ুয়াকে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুল পড়ুয়া নবম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার স্কুলের তরফ থেকে বই বিতরণ করা হয়েছিল। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়। তবে কী কারণে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছিল ওই পড়ুয়া তা নিয়ে দ্বন্ধে সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
যদিও এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিস। কোথা থেকে ওই স্কুল পড়ুয়া আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি এর পিছনে কোনো চক্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
বন্ধ ফ্ল্য়াটের দরজা। ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে পচা দুর্গন্ধ। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। এরপর পুলিস এসে ওই বন্ধ ফ্ল্য়াটের মধ্য থেকে উদ্ধার করে তিনজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪-এর একটি আবাসনে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন মা অপর্ণা মৈত্র (৬৮), তাঁর স্বামী স্বপন মৈত্র (৭৫) এবং তাঁদের ছেলে সুমনরাজ মৈত্র। স্বপন মৈত্র পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পার্ক ৮৪ এর তিন তলা আবাসনে থাকতেন স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের ছেলে। সেখান থেকেই উদ্ধার তাঁদের তিনজনের মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, মূলত বাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। খুব একটা বাইরে বেরোতে দেখা যেত না তাঁদের। ২৮ তারিখ অর্থাৎ গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়। তারপর থেকেই বন্ধ করে দেয় ফ্ল্য়াটের দরজা। এরপর বুধবার সকালে পচা দুর্গন্ধ টের পাওয়ার পরেই স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে বন্ধ ফ্ল্য়াট খুলতেই দেখতে পায় ছেলের ও মায়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বেড রুম। আর বাবার দেহ পড়ে আছে ডাইনিং-এ। পুলিসের অনুমান, একইসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন পুরো পরিবার। তবে কী কারণে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত্য়ুর আসল কারণ জানা যায়নি।