ভর সন্ধ্যাতেই একি কাণ্ড! বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল একটি শিয়াল (fox) বাবাজি। তবে মুখে প্লাস্টিকের কৌটো (Plastic box) আটকে যাওয়ায় দম বন্ধ হয়ে প্রায় মরণাপন্ন অবস্থা। ওই বাড়ির সদস্য এবং স্থানীয়রা বহু চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারছিলেন না শিয়ালটিকে। অবশেষে খবর যায় বনকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীদের। রাতে খবর পেয়েই তাঁদের যৌথ চেষ্টায় এযাত্রায় প্রাণে বাঁচলেন "শেয়াল রাজা"। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মোহিতনগরের জোড়দিঘী এলাকার।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যাবেলা স্থানীয় এক যুবক দিবাকর দাস খেয়াল করেন তাঁদের বাড়ির মধ্যে বড়সড় কোনও একটি বন্য জন্তু ঢুকে পড়েছে। তবে কাছে যেতেই দেখেন জন্তুটির মুখে একটি প্লাস্টিকের কৌটো আটকে রয়েছে। কষ্টও পাচ্ছে সে। দিবাকর স্থানীয় কয়েকজন যুবককে ডেকে আনেন সাহায্যের জন্য। কিন্তু জন্তটির মুখ না দেখা যাওয়ায় প্রথমে কাছে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না ওই যুবকেরা। পরে তাঁরা সাহস করে এগিয়ে গিয়ে দেখেন সেটি একটি শেয়াল। সম্ভবত, খাবারে খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছিল।
তাঁদের অনুমান, রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বিস্কুটের ওই প্লাস্টিকের কৌটোতে খাবারের গন্ধ পেয়ে মুখ ঢুকিয়ে দেয় শিয়ালটি। কিন্তু আর বের করতে না পারায় দম বন্ধ হয়ে প্রাণ যাওয়ার জোগাড় হয়। স্থানীয় যুবকেরা কৌটোটি খোলার চেষ্টা করলেও পারেননি। শেষমেশ খবর দেওয়া হয় জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণ শাখায়। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে, ঘণ্টা খানেকের কসরৎ-এর পর শিয়ালের মুখ থেকে কৌটো খুলতে সমর্থ হন। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর শিয়ালটিকে একটি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এযাত্রা প্রাণ ফিরে পেয়ে এক ছুটে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন "বনগাঁয়ের শেয়াল রাজা"। মনে মনে হয়ত ধন্যবাদও জানায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জলপাইগুড়ির গরুমারা বন্যপ্রাণ শাখা ও স্থানীয় যুবকের এহেন কাজে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
রাতে হঠাত্ই দেখা মিলল বিশালাকার এক ময়াল সাপের (snake)। দেখা যায় একটি মোটর বাইকে জড়িয়ে রয়েছে সাপটি। খবর জানাজানি হতেই ভিড় উপচে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থল বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার খোলাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপুর গ্রাম।
জানা যায়, শনিবার রাতে হঠাৎই দেখা যায় রামপ্রসাদ দাসের বাড়ির সামনে একটি মোটর বাইকে ৬ ফুট লম্বা একটি ময়াল সাপ। বাইকের হাতের ব্রেকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাপটি। বসিরহাট ও বনগাঁ (Bangaon) রোডের রাস্তার ধারে রামেশ্বরপুরে এই ঘটনা দেখে অবাক গ্রামবাসীরা। একে একে প্রচুর মানুষের ভিড়ে জমজমাটি পরিস্থিতি এলাকায়। ঘটনাস্থলে বনদফতরকে খবর দিলে বসিরহাট রেঞ্জের বন কর্মীরা গিয়ে ওই ময়াল সাপটিকে খাঁচা বন্দি করে।
বনদফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সাপটির প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। এরপর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রাথমিক অনুমান, এলাকায় বেশ কয়েকটি কাঠের গোলা রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে প্রচুর কাঠের গুড়ি ট্রাকে করে এখানে আনা হয়। সেই কাঠের গুড়ির সঙ্গে এই সাপটিও কোনওভাবে এসেছে বলে ধারণা। পাশাপাশি সাপটি এলাকার পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসলো কিনা খাবারের সন্ধানে সেটাও তদন্ত করে দেখছে বনদফতর। তবে রাতে সাপটিকে উদ্ধার করতে মাটিয়া থানার পুলিস ও বনদফতরের কর্মীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। কারণ, সেই সময় যে হারে মানুষের সমাগম বয় এলাকায় এই সাপটিকে দেখার জন্য, তাতে করে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। স্থানীয়রা যে যার মত মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করতে শুরু করে সাপটিকে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকার একটি হোটেলে।সোমবার সকালেই শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওই হোটেলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আতঙ্ক। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করলেও ভিতরে কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে।
#WATCH | Window panes of rooms at Hotel Levana in Hazratganj, Lucknow being broken to facilitate rescue and relief operations.
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) September 5, 2022
DG Fire says, "Rooms are filled with smoke making it difficult to go in. Work is underway to break window panes and grills, 2 people have been rescued" pic.twitter.com/6Hh5wdN6A9
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকারীরা জানালা ভেঙে আবাসিকদের বের করার চেষ্টা করছেন।
হোটেলের বাইরের অংশ থেকেও সিঁড়ি দিয়ে তাদের বের করছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু ভিতরে যারা আটকে পড়েছেন তাদের জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে। সব মিলিয়ে এলাকায় জুড়ে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
গাজোলের ঘাটশোল (Maldaha) এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই জয়প্রকাশ সাহা নামে মৎস্য ব্যবসায়ীর বাড়িতে সিআইডির (CID) হানা। যদিও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে যে এই ব্যক্তির আর্থিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু তা সত্যেও তার বাড়িতে হানা দিয়ে সম্ভাব্য প্রায় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে বলেই জানা গিয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে উদ্ধার হওয়া ১০০,২০০ এবং ৫০০ টাকার নোট গুনছেন তদন্তকারীরা। গোটা অভিযান চলাকালীন বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন, মোতায়েন বিশাল পুলিস বাহিনী। ঘটনাস্থলজুড়ে কৌতুহলী মানুষের ভিড়। পাড়া প্রতিবেশিদের মতে এত টাকা এলোই বা কোথা থেকে, ব্যবসায়ীর অবস্থা তো কোনওদিন ভালো ছিল না। এক ছোট মাছের ব্যবসায়ী মাত্র। অর্থের উৎস খতিয়ে দেখুক সিআইডি, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ব্যবসায়ীর আত্মীয় বছর দেড়েক আগে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সেই সূত্র ধরেই এই অভিযান সূত্রের খবর পাওয়া সম্ভব হয়। চাঞ্চল্য সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজনৈতিক কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
খালের জল ফুঁসছিল (Flash Flood),জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। পারে তখন দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ। অবাক কান্ড কেউই ওই দুই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এগোলেন না। ডুবে যাচ্ছেন দু’জন, এই দৃশ্য দেখে স্থির থাকতে পারেননি এক মহিলা (Mother)। কোলের সন্তানকে মাটিতে রেখেই খালের খরস্রোতা জলে ঝাঁপ দিলেন তিনি। তারপর কোনওরকমে এক জনের প্রাণ বাঁচালেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে ভোপালে (Bhopal)। ৩২ বছর বয়সি এই মহিলার নাম রবিনা।
তাঁর এই সাহসিকতার তারিফ করেছেন অনেকেই। তাঁকে সম্মানিত করেছেন নাজিরাবাদের এসএইচও (স্টেশন হাউস অফিসার)। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাজুরিয়া গ্রামে সয়াবিনের খেতে রাসায়নিক স্প্রে করতে গিয়েছিলেন দুই কৃষক নাম জিতেন্দ্র আহিরওয়ার ও রাজু আহিরওয়ার। খাল পারাপারের সময় জলের প্রচন্ড স্রোতে তাঁরা ভেসে যান। সে সময় ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন রবিনা। তাঁর কোলে শিশুপুত্রকে রেখে সাতপাঁচ না ভেবে খালের খরস্রোতা জলে ঝাঁপ দেন সাহসীনি। সাঁতরে জিতেন্দ্রকে উদ্ধার করে আনেন। পরে আবার ঝাঁপ দিয়ে রাজুকে উদ্ধার করতে খালে নামেন রবিনা। কিন্তু ততক্ষণে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন রাজু। অবশেষে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দিঘার (Digha) উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া পর্যটককে (Tourist) উদ্ধার করলেন স্থানীয় যুবক, নুলিয়া ও সিভিল ডিফেন্সের (Civil Defence) কর্মীরা। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে আজ সকাল থেকে উত্তাল রয়েছে দিঘার সমুদ্র। আর সমুদ্রে প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে নামতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক পর্যটক। তাঁকে উদ্ধার (Rescue) করে দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এই যুবকের নাম সুপ্রকাশ মণ্ডল বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
এদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে উপকূলে। গার্ডওয়াল ছাপিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। আগেই এই সময় উত্তাল সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছিল। স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান ওই পর্যটক। সবার চোখের সামনেই তিনি ঢেউয়ের তোড়ে অনেক দূরে চলে যান। সঙ্গে সঙ্গে এই দৃশ্য দেখে দৌড়ে আসেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। আসেন নুলিয়ারাও। জলে ঝাঁপ দেন স্থানীয় কয়েকজন যুবকও। তাঁদের প্রচেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করে ডাঙায় তোলা সম্ভব হয়। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
ওই যুবককে বাঁচিয়ে এখন হিরো এলাকারই ছেলে সৈকত। দেখুন, তাঁকে নিয়ে কেমন উচ্ছ্বাস। শুনুুন তাঁর কথা। সকলেই তাঁর মুখ খেকে শুনতে চাইছে উদ্ধারের সেই কাহিনী। জীবন হাতে নিয়ে জলে সে কীভাবে ঝাঁপ দিলেন, সে কথা শুনুন তাঁর মুখ থেকেই।