গত বেশ কিছুদিন ধরেই সিনেমা জগতের দুই তারকা কৃতি ও প্রভাসের প্রেম নিয়ে জোর চর্চা চলছে। তাঁদের অভিনীত সিনেমা 'আদিপুরুষ' আসতে চলেছে। সিনেমার সেটেই নাকি দুজনের প্রেমের শুরু। বাগদান করবেন তাঁরা, এমন রব শোনা গিয়েছিল। এতদিন দুই তারকা এই বিষয়ে মৌন ছিলেন। এবার কৃতি এই বিষয়ে কথা বললেন। তিনি বললেন, তাঁর সঙ্গে প্রভাসের প্রেমের নেপথ্যে রয়েছে বরুণ।
অভিনেত্রী কৃতি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, তাঁর সঙ্গে প্রভাসের সম্পর্কের গল্প কেবলই রটনা। বাস্তবে এর কোনও ভিত্তি নেই। কৃতি আরও বলেন, এই মিথ্যে খবর রটিয়েছে বরুণ ধাওয়ান। সে যে এমন কান্ড করবেন, কৃতি নাকি সেই আভাস আগেই পেয়েছিলেন। কারণ বরুণ তাঁকে জানিয়েছিলেন, 'দেখবে, আমি তোমাকে নিয়ে মিথ্যে খবর ছড়াব।'যেমন বলা তেমন কাজ।
বলিউডে 'চকোলেট বয়' এর পাশাপাশি 'দুষ্টু ছেলে' হিসেবেও জনপ্রিয় বরুণ ধাওয়ান। কৃতি শ্যাননের সঙ্গে 'ভেড়িয়া' ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মিথ্যে প্রেমের খবর রটানোর মতো কাজ যে বরুণ করতে পারেন, তা মেনে নিচ্ছেন নেটিজেনরা। তবে কৃতি ও প্রভাসের প্রেম নিয়ে উৎসাহীদের মন বিষণ্ণ।
বলিপাড়ায় নতুন দুই যুগলের প্রেমের জোর চর্চা। অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি (Aditi Rao Hydari) এবং 'রং দে বাসান্তী' খ্যাত অভিনেতা সিদ্ধার্থ সত্যনারায়ণ (Siddharth Satyanarayan) একসঙ্গে প্রেম করছেন। এমনই গুঞ্জন নেট দুনিয়ায়। বেশ কিছুদিন আগে অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায় সিদ্ধার্থের সঙ্গে 'টাম টাম' গানে নাচ করছেন তিনি। সেই ভিডিও নিয়ে নিমেষেই চর্চা শুরু হয়ে যায়। একাধিক অনুষ্ঠানেও তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। এবার সামাজিক মাধ্যমেই সিদ্ধার্থের জন্য নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করলেন অদিতি।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে সিদ্ধার্থ ও বন্ধুদের সঙ্গে একটি ছবি দেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, 'এই আমরা ভীষণ প্রিয়। আমার প্রিয়রা ধন্যবাদ। আমি তোমাদের ভালোবাসি। তোমরাও আমাকে ভালোবাসো, জানি।' অদিতির এই পোস্টের নিচে উত্তর দিয়েছেন সিদ্ধার্থ। তিনি লিখেছেন 'আদুর মতো কেউ নেই।' সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের এই বাক্যালাপ স্বাভাবিকভাবেই নজরে পড়েছে নেটিজেনদের। এই নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গিয়েছিলেন অদিতি এবং সিদ্ধার্থ। পাপারাৎজিরা সেখানে তাঁদের দেখে মন্তব্য করেন,'লাভলি কাপল।'এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেনি কেউই। তবে অদিতি তাঁর লাজে রাঙা মুখে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিছু তো ঘটছে তাদের মধ্যে। এর আগে অদিতি বিয়ে করেছিলেন সত্যদীপ মিশ্রকে। তবে বিচ্ছেদও হয়ে যায় তাঁদের মধ্যে। কিছুদিন আগেই সত্যদীপ বিয়ে করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তাকে। এবার বোধহয় অদিতিও নিজের জীবন নতুন করে সাজাবেন।
বলিউডের অন্য ধারার অভিনেতাদের মধ্যে প্রথম সারিতে নাম লিখিয়েছেন মনোজ বাজপেয়ী (Manoj Bajpayee)। অভিনয় জীবন ছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত জীবন তেমন প্রচারের আলোয় আসে না। ফলে চর্চাও কম হয়। কিন্তু অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও আলোচনার প্রসঙ্গ রয়েছে। বিয়ে করেছেন অন্য ধর্মে। বাড়িতে মেনে নিলেন? এই ধর্মীয় বিভেদ সম্পর্কের মাঝে বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়? এই পার্থক্যের পরও সম্পর্ক অটুট রাখার মন্ত্র কী? নিজের মুখেই বললেন মনোজ।
মনোজ বাজপেয়ী বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী শাবানা রাজার সঙ্গে। বেশ কয়েকটি ছবি করেছিলেন শাবানা। তবে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নেন অভিনয় জগৎ থেকে। এরপর বিয়ে করেন মনোজ বাজপেয়ীকে।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মনোজ বলেন, 'তিনি ধর্মে কুলীন ব্রাক্ষণ। পরিবারের বেশ প্রতিপত্তি ছিল। তবে তাঁর পরিবার এই বিয়ে নিয়ে আপত্তি করেননি। এই বিষয়ে বেশ অবাকও হন মনোজ।'
তবে এই ধর্মীয় বিভেদ কী কোনওদিনও মনোজ ও শাবানার সম্পর্কের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি? মনোজ এই বিষয়ে বলেন, 'আমার স্ত্রী গর্বিত মুসলিম, আমি গর্বিত হিন্দু। আমাদের ধর্ম কোনওদিন আমাদের সম্পর্কের মাঝে বিভেদ তৈরী করেনি। আমরা ধার্মিকের থেকেও বেশি আধ্যাত্মিক। 'মনোজ আরও বলেন, 'আমার এবং শাবানার মধ্যে একটি অলিখিত চুক্তি রয়েছে। আমরা কোনওদিন একে ওপরের ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলব না।'
মডেল-অভিনেত্রী ঊর্বশী রৌতেলার (Urvashi Rautela) সঙ্গে বারবার জড়িয়ে পড়ছে ক্রিকেট দুনিয়ায় নাম। তাঁর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant)। শোনা গিয়েছিল সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। তবে সামাজিক মাধ্যমে দুই তারকার ঠান্ডা লড়াই দেখে নেটিজেনরা বুঝতে পেরেছেন, তাঁদের মধ্যে তিক্ততা গড়িয়েছে অনেক দূর। এবার পাকিস্তানি ক্রিকেটারের সঙ্গে নাম জড়াল ঊর্বশীর।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ঊর্বশী রৌতেলায় মন গলেছে পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাসিম শাহের। সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের প্রকাশ্যে ভালোই যোগসূত্র রয়েছে। একে অপরের পোস্টে কমেন্ট করেছেন। সেই থেকেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন নেটিজেনরা। এমনকি ঊর্বশীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন নাসিম, এমনই জল্পনা নেট দুনিয়ায়।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। সেখানে পাক ক্রিকেটার নাসিম শাহকে সঞ্চালক প্রশ্ন করেছেন, তিনি কবে বিয়ে করছেন? উত্তরে নাসিমকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'কনে রাজি থাকলেই আমি রাজি'। এই থেকেই চর্চা শুরু তাহলে কি নাসিম ঊর্বশীকে খোলাখুলি বিয়ের প্রস্তাব দিলেন? সুন্দরী ঊর্বশীকে নিয়ে চর্চা অনেক। জল্পনাও অনেক। কিন্তু কোনও জল্পনাতেই তেমন কর্ণপাত করেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত জীবনের পথে কার হাত ধরেন ঊর্বশী, বলবে সময়।
বড় পর্দার অভিনেত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের নাম কম জড়ায়নি। একদিকে ক্ষমতা অন্যদিকে জনপ্রিয়তা, এই দুই পথ অনেকবারই এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। সম্প্রতি অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে আপ নেতা রাঘব চাড্ডার নাম জড়িয়েছে। তবে একমাত্র পরিণীতি নয়, এর আগেও তাবড় অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর। শোনা যায় অভিনেত্রী সোনালী বেন্দ্রেকে (Sonali Bendre) মন দিয়ে বসেছিলেন এক নেতা। পরে ধমক খেয়ে সামাল দেন নিজেকে। তবে প্রেমের জল গড়িয়েছিল অনেক দূর।
কথা হচ্ছে মারাঠি রাজনীতিক রাজ ঠাকরেকে নিয়ে। ঘটনা নব্বইয়ের দশকের। রাজ ঠাকরে তখন বিবাহিত। অন্যদিকে মুক্তি পেয়েছে সোনালী বেন্দ্রের ছবি। নতুন নায়িকার সৌন্দর্য্যে-অভিনয়ে তখন বুঁদ হয়ে গিয়েছে দর্শক। শোনা যায়, সেই আবেশ ছুঁয়েছিল রাজকেও। বলিউড কিংবা রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই তখন এক গুঞ্জন, বিবাহিত হওয়া সত্বেও নাকি সোনালীর প্রেমে পড়েন রাজ। সোনালীও যে তাঁর থেকে দূরে ছিলেন তা কিন্তু নয়। শোনা যায়, মন গলেছিল তাঁরও।
রাজ ঠাকরের সঙ্গে নাকি গোপনে আংটি বদল হয়েছিল সোনালীর। তাঁরা নাকি একে অপরকে বিয়ে করতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলেছিলেন বালাসাহেব ঠাকরে। রাজ সম্পর্কে বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো। তিনিই নাকি রাজকে বলেন, বিবাহিত হয়েও অভিনেত্রীকে বিয়ে করলে পারিবারিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। সেকথা শুনেই নাকি সরে আসেন রাজ। বিবাহিত জীবনে প্রত্যাবর্তন করেন। সেই প্রেম সামলে নিয়ে পরবর্তীতে সোনালী বেন্দ্রেও বিয়ে করেন গোল্ডি বহেলকে।
প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen) সবসময় চর্চায়। তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক চর্চায় উঠে এসেছে বারংবার। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর ম্যারিটাল স্টেটাস এখনও 'আনম্যারিড'। তবে প্রেমের স্টেটাস মন্দ নয়। তাঁর সঙ্গে সম্প্রতি নাম জড়িয়েছিল শিল্পপতি ললিত মোদীর (Lalit Modi)। তবে সরাসরি না হোক, পরোক্ষভাবে সুস্মিতা বুঝিয়ে দিয়েছেন ললিতে মন মজেনি তাঁর। তাহলে এই মন কাকে দিয়েছেন সুস্মিতা? আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও সুস্মিতার সামাজিক মাধ্যম বলছে, তাঁর 'প্রাক্তন' এখনও 'বর্তমান'। তাঁকে চুম্বন দিয়ে সেই জল্পনায় আরও ধোঁয়া দিলেন সুন্দরী।
একসময় মডেল রোহমান শলের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সুস্মিতা সেন। সেকথা জানিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। তবে সেই সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটেছিল, সেই কথাও সুস্মিতা নিজেই জানিয়েছিলেন সকলকে। মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়নি দু'জনের। বরং বিচ্ছেদের পরেও প্রকাশ্যে বহুবার রোহমানকে দেখা গিয়েছে সুস্মিতার সঙ্গে। 'ভালোবাসা কি বাকি থেকে গিয়েছে?' প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনরা। ভালোবাসা বাকি না থাকলেও কিছু যে রয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট সুস্মিতার পোস্টে।
কিছুদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। এঞ্জিওপ্লাস্টি হয় তাঁর। হৃদয়ের চোট সরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন সুস্মিতা। হেঁটেছেন মার্জার সরণিতে, শুরু করেছেন নিয়মিত এক্সারসাইজ। এবার সেই এক্সারসাইজের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন রোহমানও। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক্সারসাইজের ভিডিও পোস্ট করেছেন সুস্মিতা। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক্সারসাইজ করছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শরীরচর্চা করছেন প্রাক্তনও।
তবে আসল চমক রয়েছে ক্যাপশনে। সুস্মিতা কাজে ফেরার খবর দিয়েছেন নেটিজেনদের। তিনি লিখেছেন, ' ইচ্ছেই একমাত্র পথ। আরও শরীরচর্চা করতে পারব। খুব তাড়াতাড়ি জয়পুরে যাচ্ছি আরিয়ার শুটিংয়ের জন্য। আর এই আমার ভালোবাসার মানুষেরা, আমায় সঙ্গ দিচ্ছে এবং আগের জায়গায় ফিরে যেতে সাহায্য করছে। 'এখানেই শেষ করেননি লেখা। মেয়ে আলিজে এবং প্রাক্তন প্রেমিকের উদ্দেশে চুম্বন ও ভালোবাসা দিয়েছেন। এই পোস্টটি দেখে নেটিজেনরা ভীষণ খুশি। জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি আরও কাছাকাছি সুস্মিতা ও রোহমান ?
জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র (Rupanjana Mitra)। পাহাড়কে সাক্ষী রেখে গির্জার সামনে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিলেন আংটি বদলের মাধ্যমে। ছেলে রিয়ানের সামনে বাগদান সেরে ফেললেন (Engaged) অভিনেত্রী। রাতুল মুখোপাধ্যায় (Ratul Mukherjee) এবং রূপাঞ্জনা প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে (Relationship) আছেন। রূপাঞ্জনা রাতুলের থেকে ৬ বছরের বড়। বয়স যে ভালবাসার ক্ষেত্রে কখনও বাধা হতে পারে না তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন তাঁরা। বিশ্বাস করেন বন্ধুত্বে। আর সেই বন্ধুত্ব পরিণতি পেল নির্জন পাহাড়ের কোলে।
রূপাঞ্জনার ব্যক্তিগত জীবন খোলা বইয়ের মত। বাস্তবে সিঙ্গেল মাদার তিনি। ২০১৭ সালে স্বামীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়। এরপর একাই ছেলেকে নিয়ে পথচলা শুরু করেন। এবার নতুন করে ঘর বাঁধতে চলেছেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) খ্যাত এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় আংটি বদলের ছবি দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘‘সত্যি প্রেমের গল্পে কখনও সমাপ্তি হয় না৷ একসঙ্গে আরও এক নতুন যাত্রা শুরু। আংটিবদল, এনগেজড।’’ ছবিতেই স্পষ্ট, কতটা গভীর তাঁদের ভালোবাসা।
রাতুল টলিপাড়ার পরিচিত মুখ৷ বেশ কিছু সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন তিনি৷ শুটিং ফ্লোরেই তাঁদের প্রথম দেখা হয়। তারপর ধীরে ধীরে যা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন অনুরাগীরা। ইন্ডাস্ট্রির সতীর্থরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রীকে।
মেয়েকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। নদিয়ার চাকদহ থানার খামারপাড়া এলাকার এই ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতার মাকে গ্রেফতার করেছে চাকদহ থানার পুলিস। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম লিপিকা মণ্ডল(১৮)। বাড়ি চাকদহের খামারপাড়ায়। মৃতার মা সুন্দরী মণ্ডলকে বুধবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করা হয়েছে অভিযুক্তর ভাই সুজিতকেও। আজ তাঁদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত সুজিত বিশ্বাস এখনও পলাতক।
জানা গিয়েছে, অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় মায়ের প্রেমিকের হাতে খুন হতে হয়েছে মেয়েকে। স্ত্রী সুন্দরী ও তাঁর প্রেমিক সুজিতের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিলেন লিপিকার বাবাও। জানা গিয়েছে, লিপিকার বাবাও কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এমনকি সুজিতের স্ত্রীরও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। তবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আড়াল করতে এই দুটি ঘটনাকেই আত্মহত্যা বলে চালানো হয় বলে অভিযোগ।
মৃতার জেঠিমা রীতা মণ্ডলের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ লিপিকার মা সুন্দরীর সঙ্গে সুজিত বিশ্বাস নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকে মেয়ে মাকে নিষেধ করে এই কাজ করতে। তখন থেকেই মায়ের প্রেমিক সুজিত পাড়ায় বলে বেড়াত মেয়েকে শেষ করে জেল খাটতে যাবে। বুধবার যখন বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন রীতা মন্ডল, তখন মেয়ে লিপিকাকে নিয়ে চাষের মাঠে যায় মা। কাছেই একটা পুকুরে তখন মাছ ধরা চলছিল। তখনই পিছন থেকে এসে মায়ের সামনেই মেয়েকে কাস্তে দিয়ে কোপায় সুজিত। মাঠ থেকে চিৎকার শুনে ছুটে যান জেলেরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লিপিকাকে পড়ে থাকতে দেখেন জেলেরা।