পাচারের আগেই উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার চোরাই সেগুন কাঠ। আর এই চোরাই কাঠের উদ্ধারে সাফল্য় অর্জন করেছে বনদফতরের চালসা রেঞ্জ ও ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থেকে জাতীয় সড়ক ধরে চালসা যাওয়ার পথে।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে চালসা রেঞ্জের বনকর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাগরাকাটার খুনিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। সেই সময় প্লাস্টিকের আড়ালে একটি ছোট গাড়ি দ্রুত গতিতে নাগরাকাটা থেকে জাতীয় সড়ক ধরে চালসার দিকে যাচ্ছিল। সন্দেহজনক ওই গাড়িটির পিছন ধাওয়া করেন বনকর্মীরা। এরপর গাড়িটি মহাবাড়ি এলাকায় হঠাৎ করে দাঁড় করিয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িতে থাকা চালক সহ দুজন পালিয়ে যায়।
এরপর বনকর্মীরা ওই গাড়ি তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় সেগুন কাঠ। গাড়ির পিছনে ত্রিপলের আড়ালে ছিল চোরাই সেগুন কাঠ। শেষমেশ বাজেয়াপ্ত করা হয় সেগুন কাঠ সহ ছোট গাড়িটি। নিয়ে আসা হয় চালসা রেঞ্জ অফিসে। যদিও ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। চালসার রেঞ্জার প্রকাশ থাপা বলেন, ছোট গাড়ি সমেত লক্ষাধিক টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভরদুপুরে খাস কলকাতার বুকে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! উদ্ধার হল তরুণীর খণ্ডবিখণ্ড মৃতদেহ। মঙ্গলবার কলকাতা পোর্টট্রাস্টের একটি পরিত্যাক্ত গোডাউনে প্লাস্টিকের মধ্যে পাওয়া যায় দেহের বিভিন্ন অংশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখা এবং ওয়াটগঞ্জ ও সাউথপোর্ট থানার পুলিস। যদিও মৃত তরুণীর এখনও পর্যন্ত কোনও পরিচয় পাওয়া যায় নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহের একাধিক অংশ উদ্ধার হয়নি এখনও পর্যন্ত। দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করতে স্নিকার ডগ দিয়ে চলছে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডি সি পোর্ট হরি কৃষাণ পাই।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, তিন থেকে চারদিন আগে খুন করা হয়েছিল। তবে এই ঘটনার পিছনে কী রহস্য় রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্য়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
দমদম জ্যোতিনগরের পাশে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নেশার স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে এলাকাটি। মৃত যুবকের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারের অভিযোগ, দমদম জ্যোতিনগর সংলগ্ন ক্যান্টনমেন্ট এলাকাটি নেশার স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। যার ফলে ক্রমাগত অসামাজিক কাজ বেড়েই চলেছে। এদিন কেউ বা কারা ওই যুবককে খুন করে এখানে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলেই অনুমান স্থানীয়দের।
দিনের পর দিন এলাকায় নেশার আঁতুরঘর হয়ে উঠলেও পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব এলাকাবাসী। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, খাস শহরের বুকে দিনের দিন পর এই ধরণের অসামাজিক কাজ চলতে থাকলেও প্রশাসন নীরব কেন? যা নিয়ে পুলিসের বিরুদ্ধ উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ। ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার সৎসঙ্গ স্কুলের পিছনে। শনিবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুজনে মধ্য়ে একজন হলেন তপন দে (৫৪) এবং মিন্টু সরকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ উকিলপাড়ার বাসিন্দা তপন দে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তাঁর মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। তপনের মেয়ে তানিয়া এবছরের মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী। শনিবারে তপনের বন্ধু রতন তাঁর বাড়িতে আসেন। তপন বাবুর সঙ্গে অন্য আরেকজন ছিলেন, তার নাম জানাতে পারেনি পুলিস। কিছুক্ষণ পরে রতনকে বাড়ির থেকে বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তড়িঘড়ি তপনবাবুর বাড়িতে ঢুকে দেখেন তপনবাবু ও আরও একজন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানায়। ঘটনাস্থলে আসেন রায়গঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিস সুপার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রতনকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিস।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর জলাশয় থেকে উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ার ছাত্রের মৃতদেহ। রবিবার নরেন্দ্রপুর ঢালিপাড়া থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। পুলিসের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের উপর। পরে ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অপ্রতিম দাস। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়ি মহামায়াতলায়। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পাশেই একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন সে। তারপর থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় ওই ছাত্র। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অপ্রতিমের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় এবং পরিবারের বক্তব্য।
বৃহস্পতিবার রাতেই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে অপ্রতিমের পরিবার। তাঁর মোবাইল ফোন থাকলেও নিখোঁজের পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস। এরপর রবিবার দুপুরে অপ্রতীমের বাড়ির কাছাকাছি একটি জলাশয়ে তাঁর দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা।
শনিবার মাধ্য়মিক পরীক্ষার আগেই উদ্ধার বোমা। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় সুন্দিয়া হাই স্কুলের কাছেই উদ্ধার হয় হয় পাঁচটি তাজা বোমা। ঘটনায় ভাটপাড়া থানার পুলিস বাপ্পা বড়াল নামে একজনকে আটক করেছে। তবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত পরীক্ষার্থী থেকে এলাকাবাসীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে স্থানীয়রা পরিত্যক্ত একটি ব্যাগে বোমা দেখতে পায়। তারপর খবর দেয় ভাটপাড়া থানার পুলিসকে। এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, যেকোনও টাইমে একটা বড়ো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সিসিটিভি ফুটেজে ভয়াবহ সেই ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়। তবে নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী করে মাধ্যমিক পরিক্ষাকেন্দ্র থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরত্বে বোমা রেখেছিল দুস্কৃতীরা। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। খুন করে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দা থানা মিশ্র পাড়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম তরুন মিশ্র (৪৩)। বাড়ি মিশ্র পাড়ার এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ওন্দা থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মৃত ওই যুবকের ঘাড়ে ও পেটে গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ওই যুবক। তারপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় সানার পুকুরের পাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরের জলে ওই যুবককে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।
এরপর খবর দেওয়া হয় ওন্দা থানার পুলিসকে। ইতিমধ্য়ে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। তবে কী কারণে এই খুনের ঘটনা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিস।
নদী থেকে উদ্ধার নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ। রবিবার ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বর্ধমানের রাজগঞ্জ পাসিখানা এলাকায়। ঘুড়ি ধরতে গিয়েই নদীতে তলিয়ে যায় বলে অনুমান মৃতের পরিবারের। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম রোহিত দাস (১২)। রথতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বাড়ি রাজগঞ্জ চন্ডিতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
মৃতের পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা বাড়ি থেকে বের হয় রোহিত দাস। তারপর রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের তরফে বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হলেও খোঁজ মেলেনি। এরপর রবিবার সকালে পাসিখানা এলাকায় বাঁকা নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তারপর তাঁরা খবর দেন পুলিসকে। আদৌ ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে মৃত্য়ু নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য় কোনও রহস্য়? তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে ওই স্কুল ছাত্রের তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে প্রগতি ময়দান থানার অন্তর্গত চৌবাগা খাল থেকে উদ্ধার ওই যুবকের মৃতদেহ। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পরিবারের। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ মন্ডল। বয়স ১৮ বছর। মুকুন্দপুর বোঝেরহাট এলাকার বাসিন্দা এই যুবক।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ তারিখ মধ্যরাতে পিসির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সেইদিন রাতেই শীতলা পুজোর মেলা দেখতে যান। সেখানে কয়েক জন যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়ালে তাঁরা ওই যুবককে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল বিশ্বজিৎ। প্রগতি ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। তারপর শুক্রবার উদ্ধার হয় বিশ্বজিৎ-এর মৃতদেহ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজিৎ মণ্ডলের (১৮)। তবে এই রিপোর্ট মানতে নারাজ বিশ্বজিৎ-এর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিকৃত করা হয়েছে। পুলিসি তদন্ত নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
অর্ধনগ্ন তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য আসানসোলের সালানপুর থানার গোলকুন্ডা সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওঠে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই তরুণীর মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, মৃত মেয়েটির নাম মিঠু রায় (৩০)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর পুলিসকে কেন্দ্র করে শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মিঠু পিকনিক করতে যাওয়ার কথা বলে সকালে বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত ফিরে না আসায় বাড়ির লোক খোঁজ করতে শুরু করে। এরপর এদিন ভোরে গোলকুন্ডা সংলগ্ন জঙ্গলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। সালানপুর থানা ও সামডি ক্যাম্প এর পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য় তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়। তবে কী কারণে এবং কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
সাতসকালে পুকুরের ধার থেকে উদ্ধার বাইক সহ এক যুবকের মৃতদেহ। মৃত্য়ুর কারণ নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা। বুধবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের দেশুড়িয়া মোড়ের কাছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম করুনাময় সিংহ। বাঁকুড়ার দেশুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্য়ায় করুনাময় সিংহ স্থানীয় দেশুড়িয়া মোড়ে গিয়েছিলেন। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। এরপর এদিন সকালে দেশুড়িয়া মোড় ও গ্রামের মাঝখানে রাস্তার ধারে থাকা লায়েকবাঁধ নামের একটি পুকুরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল তাঁর বাইকটি। এরপর স্থানীয়রা খবর দেন গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিসকে। দুর্ঘটনার জেরে জেরে মৃত্যু নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সাত সকালে রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল মা ও সন্তানের মৃতদেহ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল সংলগ্ন কৃষ্ণপল্লী এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়ছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিসে গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। যদিও মৃত দুইজনের পরিচয় এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে রেল লাইনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা রেল লাইনের ধারে মা ও শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। স্থানীয়দের অনুমান মহিলাটি তাঁর সন্তানকে নিয়েই আত্মহত্য়া করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে আর কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
ফের শহরে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ। শনিবার ভোরবেলায় বেহালার সখেরবাজারে ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। আর পাশেই উল্টে পড়ে ছিল তাঁর বাইক। বেহালার ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার এই ঘটনাটি কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে তদন্তে পুলিস। বেপরোয়া গতির বলি নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম শুভদীপ বিজলী (৩০)। জানা গিয়েছে, শুভদীপ এদিন ঠাকুরপুকুরের দিক থেকে বাইক নিয়ে বেহালায় আসার পথে সখেরবাজারে ঘটে ঘটনাটি। আজ অর্থাৎ শনিবার ভোরবেলা ঠাকুরপুকুর থানার পুলিসের টহল চলাকালীন পুলিসের নজরে আসে সখেরবাজারে ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, পথ দুর্ঘটনায় নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস। পুলিস প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছে, গাড়ির ধাক্কাতেই এই দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিস।
কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে গ্রাহকের হাতে খুন হল ফিল্ড রিকভারি অফিসার। লোনের টাকা আদায় করে ব্যাঙ্কে জমা দেন তিনি। অভিযোগ, সেই লোনের কিস্তির টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত গ্রাহক নিমেশ ঘোষ। সোমবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ বেলডাঙা থানার নওপুকুরিয়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ফিল্ড অফিসারের নাম জাহাঙ্গীর আলম। বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া এলাকায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ সোমবার জাহাঙ্গীর আলম নিমেশ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে লোনের ২৫০০ বকেয়া টাকা চাইতে যান বেলডাঙা থানার নত্তপুকুরিয়া এলাকায়। কিন্তু লোনের টাকা দিতে নারাজ হন তিনি। অভিযোগ, লোন টাকা দিতে না চাওয়ায় প্রথমে বচসা শুরু হয়। এরপর লোনের টাকা আদায় করতে না পেরে সেখান ফেরার পথে পিছন দিক থেকে নিমেশ ঘোষ নামের অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জাহাঙ্গীর আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে তিনি। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন জাহাঙ্গীর আলম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বেলডাঙা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই ব্য়ক্তি বছর চারেক থেকে আরোহণ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জ্বর হওয়ায় তেরো দিন আগে সে বাড়িতে ছুটিতে এসেছিলেন। গত শনিবার বাড়ি থেকে সে বেলডাঙায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর সোমবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাত্র ছ'মাস আগে সে বিয়ে হয়েছে তাঁর। তারপর এই মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ গোটা এলাকায়। অভিযুক্তের কঠোরতর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। সেই সঙ্গে এই পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের রাজ্যে যুবতীর রহস্যমৃত্যু। কিছুদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। এবারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (Burdwan University) থেকে উদ্ধার করা হল এক যুবতীর পচাগলা দেহ। যুবতীর মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে যুবতীর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। মৃত যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের এক জলাশয় থেকে এক যুবতীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে জলাশয়ে যুবতীর পচাগলা দেহ ভাসতে দেখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। এর পরই বর্ধমান থানার পুলিসকে খবর দেওয়া হয়।ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যালে। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যালে।
তবে এটি খুন নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, দেহ কোথা থেকে বা কীভাবেই বা জলাশয়ের মধ্যে এল, তা এখনও জানা যায়নি। এছাড়াও যুবতীর পরিচয় কী, এ সমস্ত কিছু জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিস।