Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

RationScam

Ration Scam: রেশন দুর্নীতির তৃতীয় চার্জশিটে বিশ্বজিৎ দাসের নাম! আলোচনায় ৩৫০ কোটি টাকা

রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় আজ, শুক্রবার তৃতীয় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তৃতীয় চার্জশিটে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম থাকার সম্ভাবনা। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নগদ রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অনুমান জ্যোতপ্রিয়র সেই অর্থ এজেন্ট মারফত নগদে বিশ্বজিতের কাছে পৌঁছে যেত। এরপর তিনি সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে দিতেন। চার্জশিটে এই বিষয়ে উল্লেখ থাকতে চলেছে। এছাড়া বিশ্বজিৎ দাসের সোনার ব্যবসা ছাড়াও একাধিক ব্যবসার হদিশ মিলেছে নতুন করে, সেই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করা থাকবে চার্জশিটে।

প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেখানে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতি মামলায় বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। ইডি-র দাবি, সেই টাকা শঙ্কর আঢ্যের নামে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করের নামও দ্বিতীয় চার্জশিটে উল্লেখ করে ইডি। এবার তৃতীয় চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম থাকবে বলেই খবর।

4 weeks ago
Sheikh Shahjahan: সাম্রাজ্যের পরতে পরতে রহস্য, শাহজাহানের দাপটে চলত ব্যবসা

সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শাহাজাহানের সাম্রাজ্যের পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য। ইডির তদন্তে ক্রমশ খুলছে সেই দুর্নীতি রহস্যের জট। তদন্তে উঠে এসেছে মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশারির মালিক ধৃত শাহজাহান। যে ফিশারির অ্যাকাউন্টে ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এই ১০ বছরে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার কারবার বহাল তবিয়তে করেছে শাহজাহান। আর কালো টাকা সাদা হত ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির মাধ্যমে। আপাতত ওই এক্সপোর্ট কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অরূপ কুমার সোম ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির মালিক। আর পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত ও অরুণ সেনগুপ্ত কোম্পানির পার্টনার। যাদের বয়ানের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল।তদন্তের স্বার্থে তাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ডিজিটাল ডিভাইস সিজও করেছে ইডি।

চাপে পড়তেই ফিশারির ম্যানেজার মইদুলের দাবি, এলাকায় শাহজাহানের দাদাগিরিতেই চলত ব্যবসা।স্থানীয় ব্যবসায়ীদের রীতিমতো শাসাতো শাহজাহান। তাদের কোম্পানিতে মাছ বিক্রি করতে হবে অন্যথায় ব্যবসায়ীদের মাছ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিত সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহান। ইডি সূত্রে খবর ৫০% মাছই মাছ ব্যবসায়ীদের থেকে আসত। আর ৩০% থেকে ৪০% মাছ বেআইনি ভাবে গ্রামবাসীদের থেকে ছিনিয়ে নিত শাহজাহানের বাহিনী। গোটা কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিশেষ দলও গঠন করেছিল শাহজাহান।

শুধু তাই নয়, তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে শাহজাহানের এই কীর্তিকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে একাধিক ব্যক্তির নামও। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে ফিশারির টাকা লেনদেন হত বলে দাবি ইডির। আদালতে ইডির গোয়েন্দাদের জমা দেওয়া তথ্য বলছে, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ১০ জনের মাধ্যমে ফিশারি কোম্পানিতে টাকা লেনদেন হত। টাকা লেনদেনে কাজে লাগানো হত হাজরা এন্টারপ্রাইস, বসুন্ধরা ট্রেড, রিন্টু এন্টারপ্রাইজসহ একাধিক কোম্পানিকেও।এমনকি শাহজাহানঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতেন শাহাজাহান নিজেই। ফিশারির টাকা তার অঙ্গুলিহেলনেই ব্যবহৃত বিভিন্ন খাতে।তার নির্দেশেই সেই টাকায় কেনা হত জমি, সম্পত্তি।

একাধিক অসাধু কারবারের আখড়া শাহজাহানের সাম্রাজ্য তা বলাই বাহুল্য। ইডির তৎপরতায় এখন সেই তথ্যই ক্রমশ আসছে প্রকাশ্যে। ইডির হেফাজতে এদিকে চলছে শাহজাহানের জিজ্ঞাসাবাদপর্বও। আগামীদিনে শাহজাহানের বয়ানে আদৌ নতুন কোনও তথ্য উঠে আসবে নাকি সুকৌশলে প্রশ্ন এড়িয়ে জারিজুরি লোকাবে সে? লোকসভা নির্বাচনের গুরুগম্ভীর আবহে  ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নটাই।

a month ago
Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে তৎপর ইডি, বিকেলেই আদালতে হাজিরা শাহজাহানের

বসিরহাট মহকুমা আদালতের নির্দেশে শেষ কয়েকদিন জেল হেফাজতে ছিলেন শাহজাহান। যদিও শনিবার শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করে ইডি। সেই সংক্রান্ত মামলা ইডি বিশেষ আদালতে হয় সোমবারে। শুনানির শেষে জেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সোমবার বিকেল ৪টেয় শাহজাহানকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।

বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, গত ৩০ মার্চ বসিরহাটে শাহজাহানকে শোন এরেস্ট করছিল ইডি। সেদিন জেরা করার সময় বারবার তদন্তকারীদের তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলেও বিচারকের কাছে জানান ইডির আইনজীবী। জানান, তদন্তে এখন আরও কিছু নাম উঠে এসেছে। এখন শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা না করা হলে, সন্দেহভাজনরা নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন বা পালিয়ে যেতে পারেন। তাই আর দেরি নয়, সোমবারেই শাহজাহানকে হেফাজতে চায় ইডি। যদিও, সোমবার তড়িঘড়ি কীভাবে তা সম্ভব জানতে চেয়ে বিচারক প্রশ্ন করলে, ইডির আইনজীবী জানান, রাস্তা মাত্র ২ ঘণ্টার। এরপরেই বন্দি শাহজাহানকে বসিরহাট থেকে আদালতে হাজির করানোর জন্য রওনা দেন ইডির আধিকারিকরা।

ইডি সূত্রে খবর ছিলই, জমি দখল, ভেরি দখল এবং মাছের আমদানি-রপ্তানিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইসিআইআর করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বেতাজ বাদশার 'অত্যাচার রহস্য' কতটা উদ্ঘাটিত হয়, সেটাই দেখার।

a month ago


Ration Scam: রেশন দুর্নীতি মামলায় হঠাৎ তৎপর কলকাতা পুলিস, অভিসন্ধি কী!

রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে পরপর ঘটনাক্রম কী, তা অজানা কারোও নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে রেশন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গতি পায় তদন্তে। এরপর বালুর সূত্র ধরে শঙ্কর আঢ্য, শেখ শাহজাহান। এমন পরিস্থিতিতেই হঠাৎ কলকাতা পুলিস তৎপর হয়ে উঠল রেশন দুর্নীতি নিয়ে।

জানা গিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই লালবাজারকে, কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত প্রত্যেক ডেপুটি কমিশনারকে তথ্য দিয়ে জানাতে হবে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কত অভিযোগ জমা পড়েছে? সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? এই সবটা শুক্রবারের মধ্যেই জানতে চায় লালবাজার।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর বর্তমানে তদন্তাধীন, তখন হঠাৎ কলকাতা পুলিস কেন সে সংক্রান্ত অভিযোগ দেখতে তৎপর হয়ে উঠল? এর নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য কাজ করছে রাজ্য পুলিসের- তারই হদিশ খুঁজছে ওয়াকিবহল মহল। বিরোধী মহলের দাবি, আবার বড় কোনও লিঙ্ক কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে আসার আগেই ঢেকে দেওয়ার জন্য পুলিসের এই চাল নয় তো?

2 months ago
Sheikh Shahjahan: ফের আদালতে ধাক্কা শাহজাহানের, আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট

সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে। ইডি যাতে তাঁকে গ্রেফতার করতে না পারে, সেজন্য আগাম জামিনের আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন। সেই জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে৷

রাজ্য পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ মতো এখন শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে। ইডিও মামলা করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইডি যেন তাঁকে গ্রেফতার না করে। সেই কারণেই আগাম জামিনের আবেদন জানান শেখ শাহজাহান।

ইডি কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেছে ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায়। হেফাজতে থাকা এক অভিযুক্তের সূত্রে তারা শেখ শাহজাহানের নাম জানতে পেরেছে। তার নিজের হাতে লেখা চিঠি থেকে শেখ শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। সওয়ালে দাবি করেছে ইডি। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাদের মারধর করা হয়। আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। পরে আবার তল্লাশি চালাবার আগেই সব সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এমনই আদালতে দাবি করেছে ইডি।

এখন চার দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। চলতি সপ্তাহতেই ফের তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হবে। এদিকে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লাকেও সিবিআই গ্রেফতার করেছে। গতকাল, সোমবার সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল। তিনি নিজাম প্যালেসে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

2 months ago


Shankar Adhya: ইডির উপর হামলার তদন্তে বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে সিবিআই

সন্দেশখালির পর এবার ইডির উপর হামলার তদন্তে বনগাঁয় গেল সিবিআই। সোমবার সকালে ফরেনসিক টিম ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বাড়ি পুরো ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে গত ৫ জানুয়ারি তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পথে বাড়ির বাইরে মব তৈরি হয়। হামলা চালানো হয় ইডি আধিকারিকদের গাড়ির উপর। ইডি আধিকারিকদের গাড়ির উপরে হামলার ঘটনায় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ইডির তরফে। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্ট সেই তদন্তভার দেয় সিবিআই-এর হাতে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিবিআই আধিকারিকরা শঙ্করের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় আসেন এবং সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। ভিডিওগ্রাফি করে নিয়ে যান। সোমবার ফের ইডির উপর হামলার ঘটনায় বনগাঁয় তদন্তে যায় সিবিআই ও তাদের ফরেনসিক টিম। সমস্ত তদন্ত প্রক্রিয়া ডিজিটাল এভিডেন্স হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর পরবর্তীতে সিবিআই আধিকারিকরা বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ-এর বাড়িতে যান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা ধরে তদন্ত চালায় সিবিআই।

তদন্তে জানা যায়, শঙ্করের বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা CCTV ক্যামেরার তার খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ঘটনা নিছকই কাকতালীয় নাকি এর পিছনেও লুকিয়ে কোনও রহস্য? ধন্দ কাটাতে বনগাঁ পুরসভায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে নোটিশ সিবিআই এর। ফুটেজ চেয়ে নোটিশ তলব গোপাল শেঠকেও।

2 months ago
Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকে আদালতে পেশ, ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ

শেখ শাহজাহানকে রবিবার বসিরহাট আদালতে পেশ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সকাল ৮.৩০ টায় নিজাম প্যালেস থেকে বের করে বসিরহাট আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। 

২৮ ফেব্রুয়ারি বসিরহাট জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করার পর ২৯ তারিখ তাকে পেশ করা হয় আদালতে। আদালতের পক্ষ থেকে দশ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। হাইকোর্টের নির্দেশেই শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। শাহজাহানের ঠিকানা হয় নিজাম প্যালেস। সিবিআই হেফাজতে এই ৫ দিন শাহজাহানকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বসিরহাট মহকুমা আদালতে  শাহজাহানকে পেশের পর বাকি চার দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই।

আদালতে সিবিআই জানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে এখনও অনেক তথ্য নতুন করে পাওয়ার আছে তাই আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে আরও জানান তদন্তে অসহযোগিতা করছেন শেখ শাহজাহান। তাই তদন্তকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।

শেখ শাহজাহান সিবিআইয়ের হেফাজতে এলেও এখনও  উধাও মোবাইল ফোন।তাই শেখ শাহজাহানের ফোনের খোঁজে সিবিআই। পুলিস জানিয়েছে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারের সময় তার ফোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।কিন্তু সিবিআই দাবি করেছে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন। এমনকি সিবিআই যখন পরবর্তীতে শাহজাহানের আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় তখনও তারা শাহজাহানের দুটি ফোনের কোনও হদিশ পায়নি বলেই দাবি করেছে সিবিআই। বসিরহাট আদালতে প্রবেশের সময় সাংবাদিকরা একাধিকবার শাহজাহানকে প্রশ্ন করেন আপনার মোবাইল ফোন দুটি কোথায়? নিরুত্তর থাকেন শাহজাহান।

অন্যদিকে এদিন শেখ শাহজাহানের তরফে জামিনের আবেদন করা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। ইডির উপরে হামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন শাহজাহান বলে আদালতকে জানান শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। মূলত ইডির ওপর হামলার ঘটনায় যে মামলা সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলাতেই এদিন বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয় শাহজাহানকে। 

ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে ন্যাজাট থানায় ২ টি এফআইআর করা হয়। একটি এফআইআর নম্বর ৯ ইডির ওপর হামলার ঘটনায়, অপরটি  ৮  যা রাজ্য পুলিস সুয়ো মোটো করেছে।এদিন শুনানি শেষে ৪দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। আগামী ১৪ তারিখ ফের শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট মহাকুমা আদালতে পেশ করা হবে। 

2 months ago
PM Modi: 'তৃণমূলের তো ভাইপোর চিন্তা,' শিলিগুড়ির সভা থেকে একযোগে তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী ও অভিজিৎ

শিলিগুড়ির সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত থাকা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও তৃণমূলকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে আক্রমণ করেন।

ভাইপোর কথা তুলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ এই বঙ্গে রেশন দুর্নীতিতেই জেলে খাদ্যমন্ত্রী। তাই রেশন নিয়েও এখানে দুর্নীতি হয়েছে।' এই সভায় তিনি ‘ভাইপো’ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, 'তৃণমূল ভাইপোকে নিয়ে ব্যস্ত।'

অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগদানের পর মোদীর সঙ্গে এটাই প্রথম সাক্ষাৎকার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-এর। সকাল থেকে আলাদাই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল তাঁর মধ্যে। সেই ইচ্ছেই পূরণ হল শিলিগুড়ির সভামঞ্চে। কাছাকাছি বসার সুযোগও পেয়েছেন। হাত বাড়িয়ে দেন অভিজিতের দিকে। আর তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাত দু’হাতে ধরে নিজের কপালে ছোঁয়ান। আর একেবারে সভার শেষে মোদীর কাছ থেকে সাহসের শংসাপত্রও পেলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।

একদিকে তৃণমূল যখন তাদের ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি পাওনা আদায়ে মরিয়া, তখন শিলিগুড়িতে আজ নরেন্দ্র মোদী বলে গেলেন, তৃণমূল সরকার ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করে সাধারণ মানুষের টাকা সরিয়ে নিয়েছে। মানুষকে উজ্জ্বলা যোজনা থেকে বঞ্চিত করেছে।

2 months ago


Ration Scam: রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ ইডির...

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে একের পর দুর্নীতির জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। ইডির রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক রাঘববোয়াল। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য় গ্রেফতারের দু'মাসের মাথায় পেশ করা হল চার্জশিট।

 সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। আজ, মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। শঙ্কর ছাড়াও তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজনের নামও চার্জশিটে উল্লেখ থাকার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেরবারের চার্জশিটে শুধু শঙ্কর আঢ্য নয় তার পরিবারের আরও কয়েকজন এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের। ফরেক্স ছাড়াও শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একাধিক কোম্পানির নামও ছিল চার্জশিটে।

2 months ago
Ration Scam: রেশন দুর্নীতির দ্বিতীয় চার্জশিটে শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের নাম

শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে একের পর দুর্নীতির জাল গোটাতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা মহল। ইডির রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক রাঘববোয়াল। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দিয়েছিল ইডি। সেই দুর্নীতির সূত্র ধরে সম্প্রতি পুলিসের জালে ধরা পড়েছে সন্দেশখালির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। আগামী সপ্তাহে রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয়বার চার্জশিট জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর বিভিন্ন ফরেক্স সংস্থার বিরুদ্ধেও একাধিক তথ্যের উল্লেখ চার্জশিটে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে শুধু শঙ্কর আঢ্য নয় তার পরিবারের আরও কয়েকজন এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের। ফরেক্স ছাড়াও শঙ্করের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একাধিক কোম্পানির নামও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে চার্জশিটে।

কিন্তু তদন্ত এখানেই শেষ নয়। দুর্নীতির রহস্যের পর্দাফাঁস করতে ইডির দ্বিতীয় চার্জশিটেও রেশন বন্টনে কারচুপিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূমিকা সংক্রান্ত তথ্য থাকছে। মূলত রেশন দুর্নীতির টাকা বালু ওরফে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ঘুরে কিভাবে শঙ্কর আঢ্যের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে? এমনকি দুবাইতে যে সংস্থায় রেশন দুর্নীতির টাকা লগ্নি হয়েছে তারও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। সূত্রের খবর এর আগে শঙ্কর ও তার কোম্পানির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা দুবাইতে পাঠানোর তথ্য হাতে এসেছিল ইডির।  ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬ লক্ষেরও বেশি টাকা পাঠানো হয়েছিল শঙ্কর ওরফে ডাকু মারফত। এখন ইডির পেশ করা দ্বিতীয় চার্জশিটে রেশন বন্টন দুর্নীতির আর কোন কোন সত্য প্রকাশ পায় সেটাই দেখার।

2 months ago


Ration Scam: কালো টাকা সাদা করার কারবার! আদালতে পেশ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে

রেশনবন্টন দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়াতেই ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরেই সামনে এসেছিল তার ম্যানেজার ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম। আপাতত ইডি হেফাজতেই ঠাঁই হয়েছে ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার হেফাজত শেষে ফের আদালতে পেশ ধৃত বিশ্বজিৎ দাসকে।

সূত্রের খবর, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে ধৃত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মূলত ইডি গোয়েন্দামহলের দাবি, তদন্তে অসহযোগিতা করছে বিশ্বজিৎ দাস। মানি এক্সচেঞ্জিং, আমদানি-রপ্তানি সহ সোনার গয়নার ব্যবসা রয়েছে বিশ্বজিতের। দুর্নীতির কালো টাকাও, ধৃত বিশ্বজিৎ দাসের মাধ্যমেই দুবাই সহ বিভিন্ন দেশের পাচার করা হত বলে ইডি সূত্রে খবর। কিন্তু তাঁর এই দুর্নীতির কারবারের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগাযোগ রয়েছে কি? ব্যবসায় কোনওভাবে কি মন্ত্রী টাকা লেনদেন করেছিলেন? ইডির প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস। এমনকি শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ উঠলেও নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে বিশ্বজিতকে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বজিতের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। প্রমাণ মিলেছিল তারা নানাবিধ অসাধু কারবারের।২০১৬-২০১৭ এর মধ্যে দুবাইতে বিশ্বজিতের ৩টি কোম্পানির হদিসও পেয়েছিল ইডি। যাবতীয় প্রমাণ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে আসার পরও বিশ্বজিৎ দাসের নিজেকে বার বার নির্দোষ দাবি করার মরিয়া চেষ্টা আদতে যে ধোপে টিকবে না তা সহজেই অনুমেয়। আগামীদিনে ইডির প্রশ্নবাণে ধৃত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত নতুন কোনও তথ্যের সন্ধান মেলে কিনা এখন সেটাই দেখার।

2 months ago
ED: দুর্নীতির 'মাধ্যম' শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর এক্সপোর্ট সংস্থা, সিজিওতে হাজিরা অরুণ সেনগুপ্তের

রেশন বন্টনে দুর্নীতির সূত্র ধরে একের পর এক রাঘব বোয়ালের নাম উঠে আসছে ইডির হাতে। সেই দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শাহজাহান। সময় যত এগিয়েছে ততই তার একের পর এক অপকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে। ইডির স্ক্যানারে এসেছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীও। তল্লাশি হয়েছিল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়িতেও। ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তের বিরাটির বাড়ি ও ফার্মেও হানা দেয় ইডি। খোঁজ মেলে ব্যবসায়ীর নিজস্ব এক্সপোর্ট সংস্থা ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির। দুর্নীতির তদন্তের খাতিরে আজ, মঙ্গলবার ইডি দফতরে এলেন অরুণ সেনগুপ্ত। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি বিশেষ করে মাছ বিক্রির বিল সহ ব্যাঙ্কের একাধিক নথি নিয়ে হাজিরা দেন তিনি। সোমবার তলব করা হলেও এদিন অরুণ তনয়া ও ব্যবসায়ীর আইনজীবী উপস্থিত হন ইডি দফতরে।

তদন্তে জানা গিয়েছিল, ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানির কর্ণধার অরুণ সেনগুপ্ত। এই কোম্পানি মূলত চিংড়ি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। ম্যাগনাম এক্সপোর্ট কোম্পানি মারফত বাইরের দেশে ব্যাবসায়ীর মাছ ব্যবসার মাধ্যমেই টাকা পাচার করা হত বলে সূত্রের খবর।অরুণ সেনগুপ্তের বাড়িতে ইডির তল্লাশিতে বিদেশে মাছ চালানোর কিছু বিল হাতে এসে পৌঁছলেও সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

আপাতত শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর কবে থেকে সম্পর্ক? রেশন দুর্নীতির কালো টাকা কোনওভাবে এই ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডি আধিকারিকরা, এমনটাই সূত্রের খবর। সপ্তাহের শুরুতেই এবার রেশন দুর্নীতির এই রহস্য কোন দিকে মোড় নেই সেটাই দেখার।

2 months ago
Shankar Adhya: 'বালু-বিশ্বজিৎকে চিনি না', চিকিৎসার জন্য কাতর আবেদন শঙ্করের

রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্তে নেমে বাকিবুর ও বালুর সূত্র ধরে ইডির জালে ধরা পড়েছিল দাপুটে রাঘব বোয়াল বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। আর্থিক দুর্নীতি, বিদেশে মুদ্রা পাচার-সহ পরিবারের নামে একাধিক কোম্পানি এমনকি নিজের নামেও একাধিক FFMC কোম্পানি, সবেতেই যে দুর্নীতির কাণ্ডারি শঙ্কর, সেই তথ্যের সন্ধান মিলেছিল ইডির তল্লাশিতে। ইডির হাতে এসেছিল শঙ্করের ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির খোঁজও। শঙ্কর ও তাঁর পুত্র শুভ আঢ্যের বিদেশি কোম্পানির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল।

ইতিমধ্যেই, শুক্রবার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়েছে রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে। শনিবার ধৃত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর মামলা কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়। আলিপুর সংশোধনাগার থেকে ধৃত শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে নিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বা বিশ্বজিৎ দাসকে চেনেন না, এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন।

সাংবাদিক শঙ্কর আঢ্যকে প্রশ্ন করেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কালো টাকা বিশ্বজিৎ দাসের হাত ঘুরে আপনার কোম্পানিতে আসতো? শঙ্করের সাফ জবাব, 'চিনি না... আমি এদের কাউকেই চিনি না।'

এদিন ইডির বিশেষ আদালতে শঙ্কর আঢ্যের মামলা চলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক শুভেন্দু সাহার অধীনে। শঙ্করের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী জাকির হুসেন এবং আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। পাশাপাশি ইডির তরফে ছিলেন আইনজীবী ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবী, আদালতে সিজার লিস্ট এবং কেস ডাইরির আবেদন জানান। কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবীর তরফে। অন্যদিকে ইডির তরফে শঙ্কর আঢ্যর জেল হেফাজতের জন্য আবেদন করা হয়েছে আদালতে। তবে শনিবার আদালতে বিচারকের কাছে কাতর আবেদন ধৃত শঙ্কর আঢ্যর।

এখন গরিবের অন্ন নিয়ে ঠিক কত পরিমাণ দুর্নীতিতে মজেছিলেন শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকু? তা জানার অপেক্ষাতেই বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল।

3 months ago


Ration Scam: 'আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে'! চাঞ্চল্যকর দাবি রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত বিশ্বজিতের

সম্প্রতি রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার পৰ্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ ছিল তাঁর। এদিন যখন তাঁকে আদালতে তোলার জন্য বের করা হয় তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, 'আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।'

যদিও, ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, পাশাপাশি, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট-এর ব্যবসাও রয়েছে তাঁর। বিশ্বজিতের অফিসে কর্মরত কর্মীর বয়ান থেকেও জানা যায়, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎ। শুধু বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচাই নয়, শঙ্কর আঢ্যর কথামতো বাইরের দেশে ঘুরপথে কালো টাকাকে সাদা করার কাজও করতেন বিশ্বজিৎ দাস।

আর শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যাওয়ার আগেও সেই বিশ্বজিৎ বলছেন, তিনি অন্যায় করেননি। গত বুধবার যখন গ্রেফতারির পর তাঁকে আদালতে তোলা হয় বলেছিলেন, তিনি শঙ্করকে চেনেন না। শুক্রবার তিনিই বললেন, শঙ্করকে তিনি চেনেন, কিন্তু ঘনিষ্ঠতা নেই তেমন।  ফলে বক্তব্যে অসঙ্গতি ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে বিশ্বজিতের। এখন দেখার, বিশ্বজিতের সূত্র ধরে আরও কোনও রাঘব বোয়ালের নাম গরুবের চাল চুরির কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে উঠে আসে কি না।

3 months ago
ED Raid: সাতসকালে রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, সল্টলেক সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি

রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের তেড়ে ফুঁড়ে উঠেছে ইডি। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। গত কয়েকদিনের তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে আসে ইডির হাতে। তারপরেই এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে টাকা পাচার করা হয়েছে, কোন কোন ফরেন এক্সচেঞ্জ সংস্থা যুক্ত রয়েছে তা নিয়ে খোঁজ খবর করছে ইডি।

এদিন বিধাননগর আইবি ব্লকে বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সকাল সাতটা কুড়ি মিনিট নাগাদ ইডি আধিকারিকের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছয় মেট্রোপলিটনে বিশ্বজিৎ দাসের ফ্ল্যাটে। বিশ্বজিৎ দাসের যে ফ্ল্যাটে প্রথমে সকালবেলা আধিকারিকরা গিয়েছিলেন ওই ফ্ল্যাটটি মূলত ভাড়া দেওয়া। মেট্রোপলিটনের সেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পাশেই আরও একটি ফ্ল্যাটে এলেন আধিকারিকরা। সেই ফ্ল্যাটে বিশ্বজিৎ না থাকলেও তাঁর বাড়ির কর্মীরা রয়েছে, ফলে তাঁদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের অনুমান, যেহেতু শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল, ফলে রেশন বন্টন দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই বিশ্বজিৎ-এর ফরেক্স কোম্পানির।

এদিন ইডির আধিকারিকরা বিধাননগর ছাড়াও মেট্রোপলিটন, মধ্য কলকাতা, পোর্ট, বাগুইআটি এলাকায় তল্লাশি চালায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, ইডির আধিকারিকরা এর মধ্যে জেল হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং শঙ্কর আঢ্যকেও জেরা করেন এবং তাদের হাতে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেন।

3 months ago