দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসে কুলতুলিতে গণধর্ষণের (Gangrape in Kultali) শিকার এক নাবালিকা। অভিযোগ, 'তাকে (Minor Girl) মেলা থেকে অপহরণ নিয়ে গিয়ে প্রথমে বাড়িতে এবং পরে মাঠে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে আবদুল মোল্লা-সহ এক নাবালক।'
জানা গিয়েছে, মাঠে ধর্ষণের সময় নাবালিকা চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পায়নি। কারণ মেলার মাঠে মাইকের শব্দে সেই চিৎকার ঢাকা পড়েছিল। এরপর কুকর্ম সেরে অভিযুক্তরা নাবালিকাকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে চম্পট দেয়। মেলা ফেরত মানুষরা নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দেন। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটু সুস্থ হলে নাবালিকা মাকে সব খুলে বলে।
কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কুলতলি থানার পুলিস। ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তদের বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃত দু'জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষনের মামলা রুজু হয়েছে।
এদিকে, নির্যাতিতার পরিবার অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব।
কেবল পুরুষ নয়, এবার থেকে মহিলাদের বিরুদ্ধেও দায়ের করা হবে গণধর্ষণের (GangRape) মামলা। এমনটাই জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের সিঙ্গল বেঞ্চ ১৮৬০-এর ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১৩ সালে সংশোধিত ১৩ নম্বর আইন পর্যবেক্ষণ করে এই রায় শোনান। ২০১৩ সালে সংশোধিত ৩৭৫ এবং ৩৭৬(ই)-র নতুনভাবে বিবেচনা করতে গিয়ে বিচারপতি যাদব বলেন, 'কোনও মহিলা ধর্ষণ করতে পারেন না। কিন্তু ধর্ষকদের অর্থাৎ এক দল লোককে এই কাজ করতে সাহায্য করলে ওই মহিলার বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা হতে পারে।'
প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী কোনও মহিলার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এবং জোর করে বা ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা আইনের চোখে জঘন্যতম অপরাধ। সেই মহিলা যদি ১৬ বছরের নীচে হন, সেক্ষেত্রে মহিলার ইচ্ছা এবং অনিচ্ছা উভয় ক্ষেত্রেই তা অপরাধযোগ্য বলে বিবেচ্য হবে।
অন্যদিকে, ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পর ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ধর্ষণের সাজা ‘মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে’ বলে ৩৭৬-ই ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সুনীতা পান্ডের দায়ের করা একটি আবেদন নিয়ে এদিন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল। মহিলাকে আইপিসির ৩৭৬-ডি, ২১২ ধারার অধীনে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল।
এফআইআর অনুসারে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৫ সালে। ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ১৬১ এবং ১৬৪ সিআরপিসি ধারার অধীনে রেকর্ড করা বিবৃতিতে ওই কিশোরী জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে একজন অভিযুক্ত জড়িত ছিলেন। যদিও অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত মহিলার নাম ছিল না, পরে তাঁকে গণধর্ষণের জন্য বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
অভিযুক্ত মহিলার পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ট্রায়াল কোর্ট তাঁকে ভুল মামলায় বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ডেকেছিল। তিনি একজন "মহিলা" এবং ৩৭৬-ডি আইপিসি ধারার অধীনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে, একজন মহিলা ধর্ষণ করতে পারে না এবং তাই তাঁর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের জন্য বিচার করা যায় না। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মনে করেন যে একজন মহিলাও গণধর্ষণে দোষী হতে পারেন, যদি তিনি একদল ব্যক্তিকে ধর্ষণের কাজে সহায়তা করেন।
গুরুগ্রামে (Gurugram) একটি শপিং মলের বেসমেন্ট (Mall basement) পার্কিংয়ে থাকা একটি গাড়ির মধ্যে ধর্ষণের (Raped) অভিযোগ। ২৭ বছরের এক তরুণীকে মাদক খাইয়ে ওই গাড়িতে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তরা চাকরির ইন্টারভিউ (Interview) নেওয়ার অজুহাতে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ওই মহিলাকে ডেকেছিলেন। অভিযোগকারীকে মাদকযুক্ত জল খাওয়ানোর পরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিগৃহীতা।
নির্যাতিতা ওই মহিলা থানার দারস্থ হয়ে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, তিনি অনলাইনে একটি চাকরি খুঁজছিলেন এবং তুষার শর্মা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই ব্যক্তি তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শনিবার সাহারা মলে সাক্ষাৎকারের অজুহাতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি তাঁর নথিপত্র নিয়ে দুপুর ১-টার দিকে মলে পৌঁছন এবং শর্মার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই মহিলাকে মলের বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর অভিযুক্ত ওই মহিলাকে মাদক মেশানো জল খেতে দেন। খাওয়ার পরে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর অভিযুক্ত তাঁকে গাড়ির ভিতরে ধাক্কা মেরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে জানান তরুণী। মল পার্কিং এলাকায় তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। পালানোর আগে ওই মহিলাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ঘটনাটি কাউকে বললে তাঁকে মেরে ফেলা হবে।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস ওই মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। তুষার শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮, ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। পুলিস মল ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে।
এক তরুণীকে খুন-ধর্ষণের (Rape-Murder) অভিযোগ, ২০১২ সালে দিল্লির আদালত বিনোদ নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। এই ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত বিনোদকে গত নভেম্বরে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবার তিন মাসের মধ্যে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বিনোদ। সাম্প্রতিক ঘটনা দিল্লির (Delhi Incident) দ্বারকার। এবার বিনোদ ও তার এক শাগরেদের বিরুদ্ধে এক অটো চালককে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অটো চালকের থেকে প্রথমে লুটপাটের চেষ্টা করেন বিনোদ ও তার শাগরেদ। সম্ভবত লুটে বাধা পেয়ে খুন করা হয় তাঁকে। গত ২৬ জানুয়ারি দ্বারকার সেক্টর-১৩-র এই ঘটনায় যাত্রী সেজে অটোতে ওঠেন দুই অভিযুক্ত।
তারপর বিনোদই সেই অটো চালকের গলা কেটে খুন করে বলে অভিযোগ। প্রথমে এই দুষ্কর্মে বিনোদের শাগরেদ পবনকে জেরা করে পুলিস। সেই জেরার সূত্র ধরে ২৯ জানুয়ারি মূল অভিযুক্ত বিনোদের খোঁজ পায় পুলিস। জানা গিয়েছে, ২০১২-র চাওলা গণধর্ষণ মামলাতেও যুক্ত ছিল অপরাধী বিনোদ। এই মামলায় গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগ বিনোদ-সহ তার তিন শাগরেদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তিন দিন পর তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিস। ২০১৪ সালে তিনজনকে বিরলতম অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লি আদালত।
‘রাস্তা নিরাপদ নয়, অটোয় ছেড়ে দিচ্ছি’! এমনই এক উপকারের অছিলায় বছর কুড়ির এক তরুণীকে ধর্ষণ (Rape in Panvel) করে দুই দিনমজুর শ্রমিক। মুম্বই শহরতলির এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পানভেল থানার পুলিস (Mumbai Police)। রবিবারের এই ঘটনায় এক পুলিস আধিকারিক বিজয়বাবু জানান, ‘রাতের বেলায় অভিযুক্ত অবিনাশ চৌহান এবং সুরজ দেবদে তরুণীর কাছে এসে জানায় যে, রাত হয়ে গিয়েছে এবং একার পক্ষে রাস্তায় অপেক্ষা করা নিরাপদ নয়। সেই সময় অভিযুক্তরা তরুণীকে বাড়ি ছেড়ে আসার প্রস্তাব দেন এবং জানান তাদের অটো একটু দূরেই দাঁড় করানো। নির্যাতিতা তাদের বিশ্বাস করে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরই অভিযুক্তরা তরুণীকে রাস্তা থেকে একটু দূরেই পানভেল রেললাইনের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।‘
পানভেল সিটি থানার পুলিস আধিকারিক বিজয় কাদবনে জানিয়েছেন, ধর্ষিতার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরই ওই দুই যুবক, অবিনাশ চৌহান এবং সুরজ দেবদেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় পানভেল স্টেশনের কাছে একটি বস্তি এলাকা থেকে। অভিযুক্ত দুজনই পানভেলের বাসিন্দা। তাঁদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী পানভেলের বাসিন্দা এবং খোপোলির একটি পানশালায় কাজ করেন। ঘটনার দিন তিনি কাজ থেকে ফিরে এসে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য পানভেল রোডে ওরিয়ন মলের কাছেই একটি হোটেলে গিয়েছিলেন। খাবার খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় অটো আসার অপেক্ষা করছিলেন তিনি। আর তখনই দুূই যুবক বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অছিলায় তরুণীকে ধর্ষণ করে।
এবার চলন্ত ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় (AC Coach) মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে কাঠগড়ায় খোদ রেলকর্মী। তবে এই ঘটনার (Rape Attempt) সময় মদ্যপ ছিলেন অভিযুক্ত। এমনটাই রেল পুলিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, দিল্লিগামী ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার সেই মদ্যপ রেলকর্মী (Drunken State)। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের এই ঘটনায় স্পষ্টতই যাত্রী সুরক্ষা প্রশ্নচিহ্নের মুখে। পুলিস ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। মহিলার বয়ান রেকর্ড হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করতে সুলতানপুর থেকে দিল্লিগামী এক এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপেছিলেন এক তরুণী, সঙ্গে ছিল তাঁর মেয়েও। বাতানুকূল সংরক্ষিত আসনেই বসেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, রাত বাড়তেই এক ব্যক্তি এসে তাঁর সঙ্গে গায়ে পড়ে কথা বলতে চান। তিনি ওই ব্যক্তিকে এড়ানোর জন্য নিজের স্বামীকে ফোন করেন।
সে সময় ফিরে গেলেও গভীর রাতে আবার ফিরে আসেন ব্যক্তি। মহিলা জানান, 'সেই সময় ট্রেনের কামরায় আলো জ্বলছিল না। তিনি মেয়ের পাশেই শুয়েছিলেন। তাঁদের কামরায় ছিলেন আরও ৭ জন। প্রত্যেকেই ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সুযোগ নিয়ে ওই ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় মহিলার গায়ে হাত দেন। মহিলা বাধা দিলে হাত চেপে ধরা হয়। চিৎকার-চেচামেচিতে অন্য সহযাত্রীরা জেগে গেলে, ওই ব্যক্তিকে ঠেলে বার করে দেওয়া হয়। টিটিইর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানালে জানা যায়, ওই ব্যক্তি সেই বাতানুকূল কামরার দায়িত্বে ছিলেন। পরিভাষায় ‘কোচ অ্যাটেন্ডেন্ট’। রেলপুলিস তাঁকে গ্রেফতার করেছে।'
কসবার পানশালায় (Kasba Bar) এক বার সিঙ্গারকে ধর্ষণের চেষ্টা (Rape Attempt)। গ্রেফতার ব্যান্ড মাস্টার এক যুবক। ১৭ জানুয়ারি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি। যদিও ঘটনাটি গত বছর নভেম্বরের। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী দক্ষিণদাড়ির বাসিন্দা। ২৮ নভেম্বর রাতে অভিযুক্ত ওই তরুণীকে নগ্ন করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এমনকি ঘটনা জানাজানি হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। সে রাতে এমন হুমকিও দেন অভিযুক্ত।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের পর অভিযুক্তকে বেনিয়াপুকুর থানার অন্তর্গত এক পানশালা থেকে গ্রেফতার করে কসবা থানার পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত আদতে পঞ্জাবে বাসিন্দা, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।
গত বছরের ২১ জুলাই নয়ডা (Noida Rape) ফেজ-২-তে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠেছে যশবন্ত কুমার নামে এক ব্যক্তি এবং তাঁর শ্যালক অভয় প্রতাপের। গণধর্ষণের পর মহিলার ফোন ও টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়ে, ফোন বন্ধ করে রেখেছিলেন অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার পর থেকেই যশবন্ত এবং শ্যালক অভয় প্রতাপ পলাতক ছিলেন। অবশেষে নতুন বছরে মহিলার সেই ফোনই ধরিয়ে দিল অভিযুক্ত ওই যশবন্তকে। তবে এখনও পলাতক শ্যালক অভয় প্রতাপ।
পুলিস সূত্রে খবর, গণধর্ষণের পরে মহিলার ফোন কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয় অভিযুক্তরা। গত ৬ মাস ধরে দুই অভিযুক্তের খোঁজে করে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিস, কিন্তু কিছুতেই নাগালে আসছিল না। তদন্তে নেমে পুলিস ফেজ-২ এবং তার আশপাশের এলাকার ৩০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। এলাকার ১৫০টি কারখানার প্রায় ১ হাজার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও সমাধান হয়নি। এমনকি পুলিসি নজরদারি এড়াতে অভিযুক্তরা ফোন ব্যবহার করাও বন্ধ করে দিয়েছিল।
পুলিস আরও জানায়, টানা ৬ মাস পর মহিলার ফোনটি চালু করেন অভিযুক্তরা। যার জেরেই নয়ডার সেক্টর ৮৮-র ফুলমান্ডি এলাকায় ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে সেখানে অভিযান চালায় পুলিস। অভিযুক্তরা ওই এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাচ্ছিলেন। আর সেই সময়ই মহিলার ফোনের সূত্র ধরে দোকানে হানা দিয়ে যশবন্ত নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস, অন্যজন পলাতক।
দিন বা রাত যাই হোক না কেন, মহিলাদের জন্য অ্যাপ ক্যাব বা ভাড়া করা ট্যাক্সি কতটা নিরাপদ তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন সময় অ্যাপ চালকদের লোলুপ দৃষ্টির শিকার হয়েছেন মহিলা যাত্রীরা। এমনকি একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ট্যাক্সি ও অ্যাপ চালকদের বিরুদ্ধে। ফের এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশ। তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শেয়ার ট্যাক্সি চালক ও দুই সওয়ারির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে পুলিস চালক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে একটি শেয়ার ট্যাক্সি ধরেছিলেন বছর ২৩-এর তরুণী। ফিরোজাবাদে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন তিনি। গাড়িতে চালক এবং তরুণী ছাড়াও ছিলেন আরও দুই যাত্রী। তরুণীর অভিযোগ, গাড়ি আগরার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের উপর পৌঁছতেই হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। এরপর গাড়ি থামিয়ে তিন জন মিলে তরুণীকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। গণধর্ষণের পর মাঝরাস্তায় তরুণীকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান সকলে।
এরপর তরুণী কোনক্রমে নিকতবর্তী থানায় যান। সেখানে পুলিসকে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন। এবং তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে গাড়িটি চিহ্নিত করে। গ্রেফতার করা হয় শেয়ার ট্যাক্সির চালক-সহ তিন জনকেই।
স্বামী ও দেওরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ (rape) করে খুনের (murder) চেষ্টার অভিযোগ। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরের বিভিন্ন অংশে সিগারেটের ছেঁকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্মম এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুরের। নির্যাতিতার বাড়ি মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতিতার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নির্যাতিতার নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকার লোন নেওয়া হয়। এরমধ্যেই স্বামী আরও একটি বিয়ে করেন। এমন ঘটনার খবর পেতেই নির্যাতিতা তাঁর বাপের বাড়ি চলে আসেন ৮ মাস আগে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই তাঁকে অপহরণ করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাঁকে অজ্ঞান করে নিয়ে আসা হচ্ছিল। তিনি জানান, 'শিয়ালদহে ট্রেন ঢোকার পর তাঁর জ্ঞান ফিরলে আবার তাকে বেঁহুশ করা হয়। নির্যাতিতার অভিযোগ, স্বামী ও দেওর তাকে ধর্ষণ করে। তারপর তাঁকে নরেন্দ্রপুর থানায এলাকার একটি পেয়ারা বাগানেও ধর্ষণ করেন স্বামী ও দেওর। স্ত্রীকে মেরে ফেললে তাঁর নামে নেওয়া লোন আর শোধ করতে হবে না। এই কারণেই তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে দাবি নির্যাতিতার।
শনিবার বেহুঁশ ও নগ্ন অবস্থায় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার এক রাস্তার পাশ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা সাত সকালে তাঁকে দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন। পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক দুই অভিযুক্ত। ঘটবার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
পুরীর (Puri) সমুদ্রতটে উদ্ধার তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ। ধর্ষণের (Rape) পর খুন (Murder) করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পুলিস সূত্রে খবর, অন্তর্বাস পরা অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও মুখে অ্যাসিড ছোড়া হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। কারণ তরুণীর মুখ একেবারে কালচে হয়ে গিয়েছে। মুখ দেখে চেনার উপায় নেই।
উল্লেখ্য, ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে পুরী বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। গত ২৩ নভেম্বর থেকে ওই তরুণী নিখোঁজ ছিলেন। হোটেলের বাইরে জামাকাপড় শুকোতে দিয়েছিলেন তাঁরা। আর তা আনার জন্য বাইরে বেরোন, এরপর থেকেই তরুণীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের তরফে থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। গত ২৬ নভেম্বর পুরীর পেন্থাকাটা এলাকার একটি সমুদ্রসৈকত থেকে ওই তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়।
তরুণীর বাবার অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এবং কেউ যাতে চিনতে না পারে তার জন্য মুখে অ্যাসিড মারা হয়েছে। কানের দুল, সোনার নাকছাবি দেখে তরুণীর দেহ চিহ্নিত করেন তাঁর বাবা। পুলিস জানিয়েছে, যখন ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়, তখন মেয়েটির মুখ কালো ছিল এবং হাতের আঙুলগুলি বিকৃত অবস্থায় ছিল। তবে পুলিসের অনুমান, সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। একটা দীর্ঘ সময় জলের তলায় থাকার জন্য মুখের রং কালো হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। আর আঙুলগুলি বিকৃত করার যুক্তি হিসাবে পুলিসের দাবি, কোনও সামুদ্রিক প্রাণী হয়তো সেগুলি খেয়ে নিয়েছে।
তবে পরিবারের অভিযোগকেও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
এবার পঞ্চাশোর্দ্ধ এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ (rape) করে গলা টিপে খুনের (murder) চেষ্টার অভিযোগ। অভিযুক্ত প্রতিবেশী এক যুবক। খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, আশঙ্কাজনক অবস্থায় নির্যাতিতা বর্তমানে নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি কলকাতার অদূরে মহেশতলার (Maheshtala)। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার হেডকোয়ার্টার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকতেন। স্বামী বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছে। এক ছেলে আছে, তিনি কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ওই বৃদ্ধার ঘরে মদ্যপ অবস্থায় এক যুবক ঢুকে মহিলাকে প্রথমে ধর্ষণ করে। এরপর তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও করে অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা নিজের ঘরে অচৈতন্য ও বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে ছিলেন। অভিযুক্তর বাড়ির সদস্যরাই পুলিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিস (police)। পুলিস ওই বৃদ্ধাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিস বৃদ্ধার ঘর থেকে জামা ও কাপড়, বিছানার চাদর উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আরও জানা গিয়েছে, উত্তেজিত জনতারা অভিযুক্তর বাড়িতে থাকা দুটি মোটর বাইকে ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি বাড়ির জানালার বেশ কিছু কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তর নাম আরিয়ান মোল্লা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে মহেশতলা থানার পুলিস।
ফের খাস কলকাতায় ধর্ষণের (rape) অভিযোগ। তবে এবার গণধর্ষণের (gang rape) রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজের মধ্যে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়। অভিযুক্তদের শনিবারই বারাসাত কোটে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৯ তারিখে রাজারহাট বৈদিক ভিলেজে (Rajarhat Vedic Village) একটি রিসোর্ট ভাড়া করা হয়। পরেরদিন অর্থাত্ ১০ তারিখ পার্টি ছিল তাদের। আর ১১ তারিখে অর্থাৎ ঘটনার পরের দিন অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী রাজারহাট থানায়। তরুণীর অভিযোগ, পার্টি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ওই তরুণীকে তরল জাতীয় মাদক খাইয়ে দিয়ে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত চার যুবক। ঘটনার পরই রাজারহাট থানায় (Rajarhat Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজারহাট থানার পুলিস তড়িঘড়ি চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের বারাসাত আদালতে পেশ করা হয়। এবং সেখানে পুলিস নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও। এমন ঘটনার পরেও রাজারহাট থানার পুলিসকে অভিযুক্তদের বিষয়ে কোনওরকম তথ্য দিতে পারেনি বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষ, এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে রাজারহাট থানার পুলিস।
পুলিস (police) সূত্রে আরও খবর, অভিযুক্ত চারজন হল যোগেশ মিশ্র, শুভম কারিওল, ঋষিক কুমার ও মাধব আগাওয়াল। বিধাননগর থানার সিপি জানান, জন্মদিনের পার্টির জন্য ৯ থেকে ১০ তারিখ ভাড়া নেওয়া হয় বৈদিক ভিলেজ। সেখানে উপস্থিত ছিল প্রায় ৩০ জন। তবে মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তরুণী। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অভিযুক্তকেই। তারা সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত। ঘটনায় বৈদিক ভিলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিস।
টি-২০ বিশ্বকাপ (T-20 World Cup) থেকে ছিটকে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা (SriLanka)। তার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর খবরে চিন্তিত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট টিম (Cricket)। শেষমেশ বড় পদক্ষেপ নিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের কার্যনির্বাহী কমিটি। ব্যাটার দানুস্কা গুনাথিলাকাকে (Danushka Gunathilaka) সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেছে। এমনকি কোনও খেলার জন্য তাঁকে বিবেচনা করা হবে না। তবে এত বড় সিদ্ধান্তের পিছনে কী কারণ?
অস্ট্রেলিয়াতে টি-২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান দানুস্কা গুনাথিলাকাকে (Danushka Gunathilaka)। ২৯ বছর বয়সী এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিডনির হোটেল থেকে শ্রীলঙ্কার ব্যাটার-কে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিডনি সিটি পুলিস স্টেশনে। তাঁকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া ছেড়েছে সিংহলি ক্রিকেট দল।
জানা গিয়েছে, একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল দানুস্কার। গত ২ নভেম্বর দু'জনে সাক্ষাৎ করেন। তারপরই দানুস্কার বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে নিউ ওয়েলস পুলিস।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী ওই মহিলা জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে কিছু দিন আগেই। সেটি শ্রীলঙ্কা দল যে হোটেলে ছিল, সেখানে হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে একটি বাড়িতে। মহিলার অভিযোগ পেয়ে গুনাথিলাকাকে শনিবার ভোররাতে হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ইতিমধ্যেই টি-২০ বিশ্বকাপ (T-20 World Cup) থেকে ছিটকে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা (SriLanka)। তার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর খবর। অস্ট্রেলিয়াতে টি-২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান দানুস্কা গুনাথিলাকাকে (Danushka Gunathilaka)। ২৯ বছর বয়সী এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন।
সিডনির হোটেল থেকে শ্রীলঙ্কার ব্যাটার-কে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিডনি সিটি পুলিস স্টেশনে। একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল দানুস্কার। গত ২ নভেম্বর দু'জনে সাক্ষাৎ করেন। তারপরই দানুস্কার বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই অস্ট্রেলিয়া ছেড়েছে শ্রীলঙ্কা দল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে নিউ ওয়েলস পুলিস।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী ওই মহিলা জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে কিছু দিন আগেই। সেটি শ্রীলঙ্কা দল যে হোটেলে ছিল, সেখানে হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে একটি বাড়িতে। মহিলার অভিযোগ পেয়ে গুণতিলাকাকে শনিবার ভোররাতে হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে আদালতে তোলা হবে।