পথের কাঁটা দূর করতে প্রথমে অপহরণ (Kidnapping)। তারপর ৮ বছরের শিশু (Girl) কন্যাকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লিবাসী (Delhi)। সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম রিজওয়ান আলিয়াস বাদশা। পেশায় মাংসবিক্রেতা। তিনি বিহারের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে দিল্লিতে এসে বসবাস করছেন। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অভিযুক্তের। মা এবং তাঁর প্রেমিককে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল মেয়েটি। তাঁদের সম্পর্কের কথা যদি জানাজানি হয়ে যায়, সেকারণে ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ৪ অগাস্ট মধ্যরাতে শিশুটিকে যমুনা খাদারের জঙ্গল এলাকায় অপহরণ করে নিয়ে যান রিজওয়ান। তারপর ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করেন। কেবল তা নয়, নাবালিকার মুখে ছুরি দিয়ে কাটাকুটিও করেন। এককথায়, নৃশংসতার জ্বলন্ত উদাহরণ।
নির্যাতিতার বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং বলেন, স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সকালবেলা উঠে তাঁর ৮ বছরের মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। কোথাও না পেয়ে পুলিসের দারস্থ হন। পুলিসের ৫০ জনের একটি দল তদন্ত শুরু করে। অবশেষে ১৮ অগাস্ট ঝোপের মধ্যে থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত ঘটনার কথা নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এবার এক পুরোহিতের (Priest) বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape) এবং খুনের ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কোন্নগরে। বারংবার ধর্ষণের ফলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) বছর চোদ্দর নাবালিকা। পরিবারের অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) পুরোহিত কেদার নাথ।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, কোন্নগর চটকল এলাকায় বছর দশেক আগে বিহার থেকে আসে কেদার নাথ (৪০)। সেখানে একটি মন্দিরে পূজারি হিসাবে কাজে যোগ দেয়। মন্দিরের পাশে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত।
দিন দুয়েক আগে ওই এলাকারই এক নাবালিকাকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাবালিকার পরিবার জানায়, শরীর অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নাবালিকা। শুনে হতবাক হয়ে যায় নাবালিকার পরিবার। কীভাবে হল এমন কাণ্ড? জিজ্ঞাসা করায় নাবালিকা জানায়, তাকে নির্যাতন করেছে পুরোহিত। মন্দিরের পিছনে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। কাউকে বললে খুন করে দেওয়ার ভয়ও দেখায়।
গতকাল উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। পুলিস অভিযুক্ত পুরোহিতকে গ্রেফতার করে।তার বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই বিষয় কোন্নগর পৌরসভার পৌরপ্রধান স্বপন দাস বলেন, ঘটনা আমাদের কানে আসার পর আমরা পুলিসকে বলেছি অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। ধৃতকে আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়।
এবার শোনা যাক, স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন।
নৃশংস থেকে নৃশংসতর। মানুষের মানসিকতা কোথায় গিয়ে পৌঁছচ্ছে। ১১ বছরের নাবালিকা বন্ধুকে চারজন পুরুষ দিয়ে গণধর্ষণ (gang-raped) করানোর অভিযোগ উঠল তারই এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। কেবল তা নয়, গোটা ঘটনা সামনে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সী ওই যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Mumbai) শহরতলির ভিরার (পশ্চিম) (Virar) এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ঘটনার ছয় ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
ঘটনাটি সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে। যখন ওই নাবালিকা তার বাড়ির কাছে একটি দোকানে মোবাইল ফোন মেরামত করতে গিয়েছিল। সেখানে তার ২১ বছর বয়সী অই অভিযুক্ত মহিলা বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। যে গল্প করার ছলে হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছু দূর এগিয়ে যায় তারা।
তখন ওই অভিযুক্ত মহিলাটি একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। এবং তাঁর তিনজন পুরুষ বন্ধুকে ডেকে নেয়। তারা মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে আসন্ন গণেশ পুজোর জন্য তৈরি করা প্যান্ডেলের পিছনে একটি স্থানে নিয়ে যায়। এবং নাবালিকাকে বন্দী করে রাখে।
মেয়েটির বন্ধু তাকে হুমকি দিয়ে একজন পুরুষের সঙ্গে যৌন সংগম করতে বলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি নাবালিকা। তখনই তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে তাকে। গোটা ঘটনাটি দাঁড়িয়ে দেখছিল নাবালিকার বন্ধু ওই যুবতী। পরের দিন সকালে একটি গাড়িতে করে নাবালিকাকে বাড়ির কাছে ফেলে পালিয়ে যায় চারজন।
নির্যাতিতা বাড়িতে পৌঁছে ঘটনাটি পরিবারের সকলকে জানায়। তার বয়ানের ভিত্তিতেই মুম্বইয়ের ভিরার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। অভিযুক্তদের খোঁজে বিশেষ দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। অভিযুক্ত পুরুষদের মধ্যে একজন কলেজ ছাত্র এবং অন্য একজন সবজি বিক্রেতা, উভয়ই ভিরারের বাসিন্দা। এখনও একজন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, পলাতক ওই অভিযুক্ত মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গণধর্ষণ এবং অস্বাভাবিক যৌনতা এবং পকসো POCSO ধারার জন্য IPC ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রথমে মহিলাকে অপহরণ (kidnap)। এরপর মহিলার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মাঝ রাস্তায় ট্যাক্সি থেকে বের করে দেওয়া। তারপর এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল ছয় যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে অভিযুক্তদের। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের (Chennai) কাছে তাম্বরাম-মাদুরাভোয়াল রাস্তায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাক্সিতে করে এক বন্ধুর সঙ্গে গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন ওই মহিলা। মাঝপথে তাঁদের গাড়ি আটকায় এক যুবক। পরে আরও পাঁচজন এসে ট্যাক্সিটি ঘিরে ফেলে। এরপর জোরপূর্বক ও গাড়িতে উঠে মহিলার ওই বন্ধুর ওপর হামলা চালায়। এমনকি গাড়ির চালককে তাদের বলা স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর করে। না হলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এরপর কিছুটা এগিয়ে মহিলার বন্ধুকে মারধর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এবং চিৎকার-চেঁচামেচি করলে মহিলাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়।
এরপর মহিলাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর গয়না কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। এবং তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার ওই বন্ধু পুলিসে খবর দেন। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় গয়না। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৩, ৩৬৫, ৩৯৫, ৩৭৬ ডি, ৫০৬(১) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সাধুর নামে ভণ্ডামি। এক মহিলা ভক্তকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল এক গুরুর বিরুদ্ধে। সন্তানহীন দম্পতি সন্তানের আশায় ওই সাধুর কাছে যান। আর সেই সুযোগ নিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrested) করা হল ওই গুরুকে। ওই ধৃত গুরুর নাম বৈরাগ্যনন্দ গিরি (Vairagyanand Giri)। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ১৭ জুলাই ওই সাধুর কাছে যান। দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করেও সন্তান সুখ পান না। বৈরাগ্যনন্দের কথা জানতে পেরে তাঁর কাছে যান। তিনি একটি যজ্ঞের কথা বলেন। যজ্ঞ করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। সেই মতো যজ্ঞের দিন ওই মহিলাকে প্রসাদের নাম করে কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে দেন বলে দাবি করেন অভিযোগকারী। তারপর ওই অভিযুক্ত গুরু তাঁকে ধর্ষণ করেন।
গত সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। প্রথমে লোক জানাজানির ভয়ে, লজ্জায় অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। পরে সাহস জুগিয়ে থানার দারস্থ হন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মঙ্গলবার তাঁকে গোয়ালিয়র থেকে গ্রেফতার করে ভোপালে নিয়ে আসে পুলিস।