পূজা ভাটের পর রুপোলি জগতের আরও এক পরিচিত মুখকে দেখা গেল রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) পাশে ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra)। সেই পরিচিত মুখের নাম রিয়া সেন (Riya Sen)। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুনমুন সেনের ছোট কন্যা বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদের পাশে হাঁটলেন। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের এই কাশ্মীর-কন্যাকুমারী জোড়ো যাত্রা মহারাষ্ট্রে রয়েছে। সে রাজ্যের আকোলায় মুনমুন কন্যাকে দেখা গিয়েছে রাহুলের পাশে হাঁটতে।
এর আগে হায়দারাবাদে একইভাবে কংগ্রেসের এই কর্মসূচির সমর্থনে হাঁটেন পূজা ভাট। এবার চর্চায় সুচিত্রা সেনের নাতনি রিয়া সেন। চোখে সানগ্লাস, পায়ে সাদা স্নিকার্স, খোলা চুলে রিয়া রাহুলের পাশে পাশে হাঁটছিলেন। পরনে হালকা বাদামি আর লাল রঙের টপ এবং জিন্সের ট্রাউজার্স। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে রাহুলের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা বলতেও দেখা গেল তাঁকে।
তাহলে কি মায়ের পর এবার মেয়ের রাজনৈতিক মঞ্চে অভিষেক? এই প্রশ্নের কোনও জবাব মেলেনি। কারণ কোনও রাজনৈতিক মঞ্চেই সেভাবে সক্রিয় নয় রিয়া এবং রাইমা সেন। তবে ২০১৯-এ মুনমুন সেন যখন তৃণমূলের টিকিটে আসানসোলের প্রার্থী, তখন মায়ের সঙ্গে কয়েকদিন দুই বোনকে প্রচারে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তার বাইরে রাইমা বা রিয়া কেউই রাজনীতি নয় আগ্রহী নয়।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আঁধি ছবিতে অভিনয় করেছেন রিয়া সেনের দিদিমা সুচিত্রা সেন। সেই ছবিতে সুচিত্রা সেনের লুকসের সঙ্গে সিনে সমালোচকরা মিল পেয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। সেই ছবি নিয়েও চর্চা হয়েছিল প্রচুর। এবার ইন্দিরার নাতি আর সুচিত্রার নাতনিকে দেখা গেলো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে একসঙ্গে হাঁটতে। এটা কি শুধুই কাকতালীয়?
কংগ্রেস (Congress) সভাপতি নির্বাচনের লড়াই ত্রিমুখী না চতুর্মুখী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করে ভোটে লড়ার সম্মতি আদায় করেছেন শশী থারুর (Sashi Tahroor)। এবার শর্তসাপেক্ষে এই নির্বাচনে অংশ নিতে চান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সোনিয়া গান্ধীকে সেই মর্মে প্রস্তাব পাঠন গেহলট। তিনি,'রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলে সভাপতি নির্বাচন ভোটে তিনি প্রার্থী হতে চান। আমরা রাহুলজিকেই কংগ্রেস সভাপতি চাই। কিন্তু তিনি যদি নিজে ভোটে লড়তে না চান, তবে আমি মনোনয়ন জমা দিতে পারি।'
বুধবার জয়পুর থেকে দিল্লি এসেছেন গেহলটের। রাতে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসতে পারেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শর্ত বা প্রস্তাবে কংগ্রেস হাইকমান্ড মেনে নিলে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে গেহলটের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। তিনি বুধবার আবার এআইসিসি নিযুক্ত ‘রিটার্নিং অফিসার’ মধুসূদন মিস্ত্রির সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াগত বিষয়ে দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
গেহলট যদি এই ভোটে লড়েন এবং সভাপতি হন, তাহলে তিনি কি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ আঁকড়ে থাকবেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস। তবে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মানলে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে গেহলটের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তেই হবে। তবে এখানেই থামছে না প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াই। থারুর, গেহলটের পর এবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন দিগ্বিজয় সিংহ। এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই লড়াইয়ে আমি নিজেকেও বাদ রাখছি না। আমি নই কেন? আপনি কেন এই তালিকা থেকে আমাকে বাদ রাখতে চাইছেন?'
রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বের বিরোধিতা করে কংগ্রেস (Congress) ছেড়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গুলাম নবি আজাদ। এবার হিমাচল (Himachal Pradesh) প্রদেশে ভোটের আগে ফের একবার রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে কাঠগড়ায় তুললেন কংগ্রেস সাংসদ। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশ সভানেত্রী তথা সাংসদ প্রতিভা সিংয়ের অভিযোগ, 'কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের জন্য সময় নেই রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কার। সে কারণেই দলের অন্দরে অসন্তোষ বাড়ছে।'
বছর ঘোরার আগেই পাহাড়ি এই ছোট রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে খোদ কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্যে কিছুটা ব্যাকফুটে শতাব্দী প্রাচীন দল। এদিকে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই গোয়ার আট কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কোঙ্কনের উপকূলীয় রাজ্যের সেই 'ঢেউ' হিমাচলে লাগলে সভাপতি নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় ধাক্কা খাবে গান্ধী পরিবার।
প্রবীণ এই কংগ্রেস সাংসদের মত, 'দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে রাহুলকে নবীন এবং প্রবীণের মেলবন্ধনের কৌশল শিখতে হবে। পাশাপাশি, রাহুলকে দলের জন্য আরও সময় দেওয়ার কথাও ভাবতে হবে। রাহুলজিকেই ঠিক করতে হবে, তিনি দলকে সময় দিতে চান, না জীবনে অন্য কিছু করতে চান। তিনি যদি দলকে সময় দিতে না পারেন, তবে দলে অনেক দক্ষ ও অধ্যবসায়ী নেতা আছেন, সেই জায়গা পূরণের জন্য।'
ফের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তাঁর সঙ্গে যেতে পারেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। মঙ্গলবার কংগ্রেসের তরফে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কবে তাঁরা বিদেশ যাবেন বা কোথায় যাবেন। খোলসা করেনি হাত শিবির (Congress)। এদিকে, ৪ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি ডেকেছে কংগ্রেস। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।
দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশে এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বিদেশ যাচ্ছেন। নয়াদিল্লি ফেরার আগে সনিয়াজি তাঁর অসুস্থ মায়ের সঙ্গেও দেখা করবেন। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে যাবেন।'
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত 'ভারত জোড়ো' কর্মসূচি। দলের সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণও ঘোষণা হতে পারে এ সপ্তাহে।
'পাপা, প্রতিটি মুহূর্তে তুমি রয়েছ আমার সঙ্গে, আমার হৃদয়ে। দেশের জন্য যে স্বপ্ন তুমি দেখেছিলে, তা যাতে পুরণ করতে পারি, তার জন্য আমি সবসময় চেষ্টা করে যাব।' শনিবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর (Rajiv Gandhi) ৭৮ তম জন্মবার্ষিকী (Birth Anniversary)। এই দিনেই পিতার স্বপ্নপূরণে এমন আবেগঘন ট্যুইট করলেন রাহুল গান্ধী।
पापा, आप हर पल मेरे साथ, मेरे दिल में हैं। मैं हमेशा प्रयास करूंगा कि देश के लिए जो सपना आपने देखा, उसे पूरा कर सकूं। pic.twitter.com/578m1vY2tT
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 20, 2022
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেদামবুরে আত্মঘাতী বোমায় প্রাণ হারান রাজীব গান্ধী। তাঁর সঙ্গেই মৃত্যু হয়েছিল আরও ১৪ জনের। এদিন সকালে নয়াদিল্লির বীরভূমিতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা, সাংসদ কে সি বেণুগোপাল, বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গে সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh), দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ অনেকেই ট্যুইট করে তাঁকে শ্রদ্ধা জনিয়েছেন।
শিবসেনার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লিখেছেন, আমি এখনও তরুণ এবং আমারও দুচোখে অনেক স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন স্বাধীন, আত্মনির্ভর ভারত, যা দেশকে বিশ্বের প্রথম সারিতে রাখবে এবং যা মানুষের সেবায় কাজে আসবে। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আগামী ২২ অগাস্ট দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মিলিত হবেন সমাজের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। কংগ্রেসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে লেখক, বুদ্ধিজীবী মিলিয়ে অন্তত ১৫০ জন হাজির থাকার কথা। কংগ্রেস যে ভারত জোড়ো (Bharat Jodo Yatra) যাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছে, সে ব্যাপারেই তিনি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। এই যাত্রার উদ্দেশ্য কী, তা যেমন তিনি সবার সামনে তুলে ধরবেন, তেমনি এতে অংশগ্রহণ করারও আবেদন রাখবেন। আগামী ২৩ অগাস্ট কংগ্রেসের সদর দফতরে এই যাত্রার ট্যাগলাইন, লোগো এবং ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হবে বলেও কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রা শুরু হওয়ার কথা। ১৫০ দিন ধরে লাগাতার চলবে পদযাত্রা, যাতে ১২ টি রাজ্যের ৩৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।