প্রসূন গুপ্ত: শনিবার কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে রাহুল গান্ধী তাঁর সাংসদপদ চলে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন। সারা দেশের উৎসাহ ছিল, নিজের সমর্থনে রাহুল গান্ধী কী বলেন। যদিও শুক্রবার লোকসভা থেকে তাঁর সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর সবকটি বিরোধী দল থেকেই প্রতিবাদ উঠেছিল। সেই তালিকায় নাম আছে চিরকাল কংগ্রেস-বিরোধী হিসেবে পরিচিত আপ পার্টি বা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তালিকায় রয়েছে ইদানিং কংগ্রেসের সঙ্গে শীতল সম্পর্কে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের। এরাও পৃথক ভাবে হলেও এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এদিকে এক মানহানির মামলায় সুরাতের এক আদালত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, দুই বছরের জেল।
শনিবার অবশেষে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। রাহুল জানান, 'তিনি লোকসভায় থাকলে নরেন্দ্র মোদীর নাকি সমস্যা হচ্ছিলো।' আদানি কাণ্ডেও মোদী সরকারকে খোঁচা দেন কংগ্রেস নেতা। তিনি জানান, 'মোদী বলে তিনি মাত্র দুজন ব্যক্তির নাম করেছিলেন, নীরব ও ললিতের। চোর মানেই কি মোদী? তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।' সাংবাদিকদের তরফে প্রশ্ন আসে, কেন উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালতে এই মামলা ফিরে যায় এবং তাঁকে কেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়?
রাহুল জানান, 'আদালতের বিরুদ্ধে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। এ বিষয়ে তাঁদের দলের আইনজীবীরা যা বলার বলবেন।' তাঁর মুখে এদিন একটি কথাই বারবার এসেছে, তা উদ্যোগপতি আদানিকে নিয়ে। তিনি বলেন, 'কে এই আদানি? তাঁর নাম আগে কোনওদিন শোনা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে উঠে এসেছেন তিনি। কেন আদানির বিমানে মোদী সফর করেছিলেন?' সেই ছবি রাহুল গান্ধী লোকসভায় পেশ করেছিলেন, দাবি তাঁর। সংসদে তাঁর আরও বেশ কিছু বলার ছিল। কিন্তু মোদী তাঁকে সেই সুযোগ দিলেন না। এভাবেও খোঁচা দেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল বলেন, 'এই ঘটনায় বিরোধীদের শক্তিবৃদ্ধি হবেই। সম্মিলিত হবে বিরোধীরা।' তিনি জানান, 'তাঁকে লোকসভায় ঢুকতে না দিলে বা জেলে পাঠালেও মুখ বন্ধ হবে না।'
মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে রাহুল গান্ধীর দু'বছরের কারাদণ্ড। যদিও আগামি একমাস এই সাজা কার্যকর করা যাবে না। সেক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে সাজার বিরোধিতা করে আবেদনের সুযোগ রয়েছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi row)। কিন্তু সুরাতের নিম্ন আদালতের এই রায় প্রকাশ্যে আসতেই খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ। সংসদের নিম্নকক্ষে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খোয়ানোর পরেই তাঁর পাশে দেশের একাধিক বিজেপি-বিরোধী দল। এবার চুপ থাকলেন না বলিউডের পরিচিত মুখ স্বরা ভাস্কর।
সোনিয়া-পুত্রর পাশে দাঁড়িয়ে স্বরার টুইট, 'যাকে পাপ্পু বলে ডাকত, আজ তাকেই ভয় পেয়েছে। রাহুল গান্ধীর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া জনপ্রিয়তা ও ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই কাজ করা হয়েছে। যাতে লোকসভার ভোটে লড়তে না পারে। কিন্তু আমার বিশ্বাস এরপর রাহুল আরও বড় হয়ে ফিরবেন।'
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সংশোধিত জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে ভর করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনেও বিজেপির মদত দেখছে বিরোধী শিবির।
সম্ভাবনা সত্যি করেই লোকসভায় খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ। মানহানির মামলায় সুরাতের এক আদালতের রায় সামনে আসতেই জল্পনা শুরু হয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের কোপে পড়বেন কি কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি। সেই জল্পনাকে সত্যি করেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে লোকসভার সচিবালয়। আর এই খবর চাউর হতেই কেন্দ্র তথা বিজেপির সমালোচনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। ট্যুইটে তাঁর খোঁচা, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী দলের নেতারা বিজেপির মুখ্য টার্গেট! ফৌজদারি অপরাধের ইতিহাস নিয়েও বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। আর শুধুমাত্রে বক্তব্যের কারণে বিরোধী নেতার পদ খারিজ হয়। সাংবিধানিক গণতন্ত্রের আরও একটা নিকৃষ্টতম ঘটনার সাক্ষী হলাম আজ।'
In PM Modi’s New India, Opposition leaders have become the prime target of BJP!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 24, 2023
While BJP leaders with criminal antecedents are inducted into the cabinet, Opposition leaders are disqualified for their speeches.
Today, we have witnessed a new low for our constitutional democracy
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই খোঁচার মধ্যেই শুক্রবার ট্যুইটে সরব হয়েছিলেন রাহুল গান্ধীও। তিনি লেখেন, 'আমি দেশের আওয়াজের জন্য লড়াই করছি। প্রতিটি মূল্য চোকাতে প্রস্তুত।' ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সরব সিপিএম, সমাজবাদী পার্টির মতো দলগুলোও।
मैं भारत की आवाज़ के लिए लड़ रहा हूं।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 24, 2023
मैं हर कीमत चुकाने को तैयार हूं।
প্রসূন গুপ্ত: সময়টি সম্ভবত ২০১৯, কোনও একটি সভায় নিজের ভাষণে রাহুল গান্ধী বলেন যে, 'সব চোরেদের নাম কেন মোদী মোদী মোদী?' আক্রমণের কেন্দ্রে কে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি? এর আগেও গান্ধী পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তি আক্রমণ করেছে। 'চৌকিদার চোর হ্যায়' স্লোগান তুলে হাওয়া গরম করতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। একইভাবে সোনিয়া গান্ধী 'মৌত কি সওদাগর' বলে খোঁচা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। এটা কি পরোক্ষে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ নয়? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি শিবির।
যদিও এই আক্রমণে হিতে বিপরীত হয়েছিল। বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি। মাঝখান থেকে ২০১৯-র ভোটে আমেঠি থেকে রাহুল হেরে যান। সকলেই বলেছিল, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ রাহুলের ভুল ছিল। কিন্তু ২০১৯-র করা মন্তব্যে এবার ফ্যাসাদে সোনিয়া-তনয়। মানহানির মামলায় তাঁকে অপরাধী সাব্যস্ত করে জেলের সাজা শুনিয়েছে আদালত। যদিও এক মাসের জন্য এই সাজা কার্যকর না করার নির্দেশ রয়েছে।
কিন্তু সংশোধিত জনপ্রতিনিধিত্ব আইন তাঁর বিপরীতে গিয়েছে। দু'বছরের জন্য জেলের সাজা মাথার উপর খাঁড়ার মতো ঝোলায় খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। এমনই বিজ্ঞপ্তি শুক্রবার জারি করেছে লোকসভার সচিবালয়। এই সংশোধিত জন প্রতিনিধিত্ব আইন নিয়ে এই রাহুলই এক দশক আগে সরব হয়েছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁর অর্ডিন্যান্সের পেপার ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য এখনও অনেকের মনে সজাগ।
তবে আলোচনা প্রবল, আইনি পথে হেঁটে সংসদের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত কি রাহুলের পক্ষে যাবে? মোদী সরকারের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে কাজে লাগিয়ে কি পালের হাওয়া নিজের দিকে টানতে পারবেন সোনিয়া তনয়। কারণ এই মুহূর্তে আদানি-কাণ্ডে সংসদে জেপিসি চেয়ে এককাট্টা বিজেপি-বিরোধী শিবির। নেতৃত্বে কংগ্রেস। পর্যবেক্ষকরা বলছেন রাহুলে উদ্যোগে হওয়া ভারত জোড়ো আন্দোলন কিছুটা হলেও কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ বন্ধ করেছে। এই আবহে আইনি মতে রাহুলের সাংসদপদ খারিজকে রাজনৈতিকরন করতে পারবে হাত শিবির? খারগে, থারুর, জয়রাম রমেশরা শুনতে পাচ্ছেন?
যদিও একটি অংশ দাবি করছে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজে 'জাতীয় হিরো' হয়ে যেতে পারেন সোনিয়া তনয়। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের প্রবল বিরোধী আপ পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাহুলের পাশে। প্রতিবাদ এসেছে প্রায় প্রতিটি বিরোধী দলের থেকে বাকি মমতা। তিনিও কি মূল স্রোতের বাইরে থাকবেন? অন্তত একটা ট্যুইট করে গান্ধী পরিবারের পাশে থাকবেন?
বাতিল করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সদস্য পদ। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে লোকসভার সচিবালয় কর্তৃক। লোকসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, গুজরাটের সুরাট আদালতে একটি মানহানির মামলায় ২ বছরের সাজা হয় রাহুলের। ভারতের লোকসভার সদস্যদের জন্য করা নিয়ম অনুযায়ী, ২ বছরের সাজা হলে তাঁকে সদস্য পদে আর রাখা যাবে না, সেই নিয়ম বলবৎ করে রাহুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে লোকসভার সচিবালয় সূত্রে।
প্রসঙ্গত, মোদী বিরোধী একটি মন্তব্য করেছিলেন রাহুল, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাহুল বলেছিলেন, ' সব চোরই কি মোদী হয়, মোদী, মোদী ,মোদী, 'এর পেক্ষিতে ২০১৯ সালে গুজরাটে সুরাট আদালতে মানহানির মামলা হয় রাহুলের বিরুদ্ধে, বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে সুরাট আদালত তাকে দুই বছরের সাজা শোনায়। এরপরেই আজ, শুক্রবার লোকসভার সচিবালয় কর্তৃক তাঁর সদস্য পদ বাতিল করা হয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়েনাড কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে দোষী সাব্যস্ত কংগ্রেস নেতা রাহুল (Rahul Gandhi) গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করল গুজরাতের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সুরাত দায়রা আদালত ২০১৯ সালের ওই মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে রাহুলকে। দু’বছরের জেলের সাজা হলেও আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। জানা গিয়েছে, আগামি চার সপ্তাহ তাঁর গ্রেফতারি কার্যকর না করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজ হতে পারে। ফলে রাহুলের সে আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বিচারক এইচএইচ বর্মার এজলাসে সাজা কমানোর আবেদন জানিয়েছেন রাহুলের আইনজীবী কিরীট পানওয়ালা। তাঁর মক্কেলের মন্তব্যে কারও ক্ষতি হয়নি বলে আদালতে দাবি করেছেন তিনি। জেলা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করার জন্য রাহুলকে ৩০ দিন সময় দেন বিচারক বর্মা।
রবিবার সকাল সকাল জাতীয় কংগ্রেস (CONGRESS) নেতা রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) বাড়তে হানা দিল্লি পুলিসের (Delhi Police)। দিল্লি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির স্পেশাল সিপি (আইনশৃঙ্খলা)-র নেতৃত্বে দিল্লি পুলিসের একটি দল রবিবার রাজধানীতে রাহুলের বাসভবনে পৌঁছে যায়।
দিল্লি পুলিস সূত্রে আরও খবর, ভারত জোড়ো যাত্রায় একটি ভাষণ দেওয়ার সময় যৌন হেনস্থায় শিকার হওয়া নারীদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধি। সেই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধির বাসভবনে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। রাহুল নিজের ভাষণে যে অভিযোগ করেছিলেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে এর আগেও কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিস। তবে সেই নোটিশে সাড়া দেননি রাহুল। এই আবহে এই মামলায় রাহুলের থেকে তথ্য পেতে তাঁর বাসভবনে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিসের দল।
মেঘালয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে ভোটে লড়ছে তৃণমূল। সরাসরি এই অভিযোগ তোলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এমনকি গোয়া ভোটে বিপুল অর্থ খরচ করে বিজেপিকে (BJP) সাহায্য করেছিল টিএমসি। মেঘালয়ে (Meghalaya Vote 2023) সেই কৌশল নিয়েছে বাংলার শাসক দল বলে বুধবার তোপ দাগেন রাহুল।
.@INCIndia has failed to resist @BJP4India. Thr irrelevance, incompetence & insecurity has put them in a state of delirium.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) February 22, 2023
I urge @RahulGandhi to revisit thr politics of vanity instead of attacking us. Our growth isn’t driven by money, it is people’s love that propels us. (1/2)
পাশাপাশি বাংলায় হিংসা এবং দুর্নীতির দায়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বিদ্ধ করেছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। যদিও কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা বিঁধতে ছাড়েননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একগুচ্ছ ট্যুইট করেন। তিনি রাহুল গান্ধীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, 'কংগ্রেস বিজেপিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিকতা এবং অযোগ্যতায় তাঁরা পাগলের প্রলাপ বকছেন। আমাদের আক্রমণ করার পরিবর্তে অহঙ্কারের রাজনীতি ছাড়ুক কংগ্রেস।'
আমরা অর্থ দিয়ে নয়, মানুষের ভালবাসা দিয়ে পরিচালিত। এভাবেই কংগ্রেস সাংসদকে পাল্টা কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্যক্তিগত সফরে কাশ্মীরে এসেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শীত বিদায়ের আগে নতুন করে বরফ কাশ্মীরের গুলমার্গে। শৈলশহরে পর্যটক সমাগমও বেড়েছে। দিল্লির অলিন্দ ছেড়ে ভূস্বর্গে (Kashmir Tour)চলে এসেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিও। গুলমার্গে কংগ্রেস সাংসদের এই মুহূর্তের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ফারহাত নায়েক নামে এক ব্যক্তি। ওই টুইটে লেখা, 'ভারত জোড়ো (Bharat Jodo Yatra) যাত্রার সাফল্যর পরে রাহুলজি গুলমার্গে সুন্দর ছুটি কাটাচ্ছেন।'
ভিডিওয় লেখা, রাহুল স্কিয়ের মাধ্যমে বরফের ঢাল বেয়ে নীচে নামছেন এবং দু’হাতে লাঠি ধরে আবার উপরে উঠছেন। দূরে দাঁড়িয়ে তাঁকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন এক প্রশিক্ষক। যদিও তাঁর এই কাশ্মীর সফরের কথা ঘুণাক্ষরে জানতে পারেনি কেউ।
As a reward, Rahul Ji treating himself to a perfect vacation in Gulmarg after successful #BharatJodoYatra.#RahulGandhi@RahulGandhi pic.twitter.com/DDHCDluwCC
— Farhat Naik (@Farhat_naik_) February 15, 2023
এই প্রসঙ্গে কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তরফে বলা হয়েছে, এটা একান্তই রাহুলের ব্যক্তিগত সফর। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। উপত্যকায় একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারেন কংগ্রেস সাংসদ।
বাজেট অধিবেশনের (Budget Seesion) প্রথম দিন থেকেই আদানি ইস্যুতে (Adani Row) উত্তাল সংসদ। বিতর্ক এবং আলোচনার পরিসর চেয়ে আন্দোলন করছে সরকার-বিরোধী দলগুলো। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শিল্পপতি গৌতম আদানির ছবি তুলে ধরে সংসদে সুর চড়ান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর প্রশ্ন, 'কীভাবে সব ব্যবসাতে ঢুকে পড়ছে আদানি গোষ্ঠী? প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক ঠিক কী?' রাহুলের দাবি, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন যেখানেই তিনি গিয়েছেন, সর্বত্র একটিই নাম শুনেছেন— আদানি, আদানি এবং আদানি।'
মঙ্গলবার লোকসভায় বলতে উঠে রাহুল বলেন, 'তামিলনাড়ু থেকে কেরল, কেরল থেকে হিমাচল প্রদেশ, আমরা একটাই নাম শুনে এসেছি। মানুষ আমার কাছে জানতে চাইছেন, কীভাবে প্রতিটি ব্যবসায় আদানিরা ঢুকে যান এবং প্রতি ব্যবসায় ওই শিল্পগোষ্ঠী সফল হয়েছে!'
এদিন রাহুলের বক্তব্যের মধ্যেই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে বিরোধিতার সুর ওঠে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর মন্তব্য, 'শুধুমাত্র বড় অভিযোগ করলেই হয় না। সেই অভিযোগের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে হয়।' দু'পক্ষের এই বাদানুবাদে বাজেট অধিবেশনের পঞ্চম দিনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ।
২৬শে জানুয়ারীর আগে জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপল জম্মু। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) প্রস্তুতির পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’—উভয় কারণে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার মধ্যেও শনিবার জম্মুর নারওয়াল এলাকায় ঘটে এই দুই বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, আহতের সংখ্যা অন্তত ৯ জন।
পুলিস জানিয়েছে, শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে পরিচিত নারওয়ালের এই এলাকা। পাশাপাশি গাড়ি মেরামতির ও গাড়ির যন্ত্রাংশের অসংখ্য দোকান রয়েছে এলাকায়। ফলে দিনভর ব্যস্তই থাকে নারওয়াল বাজার। তাই বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরেন্সিক এবং বোমা বিশেষজ্ঞেরা। জম্মু পুলিসের অতিরিক্ত ডিজি মুকেশ সিং বলেন, ‘‘নারওয়ালের ট্রান্সপোর্ট নগরের ৭ নম্বর ইয়ার্ডে দু’টি গাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণ হয়েছে। কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’’ বর্তমানে এলাকাটি ঘিরে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে এলাকার একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার নরেন্দ্র ভাটিয়ালি বলেন, ‘‘আহতদের মধ্যে এক জনের পেটে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।’’ এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কতখানি সুরক্ষিত সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
বেশ কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) সঙ্গে রাজস্থানে 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় হেঁটেছিলেন রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan)। সে সময় সকলে ভেবেছিলেন কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিতে চলেছেন রাজন। তবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর স্পষ্ট জানান, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না। কেন এবং কীসের জন্য তিনি এই যাত্রায় শামিল ছিলেন তার কোনও স্পষ্ট ব্য়াখ্যাও দেয়নি রাজন।
এবার দাভোসে 'ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে' জাতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'রাহুল গান্ধির সঙ্গে কথা বলে তিনি বুঝেছেন, অত্য়ন্ত বুদ্ধিমান এবং কৌতুহলী মানুষ রাহুল। রাহুলকে পাপ্পু বলে সম্বোধন করাটা অতি দুর্ভাগ্য়জনক। এতে তাঁর ভাবমূর্তির উপর প্রভাব পড়ছে।' রঘুরাম এটাও বলেন, 'তিনি রাহুল গান্ধির সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। রাহুল অন্তত পাপ্পু নয়। মানুষের জীবনের অগ্রাধিকার বুঝতে পারেন, ঝুঁকি নিতে জানেন। এই মুহূর্তে অনেকে তাঁকে অপরিণত রাজনীতিবিদ বলে মনে করেন। কিন্তু রাহুল গান্ধি একজন আর্দশ মানুষ তাঁর মধ্য়ে রাজনীতির সমস্ত গুণ রয়েছে।'
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন মোদী সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে সমালোচনা করায় বিজেপি তাঁকে ব্য়পকভাবে আক্রমণ করেছে। তবে তিনি বিজেপির বহু নেতা-মন্ত্রীকে অপরিণত রাজনীতিবিদ বলে কটাক্ষ করেন।
মোহভঙ্গ না রাজনৈতিক পরিসরে ভেসে থাকার চেষ্টা? ৫ মাস পর ফের পুরনো দল কংগ্রেসে (Congress) ফিরতে পারেন গুলাম নবী আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। গত অগাস্টে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তোপ দেগে দলত্যাগ করেন আজাদ। তাঁর স্রোতে গা মিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেস (Congress) থেকে একে একে ইস্তফা দেন আজাদ ঘনিষ্ঠরা। তাঁরা যোগ দেন আজাদ গঠিত ডিএপি বা ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টিতে। কিন্তু পাঁচ মাসেই উলটপুরাণ! খানিকটা মোহভঙ্গ হওয়ায় এঁদের অনেকেই আবার কংগ্রেসে ফিরছেন তাঁরা। তাহলে কি উলটো স্রোতে ভেসে পুরনো দলের পতাকাই ফের হাতে তুলবেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) একদা মুখ্যমন্ত্রী? এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতেই জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছবে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। তার আগে কংগ্রেসে ফিরবেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদ-সহ একঝাঁক নেতা। পিরজাদা মহম্মদ সঈদ, মুজফ্ফর পেরারে, বলবান সিংহের মতো প্রভাবশালী প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারাও হাতে তুলে নিতে পারেন 'হাত'।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য চলতি বছরেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চল এককভাবে দখলে মরিয়া বিজেপি। লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই পিডিপি-এনসি-সহ আরও কয়েকটি দলের সম্মিলিত গুপকার জোট। কোনওভাবে গুপকার জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিধানসভা ভোটে লড়তে এখন কোমর বাঁধছে কংগ্রেস।
এই কৌশল বাস্তবায়নের আগে জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসে আজাদ ফিরলে, তাঁর অভিজ্ঞতা শতাব্দীপ্রাচীন দল কাজে লাগাবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কংগ্রেস এবং বিজেপি সমান, এই যুক্তি দেখিয়ে রাহুল গান্ধীর ডাকা ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ থেকে দূরত্ব বজায়ের নীতি সমাজবাদী পার্টির। উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সপার প্রধান অখিলেশ যাদব কংগ্রেস ও বিজেপিকে একই সারিতে বসিয়েছেন। যদিও ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে ল়ড়েছে এই হাত এবং সাইকেল শিবির। কিন্তু আশানুরূপ ফল হয়নি কোনও দলেরই।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের তরফে অখিলেশকে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুলায়ম-পুত্র জানান, 'আপনাদের (সাংবাদিকদের) কারও কাছে যদি আমন্ত্রণপত্র এসে থাকে, তবে দয়া করে সেটা আমায় পাঠিয়ে দেবেন।'
সাময়িক বিরতির পর আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে আবার শুরু ভারত জোড়ো যাত্রা। দিল্লির সীমানা পেরিয়ে প্রথমেই উত্তরপ্রদেশে পৌঁছবে এই পদযাত্রা। কংগ্রেস শিবিরের এখনও আশা সমাজবাদী পার্টির তরফে কেউ না কেউ পদযাত্রায় অংশ নেবেন।
বিনোদন জগতের এবার পর এবার অর্থনীতিবিদ, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ডাকে সাড়া দিয়ে হাঁটলেন ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra)। কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রায় পা মেলালেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan)। বুধবার রাজস্থানে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও এই ঘটনায় সরব বিজেপি। দলের আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য টুইটে রাজনকে আক্রমণ করেছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান ভবিষ্যতের মনমোহন সিং হতে চাইছেন, দাবি অমিতের।
দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের ২৩তম গভর্নর হিসাবে রাজনের কার্যকাল ছিল ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত। তারপর তিনি আমেরিকায় চলে যান অধ্যাপনা করতে। কিন্তু নোটবন্দি-সহ মোদী সরকারের একাধিক আর্থিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা ছিল রাজনের মুখে।
যদিও বিজেপির দাবি, বিশ্বের কাছে ভারতের অর্থনীতিকে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপিত করেছেন রাজন। তিনি কি সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দিলেন? এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। ইতিমধ্যে বিনোদন জগত থেকে রিয়া সেন, পূজা ভাট এবং ক্রীড়া জগত থেকে অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিংকে দেখা গিয়েছে এই কর্মসূচিতে।