জেলের(Jail) মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদ নভজ্যোত সিং সিধু। তাঁর জেলের সাজা ছিল এক বছরের। কিন্তু দশ মাসের মাথায় মুক্তি পান পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। শুক্রবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট শেয়ার করে জেলমুক্তির কথা জানিয়েছেন সিধু। এমনকি জেল থেকে বেরিয়েই রাজনীতিতে আবার ফিরে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। যে মামলায় সিধুকে জেলে যেতে হয়, সেটা সাড়ে তিন দশকের পুরনো।
১৯৮৮ সালে সিধু এবং তাঁর বন্ধু রূপিন্দর সিংহ সাঁধু রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে চলে যাওয়ায় এক বৃদ্ধ তাঁর প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির সময় ওই বৃদ্ধকে সপাটে থাপ্পড় মারেন সিধু। মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ। সেই অভিযোগে পুলিস গ্রেফতার (Arrest) করে সিধুকে। এরপর পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে দোষী প্রমাণিত হন সিধু। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিধু সুপ্রিম কোর্টে গেলেও ছাড় মেলেনি। এই মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাতের অভিযোগে সিধুকে এক বছরের সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেলের ভিতর ভাল আচরণ করার জন্য তাঁকে সময়ের অনেক আগেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রায় ১১ দিন ধরে পলাতক খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং ও তার সঙ্গীরা। অমৃতপালকে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পঞ্জাব পুলিস। এরই মধ্যে গুঞ্জন রটেছে যে, অমৃতপাল সিং নিজেই হয়তো পঞ্জাব পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করবে। তবে এমন কথা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি পঞ্জাব পুলিসের তরফে। পঞ্জাব পুলিসের কমিশনার নৌনিহাল সিং জানিয়েছেন, অমৃতপালের আত্মসমর্পণের বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
সম্প্রতি খবর এসেছে যে, ফের পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছে খলিস্তানি সংগঠন 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে'র প্রধান অমৃতপাল সিং। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমৃতপাল ও তার সঙ্গী পাপলপ্রীত সিংকে ফের নাগালে পেয়েও ধরতে পারলেন না পঞ্জাব পুলিসের কর্মীরা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলেই পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর জেলায় পুলিস অমৃতপাল সিংয়ের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। তাদের প্রায় ধরে ফেললেও, শেষ মুহূর্তে পুলিসকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে যায় অমৃতপাল সিং ও তার সঙ্গী পপলপ্রীত সিং। তবে তাঁদের সঙ্গে থাকা দুই সহকারীকে আটক করেছে পুলিস, এমনটাই জানা গিয়েছে।
পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা একটি সাদা রঙের ইনোভা গাড়িকে অনুসরণ করছিলেন। ফাগওয়ারা থেকে হোসিয়ারপুর আসছিল ওই গাড়িটি। পুলিসের অনুমান ছিল, ওই গাড়িতেই রয়েছে পলাতক খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং ও তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পপলপ্রীত সিং। পুলিস দীর্ঘক্ষণ ধরে অনুসরণ করলেও, হোসিয়ারপুরের চেকপোস্ট পার করে তা মেহতিয়ানায় প্রবেশ করে। হোসিয়ারপুরের সিআইডি ইউনিটের তরফে জানানো হয়েছে, মেহতিয়ানার একটি গুরুদ্বারের সামনে গাড়ি রেখে অমৃতপাল সিং ও তার সহকারী পপলপ্রীত সিং পালিয়ে যায়।
ফের বিধ্বংসী টর্নেডোর (Tornado) ভিডিও ছড়িয়ে (Viral Video) পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার পর এবার বিধ্বংসী টর্নেডোর কবলে পঞ্জাব (Panjab)। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, চারদিক থেকে পাক খেতে খেতে নিমেষে সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে। এমনকি এই ঝড়ে আহতও হয়েছে একাধিক বাসিন্দা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ টি বাড়ি।
पंजाब के फाजिल्का जिले में बवंडर ने मचाई तबाही, कई घर ढहे, लोग जख्मी #fazilka #punjab #Tornado #Survivor #disaster pic.twitter.com/7lnLuTEmJw
— Kanchi Bansal (@KanchiBansal) March 24, 2023
শুক্রবারই পঞ্জাবের ফাজিলকা জেলার আবোহার গ্রামে আছড়ে পড়ে ধ্বংসাত্মক টর্নেডো। ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছে ওই গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির চাল। প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তায়। তবে টর্নেডোর খবর পেয়ে আবোহার গ্রামে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে দেয় বিএসএফ (BSF) কর্মীরা। চাপা পড়ে থাকা বহু লোককে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তিও করেছে তাঁরা। এমনকি রাস্তার উপর পড়ে থাকা গাছপালা সরিয়ে যান চলাচল শিথীল করেন।
এই ভয়াবহ টর্নেডোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
গত শুক্রবার থেকে 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান সমর্থক তথা খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে (Amritpal Singh) খুঁজছে পঞ্জাব পুলিস। এর আগেই জানা গিয়েছে, কীভাবে পঞ্জাব পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে গাড়ি পরিবর্তন করে শেষে মোটরবাইকে চেপে পালিয়ে গিয়েছে সে। ইতিমধ্যেই পঞ্জাব পুলিস (Punjab Police) সাতটি ভিন্ন লুকের ছবি শেয়ার করেছে। পুলিসের সন্দেহ, অমৃতপাল এভাবে পরিবর্তন করে অনবরত সে পালিয়ে চলেছে। তাই তাকে শনাক্ত করতে যাতে পুলিসের সুবিধা হয়, তাই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এই ছবিগুলো। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অমৃতপালের ৭০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এবারে অমৃতপালের খোঁজে পঞ্জাব পুলিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিএসএফও।
পঞ্জাব পুলিসের আইজিপি সুখচেন সিং গিল বলেন, 'অমৃতপাল সিং-এর বিভিন্ন পোশাকে সাতটি লুকের ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এই ছবিগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিন যাতে তাঁরাও অমৃতপালকে শনাক্ত করে তাকে পঞ্জাব পুলিসের কাছে ধরিয়ে দিতে পারে।'
আবার জানা গিয়েছে, ভাতিন্ডা এডিজিপি সুরিন্দর পাল সিং জানিয়েছেন, ভাতিন্ডা ও মানসা থেকে অমৃতপালের ৭০ জন সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করাও শুরু হয়েছে।
পলাতক পঞ্জাবের (Punjab) বিচ্ছিন্নতাকামী, খলিস্তানপন্থী স্বঘোষিত নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। তাকে হাতে পেতে মরিয়া পঞ্জাব পুলিস। অমৃতপাল সিংকে খুঁজে বের করতে গোটা পঞ্জাবজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পঞ্জাব পুলিস সূত্রে খবর, তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল এক সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে সে মার্সিডিজ গাড়ি থেকে নেমে মোটর বাইকে চেপে রাজ্য ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। কারণ পুলিসের অনুমান, সে এতক্ষণে রাজ্যের সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার জলন্ধরের এক টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তার এক ঝলক দেখা গিয়েছে, সেসময় সে একটি মারুতি ব্রেজা গাড়ির সামনের দিকে বসেছিল। এই ফুটেজটি শনিবার সকাল ১১টা ২৭ মিনিটের। জানা গিয়েছে, অমৃতপাল সিং প্রথমে একটি মার্সিডিজ এসইউভি গাড়িতে ছিল, এরপর গাড়ি পরিবর্তন করে মারুতি ব্রেজাতে চেপে শাহকোটের দিকে রওনা দেয়। সেখানেই সে তার জামা-কাপড়, পাগড়ি বদলে ফেলে। এরপর দুই ঘনিষ্ঠের সহায়তায় একটি বাইকে করে পালিয়ে যায় সে। বাইকে করে পালানোর সময় তাকে একটি গোলাপি রংয়ের পাগড়ি ও শার্ট-প্যান্টে দেখা যায়। উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকেই অমৃতপালকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পঞ্জাব পুলিস। শনিবার দুপুর থেকে গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে শেষমেশ পুলিসের নাকের নীচ দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে অমৃতপাল।
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার ব্রেজা গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে ও যে চারজন অমৃতপালকে পালাতে সাহায্য করেছিল, তাদেরও গ্রেফতার করেছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত অমৃতপালের কাকা-সহ ১২০ জনের বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' নামের চরমপন্থী সংগঠনের কিছু সদস্যদের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিসের চোখের সামনে থেকেই বারবার পালিয়ে যাচ্ছে অমৃতপাল। ফলে এই ঘটনায় পঞ্জাব সরকার ও পঞ্জাব পুলিসকে ভর্ৎসনা করেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। প্রশ্ন করেছে আদালত, 'আপনাদের ৮০ হাজার পুলিসকর্মী রয়েছে। কী করছেন তাঁরা? কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে অমৃতপাল সিং?' এটিকে 'প্রযুক্তির ব্যর্থতা' বলেই উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট।
জনপ্রিয় পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moose Wala) খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তি সলমন খানকে নিকেশ করার জন্য তৈরি ছিল। এমনকী রেইকিও সেরে ফেলেছিল সে। এমনটাই জানিয়েছিল পঞ্জাব পুলিস। এমনকি বলিউড ভাইজান (Salman Khan) ও তাঁর বাবাকে হুমকি চিঠিও পাঠিয়েছিল। এরপর মুম্বই পুলিসের (Mumbai Police) তরফে বাড়ানো হয় সলমনের নিরাপত্তা।
এবার শনিবার সলমন খানের অফিসে হুমকি ইমেল (Threatening email) আসে। জানা গিয়েছে, রোহিত গর্গ নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে এসেছে মেল। গোল্ডি ব্রারের মতো অপরাধীর নাম করে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এরপরই তড়িঘড়ি মুম্বই পুলিস তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। আর সে কারণেই হয়তো চলতি বছরের গোড়ার দিকে কলকাতায় আসার কথা থাকলেও তা বাতিল করেছেন সল্লু ভাই।
উল্লেখ্য, শনিবারের ওই হুমকি মেলের পর থেকে মুম্বই পুলিস ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬(২) হুমকি, ১২০(বি) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ৩৪ ধারার অধীনে মামলা রজু করে তদন্ত শুরু করেছে। আবার নতুন করে হুমকি আসায় চিন্তিত সলমনের পরিবার থেকে শুরু করে অনুরাগী মহল সকলে।
জানা গিয়েছে, জানুয়ারির ২০ তারিখ ইকো পার্কে ছিল সেই অনুষ্ঠান। আর ১৯ তারিখ কলকাতায় আসার কথা ছিল ভাইজানের। গত নভেম্বরে সলমন খানের ভাই সোহেল খান এবং ব্যক্তিগত দেহরক্ষী কলকাতায় এসে অনুষ্ঠানের স্থান পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছিলেন। পাশপাশি নিরাপত্তাব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেছিলেন। এরপরই ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্দেহ থাকায় শো বাতিল করেছিলেন। অভিনেতার তরফে বলা হয়েছিল স্থান সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এই সিদ্ধান্ত। যদিও এখন মনে করা হচ্ছে নিরাপত্তাজনিত কারণেই সলমন কলকাতায় আসেননি।
পঞ্জাবের (Punjab) বিচ্ছিন্নতাকামী, খলিস্তানপন্থী স্বঘোষিত নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh) পলাতক। তাঁর কনভয়ের পিছুও নিয়েছিল বিশাল পুলিসবাহিনী (Police)। রাজ্য পুলিসের সেই বাহিনীতে ছিলেন সাত জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। তবে জানা গিয়েছে, এত কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও পুলিসের চোখের সামনে দিয়েই বাইকে চড়ে পালিয়ে গিয়েছেন অমৃতপাল।
জানা গিয়েছে, 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' নামের একটি চরমপন্থী সংগঠন চালান অমৃতপাল। অভিনেতা তথা সমাজকর্মী দীপ সিধু এই সংগঠনের সূচনা করেন। তবে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দীপের। তারপর থেকেই অমৃতপালের হাতেই ওঠে সংগঠনের রাশ। এমনকি একাধিক ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন অমৃতপাল সিং। সম্প্রতি তিনি পঞ্জাববাসীকে ভুল বার্তা দিয়ে ভুল পথে চালিত করছিলেন বলে অভিযোগ। তাতেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। শনিবার থেকেই অমৃতপালকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিল পঞ্জাব পুলিস। শনিবার দুপুর থেকে গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে শেষমেশ পুলিসের হাত ফস্কে পালিয়ে গিয়েছে অমৃতপাল।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকেই জালন্ধরের শাহকোটে সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিলেন অমৃতপালের পঞ্জাবের উত্তরাধিকারী সংগঠনের নেতা এবং কর্মীরা। লাঠি, তরোয়ার এবং বন্দুক নিয়ে কয়েকশো সমর্থক থানার ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। ফলে জখমও হন বেশ কয়েক জন পুলিসকর্মী। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই অমৃতপালকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শনিবার পুলিসের চোখের সামনে থেকেই পালিয়ে গিয়েছেন অমৃতপাল।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অমৃতপালের অনেক সহযোগী এবং ঘনিষ্ঠদের পুলিসি হেফাজতেও রয়েছেন। এমনকি পঞ্জাব পুলিসের হাতে বন্দি অমৃতপালের অর্থনৈতিক সহায়ক দলজিৎ সিংহ কলসিও। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। এবার পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। সকাল থেকে নানা নাটকীয় ঘটনা। পঞ্জাবে (Punjab) বিচ্ছিন্নতাকামী, খালিস্তানপন্থী নেতা তথা স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংকে (Amritpal Singh) গ্রেফতারির প্রস্তুতি চলছিল সকাল থেকে। এদিনই অমৃতপালের ছয় সহযোগীকে আটক করে পুলিস। মূল মাথা অমৃতপালকে গ্রেফতার (Arrested) করার জন্য রবিবার দুপুর পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা (Close Internet Service) বন্ধ রাখা হয়েছে গোটা পঞ্জাবে। পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে বুঝেই এমন সিদ্ধান্ত। অবশেষে ইঁদুর দৌঁড় দৌঁড়ে গ্রেফতার হলেন শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল সিং।
তাঁকে গ্রেফতার করতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। পঞ্জাব পুলিসের বিশেষ দল, সাত জেলার পুলিসকর্মী এবং আধা সেনাবাহিনীর সহায়তায় এ অভিযান সফল হয়েছে। পঞ্জাব পুলিস সূত্রে খবর, পুলিসি বেড়াজাল এড়িয়ে জলন্ধরের শাহকোট তেহসিলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন অমৃতপাল। খবর পেয়ে তাঁর পিছনে ধাওয়া করতে থাকে বিশাল পুলিসবাহিনী। শেষমেশ মেহতপুরে এনে ফেলা হয় তাঁকে। গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে পুলিস। বন্ধ করে দেওয়া হয় শাহকোটমুখী সব রাস্তা। এরপরই সব নাটকীয়তার অবসান হয়। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
ঘটনার সূত্রপাত কোথা থেকে? 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' নামের একটি চরমপন্থী সংগঠনও চালান অমৃতপাল। অভিনেতা তথা সমাজকর্মী দীপ সিধু সংগঠনের সূচনা করেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দীপের। তারপর থেকে অমৃতপালের হাতেই সংগঠনের রাশ। গত কিছুদিন ধরে তিনি পঞ্জাববাসীকে ভুল বার্তা দিয়ে ভুল পথে চালিত করছিলেন বলে অভিযোগ। তাতেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
এছাড়া, একাধিক ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন অমৃতপাল সিং। জি-২০ সম্মেলন শেষ হলেই তাঁকে গ্রেফতার করার পরিকল্পনা ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিল পঞ্জাব প্রশাসন।
ফের ড্রোন (Pak Drone) ব্যবহার করে ওপার থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা অব্যাহত। উদ্ধার পাকিস্তানি ড্রোন। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত সেই ড্রোন থেকে এক কেজি মাদক (narcotics) উদ্ধার হয়েছে। সোমবার ভারত-পাক সীমান্তে পঞ্জাবের (Punjab Border) গুরদাসপুর থেকে বিএসএফ (BSF) এই ড্রোন বাজেয়াপ্ত করেন।
বিএসএফ-র বক্তব্য, ‘‘গুরুদাসপুরের কসোয়ালে আমাদের ঘাঁটি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে একটি পুরনো ভাঙাচোরা ড্রোন পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে ১ কেজি ওজনের হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।’’
সোমবার দুপুরে স্থানীয় কৃষকদের চোখে এই ড্রোন পড়ে। খবর যায় বিএসএফ-এ, তারা এসে ড্রোনটি বাজেয়াপ্ত করে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বছর শেষেও পাক একটি ড্রোন ঢুকে পড়েছিল সীমান্ত এলাকায়। জানা গিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পঞ্জাবের অমৃতসরের জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ড্রোনটি।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের বাড়ির কাছে বোমা উদ্ধার। ভিভিআইপি জোনে এহেন ঘটনায় তৎপর পুলিস এবং সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার হওয়া বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে বম্ব স্কোয়াড। তবে এই ঘটনার সময় বাড়িতে অনুপস্থিত ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস সূত্রে খবর, চণ্ডীগড়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের ৫০০ মিটার দূরে হেলিপ্যাডের কাছে একটি সন্দেহজনক বস্তু দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সোমবার বিকেলের দিকে এক প্লাম্বার মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড ও বাসভবনের কাছে থাকা আমবাগানে ওই বস্তু দেখতে পান। খবর যায় পুলিসে। তাঁরা এসে সেই বস্তুকে বিস্ফোরক বলে সন্দেহ করে বম্ব স্কোয়াডকে খবর পাঠায়। তাঁরাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই সন্দেহজনক বস্তুকে একটি বোমা বলে চিহ্নিত করে।
এরপরই পুলিসের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ড এই ঘটনার তদন্তে। এই বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে চণ্ডীগড়ের নোডাল অফিসার জানান, 'আমরা খবর পাই যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া গিয়েছে। আমরা পরীক্ষা করে দেখি যে, সেটা একটি তাজা বোমা। আমরা উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করি। ওই বোমা কী ভাবে ওই জায়গায় এল তা-ও খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। আমরা বম্ব স্কোয়াডকে দিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে তন্নতন্ন করে তল্লাশি করেছি। এখন সেনাবাহিনী পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।'
পঞ্জাবের (Punjab) অমৃতসরে (Amritsar) ভারত-পাক সীমান্ত এলাকায় একটি ড্রোনকে (shot down drone) গুলি করে নামাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) (BSF)। সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনটি ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে বলে বিএসএফ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ঃ২০ মিনিটে ড্রোনটি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। বুধবার সকালে, সেনারা ভরপালের সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে প্রায় ২০ মিটার দূরে পাকিস্তানের দিকে ড্রোনটি পড়ে থাকতে দেখেছিল।
এরপর কয়েক মিনিটের জন্য আকাশে উড়তে দেখা যায় ড্রোনটি। তখনই কর্তব্যরত জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে গুলি করে নামিয়ে নেয়। ভারত-পাক সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের আগমন এই প্রথম নয়। গত এগারো মাসে পাকিস্তান থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ২২০টি ড্রোনের বেআইনি প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে বলে বিএসএফ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ড্রাই স্টেট বিহারের ছাপড়ায় বিষ মদ (Bihar Hooch Tragedy) খেয়ে মৃত্যু সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। সেই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল পঞ্জাব সরকার (Punjab Government)। সে রাজ্যের আপ সরকার বিষক্রিয়া হতে পারে এমন স্থানীয় মদ বিক্রি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। পঞ্জাবের সরকার দেশি মদ ছোট ছোট প্যাকেটে ভরে বিক্রির কথা ভাবছে। ৪০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত মদই পাউচে বিক্রি করা হবে, এমনটাই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। দাম কম হওয়ার কারণে গ্রাম ভারতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি স্থানীয় মদের রমরমা। সেই স্থানীয় মদের ‘স্বাস্থ্যকর বিকল্প’ হিসাবেই এই দেশি মদ বিক্রির চিন্তাভাবনা ভগবন্ত মান সরকারের (Mann Government)।
পঞ্জাবের আবগারি দফতর জাতীয় এক সংবাদ আমধ্যমকে জানিয়েছে, পঞ্জাবের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ‘লহান’ নামে এক মদ খুব জনপ্রিয়। ভারতে তৈরি অন্য মদগুলির তুলনায় এই স্থানীয় মদে অ্যালকোহলের পরিমাণও কম। ২৫ থেকে ৪০ টাকার ছোট প্যাকেটে বিক্রি হয় লহান। সরকারের তরফেও যদি কম টাকায় এবং ছোট প্যাকেটে কম ক্ষতিকর দেশি মদ বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে এই ধরনের বিষমদ খাওয়ার প্রবণতা কমতে পারে।
এদিকে, বিহারে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই কোণঠাসা সে রাজ্যের নীতীশ কুমার সরকার। ড্রাই স্টেট হলেও আবগারি নীতি কেন এতটা দুর্বল? সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) পর স্ত্রী ব্যভিচারী এবং নিষ্ঠুর হলে ভরণপোষণের (Alimony) দায় নেবেন না স্বামী। এক মামলায় এমন তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট (Punjab-Haryana High Court)। এমনকি মামলাকারী এক মহিলার ভরণপোষণের আবেদন নাকচ করেছে আদালত। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি ঋতু বাহ্রি এবং বিচারপতি নিধি গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় স্ত্রীর স্থায়ী ভরণপোষণের আবেদন নাকচ করেছে আদালত। সূত্রের খবর, সেই মহিলার বিরুদ্ধে ব্যভিচারিতা এবং নিষ্ঠুরতার অভিযোগ ছিল। পারিবারিক আদালতে তার ভিত্তিতেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মামলাকারী ব্যক্তির বিবাহ হয় ১৯৮৯ সালে। কিন্তু তিনি বিয়ের কয়েক বছর পর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। স্ত্রীর উগ্র ব্যবহার, এই অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন মামলাকারী। অভিযোগ, স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অপমান করেছেন স্ত্রী।
এ ছাড়া সেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগও এনেছেন মামলাকারী। তিনি জানিয়েছেন, পরপুরুষের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। যাবতীয় অভিযোগের সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দেন ওই ব্যক্তি। এরপরেই পারিবারিক আদালত বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর বসায়।
কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের পর স্বামীর থেকে স্থায়ী ভরণপোষণ দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। কিন্তু উচ্চ আদালত তাঁর আবেদন নাকচ করে পর্যবেক্ষণে বলছে, বিবাহবিচ্ছেদের আগে এবং পরে মহিলা অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। ব্যভিচার এবং নিষ্ঠুরতার দায়ে তিনি অভিযুক্ত। তাই তিনি স্বামীর কাছ থেকে স্থায়ী ভরণপোষণ পাবেন না।
সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moosewala) পর এবার শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা সুধীর সুরি, আততায়ীর গুলিতে পঞ্জাবে (Punjab) নিহত রাজনীতিবিদ। আর এই হত্যাকাণ্ডের (Assasination) পরেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে আপ (AAP Government) সরকারের অধীনে রাজ্যের পঞ্জাবের আইনশৃঙ্খলা। অমৃতসর শহরের এক প্রতিবাদ সভা চলাকালীন খুব কাছ থেকে এক আততায়ী সুধীর সুরিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তাঁর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বন্দুকও, এমনটাই অমৃতসর পুলিস সূত্রে খবর।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে আততায়ী স্থানীয় ব্যবসায়ী। বহুদিন ধরেই টার্গেট নিহত শিবসেনা নেতা। পুলিস সূত্রে খবর, শিবসেনা নেতারা মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময়ই ভিড় থেকে এসে সুরিকে গুলি করে অভিযুক্ত। ওই মন্দির চত্বরে আবর্জনার মধ্যে দেবদেবীর ভাঙা মূর্তির খোঁজ মেলায় শিবসেনা নেতারা মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বসেন। এই বিক্ষোভ চলাকালীন এক পুলিস আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন সুরি। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। অভিযুক্তর নাম সন্দীপ সিং।
যে জায়গায় গুলি চলেছে, সেটা একটি জনবহুল এবং আবাসিক এলাকা বলেও জানা গিয়েছে।
গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moosewala Murder) হত্যায় চাঞ্চল্যকর মোড়। পুলিস হেফাজত থেকে পালালো অন্যতম অভিযুক্ত (Sharpshooter Escaped) দীপক ওরফে টিনু। সূত্রের খবর, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ টিনু সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি-র (CIA) এক জন কর্মীর হেফাজতে ছিলেন। সেই সময় ওই কর্মীর চোখে ধুলো দিয়ে পালায় টিনু। তাঁর খোঁজ চলছে নতুন করে তল্লাসি।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ডান হাত বলে পরিচিত টিনু। আর সিধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে এই লরেন্স। এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জমা দেওয়া চার্জশিটে শ্যুটার হিসেবে যে ১৫ জনের নাম আছে, টিনু তাঁদের অন্যতম। ফলে দুর্ধর্ষ এই শার্প শ্যুটারের পালিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে।
গত মে মাসে পঞ্জাবের মানসায় এক আত্মীয়র বাড়ি যাওয়ার পথে প্রাণঘাতী হামলার মুখে পড়েন মুসেওয়ালা। তাঁর গাড়ি ঘিরে চলে গুলিবর্ষণ করা হয়। চালকের পাশের আসনে বসা মুসেওয়ালা, আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালান। কিন্তু শতাধিক গুলির সামনে কার্যত কিংকর্তব্যবিমুঢ় সিধু কিছুই করতে পারেননি। গাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। আশ্চর্যজনক ভাবে বেঁচে যান আক্রান্ত গাড়ির পিছনে বসা মুসেওয়ালার এক ভাই এবং এক বন্ধু।
এই ঘটনার কয়েক দিন আগেই পঞ্জাবে ক্ষমতা দখল করে আপ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কুর্সিতে বসেন ভগবন্ত মান। আর তারপরেই ভিভিআইপি নিরাপত্তা প্রত্যাহার বা কমিয়ে দেওয়ার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্জাব সরকার। সেই তালিকায় ছিলেন মুসেওয়ালাও। দুষ্কৃতীরা পঞ্জাব সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ঢাল করে কার্যত নিরপত্তাহীন সিধুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে কার্যসিদ্ধি করে।