
সবজি থেকে মাছ কিংবা মাংস অগ্নিমূল্য বাজারের দাম। করোনা (covid19) পরিস্থিতিতে যখন হাই প্রোটিন ডায়েট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা, তখন অন্যদিকে চড়চড়িয়ে বাড়ছে মুরগির মাংস (chicken) ও আলুর (potato) দাম। ইতিমধ্যেই কাটা মুরগির দাম কলকাতার বাজারে ২৮০ পার করেছে। মাংসের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি হওয়ায় নাজেহাল মধ্যবিত্তরা।
এদিন মানিকতলা বাজারের (maniktala market) বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, পেট্রোল (petrol) ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হওয়াতেই তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাজারগুলিতে। সামনেই জামাই ষষ্ঠী, কিন্তু এই দাম কমার কোনও আশা নেই। এমনিতেই বিক্রি কম, তার ওপর দাম বৃদ্ধিতে সমস্যা বাড়বে।
একই অবস্থা আলুর বাজারেও। মধ্যবিত্তের পাতে কিছু থাকুক না থাকুক আলু সেদ্ধ হলেই যথেষ্ট। কিন্তু সেখানেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। মানিকতলা বাজারে কিলো প্রতি জ্যোতি আলু বিক্রোচ্ছে হচ্ছে ৩০ টাকা। চন্দ্রোমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কিলো।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে ক্রেতা না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। হচ্ছে না তাঁদের মুনাফা। তবে শুধু আলু নয়, অন্যান্য সবজির দামও অগ্নিমূল্য। ক্রমাগত বৃষ্টিতেই এই আলুর দাম বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতা।
ক্রেতারা জানান, মধ্যবিত্তের সব রান্নাতেই আলু দরকার। কিন্তু আলুর দামের ঠেলায় টান পড়েছে মধ্যবিত্তের পকেটে। কারণ, আয় বাড়ছে না কিন্তু ব্যায় বেড়েই চলেছে। সব জিনিসের দাম বাড়ছে। দারুণ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ১১০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম (Petrol-Diesel price hike)। গ্যাসের (Cylinder gas price hike) দাম রেকর্ড গড়ে হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। আকাশছোঁয়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও । এমনকি প্রত্যেকদিনই বাড়ছে রান্নার তেল (Cooking oil), আলু থেকে শুরু করে শাক-সবজির দাম। তার মধ্যে গত আট বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation increase))। এতে সাধরণ মানুষ আরও শোচনীয় অবস্থার মধ্যে পড়তে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বৃহস্পতিবার এপ্রিল মাসের খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি সূচক প্রকাশ করা হয়। আর তাতে রীতিমত চক্ষুচড়কগাছ বিশেষজ্ঞদের।
রিপোর্ট বলছে, এপ্রিল মাসে দেশে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭৯ শতাংশে। এই নিয়ে টানা যেখানে মার্চ মাসেই ৬.৯৫ শতাংশ ছিল খুচরোর মুদ্রাস্ফীতির হার। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এপ্রিল মাসে এই হার ছিল ৪.২৩ শতাংশ। এক বছরের মধ্যে তা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি।
অন্যদিকে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির (Food inflation ) হারও ক্রমশ বাড়ছে। মার্চ মাসে এই হার ৭.৬৮ শতাংশ ছিল। সেখানে এপ্রিল মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৮ শতাংশ। প্রকাশিত তথ্য বলছে গত এক বছর আগেও এই সময়ে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১.৯৬ শতাংশ।
আরও ভয়ংকর হতে চলেছে পরিস্থিতি। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India)গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আরবিআইয়ের (RBI) বেঁধে দেওয়া দেওয়া মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৬ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি সেই সীমা গত চার মাস ধরেই অতিক্রম করে চলেছে। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট(Repo rate ) বাড়িয়েছে। আর এই অবস্থায় খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে জিনিসের দাম এখনই কমবে না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাঁকুড়ার মাচানতলায় বিজেপির (BJP Rally) কর্মসূচিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেন দলীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আলুর দামবৃদ্ধির জন্য রাজ্যকে দায়ী করে মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেতাদের পিছনে পেট্রোল দেওয়ার নিদান দিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। ভয়মুক্ত বাংলা, হিংসামুক্ত রাজনীতির দাবি তুলে বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) হিন্দু হাইস্কুল ময়দান থেকে পদযাত্রা করে মাচানতলায় আকাশ মুক্তমঞ্চে সভা করেন দিলীপ ঘোষ। যদিও দিলীপের এই মন্তব্যকে সমালোচনার সুরে বিঁধেছে তৃণমূল।
ওই সভার মঞ্চ থেকেই দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আলু ১৫-২০ টাকা বেড়ে আজ ৩৫ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। আলু কি ইউক্রেন থেকে আসে, না রাশিয়া থেকে আসে? ৯০ টাকার পেট্রোল যদি ১১৫ টাকা হয়, তাহলে দাম বাড়ল ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। আর আলু ১৮ টাকা থেকে ৩৬ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ ১০০ শতাংশ দাম বেড়েছে। পেট্রল কেউ খায় না, কিন্তু আলু সবাই খায়। এখন তৃণমূল নেতাদের ধরে পিছনে একটু পেট্রোল দিয়ে দিন। দেখুন তারা কেমন দৌড় মারবে। আমরা ছোটবেলায় বদমায়েশি করে কুকুরের পিছনে পেট্রল দিয়ে দিতাম।'
আর রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির এহেন মন্তব্যকে কুরুচিকর আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শ্যামল সাঁতরা। তিনি বলেছেন, 'বিজেপি নেতা হিসেবে দিলীপ ঘোষ তৃণমূল নেতারদেরকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে পিছনে পেট্রোল দেওয়ার কথা বলেছেন। কুরুচিকর এই মন্তব্যের জন্য আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। বিজেপির সংস্কৃতি কোন জায়গায় পৌঁছেছে, সেটা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে। আর এই ধরনের মন্তব্যর জন্য আগামি দিনেও বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখান করবে।'
মঙ্গলবার দুটি উৎসব গেল। ইদ এবং অক্ষয় তৃতীয়া। কিন্তু কোনও খবরে তেমন খাওয়াদাওয়ার ছবি পাওয়া গেল না। যাবেটা কী করে, যা দাম! জানাচ্ছেন এক সিনিয়র সিটিজেন। পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া, নিয়মিতহারে বেড়েই চলেছে। প্রধানমন্ত্রী দুষছেন রাজ্যকে, রাজ্য কেন্দ্রকে। এই ডুয়েলের মধ্যে নাজেহাল আমজনতা।
এটা তো বাস্তব, পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি মানেই সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর তার প্রভাব পড়া। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কিংবা নিজের রাজ্যে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় খাদ্যসামগ্রী ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে সচল থাকে। ফলে গোটা ভারতেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে বাধ্য। আজ আলুর দাম কলকাতা ও নিকটবর্তী অঞ্চলে ৪০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৩০ টাকা। এই দুটি সবজি নিত্য মানুষের পাতে পড়ে। দামের নমুনা যদি এই হয়ে যায়, তবে মানুষ খাবে কী? প্রতি বছর অদ্ভুত কারণে আলুর দাম আকাশচুম্বী হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে সরকার। শেষ পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলুর আগমন হয়।
শুধু আলু-পেয়াঁজ বলে নয়, প্রতিটি শাকসবজির দাম অসম্ভব রকম বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে মাছপ্রিয় বাঙালির পাতে আজ মাছ কোথায়? তেলাপিয়া কিংবা নাইলনটিকা জাতীয় সস্তার মাছ যা কিনা অনেক বাঙালির অপছন্দ, তার দামও ২৫০ টাকা কেজি হয়েছে। পাশাপাশি দুধের দাম বেড়েছে। ফলে সেটাও একটা চাপ। কলকাতার বিভিন্ন বাজারে তবু কিছু সস্তার মাছ, তরিতরকারি পাওয়া গেলেও মফসসল বা গ্রামে দাম কিন্তু কম নয়। আজ থেকে ৭-৮ বছর আগে যে কোনও বিয়েবাড়িতে ক্যাটারার দিয়ে ভালো খাওয়াতে গেলে প্লেট প্রতি বড়জোর ৪০০ টাকা খরচ হত। আজ সাদামাটা প্লেটের মূল্য ৭০০ টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে, মানুষ খাওয়াবে কী? মিষ্টির দাম দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ হয়েছে। বাঙালির মিষ্টি খাওয়ার বাসনা গিয়েছে। রসনার স্বাদ, বাসনায় বাঁধা পড়েছে।
মানুষকে সুরাহা দিতে রাজ্যগুলিকে পেট্রোপণ্যে কর (Vat on Fuel) কমাতে আবেদন প্রধানমন্ত্রীর। মূলত অবিজেপি রাজ্যগুলিকে মোদী (PM Modi) বুধবার এই আবেদন করেছেন। তাঁর মন্তব্য, 'জাতীয় স্বার্থে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে জ্বালানির উপর ভ্যাট কমাক রাজ্যগুলো।' এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী (PM meets CM)।
সেই বৈঠকেই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অবিজেপি রাজ্যগুলির কাছে এই আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, 'গত বছর নভেম্বরে কেন্দ্র জ্বালানির উপর কর কমিয়েছে। বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্য সেই পথ অবলম্বন করেছে। কিন্তু কিছু রাজ্যে এখনও ভ্যাট কমেনি। আমি কারও সমালোচনা করছি না, শুধু ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তেলেঙ্গানা ভ্যাট কমিয়ে মানুষকে সুরাহা দিন।'
রীতিমতো অনুরোধের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'যা করার ছিল, সেটা করা হয়নি। এখন ভ্যাট কমিয়ে মানুষকে সুরাহা দিন। জাতীয় স্বার্থে সাহায্য করুন।' করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্র-রাজ্যের সম্মিলিত উদ্যোগেই এই কাজ সম্ভব দাবি করেন তিনি।
এদিকে, সংক্রমণবৃদ্ধি এবং চতুর্থ ঢেউয়ের (Fourth Wave) আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী (CM-PM Modi Meet)। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সংক্রমণের (coronavirus) হাত থেকে বাঁচতে একগুচ্ছ দাওয়াই এদিন ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সংক্রমণ তিন লক্ষ ছাড়িয়েছিল। সেই সময় রাজ্যগুলি কঠোরভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল। ভবিষ্যতেও সেই পথে হাঁটতে হবে। প্রচুর করোনা পরীক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। কোন কোন অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, সে দিকেও নজর দিতে হবে।'
তিনি জানান, দেশের গবেষক এবং বিশেষজ্ঞরা বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। তাঁদের পরামর্শ মেনে সংক্রমণবৃদ্ধির আগেই তাকে নির্মূল করতে হবে। তাঁর দাবি, 'বিশেষজ্ঞদের মতে টিকাকরণ করোনা প্রতিরোধে অন্যতম উপায়। দেশের প্রায় ৯৬% ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিকে করোনার প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে।' যেহেতু স্কুল খুলেছে, তাই সন্তানদের সংক্রমণ নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। শিশু টিকাকরণে জোর দিতেও রাজ্যগুলিকে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী।
বগটুই কাণ্ডে (bogtui case) অভিযুক্ত রিটন শেখের বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে এবার তোলপাড়। কেটেছে প্রায় ১ মাস। এখনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কিনারা করতে পারেনি সিবিআই (CBI)। রবিবার বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে ধৃত টোটোচালক রিটন শেখকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় রামপুরহাট মহকুমা আদালত (Rampurhat sub-division court))। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৩ ই এপ্রিল বগটুই গ্রাম থেকে রিটন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর ১৪ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে ছিল রিটন। আজ সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় অভিযুক্তকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযুক্তকে ফের ২৯ এপ্রিল আদালতে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এরপরই আদালত থেকে বেরিয়ে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য রিটনের। "ডলার পেট্রল আনতে বলেছিল সেদিন"- অভিযোগ করলেন রিটন শেখ। এই ডলারই লালন শেখের ভাগ্নে বলে জানা যায়।
পাশাপাশি আজই রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে আসেন দমকলের অফিসার সহ বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁদের ঘণ্টাখানেক ধরে জিজ্ঞাসা বাদ করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, বগটুই গ্রামে দুটি টোটোর সন্ধান মিলেছিল। গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছিল, এই দুটি টোটো করেই সেই অভিশপ্ত রাতে পেট্রল আনা হয়েছিল গ্রামে বাড়িতে আগুন লাগানোর জন্য। এরপর সেই টোটো দুটি পরীক্ষার জন্য কলকাতা থেকে আসে ফরেনসিক টিম। টিমের আধিকারিকরা টোটো দুটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন। জানা যায়, ২২ মার্চ রাণা শেখের মা কয়েকজনকে নিয়ে এখানে এসে টোটো দুটি রেখে চলে যান। হলুদ রংয়ের টোটোটি চালাতেন রাণা শেখ যাত্রী পরিবহণের কাজে। অন্য টোটোটি তাঁর বাবার বলে জানা গিয়েছে। তাতে তিনি ফল আনা-নেওয়ার কাজ করতেন।
আরও দামী পেট্রোল-ডিজেল। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়েই চলেছে জ্বালানি তেলের মূল্য। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি জারি থাকল। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে। বেড়ে যাচ্ছে গাড়িভাড়াও। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের এমন দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৫.১০ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৯.৮১ টাকা। অর্থাৎ লিটারে এদিন ডিজেলের দাম বেড়ে প্রায় সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই।
যদিও ভাড়া বাড়াছে না বলে দাবি করছেন এক ট্যাক্সি চালক। তিনি জানিয়েছেন, তেলের দাম বেড়ে চলেছে। এরপর রাস্তায় ট্যাক্সি নিয়ে বেরোনো বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে ভাড়া বাড়াচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। ভাড়া বেশি দিতে চাইছেন না যাত্রীরা। এভাবে চললে এই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।
মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে আমজনতার নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। একলাফে বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে গাড়ি ভাড়াও। সব মিলিয়ে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কম-বেশি বাড়ছে জ্বালানির দাম। অন্যদিকে এর প্রতিবাদে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী দলগুলি। রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ।
শনিবারই বগটুই গ্রামে দুটি টোটোর সন্ধান মিলেছিল। গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছিল, এই দুটি টোটো করেই সেই অভিশপ্ত রাতে পেট্রল আনা হয়েছিল গ্রামে বাড়িতে আগুন লাগানোর জন্য।
রবিবার সেই টোটো দুটি পরীক্ষার জন্য কলকাতা থেকে এল ফরেনসিক টিম। টিমের আধিকারিকরা টোটো দুটি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন। জানা যায়, ২২ মার্চ রাণা শেখের মা কয়েকজনকে নিয়ে এখানে এসে টোটো দুটি রেখে চলে যান। হলুদ রংয়ের টোটোটি চালাতেন রাণা শেখ যাত্রী পরিবহণের কাজে। অন্য টোটোটি তাঁর বাবার বলে জানা গিয়েছে। তাতে তিনি ফল আনা-নেওয়ার কাজ করতেন।
টোটো দুটি করে সত্যিই কি সেদিন রাতে পেট্রেোল আনা হয়েছিল। আনলে এর সঙ্গে কারা জড়িত। এই ধরনের নানা তথ্য খুঁজে পেতে মরিয়া সিবিআই আধিকারিকরা।
ফের বাড়ল পরিবহণ জ্বালানির (Fuel Price) দাম। গত ১৪ দিনে গড়ে প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। রবিবার লিটার প্রতি ৮৪ পয়সা বেড়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম।কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১১৩ টাকা ৩ পয়সা আর ৮০ পয়সা বেড়ে ডিজেলের দামও সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পথে। রবিবার রাজ্যের পেট্রোল পাম্পে ডিজেলের দাম ৯৭ টাকা ৮২ পয়সা। শুধু শহর কলকাতা নয়, পরিবহণ জ্বালানির (Petrol-Diesel) দাম প্রতি রাজ্যেই ঊর্ধ্বমুখী।
এদিকে, শনিবার বেড়েছিল বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। প্রতি লিটারে এই দুই পরিবহণ জ্বালানির দাম ৮০ পয়সা বেড়েছে। শনিবার পর্যন্ত গত ১২ দিনে ৭ টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে এই দুই পরিবহণ জ্বালানি। দিল্লি এবং চেন্নাই বাদে গোটা দেশেই পেট্রোলের দাম লিটারে ১১০ টাকা ছাড়িয়েছে। ডিজেলে প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই। কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১২.১৯ পয়সা আর ডিজেল ৯৭.০২ পয়সা।
শেষ নভেম্বরে একপ্রস্থ দাম কমানো হয়েছিল এই জ্বালানির। ১০ মার্চের পর থেকে ফের ধাপে ধাপে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। এদিকে, শেষ বৃহস্পতিবার বেড়েছে জ্বালানির দাম। দশ দিনে নয়বার বৃদ্ধি পেয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় লিটার প্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে ডিজেলের দাম। আর ৮৩ পয়সা করে বেড়েছে পেট্রোলের দাম। যার জেরে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছিল ১১১.৩৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৬.২২ টাকা।
সেই বাড়িতে আগুন (Fire) লাগানোর জন্য যে টোটো (Toto) দুটি করে গ্রামে পেট্রোল (Petrol) আনা হয়েছিল, অবশেষে সেগুলির হদিশ মিলল। একইসঙ্গে সেখানেই পাওয়া গিয়েছে একটি মোটর সাইকেল (Motor Cycle), যেটিও ওই অভিশপ্ত রাতের পর সেখানে রেখে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারপর আর কেউ নিয়ে যায়নি। তার উপর ধুলো জমে গিয়েছে।
ওই গ্রামে গিয়ে জানা গেল, দুটি টোটোর মধ্যে একটির মালিক রানা শেখ। হলুদ রঙের এই টোটোতে যাত্রী পরিবহণ করতেন রানা শেখ নিজে। পাশের বাড়িতেই খড়ের গাদার পাশে রয়েছে অন্য টোটো, যার মালিক রানা শেখের বাবা। দুটি টোটোরই পিছনের সিটে এখনও পেট্রোলের গন্ধ পরিষ্কার পাওয়া যাচ্ছে। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, রানা শেখের বাবা ফলের ব্যবসা (Fruit Business) করতেন এবং টোটোটি ব্যবহার করতেন সেই কাজে। ওই টোটোতে করেই পেট্রোল আনা হয়েছিল কি না, তা এখানকার মানুষ জানেন না বলেই জানিয়েছেন। তবে তাঁরা যে এমন অভিযোগ শুনেছেন, তা স্বীকার করেছেন।
ফলে তদন্তের কাজে এই দুটি টোটো এখন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম (Petrol-Diesel Price)। প্রতি লিটারে এই দুই পরিবহণ জ্বালানির দাম ৮০ পয়সা বেড়েছে। গত ১২ দিনে ৭ টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে এই দুই পরিবহণ জ্বালানি। দিল্লি এবং চেন্নাই বাদে গোটা দেশেই পেট্রোলের দাম লিটারে ১১০ টাকা ছাড়িয়েছে। ডিজেলে প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই। কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১২.১৯ পয়সা আর ডিজেল ৯৭.০২ পয়সা।
শেষ নভেম্বরে একপ্রস্থ দাম কমানো হয়েছিল এই জ্বালানির। ১০ মার্চের পর থেকে ফের ধাপে ধাপে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। এদিকে, শেষ বৃহস্পতিবার বেড়েছে জ্বালানির দাম। দশ দিনে নয়বার বৃদ্ধি পেয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় লিটার প্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে ডিজেলের দাম। আর ৮৩ পয়সা করে বেড়েছে পেট্রোলের দাম। যার জেরে আজ,বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১১.৩৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৬.২২ টাকা।
একদিকে পরিবহণ জ্বালানির (Petrol-Disel) দামবৃদ্ধি, অপরদিকে রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধি। এই আবহেই এবার বাণিজ্যিক এলপিজি (Commercial LPG) গ্যাসের দাম বাড়ল ২৫০ টাকা। সিলিন্ডারপিছু আড়াইশো টাকা দাম বেড়ে কলকাতায় ১৯ কেজি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ২,৩৫১ টাকা। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রতি মাস পয়লায় গ্যাস সিলিন্ডারের দাম পর্যালোচনা করে নির্ধারণ করা হয় দাম।
জানা গিয়েছে, মার্চে এক ধাক্কায় ১০৫ টাকা দামবৃদ্ধির পর বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দু’হাজার পেরিয়ে গিয়েছিল। তবে বাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আর বাড়েনি। রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল দিন কয়েক আগেই। মার্চে শেষবার সিলিন্ডারপ্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল দাম। বর্তমানে গৃহস্থ রান্নায় ব্যবহৃত ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম প্রায় ৯৫০ টাকা।
অপরদিকে গত ৯ দিনে ১০ বার বেড়েছে পরিবহণ জ্বালানি অর্থাৎ পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যদিও শুক্রবার এখনও পর্যন্ত এই জ্বালানির দামবৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলেই খবর।
ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। দশ দিনে নয়বার বৃদ্ধি পেল পেট্রোল-ডিজেল এর দাম। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় লিটার প্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে ডিজেলের দাম। আর ৮৩ পয়সা করে বেড়েছে পেট্রোলের দাম। যার জেরে আজ,বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১১.৩৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৬.২২ টাকা।
ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। নয় দিনে আটবার বৃদ্ধি পেল পেট্রোল-ডিজেল এর দাম। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন আপামর জনগণ।
বুধবার কলকাতায় লিটার প্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে ডিজেলের দাম। আর ৮৪ পয়সা করে বেড়েছে পেট্রোলের দাম। যার জেরে আজ,বুধবার কলকাতায় এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১০.৪৬ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯৫.৩৭ টাকা।
শোভাবাজার পেট্রোল পাম্পের এক কর্মী জানান, প্রতিদিন উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম। এর জেরে মানুষজন খুবই কম আসছেন। ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। আগামীদিনে এমন চলতে থাকলে ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
পেট্রোল ভরতে আসা এক বাইক আরোহী জানান, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে তাঁদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠছে। তিনি ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করেন। যে টাকা মুনাফা হয় তা সবটাই বাইকে তেল ভরতে গিয়ে চলে যায়। সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের কথা চিন্তাভাবনা করা।
উল্লেখ্য, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নির্মলা সীতারমন বলেন, রাশিয়া- ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবেই এ দেশে জ্বালানির দাম বাড়ছে। দুই দেশের সংঘর্ষে পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়ছে জ্বালানির উপর। এমনকি নাভিশ্বাস উঠেছে দিল্লি এবং মুম্বইবাসীরও। দিল্লিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়ে যথাক্রমে ১০১.০১ এবং ৯২.২৭ টাকা। আর মুম্বইয়ে বেড়ে হয়েছে পেট্রোল ১১৫.৮৮ টাকা এবং ডিজেল ১.০০.১০টকা।
ফের বাড়ল পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। ৩৫ পয়সা বেড়ে পেট্রোলের দাম ১০৮.৮৫ এবং ৩৫ পয়সা বেড়ে ডিজেলের দাম ৯৩.৯২। আগামীকাল থেকে এই মূল্য কার্যকর হবে।
এদিকে শনিবারও সকাল ৬টা থেকে ১০৭ টাকা ১৮ পয়সা থেকে বেড়ে পেট্রোলের নতুন দাম ১০৮ টাকা ০১ পয়সা। ৯২ টাকা ২২ পয়সা থেকে বেড়ে ডিজেলের নতুন দাম দাঁড়ায় ৯৩ টাকা ০১ পয়সা ।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে তিন বার বাড়লো পেট্রোল-ডিজেলের দাম। শুক্রবার প্রতি লিটারে ৮৪ পয়সা বেড়েছে পেট্রোলের দাম এবং ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৮০ পয়সা করে বেড়েছে। শুক্রবার কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ১০৭ টাকা ১৮ পয়সা এবং লিটারপ্রতি ডিজেল ৯২ টাকা ২২ পয়সা ছিল। রবিবার সকাল ৬ টার পর একপ্রস্থ বেড়েছে পেট্রোল- ডিজেলের দাম।
জানা গিয়েছে ক্রুড ওয়েলের দাম বৃদ্ধির জন্য এই বৃদ্ধি। যদিও গত কয়েকদিন একই দাম থাকার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই ৮৪ পয়সা বেড়েছিল পেট্রোলের দাম, ৮০ পয়সা বেড়েছিল ডিজেলের দাম। এই দাম বৃদ্ধির ফলে ১০৭.১৮ পয়সা, ডিজেলের দাম ৯২.২২ পয়সা ছিল। সূত্রের খবর এই দাম আরও বাড়বে। ফলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে পেট্রোল পাম্প ডিলাররা, আগামী দিনে ১২৫ টাকার বেশি হয়ে যেতে পারে পেট্রোলের দাম।