
রাস্তা দিয়ে চলামান একটি বিএমডব্লিউ (BMW) গাড়িতে (Car) আগুন (Fire)। সেই আগুন লেগে যাওয়া অবস্থাতেই ওই গাড়িটি এক কিমি পথ চলে যায়। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে দমকলের এক কর্মী হর্ষদ ইয়েওয়ালে তাঁর পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। তারপর তৎপরতার সঙ্গে পাশের একটি পেট্রল পাম্প থেকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকলকর্মী।
হর্ষদ বলেন, গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে দেখি রাস্তার পাশে একটি গাড়িতে আগুন জ্বলছে। গাড়ি থামিয়ে নেমে ছুটে যাই পাশের একটি পেট্রল পাম্পে। সেখান থেকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। সঙ্গে সঙ্গে খবর দিই দমকলকে। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় গাড়িটি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েওয়ালে। তবে আগুন লেগে যাওয়ায় গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই গাড়ির চালক। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ একটি গাড়ির সামনে আগুন লেগে যায়। কয়েক জন মিলে ওই গাড়ির চালককে সতর্ক করেন। গাড়ির চালক গাড়ি থামাতেই দাউ-দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো গাড়িতে। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নাকি অন্য কোনও কারণ আগুন লেগেছিল তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে দমকলবাহিনী।
স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিবহণ মন্ত্রী (পশ্চিমবঙ্গ সরকার): শোনা যাচ্ছিলো ২০২৪-কে কেন্দ্র করে অর্থাৎ আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে বোধহয় মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন মধ্যবিত্তদের সুবিধা হবে কিন্তু তাঁর দিশা কোথায়? ৭ লক্ষ বাৎসরিক আয় থেকে কর ছাড়ের কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ যার মাসিক রোজগার ৫৮ হাজার টাকা, প্রশ্ন ক'জন এই রোজগারের অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়ত এটা তো প্রত্যক্ষ করের বিষয় কিন্তু পরোক্ষ কর তো তাকে দিতেই হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমছে কি? প্রয়োজন তো ক্রেতার, কেনবার ক্ষমতা পাচ্ছে কি?
অর্থনীতির প্রশ্নে এই ডাইরেক্ট ও ইনডাইরেক্ট করই আমাদের অনেক সময়ে বোকা বানিয়ে দেয়। বাজেট অর্থনীতির প্রথম পাঠ, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে হবে। যেকোনও শিল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদন তখনই সার্থক হবে যখন ক্রেতার কেনার ক্ষমতা থাকবে। আমাদের প্রথম সংকট কিন্তু পেট্রোলিয়ামজাত বিষয়। করোনা আবহ থেকে যেভাবে পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, তা ভারতের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বলা যেতে পারে। এই মুহূর্তে শতাধিক টাকার বিনিময়ে লিটারপ্রতি পেট্রল পাওয়া যাচ্ছে, তথৈবচ ডিজেল এবং গ্যাস। উৎপাদিত দ্রব্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেই দাম হু-হু করে বেড়ে যাচ্ছে পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর কারণে। অথচ আজও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে পেট্রোলিয়াম সামগ্রীর দাম ভারতের তুলনায় কম।
কাজেই মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম দেওয়া যাচ্ছে না। পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে এটা আমার মস্ত মাথাব্যথার কারণ। সিগারেটের দাম বাড়লো, পাশাপাশি টিভির বা মোবাইলের দাম কমলো, এই দিয়ে কি পেট ভরবে? নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যবের মূল্যহ্রাস হলো কী? এছাড়া ১০০ দিনের কাজের বিষয় কোনও বার্তা কোথায়? ৩৮ হাজার শিক্ষকের নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, যেখানে ২ কোটি মানুষ কর্মের খোঁজে। কৃষকদের ক্ষেত্রে ছাড়ের বা অর্থলগ্নির কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে পরিষ্কার নেই। আপাত দৃষ্টিতে জমজমাট বাজেট মনে হলেও ধোঁয়াশাই রয়ে গেলো বাজেট। (অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত)
ফের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil)। বিশ্ববাজারে (World Market) শনিবার ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ও ডব্লিউটিআই ক্রুড অয়েলের দাম রেকর্ডবৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে। WTI অপরিশোধিত তেলের দাম শনিবার ১.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যারেল প্রতি ৭৯.৮৬ ডলারে ট্রেড করছে। অন্যদিকে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১.৪৯ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে ব্যারেল প্রতি ৮৫.২৮ ডলারে লেনদেন করছে। এই বৃদ্ধির পর দেশের কয়েকটি শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের (Petrol Diesel) দাম বাড়ানো হয়েছে। জেনে নিন, আজ কোন কোন শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম পরিবর্তন হয়েছে।
চার মহানগরের মধ্যে দিল্লিতে প্রতি লিটার পেট্রোল-ডিজেল যথাক্রমে ৯৬.৭২ টাকা ও ৮৯.৬২ টাকা। কলকাতা প্রতি লিটার পেট্রোল ১০৬.০৩ টাকা, ডিজেল ৯২.৭৬ টাকা। চেন্নাইতে পেট্রোল ১০২.৬৩ টাকা, ডিজেল প্রতি লিটার ৯৪.২৪ টাকা। মুম্বইয়ে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১০৬.৩১ টাকা, ডিজেল ৯৪.২৭ টাকা।
এছাড়া অন্যান্য শহরের মধ্যে নয়ডায় প্রতি লিটার পেট্রোল ৯৬.৫৮ টাকা, ডিজেল ৮৯.৭৫ টাকা। গাজিয়াবাদে প্রতি লিটার পেট্রোল ৯৬.৫৮ টাকা, ডিজেল ৮৯.৭৫ টাকা।লখনউতে পেট্রোল ৯৬.৫৭ টাকা, ডিজেল প্রতি লিটার ৮৯.৭৬ টাকা। পাটনায় প্রতি লিটার পেট্রোল ১০৭.২৪ টাকা, ডিজেল ৯৪.০৪ টাকা। পোর্ট ব্লেয়ারে পেট্রোল ৮৪.১০ টাকা, ডিজেল প্রতি লিটার ৭৯.৭৪ টাকা।
নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) বাজেট বক্তৃতা (Budget Speech) মোতাবেক অক্টোবরে পেট্রোল-ডিজেলে (Petrol-Diesel) লিটার প্রতি ২ টাকা অতিরিক্ত শুল্ক বসার কথা। কিন্তু উৎসব আবহে সেই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখল মোদী সরকার। নভেম্বরে জ্বালানিতে অতিরিক্ত ২ টাকা করে কর বসবে। সম্প্রতি এক গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। পেট্রোল-ডিজেলে অতিরিক্ত কর ধার্য হবে আগামী পয়লা নভেম্বর। প্রসঙ্গত, গত বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা জানান, ইথানল ও বায়ো-ডিজেলহীন পেট্রোল-ডিজেলে ১ অক্টোবর থেকে ২ টাকা অতিরিক্ত অন্তঃশুল্ক ধার্য হবে।
ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি আমদানিকারক দেশ। আখের নির্যাস অর্থাৎ ইথানল ১০ শতাংশ হারে পেট্রলে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে একদিকে আমদানির উপর নির্ভরতা কমে, তেমনই কৃষকদেরও বাড়তি আয়ের পথ খোলে। এদিকে, একটা সময় লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছিল জ্বালানির দাম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা পরবর্তী প্রভাবে সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গিয়েছে এই দুই পরিবহণ জ্বালানির দাম।
কিন্তু গত কয়েকমাস স্থিতাবস্থা বজায় রেখে একজায়গায় দাঁড়িয়ে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং জ্বালানি প্রসঙ্গে রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কমাতে সম্প্রতি মার্কিন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আরও নতুন নতুন কীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসছে। সিবিআই জানতে পেরেছে, তাঁর বাহিনী নাকি পেট্রোল পাম্পও (Petrol Pump) কার্যত দখল করেছে। বর্ধমানের এক ব্যবসায়ীর পেট্রোল পাম্প রয়েছে বীরভূমের ইলামবাজারে। অনুব্রতর ইন্ধনে সেই পেট্রোল পাম্প দখল করেছেন তৃণমূলের এক প্রাক্তন বিধায়ক এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সস্ত্রীক এক তৃণমূল নেতা, এমনটাই প্রকাশ্যে অভিযোগ করছেন ওই ব্যবসায়ী।
আমার পেট্রোল পাম্প দখলের পিছনে মাস্টারমাইন্ড অনুব্রত মণ্ডল। ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমার ডিলারশিপ বাতিল করিয়েছে। পুলিস-প্রশাসন কোনও সহযোগিতা করছে না। আমি মামলা করলেও আইনজীবীরা মামলা লড়তে সাহস করছে না। সব অনুব্রতর জন্য হচ্ছে। এদিকে শুধু পেট্রোল পাম্প নয়, বর্ধমানের বসতভিটা পর্যন্ত দখল করেছে। আমায় খুন (Murder) করার হুমকি (Threatning) দিচ্ছে। আমার বাড়িতে এসে হামলা করছে। আমার সব কিছু দখল করে নিচ্ছে অনুব্রত বাহিনী।
এভাবেই নিজের অসহায়তার কথা শোনালেন ওই ব্যবসায়ী অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনুন তাঁর নিজের মুখ থেকেই।
যদিও এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববাজারে পড়েছে তেলের দাম। এবার পেট্রোল-ডিজেল রফতানিতে কর কমাল কেন্দ্র। লিটার পিছু ৬ টাকা করে তেল রফতানিতে করের পরিমাণ কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে তেল উৎপাদনকারী সংস্থা এবং তেল পরিশোধনকারী সংস্থাগুলির উপর থেকেও উইন্ডফল করের বোঝা কমাল ভারত সরকার। তবে এতে আমজনতা সরাসরি লাভবান হবেন না। বুধবার অর্থাৎ ২০ জুলাই থেকেই নতুন নিয়মবিধি কার্যকর হবে।
ডিজেল এবং বিমানের জ্বালানিতে উইন্ডফল কর কমিয়েছে লিটারে ২ টাকা হারে। এর আগে দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলে প্রতি টনে ২৩ হাজার ২৫০ টাকা কর নেওয়া হত। নতুন ঘোষণায় তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতি টনে ১৭ হাজার টাকায়।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খুব সস্তায় অপরিশোধিত রুশ তেল কিনতে শুরু করেছিল ভারতের সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে তেল শোধন করার পরে চড়া দামে তা বিদেশে রফতানি করা হচ্ছিল। ফলে টান পড়ছিল দেশীয় বাজারে। সেই কারণেই অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দেশের বাজারে তেলের জোগান বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। বুধবার কর কমানোর ঘোষণা করার পরেই লাফিয়ে বেড়েছে তেল সংস্থাগুলির শেয়ার। তবে আরও জানা গিয়েছে, প্রতি পনেরো দিন অন্তর কর ছাড়ের পরিমাণ পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ফলে ভবিষ্যতে আবার রফতানি ক্ষেত্রে কর বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
করোনা আবহে অনেকেরই চাকরি গিয়েছে। অনেকে আবার ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এর জেরে আত্মহত্যার খবরও শোনা গিয়েছে বারবার। এবার আরও বড় মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এল।
এই ঘটনার ভিডিও দেখে অনেকে আতঙ্কে শিউরে উঠছেন। আর্থিক সংকটের জেরে পারিবারিক এবং তার জেরে কারও মানসিক অবস্থা যে কোন জায়গায় পৌঁছতে পারে, এ যেন তারই জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। তার মধ্যে রয়েছেন চালক। আর দমকল কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেই আগুনের লেলিহান শিখাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে।
পরে ঘটনার যে বিবরণ পাওয়া গেল, তা শুনলে চমকে উঠতে হয়। রামরাজ ভাট, বয়স ৫৮। এদিন তিনি স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন হোটেলে খাওয়াবেন বলে। তিনি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আচমকাই রাস্তায় তিনি গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন। তারপর পরিবারের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবার গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। স্ত্রী এবং সন্তান কোনওরকমে দরজা খুলে গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। যদিও ওই ব্যক্তি গাড়ির মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
খরচ কমানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ সরকার। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় আর্থিক সংকটে জেরবার মানুষ। আর্থিক সংকটের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা সেদেশে। আকাশ ছোঁয়া জিনিসপত্রের দাম। বিপাকে সেদেশের সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বিস্তীর্ণ অংশে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল সেখানকার মানুষ।
এবার বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন দীর্ঘ ২ ঘণ্টাব্যাপী এই লোডশেডিং পরিস্থিতি চলতে পারে। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে গোটা দেশে সপ্তাহে ১ দিন করে পেট্রোল-পাম্প বন্ধ থাকবে। খরচ কমানোর জন্য যে সব বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিজেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, সেখানে উৎপাদন আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার।
সোমবার একথা জানান শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহি চৌধুরী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সোমবার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহি চৌধুরী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বেশ কিছু ধনী দেশের সরকার ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় লোডশেডিংয়ের পথে হেঁটেছে। ফলে খরচ নিয়ন্ত্রণে আনতে উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াতে একই পরিস্থিতি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ জানিয়েছেন, কোন কোন এলাকায় লোডশেডিং হবে, তা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহ ধরে চলবে লোডশেডিং। এলাকা ভিত্তিক পাওয়ার কাটের সম্ভাবনায় উদ্বেগে বাংলাদেশের বাসিন্দারা। এছাড়া মসজিদে এসিতে নিষেধাজ্ঞা। সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় কমতে পারে। রাত আটটার পর বন্ধ থাকবে দোকান-পাট।
হু হু করে বেড়েছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। তবে কিছুদিন আগেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে সেই মূল্য কিছুটা কমানো হয়েছে। বলা চলে, বর্তমানে সেই দাম নাগালের মধ্যে না থাকলেও মানুষকে বর্ধিত মূল্যই দিতে হচ্ছে। এরই মধ্যে আবার কেরোসিন তেল মেশানোর অভিযোগে তোলপাড় নদিয়া জেলা।
নদিয়া জেলার কল্যাণী বুদ্ধ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের ডিজেলে কেরোসিন তেল মেশানোর অভিযোগ ওঠে। ওই পেট্রোল পাম্প থেকে ডিজেল নেওয়া একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, ডিজেলে কেরোসিন তেল মেশানো রয়েছে। আর এই অভিযোগে শুক্রবার রাতে ওই পেট্রল পাম্পে প্রতিবাদ জানান একাধিক গ্রাহক। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় কল্যাণী থানায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। কথা বলা হয় পেট্রোল পাম্পের মালিকের সঙ্গে।
গ্রাহকদের দাবি, কল্যাণীতে এত পেট্রোল পাম্প থাকতেও তাঁরা এই পাম্প থেকেই তেল নেন। কারণ, এই পেট্রোল পাম্পের সুনাম রয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন যাবত দেখা যাচ্ছে, এই পেট্রোল পাম্পেরই তেল ভরে বড় গাড়ির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সন্দেহ হলে শুক্রবার বেলায় তেল নিয়ে যাচাই করতেই দেখা যায়, ব্যারেলের ডিজেলে কেরোসিন তেলের গন্ধ। আর এতেই হইচই কাণ্ড বেধে যায়। খবর পেয়ে একের পর এক ক্রেতা ভিড় জমান ওই পাম্পে এবং প্রতিবাদ জানান।
যদিও পেট্রোল পাম্পের মালিক জানান, এই বিষয়টি তাঁর জানা নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিস। অভিযোগ থাকলেও তা প্রমাণিত হয়নি এখনও।
টাকা দিয়ে পেট্রোল কিনে মিলছে জল! ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের কারণে নষ্ট হচ্ছে বাইকের যন্ত্রাংশ, এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়, পাম্পের সামনে এমন নোটিসও ঝোলানো রয়েছে। রায়গঞ্জের প্রায় সবকটি পেট্রোল পাম্পেই এখন ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল। আর তাতেই ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ সকলে। ঘটনায় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকে অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার সাংসদ।
জানা যায়, রায়গঞ্জের প্রতিটি পেট্রোল পাম্পেই নোটিস দেওয়া রয়েছে যে, পেট্রোলে রয়েছে ইথানল। যা কিনা কোনওভাবে জলের সংস্পর্শে এলেই সম্পূর্ণ জলে পরিণত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ীই তেল কোম্পানিগুলিতে এভাবে ইথানল মেশানো হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় এক অংশের। কিন্তু ইতিমধ্যেই মোটর বাইকে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের কারণে বাইকের ট্যাঙ্কি ফুটো হয়ে যাওয়া, স্টার্টিং সমস্যা, চলতে চলতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ইঞ্জিনের নানান সমস্যা ধরা পড়ছে বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই শহরের মোটর মেকানিকদের দোকান বা ওয়ার্কশপগুলিতে একই সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছেন অনেকেই। দিন কয়েকে আগে বাইকের ট্যাঙ্কি থেকে জল বেরিয়েছে বলে দাবি। আর এই জলের কারণে ইঞ্জিনের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। একদিকে শতাধিক মূল্যে কিনতে হচ্ছে পেট্রোল, অন্যদিকে এভাবে তেল জলে পরিণত হয়ে তা ইঞ্জিনের ক্ষতি করছে। এখন এই দ্বিমুখী সমস্যায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। দ্রুত সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তাঁরা।
অপরদিকে পাম্প কর্তৃপক্ষের দাবি, তেল কোম্পানির তরফেই ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল দেওয়া হচ্ছে এবং তা সামান্য জলের সংস্পর্শে এলে জলে পরিণত হবে। আর তাতে ইঞ্জিনের ক্ষতি হলে পাম্প কর্তৃপক্ষ যে দায়ী থাকবে না, এমন সাবধানতা উল্লেখ করে নোটিসও দেওয়া রয়েছে। আর তাই তাঁরা এসব থেকে দায়মুক্ত বলে জানান।
অথচ ১০৬ টাকা প্রতি লিটার মূল্যে পেট্রোল নিয়ে তা যদি জলে পরিণত হয়, তা থেকে যদি ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়, তাহলে এই সিদ্ধান্ত কেন? দায় তাহলে কার? সাধারণ মানুষদের এমন সমস্যায় ফেলে কোনও কি বিশেষ কি লাভ হচ্ছে?
রাজ্যপালের মন্তব্য অবান্তর, অবাঞ্ছিত। এভাবেই রবিবার জগদীপ ধনকরের সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'উনি ফাইল আটকে রাখছিলেন, কোনও সহযোগিতা করছিলেন না। তাই রাজ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস নিয়োগের সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই রাজ্যপালের এই মন্তব্যের আমি নিন্দা করছি।'
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামনে অনেকগুলো কাজ ছিল। যার মধ্যে অন্যতম পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। এসব কাজ না করে কে আচার্য হবে, সেই নিয়ে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব আনা হচ্ছে। কিন্তু তার আগে হাজার হাজার বেকার যুবকদের কাজ দিন। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িতদের জেলে ঢোকান, মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করুন। তাই আমার মনে হয়, রাজ্যপাল ঠিক কথাই বলেছেন।
এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্বেগজনক। আমি গোটা ঘটনায় খুব বিরক্ত। ২৫ জন উপাচার্যকে আইনের বিরুদ্ধে নিয়োগ করা হয়েছে। এঁরা স্বজনপোষণ এবং তোষামোদে যুক্ত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এক্সটেনশন আইন বহির্ভূত। কে আচার্য হবে, রাজ্যপালের এক্তিয়ার কাটছাঁট করা সংক্রান্ত কোনও নথি আমার কাছে এলে আমি খতিয়ে দেখব। সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, সব দুর্নীতির চেয়ে বড়। এতে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। এই বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু দেশ ভারত (India)। স্বাধীনতার পর শ্রীলঙ্কা এই প্রথম আর্থিক সংকটের (financial crisis) মুখোমুখি। মাত্র একদিনের মতো পেট্রোল মজুত রয়েছে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। কিছুদিন আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। রীতিমতো জ্বালানির জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। তারই মধ্যে দ্বিতীয়বার জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। শ্রীলঙ্কাতে ব্যবহৃত অক্টেন ৯২ পেট্রোলের দাম ৪২০ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেলের দাম ৪০০ টাকা প্রতি লিটার।
উল্লেখ্য, টুইট (Tweet) করে একথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎমন্ত্রী (Minister of Power ) কাঞ্চনা উইজেসেকরা। তিনি বলেন, ভোর ৩ টে থেকে তেলের দাম পরিবর্তন হয়ে চলেছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবহণ এবং অন্যান্য পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধিতেও অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রত্যেক ১৫ দিন পর অথবা প্রত্যেক মাসে তেলের দামে বদল হবে বলেও লেখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ভারত থেকে ডিজেল (Diesel) রফতানি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। ১২টি জাহাজের (Shipments) মাধ্যমে মোট ৪ লক্ষ মেট্রিক টন (400,000 Metric Tones) জ্বালানি তেল পাঠিয়েছে ভারত। জরুরি ভিত্তিতে খাবার, ওষুধ (Medicine), অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার জন্য ভারতের থেকে আর্থিক সহায়তাও নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
এবার প্রথম বুধবার চেন্নাই (Chennai) থেকে ত্রাণসামগ্রী বোঝাই জাহাজ শ্রীলঙ্কায় পাঠালেন তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। প্রথম ধাপে রয়েছে ৯,০০০ মেট্রিক টন চাল, ২০০ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধ এবং ২৪ মেট্রিক টন জীবনদায়ী ওষুধ। যার মোট ভারতীয়মূল্য ৪৫ কোটি টাকা।
রাজ্যবাসীর জন্য খানিক স্বস্তির খবর। পেট্রোল-ডিজেলের দামে ছাড় দিল রাজ্য। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে পেট্রোলের উপর থেকে ২.৮০ টাকা ও ডিজেলে ২.০৩ টাকার ছাড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্বালানি তেলের (fuel oil) দামে কিছুটা স্বস্তি দিতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। শনিবারই ছাড় ঘোষণা করা হয় পেট্রোল (Petrol)-ডিজেলের (Diesel) শুল্কে (Excise Duty)। কেন্দ্র সরকারের পর এবার পেট্রোল-ডিজেলের উপরে শুল্ক কম করল রাজ্য সরকার। ফলে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে রাজ্যে আরও সস্তা হতে চলেছে পেট্রোল-ডিজেল। এমনই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অন্য রাজ্যের থেকে বাংলায় ছাড় বেশি। তিনি বলেন, কেরলে পেট্রোলে ২.৪১ টাকা, মহারাষ্ট্রে পেট্রোলে ২.০৮ টাকা, রাজস্থানে ২.৪৮ টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশকে ‘এজেন্সি রুল’ থেকে বাঁচাতে সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির স্বায়ত্তশাসন চান। তিনি বলেন, এজেন্সিকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে হবে। সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপ না করে শুধুই বেতন দেওয়ার কাজ করুক কেন্দ্র।
মধ্যবিত্তদের জন্য সুখবর। একধাক্কায় অনেকটা দাম কমছে পেট্রোল-ডিজেলের। পেট্রোলে লিটার প্রতি ৮ টাকা এবং ডিজেলে লিটার প্রতি ৬ টাকা এক্সাইজ ডিউটি কমাচ্ছে কেন্দ্র। এতে পেট্রোলে লিটার প্রতি সাড়ে ৯ টাকা এবং ডিজেলে লিটার প্রতি ৭ টাকা কমতে পারে। রবিবার থেকে কমবে এই দাম। উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের দামে ২০০ টাকা ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র। বছরে ১২টি সিলিন্ডারে ভর্তুকি মিলবে এদিন এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। মুদ্রাস্ফীতি রোধে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তাঁরা। এদিন অর্থমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের কথা ট্যুইট করে জানিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যগুলোকে এগিয়ে এসে কর কমানোর আবেদন করেন তিনি।
শ্রীলঙ্কায় (Srilanka) চলমান অর্থনৈতিক সংকট (economical crisis) আরও ঘনীভূত হচ্ছে। মাত্র একদিনের মতো পেট্রোল মজুত রয়েছে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। সোমবার এমনটাই জানিয়েছিলেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। অনুমান করা হচ্ছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবা (Power Cut)। পেট্রলের অভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে চলেছে সেদেশের পরিবহণ ব্যবস্থা।
পাশাপাশি গোটা দেশ জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় (essential ) দ্রব্যের সংকট দেখা গিয়েছে। এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ঘাটতিও দেখা দিয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। হৃদ্রোগ (Heart Attack), ক্যানসার (Cancer) সহ প্রাণঘাতী রোগের ওষুধ আমদানি করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা (Treatment) কার্যক্রম।
এমন অবস্থায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই মুহূর্তে মাত্র একদিনের মতো পেট্রোল মজুত রয়েছে তাঁদের কাছে। আগামী দু’মাস দেশের সকল মানুষের জন্য সবচেয়ে কঠিন সময়। সেই সময়ের মোকাবিলা করতে নিজেদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বহু চ্যালেঞ্জ আসবে সকলের সামনে। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এই কঠিন সময় সামাল দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আর্থিক অবস্থার কিছুটা চাঙ্গা করতে দেশের এয়ারলাইন্স বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৮০ কোটি টাকা দরকার দেশের প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি করতে।
উল্লেখ্য, গত মাসেই শ্রীলঙ্কা প্রশাসন জানিয়ে দেয়, ঋণদাতাদের অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। নিজেদের দেউলিয়া (insolvent) ঘোষণা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে চরম অভাবে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা।
প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় কয়লা ও তেলের (Coal and oil ) মাধ্যমে। এই দুটিই আমদানি করতে হয়। কিন্তু দেশটিতে এখন এগুলির মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কোনওটিই আমদানি করতে পারছে না সরকার। কারণ, এগুলি আমদানির জন্য যে বৈদেশিক মুদ্রার (Foreign Currency) প্রয়োজন, তা সরকারের হাতে নেই।