স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে মহিলা চিকিৎসকের (Woman Doctor) মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি রবিবার ওড়িশার (Odisha Incident) কেওনঝড় জোডা এলাকার এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসক মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Woman Death) বলে ঘোষণা করেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলা চিকিৎসকের নাম শুভশ্রী কর। স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই দোতলায় থাকতেন তিনি। আর নীচের তলায় রোগী দেখতেন শুভশ্রী। নববর্ষের দিন রোগী আসলেও তিনি নীচে নামেননি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তখনই তাঁদের মধ্যে সন্দেহ জাগে। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেননি। এরপরই তাঁরা পুলিসের দ্বারস্থ হন।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখে ওই চিকিৎসক যে ঘরে থাকতেন, সেই ঘরের দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পরই দরজা ভাঙা হয়।
ঘরের মধ্যে বিছানায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় চিকিৎসককে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, কীভাবে মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছে। তবে প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। মৃতার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা এবং জেলার আকাশে হঠাৎই রহস্যময় আলো (mysterious light)। কিছুক্ষণ সেই আলো স্থায়ী থাকার পর নিজে থেকেই মিশে যায় আকাশে। আর এই আলোর উৎস দেখে রীতিমতো শোরগোল দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। টর্চের মতো এই আলোর ঝলক দেখে প্রাথমিক ভাবে ঘাবড়ে যান সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাটে শুরু হয় জোর চর্চা। কিন্তু দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি-৫-র (Agni V Missile) পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণের জেরে এই আলোর ঝলক। ৫০০০ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি।
এদিন সন্ধ্যায় ওড়িশার আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের পরেই শহর কলকাতা এবং শহর লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আকাশে আলো দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতেও দেখা মিলেছে এই আলোর।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত-চিন সেনা। এই উত্তপ্ত আবহে অগ্নি-৫-র মতো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ তাৎপর্যপূর্ণ। এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে মালগাড়ি (Rail Accident)। ঘটনায় এক শিশু-সহ একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু (Death), আহতও একাধিক। দুর্ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) জাজপুর জেলার কোড়াই স্টেশনে। সোমবার সকালে স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। ভদ্রক থেকে কটকের দিকে যাওয়া মালগাড়িটি হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়ে প্ল্যাটফর্মের উপর উঠে যায়। আর তাতে ঘটে বিপত্তি। এতে হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বরগামী একাধিক ট্রেন বাতিল।
পূর্ব উপকূল রেলওয়ে জানিয়েছে, ঘটনাটি সকাল ৬.৪৫-র। সে সময় কিছু লোক যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। ডোঙ্গোয়াপোসি থেকে ছত্রপুর যাওয়ার পণ্যবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং আটটি ওয়াগন প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েটিং হলের উপর ধাক্কা দেয়, এতেই প্রাণহানি।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার কারণে বাতিল করা হয়েছে কয়েকটি দুরপাল্লার ট্রেন। ব্যাহত হয়েছে ভুবনেশ্বর-হাওড়াগামী আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ঘটনায় নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছেন। তিনি প্রশাসনকে উদ্ধার অভিযান দ্রুত করতে এবং আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর পাশাপাশি যাত্রীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি নিহতদের প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেছেন। গুরুতর আহতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং সামান্য আহতদের জন্য ২৫,০০০টাকা অনুদান ঘোষণা করেছেন।
মহুয়া খেয়ে ঘুমে মত্ত হাতির পাল (Elephants)। ঘুম ভাঙাতে নাজেহাল দশা গ্রামবাসীদের। শেষমেশ ড্রাম বাজিয়ে ঘুম ভাঙাতে হল বনদফতরের কর্মীদের। গ্রামবাসীরা এদিন মহুয়া (Mahua) সংগ্রহ করতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন। গিয়ে দেখেন একদল হাতি মহুয়া খেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। হাজার চেষ্টা করেও ঘুম ভাঙাতে পারেননি গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়ে খবর দেন বন দফতরে।
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) কেওনঝাড়ের শিলিপদ জঙ্গলে। ওই হাতির দলে ২৪টি হাতি ছিল। গ্রামবাসীরা জঙ্গলে মহুয়া সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন, হাতিগুলি জঙ্গলে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আর সামনে রয়েছে মহুয়া ডোবানো জলের পাত্র। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরাই গাছ থেকে মহুয়া তুলে বড় পাত্রের মধ্যে জলে ডুবিয়ে রেখে গিয়েছিলেন। আর সেটা খেয়েই নেশগ্রস্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে হাতির পাল।
স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, ভোর ৬টা নাগাদ তাঁরা জঙ্গলে গিয়ে দেখেন মহুয়া ডুবিয়ে রাখা সমস্ত পাত্র ভেঙেচুরে গিয়েছে। এক ফোঁটা জলও আর নেই। হাতিগুলি সেখানেই শুয়ে ঘুমোচ্ছিল। আর গ্রামবাসীরা মনে করছেন মহুয়া ভেজানো জল খেয়ে মত্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে। এরপর বনদফতরের কর্মীরা এসে অনেক্ষণ ধরে চেষ্টা করেন। শেষমেশ সকাল ১০টা নাগাদ ড্রাম বাজিয়ে ঘুম ভাঙান। ঘুম ভাঙার পর হাতির পাল হেলতে-দুলতে আবার জঙ্গলের গভীরে ফিরে যায়। তবে বনদফতরের কর্মীরা বলেন, মহুয়া খেয়েও থাকতে পারে, আবার হয়তো গজ বাহিনী বিশ্রাম নিতেই জঙ্গলে এসেছিল।
হোটেলের রুম থেকে মৃতদেহ(Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ব্যবসার কাজে কলকাতা (Kolkata) এসে হোটেলে ছিলেন। আর সেখানেই তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে তা ইতিমধ্যে তদন্ত করছে নিউমার্কেট থানার পুলিস (New Market Police Station)। নিশারউদ্দিন খান, বয়স ৫১। বাড়ি ওড়িশায়, তিনি পেশায় একজন চামড়া ব্যবসায়ী। মাঝেমধ্যেই ব্যবসার কাজে কলকাতায় আসতেন এবং থাকতেন হোটেলে। এবারেও তাই করেছিলেন। গত ২৪ তারিখ তিনি হোটেলে চেকিং করেন। শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে ওয়েটারকে বলেন চা আনতে। তারপর চা খেয়ে তিনি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন। এরপর শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ সুইপার আসে ঘর পরিষ্কার করতে। দরজায় নক করেও ভিতর থেকে সাড়া না পেয়ে চলে যান তিনি।
এরপর দুপুরে সুইপারদের সিফট চেঞ্জ হয়। নতুন সুইপার এসেও তাঁকে ডাকেন। কিন্তু তিনি দরজা খোলেননি। কলকাতায় থাকা তাঁর আত্মীয়রা জানান, সকাল দশটা পর্যন্ত নিশারউদ্দিনের সঙ্গে তাঁদের ফোনে কথা হয়েছে। তারপর থেকে ফোনে কোনওরকম যোগাযোগ করেও পাননি তাঁরা। বারবার ফোন করলেও ফোন বেজে গিয়েছে। নিশারউদ্দিনের পরিজনরা হোটেলে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। এরপর হোটেলের কর্মীরা পিছনের জানলা এবং সিমেন্টের জাল দিয়ে ভিতরে দেখেন, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন।
তাঁরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু তিনি কোনও সাড়া না দেওয়ায় খবর দেওয়া হয় স্থানীয় নিউমার্কেট থানায়। নিউমার্কেট থানার পুলিস এসে দরজা ভেঙে দেখেন নিসারউদ্দিন খান মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর হোটেলের ওই রুম লক করে দিয়েছে নিউমার্কের থানার পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পরিষ্কার হয়ে যাবে মৃত্যুর কারণ। ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই হোটেলে।
ইতিমধ্যেই আবহাওয়া অফিস (Meteorological Office) সূত্রে জানানো হয়েছে, কালীপুজোয় (kali puja) উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) "সিতরাং"। মূলত, বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) উপকূলের দিকেই এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। এরইমধ্যে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে। এছাড়াও, নামখানা, সাগরদ্বীপে তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় "সিতরাং", এমনটাও জানানো হয়েছে। এর জন্যই মাইকে করে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদেরও জানানো হয়েছে। কালীপুজোর আগে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৪ অক্টোবর সোমবার এবং ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সমস্ত জেলাগুলিতে আপাতত হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, এই আবহাওয়ার প্রভাব উত্তরবঙ্গের উপরে পড়ার আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন ২৪ অক্টোবর উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। যার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি। এর পরবর্তী দিন অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের বেগ আরও বাড়বে। যা পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিমিতে।
এক দুই নয়, কর্মরত সংস্থার ৪২ লক্ষ টাকা (Money Launder) হাতিয়ে চম্পটের চেষ্টা! কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভিনরাজ্যে থেকে গ্রেফতার হাওড়ার এক ব্যক্তি (Howrah Man)। কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে গত ১১ অক্টোবর হেয়ার স্ট্রিট (kolkata Police) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বা সিএফও অনিল আপাট। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেই অভিযুক্ত কর্মী বছর ৫২-র মহম্মদ আইনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই বেসরকারি সংস্থাতেই কর্মরত ছিলেন আইনুল। অভিযোগ, কিছুদিন আগেই সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে ৪২ লক্ষ টাকার চেক দিয়ে ব্যাংক থেকে ভাঙিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাকা ভাঙিয়ে কোম্পানিতে না দিয়ে, তা নিজেই হাতিয়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায়।
কিন্তু অভিযুক্ত রাজ্য থেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় কলকাতা পুলিস। এরপরেই তাঁর গতিবিধির উপর বিশেষ প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে নজর রাখতে শুরু করে পুলিস। একইসঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয় রেল পুলিসের সঙ্গে। জিআরপি-র সাহায্যে আইনুলকে পড়শি রাজ্য ওড়িশার সমস্তিপুর রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। সেখান থেকে ধৃতকে নিয়ে আসা হয় রাজ্যে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাওড়াতে আইনুল হকের এক আত্মীয়র বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এদিন অভিযুক্তকে আদালতে তোলার পাশাপাশি বাকি টাকার সন্ধানে তল্লাশি করছে পুলিস।
মন্দিরে প্রণামী বক্সে টাকা বা পয়সা সকলে দান করে থাকেন। কিন্তু কেউ ভগবানের কাছে চিঠি দিচ্ছেন, এরকম ঘটনা আগে শোনা যায়নি। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) সম্বলপুরের সমলেশ্বরী মন্দিরে (Temple)।
নিয়ম মেনে প্রতি সোমবার খোলা হয় মন্দিরের প্রণামী বক্স। আর বক্স খুলতেই মন্দিরের কর্মকর্তাদের চোখে পড়ল একটি চিঠি (Letter)। যেখানে লেখা ছিল, তাঁর মনের মানুষের সঙ্গে যেন তাঁর বিয়ে হয়। চিঠি পড়ে বোঝা গিয়েছে এটি কোনও মহিলার লেখা। সে তাঁর পুরুষসঙ্গীকে জীবনসঙ্গী বানাতে চান।
স্থানীয় ভাষায় প্রণামী বাক্সকে বলে ‘হুন্ডি’। সেই বাক্সের ভিতরে পাওয়া চিঠিটিতে লেখা ছিল, “মা, দয়া করে আমার প্রার্থনা পূরণ করে দাও। অনেক আশা নিয়ে তোমার কাছে এসেছি। রবীন্দ্র আমার জন্ম-জন্মান্তরের ভালবাসা। ওঁর সঙ্গেই যেন আমার বিয়ে হয়। আশীর্বাদ করো যেন সবাই সেই বিয়ে মেনে নেয়।”
যদিও মন্দিরের ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় বাবু বলেন, 'এটি বিরল কোনও ঘটনা নয়। এরকম চিঠি প্রায়শই তাঁরা পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি মন্দিরের হুন্ডিতে আরও দু’টি চিঠি পাওয়া যায়। একটি বাংলা ও অন্যটি তামিলে লেখা ছিল। একটিতে লেখা ছিল, যেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কন্যা চাকরির পরীক্ষায় পাশ করেন। অন্যটিতে লেখা ছিল, যেন সন্তান ডাক্তারি প্রবেশিকা উতরে যায়। ভক্তরা চিঠির মাধ্যমে ভগবানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান বলেই মত তাঁর।'
নৌকাডুবিতে মৃত্যু (Boat Capsized) হল দুই ব্যক্তির। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে চলে আসেন বলে জানা গিয়েছে। পরে বাকি দু'জনের মৃতদেহ (Death) উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় ওড়িশার (Odisha) পুরী (Puri) জেলার চিলকা হ্রদে (Chilika lake)।
জানা গিয়েছে, একদল লোক চিলকা হ্রদের একটি দ্বীপ কালিজাইকুদা থেকে ফিরছিলেন। তীর থেকে নৌকাটি মাত্র ৩ কিমি দূরে ছিল। সেসময় প্রবল বৃষ্টি এবং প্রবল হাওয়ায় ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে নৌকাটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে পুরীর পুলিস সুপার কেভি সিং।
নৌকাডুবির পর তিনজন নিখোঁজ হয়ে গেলেও তাদের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে চলে যায় বলে জানান কে ভি সিং। পরে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। যাঁদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এসপি।
প্রসঙ্গত, স্থানীয়রা নৌকার অন্তত ১০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এসপি আরও জানিয়েছেন, নৌকায় কতজন লোক ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB) রিপোর্ট অনুসারে গত বছর ওড়িশায় নৌকাডুবির ঘটনায় ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
প্রবল বৃষ্টিতে(heavy rain) বন্যা(flood) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ওড়িশায়(Odisha)। ওড়িশার ১০ টি জেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বিপর্যস্ত বন্যা পরিস্থিতির জেরে। ইতিমধ্যেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির ফলে ওড়িশায় প্রায় ১,৪০০ টি গ্রাম(village)) ভেসে গিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রবল বর্ষণে মহানদী ফুঁসে উঠতেই বাঁধ ভেঙে যায়।
জলমগ্ন কটক সহ বিভিন্ন এলাকা। দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন(local administration) তত্পর। এই পরিস্থিতিতে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার ও শনিবার ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। আজ সকাল থেকেই বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ধীরে ধীরে নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূল, উত্তর ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের দিকে অগ্রসর হবে।
২৪ হাজার হেক্টর চাষের জমি ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিরাকুঁদ বাঁধের বহু গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। স্পেশ্যাল রিলিফ কমিশনর জানান, উদ্ধারের কাজে ওড়িশা ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স কাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
শুক্রবার সকাল থেকেই কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জে অতি ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে খুরদা, পুরী সহ ৭ টি জেলায়। কমলা সতর্কতা জারি কটক, জগৎসিংপুর ও সম্বলপুর সহ ১৪টি জেলায়। শনিবারও ওড়িশার সাত-আটটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সন্ধ্যার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাহত হয় শহর কলকাতাস-সহ শহরতলির জনজীবন। আগামি ২৪ ঘণ্টা চলবে বৃষ্টি। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। বন্যা দুর্গতদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতির উপরে নজর চালান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। আগামী ১৫ দিন এই জেলায় সমস্ত গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।