স্কুল সার্ভিস কমিশন মামলায় নতুন নির্দেশ। এবার চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট দেখার সময় বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিজেদের OMR দেখতে পারবেন চাকরিপ্রার্থী এবং বিতর্কিত চাকরি প্রাপকরা। OMR নিরীক্ষণের জন্য এর আগে ৯ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। এবার চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এখনও পর্যন্ত ২ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী তাদের ওএমআর পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে এদিন আদালতে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের অন্যতম আইনজীবী প্রমিত রায় অভিযোগ করেন মক্কেলরাও OMR নিরীক্ষণের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটা দেখানো হয়নি। সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, যদি ৫৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী তাদের ওএমআর দেখতে চায় তাহলে সিবিআইকে সেটাই দেখাতে হবে। মামলায় পরবর্তী শুনানি ৪ মার্চ।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের তল পেতে আবারও তৎপর সিবিআই। তদন্তের গতি বাড়াতেই এবার বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহল। ফের সিবিআই স্ক্যানারে উঠে আসে ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম জড়ানো বিতর্কিত সংস্থা এস বসু রায় কোম্পানি। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই শ্রীঘরে ঠাঁই মিলেছে সংস্থার অন্যতম অংশীদার কৌশিক মাজির। এবার সেই সংস্থার দুষ্কর্মের হদিশ মিলল সিবিাইয়ের তদন্তে। যে 'দুষ্কর্ম'-এর অন্যতম সাগরেদ ছিলেন কৌশিক মাঝি, বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এমনকি ২০১৪ টেট পরীক্ষার দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য লোপাটও এই সংস্থার কারসাজি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত বলছে, এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভারে দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্ক্যান করে রাখা থাকত। যার কোনও বিকল্প রাখা হত না। তাই প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ নতুন তথ্য সার্ভার এ আপডেট হওয়ার ফলে বিগত দিনের তথ্য অনায়াসে প্রতিস্থাপিত হয়ে গিয়েছে।কার্যত এই ভাবেই নতুন তথ্য সার্ভারে রেখে পুরনো তথ্য লোপাট করত এস বসু রায় কোম্পানি।
কিন্তু এস বসু রায় কোম্পানির সার্ভার বদলে ফেলা হয় ২০১৭ সালেই। প্রসঙ্গত, এর আগেও সিবিআই এর লাগাতার তল্লাশি ও ওই সংস্থার আধিকারিকদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছিল একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি, তথ্য প্রমাণ। SSC-র চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল যেমন NYSA, ঠিক তেমনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি, যার সঙ্গে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যেরও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে উঠেছিল অভিযোগ। এই কোম্পানি থেকেই ওএমআর শিটে কারচুপি ও পরীক্ষার্থীদের নম্বর বিকৃত করা হত বলেও মিলেছিল তথ্য। এবার সেই সংস্থায় প্রমাণ গুম করার মূল কাণ্ডারী দাবি করছে সিবিআই। আগামী দিনে সিবিাআই এর তদন্তে এবার সংস্খার আর কোন কোন অপকর্ম প্রকাশ্যে আসে সেটাই দেখার।
এবারে শাসক দলের নেতা ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল বেশ কিছু ভুয়ো ওএমআর শিট, একটি মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যুজুড়ে তৃণমূল একাধিক বিধায়ক-কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে শুধুমাত্র শাসক দলের নেতারা নন, নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ঝান্টু শেখের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। এর পর তাঁর ছেলে সুজল আনসারির কলেজেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। আর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় ভুয়ো ওএমআর শিট।
জানা গিয়েছে, আজ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট অবধি সুজল আনসারির বাড়ি ও কলেজে তল্লাশি চালানো হয়। এর পর বেশ কিছু ভুয়ো ওএমআর শিট, একটি মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে সুজল আনসারির কলেজ থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, বড়ঞা থানার কুলি মোড়ের বাসিন্দা ঝান্টু শেখ পেশায় ব্যবসায়ী। ঝান্টু শেখের ভালো নাম মোহাম্মদ আনারুল হক আনসারি। তাঁর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয়। জানা গেছে, এই ঝান্টু শেখ ছাড়াও তাঁর ছেলে সুজল আনসারির নামেও রয়েছে একাধিক বাড়ি, সম্পত্তি ও বেসরকারি কলেজ। দুপুর ১টা থেকে বড়ঞার এক কলেজে শুরু হয়েছিল তদন্ত। তারপর সুজল আনসারির ভাই চঞ্চল আনসারিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কলেজে বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর কোন কোন অ্যাকাউন্টে কত কত টাকা গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি ডাইরির পাশাপাশি চঞ্চল আনসারির মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ওএমআর শিট উদ্ধার করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও জানা গিয়েছে, সুজল আনসারি বর্তমানে কোথায় আছে তা কেও জানে না। সূত্রের খবর, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এই সুজল আনসারির। এছাড়াও আজ ঝান্টু শেখকে তাঁর ছেলের বিষয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, 'আমার ছেলে চোর। তবে শুধু তাই নয়, তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও চরম দুর্ব্যবহার করেন।'
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ওএমআর শিট (OMR Sheet) কেলেঙ্কারিতে নয়া মোড়। মুম্বইয়ের সংস্থা থেকে বাজেয়াপ্ত মূল মূল্যায়ন পত্র, আর সেই মূল্যায়ন পত্র থেকেই নয়া মোড় সিবিআই তদন্তে। জানা গিয়েছে, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফে মূল্যায়ন নম্বর পর্ষদকে দেওয়া হয়। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফে মুম্বইয়ের সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মূল্যায়নের। কিন্তু ওএমআর শিটের নম্বর ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে জমা পড়া তালিকার মূল্যায়নে বিস্তর ফারাক। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই হাত বদলের পরই হয়েছে নম্বরে কারচুপি। মুম্বইয়ের ওই সংস্থার এক কর্তাকে এবার তলব করতে চলেছে সিবিআই। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ থেকেও। কার নির্দেশে নম্বরে বদল, জানতে তৎপর সিবিআই।
সূত্রের খবর, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির একাধিক কর্তার বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ এবং কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা মুম্বই গিয়ে সেই সংস্থার থেকেও একাধিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। সিবিআইয়ের হাতে আসা এই নয়া তথ্য প্রসঙ্গে বঞ্চিত এক চাকরীপ্রার্থী অরুণিমা পালের দাবি, এই অভিযোগ আমরা বারবার করে আসছি। আমাদের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। আর মাস্টারমাউন্ড মানিক ভট্টাচার্য।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। অভিযুক্তের নাম পার্থ সেন। তিনি ও এম আর প্রস্তুতকারী সংস্থা এন এন বসু রায় অ্য়ান্ড কোম্পানির পদস্থ আধিকারিক ছিলেন।
জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার পোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওএমআর শিট বিকৃতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর কয়েকদিন আগেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব ছিল ওই সংস্থার উপর। গতমাসে ওই সংস্থার দুই আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় একাধিক নথি এবং কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক।
আদালতে জাস্টিস সিনহার কাছে ভর্ৎসনা, শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। এছাড়া শ্লথ গতি ও তথ্য গোপন করার মত মারাত্মক অভিযোগও উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে। রাতারাতি কিছুটা বদল এনে এরপর মঙ্গলবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তেড়েফুঁড়ে সিবিআই। কলকাতার সল্টলেক, হাওড়ার দাসনগর-সহ একাধিক জায়গায় চলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি।
সূত্রের খবর, ওএমআর শিট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামক একটি সংস্থার। পূর্বে সেই কোম্পানির মালিক কৌশিক মাজিকেও নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ওএমআর নষ্টের। এ দিন, ওই সংস্থার অফিস-গোডাউনে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয়, কৌশিক মাজির বাড়িতেও চলছে অভিযান।
সিবিআই আধিকারিকরা মূলত জানতে চাইছেন এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা কী করে ওমএমআর শিট নষ্টের দায়িত্ব পেল? কে সুপারিশ করেছিল? কেন করা হয়েছিল তার উত্তর খুঁজছে সিবিআই। বস্তুত, এই মামলায় তদন্তকারী হিসাবে সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গোয়েন্দা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আতাঁতের অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নালিশ জানানোর কথাও বলেন। শুধু তাই নয়, বিচাপতি বলেন, “রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে সিবিআই নিজেই কালপ্রিটদের ঢাকার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাব। বলব কিছুই করছে না সিবিআই।”
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট বিতর্ক মামলায় ফের আদালতে ভর্ৎসিত সিবিআই। বুধবার এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে কেস ডায়েরি জমা দিলেও সেই কেস ডায়েরি দেখে সন্তুষ্ট নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সরাসরি সিবিআই-এর ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 'আপনারা মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন? সিবিআই-এর কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো?' ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতির।
এই নিয়ে টানা ৩ দিন বিচারপতির ক্ষোভের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তীব্র সমালোচনা বিভিন্ন মহলে। সিবিআই যদি এতদিন ঠিকভাবে কাজ করত, রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়ত। বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতা এবার সিবিআই-কেই প্রমাণ করতে হবে। জানালেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই কি তদন্ত করতে জানে না? নাকি তাকে তদন্ত করতে বাধা দিচ্ছে তার মনিবরা? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিকে নারদা প্রসঙ্গ তুলে সিবিআই-কে খোঁচা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার।
যদিও বিচারপতির কোনও মন্তব্য, কোনও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয় বলেই মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বারবার মুখ পুড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে কি সত্য উদঘাটন করতে সত্যিই ব্যর্থ হচ্ছে সিবিআই? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
উচ্চমাধ্যমিকেও এবার চালু হবে ওএমআর শিট। বেশ কিছুদিন ধরে এই নিয়ে শিক্ষামহলে জল্পনা ছড়িয়েছে। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। ২০২৬ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকের সেমেস্টার পরীক্ষায় ওএমআর শিট চালু করার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত। জানা গিয়েছে, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করে ফেলেছে উচ্চমাধ্যমিক সংসদ।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকে ২০২৬ সাল থেকে দুটি সেমেস্টারে পরীক্ষা হবে। বড় পরীক্ষায় ওএমআর ফরম্যাটে পরীক্ষা দিতে পড়ুয়াদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তাই স্কুল স্তর থেকেই অভ্যাস তৈরি হবে। তাই এই পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষামহলের বড় অংশ স্বাগত জানিয়েছেন।
শিক্ষামহলের একাংশ আবার সরকারের এই নয়া সিদ্ধন্ত নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিটে কারচুপির খবর সামনে এসেছে। তাই এই পদ্ধতিতে সঠিক মূল্যায়ন হবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ।
প্রকাশ্যে এল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর নামের তালিকা। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সব মহলেই। কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জাস্টিস গাঙ্গুলি ওই কারচুপি করা শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক হিসেবে চাকরি করা ৯০৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
অভিযোগ, এই শিক্ষকদের চাকরির পরীক্ষায় ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছিল। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে নির্দেশ ছিল ওই শিক্ষকদের উত্তরপত্রও প্রকাশ করতে হবে এমনই নির্দেশ।ছিল জাস্টিস গাঙ্গুলির। যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশের উপরে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বুধবার কমিশনের তরফে ওই ৯০৭ জনের নাম ও রোল নম্বর প্রকাশ হল।
১৬ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ওম রাউত (Om Raut) পরিচালিত ছবি 'আদিপুরুষ' (Adipurush)। এই ছবির টিজার মুক্তি পাওয়ার পর একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ট্রেলার মুক্তির পর তা দর্শকদের নজর কাড়ে। তবে এক বিতর্ক শেষ হতে না হতেই ফের এক বিতর্কে জড়ালেন ওম রাউত ও কৃতি স্যানন (Kriti Sanon)। ধর্মীয়স্থানে কৃতিকে আলিঙ্গন ও প্রকাশ্যে চুম্বন ওম রাউতের, আর এই থেকেই ফের শুরু সমালোচনা। আর সেই ভিডিও নেটপাড়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবারই আদিপুরুষ-এর দ্বিতীয় ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ফলে এখন শুধুমাত্র ছবি মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় প্রত্যেকেই। কিন্তু তারই মধ্যে ঘটে গেল এমন এক ঘটনা। ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই ভগবানের থেকে আশীর্বাদ নিতে এই ছবির অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের একাধিকবার ধর্মীয়স্থানে যেতে দেখা গিয়েছে। ফলে আজ, ৭ জুনও কৃতি স্যানন ও ওম রাউত পৌঁছে গিয়েছেন তিরুপতির ভেঙ্কেটেশ্বর মন্দিরে। আর সেখানে গিয়েই ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যার জন্য শুরু হয়েছে বিতর্ক। মন্দির থেকে বেরিয়ে বিদায় জানানোর সময় ওম রাউত কৃতিকে জড়িয়ে চুম্বন করেন। আর এই ভিডিও শেয়ার করলেন বিজেপি নেতা রমেশ নাইডু।
এই ভিডিও রমেশ নাইডু টুইটে শেয়ার করে বলেছেন, 'ধর্মীয়স্থানে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে আলিঙ্গন-চুম্বন অশ্রদ্ধাকর ও অগ্রহণযোগ্য।' যদিও এই নিয়ে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হলে তিনি তাঁর টুইটটি সরিয়ে দিয়েছেন।
শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের (Ayan) সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার ৪০০ ওএমআর শিট (OMR Sheet)। উদ্ধার প্রার্থীর তালিকা সহ অ্যাডমিট কার্ড ও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। অয়নের অফিস হাতড়ে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। যা আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে পারে বলে সূত্রের খবর।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় নাম জড়িয়েছে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের। ইডির তল্লাশিতে জানা গিয়েছে, শান্তনুর যাবতীয় তথ্য সরিয়ে রাখা হয়েছিল অয়নের অফিসে। পাশাপাশি ইডির তল্লাশিতে আর উঠে এসেছে, চাকরির প্রস্তুতির প্রতিষ্ঠান খুলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন পুরসভা গুলিতেও। অর্থাৎ শুধু শিক্ষা নয় এবার চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পুরসভার চাকরিতেও। অভিযোগের তীর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের দিকে।
শনিবার দিনভর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের অফিস ও প্রতিষ্ঠানের নথি যাচাই করে এই তথ্য জানতে পারে ইডি। ইডি সূত্রে দাবি, 'একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অয়ন। একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি।' শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগ দুর্নীতির বাইরে পুরসভার নিয়োগে কি এবার দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন চিহ্ন। কারণ একাধিক চাকরির নোটিফিকেশন এবং প্রার্থী তালিকা পাওয়া গিয়েছে অয়নের হার্ডডিক্সে।
শনিবার ইডি অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ কিছু ইলেকট্রনিক্স গেজেটে পাসওয়ার্ড থাকার দরুন সেগুলি ব্যাবহার করতে পারছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ অয়ন শীলকে তাঁর সল্টলেকের অফিসে আনা হলে আধিকারিকরা সেই ইলেকট্রনিক্স গেজেটের পাসওয়ার্ড জানতে পারে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেখান থেকে ব্যাঙ্কের নথি এবং কিছু লেনদেনের তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই লেনদেন গুলি কবে করা হয়েছিল এবং অয়ন শীল কাদের মাধ্যমে ওই লেনদেন করেছিলেন তা নজরে রয়েছে ইডি আধিকারিকদের। এছাড়া জেরার পর ইডি সূত্রের দাবি, শান্তনু-কুন্তলের মিডল ম্যানরা ছড়িয়ে পড়েছিল বাঁকুড়া-পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়। এ যাবতীয় সমস্ত নথি অয়নের অফিস হাতড়ে খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।
OMR শিট (OMR Sheet Case) বিকৃত-কাণ্ডে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Caluctta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে এঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে এই নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন চাকুরীহারারা। ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদনের শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। যদিও চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এদিন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। অর্থাৎ চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও বহাল রইলো। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে, চাকরিহারাদের আবেদনে উল্লেখ, 'আমরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছি। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রমও দিয়েছি। তাহলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে ২ হাজার ৮০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থীর। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৯১১ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নির্দেশে মেনেই এই সিদ্ধান্ত।
গ্রুপ ডি OMR শিট বিকৃত মামলায় আড়াই হাজারের বেশি চাকরি বাতিলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। গ্রুপ-ডি মামলায় (Group D Case) শুক্রবারের মধ্যে চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। ২৮২০ জন যারা কারচুপি করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের চাকরি বাতিল করতে হবে। এদের তালিকা আবার নতুন করে আপলোড করতে হবে, নোটিশ দিতে হবে। ৬৯৮৮ যারা মেরিট লিস্টে তাঁদের তালিকা থেকে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। এদের মধ্যে কারও OMR শিট বিকৃত পাওয়া গেলে পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেখা যাক কার অদৃশ্য হাত আছে এসবের পিছনে। বৃহস্পতিবার শুনানিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কমিশন সব OMR পরীক্ষা করেছে, যেগুলি সিবিআই দিয়েছে। OMR শিটগুলি গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হয়। এসএসসিকে বিচারপতি বলেন, ' পরীক্ষা করে কারচুপি হয়েছে, যদি আপনি জেনেছেন তাহলে পদক্ষেপ নিতেই হবে। অনেক সময় দিয়েছি। এবার তাঁরা আসতে বাধ্য এই কোর্টে। কিছুদিন জেলে থাকার ব্যবস্থা করব।'
এদিন আরও একধাপ এগিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মত আমি উদার নই।'
মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) জামিন খারিজ করে ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতের। বুধবার জামিন মামলার (Bail Plea) শুনানিতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সিডিতে বহু চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়েছে। যারা চাকরি পেতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছে চাকরির জন্য গেলে দিতে হতো ৫-৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক ভট্টাচার্যর কাছে চাকরি চাইতে গেলে দিতে হতো ১-২ লক্ষ টাকা প্রার্থীপিছু। এভাবেই নাকি রেট ফিক্সড করে দেওয়া হয়েছিল। এই দাবিই কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED) বুধবার আদালতে করেছে।
এদিকে, বুধবার মানিক ভট্টাচার্যর আইনজীবী বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী বলছেন তদন্ত কবে শেষ হবে জানা নেই। তাই আমি মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করছি।' এই জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আইনজীবীর বিস্ফোরক মন্তব্য, 'নিয়োগ পেতে কারা টাকা দিয়েছেন, সেটা চিহ্নিত করতে OMR শিটে কোড প্রশ্ন ব্যবহার করতেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল কুন্তল ঘোষের। যে চাকরিপ্রার্থী মোটা অংকের টাকা দিতেন, সেই প্রার্থীকে নির্দিষ্ট মাত্র দুটো কোশ্চেন মার্ক করে দেওয়া হতো। গোটা OMR শিট ফাঁকা রেখে নির্দিষ্ট ওই দুটো কোশ্চেনের উত্তর দিলেই পরীক্ষক বুঝে যেতেন তিনি টাকা দেওয়া প্রার্থী। এরপরেই পাস করিয়ে দেওয়া হতো ওই প্রার্থীকে।'
এভাবেই একাধিক অযোগ্য প্রার্থী দীর্ঘদিন চাকরি পেয়েছেন, কোর্টে দাবি ইডির। এমনকি কুন্তল ঘোষ এবং মানিক ভট্টাচার্যর প্রত্যক্ষ যোগ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে দাবি ইডির।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ফের সরব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)। এই দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) ইডির হাতে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলকে (TMC Leader) আড়াল করছে কিছু দালাল। সোমবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (ED) ১৮৯ জনের নাম আদালতে জমা করতে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কুন্তলের বাড়িতে ১৮৯ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে পর্ষদ এদিন আদালতকে জানায়, তৃতীয় ব্যক্তির কাছে ওএমআর শিট পাওয়া গেলে পর্ষদ কী করবে? পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় কপি নিয়ে চলে গিয়েছে কারও বাড়িতে। এখানে পর্ষদ কী করবে? ১৮৯ প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে।
পর্ষদের আইনজীবী জানান, 'তারা নিরুপায়, বিস্মিত, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এত চেষ্টা করার পরেও এই ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটেছে।' এরপরেই বিচারপতির মন্তব্য, 'কিছু দালাল এখনও চাকরি বিক্রির চেষ্টা করছে। আর কিছু দালাল তাদের আড়াল করছে।'
মৌখিকভাবে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'আমি ওই ১৮৯ জনের নাম আর রোল নম্বর জানতে চাই। ইডির কাছে এই তথ্য আমি চাই।'এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০২২-র টেট পরীক্ষার ১৮৯ জনের ওএমআর শিট কীভাবে কুন্তলের বাড়িতে গেল, জানাতে ইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের এডমিট কার্ডের বিস্তারিত দিতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে সেই ১৮৯ জনের সব সরকারি চাকরি থেকে আবেদন বন্ধ করবে আদালত। এমনটাই সূত্রের খবর।
এমনকি পোর্ট ব্লেয়ারে নির্বাসন দেওয়া হবে, আলাদা জমি দেব চাষ করে খাবে। এত সাহস কী করে হয়, প্রত্যেককে জেলে পাঠানো হবে। এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।