ফের বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সন্দেশখালি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে নুসরত বললেন, সেখানে ১৭৪ ধারা আছে। তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক ট্রোলিংয়ের শিকার হচ্ছেন নুসরত। সাংসদ-অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূল বলছে, হয়তো ভুল করে ফেলেছেন নুসরত।
লোকসভা কেন্দ্র সন্দেশখালিতে না যাওয়ার প্রসঙ্গে নুসরত বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না আমার এলাকায় না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন? কিছু পরিস্থিতি এমন রয়ে গিয়েছে। সেখানে ১৭৪ ধারা আছে। আমি সেখানে গেলে সঙ্গে পাঁচ জনকে নিয়ে যাব এবং এটা আইন শৃঙ্খলার বিরোধী হবে।'
স্পম্প্রতি সন্দেশখালি এলাকায় নারীদের শ্লীলতাহানি সহ জমি দখল, চাষের জমি নষ্ট করা সহ বহু অভিযোগ ওঠে শাহজাহান, তাঁর ভাই সিরাজ সহ তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার। এদের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকার বহু গ্রামের মানুষ, কাঠপোল, বেরমজুর শোঃ বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল নেতাদেড় বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা, সেই ঘটনা সামাল দিতে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এই ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন নুসরত। নুসরতকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, "১৪৪ ধারা অব্দি বুঝতে পারলাম... কিন্তু '১৭৪ ধারা'আজও আমার কাছে অজানাই রয়ে গেল।" তৃণমূলের দাবি, বলার সময় ভুল বলে ফেলেছেন। বিষয়টিকে এত বড় করে দেখা ঠিক হবে না।
ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে ধাক্কা অভিনেত্রী নুসরত জাহানের। নিম্ন আদালতে তৃণমূলের সাংসদ নুসরত জাহানকে হাজিরা দিতেই হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর জজ কোর্ট। ইতিপূর্বে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে, আলিপুরের জজ কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নুসরত জাহান। নিম্ন আদালতের নির্দেশ মতো, মামলার শুরুর দিকে অন্তত একবার করে আদালতে এসে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশকেই কার্যকর করল আলিপুর জজ কোর্ট। মামলাটি ছিল ৬ জানুয়ারি। এক্ষেত্রে আলিপুর জাজেস কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর জানান নিম্ন আদালতের নির্দেশ একেবারেই সঠিক। সেই অর্ডারটি মঙ্গলবার আলিপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জমা দেওয়া হবে।
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সংস্থা ক্রেতাদের ফ্ল্যাট কেনানোর টাকা নিয়ে ঠকিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে ইডি। এই প্রতারণা সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন ছিল আলিপুর আদালতে। সেই মামলায় এর আগে আলিপুর আদালতে যতবার শুনানি হয়েছে, ততবারই নানান কারণ দেখিয়ে নুসরত জাহান আদালতে হাজিরা দেননি। পরে আলিপুর আদালত এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেত্রীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নুসরত জাহান। শেষপর্যন্ত আলিপুর আদালতের নির্দেশ বহাল রাখল জজ কোর্ট। বিচারক জানান, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। ফলে ফ্ল্যাট প্রতারণার মামলায় হাজিরা দিতেই হবে নুসরতকে।
আবাসন প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। সেভেন সেন্সেস ইনফাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। সেই কোম্পানি থেকেই প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে ২০১৪-১৫ সালে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল বিনিময় ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। তবে না তাঁরা পেয়েছেন ফ্ল্যাট। না ফেরত দেওয়া হয়েছে তাঁদের টাকা। তাই প্রতারিতরা আদালতে এই আবাসন প্রতারণা নিয়ে মামলা দায়ের করেন। এখান থেকেই এই মামলায় জড়িয়ে পড়েন নুসরত। তবে মামলায় আদালতে যাতে তাঁকে হাজিরা না দিতে হয় তাঁর আবেদন জানিয়েছিলেন সাংসদ। সোমবার আলিপুর জজ কোর্টে নুসরতের হাজিরা নিয়ে চলল দুই পক্ষের সওয়াল।
দুপক্ষের সওয়ালে প্রতারিতদের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, মামলায় অন্তত একবার নসরত জাহানকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হোক। নুসরত যেন অন্ততপক্ষে বন্ড জমা দেন, তারপরেই আদালতের নির্দেশে তাঁর হাজিরা দেওয়ার বিষয়টি আইনানুগ হবে। আদালতের প্রয়োজনে যেন তাঁকে পাওয়া যায়- এই আবেদন জানান প্রতারিতদের আইনজীবী।
পাল্টা সরকারি আইনজীবী জানান, নিম্ন আদালতের রায় ছিল, নুসরতকে প্রতিদিন আদালতে আসতে হবে না। শুধুমাত্র ৩১৩ সিআরপিসি, চার্জ ফ্রেম গঠনের দিন উপস্থিত থাকলেই হবে।
সোমবার আলিপুর জজ কোর্টে আবাসন প্রতারণা মামলা নিয়ে এভাবেই দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনেন বিচারক। নুসরত জাহানকে মামলায় হাজিরা দিতে হবে কিনা, এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী শুনানির দিন, অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর। সেদিনই বোঝা যাবে আবাসন প্রতারণা মামলায় আরও বিপাকে পড়লেন কিনা নুসরত জাহান।
শিক্ষিত সৎ সাংসদ চাই', মঙ্গলবার সন্ধে থেকে এই পোস্টারেই ছয়লাপ বসিরহাটের একাধিক এলাকা। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে, মোটামুটি কোমর বাঁধতে শুরু করেছে সব দলই। বুধবারই, রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এই আবহেই, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত বিরোধী পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা।
লোকসভা ভোটের আগে, বসিরহাটের মিনাখাঁ বিধানসভার অন্তর্গত হাড়োয়া ব্লকের কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় পোস্টারের কোনওটিতে লেখা, “লোকসভার প্রার্থী হিসেবে বহিরাগত কাউকে চাই না।” আবার কোনোটার বয়ান, ‘অভিনেতা, অভিনেত্রী না, সৎ শিক্ষিত মানুষ চাই’ । এর আগেও একাধিকবার তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে এই পোস্টারে রীতিমতো অস্বস্তিতে সবুজ শিবির।
বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজা শেষ, কিন্তু সামনেই দীপাবলি। ফলে উৎসবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। কিন্তু এর মাঝে অনেকেই পরিবারের সঙ্গে, সঙ্গিনীর সঙ্গে আবার কেউ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছেন। ফলে এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেন না টলি অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত ও অভিনেত্রী নুসরত জাহানও। ঠাকুর বিসর্জন হতেই তাঁরা উড়ে গেলেন মলদ্বীপে। তবে দেখা যায়নি তাঁদের সন্তানকে। একগুচ্ছ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই ধেয়ে আসে নেটিজেনদের কটাক্ষ।
পুজোর পর মলদ্বীপে পাড়ি দিতেই নুুসরত ও যশ দু'জনেই ছবি ও রিলস শেয়ার করেছেন। কিন্তু সঙ্গে দেখা যায়নি সন্তানকে। এর জন্যও নেটিজেনদের কাছে কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁদের। পুজোর আগেই ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে নুসরতের নাম। আবার প্রথম হিন্দি ছবির জন্যও ব্যস্ত ছিলেন যশ। তবে পুজো মানে সমস্ত ব্যস্ততা ভুলে যাওয়া। চুটিয়ে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া আর ঠাকুর দেখা। আর এবার সুযোগ পেয়ে দুজনে মিলে ঘুরতেও গেলেন মলদ্বীপ। কিন্তু সেখানে গিয়েও সমালোচনার শিকার হতে হল। তবে নেটিজেনদের কটাক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তাঁরা। বরং তাঁদের খোশ মেজাজেই ঘুরতে দেখা যাচ্ছে।
নুসরত জাহানকে(Nusrat Jahan) ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি তো হতে হয়েছেই। এর পরও তাঁর নাম জড়ায় ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডেও। তবে এত কিছুর মাঝেও নবী দিবসে কিছু বিশেষ মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেল সাংসদ-অভিনেত্রীকে। বৃহস্পতিবার নুসরতকে দেখা গেল এক স্কুলে। সেখানে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কিছু সময় কাটালেন। এমনকি তাঁদের বিরিয়ানিও খাওয়ালেন তিনি। এই বিশেষ দিনের ভিডিওই তাঁর ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিলেন নুসরত।
বৃহস্পতিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ উৎসব নবী দিবস৷ সেই উৎসব উপলক্ষেই নুসরত পৌঁছে গিয়েছিলেন একটি স্কুলে৷ সেখানে স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটালেন টলি তারকা। বাচ্চাদের পেট ভরে খাওয়ালেন বিরিয়ানি। খোশ মেজাজে গল্পও করলেন। তাঁদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতে, তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলতে ও অটোগ্রাফও দিতে দেখা গেল তাঁকে। বাচ্চারাও তাঁকে দেখে খুশি হয়েছিলেন, এমনকি নুসরতের গালে আদুরে চুমুও দেয় বাচ্চারা। সব মিলিয়ে এদিন নুসরতকে এক অন্য মুডেই দেখা যায়। আবার বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করেই গাড়ি থামিয়ে রাস্তার মাঝে ঠেলা গাড়ি থেকে কাঁচা আম-সহ বেশ কিছু খাবার কিনলেন তিনি।
নবী দিবসের দিনে খুদেদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো নুসরত নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, 'যখনই হোক, যেমনই হোক না কেন আমাদের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা নিঃস্বার্থ। ভালোবাসার ভাষায় কথা বলাই আমাদের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সকলকে ইদ-উল-উন নবী মুবারক যাঁরা পালন করছেন।'
শনিবার তিনি সত্যির উপলব্ধির কথা বলেছিলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনিই ঝড়। তিনি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণা অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু শনি ও রবিবার নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লম্বা পোস্ট করলেন বসিরহাটের সাংসদ।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে স্বস্তি দিয়েছে আলিপুর আদালত। কিন্তু গত মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরতকে ছ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। রবিবার পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'ওরা ফিসফিস করে বলেছিল, ঝড় এলে তুমি উড়ে যাবে। কিন্তু ওদের কাছে পালটা উত্তর গেল, আমিই ঝড়…।'
এদিকে ইডির একটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, যে কোম্পানির হয়ে বাজার থেকে নুসরতের নামে টাকা তোলার অভিযোগ, সেই কোম্পানির অডিট রিপোর্টে ডিরেক্টর হিসাবে সই আছে বসিরহাটের সাংসদের। এর আগে, ওই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
সত্যিকে কখনও বিকৃত করা যায় না। কারণ তা শাশ্বত। তাই তার উপর রঙের প্রলেপ দিলেও, তা কখনও বদলে ফেলা যাবে না। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই উপলব্ধি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানের।
গত মঙ্গলবার ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। টানা জেরার পর বাইরে এসে দাবি করেছিলেন, সব প্রশ্নের তিনি উত্তর দিয়েছেন।
সম্প্রতি নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। ইডির কাছেই সরাসরি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছিল নুসরতকে। নিজের সোশাল মিডিয়ার হ্যান্ডেলে নুসরত আরও লিখেছেন, যাঁরা আসল সত্যি বুঝতে পারেন না, তাঁরা একদিন ধ্বংস হয়ে যান।
উল্লেখ্য ওই দিন সিজিও থেকে বেরিয়েই সোজা মন্দিরে গিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার যা যা বলার সবই বলেছি। যা যা দেওয়ার ছিল, দিয়ে এসেছি। এর পরও যদি ওঁদের মনে হয়, যদি আমাকে ডেকে পাঠান, আমি আবার যাব। সহযোগিতা করব।’’
ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলার তদন্তে সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার থেকে ভাতা পেতেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে নুসরতের নিয়োগপত্র পেয়েছে ইডি। আর তাতেই কেল্লাফতে হয়েছে বলে ইডির দাবি। উল্লেখ্য, সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থায় ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন রূপলেখা মিত্র। রূপলেখা ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন। সংস্থার বাকি ৬০ শতাংশ শেয়ার ছিল রাকেশ সিং-এর হাতে।
জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে নিউটাউনে ব্যাঙ্ককর্মীদের জন্য কেনা জমি দেড় কোটি টাকায় বন্ধক দেয় রাকেশ সিং। সাউথ নর্থ প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার কাছে ওই জমি বন্ধক রাখা হয়েছিল। চুক্তি হয়, এক বছরের মধ্যে আড়াই কোটি টাকা ফেরত দিয়ে ওই বন্ধক রাখা জমি ছাড়ানো হবে। জানা যাচ্ছে, সাউথ নর্থ প্রজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদম চাঁদ ভুটোরিয়া। এই পদম চাঁদ চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত গোদাবরী কমোডিটিস নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন।
আজ ইডির তলবে নির্ধারিত সময়ের মিনিট ১৫ আগেই বেলা পৌনে ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে তলব করেছিল ইডি। টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধে ৫.৩৫ মিনিট নাগাদ তৃণমূল সাংসদ বেরোলেন সিজিও থেকে।
নুসরত বেরোতেই তাঁকে ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা, উড়ে আসে একের পর এক প্রশ্ন। তবে সেসবে খুব একটা পাত্তা না দিয়ে এক কথায় ছোট্ট উত্তর দিয়েই অভিনেত্রী গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান ইডির দফতর থেকে। হলুদ সালোয়ার কামিজে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন নুসরত, হাতে ছিল ফাইল।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালেই নুসরতকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তাঁর কথায়, দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে। সে মুখ্যমন্ত্রী হোক বা রাজনীতিবিদ অথবা কোনও অভিনেতা বা তারকা।
ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় মঙ্গলবার ইডির (ED) দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরতকে (Nusrat Jahan)। সেই মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ইডির দফতরে হাজির নুসরত। প্রাথমিক দিকে তিনি জানিয়েছিলেন তিনি ইডির নোটিশ পাননি। যদি নোটিশ পান তবে নিশ্চয়ই যাবেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকেই পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন সাংবাদিকরা। আদৌ নুসরত ইডি দফতরে যাবেন তো? জল্পনা ছিল তুঙ্গে। তবে তিনি সকাল দশটার কিছু পরেই নিজের গাড়িতে ইডি দফতরের উদ্দেশে রওনা দেন। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় ৫০০ জন কর্মীকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় ইডি তাঁকে তলব করেছে।
সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন নুসরত। নুসরত দাবি করেছিলেন, তিনি ওই সংস্থা থেকে লোন নিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা এটাই মূলত জানতে চান, কোনও ব্যাঙ্ক থেকে না নিয়ে কেন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন নুসরত?
সূত্রের খবর, ২০১৪-১৫ সালে নুসরত যে সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, সেই ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতারিতদের অভিযোগ, নুসরত প্রতারণার টাকায় নিজে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর আলিপুর আদালতে গিয়ে মামলা ফাইল করে প্রতারিতরা।
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার প্রতারিত ব্যাঙ্ক কর্মীদের অভিযোগ সামনে আনেন। এবার সেই মামলাতেই ইডি ডাকে নুসরতকে। যদিও এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত দাবি করেছেন, তিনি ওই কোম্পানি থেকে একটা লোন নিয়েছিলেন। ১কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার লোন নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সুদ সমেত ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা কোম্পানিকে ফেরত দেন।
ইডি-র তলবে হাজিরা দিতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) আসবেন কিনা তা নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত কিছু জানাননি ওই টলি অভিনেত্রী।
অন্যদিকে সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। সেখানে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে নুসরতের। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হবে না তাঁকে।
সম্প্রতি বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণা অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। তাঁর অভিযোগ নিউটাউনে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের থেকে টাকা তুলেছেন নুসরত ও তাঁর কোম্পানি। টাকা তোলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। পাল্টা দাবি করেছিলেন, অফিস থেকে যে টাকা লোন হিসাবে নিয়েছিলেন, তা সুদ সহ ফেরত দিয়েছেন।
যদিও ৫ সেপ্টেম্বর হিঙ্গলগঙ্গের একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন নুসরত। বৈঠক শেষে ইডি-র নোটিশ দেওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সেপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ইডি-র নোটিশ এসেছে কিনা তিনি জানেন না। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে অবশ্যই হাজিরা দেবেন।
ফ্ল্যাট প্রতারণা-কাণ্ড মামলার শুনানিতে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন বসিরহাটের সাংসদ। আলিপুর পুলিস কোর্টে চলা মামলার শুনানিতে সশরীরে উপস্থিত না থেকে বারবার আইনজীবীকে পাঠান নুসরত। এরপরই আদালত জানায়, আইনজীবী নয় বরং সশরীরে আসতে হবে সাংসদ-অভিনেত্রীকে। এরপরেই জজ কোর্টের দ্বারস্থ নুসরত। যদিও আদালতকে তিনি বলেছেন, সাংসদ হিসেবে সামাজিক বেশ কিছু দায়বদ্ধতা ও পারিবারিক কারণে আসতে পারছেন না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি বছর ৪ঠা ডিসেম্বর।
উল্লেখ্য, নুসরত জাহান কতটা প্রভাবশালী, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে গড়িয়াহাট থানা এবং আদালতে মামলা দায়ের হয়। আদালত, পুলিসকে তদন্ত চালানোর পাশাপাশি লালবাজারকেও চিঠি পাঠায়। সেই চিঠিতে প্রশ্ন তোলা, কেন অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেনি কলকাতা পুলিস? এরপরেই লালবাজারের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে গড়িয়াহাট থানা। তদন্তে পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং অভিযোগকারীদের বয়ান খতিয়ে দেখে নুসরতের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগের সত্যতা সামনে উঠে আসে। এরপরই নুসরতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। এখন প্রশ্ন, নুসরতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হলেও পুলিস কেন ব্যবস্থা নেয়নি? কেন একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? তাই এই মামলায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন মামলাকারী তথা প্রতারিতরা। এবিষয়ে কী বলছেন মামলাকারীরা।
এদিকে, প্রতারিত তথা মামলকারীদের তরফের আইনজীবী জানান, কোর্ট নথিতে নুসরত জাহান আমাদের অভিযোগ অস্বীকার করছেন। পাশাপাশি উনি যেহেতু সাংসদ, তাই আদালতে না এসে শুনানি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই আবেদন করছেন নুসরত জাহান। তিনি যা কিছু কিনেছেন বা করেছেন, সব নিজের টাকায়, এমনটাই কোর্ট নথিতে বলেছেন উনি। আবার নুসরতের আইনজীবীর দাবি, নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আমার মক্কেলের সশরীরে হাজিরার উপর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালত বললে নুসরত জাহান নিশ্চয় সশরীরে এসে সহযোগিতা করবেন জানান তাঁর আইনজীবী সরিতা সিনহা।
এখন জোর চর্চা, শহরের প্রবীণ নাগরিক, যাঁরা মাথার ছাদ পেতে সারাজীবনের পুঁজি ঢেলেছিলেন অভিযুক্ত সংস্থায়, তাঁরা এখন প্রতারিত। আর টাকা ফেরত পেতে আদালতে আসছেন অহরহ। আবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়াচ্ছেন নুসরত জাহান! তাহলে কি সেই প্রভাবশালী তকমাই ঘুরেফিরে আসছে এই মামলাতেও, এই প্রশ্নই উঠছে।
'আজ ভীষন ব্যস্ত ছিলাম, নোটিশ এসেছে কিনা দেখারই সময় পাই নি।' ইডির তলব প্রসঙ্গে এমনই জানালেন নুসরত জাহান। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে ইডির তলব পেয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় নুসরত সিএন-ডিজিটালকে জানান, তিনি এখনও সমন হাতে পাননি, সমন পেলে বলতে পারবেন।
প্রতারণা-কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এমন কিছু করিনি, আর করবও না।’ দুর্নীতির সঙ্গে যোগের কোনও প্রমাণ করা যাবে না বলে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। এদিন নোটিশ নিজে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'নোটিস পেলে অবশ্যই সহযোগিতা করবেন।'
কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে নুসরতের। অভিযোগ, ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত আর সেই সংস্থাই টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে কয়েকজন অবসর প্রাপ্ত ব্যঙ্ককর্মীর সঙ্গে। ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হলেও ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ, ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না টাকাও। সম্প্রতি ইডি দফতরে গিয়ে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন ওই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীরা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত না দেওয়া হলেও ওই টাকা দিয়েই কোটি টাকার ফ্ল্যাট কেনেন নুসরত।
উল্লেখ্য, অভিযোগ সামনে আসার পর প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন নুসরত। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে সেখান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। পরে সুদ সমেত সেই টাকা ফেরতও দিয়ে দিয়েছেন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে যোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে, আপনারা যা বলবেন তাই হবে।”
ইডি তাঁকে তলব করবে না। সম্প্রতি টলিউডের এক পার্টিতে এই দাবি করেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। কিন্তু তাঁর এই দাবি ভুল প্রমাণ করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগামী মঙ্গলবার নুসরত জাহানকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হল।
এর আগে কলকাতায় রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ খারিজ করেছেন নুসরত। তাতেও আপাতত শেষরক্ষা হল না। মূলত বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডার অভিযোগের ভিত্তিতে, ফ্ল্যাট দুর্নীতির তদন্তে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে তলব করা হয়েছে।
সম্প্রতি বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণা অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। তাঁর অভিযোগ নিউটাউনে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের থেকে টাকা তুলেছেন নুসরত ও তাঁর কোম্পানি। টাকা তোলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। পাল্টা দাবি করেছিলেন, অফিস থেকে যে টাকা লোন হিসাবে নিয়েছিলেন, তা সুদ সহ ফেরত দিয়েছেন।
এদিকে, নুসরতের ওই কোম্পানির মালিক জানিয়েছিলেন, এই ব্যাপারে নুসরতকে কোনও লোন দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ইডির কাছে গিয়ে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিতরা। সেই তদন্তেই এবার ডেকে পাঠানো হল বসিরহাটের সাংসদকে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীর সাফ কথা, নুসরতের মামলা নুসরতকেই লড়তেই হবে।