এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ির অর্ড চা বাগানে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম নিতেন ওরাঁও ও সুমেশ সাউরিয়া। ধৃত দুজনই হল নকশালবাড়ি বেলগাছি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলার পর, ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে চেয়ে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিযেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবতীকে ফোন করে চা বাগানের নির্জন এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ওই দুই যুবক। তারপর যুবতীকে ধরে বেঁধে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই যুবক বলে অভিযোগ। এরপর সুযোগ বুঝে ওই যুবতী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বাড়িতে। সমস্ত ঘটনা জানাতেই বুধবার রাতেই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা নকশালবাড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সেদিন রাতেই নকশালবাড়ি থানার পুলিস অভিযুক্ত ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
নদী থেকে উদ্ধার হল এক সদ্যোজাতের মৃতদেহ। বুধাবার নকশালবাড়ির বাবু পাড়ার খেমচী নদীতে দেখতে পাওয়া যায় ওই সদ্যোজাতকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নকশালবাড়ি থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়। যদিও এখনও ওই সদ্য়জাতের পরিবারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিসের অনুমান, ওই মৃত সদ্যোজাতের বয়স ৪ থেকে ৫ মাস হতে পারে। তবে সদ্য়জাতের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাবু পাড়ার খেমচী নদীতে স্থানীয়রা একটি সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের মৃতদেহ দেখতে পান। এরপর ঘটনার খবর দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানায়। নকশাল বাড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কিভাবে ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু হল এবং কি করে নদীতে এসে পড়ল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে নকশাল বাড়ি থানার পুলিস।
হাতির দাঁত (Ivory) পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার (Arrest) পাঁচ পাচারকারী। তাদের মধ্যে একজন বিএসএফ ও একজন আইআরবির কর্মী বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার, নকশালবাড়ির (Naxalbari) বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম তপন থাপা, রিভাস প্রধান, প্রভু মুন্ডা, শ্রীয়ান খেড়িয়া ও ধর্মদাস লোহার। অভিযুক্তদের কাছ থেকে তল্লাশি চালিয়ে মোট ৯৪৫ গ্রাম ওজনের হাতির দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসএসবি ৪১ ব্যাটেলিয়ান টুকরিয়াঝাড় বনদফতর এবং ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর শিলিগুড়িতে যৌথ অভিযান চালান। এরপর নকশালবাড়ির বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় হাতির দাঁত বিক্রি করতে এসে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাঁচজন পাচারকারীকে হাতে নাতে ধরা হয়েছে। আপাতত ওই পাচারকারীদের নকশালবাড়ি থানায় রাখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, উদ্ধার করা হাতির দাঁত ভুটান থেকে নকশালবাড়িতে পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা। কিন্ত পাচারের আগেই তাদের সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হবে। এই পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে বনদফতর। এই পাচারের সঙ্গে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সীমান্তে দুটি গরু সহ এক ব্যক্তিকে (Cow Smuggling) গ্রেফতার (Arrest) করে এসএসবি (SSB)। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-নেপাল সীমান্তের বড় মনিরাম জোত এলাকায়। ধৃত ওই ব্যাক্তিকে নকশালবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ ইসলাম (৬০)। অভিযুক্ত ছোট মনিরাম জোতের বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, নকশালবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্তে বড় মনিরাম জোতে টহলদারি চালানোর সময় এক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকতে দেখা যায়। ঠিক তখনই সন্দেহ হয় এসএসবি আধিকারিকদের। সন্দেহের জেরে তাঁরা অভিযুক্তর কাছে যায়। তারপরেই অভিযুক্তর থেকে ওই দুটি গরু উদ্ধার করা হয়। এসএসবি-র অনুমান, অভিযুক্ত ওই গরু দুটিকে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।
বালি বোঝাই ডাম্পার ও যাত্রী বোঝাই ছোট ম্যাজিক গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ (Accident)। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর না মিললেও আহত (Injured) হয়েছেন প্রায় সাত জন যাত্রী। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ি (Naxalbari) থানার অন্তর্গত আশাপুর চা-বাগান সংলগ্ন রাজ্য সড়কের উপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নকশালবাড়ি থানার পুলিস (Police)। আতহদের উদ্ধার করে নকশালবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার ফলে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পুলিস ওই দুটি গাড়িকেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিঘাটা থেকে নকশালবাড়ি যাওয়ার সময়ই বালি বোঝাই ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই ম্যাজিক গাড়িটির। এরপরেই স্থানীয়রা ছুটে এসে ম্যাজিক গাড়ির ভিতর থেকে যাত্রীদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নকশালের প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এমনকি ম্যাজিক গাড়ির চালক গাড়ির ভিতরে আটকে পড়ায় স্থানীয়রা সেই চালককে বের করে হাসপাতালে পাঠায়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। স্থানীয়দের দাবি, এই দুর্ঘটনার পরই বালি বোঝাই করা ওই ডাম্পারের চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে পুলিস দুটি গাড়িকেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে।
বচসা ও মারধরের জেরে মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিসা রেলগেট এলাকায়। এই ঘটনায় দোষীকে গ্রেফতার করার দাবিতে বুধবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান স্থানীয়রা। নকশালবাড়ি (Naxalbari) শিলিগুড়িগামী ২ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এমনকি বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নকশালবাড়ি জেলা পুলিসের (Police) বিশাল বাহিনী।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুনীল নাগাসিয়া (৩৯)। তিনি বিজয়নগরের বড় ঝাড়ুজোতের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার রাতেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে নকশালবাড়ি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক বৃদ্ধকে ধাক্কা লাগে। যার ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই বচসাকে কেন্দ্র করেই রেলগেট এলাকার কিছু লোকজন ওই যুবককে মারধর করেন। যার ফলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃতের পরিবারের দাবি, দোষীকে গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।
খেলতে গিয়ে বাদাম ভেবে বিষাক্ত (Poisonous) ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ২২ জন শিশু (Children)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির (Naxalbari) বড় মনিরাম জোতে। জানা গিয়েছে, মাঠে খেলেতে গিয়ে ওই ফল খেয়ে ফেলে বাচ্চারা। গোটা ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নকশালবাড়িতে।
শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে নকশালবাড়ির বড় মনিরাম জোতের মাঠে খেলেতে যায় তাঁদের বাচ্চারা। সেই সময় খেলতে খেলতে গাছের ফল মনে করে অজান্তেই বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেলে বেশকয়েকজন শিশু। এরপরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর থেকেই বমি হতে শুরু করে। অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুরা। পরে রাতের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নকশালবাড়ি হাসপাতালে ওই ২২ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মনিরাম গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম ঘোষ। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা পর সকলেই সুস্থ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ফের সীমান্তে গরু পাচার রুখলো এসএসবি (SSB)। ঘটনাটি নকশালবাড়ির (Naxalbari) ভারত-নেপাল সীমান্তের মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটিয়া জোতে। পাচারকারীদের (Smuggler) কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ টি গরু।
জানা গিয়েছে, সীমান্তে টহলদারি করার সময় কোটিয়া জোতে কয়েকজনকে দেখে সন্দেহ হয় জওয়ানদের। ঠিক তার পরেই ৪১ ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের দেখেই গরু ছেড়ে নেপালে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। ঘটনায় পাচারকারীদের থেকে ৪৯ টি গরু উদ্ধার করেছে এসএসবি। এর আগেও গরু পাচার করতে গিয়ে এসএসবি -এর চোখে পড়ায় বহুবার ধরা পড়েছে পাচারকারীরা। এরপর উদ্ধার করা গরুগুলিকে নকশালবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেয় এসএসবি। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিস। উদ্ধার করা গরু নকশালবাড়ি খোয়াড়ে পাঠানো হয়েছে।
ফের হাতির (Elephant) তাণ্ডবে (Attack) ভাঙল ঘর! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচল ওই ঘরে থাকা সদস্যরা। নকশালবাড়ির (Naxalbari) মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটো মনিরাম জোতের ঘটনা। এই হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান।
জানা গিয়েছে, কলাবাড়ির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল হাতিটি। তারপরেই চালায় ব্যাপক তাণ্ডব। লোকালয়ে খাবারের খোঁজে চারিদিক তছনছ করে দেয় হাতিটি। এলাকায় চাষের জমিতে ক্ষয়ক্ষতি করার পাশাপাশি একটি ঘরের ভিতর ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় হাতিটি। ওই বাড়ির টিনের চাল ভাঙার পাশাপাশি আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে হাতিটি। তবে হাতির শব্দ পেয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে যান ওই বাড়ির সব সদস্যরা।
তবে এই তাণ্ডবের জেরে মাথায় হাত পড়েছে ওই বাড়ির সদস্য সহ এলাকাবাসীদের।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার (Accident)। ঘটনার জেরে মৃত্যু (Death) হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ি এলাকার (Naxalbari) বেঙ্গাইজোতের এশিয়ান হাইওয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নকশালবাড়ি থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে নকশালবাড়ি হাসপাতাল নিয়ে আসে। তবে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বাবলু সিংহ (৩২)। তিনি খরিবাড়ির বাতাসির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে বাতাসিতে বাড়ি ফেরার পথে বাবলুর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। তারপরেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। মৃতের বন্ধু অভিজিৎ রায় জানান, খুব ভালো মানুষ ছিলেন বাবলু। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
আবারও ছত্তিশগড়ে রক্ত ঝরল মাওবাদী হামলায়। বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। ছত্তীশগড়ের দান্তেওয়াড়ার এলাকার ঘটনা। হামলায় অন্তত ১০ জন পুলিসকর্মীর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্রের খবর, দান্তেওয়াড়ার আরানপুরের কাছে একটি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। তাতেই মৃত্যু ঘটে পুলিসকর্মীদের। জানা গিয়েছে, পুলিসকর্মীরা মাও দমন অভিযান সেরে ফিরছিলেন। সেই সময় পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। তাতেই মৃত্যু হয় ১০ জন পুলিসকর্মীর। মৃত্যু হয় গাড়ির চালকেরও।
সম্প্রতি সিপিআই মাওবাদীর নামাঙ্কিত একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলটি জানিয়েছিল, পুলিস ও নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা চালানো হবে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
আইইডি বিস্ফোরণে (IED Blast) নিহত সশস্ত্র বহিনীর এক সহকারী প্ল্যাটুন কমান্ডার। ঘটনাটি ঘটে ছত্তিশগড়ের(Chhattisgarh) মিরতুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিজয় যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা। সিএএফ-এর (CAF) ১৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন তিনি।
সোমাবার সকাল থেকেই এতেপাল এবং টিমেনার গ্রামে চলছিল সশস্ত্র বাহিনীর টহলদারি। পুলিস সূত্রে খবর, ওই এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। ফলে নিরাপত্তার জন্য ওই বাহিনী মোতায়েন ছিল। সেই এলাকায় সকাল ৭টা ৪০ নাগাদ হঠাত্ একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে মৃত্যু হয় সশস্ত্র বাহিনীর এক জওয়ানের। এই এলাকায় মাওবাদীদের প্রভাব থাকায়, পুলিসের অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাওবাদীরাই। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযানের সময় অসাবধানে আইইডি-র উপর পা পড়ে যায় বিজয়ের। যার জেরে ঘটে বিস্ফোরণ।
নদীর পাড় ধসে দুর্ঘটনা(Child Labours Died)। ঘটনায় মৃত্যু তিন শিশু শ্রমিকের, আহত এক। রবিবার রাতে বালাসন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচার করার সময় নদীর পাড় ধসে দুর্ঘটনার অভিযোগ। মাটিগাড়ার পাথরঘাটা বালাসন নদীর ঘটনা। গ্রামবাসীর উদ্যোগে জেসিবির সাহায্যে ওই তিন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। মৃতদের দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দিনের মতো রবিবার রাতে নদীতে শ্রমিকরা বালি ও পাথর তোলার জন্য আসে। বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পর হঠাৎ নদীর পাড় শ্রমিকদের গায়ের উপর ধসে পড়ে। যার ফলে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৩ শ্রমিকের, আহত এক শ্রমিক। অবশেষে জেসিবির মাধ্যমে মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের বের করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, মৃত তিন শ্রমিক নাবালক।
এমনকি স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিস প্রশাসনের মদতেই চলছে এই অবৈধ বালি পাচারের কাজ। রাতের অন্ধকারে বালাসন নদী থেকে শয়ে শয়ে বালি বোঝাই ডাম্পার পাচার করা হয়। আর পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এমনকি বালি পাচার করা গাড়ির চলকদের থেকে পুলিস টাকা নেয়, অভিযোগ স্থানীয়দের। ওই তিন শিশুর পরিবারের দাবি, যেহেতু প্রশাসনের উদাসীনতার জন্যই এই পাচার কাজের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসুক এবং তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
তবে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, 'বালি পাচারের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পুলিস টাকা নিয়ে গাড়ি পাস করে তারও কোনও অভিযোগ নেই আমার কাছে। তবে ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তিনজন নাবালক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সহ আমরা খুবই দুঃখ প্রকাশ করছি।'
ছত্তিশগড়ের বীজাপুরে হেড কনস্টেবল খুনে সন্দেহের তির মাওবাদীদের দিকে। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় পুলিশের হেড কনস্টেবল মণিরাম ভেট্টিকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে কাঠগড়ায় ৪ জন। সোমবার বীজপুরের বেলচর গ্রামের এই ঘটনার শুরু হয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, মণিরাম ভেট্টি ছুটিতে ছিলেন। তিনি গিয়েছিলেন এক আত্মীয়র বাড়ি। মণিরামকে রবিবার মধ্যরাত ২টো নাগাদ ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় ৪ জন। পরে দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছেই। দেহে একাধিক ক্ষত মিলেছে।
সূত্রের খবর, মণিরাম থাকতেন গেদাম এলাকায় কিন্তু নিযুক্ত ছিলেন দান্তেওয়াড়ায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন মাওবাদীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও মাওবাদী পোস্টার বা পত্রিকা মেলেনি বলেও জানিয়েছে পুলিস।
প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার দুর্লভ প্রজাতির সি-হর্স বা সিন্ধু ঘটক (Sea Horse Smuggling)) পাচারের আগে ঘোষপুকুর বন দফতরের (Forest Department) কর্মীদের জালে এক পাচারকারী। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নকশালবাড়ি (Naxalbari Darjeeling) থেকে সন্দেহজন একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর ব্যাগের ভিতর থেকে ৫ কেজির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সি-হর্সের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ঘোষপুকুর বন দফতরে নিয়ে আসা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ জন্য। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম ফৈয়াজ আহমেদ। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ধুলিগাও গ্রামে। তল্লাশির পর ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একাধিক জায়গার রেসিডেন্ট সার্টিফিকেটও পাওয়া গিয়েছে। অনুমান, নকশালবাড়ি হয়ে নেপালে পাচারের ছক ছিল এই সিন্ধু ঘটকগুলোকে। বুধবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি এসএসবি ও বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে লক্ষাধিক টাকার মূল্যের হাতির দাঁত উদ্ধার হয়েছিল। ফাঁসিদেওয়া ঘোষপুকুর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। বহু মূল্যের এই দাঁত পাচারের অভিযোগে তিন জন গ্রেফতারও হয়েছিল। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার রাতে খরিবাড়ির ইন্দো-নেপাল সীমান্তে এসএসবির জওয়ানরা তিন জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি জওয়ানরা তল্লাশি চালালে বহুমূল্যের দুটি হাতির দাঁত উদ্ধার হয়।