ভারত নেপাল সীমান্তে ফের গরু পাচার (Cow Smuggling)। গরু পাচার করতে গিয়ে এসএসবি জওয়ানদের (SSB Jawan) দেখেই গরু ছেড়ে পালাল পাচারকারীরা। নকশালবাড়ির (Naxalbari) ঝাপুজোতর ভারত-নেপাল সীমান্তের এই ঘটনায় শুক্রবার চাঞ্চল্য। কুয়াশার চাদর মোড়া অবস্থায় নেপাল থেকে ভারতে গরু পাচারের সময় এসএসবি-র নজরে আসতেই গরু রেখে পালায় পাচারকারীরা। পরে উদ্ধার ৫টি গরুকে নকশালবাড়ি পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের পাঠানো হয় খোয়ারে। ভারত-নেপাল সীমান্ত খোলা থাকায় রাতের অন্ধকার ও ভোরের কুয়াশাচ্ছন্নতা কাজে লাগিয়ে গরু পাচার করছে পাচারকারীরা।
ইতিমধ্যে গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সিবিআই এবং ইডি দুই সংস্থা এই পাচার-কাণ্ডের তদন্তে। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। যদিও সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার-কাণ্ডে বারবার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-কে কাঠগড়ায় তুলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা গরু পাচার এবং কয়লা পাচার নিয়ে শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও।
পাচারের আগে বিপুল পরিমাণ সাপের বিষ-সহ (snake poison) গ্রেফতার (Arrest) এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ওই বিষের আনুমানিক বাজারমূল্য ৩০ কোটি টাকা (Snake Venom seized)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালান ঘোষপুকুর বনদফতরের বনকর্মীরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ঘোষপুকুর বন বিভাগের কাছে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ধৃতের নাম সাজিদ আব্বাসী। ঘোষপুকুর রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, ওই ব্যক্তি পেশায় একজন ডেন্টাল সার্জেন্ট। তার ক্লিনিকও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ধানের জমি থেকে উদ্ধার হল বিশালাকার অজগর। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় নকশালবাড়ি ব্লকের মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সুরজবর এলাকায়। বৃহস্পতিবার মেচী নদীর পাশে ধান কাটতে ব্যস্ত ছিলেন কৃষকরা। ধান কাটার সময়ই আচমকাই ধানের জমিতে দেখতে পান অজগর।
তড়িঘড়ি কলাবাড়ি বনদফতরকে খবর দেওয়া হয়। বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অজগরটি উদ্ধার করে। ৬-৭ ফুটের অজগর কীভাবে জমিতে এল তা নিয়ে ধন্দে কৃষকরা। কৃষকরা জানান, রাতে হাতির হানায় ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার উপর এখন অজগর, আতঙ্কিত গ্রামবাসী।
ফের টোল প্লাজার কর্মীদের (Toll plaza staff) বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল। কেবল তা নয়, টাকা না দেওয়ায় গাড়ির চালককে মারধরেরও (Beaten) অভিযোগ করা হয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। এবারের ঘটনায় অভিযুক্ত নকশালবাড়ি (Naxalbari) সাতভাইয়া টোল প্লাজার কর্মীরা।
অভিযোগ, জোর জুলুম করে রাতের অন্ধকারে গাড়ি চালকদের কাছ থেকে টাকা নেন সাতভাইয়া টোল প্লাজার কর্মীরা। এদিনও এক গাড়ি চালকের থেকে অতিরিক্ত টাকা চান। বাড়তি টাকা না দিতে চাওয়ায় টোল কর্মীরা গাড়ির চালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরফলে শুরু হয়ে যায় টোল কর্মী ও চালকদের মধ্যে বচসা।
ঝামেলার জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টা টোলের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায় গাড়ির। এর আগেও ঠিক একইভাবে এই টোল প্লাজার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে চালকদের মারধর করার। চালকরা জানান, রাতের অন্ধকারে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় এই টোল প্লাজায়। এর আগে একইভাবে গাড়ির চালককে মারধর করায় গাড়ি চালকরা একত্রিত হয়ে টোল ভাঙচুর করে বলে জানা যায়।
খবর দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানার পুলিসকে। পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং টোল প্লাজার এক কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।