একদিকে যখন শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর সুপারিশ করল রাজ্যপাল, অন্যদিকে তখন বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতিতে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত চরমে। সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী উপাচার্য রজত কিশোর দে-কে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। মূলত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রাজভবন। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়, রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের বেআইনি আদেশে যে সকল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে করে রেখেছেন, আচার্য তাঁদের সতর্ক করছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত’ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে।
রাজভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উপাচার্যেরা যে সব নির্দেশ দিয়েছিলেন, আচার্য তা ক্ষমতাবলে রদ করে দিচ্ছেন। এ নিয়ে অবশ্য টুইট কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরপরেই রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার রাজ্যকে সুপারিশ করে নির্বাচনী আইন বিধি লঙ্ঘন করার জন্য ব্রাত্য বসুকে যেন শিক্ষামন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী টুইটে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’
মাকে ফোন করেও মেলেনি উত্তর। বাড়ি ফিরে বাবার ঝুলন্ত দেহ আর মায়ের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে তাজ্জব ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ায়। পুলিস সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নীলকন্ঠ বাউরী (৪২) এবং মৃত মহিলার নাম লিলি বাউরী (৩৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অন্ডাল থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলে রোহিত বাউরীর দাবি, "পাশেই মামার বাড়ি। সেখানে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের ফোনে ফোন করলেও উত্তর না মেলায় বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও সারা না মেলায় দরজা ভেঙে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় বাবার দেহ এবং মায়ের দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে।" যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে প্রায়শই ঝামেলা অশান্তি হত।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। গত কয়েকদিনে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তখনই নীলকন্ঠ বাউরী দেওয়ালে 'আমরা একসঙ্গে যাব' লিখে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন স্বামী। তবে কি পারিবারিক বিবাদের জের নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এই ঘটনার পিছনে? ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিস।
রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই মন্ত্রীর বিবাদ মঙ্গলবার রাতে দেখেছে দিনহাটাবাসী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মধ্যে ঝামেলা গড়ায় হাতাহাতিতে। একে অপরের দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার রেশ বুধবারও রয়েছে। আজই দুপুরে দিনহাটা পৌঁছবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। তিনি পুলিসের কাছ থেকে গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। পাশাপাশি নিজেও কোচবিহারে যাচ্ছেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌঁছবেন। সেখান থেকে গাড়িতে কোচবিহারের দিনহাটা যাবেন বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যপালের দিনহাটা যাওয়া প্রসঙ্গে ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন উদয়ন গুহ। তিনি লিখেছে, মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয় শুনলাম আপনি দিনহাটা আসছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবশ্যই নিয়ে আসবেন। রাজ্যপাল এসে জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এমনই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
গতকালের ঘটনায় ৪৫ বিজেপি কর্মী, নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। গতকাল রাতে ঝামেলা মিটলেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। রীতিমতো রাজনৈতিক উত্তেজনার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে এলাকায়। পুলিসও ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বুধবার সকালে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে আরও একবার এই অভিযোগ করেন উদয়ন গুহ। সমস্ত ঘটনার জন্যই বিজেপিকে দায়ী করল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। বিজেপি এলাকায় ভোটের আগে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে। এমন অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপিও একই অভিযোগ আনছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল গত সোমবার। বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে রেল কলোনির বন্ধ কোয়াটার থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালায়। ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে বেহালা থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম অংশুমান সিং(১৭)। এমপি বিলাস স্কুলের এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। বাড়ি বেহালা পাঠকপাড়ায়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে গত সোমবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল অংশুমান। মঙ্গলবারও অংশুমান বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন অংশুমানের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনওরকম ভাবে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি যে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল সেই বন্ধুরাও কেউ ফোনে পাচ্ছিল না অংশুমানকে।
এরপরই পরিবারের লোকজন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেহালা গোলশাপুর রেল কলোনির বদ্ধ বিল্ডিং গুলিতে খোঁজ করতে গিয়ে ৩৫ নম্বর বিল্ডিং-এর চার তলায় অংশুমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকার মানুষজন। তড়িঘড়ি অংশুমানকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
কীভাবে কী কারণে এই মৃত্যু পরিবারের লোকজন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, অংশুমান অনলাইন গেম খেলায় আসক্ত ছিল। বেশ কয়েক মাস ধরে তার কয়েক লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল বন্ধু দের কাছে। পরিবারকে কিছুই জানায়নি। সোমবার অংশুমান-এর বন্ধু মারফত তাঁরা তা জানতে পারেন।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে। তার উপরে জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। রবিবারে ছুটির সকালে কয়েক মিনিটের আগুনে পুড়ে ছাই আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতালের কাছে ইএম বাইপাসের ধারে ঝুপড়ি। প্রথমে আগুন, তারপর একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। মাত্র ১০ মিনিটে ভস্মীভূত গোটা বস্তি। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছিল দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। তবুও হল না শেষ রক্ষা। সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে নিঃস্ব ঝুপড়ির বাসিন্দারা। তাঁদের জন্য এলাকার একটি মাঠে অস্থায়ী ছাউনিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলরের তরফে। কিন্তু অসহায় মানুষগুলোযে সব হারিয়েছেন এক লহমায়। প্রয়োজনীয় নথিপত্র, সন্তানের পড়াশুনার বই, জমানো অর্থ আজ সবই আগুনের গ্রাসে। আগামী দিনে কীভাবে কাটবে তাদের বুঝে উঠতে পারছেন না কিছুই।
বাঁচার রসদটুকুও কেড়ে নিয়েছে নিয়তি। ছাইয়ের স্তূপে পাগলের মতো তারা খুঁজে চলেছেন প্রয়োজনীয় নথিপত্র। তাদের চোখে মুখে ক্লান্তির সঙ্গে যেন মিশে রয়েছে নতুন করে বাঁচার জেদ। তবে এই দুর্দিনে প্রশাসনের তরফে সাহায্যের আশ্বাস মেলায় আশার আলো দেখছেন নিঃস্ব অসহায় বাসিন্দারা।
১১ বছর আগে এমনই বিপর্যয়ে সম্মুখীন হয়েছিল এই বস্তি।একবছর পরেই পুনর্বাসন মেলার প্রতিশ্রুতি মিলেছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু ১১ বছরে ফেরেনি সুদিন। অস্থায়ী ভাবে রুবি আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতাল লাগোয়া বস্তিতে মিলেছিল ঠিকানা। আবারও সেই বস্তিতে আগুন। ফের সব খুইয়ে উদ্বাস্তু ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার। কবে হাল ফিরবে তাদের? স্থায়ী আশ্রয়ের অপেক্ষায় এখন শুধু দিন গুজরান।
বাইপাসের ধারে আনন্দপুরের ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। ফর্টিস হাসপাতালের কাছে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। একের পর এক গ্য়াস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। ইতিমধ্য়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, আগুনে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি বাড়ি একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রথমে আগুন লাগে, তারপরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়ই নয়টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করেছে ওই এলাকায়। এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
আগুনে পুড়ে ছাড়খাড় হয়েছে ঝুপড়িবাসীর সর্বস্ব। ছাই হয়ে গিয়েছে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর অ্য়াডমিট কার্ড। কান্নায় ভেঙে পড়েছে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী সহ ঝুপড়ি বাসিন্দারা।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা দিলেন এক পরীক্ষার্থী। প্রসবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইংরেজি পরীক্ষা দিল নাজমা মণ্ডল। তিনি বনগাঁর ঘাটবাওর রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলের ছাত্রী। তাঁর পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছিল বনগাঁ শক্তিগড় হাই স্কুলে। গত শুক্রবার উচ্চমাধ্য়মিকের প্রথম পরীক্ষা স্কুলে গিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। এরপর হাসপাতালে শুয়েই তাঁকে ইংরেজি পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে নাজমার বিয়ে হয়েছিল ঘাটবাওর এলাকায়। তারপর সন্তানসম্ভবা হন তিনি। উচ্চ মাধ্য়মিকের প্রথম পরীক্ষা দেওয়ার পর হঠাৎ পেটে ব্যথা নিয়ে শনিবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে প্রস্তুতি বিভাগে ভর্তি হন নাজমা।
এরপর রবিবার সিজারের মাধ্যমে তাঁর একটি ছেলে সন্তান হয়। সোমবার নাজমা পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই হাসপাতালে তাঁকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্কুল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষার আগেই এবার উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন পড়ুয়াদের দেওয়া হবে। এমনই প্রলোভন দেখিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছে রায়গঞ্জের একাধিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শনিবার রাতে এই বিষয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার একটি অ্যাপ টেলিগ্রামে 'মাস্টারমাইন্ড' নামে একটি গ্রুপ খোলা হয়েছে। আর সেই গ্রুপ থেকে সকল পরীক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করে পরীক্ষার আগেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার প্রলোভন দিচ্ছে। আর তার বিনিময়ে বিনিময়ে দাবী করা হয়েছে ৮-১০ হাজার টাকা।
কদিন ধরে এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে শনিবার একদল ছাত্রছাত্রী সেই অ্যাপে অভিযুক্তের ফাঁদে পা দেওয়ার নাটক করে তাঁর কাছ থেকে কিছু তথ্য গ্রহণ করে৷ সেই সব তথ্য অনুযায়ী বাংলা, ইংরেজি সহ প্রতিটি বিষয়েই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এর ফলে ছাত্র ছাত্রীদের উপর পড়ছে খারাপ প্রভাব। তাই অবিলম্বে এক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। সাইবার ক্রাইমেও অভিযোগ জানাতে চলেছেন অভিযোগকারীরা।
অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছে গোটা সন্দেশখালি। তাই সোমবারই কেরল থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশ্য়ে রওনা দিয়েছেন রাজ্য়পাল। এদিন রাজ্যপাল সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতায় আসেন। দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিককদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, 'আমি কেরলে ছিলাম। যখনই শুনলাম সন্দেশখালিতে ভয়ানক এক ঘটনা ঘটেছে। তৎক্ষণাৎ কেরলের প্রোগ্রাম কাটছাঁট করে ফিরে এসেছি। আমি সন্দেশখালি যাচ্ছি, সন্দেশখালিতে কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখব।'
রাজ্যপাল আসার আগেই সন্দেশখালিতে মহিলারা প্ল্যাকার্ড হাতে বেরিয়ে পড়েছেন। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মিনাখাঁর বামন পুকুরে রাজ্যপালকে দেখা মাত্রই রাস্তার ধারে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। তাঁদের দাবি, 'একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যপাল আমাদের এলাকায় আসছে তাই আমারা সবাই সেই টাকার দাবিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। যাতে রাজ্যপাল আমাদের টাকার কথা কেন্দ্র সরকারকে জানান।'
চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে এবছরের উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষা। সেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার অ্য়াডমিড কার্ড না পেয়ে অথৈ জলে এক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, স্কুলে পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করা হলেও মেলেনি অ্য়াডমিড কার্ড। যা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে ব্লক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরীক্ষার্থীর পরিবার। এমনকি মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুরে।
জানা গিয়েছে, কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিপি স্বর্ণকার। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে লিপিও। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ডও পেয়ে গিয়েছিল। এমনকি টেস্ট পরীক্ষা দিয়েও ফলাফল ভালো হয়েছিল তার। পরবর্তীতে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিল লিপি। কিন্তু স্কুলে প্রত্য়েককে অ্য়াডমিড কার্ড পেলেও পায়নি লিপি।
এরপর প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন লিপি নাকি ফর্ম ফিলাপ করেনি। তারপর থেকেই চরম হতাশায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন ওই পরীক্ষার্থী। তার অভিযোগ মানসিক অবসাদে যদি আত্মহত্যা করি তাহলে তার দায় থাকবে প্রধান শিক্ষকের। জীবনের দ্বিতীয়বার বড় পরীক্ষার আগে মেয়ের এই সমস্যায় ব্যাপক দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবারের লোকেরাও। সমস্যা সমাধানের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা। আবেদন করেছেন জেলা শাসককেও
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বড়সড় ঘোষণা। এক ধাক্কায় ৫০০ টাকা বাড়ল লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। এবার থেকে আর ৫০০ টাকা নয়। প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন সাধারণ বা জেনারেল শ্রেণিভুক্ত মহিলারা। তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলার প্রতি মাসে পাবেন ১২০০ টাকা করে রাজ্য বাজেটে ঘোষণা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। ভাতা বৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি উপভোক্তারা।
একই সঙ্গে সিভিক, ভিলেজ এবং গ্রিন পুলিসদেরও ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই ঘোষণায় উপকৃত হবেন কয়েক হাজার পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্যে আর্থিক বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যেখানে একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়। সেখানেই লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা বাড়ানোর ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। আর এজন্যে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৪ সালের মে মাস থেকেই বর্ধিত টাকা মহিলারা পাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণার পরেই করতালি দিয়ে এহেন ঘোষণাকে স্বাগত জানান উপস্থিত শাসকদের বিধাকরা।
২০২১ সালে নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। প্রতিশ্রুতি বাস্তব রূপ পায় সে বছরই নভেম্বরে। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির উপভোক্তারা মাসিক ১০০০ টাকা ও অন্যান্যদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। শুরুতে এই ভাতা পেতেন ২৫-৬০ বছর বয়সিরা। ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে তাঁরা পেতেন বার্ধক্য ভাতা। তবে বর্তমানে ষাটোর্ধ্বরা বার্ধক্য ভাতা-সহ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ১ হাজার টাকা পান। প্রতি মাসে সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে প্রকল্পের টাকা।
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। পাশাপাশি, অয়ন শীলের সংস্থার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন পুরসভার কর্মীদের-ও। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ক্লার্ক, পিয়ন সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ২০টি সেন্টারে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল মূলত ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই। এমনকি প্রার্থী সংখ্যাতেও কারচুপি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সেই সময় কারা পরিদর্শক ছিলেন, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো বরানগর পুরসভার কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার এই মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন বরানগর পুরসভার ২ কর্মী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে, এক প্রাক্তনসরকারি কর্মী জানান, তিনি তিনবছর আগে একটি স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তবে বাকি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি কি আদৌ সম্ভব? সিবিআইয়ের তদন্তে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?
দ্বিতীয় দিনে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, সিএন-এর প্রতিনিধি মণি ভট্টাচার্যের মাধ্যেমে প্রথম জানতে পারেন লাল কালি দিয়ে বারকোড ঢাকা ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছে। এরপরই তদন্তে করে ১১জন পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি স্কুলে উদেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে বলে উল্লেখ করেন। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচারও হয় সিএন-এ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিনের মতোই দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। যেখানে বারকোড রয়েছে, কিন্তু লাল কালি দিয়ে বারকোড নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই ভাইরাল হওয়া ইংরেজি প্রশ্নপত্র এবারের পরীক্ষার তা স্বীকার করেছেন পর্ষদ সভাপতি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বাংলা পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় বাংলার প্রশ্নপত্র। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিনও ইংরেজি প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার ঘটনায় শাস্তির মুখে অভিযুক্ত পরিক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। মাধ্যমিকের প্রথম দিন সকাল থেকেই হইহই রইরই কাণ্ড। হঠাৎ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হুবহু মাধ্যমিকের মতই এক প্রশ্নপত্রের বেশ কয়েকটি পাতা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে যায়। এই খবর সবার প্রথম সম্প্রচার করে সিএন। অতঃপর সিএনের খবরের জেরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরীক্ষা শেষের সার্বিক ঘটনাক্রমের সাংবাদিক বৈঠকে, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিয়েও বিবৃতি দেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই দুই পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং অ্যাডমিট কার্ড। প্রসঙ্গত, এর আগেই পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, প্রশ্নপত্রের প্রতিটি পাতায় ওই প্রশ্নপত্রের ক্রমিক নম্বরের কোড লুকানো থাকবে। কেউ কোনও পাতার ছবি তুলতে চাইলে, পাতায় লুকিয়ে থাকা ক্রমিক নম্বরের মাধ্যমে তা সহজেই জানতে পারা যাবে। এমন কাজে ধরা পড়লে সে বছরের মত তার পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যাবে। শুধু তাই না, পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষকও পরীক্ষা শুরুর আগে তা অবগত করেছিলেন পরীক্ষার্থীদের। তবুও এমন ঘটনা থেকে বিরত রইল না ২০২৪ এর মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষাও। পর্ষদের নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই এমন ঘটনা ঘটল।
তবে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে রাজ্য জুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এত নিরাপত্তার বহর শোনা যাচ্ছে, সেখানে পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারছে কীভাবে? এছাড়াও পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেও মোবাইল ও স্মার্ট ওয়াচ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩ পরীক্ষার্থীর। তারই মাঝে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রশ্নপত্র ভাইরালের মত ঘটনা ঘটল পরীক্ষার প্রথম দিনেই। তবে, নিরাপত্তার গাফিলতি কোথাও স্পষ্ট মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে। এই গাফিলতির দায় নেবে কে? উঠছে প্রশ্ন।
অবৈধভাবে মহানন্দা নদীর চর কেটে চলছিল মাটি মাফিয়াদের বালি বিক্রির কাজ। বালি বিক্রির কাজ বন্ধ করতে সরব গ্রামবাসীরা। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার মাঝ বরাবর দিয়ে বয়ে চলেছে মহানন্দা নদী।
সেই মহানন্দা নদীর চর কেটে বিক্রি করছে মিনি ডাকপাড়া গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। যারা বিক্রি করছে তাঁদের দাবি, তাঁরা পৈত্রিক সম্পত্তি কেটে বিক্রি হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর আগে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার ফলে আমাদের জমির উপর দিয়ে নদী বইতে শুরু করে। সেই সময় নদীগর্ভে চলে যায় কয়েকশ একর জমি। তবে এখন নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার ফলে সেই জমি ফিরে পেয়েছি। সেখান থেকেই নিজের বাড়ির কাজের জন্য ও গ্রামবাসীরা নিজেদের কাজের জন্য ট্রাক্টর করে বালি নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে নদীর চর জেসিবির মাধ্যমে কেটে ট্রাক্টর বোঝাই করে অন্য এক জায়গায় ডাম্পিং করা হচ্ছে। সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে ডাম্পার করে বালিগুলি পাচার করা হচ্ছে। তবে রাতের অন্ধকারে বালি পাচারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীরা লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন ফাঁসিদেওয়ার বিএলআর অফিসে।
ফাঁসিদেওয়ার বিএলআরও শুভ্রজিৎ মজুমদার জানান, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ওই এলাকায় আনুমানিক একশো থেকে দেড়শ বিঘা জমির চর বেরিয়ে এসেছে। তবে সেই চড় থেকে যারা বালি বিক্রি করছেন সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। বালি চুরি বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনোমতেই বালি চুরি দুষ্কৃতীদের ছাড়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।