একটি মামলা নিয়ে বচসার জেরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পুড়িয়ে মারলেন বাবা। পরে নিজে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরে কর্নাটকের (Karnataka) হেন্নুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। সেখানে তিনজনের আধপোড়া শরীর এবং এক মাঝবয়সি ব্যক্তির অচেতন দেহ উদ্ধার করে তারা। পরে চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, ওই ব্যক্তি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম সোনেগৌড়া ওরফে সোনাপ্পা। মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর স্ত্রী নেত্রার সঙ্গে একটি মামলা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এর আগে সোনাপ্পার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন নেত্রা। পুলিসের কাছে এফআইআর দায়ের করেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। বুধবার ভোরে পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এরপরই স্ত্রী এবং দুই কিশোরী মেয়ের উপর চড়াও হন সোনাপ্পা।
প্রথমে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত, তার পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের দুই কন্যার বয়স যথাক্রমে ১১ এবং ৯ বছর। জানা গিয়েছে, ওই মামলায় সোনাপ্পার থেকে ক্ষতিপূরণও চেয়েছিলেন তিনি। সোনাপ্পার বাবাকেও সেই মামলায় যুক্ত করে সম্পত্তির ভাগ চেয়েছিলেন নেত্রা। ওই ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
গুয়াহাটিতে শাশুড়ি-স্বামী (Double Murder) খুনের ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিসের (Assam Police) হাতে। যে বাড়িতে স্বামীকে খুন করেছিলেন বন্দনা, সেখানেই ঘটা করে সত্যনারায়ণ পুজো করেন তিনি। ইতিমধ্যে এই জোড়া হত্যাকাণ্ডে বন্দনা কলিতা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে এমন তথ্যই হাতে পেয়েছে পুলিস। জানা গিয়েছে, স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেন অভিযুক্তরা। এই কাজে বন্দনাকে (vandana Kalita) সাহায্য করেছিলেন প্রেমিক ধাতি কলিতা এবং বন্ধু অরূপ দাস। দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকর এবং নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ড ঘিরে চর্চার মধ্যে অসমে এই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে।
সূত্রের খবর, ৩২ বছরের বন্দনা পেশায় জিম প্রশিক্ষক। ঠাণ্ডা মাথায় প্রথমে শাশুড়ি শঙ্করী দে এবং পরে স্বামী অমরজ্যোতি দে-কে খুন করেন তিনি। ধাতির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন কিনা খতিয়ে দেখছে অসম পুলিস।
নাগেরবাজার, দমদম ও নিমতা অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে উৎপাত করছিল রবিউল গাজী নামে এক ওয়ান্টেড দুষ্কৃতী (Dacoity)। নাগেরবাজার থানা এলাকায় তার বিরুদ্ধে খুন এবং ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি নিমতা থানা এলাকায় একইভাবে অভিযুক্ত রবিউল। ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের (Barrackpur Commissionarate) বিশেষ সিট অবশেষে গ্রেফতার করেছে রবিউলকে। জানা গিয়েছে, ধৃত বাংলাদেশের বাসিন্দা, তার দমদমের (Dumdum) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বাংলদেশি পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ব্যারাকপুর কমিশনারেট তাকে ওয়ান্টেড চিহ্নিত করে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
ঠিক কী অভিযোগ রবিউলের বিরুদ্ধে? জানা গিয়েছে, গাছ থেকে নারকেল পাড়া, জঙ্গল পরিষ্কার কিংবা বাগানের গাছ ছাঁটাইয়ের নাম করে ঢুকত রবিউল। মূলত যে বাড়িতে অল্প কিছু মানুষ, সেই বাড়িকে টার্গেট করত সে। গৃহকর্তা বা গৃহকর্ত্রীর একা থাকার সুযোগে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে লুটপাট চালাত রবিউল।
নাগেরবাজারে এমন এক ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। নিমতা থানা এলাকায় এক মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যদিও এখন তিনি সুস্থ। এরপরেই ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেট নাগেরবাজার, দমদম এবং নিমতা থানার পুলিসকে নিয়ে একটি সিট গঠন করে। সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া রবিউলের ছবি সামাজিক মাধ্যমে সার্কুলেট করে পুলিস। অন্য থানার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে দমদমে অভিযুক্তর এক বাড়ির সন্ধান মেলে। সেখানে সে কয়েকদিন থেকেছে। সেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রবিউলের পরিচয় এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করে পুলিস। অবশেষে পুলিসের জালে ওয়ান্টেড রবিউল।
সাম্প্রতিককালে নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ড (Nikki Yadav Murder) নিয়ে তুঙ্গে চর্চা। দিল্লির এই ঘটনায় পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত শাহিল গেহলট-সহ একাধিক ব্যক্তি। এই আবহে আরও এক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে। জানা গিয়েছে, স্বামী-শাশুড়িকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে (Body in Fridge) রেখেছিলেন এক মহিলা, নেপথ্যে পরকীয়া। এই অভিযোগ পুলিসের কাছে আসতেই গ্রেফতার অসমের (Assam Murder) বন্দনা কলিতা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, স্বামী এবং শাশুড়ির টুকরো দেহাংশ পরে মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, রবিবার যা উদ্ধার করেছে পুলিস।
মূল অভিযুক্ত বন্দনার সঙ্গে গ্রেফতার ধনজিৎ ডেকা নামে এক যুবক। পুলিসের দাবি, ধনজিতের সঙ্গে বন্দনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই এই খুন কি, খতিয়ে দেখছে পুলিস। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে অরূপ দাস নামে বন্দনার এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
গুয়াহাটির পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, অমরেন্দ্র দে এবং তাঁর মা শঙ্করী দে-কে ৭ মাস আগে খুন করা হয়েছিল। খুনের পর তাঁদের দেহ টুকরো করে পলিথিনে ভরে প্রথমে ফ্রিজে রেখেছিলেন বন্দনা। তার পর সেই দেহাংশগুলি লোপাটের জন্য মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়।
কীভাবে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ? জানা গিয়েছে, খুনের পর স্বামী এবং শাশুড়ির নামে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বন্দনা। কিন্তু সেই তদন্তে কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর অমরেন্দ্রর তুতো ভাই আরও একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুনরায় ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।
ছত্তিশগড়ের বীজাপুরে হেড কনস্টেবল খুনে সন্দেহের তির মাওবাদীদের দিকে। জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় পুলিশের হেড কনস্টেবল মণিরাম ভেট্টিকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে কাঠগড়ায় ৪ জন। সোমবার বীজপুরের বেলচর গ্রামের এই ঘটনার শুরু হয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, মণিরাম ভেট্টি ছুটিতে ছিলেন। তিনি গিয়েছিলেন এক আত্মীয়র বাড়ি। মণিরামকে রবিবার মধ্যরাত ২টো নাগাদ ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় ৪ জন। পরে দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছেই। দেহে একাধিক ক্ষত মিলেছে।
সূত্রের খবর, মণিরাম থাকতেন গেদাম এলাকায় কিন্তু নিযুক্ত ছিলেন দান্তেওয়াড়ায়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন মাওবাদীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও মাওবাদী পোস্টার বা পত্রিকা মেলেনি বলেও জানিয়েছে পুলিস।
১৪ ফেব্রুয়ারি (Valentines Day) ভালোবাসার দিনে, ভালোবাসার মানুষকে কাছে না পেয়ে নৃশংস হত্যা (Dumdum Murder) প্রেমিকের। অবশেষে রবিবার রাতে দমদম থানার পুলিসের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, দমদম থানা এলাকার দুর্গানগরের বাসিন্দা মিহির মণ্ডলের সঙ্গে দমদম ক্যান্টনমেন্টের পশ্চিম রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা বছর ৪২-র অঞ্জু দাসের অবৈধ সম্পর্ক (Extra Marital Affairs) গড়ে ওঠে। বছর দেড়েকের এই সম্পর্কে সবসময় টানাপোড়েন চলতো।
বছরখানেক আগে দমদম থানায় একটি লিখিত অভিযোগও হয়। এরপরেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি কেউ। কিন্তু মিহিরে নিত্য শারীরিক নিগ্রহের হাত থেকে বাঁচতে বেড়িয়ে আসতে চাইছিলেন বছর ৪২-এর অঞ্জু দাস। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বছর ৩৭-এর মিহির।
অভিযোগ, ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে'র দিনে রাস্তা থেকেই অঞ্জু দাসকে অপহরণ করে নিজের বাড়িতে আনেন অভিযুক্ত। এরপরে সেখানে দু'জনের মধ্যে বিবাদ-বচসা শুরু হয়। সেই বচসার জেরেই অঞ্জু দাসকে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে মিহির মণ্ডল। এমনকি তাঁকে কোপানো হয়েছে বলেও পুলিসে অভিযোগ করেন অঞ্জুর মেয়ে প্রিয়া দাস। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মিহির মণ্ডল, নিজেই নাম ভাঁড়িয়ে অঞ্জু দাসকে স্ত্রী পরিচয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
এমতাবস্থায় মিহিরের স্ত্রী, অঞ্জুর মেয়েকে মায়ের খোঁজ নিতে বলেন। প্রিয়া এরপরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আরজিকরে ভর্তি রয়েছেন মা। এরপর সেখানে গিয়েই সে সমস্ত ঘটনা জানতে পারে। গত ১৮ তারিখ রাতে চারদিন কোমায় থাকার পর মৃত্যু হয় অঞ্জু দাসের। এরপরেই অভিযান চালিয়ে দমদম থানার পুলিস রবিবার দুর্গানগর থেকেই অভিযুক্ত মিহিরকে গ্রেফতার করে।
ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস। ধৃতকে সোমবার পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। মৃতার মেয়ে জানান, 'মায়ের সঙ্গে একজনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দশ মাস আগে মা সেই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসেন। মায়ের সঙ্গে যার সম্পর্ক ছিল, তিনি খুব মারধর করতেন বলে আমরা থানায় জিডিও করি। এরপরেও উনি আমাদের জ্বালাতন শুরু করেন। বাড়িতে এসে অশান্তি করত, ১৪ তারিখ মা পথকুকুরদের খাওয়াতে বেরোলে কোনওভাবে ওই ব্যক্তি মাকে তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়েছে। হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন। গত ৪ দিন আরজি করে ভর্তি থাকার পর ১৮ তারিখ রাতে মা মারা গিয়েছেন।'
নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডে (Nikki Yadav Murder) নিত্যদিন চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে দিল্লি পুলিসের। এযাবৎকাল মূল অভিযুক্ত শাহিল গেহলটকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিস। কী কারণে নিক্কিকে খুন, কোথায় নিক্কিকে খুন? এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যে পুলিসকে (Delhi Police) দিয়েছেন অভিযুক্ত শাহিল। এবার আরও চাঞ্চল্যকর ভাবে জানা গিয়েছে, নিক্কি-শাহিল নাকি বছর তিনেক আগেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তাঁদের বিয়ের সার্টিফিকেট ইতিমধ্যে পুলিসের হাতে এসেছে। সেই প্রমাণের উপর ভর করে দিল্লির এই ধাবা মালিককে (Dhaba Owner) নতুন করে জেরা শুরু করেছে দিল্লি পুলিস।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে মন্দিরে গিয়ে নিক্কিকে বিয়ে করেছিলেন সাহিল। বিয়ের কথা শাহিল তাঁর বাবা বীরেন্দর সিংকে জানিয়েছিলেন। তবুও জোর করে অন্য মহিলার সঙ্গে শাহিলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এমনকী, নিক্কিকে খুনের কথা শাহিল জানান নিজের বাবাকে।
ঘটনা জানার পরেও বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফেলতে পুত্রকে জোর করেছিলেন বীরেন্দর। তাই দিল্লি পুলিসের তরফে বীরেন্দরকেও গ্রেফতার করা হয়। বীরেন্দরের পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনকে। শুক্রবার আদালতে এই ৫ জনকে পেশ করা হয়েছিল।
নিজের বাগদান অনুষ্ঠানে থেকে ফিরে প্রেমিকা নিক্কি যাদবকে (Nikki Yadav Murder) খুন করেন শাহিল গেহলট। অভিযুক্তকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির এই ধাবা মালিক নিক্কিকে ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাতে গলায় মোবাইল চার্জারের কেবল জড়িয়ে খুন করেন। সেই সময় তাঁরা ছিলেন দিল্লির কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি (ISBT) এলাকায়। হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এই যুগল গাড়ি নিয়ে বেড়ান।
জানা গিয়েছে, প্রথমে গোয়া যাওয়ার প্ল্যান করলেও ট্রেনের টিকিট না পেয়ে তাঁরা আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাস যান। কিন্তু সেখান থেকে জানতে পারেন কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি থেকে হিমাচল প্রদেশ যাওয়ার বাস মিলবে। সেই মোতাবেক বাগদান প্রসঙ্গে আইএসবিটি আসার পথেই বচসায় জড়ান শাহিল-নিক্কি। তখনই রাগের মাথায় লিভ-ইন সঙ্গী নিক্কিকে খুন করেন অভিযুক্ত। এমনটাই দিল্লি পুলিসকে জেরায় জানান শাহিল।
শাহিলের দাবি, 'বাড়ি থেকে পছন্দ করা মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য তাঁকে ক্রমাগত জোর করা হচ্ছিল। তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে তিনি ওই মুহূর্তে ঠিক কী করবেন। লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবেন নাকি পরিবারের সদস্যদের কথা মেনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবেন।' এই টানাপোড়েনে মাথা গরম থাকায় নিক্কির সঙ্গে বচসা হতেই খুন করে ফেলেন শাহিল। জেরায় নাকি এমনটাই স্বীকারোক্তি অভিযুক্ত ধাবা মালিকের।
শাহিলের দাবি, ঘটনার পনেরো দিন আগে সাহিল উত্তম নগরের বাড়ি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। বাগদান সেরে ৯ ফেব্রুয়ারি ফের নিক্কির কাছে ফিরে আসেন তিনি। সারা রাত নিক্কির সঙ্গে উত্তম নগরের বাড়িতেই ছিলেন শাহিল বলে খবর।
প্রেমিকাকে খুন (Girl Murder) করে দেহ লুকিয়েছিলেন ফ্রিজে। তারপর দিনই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দিল্লির ধাবা মালিক (Dhaba Owner) শাহিল গেহলট। ২৪ বছরের যুবককে দিল্লির কৈর গ্রাম থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে পুলিস (Delhi Police)। শ্রদ্ধার মতো প্রেমিকা নিক্কি যাদবের দেহও ফ্রিজে লুকিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
পুলিস জানিয়েছে, নিক্কি হত্যার ঘটনায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি তারা পায়নি। গোপন সূত্রে পুলিস খবর পায়, এক যুবক দিল্লির নজফগড়ে প্রেমিকাকে খুন করেছেন। আবার সেদিনই বিয়ে করছেন অন্য মহিলাকে। এই খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিসের অপরাধ দমন শাখা।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি খুনের বিষয় জানতে পারে পুলিস। খোঁজ শুরু হয় কোনও থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে কিনা। কিন্তু তেমন কিছু মেলেনি। অভিযুক্ত শাহিলকে খুঁজতে খুঁজতে এরপর পুলিস পৌঁছয় নজফগড়ের এক গ্রামে। সেখানেও তন্নতন্ন করে খুঁজেও অভিযুক্তর খোঁজ পায়নি পুলিস। এদিকে, শাহিলের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জানা যায়নি শাহিল কোথায় রয়েছেন, বাড়িতেও খোঁজ করে পুলিস।
বাড়িতে না পেয়ে শাহিলের খোঁজে নজফগড়ের সেই গ্রাম এবং আশপাশের এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিস। অবশেষে মঙ্গলবার কৈর গ্রাম থেকেই তিনি ধরা পড়েন। পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন শাহিল। কিন্তু কিছুক্ষণ জেরার পর স্বীকার করে নিয়েছিলেন নিক্কিকে তিনিই খুন করেন। তাঁর ধাবার ফ্রিজের ভিতর নিক্কির দেহ লুকিয়ে রাখা।
অভিযুক্ত আরও জানান, '৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে নিক্কিকে খুন করেন তিনি। সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেই এই খুন।' তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০২, ২০১-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
ফের চা বাগানে (Tea Garden) নির্যাতনের শিকার এক ছয় বছরের নাবালিকা। অসমের (Assam) সোনিতপুর জেলার একটি চা বাগানে ছয় বছরের এক নাবালিকাকে শারীরিক নির্যাতন ও খুন (Murder) করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ঢেকিয়াজুলির কাছে মুহিনীপুর চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সোনিতপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিরিঞ্চি বোরাহ বলেছেন, 'পুলিস অপরাধীকে শনাক্ত করেছে এবং শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। চা বাগানের মধ্যে একটি নাবালিকার দেহ পড়ে রয়েছে বলে তাদের কাছে খবর যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।'
অপরদিকে, এলাকাবাসী অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিসের কাছে দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় এক যুবক বলেন, 'আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, ৬ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েটিকে শারীরিক নির্যাতন ও খুন করা হয়েছে।' আমাদের দাবি, 'অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। প্রশাসনের উচিত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (Union Minister) নিত্যানন্দ রাইকে খুনের হুমকি (Murder Threat) দিয়ে গ্রেফতার এক যুবক। মঙ্গলবার বিহারের বৈশালী থেকে ওই যুবককে পাকড়াও করে পুলিস। বৈশালী জেলার পুলিস সুপার কুমার মণীশ জানিয়েছেন ধৃতের নাম মাধব ঝা। ২৫ বছরের যুবক একটি ভিডিও বার্তায় (Video Message) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইকে খুনের হুমকি দেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বিহারের বাসিন্দা। ওই যুবক কেন এমন হুমকি দিলেন, তার তদন্তে বৈশালী জেলার পুলিস। মহা শিবরাত্রির এক অনুষ্ঠানে হাজিপুরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তাঁকে নাকি সেখানেই গুলি করা হবে বলে, হুমকি দেন অভিযুক্ত। এমনকি ধৃত ওই যুবকের হুমকিবার্তা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'দুটো গুলি করব।'
বৈশালীর পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বলেছেন যে মন্ত্রীকে খুন করা নাকি তাঁর স্বপ্ন! খুনের পর তিনি ভিডিও করতে চান।
স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত (Extra Marital Affairs), এই সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন স্বামীর। এই ঘটনায় (Wife Murder) চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক শিলিগুড়িতে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে এনজেপি থানার পুলিস, শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত। ধৃতকে আগামীকাল আদালতে পেশ করা হবে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম সুপ্রিয়া বৈশ্য। শহর শিলিগুড়ির (Siliguri) সূর্যসেন কলোনির সি ব্লকে তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। স্বামী সুদীপ বৈশ্য দীর্ঘ সময় যাবৎ আলাদা থাকতেন।
জানা গিয়েছে, জলেশ্বরী বাজার এলাকায় যে দোকানে কাজ করতেন, সেখানেই থাকত সে। মাঝে মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সূর্যসেন কলোনি যেত। সে সময়ও তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলত বলেই খবর। অভিযোগ, এদিন বিকেলে আচমকাই সুদীপ বৈশ্য সূর্য সেন কলোনিতে পৌঁছয়। সেখানে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান পরকীয়া ইস্যুতে৷ বিবাদ ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপর আচমকাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী'র গলায় কোপ বসায় অভিযুক্ত। ঘটনায় গুরুতর জখম হন সুপ্রিয়া।
ঘটনায় হতচকিত হয়ে নিজেই স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় অভিযুক্ত। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার খবর পেতেই এনজেপি থানার পুলিস হাসপাতালে পৌঁছে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
"কু-সন্তান যদি বা হয়, কু-মাতা কভু নয়!" এমনই একটি প্রচলিত কথা রয়েছে বাংলায়। কিন্তু সবসময় সঠিক নয় সে কথা, তা ঔরঙ্গাবাদের সাদাতনগরের ঘটনা থেকে স্পষ্ট। পারিবারিক অশান্তির জেরে সন্তানদের বিষ খাইয়ে খুন করলেন মা। সোমবার রাতে নিজের দুই সন্তানকে খুন করেছে মা, গুরুতর এই অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। দুই শিশুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। পুলিস জানিয়েছে, দুই শিশুর মধ্যে এক জনের বয়স ৮ এবং অন্য জনের বয়স ৪। ওই মহিলা আত্মীয়দের কাছে সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিস সূত্রে দাবি। প্রতিবেদন লেখা অবধি মহিলাকে গ্রেফতার করার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ওই অভিযুক্ত মহিলার আত্মীয়রা জানান, প্রায়শই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত মহিলার। আর গত ১৫ দিন ধরে তা মাত্রারিক্ত হয়। এর জেরেই এই হত্যা বলে অনুমান পুলিসের। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অসুস্থ অবস্থায় দুই শিশুকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shraddha Walkar Murder) হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি দিল্লি পুলিসের। পুলিসের দাবি, শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রমাণ লোপাটে হাড়গোড় মিক্সার গ্রাইন্ডারে ঢুকিয়ে গুঁড়ো করেছিলেন আফতাব। হাড় কাটার জন্য কাচ কাটার যন্ত্রও নিয়ে এসেছিলেন মূল অভিযুক্ত। সম্প্রতি ৬,৬০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, শ্রদ্ধার মাথা কেটে ঘরে ৩ মাস ধরে রেখেছিলেন অভিযুক্ত আফতাব। তারপর সেই মাথা ফেলে দিয়ে আসেন, এমনটাই উল্লেখ চার্জশিটে।
চার্জশিটে আরও বলা, ২০২২ সালের ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুনের পর অনলাইনে চিকেন রোল এনেছিলেন আফতাব। ১৮ মে দু’জন মুম্বই যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু আফতাব সেই সফর বাতিল করেন আচমকাই। সেদিনই কেনাকাটা এবং খরচ নিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল আফতাবের। তারপরই রাগের বশে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন আফতাব।
তদন্ত এবং আফতাবকে জেরা করে জানা গিয়েছে, খুন করার পর শ্রদ্ধার দেহ লোপাটের জন্য প্লাস্টিক ব্যাগ কিনে আনার চিন্তাভাবনা করেছিলেন অভিযুক্ত। একটি ব্যাগ কিনেও এনেছিলেন। কিন্তু ওই ব্যাগে ভরে দেহ ফেলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন আফতাব। শেষমেশ শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আফতাব। একটি করাত, হাতুড়ি এবং ৩টি ছুরি কেনেন অভিযুক্ত।
চার্জশিটে দাবি, 'একটি ব্লো টর্চ কিনেছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধার হাত থেকে আঙুলগুলি কাটার জন্য এই টর্চ কিনেছিলেন তিনি। শেষে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেন। তারপর ফ্রিজে রেখে দেন সেগুলি।'
এক তরুণীকে খুন-ধর্ষণের (Rape-Murder) অভিযোগ, ২০১২ সালে দিল্লির আদালত বিনোদ নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। এই ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত বিনোদকে গত নভেম্বরে মুক্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবার তিন মাসের মধ্যে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বিনোদ। সাম্প্রতিক ঘটনা দিল্লির (Delhi Incident) দ্বারকার। এবার বিনোদ ও তার এক শাগরেদের বিরুদ্ধে এক অটো চালককে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অটো চালকের থেকে প্রথমে লুটপাটের চেষ্টা করেন বিনোদ ও তার শাগরেদ। সম্ভবত লুটে বাধা পেয়ে খুন করা হয় তাঁকে। গত ২৬ জানুয়ারি দ্বারকার সেক্টর-১৩-র এই ঘটনায় যাত্রী সেজে অটোতে ওঠেন দুই অভিযুক্ত।
তারপর বিনোদই সেই অটো চালকের গলা কেটে খুন করে বলে অভিযোগ। প্রথমে এই দুষ্কর্মে বিনোদের শাগরেদ পবনকে জেরা করে পুলিস। সেই জেরার সূত্র ধরে ২৯ জানুয়ারি মূল অভিযুক্ত বিনোদের খোঁজ পায় পুলিস। জানা গিয়েছে, ২০১২-র চাওলা গণধর্ষণ মামলাতেও যুক্ত ছিল অপরাধী বিনোদ। এই মামলায় গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগ বিনোদ-সহ তার তিন শাগরেদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তিন দিন পর তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিস। ২০১৪ সালে তিনজনকে বিরলতম অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লি আদালত।