সন্দেহাতীতভাবে বলা যেতেই পারে, এখনও পর্যন্ত দেশের সবথেকে শক্তিশালী দল বিজেপি এবং তাদের মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমন একটা সময় ছিল ইন্দিরা গান্ধীর আমলেও। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৭ অবধি তাঁকে গদি থেকে সরানো কঠিন বিষয়। কিন্তু দেশের সমস্ত বিরোধী দল এবং তার সঙ্গে ভেঙে যাওয়া কংগ্রেসের একটি অংশ একত্রিত হয়ে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিয়ে ইন্দিরাকে পরাজিত করা হয়। যদিও সেই সরকার টেকেনি বেশিদিন।
এবারেও প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছিল, তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল একত্রিত হয়ে ২০২৪ এর ভোটযুদ্ধে অংশ নেবে। সঙ্গে কিন্তু কংগ্রেস সহ নানান দলে নানা অভিমত। প্রথমত কংগ্রেসের মধ্যে ভাঙন না ধরলেও প্রাক্তনীদের একটি অংশ নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এবার কে হবে দলের সভাপতি? রাহুল গান্ধী জানাচ্ছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ নয়। তবে কে? যেই হোক, তিনি যে বকলমে এই পরিবারের ইয়েস ম্যান হবেন, তা বলাই বাহুল্য। অনায়াসেই সচিন পাইলটের মতো তরুণদের সুযোগ পাওয়া উচিত মনে করে অনেকেই। কিন্তু তাঁকে আবার রাহুলের অপছন্দ। আরেক বিরোধী দল আপ। ইতিমধ্যেই তাদের দলের একাংশ বলতে শুরু করেছে, মোদীর বিকল্প মুখ নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
একটা জোট অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। তার মধ্যে রয়েছে ডিএমকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চা, এনসিপি, ঠাকরে পরিবার শিবসেনা। নব সংযোজন বিহারের নীতীশবাবু, লালুর দলদুটি। কিন্তু পাশাপাশি তৃণমূল কারোর সঙ্গে নেই, এক চলেছে তেলেঙ্গানার টিআরএস, বাম দলগুলি ইত্যাদি। জোটবদ্ধ হওয়ার যে কোনও চেষ্টা হোক না কেন, আপ, তৃণমূল, টিআরএস ইত্যাদির সাহায্য এবং পাওয়ার সম্ভবনা কোথায়? মমতা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ভোটে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, তখন জোট বাঁধা যাবে। খেলার রাশ কিন্তু মোদীর হাতে।
প্রসূন গুপ্ত: ২০১৯-এর ভোটে বাজপেয়ী বা আদবানি ঘনিষ্ঠ অনেকে বিজেপির টিকিট পায়নি। বয়সের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছিল লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলী মনোহর জোশীর মতো নেতাদের। প্রার্থী ছিলেন না যশবন্ত সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা-সহ অনেকেই। তাৎপর্যের বিষয় এই যে এঁরা সকলেই বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এদের কেউ কেউ রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন, কেউ আবার কংগ্রেস বা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। শত্রুঘ্ন তো সম্প্রতি ফের লোকসভা সদস্য হয়েছেন তৃণমূলের টিকিটে।
এই ব্যতীত বিজেপির সংসদীয় বোর্ড আছে নীতি নির্ধারক কমিটি। যার সদস্যরা প্রবল ক্ষমতাবান এবং দলের সংগঠনের পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকে। ১১ জন সদস্য সারা ভারত থেকে এই দায়িত্বে।
সদ্য গঠিত বোর্ড দেখলেই বোঝা যাবে আসন্ন ২০২৪-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে মূলত মোদী, অমিত শাহ ঘনিষ্ঠরাই দায়িত্বে এলেন। নতুন কমিটির প্রায় সবাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের নেতা। কিন্তু এই সংসদীয় কমিটি আরএসএস-র নির্দেশে হয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলো না। এই কমিতিতে জায়গা পায়নি যোগী আদিত্যনাথ।
তবে বাদ গিয়েছেন জাতীয় রাজনীতির মামা অর্থাৎ দীর্ঘদিনের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। শিবরাজ বরাবর আদবানি ঘনিষ্ঠ হিসেবে গেরুয়া শিবিরে পরিচিত। সবাইকে চমকে দিয়ে বাদ গিয়েছেন বাজপেয়ী-আদবানি ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়িও।
নীতিন গডকড়ির বাদ যাওয়া সম্ভাব্য ছিল, কিন্তু যোগী? জানা গিয়েছে, গুণগানে তিনি কোনও দিনই মোদীর পছন্দের নয়। পছন্দের নয় অমিত শাহেরও। অথচ শোনা যাচ্ছিলো মোদীর পর নাকি যোগীই বিজেপির মুখ। সেই রাস্তাটাই কি এবার তবে বন্ধ করে দেওয়া হলো? মোদীর উত্তরসূরি হিসেবে খুলে গেলো অমিত শাহের সম্ভাবনা? অন্যদিকে কমিটিতে এলেন কর্ণাটকের বিতর্কিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়াদুরাপ্পা। এ ছাড়া যাঁরাই এসেছেন তাঁরা মোদী ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ব্যতিক্রম শুধু রাজনাথ সিং। বাজপেয়ীর স্নেহধন্য রাজনাথ রয়ে গেলেন, তবে তা কতদিনের জন্য তার উত্তর পাওয়া যাবে ২০২৪ এর টিকিট তাঁর ভাগ্যে আছে কিনা দেখার পর।
৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপনের মঞ্চ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রায় ১ ঘণ্টা ২২ মিনিটের বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। দুটি বিষয়ের উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেন তিনি। প্রথম, দুর্নীতি, দ্বিতীয়, পরিবারতন্ত্র। তিনি বলেন, মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, দুর্নীতিগ্রস্তরা টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়াবেন। এমনকি যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের সামাজিকভাবেও বয়কট করার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি পরিবারতন্ত্রকেও কড়া ভাষায় বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, ভাই-ভাতিজাতন্ত্র দেশের ক্ষতি করছে। দুর্নীতিকে ঘৃণা করলে তবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। আরও বলেন, যখন তিনি ভাই-ভাতিজাবাদ এবং পরিবারতন্ত্রের কথা বলেন, তখন মানুষ মনে করেন, তিনি কেবল রাজনীতির কথাই বলছেন। কিন্তু না। দুর্ভাগ্যক্রমে রাজনীতির জগতের এই খারাপ জিনিসটি ভারতের প্রতিটি সংস্থায় পরিবারতন্ত্রকে জল-হাওয়া দিয়েছে। যতক্ষণ না দুর্নীতি এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি ঘৃণার ভাব তৈরি হচ্ছে, সামাজিকভাবে তাকে ঘৃণ্য বলে ভাবতে বাধ্য না হচ্ছেন, ততক্ষণ এই মানসিকতা শেষ হবে না। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে দুর্নীতি দূর করার পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় জেলে রয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতা লাভের ৭৫ বছর পূর্ণ হল। ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় নব বার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রথমে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। নয়া দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ভাষণ শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন।
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। মহাকরণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন প্রধানমন্ত্রী সহ সকলকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভারতের স্বাধীনতার পর অনেকে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বি আর আম্বেদকরের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে ভারতীয় সংবিধান।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় দুর্নীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যে ছিল রাজ্যের শাসকদল। তিনি বলেন, একদিকে দেশের কিছু মানুষের থাকার জায়গা নেই আর অন্যদিকে কিছু মানুষ থাকার জায়গায় বান্ডিল বান্ডিল টাকা রাখছে। নাম না করে পার্থ অর্পিতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর। নরেন্দ্র মোদী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পুরো শক্তি নিয়ে লড়তে হবে।
পালটা মোদীকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে সরকারি এজেন্সি দিয়ে রাজনৈতিক অভিষন্ধি পূরণ করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, টাকা উদ্ধারের ঘটনা যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে নীরব মোদী, মেহুল চোকসি কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে। তার কি কোনও ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল নগদ টাকা, সোনা উদ্ধারে হতভম্ব রাজ্যবাসী। অন্যদিকে, গরুপাচার পাচার মামলায় বীরভূমের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
দেশের স্বাধীনতা লাভের (Independence Day) ৭৫ বছর পূর্ণ হল। ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় (Red Fort) নবম বার জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য কড়া নিরাপত্তার বলয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) পক্ষ থেকে। লালকেল্লার আশেপাশের সমস্ত এলাকাতেও চালানো হয়েছে কড়া নজরদারি। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধিকে (Mahatma Gandhi) শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। নয়া দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ভাষণ শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট বক্তব্য রাখলেন তিনি।
এদিন ৭৬ তম স্বাধীনতা উদযাপনের মঞ্চ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। দুটি বিষয়ের উপর সব চেয়ে বেশি জোর দেন। প্রথম, দুর্নীতি, দ্বিতীয়, পরিবারতন্ত্র। তিনি বলেন, মানুষ খেতে পারছেন না। অন্যদিকে, দুর্নীতিগ্রস্তরা টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছেনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়াবেন। এমনকি যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের সামাজিকভাবেও বয়কট করার কথা বলেন তিনি।
পাশাপাশি বলেন, ভারত 5G-র যুগে পা দিতে চলেছে। দেশে ৩০০ রকম অস্ত্র তৈরি করা হবে। জমিতে জল পৌঁছে দেওয়া তাঁর সংকল্প। কিন্তু, জলের প্রতিটা ফোঁটা সংরক্ষণ করতে হবে। 'উন্নত ভারতে' বিনিযোগের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানান তিনি। নারীকে অপমান করা সমস্ত অপশক্তিকে শেষ করার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী মঙ্গল পাণ্ডে, তাঁতিয়া টোপি, ভগত সিং, সুখদেব, চন্দ্রশেখর আজাদ,আসফাকউল্লা খান, রাম প্রসাদ বিসমিলের নামও উল্লেখ করেন। বলেন, দেশবাসী তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই বছর লালকেল্লায় সমবেত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ফুটপাতের বিক্রিতাদের। অন্যদিকে, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে রবিবার শুভেচ্ছা বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। “আমেরিকার অপরিহার্য সঙ্গী ভারত" বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর গলায় শোনা গিয়েছে মহাত্মা গান্ধীর নাম। উল্লেখ করেছেন অহিংসা আন্দোলনের কথাও।
মোদী সরকার গৃহীত হর ঘর তেরঙা কর্মসূচির অংশ হলের শাহরুখ খান। রবিবার সপরিবারে মান্নতের ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখে গিয়েছে কিং খানকে। সেই উত্তোলিত পতাকার সামনে ছবিও তুলেছেন শাহরুখ খান, গৌরী খান, আরিয়ান খান এবং আব্রাম খান। সেই ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ১৩-১৫ অগাস্ট হর ঘর তেরঙা কর্মসূচি নিয়েছে মোদী সরকার। সেই কর্মসূচির অংশ হতে দেখা গিয়েছে আমির খানকেও। এদিন ট্যুইটারে পোস্ট করা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে আকাশের সঙ্গে রং মিলিয়ে সাদা জামা পরে সারি দিয়ে দাঁড়ালেন খান পরিবারের সদস্যরা। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন মন্নত-এর ছাদে উড়ল জাতীয় পতাকা।
Teaching the young ones at home the essence and sacrifice of our Freedom Fighters for our country India, will still take a few more sittings. But getting the flag hoisted by the little one made us all FEEL the pride, love and happiness instantly. pic.twitter.com/3tNCjkLAgt
— Shah Rukh Khan (@iamsrk) August 14, 2022
বিশাল পতাকার নীচে সেই পারিবারিক উদ্যাপনের ছবি ভাগ করেছেন গৌরী খান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশপ্রেম অনুভব খান পরিবারের। সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাগ করে সকলের উদ্দেশে গৌরী লিখেছেন, ‘শুভ স্বাধীনতা দিবস’। তবে চার জনের মাঝে মেয়ে সুহানা খানের অনুপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্যস্ততার জেরেই এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি পরিবারকে সময় দিতে পারেননি। জোয়া আখতারের পরিচালনায় তাঁর প্রথম বলিউড ছবি ‘দ্য আর্চিস’ এর শ্যুটিংয়ে রয়েছেন শাহরুখ-কন্যা।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে তাঁর এই সফর বলে সূত্রের খবর। সেই সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক(India Bangladesh relation) উন্নয়নের বিষয়গুলি প্রাধান্য পাবে বলে জানা গেছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা হবে অতিমারী(covid) পরবর্তী বিশ্বে সহযোগিতা নিয়েও।
সূত্রের খবর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র (রামপাল) উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করছে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড । ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।
আর এর ফলে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিকমহল।
২২টি সোনা-সহ মোট ৬১টি পদক জিতে সদ্যসমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) চতুর্থ স্থানে ভারত। এমন অনেক ইভেন্ট আছে, যেখান থেকে এবারই প্রথম পদক জিতেছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা (Indian Athletes)। এবার কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়া ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিভি সিন্ধু, সাক্ষী মালিক, অচিন্ত্য শিউলিরা। প্রত্যেকের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'ভারতের খেলাধুলোয় সুদিন এসে গিয়েছে।'
শুধু পদক দেখে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সাফল্য মাপা উচিত নয়। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'শুধু পদকের সংখ্যা দিয়ে আমাদের ক্রীড়াবিদদের সাফল্য বিচার করা যাবে না। অনেকে এক সেন্টিমিটারের জন্য পদক জিততে পারেনি। আমি জানি আগামী দিনে তারা পারবে। এটা সবে শুরু। ভারতের খেলাধুলোর সোনার দিন দরজায় কড়া নাড়ছে।'
সদ্যসমাপ্ত বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে মোট ১২টি খেলায় পদক জিতেছে ভারত। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যে খেলাগুলোতে আমরা শক্তিশালী ছিলাম সেগুলোতে আরও উন্নতি করার পাশাপাশি অনেক নতুন খেলায় ভাল করেছি। চারটে নতুন খেলায় পদক এসেছে। লন বলে আমাদের দল নজর কেড়েছে। এরপরে অনেকে এই খেলায় উৎসাহ দেখাবে। হকিতে পুরনো গৌরব ফিরে এসেছে।'
এই কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবার মহিলা ক্রিকেটের শুরু। সেই খেলায় রুপো পেয়েছেন স্মৃতি মন্দানা, হরমনপ্রীত কৌররা। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের এই সাফল্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বোলার রেণুকা সিংয়ের কথা আলাদা ভাবে বলেছেন তিনি। মোদী বলেন, 'হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারত ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছে। রেণুকার সুইংয়ের জবাব কারও কাছে ছিল না। এত বড় বড় ক্রিকেটারের মাঝে সব থেকে বেশি উইকেট পাওয়া মুখের কথা নয়।’
স্বাধীনতার ৭৫-এ কমনওয়েলথের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের এই সাফল্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। ক্রীড়াবিদরা তাঁদের সই করা জার্সি, কেউবা গ্লাভস তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কমনওয়েলথের পাশাপাশি দাবা অলিম্পিয়াডে ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দলকে ব্রোঞ্জ জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
আগামী সোমবার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস(Independence day) উদযাপন। এ বছর হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি জাতীয় পতাকা(National flag) দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra mODI) সম্প্রতি জনগণকে ১৩-১৫ আগস্টের মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা প্রদর্শন করে হর ঘর তিরঙ্গা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী এ বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে।
প্রত্যেকবারের মতো লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার নজরদারি কড়া করা হয়েছে। দিল্লি পুলিসের(Delhi police) পক্ষ থেকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে, লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেখানে ভাষণ দেবেন তাঁর দিকে ঘুড়ি উড়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় তাই বাড়তি সতর্কতা দিল্লি পুলিসের। ৪০০ ঘুড়িবাজকে ভাড়া করা হয়েছে। লালকেল্লা সংলগ্ন চাঁদনি চক এলাকার ছাদে তাদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে যদি কোনও ঘুড়ি উড়ে আসে, তখন ওই ঘুড়িবাজরা বিশেষ কায়দায় ঘুড়ি কেটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন।
অন্যদিকে, লালকেল্লা এলাকার নিরাপত্তার নজরদারিতে থাকছে ১০ হাজার পুলিসকর্মী। আশেপাশে বাড়ির ছাদে স্নাইপার মোতায়েন করা হবে এবং নজরদারি চালনোর পাশাপাশি স্নিফার ডগও থাকবে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবা আক্রমণ চালাতে পারে, দিনকয়েক আগেই দিল্লি পুলিসের কাছে এই গোয়েন্দা তথ্য এসেছিল। তারপর থেকে দিল্লিতে তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু হয়।
এদিকে, দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করে তুলতেই শুরু হয়েছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। আজ হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিতে সামিল হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এদিন তিনি নিজের বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রীও।
রাখি বন্ধন অর্থাত্ সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আজ রাখি বন্ধন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কর্মরত কর্মচারীদের মেয়েরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বেঁধে দিলেন রাখি। বৃহস্পতিবার সকালেই দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের দফতরের কর্মীদের মেয়েদের হাতে রাখি পরেন মোদি। পিএমও সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়ুদার, পিওন, বাগানের মালি, ড্রাইভারসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের মেয়েদের কাছ থেকে আজ রাখি পরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধন উৎসবের ডাক দিয়েছিলেন। সম্প্রীতির বন্ধনে একতার প্রতীক হিসাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন ছিল কবিগুরুর মূল লক্ষ্য।
সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। আজ এই দিনে বোনেরা তার ভাইয়েদের হাতে রাখি পরিয়ে শুভ কামনা জানিয়ে থাকেন। সঙ্গে চলে মিষ্টিমুখ ও দেদার আনন্দ।
ললিত-সুস্মিতা (Lalit-Sushmita) জল্পনার মধ্যেই একসঙ্গে লেন্সবন্দি হলেন বিশ্বসুন্দরী এবং তাঁর প্রাক্তন রোহমান (Rohman Shawl)। তবে কি ফের নতুন করে শুরু হচ্ছে তাঁদের সম্পর্ক (Relation)? ললিত মোদীর সঙ্গে কাটানো সময় বা সম্পর্কের খবর সবটাই গুজব? যদিও এসব উত্তর অধরাই।
মঙ্গলবার ছিল সুস্মিতা সেনের মা শুভ্রা সেনের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আয়োজন করা হয়েছিল ফ্যামিলি পার্টি। উপস্থিত ছিলেন সুস্মিতা এবং তাঁর দুই কন্যা। এদিন ইনস্টাগ্রামে লাইভে এসে ফ্যানদের সঙ্গে মায়ের আলাপও করিয়ে দেন অভিনেত্রী। সে সময় পিছনে দেখা যায় রোহমানকে। সুস্মিতার মেয়েদের এবং বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।
এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। যদিও ২০২১ সালে তাঁদের সম্পর্ক নেই বলে ঘোষণা করেন দুজনেই। তবে বন্ধুত্বটা থাকবে বলে জানিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁদের সম্পর্কের শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি যখন আইপিএলের প্রাক্তন কর্তা ললিত মোদী টুইট করে তাঁর সঙ্গে সুস্মিতার সম্পর্ক ঘোষণা করেন, তখন ট্রোলড হন নায়িকা। সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন রোহমান। যদিও নায়িকা নিজে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।