
এবারে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে বিয়ের প্রসঙ্গ। 'মন কি বাত'-এ তিনি মূলত 'ডেস্টিনেশন ওয়েডিং'-এর প্রসঙ্গ এনে প্রশ্ন করেন, 'বিদেশে গিয়ে বিয়ে করার দরকারটা কি? আমাদের দেশের মাটিতে সমস্যাটা কোথায়?' রবিবার রেডিও-ভাষণে তরুণদের দেশের মাটিতে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। এর পাশাপাশি তিনি 'ভোকাল ফর লোকাল'-এর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন।
বিয়ের মরশুম শুরু হয়েছে, আর এখন একটাই ট্রেন্ডে, 'ডেস্টিনেশন ওয়েডিং'। এখন প্রায় অনেককেই বিদেশে গিয়ে বিয়ে করতে দেখা যায়। বলিউড তারকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেলিব্রিটিরা বিদেশের মাটিতেই বিয়ের পর্ব সারেন। ফলে দেশের টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে। আর এতেই প্রধানমন্ত্রী আপত্তি প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছেন, 'বাইরে বিয়ে করাটা কি খুব দরকারি? অন্য সব ক্ষেত্রে আমরা যেমন লোকাল পণ্য ব্যবহার করার কথা বলি, বিয়ের ক্ষেত্রে কেন নয়?'
ফলে প্রধানমন্ত্রী দেশের মাটিতেই বিয়ের অনুষ্ঠান করার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে দেশের টাকা দেশেই থাকবে বলে ধারণা প্রধানমন্ত্রীর। এছাড়া দেশেও ব্যবস্থাগুলি উন্নত হবে। সেই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী ইউপিআই ও ডিজিটাল পেমেন্টের উপরও জোর দেন। ভারতে তৈরি পণ্যের বাজার যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্যই তিনি দেশের মাটিতে বিয়ে করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানালেন।
ভোট হচ্ছে রাজস্থানে। তার মধ্যেই কর্নাটকের আকাশে তেজস উড়িয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বায়ু সেনার বিমান ঘাঁটি থেকে সেই ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন তিনি।
ক্যাপশনে লিখছেন, এই অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। এই ঘটনার পর বলা যেতে দেশবাসীর উপর আস্থা আরও বেড়ে গেল। দেশজ পদ্ধতিতে এমন একটি যুদ্ধ বিমান তৈরি করা সম্ভব, তা এই উড়ানের পরেই বোঝা গিয়েছে।
ছবিতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার পোশাকে প্রধানমন্ত্রী। বসে আছেন পাইলট সিটে। চোখে তাঁর কালো রোদ চশমা। তবে কতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী আকাশে উড়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
এক দুই তিন, এবার বিদায় দিন। ছড়ার সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় মোদী সরকারের বিদায় ঘণ্টা। নেতাজি ইন্ডোয় স্টেডিয়ামের সভা থেকে কড়া ভাষায় বিজেপি তথা মোদী সরকারকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি দাবি করেন, তিন মাস পরেই নির্বাচন ঘোষণা হবে। এরপরেই ছড়া কাটেন বাংলার শাসক দলের সুপ্রিমো।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর খোঁচা, তিন মাস যাঁদের আয়ু ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে। এত ভিতুর দল আমি দেখিনি। কেন্দ্রের বিজেপি তথা মোদী সরকারকে বিঁধতে গিয়ে তাঁর মুখে I.N.D.I.A জোটের প্রসঙ্গ। তাঁর মন্তব্য, বিরোধী জোটের নাম আমি দিলাম ইন্ডিয়া। যেহেতু দেশের নাম ইন্ডিয়া, তাই ফরম্যাট করে নামটা দিলাম। আর পরের দিন থেকেই ইন্ডিয়ার নাম বদলে ভারত। কনস্টিটিউশন অফ ইন্ডিয়াকে বদলাবেন কী করে মোদীবাবু, প্রশ্নের সুরে কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রীর। মোদী সরকারের উদ্দেশে আক্রমণের সুর বৃহস্পতিবার বরাবর চড়া ছিল তাঁর। হিটলার নেই, কিন্তু নতুন জমিদারি চলে এসেছে, তাঁরা নাকি চা বেচতেন। মোদী-শাহকে জগাই-মাধাই কটাক্ষের সুরে বিঁধে আরএসএস-র উদ্দেশে তাঁর আবেদন, এই দুজনকে সমর্থন দেবেন না। আপনাদের বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই।
ওয়াকিবহাল মহলের মত, নেতাজি ইন্ডোর থেকে আরএসএস ভালো, কিন্তু মোদী-শাহ খারাপ কার্যত এই বার্তা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। দেশে বেকারত্ব বেড়েছে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, বাংলায় বেকারত্ব কমেছে। নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বাংলার বাড়ির যোজনা প্রকল্পে রাজ্য থেকে ৪০ শতাংশ টাকা দেওয়া হয়। গ্রামীণ সড়কেও রাজ্যের টাকা আর একশো দিনে টাকা দেবে না। তারপরেও আমরা একশো দিনে বেশি কাজ করিয়েছি, এভাবেই সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গেও মোদী সরকারকে আক্রমণ মমতার। তারাপীঠ মন্দির, দক্ষিণেশ্বর মন্দির স্কাই ওয়াক আমরা সরকারি টাকায় করেছি। আর জনগণের টাকায় একটা মন্দির করে ভাবছে ইতিহাস তৈরি করলে, খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরু এবং কয়লা পাচার প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন। কয়লা ধুলেও যাবে না ময়লা মন্তব্য করে তাঁর কটাক্ষ, কোল ইন্ডিয়া, কয়লা মন্ত্রক কাদের অধীনস্থ। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান দিয়ে যখন গরুর গাড়ি আসে, তখন তোমরা টাকা খাও না লেবেনচুস খাও। শমীক ভট্টাচার্যের মত, রাজ্য পুলিস-বিএসএফ-এর যৌথ উদ্যোগ এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা পারবে গরু পাচার রুখতে। বিজেপি সরকারের আর তিন মাস আয়ু, মমতার এই দাবিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মন্তব্য, একটু অপেক্ষা করে যান, এত উত্তেজনার কী দরকার।
প্রায় দু'দশক পর বিশ্বকাপ ফাইনালে (World Cup Final 2023) মুখোমুখি হয়েছিল ইন্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়া (IndvsAus)। কিন্তু এবারও বিশ্বকাপের ট্রফি জেতার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল হারতেই মাঠে কান্নায় ভেঙে পড়েন একাধিক ক্রিকেটার। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে, সাহস জোগাতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এমনকী মহম্মদ শামিকে নিজের বুকে টেনে নেন মোদী।
রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য প্রথম থেকেই ছিলেন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। ভারতের পরাজয়ের পর তাই তিনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে দেখা করেন। নমোর ড্রেসিংরুমে আসার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রবীন্দ্র জাডেজা। ভারতীয় অলরাউন্ডারের কথায়, সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ড্রেসিংরুমে প্রত্যেকের সঙ্গে হাত মেলান প্রধানমন্ত্রী।
We had a great tournament but we ended up short yesterday. We are all heartbroken but the support of our people is keeping us going. PM @narendramodi’s visit to the dressing room yesterday was special and very motivating. pic.twitter.com/q0la2X5wfU
— Ravindrasinh jadeja (@imjadeja) November 20, 2023
এর পর শামিকে বুকে টেনে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন শামি, জাদেজা-রা। শামি এক্স পোস্টে লেখেন, "গতকাল দিনটা আমাদের ছিল না। আমি সব ভারতীয়কে ধন্যবাদ দেব পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আমার ও আমাদের দলের পাশে থাকার জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে ড্রেসিংরুমে এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল বাড়ালেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।"
দেশকে গর্বিত করেছে টিম ইন্ডিয়া। দেশবাসী সবসময় তাঁদের পাশে রয়েছে। রোহিতদের বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ফের একবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার।
এদিন, প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'গোটা টুর্নামেন্টে আপনাদের প্রতিভা এবং সংকল্প ছিল প্রশংসনীয়। দারুণ উদ্যমের সঙ্গে খেলেছেন ও ভারতকে গর্বিত করেছেন । আমরা সবসময় সঙ্গে রয়েছি।' রবিবাসরীয় ফাইনাল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে পৌঁছন মোদী। সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেন। ম্যাচ উপভোগ করেন। ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের হাতে ওয়ার্ল্ড কাপ তুলে দেন তিনি।
অবশেষে এক যুগ পর ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে (ICC World Cup Final 2023) উঠল ভারত। পুরো দেশ যেন উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা, আনন্দে ভাসছে। আর এই ক্রিকেট জ্বরে কাবু খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে (ICC World Cup Semi Final) ৭০ রানে কিউয়ি বধ করার পিছনে বড় অবদান রয়েছে মহম্মদ শামির (Mohammad Shami)। তিনি নিজেই ৭টি উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পথ এক ধাপ এগিয়ে দেন 'মেন ইন ব্লু'-কে। ফলে পুরো ক্রিকেট টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী, এর পাশাপাশি পৃথকভাবে শামির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, 'শামিকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে।'
বুধবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত ফাইনালে উঠতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "অভিনন্দন টিম ইন্ডিয়া! অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে স্মরণীয়ভাবে ফাইনালে প্রবেশ করল ভারত। আমাদের টিমের অসাধারণ ব্যাটিং ও দারুণ বোলিংই ম্যাচ জিতিয়েছে। ফাইনালের জন্য শুভেচ্ছা রইল।" এর পরই শামিকে নিয়ে তিনি লেখেন, "আজকের এই সেমিফাইনাল ম্যাচটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছিল একক পারফরম্য়ান্সের জন্যও। এই ম্যাচে মহম্মদ সামির বোলিং এবং গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই তাঁর পারফরম্যান্স ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে। ওয়েল প্লেড সামি!" প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছার উত্তর দিয়ে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন শামি।
'যেখানে সেনা জওয়ানদের বাস, সেখানেই আমার মন্দির।' দীপাবলির দিন হিমাচল প্রদেশের লেপচায় অবস্থিত সেনা ঘাঁটিতে এসে এমন মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি, হিমাচলপ্রদেশের সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করেন। পাশাপাশি তিনি সেনাদের ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করে থাকেন বলে জানান তিনি। এদিন ভারতীয় সেনা কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, 'যেখানে ভগবান রাম থাকেন, সেই জায়গাই হল অযোধ্যা। আমার কাছে, ভারতীয় সেনা কর্মীরা যেখানে থাকেন, সেই জায়গা কোনও মন্দিরের থেকে কম কিছু নয়।'
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, ২০১৪ সালের দীপাবলি উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী গিয়েছিলেন সিয়াচেনের সেনা ঘাঁটিতে। তারপর থেকে প্রতি বছর, কখনও হিমাচল সুমদোয়, কখনও জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি বা নওশেরার সেনা ঘাঁটিতে দীপাবলি উদযাপন করেছেন তিনি। তবে, এদিন তিনি জানিয়েছেন, দীপাবলিটা সীমান্ত এলাকার সেনা ঘাঁটিতে কাটানো তাঁর নতুন অভ্যাস নয়। গত ৩০-৩৫ বছর ধরেই তিনি এটা করে আসছেন। তিনি বলেন, 'গত ৩০-৩৫ বছর ধরে, তখনও আমার এমন কোনও দীপাবলি কাটেনি, যখন আমি আপনাদের (সেনাদের) মধ্যে ছিলাম না। এমনকি যখন আমি প্রধানমন্ত্রী বা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলাম না, তখনও আমি দীপাবলির উত্সব উদযাপন করতে কোনও না কোনও সীমান্ত এলাকায় যেতাম।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা শীর্ষে, এই কথা প্রায় প্রত্যেকেরই জানা। কিন্তু এবারে মোদীকে দেখতে এক মহিলা এমন এক কাণ্ড করে বসলেন যে সকলের মাথায় হাত। মোদীর ভাষণের সময় লাইট টাওয়ারে উঠে গেলেন এক তরুণী। এর পর তাঁকে সেখানে দেখতে পান প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে লাইট টাওয়ারে দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মোদী। শনিবার সন্ধ্যার দিকে তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদে সেই ঘটনাটি ঘটেছে।
#WATCH | Secunderabad, Telangana: During PM Modi's speech at public rally, a woman climbs a light tower to speak to him, and he requests her to come down. pic.twitter.com/IlsTOBvSqA
— ANI (@ANI) November 11, 2023
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তেলেঙ্গানায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হায়দরাবাদের সেকেন্দ্রাবাদে তাঁর সভার আয়োজন করেছিল মাদিগা রিজার্ভেশন পোরাতা সমিতি। সেই জনসভায় এমনই ভিড় ছিল যে মোদীকে দেখতেই পারছিলেন না সেই তরুণী। তাই কোনও উপায় না পেয়ে একেবারে উঠে পড়েন লাইট টাওয়ারে। আর সেসময় মঞ্চে তখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর নজরে পড়ে যায় তরুণীর কাণ্ড। সঙ্গে সঙ্গে বক্তৃতা থামিয়ে তাঁকে নেমে আসতে বলেন তিনি।
ওই তরুণীকে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে বলেন, বিদ্যুতের পোলে উঠে বসলে দুর্ঘটনা হতে পারে। চোট লাগতে পারে। শর্ট সার্কিট হতে পারে। মোদীকে বলতে শোনা যায়, তিনি ওই তরুণীর সঙ্গে আছেন৷ তাঁর সব কথা শুনবেন৷ কিন্তু আগে তাঁকে নেমে আসতে হবে। এর পর প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে আস্তে আস্তে বিদ্যুতের পোল থেকে নেমে আসেন ওই তরুণী।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা গান এবারে বিশ্বদরবারে সম্মানিত করা হবে। বিশ্ব সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গ্র্যামিতে মনোনীত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর লেখা 'অ্যাবানডেন্স অফ মিলেটস' গানটি। বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনীত হয়েছে তাঁর লেখা গানটি।
শুক্রবার মধ্যরাতে জানা যায় যে, প্রধানমন্ত্রীর লেখা গান গ্র্যামিতে ২০২৪-এ মনোনীত হয়েছে। এই গানটি লেখা হয়েছে মিলেট নিয়ে। ২০২৩ সাল মিলেট বর্ষ বলে ঘোষিত হয়েছে। বছরের শুরু থেকেই মিলেটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উপকারিতা প্রচারের উপর জোর দিয়েছিলেন মোদী। গানটি গেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফাল্গুনী শাহ ওরফে ফালু ও তাঁর স্বামী গৌরব শাহ। গানটি মুক্তি পেয়েছে ১৬ জুন। গানটি মনোনীত হয়েছে ২০২৪ সালের গ্র্য়ামি পুরস্কারে সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স ক্যাটেগরিতে। এই সংবাদ তাঁর কাছে পৌঁছনোর পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'দীপাবলির উপহার' বলে টুইট করেছেন।
দীপাবলির আগে বিপুল অঙ্কের কেন্দ্রীয় অর্থ পেল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, কর বাবদ পশ্চিমবঙ্গকে ৫৪৮৮ কোটি টাকা পেল রাজ্য সরকার। যান গিয়েছে, দীপাবলীর আগেই কর বাবদ একাধিক রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ২৭টি রাজ্যকে বকেয়া অর্থ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। অভিযোগ ছিল, আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের বকেয়া টাকার। এই দাবিতে আন্দোলন শানিয়েছিল তৃণমূল ব্রিগেড। এই আন্দোলন পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লিতেও। পাশাপাশি এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল রাজভবনের সামনেও। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বকেয়া টাকার দাবিতে ধর্ণা দিয়েছিলেন রাজভবনের সামনে। যদিও সেই দেনা-পাওনার দাবি এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে বড় অংকের টাকা কর বাবদ কেন্দ্র থেকে পাওয়ায় রীতিমত খুশির হাওয়া রাজ্যে। জানা গিয়েছে, দীপাবলীর আগে মোট ৭২ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগের মধ্যে কেন্দ্রের থেকে বিপুল এই অর্থ পাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ।
আগামী আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে রেশন (Ration) দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শনিবার ছত্তিশগড়ের দূর্গে গিয়ে তাঁর ঘোষণা, বিজেপি সরকার ঠিক করছে আগামী আরও পাঁচ বছর দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন বণ্টন করা হবে। মানুষের ভালবাসা তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।
আগামী সপ্তাহে বিধানসভা ভোট ছত্তিশগড়ে। তার আগে শনিবার সে রাজ্যে প্রচারে গিয়ে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, "আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিজেপি সরকার দেশের ৮০ কোটির বেশি দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প আরও ৫ বছর বাড়িয়ে দেবে। মানুষের ভালবাসা এবং আশীর্বাদ সব সময় আমাকে পবিত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি দেয়।" তবে, রাজনৈতিক মহলের মতে, ছত্তিশগড়ে বিজেপির পালে হাওয়া টানতে প্রধানমন্ত্রীর এই কৌশল ঘোষণা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কোভিড অতিমারির সময় মোদী সরকার চালু করেছিল প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা। এর অধীনেই মাথা পিছু ৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পকেই আগামী পাঁচ বছর চালু রাখার ঘোষণা শনিবার করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
বলিউড তারকারা নয়, এবারে মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় নাম জড়িয়ে পড়েছে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের (Bhupesh Baghel)। মহাদেব বেটিং অ্যাপের কর্মকর্তারা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকা দিয়েছেন, এমনটাই দাবি ইডি আধিকারিকদের। এবারে এই মামলায় নাম না করেই ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। 'ভগবান মহাদেবকেও ছাড়লেন না', এমনটাই বলতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
শুক্রবার ভোটমুখী ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'ওরা ভগবান মহাদেবের নামও ছাড়ল না।' মোদীর সংযোজন, 'নিজেদের কোষাগার পরিপূর্ণ করতে ছত্তিশগড়ের মানুষের থেকে টাকা লুটেছে কংগ্রেস সরকার। আমরা সবাই জানি কীভাবে সেই টাকা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছচ্ছে।'
আবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমাবেশের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, 'বেটিং অ্যাপের টাকাগুলি নির্বাচনী প্রচারে ব্য়বহার করা হচ্ছে। কংগ্রেস হাওয়ালা অপারেটরদের সাহায্য নিয়ে ছত্তিশগড়ে নির্বাচন লড়ছে। আমাদের নির্বাচনী ইতিহাসে কখনও কেউ এমন দেখেননি। ক্ষমতায় বসে সাট্টা খেলা হচ্ছে।'
শুক্রবার রাতে জোরালো কম্পনে কেঁপে ওঠে নেপাল (Nepal)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.৪। রাত ১১টা ৩২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। শুধুমাত্র নেপাল নয়, এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গোটা উত্তর ভারত। দিল্লি, বিহার থেকে শুরু করে কলকাতা পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে কম্পন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, রাতের সেই ভূমিকম্পে নেপালে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সকাল হতেই এই মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২-এ। আহত বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কেঁপে ওঠে দিল্লি-এনসিআর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল। কম্পনের কেন্দ্র মাটি থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার নীচে ছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থলের পাশেই নেপালের জাজারকোট ও ভেরী গ্রাম অবস্থিত। ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই দুটো গ্রামই। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের পরই কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। বহু বাড়িতে চওড়া চওড়া ফাটল ধরে। ইট-কাঠ-সিমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়ছে বহু মানুষের। ফলে ভেরী ও জাজারকোট গ্রামে চারিদিকে শুধুমাত্র ধ্বংসস্তূপ।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই খবর পেয়েই সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প নিয়ে শোক প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, "নেপালের ভূমিকম্পে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির খবর শুনে অত্যন্ত দুঃখিত। ভারত নেপালের নাগরিকদের পাশে রয়েছে। আমরা সবধরনের সহযোগিতা করব।"
Deeply saddened by loss of lives and damage due to the earthquake in Nepal. India stands in solidarity with the people of Nepal and is ready to extend all possible assistance. Our thoughts are with the bereaved families and we wish the injured a quick recovery. @cmprachanda
— Narendra Modi (@narendramodi) November 4, 2023
মহুয়া মৈত্রর আইফোন হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন খোদ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এমনকি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর ফোন হ্যাক করার অভিযোগ করলেন তিনি। 'ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ (Mahua Moitra) বিতর্ক যখন ক্রমশ আরও জটিল হচ্ছে। তখনই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন মহুয়া। মঙ্গলবার সকাল সাডে় ৯ টা নাগাদ টুইট করে জানান, অ্যাপেল থেকে তাঁকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে যে, রাষ্ট্রপরিচালিত হ্যাকাররা তাঁর ফোন হ্যাক করার চেষ্টা করছে।
আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার মহুয়া মৈত্র এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, তাঁর আইফোন হ্যাক করতে চায় কেন্দ্র সরকার। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন মহুয়া। অ্যাপেল সংস্থা থেকে কিছু সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে তাঁর ফোনে। যার স্ক্রিনশর্ট তুলে শেয়ার করেছেন তৃণমূল সাংসদ। অ্যাপেল থেকে মহুয়ার আইফোনে আসা সেই সতর্কবার্তায় লেখা রয়েছে 'রাষ্ট্রপরিচালিত হ্যাকাররা আপনাকে ‘টার্গেট’ করেছে। অ্যাপেল আইডির সঙ্গে আপনার যে আইফোনটি যুক্ত করা আছে, সেটি হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনি কে, কী করেন— সম্ভবত এ সব দেখে হ্যাকারেরা নির্দিষ্ট করে আপনাকেই ‘টার্গেট’ করেছে। আর তারা যদি তা করতে পারে তাহলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, কথোপকথন এমনকি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনও তাঁদের হাতে চলে যাবে।'
আবার মহুয়া টুইট পোস্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, আদানি এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে উল্লেখ করে আরও লিখেছেন, "আপনাদের ভয় দেখে আমার আপনাদের প্রতি করুণা হচ্ছে।" তবে শুধুমাত্র মহুয়া মৈত্রই নন, জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও অ্যাপেলের তরফে এমনই সতর্কবার্তা পেয়েছেন। ফলে তিনিও এই নিয়ে টুইট করেছেন। এছাড়াও একই মেসেজ পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, পবন খেরা, আসাদুদ্দিন ওয়াইসি-এর মত নেতারা।
অবশেষে ঘোষিত হল অযোধ্যার রামমন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) ভগবান রামচন্দ্রের প্রাণ-প্রতিষ্ঠার দিনক্ষণ। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে রাম মূর্তির বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই বিষয়ে বুধবার শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের (Ram Janmbhoomi Trust) তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই আমন্ত্রণ পেয়ে অভিভূত প্রধানমন্ত্রী মোদী।
২৫ অক্টোবর, বুধবার শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তারপর তিনি জানান, আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রাম বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাম মূর্তির বিগ্রহের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে খোদ টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'জয় সিয়ারাম! আজ খুবই আবেগঘন দিন। অযোধ্যায় শ্রী রাম মন্দিরে বিগ্রহ অধিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। এটা আমার সারাজীবনের সৌভাগ্য যে, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আমি সাক্ষী হতে পারব।'
जय सियाराम!
— Narendra Modi (@narendramodi) October 25, 2023
आज का दिन बहुत भावनाओं से भरा हुआ है। अभी श्रीराम जन्मभूमि तीर्थ क्षेत्र ट्रस्ट के पदाधिकारी मुझसे मेरे निवास स्थान पर मिलने आए थे। उन्होंने मुझे श्रीराम मंदिर में प्राण-प्रतिष्ठा के अवसर पर अयोध्या आने के लिए निमंत्रित किया है।
मैं खुद को बहुत धन्य महसूस कर रहा… pic.twitter.com/rc801AraIn