
দেশের মাটিতে বিশ্বের সেরা কয়েকটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে, এবারে সেই তালিকায় আরও একটি যুক্ত হল। বারাণসীতে (Varanasi) এবারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি হতে চলেছে। শনিবার দুপুরে বারাণসীর গাঞ্জরী গ্রামে এই স্টেডিয়ামটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই স্টেডিয়ামের শিলান্যাসে উপস্থিত ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, কপিল দেব, রবি শাস্ত্রী, রজার বিনির মত প্রাক্তন তারকারা। এছাড়াও ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদীর হাতে টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সি তুলে দেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)।
বারাণসীতে এই স্টেডিয়াম তৈরি করার ফলে উত্তরপ্রদেশ পেল মোট তিনটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কানপুর, লখনউয়ের পর বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে এই স্টেডিয়াম। জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের আগে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হবে ও খেলার জন্য তৈরি করা হবে। এই স্টেডিয়ামটির নাম করা হবে কাশী স্টেডিয়াম এবং এটা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, ভগবান শিবকে উৎসর্গ করে এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। তাই এই স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে মহাদেবের আদলে। মোট ৩০ হাজার দর্শক বসতে পারবেন এই স্টেডিয়ামে। মোট ৩৩০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে এই স্টেডিয়াম।
শনিবারের স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ছাড়াও আরও একটি নজরকাড়া মুহূর্ত সকলের সামনে আসে। এদিন সচিন তেন্ডুলকর বিশেষ উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মোদীর হাতে সচিন তুলে দেন টিম ইন্ডিয়ার জার্সি। ওই জার্সিতে নামের জায়গায় লেখা ‘NAMO’ এবং জার্সির নম্বর ১।
লোকসভায় (Lok Sabha) পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women Reservation Bill), ফলে খুশির মেজাজ মহিলা মহলে। লোকসভা ভোটের আগেই মোদী সরকার হাসিমুখে ৪৫৪ টি ভোটে পাশ করিয়ে নিলেন বহু প্রতীক্ষিত বিল। এবারে এই বিল রাজ্যসভাতেও পাশ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এক বিশেষ উদ্যোগ নিলেন। সূত্রের খবর, আগামী শনিবার বারাণসীর কাশীতে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে একটি জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, আগামী শনিবার অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর বারাণসীতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার বারণসীতে প্রধানমন্ত্রীর সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। কারণ আগামী শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কাশীর বারাণসীতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করতে চলেছেন তিনি। আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকা খরচে তৈরি করা হচ্ছে এটি। আর এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ছাড়াও আরও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই কর্মসূচির সঙ্গেই মহিলাদের নিয়ে পৃথক সভা করার কর্মসূচি যুক্ত করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, এই সভায় অংশ নেবেন শুধুমাত্র মহিলারাই। পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। সভামঞ্চে থাকবেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
প্রজাতন্ত্র দিবসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden) প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কুচকাওয়াজ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যদিও এর সরকারি কোনও ঘোষণা এখনও অবধি হয়নি। তবে , আমেরিকার রাষ্ট্রদূত জানান জি২০ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন বাইডেন ও মোদী, তখনই আমন্ত্রণ সেরে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত , ২০১৮ সালে নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ভারত সরকারের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে।
আরও দুটি বন্দেভারত চালু হচ্ছে এরাজ্যে। তার মধ্যে একটি হাওড়া-পটনা রুটে এবং অন্যটি হাওড়া-রাঁচি রুটে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওই ট্রেন দুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া যে দুটি বন্দেভারত চালু করা হবে সেগুলি আগের থেকে আরও উন্নত প্রযুক্তির এবং আরও আরামদায়ক। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে সিট ইনক্লাইনেশন আরও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সিট আরও হেলিয়ে বসতে পারবেন যাত্রীরা। পাশাপাশি প্রতি সিটের নীচে মোবাইল চার্জিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ট্রেনের কামরার ভিতরের হাতলের পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাথরুমে উজ্জ্বল আলো লাগানো হয়েছে।
এদিকে নতুন দুটি বন্দেভারত চালু হওয়ার ফলে হাওড়া থেকে রাঁচি ও পটনা যাওয়া আরও সুবিধা হবে। যদিও এই দুটি ট্রেনের টাইম টেবিল এখনও রেলের তরফে জানানো হয়নি। ইতিমধ্যে হাওড়া থেকে পুরী এবং হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করছে দুটি বন্দেভারত এক্সপ্রেস। আরও দুটি বন্দেভারত চালু হতে চলেছে হাওড়া থেকে।
এবারে হোয়াটসঅ্যাপেও (WhatsApp) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)! মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণেশ চতুর্থীর পুণ্য লগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে (WhatsApp Channel) যোগ দিয়েছেন। আর এই চ্যানেলে যোগ দিতেই হু হু করে বেড়ে চলেছে তাঁর ফলোয়ার্স সংখ্যা। মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই পেরিয়ে গিয়েছে ১০ লক্ষ ফলোয়ার্স। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ হোয়াটসঅ্যাপে যোগ দেওয়ার জন্য চ্যানেলের লিঙ্কটিও শেয়ার করেছেন। তিনি তাঁর প্রথম পোস্টে নতুন সংসদ ভবনের ছবি শেয়ার করেছেন।
এতদিন দেখা গিয়েছে, প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া যেমন-ইনস্টাগ্রাম, এক্স-এ রাজ করে চলেছেন মোদী। এমনকি অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের থেকেও সমাজমাধ্যমে বেশি ফলোয়ার্স মোদীর। এছাড়াও জনপ্রিয়তার নিরিখে একাধিকবার বিশ্বসেরার তালিকায় তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের ছাপিয়ে গিয়ে রেকর্ড তৈরি করেছে। ফলে এর থেকেই বোঝা যায় তাঁর জনপ্রিয়তা। আর এবারে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যোগ দিতে সেটাই ফের প্রমাণিত হল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোদীর চ্যানেলে ফলোয়ার্স সংখ্যা হল ১০ লক্ষেরও বেশি। এমনকি তাঁর শেয়ার করা পোস্টেও রিঅ্যাকশন বেড়েই চলেছে। একেই হয়তো বলে মোদী ম্যাজিক!
খলিস্তানপন্থী শিখ নেতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার (India-Canada) সংঘাত চরমে। এবারে দুই দেশের তরফেই তাঁদের নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা (Advisory) জারি করা হল। মঙ্গলবার প্রথমে কানাডার তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কানাডার তরফে ভারতে থাকা কানাডিয়ান নাগরিকদের জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে। আর এই নির্দেশিকার পরে ভারতের তরফেও সতর্কবার্তা জারি করে নয়াদিল্লি। ভারতীয়দের কানাডা যাওয়ার থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ ভারত সরকারের।
মঙ্গলবার রাতে কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। এই মুহূর্তে ভারতে থাকা নাগরিকদের উদ্দেশে কানাডা সরকারের পরামর্শ, খুব প্রয়োজন না হলে ভারত ছাড়ুন। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে বসবাস করা কানাডিয়ান নাগরিকদের চরম সতর্ক থাকতে হবে। বলা হয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে নজরে রাখুন। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মানুন। কানাডিয়ান নাগরিকদের ভারত ভ্রমণ নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা এই মুহূর্তে ভারতে আছেন, খুব প্রয়োজন না হলে তাঁদের ভারত ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে কানাডা সরকার।
এর পরই বুধবার দিল্লির তরফে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘কানাডায় এই মুহূর্তে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট হিংসা এবং অপরাধের বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। যে সমস্ত ভারতীয় ওখানে রয়েছেন অথবা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিক এবং কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে বেছে বেছে নিশানা করা হয়েছে,যাঁরা ভারতবিরোধী কার্যকলাপের সমর্থক নন। তাই ভারতীয়দের এই মুহূর্তে কানাডা যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত’।
সংসদের পুরনো ভবনকে বিদায় জানিয়ে মঙ্গলবারই নয়া সংসদ ভবনে শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষ অধিবেশন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর নয়া সংসদ ভবনে পা রেখেছেন সাংসদরা। এই সংসদ ভবনের নাম দেওয়া হয়েছে পার্লামেন্ট হাউজ অফ ইন্ডিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এই নয়া সংসদ ভবনের নাম 'সংবিধান সদন' রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন।
মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগে সেন্ট্রাল হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "নতুন সংসদ ভবনের হাত ধরে নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হল। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। 'রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বলেছেন, "সংসদের নয়া ভবন আত্মনির্ভরতার প্রতীক।'
এদিন সেন্ট্রাল হলের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত বিশ্বের পঞ্চম অর্থব্যবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। বিশ্বের তৃতীয় অর্থব্যবস্থায় পরিণত হবে দ্রুত। আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প পূরণ করতে হবে। কৃষিপ্রধান দেশ ভারত, কৃষিতে আত্মনির্ভরতা আনতে হবে। যুবশক্তির উপর অগাধ বিশ্বাস আছে।"
প্রসূন গুপ্তঃ মঙ্গলবার একটি বিশেষ দিন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দিনেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হলো। সুবিশাল লোকসভার কক্ষ, একই রকম রাজ্যসভাও। স্বাধীনতার পরে যতগুলি আসন ছিল দুই ভবনে তা ক্রমশই বর্ধিত হয়েছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। সাংসদের সংখ্যাও বেড়েছে। ব্রিটিশদের কালে তৈরি সংসদ ভবন এখন 'হেরিটেজ'। সকালে পদব্রজে সমস্ত সাংসদ নতুন ভবনে উপস্থিত হলেন। মোদী জমানায় অভিনব তো নিশ্চিত। একই সাথে বলতে দ্বিধা নেই পরিবেশ যথেষ্ট ভালো ছিল, সব সাংসদের কাছে পাওয়া এই নতুন ভবন আনন্দের ছিল। মামুলি বক্তব্য ছাড়া তেমন কোনও বিশেষ ভাষণ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে সকলকে নিয়ে চলার কথা বললেন। অবিশ্যি তাঁর ভাষণের গোড়ায় বারবার এদিনের গনেশ চতুর্থীর কথা উল্লেখ করেছেন। এমন একটি হিন্দু পূজার মহোৎসবে পার্লামেন্টের উদ্বোধন কতটা সুখের তা উল্লেখ করলেন। একই সাথে সোমবারের মতো ভাষণের বেশ কিছুটা স্থান নিলো প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর প্রশস্তিতে। পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড রয়েছে পন্ডিত নেহেরুর। মোদীর পক্ষে হয়তো তা ভাঙা সম্ভব নয় কিন্তু তাঁর চেষ্টা থাকবে তৃতীয়বারের জন্য জিতে আসার। তবুও বলতেই হয় যে, কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্লোগান তোলা মোদীর মুখে নেহেরুর প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। একেবারে বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে একেবারে বলেই দিলেন যে, ঈশ্বর তাঁকে শক্তি দিয়েছেন এই মহিলা বিল পাশ করানোর।
এরপরেই বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের বিরোধী নেতা অধীর চৌধুরী। অধীর প্রথমে নতুন দিনের সূচনাকে জনগণের হাতেই ছেড়ে দিলেন। গণতান্ত্রিক দেশে সর্বধর্মের প্রয়োজন নিয়ে কথা বললেন। কিন্তু জানাতে ভুললেন না যে এই মহিলা বিল প্রথম এনেছিলেন প্রয়াত রাজীব গান্ধী। এরপরেই হৈচৈ শুরু হলে অধীর বলেন যে , মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে এই হট্টগোল তাঁকেই অপমান করা। পরে ভারতীয় সংবিধানের বেশ কিছু অংশ পরে শোনান। তখনও বাধার চেষ্টা হয়। অবশেষে স্পিকার ওম বিড়লা বুধবার বেলা ১১ অবধি সভা মুলতুবি করে দেন।
আজ, সোমবার থেকে শুরু হল সংসদের ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এই অধিবেশন মঙ্গলবার থেকে নতুন সংসদ (Parliament) ভবনে বসবে। সোমবার অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর ছিল পুরনো সংসদ ভবনে বসা শেষ অধিবেশন। তাই এদিন বিবৃতি দিতে গিয়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
বিশেষ অধিবেশনে পুরনো সংসদ ভবনে শেষবার বিবৃতি দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, কোনও পরিবার পুরনো ঘর ছেড়ে নতুন ঘরে গেলে অনেক স্মৃতি সঙ্গে করে নিয়ে যায়। তবে, পুরনো এই ভবন দেশের যুব সমাজের কাছে পথিকৃৎ হয়ে থাকবে। এছাড়াও তাঁর কথায় উঠে এসেছে জি-২০-এর সাফল্যের কথা। তিনি বলেন, কোনও এক দল বা ব্যক্তির কৃতিত্ব নয়। ১৪০ কোটি মানুষের জন্য জি-২০ সফল হয়েছে।
এর পর বিশেষ অধিবেশনে বিবৃতি দিতে গিয়ে তাঁর পূর্বসূরি হিসেবে জওহরলাল নেহেরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, মনমোহন সিং, অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বদানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মুখে ঘুরেফিরে এসেছে জওহরলাল নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর নাম। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল থেকে লালকৃষ্ণ আডবানীর নেতৃত্বকেও কুর্নিশ জানান নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মুখে উঠে আসে পণ্ডিত নেহেরুর দেওয়া মধ্যরাতের ভাষণ অর্থাৎ Tryst with Destiny প্রসঙ্গ। সেই ভাষণ আমাদের এখানও অনুপ্রাণিত করে, দাবি মোদীর। একইভাবে অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিখ্যাত 'উক্তি, সরকার আসবে, যাবে, দল আসবে, দল যাবে কিন্তু দেশ যাতে অটুট থাকে', এই প্রসঙ্গও নরেন্দ্র মোদীর গলায় শোনা যায়।
আবার নিজের আমলের ৩৭০ ধারা বিলোপ ও এক দেশ, এক করব্যবস্থা অর্থাৎ GST চালুর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্র এক ভোটে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আস্থা ভোটে হারা যেমন দেখেছে, তেমন বহুত্ববাদ, সব কা সাথ, সব কা বিকাশ দেখেছে, দাবি প্রধানমন্ত্রীর। এভাবেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিবৃতি দিতে গিয়ে ১৯৪৭-২০২৩ পর্যন্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস, সমৃদ্ধি, বৃদ্ধি, জি-২০ থেকে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়। এছাড়াও তিনি তাঁর শৈশবের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছে, 'একটি গরিব শিশু সংসদে আসতে পারবে, তা কখনও কল্পনা করতে পারিনি।' এমনটা বলতে গিয়েও তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
৭৫ বছরের সফর নতুন করে শুরু হচ্ছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশ নতুন রূপে সেজে উঠবে। গণেশ চতুর্থীর দিনই সংসদ ভবনে প্রবেশ। বিশেষ অধিবেশনের আগে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী সংসদের বাইরে বলেন, '৭৫ বছরের সফর, নতুন জায়গা থেকে শুরু হচ্ছে। নতুন স্থানে এই সফর নতুন করে শুরু হবে। নয়া সংকল্প, নতুন বিশ্বাস। ২০৪৭ সালে এই দেশকে উন্নত দেশ তৈরি করতে হবে। তাই আগামী যা সিদ্ধান্ত হবে, তা নতুন সংসদ ভবনেই হবে।"
সোমবার সকাল ১১টায় বিশেষ অধিবেশন শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সংসদের ৭৫ বছরের যাত্রার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হবে। বিরোধী দলের সাংসদদের এই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছে কেন্দ্র।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। "এই পুরনো সংসদ ভবন প্রেরণা দেবে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে দেশ অভিভূত।" G20- সম্মেলনের সাফল্য দেশের সবার সাফল্য, জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মুকুটে জুড়েছে নয়া পালক। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের (World Heritage Site) তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন। ইউনেসকোর (UNESCO)এই ঘোষণায় আনন্দে আত্মহারা আপামর বাঙালি। ফলে রবিবার রাত থেকে বয়ে চলেছে শুভেচ্ছার বন্যা। ইউনেসকোর এই ঘোষণায় বেজায় খুশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। স্পেন সফরে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলার এই গর্বের কথা তাঁর কানে পৌঁছতেই তাঁর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।
সারা বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত গর্বিত বাঙালি এবং সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত হওয়ায় আনন্দিত ও গর্বিত। এটা বিশ্ববাংলার কাছে গর্বের। গুরুদেবের আদর্শে লালিত হয়েছে শান্তিনিকেতন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর পাশে থেকেছে। গত ১২ বছর ধরে শান্তিনিকেতনের পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। অবশেষে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি পেল সেই ঐতিহ্যবাহী স্থান।'
অন্যদিকে নিজের জন্মদিনের দিন এই সুসংবাদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে খুশির খবর প্রকাশ করেছেন। মোদী লিখেছেন, 'অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গির মূর্ত রূপ এবং ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ-এর তালিকায় স্থান পেয়েছে। এটা সমস্ত ভারতবাসীর জন্য একটা গর্বের মুহূর্ত।'
সারা দেশেজুড়েই রবিবার বেশ ধুমধামের সঙ্গে উদযাপন করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন। দেশ-বিদেশ থেকে আসছে শুভেচ্ছাবার্তা। রাজনৈতিক সতীর্থ থেকে বিপক্ষ, সবাই অভিবাদন জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। ফলে শুভেচ্ছা জানাতে পিছিয়ে থাকেননি বলি পাড়ার তারকারাও। শাহরুখ থেকে শুরু করে কঙ্গনা, সলমন, অক্ষয় অনেকেই মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে নজর কেড়েছে শাহরুখের বার্তা।
রবিবার এক্স হ্যান্ডলে মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘জওয়ান’ শাহরুখ। তিনি লেখেন, 'শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! সুস্থ থাকুন, দিনটা আনন্দে ভরে উঠুক। প্রার্থনা করি, আপনি যেন কাজ থেকে একটু ছুটি পান এবং একটু আনন্দ করার সময় পান। অনেক শুভেচ্ছা।' দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পরামর্শও দিয়েছেন যে, যাতে তিনিও ছুটি নিয়ে বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে পারেন।
Happy Birthday to Hon. PM Shri @narendramodi ji!!! Have a healthy and joyful day. May u get some time off from work and have a bit of fun too. Best wishes.
— Shah Rukh Khan (@iamsrk) September 17, 2023
শাহরুখের পাশাপাশি অক্ষয় কুমার, সলমন খান, কমল হাসান, সোনু সুদ, রাজকুমার রাও, হেমা মালিনি-সহ বলিপাড়ার একাধিক তারকা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। কঙ্গনা রানাউত আবার প্রধানমন্ত্রীকে নতুন ভারতের বিশ্বকর্মা বলেও আখ্যা দেন।
প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রাখতে জানেন দেশের প্রধানমন্ত্রী! এমনটাই শোনা যাচ্ছে জনমুখে। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিনেই নিজের জন্মদিনের দিন দেশবাসীকে বিশেষ উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Vishwakarma Yojana) চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের জন্য সমাজের শিল্পী ও কারিগররা একাধিক সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে। আগেই এই পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই নতুন যোজনা অনুযায়ী, শিল্পী ও কারিগররা আরও বেশি সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদী বলেন, 'গরিবের ছেলে মোদী আপনাদের সেবায় সদা তৎপর।'
নিজের ৭৩তম জন্মদিনে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার নয়াদিল্লির দ্বারকায় এক্সপো সেন্টার ‘যশোভূমি’ (YashoBhoomi) উদ্বোধন করেন মোদী। পাশাপাশি বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে সূচনা করলেন 'পিএম বিশ্বকর্মা' প্রকল্পেরও। পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার অধীনে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৭-২৮ আর্থিক বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে কেন্দ্র।
এই প্রকল্পের অধীন সুবিধাভোগীদের ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত টুলকিট প্রদান করা হবে। সুবিধাভোগীদের ৫০০ টাকা স্টাইপেন্ডে মৌলিক দক্ষতা সম্পন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেওয়া হবে শিল্পী ও কারিগরদের। পাশাপাশি তৈরি করা পণ্যের জন্য গুণমান শংসাপত্র, ব্র্যান্ডিং এবং বিজ্ঞাপনের জন্য বিপনন সহায়তা করা হবে। মোট ১৮ ধরনের শিল্পী ও কারিগররা পিএম বিশ্বকর্মার সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন। তবে এদিনও তিনি নেননি কোনও ছুটি। বরং তাঁর জন্মদিনেও একাধিক প্রকল্প উৎসর্গ করেছেন দেশবাসীদের জন্য। ৭৩ তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী একগুচ্ছ কর্মসূচিতে দিনভর ব্যস্ত থাকছেন। এদিন মোদী উদ্বোধন করেন দিল্লির দ্বারকার যশোভূমি কনভেনশন সেন্টার। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ নয়াদিল্লির দ্বারকায় ভারতকে তিনি উৎসর্গ করলেন ভারতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং এক্সপো সেন্টারের প্রথম ধাপ, 'যশোভূমি' (YashoBhoomi)।
সূত্রের খবর, কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টারটি প্রায় ৫৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। যশোভূমি নামে এই কনভেনশন সেন্টারটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনভেনশন সেন্টার বলে দাবি করা হচ্ছে। এই কনভেনশন সেন্টারে থাকছে, একাধিক প্রদর্শনী হল এবং অন্যান্য সুবিধা। ১১০০০-এরও বেশি প্রতিনিধিদের বসার জায়গা সহ, ১৫টি কনভেনশন রুম, গ্র্যান্ড বলরুম এবং ১৩ টি মিটিং রুম রয়েছে এতে।
এদিন শুধুমাত্র যশোভূমি নয়, দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে একটি নতুন মেট্রো স্টেশন 'যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫' পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর মেট্রো এক্সপ্রেস লাইনের সম্প্রসারণেরও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দিল্লির এয়ারপোর্ট মেট্রো এক্সপ্রেস লাইন সম্প্রসারিত হয়ে তা যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। আর সেই মেট্রো লাইন ধরেই আজ সফর করেন মোদী। দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫ মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত যান মোদী। এই মেট্রো লাইনের উদ্বোধনের পরই এদিন তিনি কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ৭৩ তম জন্মদিন (Birthday)। গোটা দেশজুড়েই তাঁর অনুরাগীরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিন উদযাপন করছেন। এছাড়াও তাঁকে পাঠানো হচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ শুভেচ্ছাবার্তা। এবারে এক অভিনব উপায়ে মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন এক তরুণী। দিল্লি মেট্রোতে মহিলারা গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন। আবার এক তরুণী মোদীর পাশে বসে সংস্কৃত ভাষায় গান গেয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিলেন। সংস্কৃত ভাষায় শুভেচ্ছা জানানোর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ভাইরাল।
রবিবার নিজের জন্মদিনের সকালে দিল্লি এয়ারপোর্ট মেট্রো এক্সপ্রেস লাইনের নয়া অংশের উদ্বোধন করেন মোদী। দ্বারকা সেক্টর ২১ থেকে নয়া মেট্রো স্টেশন 'যশোভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫' পর্যন্ত উদ্বোধন করেন। তারপর নয়াদিল্লিতে 'ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার' উদ্বোধনের জন্য মেট্রো ধরেন। আর তখনই মেট্রোতে যাত্রীদের পাশে বসে কথা বলেন। বাচ্চাদের সঙ্গে হাসি-মজা করেন। যাত্রীরা তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। 'হ্যাপি বার্থডে' বলেন ও মোদীর সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
তারই মধ্যে সংস্কৃতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের নজর কেড়ে নেন ওই তরুণী। মোদী যেখানে বসেছিলেন, সেটার ঠিক পাশে বসেই ওই তরুণী হাসিমুখে মোদীকে বলেন, 'আজ আপনার জন্মদিন। আপনাকে সংস্কৃত ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।' তরুণীর মুখে সংস্কৃত ভাষায় গানের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা শুনে প্রধানমন্ত্রীর মুখেও হাসি দেখা যায়।