সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তড়িঘড়ি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মিঠুনকে ভর্তি করান সোহম চক্রবর্তী। এরপর এমআরআই করে জানা যায় বেন স্ট্রোক হয়েছে অভিনেতার।
সূত্রের খবর, নিউরোলজি, কার্ডিয়োলজি এবং গ্যাস্ট্রোএনট্রোলজি বিভাগের চিকিত্সকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল দল গঠন করে হয়েছিল অভিনেতার চিকিৎসার জন্য। তারপর চিকিৎসার সাড়া দিতে শুরু করেন মিঠুন। ধীরে ধীরে অসুস্থতা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মহাগুরু মিঠুন জানান, ভালো আছি এখন। কোনও সমস্যা নেই। এখানে এসে একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম। তাই সুগার বেড়ে গিয়েছিল। খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন ডাক্তার। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁদের বলতে চাই, তাঁরা কখনোই ভাববেন না মিষ্টি না খেলে আপনার কিছু হবে না। সব সমস্যা খাওয়াতে। খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন কিনা জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি জানান, না। আমি যদি প্রার্থী হই তাহলে ৪২ টা সিটের কি হবে ? প্রচারের ময়দানের থাকার কথাও তিনি বলেন। ১ তারিখ থেকে লাগাতার বিজেপির হয়েই প্রচার করবেন। এমনকি শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৯ তারিখ থেকে। দুটো দিন লস হয়ে গেল। তাই আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেও কাজ করতে পারেন তিনি।
কলকাতায় শুটিং চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছিল। বর্তমানে ভালো আছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আগের তুলানায় স্থিতিশীত রয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থা, এমনটাই পরিবার সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় শুটিং এর সময় আচমকাই শরীর খারাপ হতে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তীর। তারপর অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর সহায়তায় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মিঠুন। কিন্তু হাসপাতালে মিঠুনকে দেখার পর পরিচালক রাজ চক্রবর্তী জানান, একদম সুস্থ রয়েছেন অভিনেতা। ব্রেন স্ট্রোক এসব ভুয়ো খবর। সুগারের মাত্রা বেড়ে সামান্য় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে আপাতত মিঠুন চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। এই মুহূর্তে তিনি কথা বলছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন।
সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর এমারজেন্সি মেডিসিন এবং একজন নিউরোলজিস্ট-এর পরামর্শ নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা একাধিক টেস্টের পর জানতে পারেন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেতা। এমারজেন্সি ওয়ার্ডের ৪৮ নম্বর বেডে ভর্তি হন তিনি। নিউরোলজিস্ট ডক্টর সঞ্জয় ভৌমিক এর তত্ত্বাবধানে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এমারজেন্সি থেকে স্থানান্তর করা হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে। শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় আইসিউতে ১২৮ নম্বর বেডে ভর্তি হন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। এমআরআই করানো হয়েছে তাঁর। এমআরআই রিপোর্ট একিউট স্ট্রোক ধরা পড়েছে। একাধিক ডাক্তারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
মিঠুনের অসুস্থার খবর শুনে দুশ্চিন্তায় পড়েছিল ভক্ত থেকে শুরু বাংলা সিনে দুনিয়ার সকলে। এমনকি হাসপাতালেও তাঁকে দেখতে উপস্থিত হয়েছিল দেবশ্রী রায় এর মত আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এহেন কিংবদন্তি অভিনেতার স্থিতিশীলতার খবর শুনে স্বস্তি পেয়েছেন তাঁর অনুগামীরা।
গুরুতর অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, আজ, শনিবার সকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পর, অভিনেতার ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিউরোলজিস্ট ডক্টর সঞ্জয় ভৌমিক এর তত্ত্বাবধানে ভর্তি রয়েছেন তিনি। প্রথমে বেশ কয়েকটি চেকআপ করা হয়েছে তাঁর। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া যায়চনি।
বাদশাহ শাহরুখ খান থেকে শুরু করে খিলাড়ি অক্ষয় কুমার। বলিউডে খারাপ সময় কাটাননি, এমন তারকা খুব কমই রয়েছেন। ছবি হিট হলে যেমন তাঁরা কর্তৃত্ব করেন, তেমনই ছবি ফ্লপ হলে হারিয়ে যেতেও খুব একটা সময় লাগে না। তবে এই অভিনেতাদের সারিতে এমন একজন রয়েছেন যাঁর একটা সময়ে একের পর এক ছবি ফ্লপ হলেও তাঁর স্টারডমে একটুও আঁচড় আসেনি। তিনি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
১৯৮০-র দশকে বলিউডে একচেটিয়া কর্তৃত্ব ছিল মিঠুনের। এক বছরে ছবি করতেন এক ডজনের বেশি। কেরিয়ারে মোট ২৭০টির কাছাকাছি ছবি করলেও এর মধ্যে প্রায় ১৮০টি ছবিই দর্শকদের মনে ধরেনি। সিনে-ব্যবসার জগতে যাকে ফ্লপই বলা চলে। তা সত্ত্বেও বলিউডে জায়গা হারানো দূরের কথা, কেউ টলাতে পর্যন্ত পারেনি মিঠুনকে।
একটা সময় তো পরপর ৩৩টি সিনেমা ফ্লপ হয়েছিল মিঠুনের। ১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে প্রায় এতগুলি সিনেমা রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু স্টারডমে আঘাত হানতে পারেনি। কারণ, একাধারে ছবি ফ্লপ হলেও প্রযোজকেরা লক্ষ্মী লাভও করেন এই মিঠুনের হাত ধরেই। মিঠুনের কেরিয়ার সজ্জিত রয়েছে ৫০টির বেশি হিট ছবি দিয়ে। যার মধ্যে ৩টি ব্লকবাস্টার, ও ৯টি সুপারহিট সিনেমা সামিল।
মিঠুনের কেরিয়ারের সেরা ছবির তালিকা তৈরি হলে সেখানে 'ডিস্কো ডান্সার'-এর নাম থাকবেই। 'অগ্নিপথ'-এর মতো ছবিতে অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি নিজের ভেতরে থাকা অভিনেতার গুণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে 'ও মাই গড', বা হালের 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর মতো ছবিও বুঝিয়ে দেন, কেন সময়ের সঙ্গে মিঠুন এখনও ফুরিয়ে যাননি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা মাস্টারপিস কাবুলিওয়ালা (kabuliwala)। রহমত আলী এবং মিনির সম্পর্ক নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছে পাঠকদের। আবার পরিচালক তরুণ সিনহার মুন্সিয়ানায় ১৯৫৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'কাবুলিওয়ালা'। সেই ছবিটিও মাস্টারপিসের থেকে কিছু কম নয়। মুখ্য চরিত্রে সেবার সেলুলয়েডের পর্দায় দেখা গিয়েছিল প্রখ্যাত অভিনেতা ছবি বিশ্বাসকে। এবার সেই ছবিই আবার উঠে আসতে চলেছে পর্দায়। মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty)।
এবার 'কাবুলিওয়ালা' পরিচালনার ব্যাটন ধরতে চলেছেন সুমন ঘোষ। পরিচালক তাঁর গল্প বলার ধরণে আগেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এবার কাঁধে বড় দায়িত্ব। অন্যদিকে কাবুলিওয়ালার চেহারায় মিঠুন চক্রবর্তীর লুক প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার। যদিও মিনির চরিত্রে কাকে দেখা যাবে তা এখনও গোপন রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প 'কাবুলিওয়ালা'কে শ্রদ্ধা জানাতেই এই ছবি তৈরির প্রয়াস।
অনেকেরই ছোটবেলার স্মৃতিতে গেঁথে রয়েছে কাবুলিওয়ালা ও মিনির মিষ্টি সম্পর্ক। ভালোবাসা-স্নেহ-মমতা যে কাঁটাতারের সীমানা মানে না, সেই গল্প বলে 'কাবুলিওয়ালা'। আবারও পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে।
অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) মাতৃহারা হলেন। শুক্রবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন অভিনেতার মা শান্তিরানী চক্রবর্তী। মিঠুন চক্রবর্তীর বেড়ে ওঠা এই কলকাতাতেই। জোড়াবাগানে মা বাবা ভাই বোনদের সঙ্গে থাকতেন অভিনেতা। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি তীব্র আকর্ষণ তাঁকে টলিউড থেকে বলিউডের গলিতে সংগ্রাম করিয়েছে। মিঠুন মুম্বইতে থাকতেন ঠিকই কিন্তু প্রাণজুড়ে ছিলেন মা-বাবা।
তিন বছর আগে অভিনেতা তাঁর বাবাকে হারিয়েছেন। ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চেই কিছুদিন আগে বাবার স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি। বাবাকে মনে পড়ে, একথাও বলেছিলেন। এবার মায়ের প্রয়ানে অভিভাবক হারালেন অভিনেতা। অন্যদিকে এই খবর শুনে অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন কুনাল ঘোষ। দুজনের রাজনৈতিক আদর্শ আলাদা, তাই তাঁদের একসুরে গাইতে দেখা যায় না. তবে এমন বিষণ্ণ দিনে রাজনৈতিক ব্যবধান ভুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র।
তিনি লিখেছেন, 'মাতৃবিয়োগের জন্য মিঠুন চক্রবর্তীকে জানাই আন্তরিক সমবেদনা। আশা করি মিঠুনদা ও তার পরিবার এই গভীর শোক সামলে উঠবে।'
মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) ভারতের একজন খ্য়াতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা (Actress)। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর অভিষেক ঘটে। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মিঠুনের কনিষ্ঠ পুত্র নমশিরও অভিষেক হতে চলেছে বলিউডে, রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত ‘ব্যাড বয়’(Bad Boy) ছবি দিয়ে। এই ছবির প্রচার নিয়ে নমশি তাঁর বাবার কেরিয়ার সমন্ধে মত প্রকাশ করেন। নমশি জানান, মিঠুনের পুত্র হিসাবে তিনি বেশ গর্বিত। পরিবারের খারাপ সময়ের প্রসঙ্গ তোলায় নমশি বললেন, 'ইন্ডাস্ট্রি যেমন আমার বাবাকে সুপারস্টার বলেছে, তেমনই পরে নির্লজ্জের মতো তাকে ‘বি গ্রেড’ অভিনেতাও বলেছে।'
১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গুন্ডা’ ছবিটিতে মিঠুনের অভিনয় করা নিয়ে বেশ আক্ষেপ রয়েছে নমশির। কারণ তাঁর মতে এটি একটি ‘কুখ্যাত’ ছবি। মিঠুনের মানের অভিনেতার এই ছবিতে কাজ করা ঠিক হয়নি বলেই মত নমশির। ‘গুন্ডা’ সিবিএফসির তরফে ‘এ’ শংসাপত্র পেয়েছিল। বেশ কিছু দৃশ্য নিয়ে এই ছবিতে, ‘আপত্তিকর’ বলে রব উঠেছিল। এমনকি ভাষার ব্যবহারের দিক থেকেও ছবিটিকে ‘অশ্লীল’ বলে দাবি করেছিলেন অনেকে। এই ছবির অভিনয়ের দ্বারা বাবার ভাবমূর্তি অনেকখানি নষ্ট হয়েছে বলে ভাবেন নমশি। নমশির জীবনে আদর্শ তাঁর বাবাই। তাঁর অভিনীত রোম্যান্টিক-কমেডি ‘ব্যাড বয়’ আগামী ২৮ এপ্রিল মুক্তি পাবে।
টলিউড কাঁপিয়ে, বলিউড নাচিয়েছেন ডিস্কো ডান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বাংলা এবং হিন্দি সিনেমা জগতের এমন সফল সুপারস্টার কম আছে। বঙ্গ সন্তান মিঠুন চক্রবর্তীর তৎকালীন বোম্বে সিনেমা জগতে (BollyWood) সুযোগ পাওয়া সহজ ছিল না। তাঁকে বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রমাণ করতে হয়েছে নিজের কাছে। অভিনেতার চেহারার বর্ণনার জন্য যথার্থ শব্দবন্ধ হল 'টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম' অর্থাৎ লম্বা-শ্যামলা এবং সুন্দর। একথা মুখে বলা সহজ হলেও মেনে নেওয়া সোজা ছিল না। সেই সময় মিঠুনের পাশে ফেরেস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকার মা-বাবা।
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে সকলেই চেনেন। তাঁর বাবা কাইফি আজমী এবং মা শৌকত কাইফি সহৃদয় ছিলেন। তাঁদের বাড়ির নাম ছিল 'জানকী কুটির'। মুম্বইতে যাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠার লড়াইতে যেতেন তাঁদের জন্য এই বাড়ির দরজা সবসময় খোলা থাকত। এই বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। শাবানা আজমী সম্প্রতি বলেছেন, 'তাঁদের বাড়িতে থাকাকালীন মিঠুন তাঁর গায়ের রং এবং বেরিয়ে আসা দাঁত নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগত। আমার মা তখন তাঁকে খুব উৎসাহ দিত। এভাবেই ধীরে ধীরে মিঠুন সেই ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসেছিল। '
২০২২-এর ২৩ ডিসেম্বর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল দেব ও মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত 'প্রজাপতি' (Projapati)। দেবের প্রযোজনায়, অভিজিৎ সেনের পরিচালনায় ব্যাপক প্রশংসা পায় ছবিটি। নানা বিতর্ক প্রজাপতির ডানায় এসে পড়লেও, উড়ানে বাধা দিতে পারেনি। বরং সমস্ত প্রতিববন্ধকতা এড়িয়ে বক্স অফিসে ভালোই ব্যবসা করে ছবিটি। এমনকি বাংলা সিনেমায় সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে একদিনে এক কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ছবিটি। বাবা ও ছেলের সম্পর্কের রসায়ন প্রজাপতির গল্পের রসদ। বাবা ও ছেলের ইচ্ছে, স্বপ্ন, অনুভূতির গল্প বলে সিনেমাটি।
বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে এবার ওটিটি কাঁপাতে আসবে প্রজাপতি। কবে, কখন, কোথায় মুক্তি পাবে ছবিটি তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। কিন্তু যারা সিনেমাহলে ছবিটি দেখতে পাননি তাঁরা এবার মুঠোফোনে কিংবা ল্যাপটপে দেখে ফেলতে পারেন ছবিটি। সিনেমাহলের পাশাপাশি ওটিটিতে প্রজাপতি কতটা উড়ান দিতে পারে, সেটাই দেখার।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সৃষ্ট চরিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম কাবুলিওয়ালা (Kabuliwala)। অনেকেই ছোটবেলায় গল্পটি পড়েছেন, আবার অনেকে 'কাবুলিওয়ালা' সিনেমাটি দেখেছেন। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পাওয়া তপন সিনহা পরিচালিত 'কাবুলিওয়ালা' সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ছবি বিশ্বাসকে। আবার হিন্দিতে কাবুলিওয়ালার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বলরাজ সাহানিকে। এবার দর্শক এই চরিত্রে দেখতে পাবেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty)। সম্প্রতি তিনি কলকাতায় এসে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন।
কলকাতার প্রযোজনা সংস্থা 'এসভিএফ' এর ব্যানারে সিনেমাটি হবে। পরিচালনা করবেন সুমন ঘোষ। এর আগে ২০১২ সালে সুমন ঘোষের 'নোবেল চোর' সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন মিঠুন। প্রায় ১১ বছর পর আবারও একসঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন তাঁরা। 'কাবুলিওয়ালা' চরিত্রে এখনও নস্টালজিয়া হয়ে রয়েছেন অভিনেতা ছবি বিশ্বাস। মিঠুন চক্রবর্তী সেই চরিত্রে নিজেকে কতটা প্রশংসা কুড়োতে পারেন, তা জানতে অধীর আগ্রহে রয়েছেন দর্শক।
বাংলাদেশের (Bangladesh) ছবিতে অভিনয় করবেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ইতিমধ্যেই চিত্রনাট্যকার কথা বলেছেন অভিনেতার সঙ্গে। মহাগুরু কথা দিয়েছেন তিনি ছবিটি করবেন। রাজনীতিতে সক্রিয় মিঠুন। সম্প্রতি তিনি আবারও সক্রিয় হয়েছেন অভিনয়ে। কলকাতায় তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'প্রজাপতি'। আগে বেশিরভাগ সময় থাকতেন মুম্বইতে, বেশ কিছু হিন্দি ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বাংলায় ফিরলেন। এবার বাংলাদেশের দর্শককে নিরাশ করবেন না তিনি।
মিঠুনকে বাংলাদেশের সিনেমায় প্রথমবার দেখা গিয়েছিল শক্তি সামন্ত পরিচালিত 'অন্যায় অবিচার' ছবিতে। যদিও সিনেমাটি ভারত বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় তৈরী হয়েছিল। নতুন সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল জাহির। ছবির নামও ঠিক হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে ছবির নাম 'হিরো'। বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে আবর্তিত হবে সিনেমাটি। বলার অপেক্ষা রাখে না কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকবেন মিঠুন। অভিনেতার হাতে দুটি সিনেমার কাজ রয়েছে, এর মাঝেই তিনি 'হিরো'র জন্য শ্যুটিংয়ের সময় বের করবেন।
খুব তাড়াতাড়ি চুক্তিপত্রও তৈরি হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যেদিন বিজেপি সরকারকে (BJP Government) আসবে, বাংলায় বিনিয়োগের বন্যা বইবে। শনিবার সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) পাশে বসিয়ে এই দাবি করেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তিনি জানান, 'এতো বিনিয়োগ হবে চোখে দেখে মনে করবেন এটা সত্যি না স্বপ্ন। আমি একজন ছোট অভিনেতা, কিন্তু বড় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের বক্তব্য একটাই, টাটা পর্বের পর আমরা একটু ভিত।' পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) সাম্প্রতিক অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন টলিউডের মহাগুরু।
তিনি বলেন, 'কিছু কিছু জিনিস বন্ধ হয়নি। যেটা প্রচার চলছে, বন্ধ করে দিয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে, সেটা বন্ধ হয়নি। আপাতত ভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। পজ দেওয়া হয়েছে, পজ কেন করা হয়েছে? কেন্দ্র হিসেব চাইছে, ১০০ টাকা দেওয়া হয়েছে, তার হিসেব দিন। সেই হিসেব দিয়ে দিলেই কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠাবে কেন্দ্র।'
এদিকে, মিঠুন চক্রবর্তীর 'বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিনিয়োগ বন্যা' সংক্রান্ত মন্তব্যকে খোঁচা দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'মিঠুন দা যখন সুভাষবাবুর সঙ্গে ঘুরতো তখন শিল্প আসেনি। মাঝে আমাদের সাংসদ হয়েছিল, তখন শিল্প আনতে পারেনি। এখন বিজেপির সঙ্গে ঘুরলেও শিল্প আসবে না। সুতারাং মিঠুন দা কী বললো, ওসব হয় মারবো এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে। ওদের ভাবনা সিনেমার মতো করেই হয়। বাস্তব, শিল্প আনতে গেলে যে সরকার দরকার, স্থায়ী, বনধ-ধর্মঘট করতে দেয় না, সচল; এমন সরকার। তাই আদানির মতো সংস্থা এখানে আসছে। তাঁরা জানে বাংলায় মমতার নেতৃত্বে শিল্প পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছে।'
শালপাতার থালায় পছন্দের ডাল-আলু পোস্ত ভাত তৃপ্তি করে খেলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় বিজেপির (BJP) মহিলা বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারেন মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার এবং সুভাষ সরকার। তাঁদের পদে ছিল ডাল, ভাজা, পোস্ত, পাঁপড়, চাটনি। এই হরেক পদ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের হাতে পরিবেশন করেই 'মহাগুরু'-সহ সুকান্ত মজুমদার, সুভাষ সরকারদের খাওয়ালেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক। আর তৃপ্তি ভরে পছন্দসই এই খাবার (Lunch at Bakura) খেয়ে মিঠুনের মন্তব্য, 'এটাই তো বাঙালির খাবার, বাড়িতেও তো বাঙালি খাবার খাই।' তিনি বলেছেন, 'আগে কথা দিয়েছিলাম চন্দনার বাড়িতে আসবো এবং খাবো। সেটাই করতে এলাম।'
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য বিজেপির একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বাংলায় মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকে বিজেপির শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারেন তিনি। অংশ নিয়েছেন মেজিয়ার পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনে। মিঠুনের সঙ্গে চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ সুভাষ সরকার। এদিন চন্দনা এবং তাঁর পরিবার নিজ হাতেই মধ্যহ্নভোজের হরেক পদ রান্না করেছেন।
বৃহস্পতিবার চন্দনা বাউড়ির গ্রামে উপচে পড়েছিল ভিড়। টলিউডের 'মহাগুরু'কে একবার চোখের দেখা দেখতে বাড়ির ছাদে, পাঁচিলে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে স্থানীয়দের। বুধবারও পুরুলিয়ার কর্মসূচির মাঝেই এভাবেই মধ্যহ্ন ভোজ সেরেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
প্রসূন গুপ্ত: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোরদার লড়াই দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। দলের হাজারো গোষ্ঠীকে পাশে রেখে একসাথে চলার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেটা কীভাবে সফল হবে, পরের কথা কিন্তু ইতিমধ্যে জেপি নাড্ডা একটি কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই কমিটির নেতৃত্বে ২০২৩-এ পঞ্চায়েতে ভোট লড়বে রাজ্য বিজেপি। চমৎকার বিষয় এই যে কমিটিতে আদি ও বর্তমানকে সঙ্গে রেখেই ভোট প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর পরেই জায়গা পেয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। রয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দায়িত্ব বাড়ছে হুগলির সাংসদের। পাশাপাশি আনা হয়েছে রাহুল সিন্হাকেও। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বহুদিন ধরে গেরুয়া রাজনীতির মূল স্রোতের বাইরে। অবশ্য এই প্রতিবেদককে রাহুল জানান, পুজোর অষ্টমীর দিন থেকে প্রায়ই তিনি মুরলীধর সেন লেনে যান। বিকেল ৪ টের পর রাজ্য অফিসে আসতে আমন্ত্রণও জানান তিনি। রাহুল ছাড়াও বিভিন্ন সাংসদ-বিধায়করা আছেন কমিটিতে।
তবে চমকপ্রদ খবর, কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। হঠাৎ মিঠুন কেন, উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞদের অভিমত প্রচারে এমন একটা মুখ দরকার যাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা আছে। বিজেপি জানে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত ভোট কার্যত সেমিফাইনাল। এই ভোট প্রমাণ করবে ২০১৯-এর মতো বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসন পাওয়ার জায়গায় আছে কিনা? এবার প্রশ্ন হচ্ছে মিঠুন ৮০-র দশকের জনপ্রিয় নায়ক, এখন তাঁর বয়স ৭২। অনেকদিন সিনেমা থেকেও বেশ কিছুটা দূরে।
তাও কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করেন দেশের একদা সর্বোচ্চ আয়করদাতা মিঠুন এখনও 'মহাগুরু'। গ্রামের ভোট কাজেই মঞ্চে মঞ্চে তাঁর ফিল্মি ডায়লগ মানুষ উপভোগ করবে। এ ছাড়া বাংলায় বিকল্প কিছু নেই বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।
অন্যদিকে ৮ বছর ধরে বিজেপি করা এবং এক সময়ের সাংসদ রূপাকে কমিটিতে রাখা হয়েনি। অন্দরের খবর কয়েক মাস ধরে রূপা নাকি মিডিয়া এবং বিভিন্ন পোর্টালে এমন সব সাক্ষৎকার দিয়েছেন যা দলের পক্ষে শুভ নয়। নিজের বিশ্বাস অনেকটাই হারিয়েছেন রূপা বলেই গুঞ্জন।
মজার বিষয় মিঠুন এবং রূপা বহুদিন আগে 'বুধ্ধুরাম ঢোল দুনিয়া গোল' নামে একটি ছবি করেছিলেন। সেই ছবির হদিস কেউ রাখে না কিন্তু আজ বাস্তবে সেই ঘটনায় ঘটলো।
তিন দিন আগে দাবি করেছিলেন অন্তত ২১ জন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাঁর সঙ্গে যোগাযোগে আছে। মঙ্গলবার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) দাবি, ৩৮ জন বুড়ি ছুঁয়ে আছে। তার চেয়ে বেশি দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যেকোনও সময় যা কিছু হয়ে যেতে পারে বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) পাশে বসিয়ে এই দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
তাঁর দাবির সমর্থন শোনা গিয়েছে সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে। তিনি বলেন, 'আমাদের সঙ্গে অন্তত ৪১ জন যোগাযোগ করেছে। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরও বেশি তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছে।' টলিউডের মহাগুরুর মন্তব্য, 'অনেকে আমাকে অনুরোধ করেছে পচা আলু নেবেন না। কিন্তু সবাই সমান নয়। অনেকে আছে তৃণমূলে শ্বাসরুদ্ধ মনে করছেন। কিন্তু আমি কথা দিয়েছি যাঁদের নাম আমার কাছে আছে, তাঁরা এরকম নয়।'
বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মহালয়ার আগে পুজো উদ্বোধনের সমালোচনা করে বলেন, 'সরকার ভুয়ো হয়ে গিয়েছে। মাতৃপক্ষের আগে পুজো উদ্বোধন করছেন, ভুয়ো চাকরি দিচ্ছেন।'
এদিকে, দুই বিজেপি নেতার এই দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূল কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'মিঠুন দা যদি হার হজম না হয়, হজমিগুলি পাঠিয়ে দিচ্ছি। দেড় বছর ঘুরে ঘুরে হেরেছেন। সম্মান কেন বিজেপির পাল্লায় পড়ে নষ্ট করছেন। কেউ বলছে ৪১ জন আছে, কেউ বলছে ২১ জন। বলছি মিঠুন দা, সুকান্ত দিওয়ার দেখেছেন? অমিতাভ বচ্চন বলছে হামারে পাস গাড়ি, বাড়ি দুনিয়ার বাতেলা হে। তুমাহারে পাস কেয়া হে? আমরা বলছি আমাদের কাছে দিদি হে।'