ফের অফিস টাইমে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোরেল সূত্রে খবর, সকাল ১১টার পর থেকে শোভাবাজারের থেকে গড়িয়াগামী মেট্রোতে বিভ্রাট ঘটে। সপ্তাহের শুরুতে মেট্রোর গোলযোগের জন্য দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। আপাতত স্বাভাবিক মেট্রো পরিষেবা।
আরও জানা গিয়েছে, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শোভাবাজারের থেকে গড়িয়াগামী আপ ও ডাউন মেট্রো। দ্রুত শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের যান্ত্রিক ত্রুটি সারাইয়ের কাজ চলেছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর।
এমনিতেই শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর কাছে একটি ঐতিহাসিক এবং স্মরণীয় দিন। এই দিনই প্রথম গঙ্গার তলা দিয়ে ভারতের বুকে যাত্রী নিয়ে ছুটে চলল মেট্রো। আবার এই শুক্রবারই চালু হল বহু প্রতীক্ষিত অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো।
প্রাথমিক ভাবে কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা চালু হলো মেট্রোর তরফে। শুক্রবার সকাল ৯'টায় প্রথমবার এই রুটে যাত্রী নিয়ে কবি সুভাষ স্টেশন থেকে পাড়ি দিল মেট্রো। প্রথম যাত্রার সাক্ষী থাকতে এদিন মেট্রো ভ্রমণ করলেন বহু মানুষ। যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় খুশির আবহ যাত্রীদের মধ্যে।
অরেঞ্জ লাইনে কবি সুভাষ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত চলবে মেট্রো। কিন্তু আপাতত চারটি স্টেশন নিয়ে চালু এই পরিষেবা। ধীরে ধীরে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছুটবে অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো। তবে মেট্রো সূত্রে খবর, সোমবার থেকে শনিবার ২০ মিনিটের ব্যবধানে চলবে এই মেট্রো। তবে শনি ও রবিবার কোনও পরিষেবা থাকবে না। তবে একই দিনে দুই স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দের আবহ শহরবাসীর মধ্যে।
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। শুক্রবার, সকাল থেকে দেশে প্রথমবারের মতো গঙ্গা নদীর তলদেশ দিয়ে চালু হলো মেট্রো। সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে গেল মেট্রো পরিষেবা। গত ৬ মার্চ কলকাতা সফরে এসে এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া-ময়দান পর্যন্ত মেট্রো রেল পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জানা গিয়েছে, এই রুটে প্রতিদিন সকাল ৭টায় ছাড়বে প্রথম মেট্রো। অন্যদিকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। প্রতি সপ্তাহের সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত ১২ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ওই রুটে চলবে মেট্রো। রবিবার সারাদিনই বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা। এই রুটে রয়েছে ৪টি স্টেশন, হাওড়া-ময়দান, হাওড়া, মহাকরণ এবং এসপ্ল্যানেড।
তবে গঙ্গার তলদেশ দিয়ে এই নতুন মেট্রো রুটে খুব কম সময়ে যাতায়াতে, সুবিধা হয়েছে সাধারণ মানুষের। আর তাই সকাল থেকেই স্টেশনে লক্ষ্য করা গেল প্রচুর উচ্ছ্বসিত মানুষের ভিড়। কেউ কেউ এই ঐতিহাসিক বিষয়ের প্রথমবার সাক্ষী থাকার জন্য ভোর ৪টে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছেন। একটি টিকিটের মাধ্যমে তিন লাইনের মধ্যে ইন্টারচেঞ্জ করে সফর করা যাবে৷ তাই একটি লাইন থেকে অন্য লাইনে সফর করতে হলে আলাদা আলাদা টিকিট কাটার প্রয়োজন নেই। তবে এই ঐতিহাসিক মেট্রো সফর ঘিরে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়াও শুক্রবার মেট্রো পরিদর্শনে এলেন হাওড়ার বিজেপির প্রার্থী ডক্টর রথীন চক্রবর্তী। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
সব মিলিয়ে কলকাতা মেট্রো তথা সমগ্র দেশবাসীর কাছে এই মুহূর্ত গর্বের বলেই মনে করছেন প্রত্যেকে। দেশে প্রথম কোনও নদীর নিচ দিয়ে যাত্রী নিয়ে ছুটল মেট্রো। আর এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকল সমগ্র বাংলা তথা দেশবাসী।
কলকাতার মেট্রোর মুকুটে নয়া পালক। দেশের প্রধামমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে অবশেষে উদ্বোধন হল হাওড়া-ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুট। এই রুটের মধ্যেই রয়েছে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো রেলের অংশ। গঙ্গার তলা দিয়ে এসপ্ল্যানেড এসে পৌঁছবে এই মেট্রো রুট। দেশে এই প্রথম জলের তলা দিয়ে ছুটবে মেট্রো। এদিন সকালে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে নয়া রুটের মেট্রোর উদ্বোধন করেন তিনি। এরপরই প্রায় ৫০০ স্কুল পড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো সফরে মোদী।
উল্লেখ্য, দেশের গভীরতম রেল স্টেশন হাওড়া-মেট্রো স্টেশন। প্রায় ১১৪ ফুট মাটির তলায় রয়েছে এই স্টেশন। যার মাধ্যমে ৮ মিনিটে হাওড়া থেকে ধর্মতলা এবং ১১ মিনিটে হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পৌঁছে যাওয়া যাবে এমনটাই মেট্রো রেল সূত্রে খবর। সাধারণ নাগরিকদের জন্য আরও সহজ হবে যাতায়াত। প্রধানমন্ত্রীর হাতে বুধবার এই মেট্রো রুটের উদ্বোধন হলেও সাধারণের জন্য দ্রুত পরিষেবা চালু করতে চায় মেট্রো রেল, এমনটাই মেট্রো রেল সূত্রে খবর।
দেশের গভীরতম রেল স্টেশন হতে চলেছে হাওড়া মেট্রো স্টেশন। প্রায় ১১৪ ফুট মাটির তলায় স্টেশন। যার মাধ্যমে ৮ মিনিটে হাওড়া থেকে ধর্মতলা এবং ১১ মিনিটে হাওড়া থেকে শিয়ালদহ পৌঁছে যাওয়া যাবে এমনটাই মেট্রো রেল সূত্রে খবর।
হাওড়া মেট্রো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাওড়া মেট্রো উদ্বোধনের পর যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে হোক শীঘ্রই এমনটাই কিন্তু মেট্রোরেল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এই মেট্রো পরিষেবা যাত্রীদের একটা আলাদা মাত্রায় তুলে ধরবে বলেই আশা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের।
মেট্রোরেল সূত্রে খবর, একই টিকিটে বা একই স্মার্টকার্ডে উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোতে পরিষেবা পাওয়ার পাশাপাশি যাতায়াত করা যাবে।
টিকিটের মূল্য-
হাওড়া থেকে হাওড়া ময়দান-৫ টাকা
হাওড়া থেকে মহাকরণ, এসপ্ল্যানেড পৌঁছে যাওয়া যাবে ১০ টাকায়
হাওড়া থেকে সেন্ট্রাল, চাঁদনি চক, পার্কস্ট্রিট এবং ময়দানের ভাড়া ১৫ টাকা
হাওড়া থেকে শোভাবাজার-সুতানটি, গিরিশ পার্ক এবং মহাত্মা গান্ধী রোডের ভাড়া ২০ টাকা হাওড়া থেকে রবীন্দ্র সদন, নেতাজি ভবন এবং যতীন দাস পার্কের ২০ টাকা
হাওড়া থেকে দমদম, বেলগাছিয়া এবং শ্যামবাজারের ভাড়া ২৫ টাকা
আপাতত এই ভাড়াই নির্ধারণ করা হয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। গ্রিন লাইনের এই মেট্রো রুটে জলের ৩২ মিটার নীচ দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছবেন যাত্রীরা।
শহরের বুকে প্রথমবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এবার গঙ্গার তলা দিয়ে যাতায়াত করবে মেট্রো। ভারতের মাটিতে যা প্রথমবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে নতুন মেট্রোর রুট। শহরের বুকে গঙ্গার তলা দিয়ে যাতায়াত করবে এই মেট্রো। জানা গিয়েছে, গঙ্গার গভীরতা ১৩ মিটার। তার থেকে আরও ১৩ মিটার নীচে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে টানেল। সেই টানেল দিয়েই মোট ৫২০ মিটার রাস্তা অতিক্রম করবে এই মেট্রো। এবার সেই ৫২০ মিটার রাস্তাকেই সুন্দর আলো দিয়ে সাজিয়ে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হলো।
ইতিমধ্যেই ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে এই মেট্রোর। খুব শীঘ্রই এই মেট্রো চালু হবে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর তাই গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোতে চড়ার স্বাদ নিতে মুখিয়ে রয়েছেন শহরবাসী।
মেট্রো সম্প্রসারণে প্রয়োজন দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক। আর তা নিয়েই রাজ্য-মেট্রো সংঘাত চরমে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল তীব্র কটাক্ষের সুর। একপ্রকার গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না।”
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক হৃদয়ের মণিমুক্তো। শেষ রক্তবিন্দু থাকতে ভাঙতে দেব না। প্রয়োজনে আমি বিকল্প রুট করে দেব। বুদ্ধি খরচ করুন।” অন্যদিকে, মেট্রোর সম্প্রসারণের জন্য আলিপুরের বডিগার্ড লাইনও ভাঙতে চায় রেল। এ বিষয়েও অনড় অবস্থানে বাংলার সরকার। তিনি বলেন, “আলিপুর বডিগার্ড লাইন পুলিসের হৃদয়ের মণিমুক্তো। রাজ্যের ঐতিহ্য। এর কোনওটাই ভাঙতে দেব না।” প্রয়োজনে মেট্রোর রুট বদলাতে হবে মত মমতার।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের প্রতিটা মেট্রো প্রকল্পের কাজই তিনি করে দিয়েছিলেন। এদিন রেলের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কৃতিত্ব দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতীয় রেলে আগে ২০টা জোন ছিল। মেট্রোকে নিয়ে ১টা জোন রাজ্য়ে তিনিই তৈরি করেছিলেন। এমনকি দিল্লি মেট্রোর জট ছাড়ানোর কৃতিত্বও দাবি করেন তিনি।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কেন্দ্র বিরোধিতার সুর আরও চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতেই কি রেলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী? নাকি রাজ্যে দলের ভিত মজবুত করতেই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল সুপ্রিমোর?
বড় দিন উপলক্ষ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা দেওয়া হবে বলেই মেট্রো রেল সূত্রে খবর। বড় দিনে পার্ক স্ট্রিটে সব থেকে বেশি ভিড় হয়। সেই কারণে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্যই সকাল থেকে মেট্রো পরিষেবা দেওয়া হবে বলেই মেট্রো রেল সূত্র খবর।
বড় দিন উপলক্ষে মেট্রো চালু থাকবে সকাল থেকেই। ২৫ তারিখ সকাল ৮ টা ৫৫ মিনিট থেকে পরিষেবা শুরু হবে বলে মেট্রো রেল সূত্রে খবর। ৮ টা ৫৫ মিনিটে প্রথম মেট্রো দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাবে। তারপর সকাল ৯ টা থেকে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে। অন্যদিকে ওই দিন রাতে শেষ পরিষেবা ১০ টা ৫৮ মিনিট দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত। যা অন্যান্য দিনের থেকে বেশ কিছুটা সময় অতিরিক্ত। বড়দিন উপলক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে খুশি হবেন যাত্রীরা।
টেট পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশেষ পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা কলকাতা মেট্রো রেলের। জানা গিয়েছে, রবিবার হওয়া সত্ত্বেও ওইদিন অতিরিক্ত মেট্রো চালানো হবে। কলকাতা মেট্রোর তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে এবিষয়ে জানানো হয়েছে। ওইদিন কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মোট ২৩৪ টি মেট্রো চালানো হবে।
২৪ ডিসেম্বর রয়েছে টেট পরীক্ষা। পাশাপাশি ওইদিন লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানও রয়েছে। ফলে কলকাতায় ভিড়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, রবিবার ২৪ তারিখ মোট ২৩৪ টি মেট্রো চলবে আপ ও ডাউন মিলিয়ে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। তারমধ্যে ১১৭টি আপ এবং ১১৭টি ডাউন রেক চলবে। অন্যান্য দিনের মতোই এই পরিষেবা থাকবে বলেই মেট্রো রেল সূত্রে খবর। প্রথম মেট্রো সকাল ৬:৫০ মিনিটে দমদম থেকে কবি সুভাষের দিকে এবং সকাল ৬:৫৫ মিনিটে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরের দিকে।
অন্য সপ্তাহের রবিবার প্রথম মেট্রো চলে সকাল ৯টা থেকে। ছুটির দিন থাকায় মেট্রো চলাচল শুরু হয় কিছুটা দেরিতে। কিন্তু যেহেতু এই সপ্তাহে একই দিনে টেট এবং গীতা পাঠের অনুষ্ঠান রয়েছে, সেকারণে অতিরিক্ত সময়ে চলবে মেট্রো।
আবারও রবীন্দ্রসদন মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যা।বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৫০-এ মেট্রোর রবীন্দ্রসদন স্টেশনে আপ লাইনে দক্ষিণেশ্বরগামী মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দুর্ঘটনার জেরে ব্যাহত হয়েছে মেট্রো পরিষেবা। অফিস টাইমে ঘটনাটি ঘটায় ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা। আপাতত দক্ষিণেশ্বর থেকে সেন্ট্রাল এবং টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে। বেলা পৌনে ১০টা থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম ধর্মগুরু গুরু নানকের জন্মদিন সোমবার। গুরু নানক জয়ন্তী মানেই ছুটির দিন। সেকারণে এদিন কলকাতা মেট্রোর তরফে মেট্রো পরিষেবা কম থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। সোমবার, সপ্তাহের শুরু দিন শহরের অন্যান্য দিনের থেকে মেট্রো পরিষেবা অনেকটাই কম থাকবে৷ বাড়ি থকে বেরনোর আগে দেখে নিন মেট্রোর সমসূচি৷
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে (নীল লাইন) ২৮৮টি মেট্রোর পরিবর্তে ২৩৪টি মেট্রো চলবে। যার মধ্যে ১১৭টি আপ ও ১১৭টি ডাউন মেট্রো পরিষেবা। এই লাইনে প্রথম এবং শেষ পরিষেবার সময় অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রথম পরিষেবা শুরু হবে:
০৬:৫০ টায়। দমদম থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
০৬:৫০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
০৬:৫৫ টায় দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
০৭.০০ টায়। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
শেষ পরিষেবা শুরু হবে:
৯:২৮ টায়। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
৯:৩০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর। (পরিবর্তন নেই)
৯:৪০ টায়। দমদম থেকে কবি সুভাষ। (পরিবর্তন নেই)
৯:৪০ টায়। কবি সুভাষ থেকে দমদম। (পরিবর্তন নেই)
গ্রীন লাইন এবং পার্পল লাইনে পরিষেবা অপরিবর্তিত থাকবে।
ফের রহস্যমৃত্যু শহরে। রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো (Metro) স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হল এক মৃতদেহ। বুধবার সকালে যখন নিত্য অফিসযাত্রীরা মেট্রোয় চড়ে অফিসে যাচ্ছিলেন সেসময়ই হঠাৎ থেমে যায় মেট্রো পরিষেবা। জানা যায়, রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোথা থেকে এল দেহ? কার দেহ? এখনও তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। তবে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ৯টা ৪৭ মিনিট নাগাদ রবীন্দ্র সরোবর ও মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনের মাঝে ডাউন লাইনে একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দেহটি পুরুষ না মহিলার, তাও এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, রবীন্দ্র সরোবর মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক ব্যক্তি। তার জেরে আপাতত আপ ও ডাউন উভয় লাইনেই মেট্রো চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। রবীন্দ্র সদন স্টেশন থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত আপাতত কোনও পরিষেবা চলছে না। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ময়দান চত্বরে মেট্রোর কাজের জন্য গাছ কাটার মামলায় মেট্রোর কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আরভিএনএল, কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন সওয়াল জবাবের সময় আবেদকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, মেট্রোর কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আরভিএনএল-কে ময়দান এলাকায় গাছ কাটার কারণ জানাতে বলেছিল আদালত। কিন্তু গত শুনানিতেও তারা উত্তর দেয়নি। আমাদের দাবি মেট্রো স্টেশন অবশ্যই মানুষের স্বার্থে। কিন্তু তার জন্য গাছ কাটার কী কারণ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ময়দান কি রাজ্যের তত্ত্বাবধানে? উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী মহম্মদ গাল জানান, না, এই ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও বিশেষ ভূমিকা নেই।
আরভিএনএলএর আইনজীবী সাক্ষ্য সেন জানান, এই মেট্রো পথ আর্মির অনুমোদন নিয়ে তৈরি হচ্ছে।মেট্রো প্রচুর দুর্ভোগ সামলেছে এই প্রোজেক্ট করতে গিয়ে। জমি জট থেকে অন্য সমস্ত সমস্যা। এই প্রোজেক্টের তিনটি স্টেশন হবে এই চত্বরে মেশিন সহ অন্যান্য সামগ্রী রাখা ও ব্যবহারের জন্য কিছু গাছের ডাল ও সামান্য কিছু গাছ কাটা হয়ছে। সেই জায়গায় আমরা অতিরিক্ত গাছ বসিয়ে দেবো।
আরভিএনএলএর আইনজীবী সাক্ষ্য সেনের কথা শুনে প্রধান বিচারপতি জানান, মেট্রো কখনই তাদের দায় এড়াতে পারে না। ময়দান এলাকায় প্রচুর জায়গা ।যেখানে গাছ আছে সেটা অনেক বেশি স্পর্শকাতর। মেট্রোকে ভেবে কাজ করতে হবে।আমরা গর্বিত কলকাতা মেট্রো অতি প্রাচীন। এশিয়ার প্রথম। গাছগুলোর জায়গায় পুনরায় নতুন গাছ বসাতে হবে। ব্যালেন্স বজায় রেখে কাজ করতে হবে মেট্রোকে। প্রযুক্তি এখন অনেক উন্নত, প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। হাইকোর্টের ক্লাবও আছে ময়দান চত্বরে যেখানে বাড়তি নির্মাণ সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোর কাজের জন্য ময়দান চত্বরে প্রায় ৭০০ গাছ কাটার চিন্তাভাবনা চলছিল।তাঁর বিরোধিতা করেই পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালক্যাটা নামক একটি বেসরকারি সংস্থা, দেদার গাছ কাটা হচ্ছে ময়দানে, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ২৬ অক্টোবর এই মামলার শুনানিতে অন্তর্বর্তী স্থাগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে’র ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই ১৭ নভেম্বর শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল। শুক্রবার হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের পৃষ্ঠপোশকতায় শহরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে মেট্রোরেলের কাজ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরে চালু ছিল মেট্রোর দুটি অপারেশনাল লাইন। দক্ষিনেশ্বর-গড়িয়া এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-ফুলবাগান। এরপরে চালু হয়েছিল রুবি গড়িয়া মেট্রো রুট। হাওড়া-শিয়ালদহ রুটও খোলার মুখে।
পাশাপাশি প্রায় শেষ হতে চলেছে গঙ্গার নিচ দিয়ে বহমান হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের কাজ। সোমবার জিএমের পরিদর্শনে তা এগোলো আরও এক ধাপ। আগেই জানা গিয়েছিল, ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হতে পারে মেট্রোর এই রুটের। দেখাও গেল তেমনটাই। শুক্রবার, মেট্রো রেলওয়ে এবং কেএমআরসিএল এর ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে, হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডোর পরিদর্শন করলেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী পি উদয় কুমার রেড্ডি।
এই মুহূর্তে মেট্রো পরিষেবার কতটা কাজ এগোলো, তা দেখার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রাপথের মাঝে প্রত্যেকটি স্টেশনে নেমে ঘুরে দেখলেন সিগন্যালিং ইকুইপমেন্ট রুম, পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেম, টেকনিক্যাল ইকুইপমেন্ট রুম, টানেলে আলোর ব্যবস্থা, লিফ্ট, এক্সক্যালেটর সবটাই। খতিয়ে দেখলেন ভেন্টিলেশন, এসির পরিষেবাও।
শুক্রবার শ্রী পি উদয় কুমার রেড্ডির পরিদর্শনের সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেট্রো রেলওয়ের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার এবং কেএমআরসিএল এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রী ভি কে শ্রীবাস্তব সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তারা। সব ঠিক থাকলে আশা করা যাচ্ছে চলতি বছরের শেষেই শুরু হতে পারে বহু প্রতীক্ষিত হাওড়া ময়দান- এসপ্ল্যানেড ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা।
কালীপুজো উপলক্ষে বিশেষ মেট্রো পরিষেবার ঘোষণা কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১২ অক্টবর বুধবার মেট্রোর প্রথম এবং শেষ পরিষেবার সময়সূচি জানানো হয়েছে।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকাশিত সময়সারণিতে জানানো হয়েছে, ১২ অক্টোবর, কালীপুজোর দিন স্বাভাবিক মেট্রো সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রো চলবে। কেবল কালীপুজোর রাতে ভক্তদের দক্ষিণেশ্বর এবং কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার সুবিধার্থে উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে দুটি বিশেষ পরিষেবা পরিষেবা চালাবে মেট্রো। রাত ১০ টায় কবি সুভাষ ও দক্ষিনেশ্বর থেকে ছাড়বে এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবা।একটি যাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। এই পরিষেবা দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে পৌঁছাবে ১১:০৩-এ। আরেকটি যাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত। আর মেট্রো কবি সুভাষে পৌঁছবে রাত ১১:০১ মিনিটে। যাত্রাপথে মধ্যবর্তী সব ক’টি স্টেশনে থামবে এই স্পেশাল মেট্রোগুলি। ফলে পুজোর দিন রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে আর চিন্তা থাকছে না আপনার।
শনিবার ইডেনে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এদিন বিশ্বকাপের ( মহারণে মুখোমুখি হতে চলেছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। ক্রিকেটপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে। ইডেনে বাইশ গজের মহারণ শেষে দর্শকদের বাড়ি ফেরার জন্য বিশেষ মেট্রো পরিষেবা চালানো হবে রাতে। ম্যাচ শেষে এসপ্ল্যানেড স্টেশনে দর্শকদের জন্য অপেক্ষায় থাকবে মেট্রো। ইডেনের ম্যাচ শেষের পর এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে এক জোড়া স্পেশাল মেট্রো ছাড়বে।এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবাগুলি উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো করিডোরের (ব্লু লাইন) এসপ্ল্যানেড - দক্ষিণেশ্বর এবং এসপ্ল্যানেড - কবি সুভাষ রুটের মধ্যে চালানো হবে৷
রাত পৌনে ১১টায় (১০:৪৫) এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে ছাড়বে এই বিশেষ মেট্রো পরিষেবা। এটি যাবে দক্ষিণেশ্বরের দিকে এবং অন্যটি যাবে কবি সুভাষের দিকে। দু’টি মেট্রোই রাত ১১টা ১৮ মিনিটে পৌঁছে যাবে দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষে। যাত্রাপথে মধ্যবর্তী সব ক’টি স্টেশনে থামবে না এই স্পেশাল মেট্রোগুলি। ফলে খেলা দেখে রাতে বাড়ি ফেরা নিয়ে আর চিন্তা থাকছে না আপনার। ইডেনের ম্যাচ শেষের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি বাড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন।