হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (TMC MLA)। শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেন তিনি (Manik Bhattacharya)। ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রায়ের বিরোধিতা করেই এই বিশেষ লিভ পিটিশন (SLP)। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment) দুর্নীতির মামলায় প্রথম বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৎকালীন বোর্ড চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায় বহাল রেখেছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। জানা গিয়েছে, আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। পাশাপাশি মামলায় সবপক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
ইতিমধ্যে স্কুলশিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে মানিকের। তাঁকে জেরা করেছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল লুকআউট নোটিস। তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত হলফনামাও চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাঁকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
তাঁকে খুঁজে না পেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (central investigation agency) সংস্থা লুকআউট নোটিস (Lookout Notice) জারি করেছে। কোথায় তিনি, এই প্রশ্নে সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সেই মানিক ভট্টাচার্যকে (TMC MLA Manik Bhattacharya) মঙ্গলবার পাওয়া গেল বিধানসভায়। পলাশিপাড়ার বিধায়ক প্রাক্তন এই শিক্ষাকর্তা বিধানসভার শিক্ষা সংক্রান্ত এক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। সেই কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে বিধানসভায় এসেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি। তবে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুকআউট নোটিস প্রসঙ্গে মন্তব্য করেননি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই অপসারিত সভাপতি।
এদিন পলাশিপাড়ার বিধায়ক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে যোগ দিতে আমি বিধানসভায় এসেছি। একজন বিধায়ক হিসেবে আমার যা দায়িত্ব কর্তব্য আমি পালন করছি। স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিংয়ে আমি অনুপস্থিত ছিলাম না।'
বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া লুকআউট নোটিস প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই প্রশ্নের জায়গা বা প্রেক্ষিত ঠিক নয়। বিধানসভা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে করুন নিশ্চয় জবাব দেব। কিন্তু অনুরোধ বিচারাধীন কোনও বিষয়ের প্রশ্ন আমাকে এখানে করবেন না। তাঁর দাবি, 'রবিবার তিনি সারাদিন পলাশিপাড়ার বিধায়ক হিসেবে ওখানকার মানুষের জন্য যা যা করণীয় আমি করেছি। সব বৈঠকে যোগ দিয়েছি।' রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা লুকআউট নোটিস জারি হওয়ার পরেই মানিক ভট্টাচার্যের নিরাপত্তা তুলেছে রাজ্য পুলিস। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নিরাপত্তা পেয়েছিলাম। আমি এখন সভাপতি নেই স্বাভাবিক কারণেই আর ওই নিরাপত্তা থাকবে না।
ঠিক কী বললেন তিনি?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya), তিনি কি সত্যিই নিখোঁজ? এই প্রশ্নেই বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি৷ যদিও সংবাদমাধ্যমে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি কলকাতার যাদবপুরের (Jadavpur) বাড়িতে আছেন৷ ইতিমধ্যে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে লুকআউট নোটিস (LookOut Notice) জারি করেছে সিবিআই (CBI)। রাজ্য পুলিসও তুলে নিয়েছে তাঁর নিরাপত্তা। এই অবস্থায় শনিবার সকালে নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দায় দেখা দিলেন মানিক ভট্টাচার্য। যদিও গত কয়েকদিনে তাঁকে বিস্তর খোঁজাখুজির পর সংবাদমাধ্যমকে ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, কলকাতায় আছেন তিনি। যাদবপুরে নিজের বাড়িতে আছেন। এরপর সাক্ষাৎ মানিক দর্শন।
বাড়ির একতলার বারান্দা থেকে সকাল ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ দরজা খুলে বারান্দার সামনে এসে দাঁড়ালেন মানিকবাবু। এদিন মানিকবাবু বললেন, "আমি বাড়িতেই আছি। ছবিতে দেখে নিয়েছেন এবার নিশ্চিত হলেন তো? কোর্টের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য আমি করব না। কিন্তু দয়া করে আমাদের সাধারণ জীবনযাপন করতে দিন। তদন্তে অসহযোগিতা আগেও ছিল না এখনও নেই। "
টেট(TET) দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক(tmc mla) মানিক ভট্টাচার্যর নিরাপত্তা(security) প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পুলিস(State Police)। সিবিআইয়ের লুক আউট নোটিসের(lookout notice) পরই বিধায়কের নিরাপত্তা তুলে নিল রাজ্য পুলিস। অর্থাত্ এখন থেকে আর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য তাঁর বিধায়ক হিসেবে প্রাপ্য নিরাপত্তা রাজ্য পুলিসের কাছ থাকে পাবেন না। শুক্রবার সকালেই রাজ্য পুলিস সূত্রে এই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি, এবার মানিককে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে ইডি আধিকারিকরা বলে সূত্রের খবর। মানিক ভট্টাচার্যের বিষয়ে গতকালই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন ইডি আধিকারকরা। আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে আজ জরুরি বৈঠক।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই তিনি নিখোঁজ(missing) বলে বুধবার খবর ছড়িয়েছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি সেই তথ্য জানায় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের। এরপরই যাতে মানিক ভট্টাচার্য দেশের বাইরে এবং রাজ্যের বাইরে যেতে না পারেন তার জন্য লুকআউট নোটিস জারি করে সিবিআই। সেই নোটিসের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিধায়ক হিসেবে রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya) ইডি-র(ED) মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গেছে, মানিকবাবুর কলকাতার বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। নদিয়ার বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নদিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে ইডির টিম।
টেট(TET) দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস(lookout notice)সিবিআইয়ের(CBI) । তৃণমূল বিধায়কের খোঁজে সমস্ত বিমান বন্দরে নোটিস জারি। এমনটাই খবর পিটিআই সূত্রে।এর ফলে তিনি কোনও বিমানবন্দর থেকে বিদেশে যেতে পারবেন না।
CBI issues lookout notice against TMC MLA and former chairman of West Bengal Board of Primary Education Manik Bhattacharya in connection with its probe into alleged irregularities in primary teachers' appointment
— Press Trust of India (@PTI_News) August 25, 2022
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya) ইডি-র(ED) মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। বন্ধ ফোন, প্রায় ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও বেপাত্তা মানিক, এবার কি অপসারিত পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইডি। প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কি আইননুগ(legal) ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে কারণে আদালতের দ্বারস্থ ইডি। হাইকোর্টে আইনে পরামর্শের জন্য ইডি আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বারবার তলব করেও মেলেনি কোনও সাড়া।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি। গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গেছে, মানিকবাবুর কলকাতার বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। নদিয়ার বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নদিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে ইডির টিম।
প্রসূন গুপ্ত: ঘোরতর বামপন্থী রাজ্য ছিল ত্রিপুরা। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের আগমনের কয়েক বছর পর সেখানেও কংগ্রেসকে সরিয়ে সিপিএমের নেতৃত্বে বামেরা ক্ষমতায় আসে। মাঝে রাজীব গান্ধীর আমলে একবার ৫ বছরের জন্য কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল ঠিকই, কিন্তু গোষ্ঠীদন্দ্ব ইত্যাদিতে জড়িয়ে সেই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি হাত শিবির। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললেও ত্রিপুরার সমস্যা অনেক, যা কিনা স্বাধীনতার পর থেকে ৭৫ বছর বাদেও সমাধান হয়নি। স্কুল কলেজে বেড়েছে, ইঞ্জিয়ারিং থেকে ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট হয়েছে কিন্তু শিক্ষান্তে চাকরির সুবিধা হয়নি। কারণ সেভাবে শিল্প বিনিয়োগ আসেনি। আসা কঠিনও বটে কারণ বড় শিল্প গড়লে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো প্রথমত খরচসাপেক্ষ, দ্বিতীয়ত সময় নষ্ট। বিজেপির বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এদিকে বিপ্লব আরএসএস করা নেতা। দীর্ঘদিন সংঘের প্রচারক ছিলেন। দলের ধারা অনুযায়ী তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু দ্রুতই বোঝা গেলো দলে মন কষাকষি প্রবল। বিভিন্ন সময় দিল্লি থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলো কিন্তু ফিরে গিয়েছিলো উপদেশ দিয়েই। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝতে পারল, যে কোথাও দল ত্রিপুরাতে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। উপজাতিরা ক্ষিপ্ত, অতএব বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী করা হল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা মানিক সাহাকে।
মানিক দীর্ঘদিন বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করা মুখ। শোনা গিয়েছিলো যে বিপ্লব দেবকে হয়তো রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিল্লির চরমপত্র এল, যা পাঠালেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুন সিং। সেই পত্রে পরিষ্কার বার্তা রয়েছে আজ থেকেই ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্য। এই বার্তা পাঠিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাই। রাজীব দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা। এরই সঙ্গে বিপ্লবের আশাও শেষ হলো।
গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya) ইডি-র(ED) মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। বন্ধ ফোন, প্রায় ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও বেপাত্তা মানিক, এবার কি অপসারিত পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইডি। প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কি আইননুগ(legal) ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে কারণে আদালতের দ্বারস্থ ইডি। হাইকোর্টে আইনে পরামর্শের জন্য ইডি আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বারবার তলব করেও মেলেনি কোনও সাড়া। বৃহস্পতিবার সকালে ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে বলেই মনে করছেন হাইকোর্টে আইনজীবী মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি। সূত্রের খবর, এবার মানিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ(legal step) নিতে পারে ইডি। গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গেছে, মানিকবাবুর কলকাতার বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। নদিয়ার বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নদিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে ইডির টিম।
শেষ তলবের(summoned) পর পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় সপ্তাহ । এখনও বেপাত্তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বন্ধ তাঁর মোবাইল ফোনও(mobile phone)। টানা কেন্দ্রীয় সংস্থার(ED) তলব এড়াচ্ছেন তিনি। তবে কী এবার গ্রেফতারির পথে হাঁটবে ইডি ? আদালতের দ্বারস্থ হবে ইডি ? উঠছে সেই প্রশ্ন। সূত্রের দাবি, শেষ গত শুক্রবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিধানসভায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে টেট(TET) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখান থেকে তথ্য পায় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তথ্যকে সামনে রেখেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু ইডির তলবে একাধিকবার হাজিরা এড়িয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি। সূত্রের খবর, এবার মানিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ(legal step) নিতে পারে ইডি। গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে এলেন গৌতম পাল। তিনি এখন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন। আজ রাজ্য শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এক বছরের জন্য পর্ষদের নতুন সভাপতি হলেন গৌতম পাল। গত জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে বরখাস্ত করে।
নির্ধারিত সময়,অতিক্রান্ত। আজও হাজিরা এড়ালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এদিন মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করে ইডি। দুপুর ২ টোর মধ্যে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে নোটিস পাঠানো হয় ইডির তরফে।। কিন্তু এদিনও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। গতকাল মানিক ভট্টাচার্যর বিষয়ে ইডির উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, আজ হাজিরা না দিলে মানিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ(legal step) নিতে পারে ইডি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
মানিক ভট্টাচার্য হাজিরা এড়ানোয় পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় সেদিকে তাকিয়ে সকলে।
টেট (TET) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ফের তলব করল ইডি। আজ দুপুর দুটো পর্যন্ত তাঁকে হাজিরা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাত্ ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। এবার নির্দিষ্ট সময় পর হাজিরা না দিলে সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপের(legal step) সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আজ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বিকেলে মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা ইডির, এমনটাই সূত্র মারফত জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে জানা গেছে, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি, যাতে ছিল সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। মানিক ভট্টাচার্যকে ওই সংশোধিত তালিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর।
আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তদন্তকারী ইডি আধিকারিকরা। তারপরই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: এই লেখার শিরোনাম দেখে চিংড়িপ্রেমীরা খানিকটা হতাশ হতেই পারেন এই ভেবে যে, তাঁদের প্রিয় সোনালি রঙের মুচমুচে ভাজা চিংড়ির স্বর্গীয় স্বাদ গ্রহণ করতে হলে তবে কি সুদূর চিন দেশের বেজিং শহরে যেতে হবে?
আরে না না, বেজিং যেতে হবে না। কলকাতার চায়না টাউন-এর বিখ্যাত বেজিং রেস্তোরাঁতে কলকাতার সবচেয়ে সেরা গোল্ডেন ফ্রায়েড প্রন পরিবেশিত হয়। বেজিং রেস্তোরাঁর চাইনিজ খাবারের খ্যাতি দেশজোড়া। শুধু দেশীয় খাদ্য রসিকরাই নয়, বিদেশি খাদ্য রসিকরাও কলকাতায় এলে বেজিং-এর চিনে খাবারের স্বাদ উপভোগ করেন। বেজিং-এর চাইনিজ খাবারের স্বাদে রয়েছে স্বতন্ত্রতার ছোঁয়া। এখানকার প্রতিটি খাবারই স্বাদেগন্ধে অতুলনীয়। তার অন্যতম কারণ হল বেজিং-এর কর্ণধার কাম শেফ মণিকা লিউ। মণিকার হাতের জাদু ও ভালোবাসা মিশিয়ে তৈরি চিনের পদগুলি অন্য মাত্রা পেয়ে যায়।
বেজিং রেস্তোরাঁর খাবারে যেরকম মণিকার ভালোবাসা মেশানো থাকে, সেরকম বেজিং রেস্তোরাঁতে আসা ক্রেতাদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতিও তাঁর সজাগ দৃষ্টি থাকে। মাঝে মধ্যেই রেস্তোরাঁর মধ্যে ঘুরে ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়। তাই এখানকার সুস্বাদু চিনে খাবারের আকর্ষণ ও মণিকা লিউয়ের আন্তরিকতা ও ভালোবাসার টানে এখানে খাদ্যরসিকদের ভিড় উপচে পড়ে।
বেজিং-এর খাদ্য তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। তবে তার মধ্যে থেকে এখানকার বিখ্যাত কয়েকটি চাইনিজ খাবারের কথা উল্লেখ করছি, যেগুলি এখানে এসে অবশ্যই চেখে দেখবেন। শুরু করা যাক স্যুপ দিয়ে। দুটি স্যুপের কথা বলব ১) কাঁকড়া ও চিংড়ি সহযোগে তৈরি সুস্বাদু থাই স্যুপ, দাম হাফ-৩০০ টাকা, ফুল-৪১৫ টাকা। ২) চিকেন বা চিংড়ি সহযোগে তৈরি সুস্বাদু হট অ্যান্ড সাওয়ার স্যুপ, দাম-হাফ-৩০০ টাকা, ফুল-৪১৫ টাকা। দুটি স্যুপই স্বাদেগন্ধে অতুলনীয়। ফুল স্যুপ চারজনে ও হাফ স্যুপ দুজনে ভালোমতো ভাগ করে খাওয়া যায়। স্টার্টারে ক্যালকাটা ভেটকির ক্রিস্পি ফিশ ফ্রাই অনবদ্য। হানি চিলি সস ও গ্রিন চিলি সস সহযোগে মুচমুচে এই ফ্রাইতে কামড় দিলেই সুস্বাদু ভেটকি মাছের স্বাদ মন ভরিয়ে দেবে। এছাড়া ভেটকি মাছের আর একটি অনবদ্য স্টার্টার "সল্ট অ্যান্ড পিপার ফিশ খেতে খুব ভালো। ভেটকি মাছের দুটি স্টার্টারের দাম হাফ-৪১০ টাকা, ফুল-৭২০ টাকা। হাফ দুজনে ও ফুল চারজনে ভাগ করে খেতে পারেন।
চিকেনের চিলি গারলিক পিপার চিকেন দুর্দান্ত। দাম হাফ-৩২৫ টাকা, ফুল-৪৩৫ টাকা। তবে এখানকার সবচেয়ে সেরা স্টার্টার হল মণিকা লিউয়ের হাতের তৈরি গোল্ডেন ফ্রায়েড প্রন। মুচমুচে সুস্বাদু ভাজা চিংড়ির এই পদটির স্বর্গীয় স্বাদ মন ভরিয়ে দেবে। দাম হাফ - ৫৩৫ টাকা, ফুল-৯৯৫ টাকা।
মেইন কোর্সে যাঁরা তেলমশলা পছন্দ করেন না, তাঁরা এখানকার চিকেন উইথ বেবিকর্ন অ্যান্ড বাটন মাশরুম খেতে পারেন, দুর্দান্ত স্বাদ। দাম হাফ-৩১০ টাকা, ফুল-৪৩৫ টাকা। যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা চিকেন উইথ গ্রিন পিপার বা সেজোয়ান চিকেন খেতে পারেন। দুটি পদই খুব সুস্বাদু। দাম হাফ-৩১০ টাকা, ফুল-৪৩৫ টাকা। এছাড়া চিংড়ি, ডিম ও চিংড়ি সহযোগে তৈরি বেজিং স্পেশাল ফ্রায়েড রাইস দাম ২২৫ টাকা বা বেজিং স্পেশাল চাওমিন দাম ২৪৫ টাকা খেতে পারেন।
বেজিং-এ দুজনের ন্যূনতম খাওয়ার খরচ ১০০০ টাকা।