নিশীথ প্রামানিকের (Nisith Pramanik) গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সিবিআই (Cbi) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট, তদন্তভার দেয় সিবিআইকে। সূত্রের খবর, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমানিকের গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনাতেই এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। ওইদিন দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায়, এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক।
অভিযোগ, রাস্তায় কিছু দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে। মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ, এই ঘটনায় পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করে পুলিস। ৪৮ জন বিজেপি কর্মী নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিস মামলা করেছিল বলেই বিজেপির অভিযোগ। এরপরেই নিশীথ প্রামানিক বিচার চেয়ে ও তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলায় মঙ্গলবার, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, সিবিআইকে ওই হামলার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
নিয়োগ দুর্নীতিতে (Education Scam) ক্রমশ ফাঁস হচ্ছে হাড়হিম করা তথ্য। পার্থ (Partha), অর্পিতা, মানিক, শান্তনু, অয়ন, কুন্তলের বাড়ি, অফিস তল্লাশি করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাল গোটানোর চেষ্টা করছে ইডি (Ed)। ইডির দেওয়া রিমান্ড লেটার অনুযায়ী, বেঙ্গল প্রাইমারি বোর্ড অফ এডুকেশনের ছাত্রদের থেকে অফলাইন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য মানিক ভট্টাচার্য ২০১৮-২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন (Manik)।
ইডির প্রকাশ করা সেই তালিকা অনুযায়ী, ২০১৮-২০২০ বর্ষের জন্য ৩৫৩ ডিএলএড কলেজ থেকে ৯৫৪৯ প্রার্থীর থেকে মানিক তুলেছিলেন ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৯-২০২১ বর্ষের জন্য ৩২২ কলেজ থেকে ১২,৮২৪ প্রার্থীর থেকে মানিক তুলেছিলেন ৬ কোটি ৪১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি ২০২০-২০২২ বর্ষে ৩৬০ কলেজ থেকে ১৯০৯১ প্রার্থীর থেকে মানিক তুলেছিলেন- ৯ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল অর্থাৎ ৪ বছরের মধ্যে মানিক তোলেন ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এমনকি এসবের পর ইডি কর্তারা জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণের অর্থ সংগ্রহের জন্য মানিক ভট্টাচার্য সেক্টর ফাইভের মহিষবাথানে অবস্থিত অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে লোক পাঠাতেন।
এছাড়া ইডি জানিয়েছে, কুন্তল ঘোষকে জেরা করে যে তথ্য উঠে এসেছে সেটা হল, অয়ন শীল অনেক প্রার্থীর অবৈধভাবে সার্টিফিকেট মারফত শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যবস্থা করেছিলেন। ইডির দাবি, ২০১৪ টেট ও ২০১২ টেট থেকে অয়ন শীল মানিক ভট্টাচার্যের সম্মতিতে টেটের অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ত্রিপুরায় (Tripura Government) শপথগ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (CM Manik Saha) এবং তাঁর মন্ত্রিসভার ৮ জন সদস্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি (BJP President JP Nadda) জগত প্রকাশ নাড্ডার উপস্থিতিতে শপথগ্রহণ করেন তাঁরা। এই নয় জনকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য। এদিন শপথ নেওয়া ৯ জনের মধ্যে মানিক সাহা-সহ পাঁচ জন আগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে মন্ত্রিসভায় ছিলেন সুশান্ত চৌধুরী, রতনলাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং সান্তনা চাকমা। নতুন মুখ হিসেবে মন্ত্রিসভায় গেলেন বিকাশ দেববর্মা, সুধাংশু দাস, টিংকু রায় এবং আইপিএফটি-র শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া।
এদিকে, এদিন শপথ নেওয়ার আগে লক্ষীনারায়ণ মন্দিরে পুজো দেন মানিক সাহা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং-সহ অরুণাচল এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীরাও। সদ্যসমাপ্ত ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে বিজেপি এবং আইপিএফটি জোট ৩৩টি আসন পেয়েছে। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসা তিপ্রা মোথার ঝুলিতে ১৩ আসন। অন্যদিকে জোট বেঁধে লড়াই করা বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে ১৩টি আসন।
গেরুয়া ঝড় তুলে ত্রিপুরায় (Tripura Assembly Poll) প্রত্যাবর্তন বিজেপির। ৬০ আসনের বিধানসভায় ৩৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি এবং জোটসঙ্গী আইপিএফটি (BJP+)। ১৪ আসন ঝুলিতে পুড়েছে বাম এবং কংগ্রেস জোট (Left+)। তিপ্রা মোথা পার্টি পেয়েছে ১৩টি আসনে। প্রথমবার ভোটে লড়ে খাতা খুলতে ব্যর্থ তৃণমূল কংগ্রেস। নোটার চেয়েও কম ভোট ঘাসফুল শিবিরের ঝুলিতে। যদিও প্রথমবার ভোটে লড়ে ত্রিপুরায় বিরোধী দলের স্বীকৃতি পাবে তিপ্রা মোথা। ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোট পড়েছিল ৮০%-র বেশি। সেদিন থেকেই ক্ষমতা ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (CM Manik Saha)। বৃহস্পতিবার তিনি টাউন বরদোলাই আসনে ১১৮০ ভোটে জিতেছেন। মানিক সাহা হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের আশিস সাহাকে।
এদিকে, ত্রিপুরায় ভোট গণনার প্রাথমিক পর্বে বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ছিল বিজেপি। একটা সময় পর্যন্ত ম্যাজিক ফিগার (৩১) থেকে দূরে থাকলেও বেলা বাড়লে সম্পূর্ণ বদলে যায় চিত্র। বিরোধী জোটকে অনেক পিছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই ভোটে তিপ্রা মোথা প্রথম থেকেই ফ্যাক্টর। ত্রিপুরায় বিজেপির ঝুলিতে ৩৯% ভোট, বাম এবং কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে ৩৩% ভোট, এক শতাংশের কম ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে।
এদিকে, ভোট গণনায় ফল চূড়ান্ত হওয়ায় এখন দেখার জনজাতি কেন্দ্রিক দল তিপ্রা মোথা বিজেপিকে সমর্থন করে কিনা সেদিকে তাকিয়ে জাতীয় রাজনীতি। ইতিমধ্যে সূত্রের খবর, বিজেপি শিবির থেকে সমর্থনের জন্য তিপ্রা মোথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য দেববর্মার কাছে দূত পাঠানো হয়েছে। ভোটের আগেও এবার গেরুয়া শিবির দৌত্যর জন্য প্রদ্যোত কিশোরের কাছে লোক পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই দৌত্য ব্যর্থ হয়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁর দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তি ইডিকে বাজেয়াপ্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৫ জানুয়ারি এই সিঙ্গল বেঞ্চ পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল। অভিযোগ, 'দু'সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা জমা না করায় মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর নির্দেশ হাইকোর্টের।'
জানা গিয়েছে, ২০১৭-র টেট পরীক্ষার্থী সাহিলা পারভিন তথ্য জানার অধিকার আইনে তাঁর উত্তর পত্র বা OMR শিট দেখতে চেয়ে আবেদন জানান। নির্ধারিত টাকা দিয়ে তিনি এই আবেদন জানান। যদিও সেই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, 'যথাযথ OMR শিট তাঁকে দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।' এরপরেই জরিমানা করা হয় মানিকবাবুকে। কিন্তু অভিযোগ, কোর্ট নির্ধারিত তারিখ পেরোলেও জরিমানা টাকা জমার ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্চ্য করেননি পর্ষদের অপসারিত সভাপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে জেলবন্দী মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর আদেশ পৌঁছে দিতে হবে।'
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Education Case) এবার গ্রেফতার হলেন শতরূপা ভট্টাচার্য এবং শৌভিক ভট্টাচার্য। এই দু'জন সম্পর্কে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) স্ত্রী এবং পুত্র। আগামি ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত (Bankshal Court)। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল (TMC MLA) বিধায়ক মানিকের গ্রেফতারির পর ইডি একটা সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেই চার্জশিটে শতরূপা এবং শৌভিক ভট্টাচার্যর নাম আছে। সেই চার্জশিটের সূত্র ধরে বুধবার ইডির (ED) বিশেষ আদালতে হাজিরা দেন শতরূপা-শৌভিক। আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান দু’জনই। সেই আবেদন এদিন খারিজ করেছেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।
মানিকের স্ত্রী-পুত্রর তরফে আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, 'সমনের ভিত্তিতে তাঁর মক্কেলরা নিজে থেকেই হাজিরা দিয়েছেন। গ্রেফতার করে তাঁদের আনতে হয়নি। ইডির তদন্তেও তাঁরা সহযোগিতা করছেন। জামিনের জন্য যেকোনও শর্ত তাঁরা মানতে রাজি।'
কিন্তু শতরূপা ও শৌভিকের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, 'মানিকের কাজ সংক্রান্ত তথ্য জানতেন তাঁর স্ত্রী। দুর্নীতিতে তাঁরও ভূমিকা থাকতে পারে। তাছাড়া, মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে মানিকের স্ত্রীর যে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে, তাতে দুর্নীতির টাকা থাকতে পারে।' এই সম্ভাবনা উসকে মানিকের স্ত্রী-পুত্রের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইডি এদিন আদালতে দাবি করেছে, শৌভিক পড়াশোনার সূত্রে ইংল্যান্ডে দীর্ঘ দিন ছিলেন। রেসিডেন্সিয়াল ভিসায় তিনি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েই এই ভ্রমণ বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Corruption Case) তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, কুন্তল ঘোষ টাকা দিয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকেও (Manik Bhattacharya)। জেরায় কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন কুন্তল ঘোষ। তিন জন লোক যুব তৃণমূল নেতার থেকে এই টাকা এসে নিয়ে যেতেন। এমনটাই ইডিকে জানিয়েছেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। সেই তিন ব্যক্তির নাম জানতে পেরেছে ইডি। নানাভাবে কোটি টাকার বেশি সেই তিন ব্যক্তি কুন্তলের থেকে নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যর হাতে তুলে দিয়েছে।
এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে ইডি। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে এই মর্মে অবগত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ-কাণ্ডে এই প্রথম কারও বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি ইডির। এযাবৎকাল তদন্তে পাওয়া একাধিক তথ্য এবং নথির ভিত্তিতে সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছেন মানিক-পুত্র। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই লুকআউট নোটিস জারি ইডির।
মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) জামিন খারিজ করে ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতের। বুধবার জামিন মামলার (Bail Plea) শুনানিতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সিডিতে বহু চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়েছে। যারা চাকরি পেতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছে চাকরির জন্য গেলে দিতে হতো ৫-৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক ভট্টাচার্যর কাছে চাকরি চাইতে গেলে দিতে হতো ১-২ লক্ষ টাকা প্রার্থীপিছু। এভাবেই নাকি রেট ফিক্সড করে দেওয়া হয়েছিল। এই দাবিই কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED) বুধবার আদালতে করেছে।
এদিকে, বুধবার মানিক ভট্টাচার্যর আইনজীবী বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী বলছেন তদন্ত কবে শেষ হবে জানা নেই। তাই আমি মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করছি।' এই জামিনের বিরোধিতা করে ইডি আইনজীবীর বিস্ফোরক মন্তব্য, 'নিয়োগ পেতে কারা টাকা দিয়েছেন, সেটা চিহ্নিত করতে OMR শিটে কোড প্রশ্ন ব্যবহার করতেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল কুন্তল ঘোষের। যে চাকরিপ্রার্থী মোটা অংকের টাকা দিতেন, সেই প্রার্থীকে নির্দিষ্ট মাত্র দুটো কোশ্চেন মার্ক করে দেওয়া হতো। গোটা OMR শিট ফাঁকা রেখে নির্দিষ্ট ওই দুটো কোশ্চেনের উত্তর দিলেই পরীক্ষক বুঝে যেতেন তিনি টাকা দেওয়া প্রার্থী। এরপরেই পাস করিয়ে দেওয়া হতো ওই প্রার্থীকে।'
এভাবেই একাধিক অযোগ্য প্রার্থী দীর্ঘদিন চাকরি পেয়েছেন, কোর্টে দাবি ইডির। এমনকি কুন্তল ঘোষ এবং মানিক ভট্টাচার্যর প্রত্যক্ষ যোগ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে দাবি ইডির।
আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, লন্ডনে বাড়িও নেই। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ফাঁকা এজলাসে এই দাবি করেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তাঁর মন্তব্য, 'যারা এসব বলছেন, তাঁরা আমায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিক।' এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Court) মানিক জানান, 'আমার ৬৬০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট আছে যাদবপুরে। পরে ১১০০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট কিনেছি। আর নদীয়ায় বাড়ি আছে। এসব তথ্য আমি ইডিকে (ED) দিয়েছি।' নাম না করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'একজন সিঙ্গল বেঞ্চের জজ এসব বলছে। ডিভিশন বেঞ্চে আগে মামলা হয়নি। আজ হবে, তার আগে মিডিয়া ভুল খবর দিচ্ছে।'
এদিন কোর্ট থেকে জেলে যাওয়ার পথে এবিষয়ে সরব ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'আমার লন্ডনে বাড়ি নেই, বাড়ি নেই, বাড়ি নেই। আমার দুটো পাসপোর্ট নেই, নেই, নেই। যদি থাকে আমার ফাঁসি হোক। আপনাদের একটা অনুরোধ একটু জেনে নিয়ে খবর করবেন।'
দুটি পাসপোর্ট প্রসঙ্গে পর্ষদের অপসারিত সভাপতি বলেন, 'আমার দুটো পাসপোর্ট নেই।একটার সময়সীমা শেষ হওয়ায় অন্যটি পেয়েছি। দুটোর নম্বর এক, এটা কেউ দেখলো না। আমার দুটো পাসপোর্ট থাকলে ভারত সরকার আমাকে ছেড়ে দিতো।' মিডিয়ার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানিক বলেছেন, 'সোমবার সিবিআই আমার কাছে গিয়েছিল। পাসপোর্ট নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে মিডিয়া। আমি জেলে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি। আমার মান সম্মান সব জলাঞ্জলি।'
এদিকে জানা গিয়েছে, জেলে যাওয়ার সময় পুলিসের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় আহত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। গাড়ির মধ্যেই পড়ে গিয়ে বুকে, পায়ে আঘাত লেগেছে তাঁর। তিনি এই মুহূর্তে জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আসন্ন ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে (Tripura Assembly Election) ঘিরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দল প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে। শনিবার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি (Bharatiya Janata Party)। ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। তাঁদের মধ্যে ১১ জনই মহিলা প্রার্থী। বাকি ১২ জন প্রার্থীর নাম খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। শনিবার দিল্লির ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসে বসে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং এবং সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।
এই ৪৮টি আসনের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা, যিনি আট টাউন বড়দোয়ালি আসনের বর্তমান বিধায়ক। ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়বেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিধানসভা কেন্দ্র ৯ বনমালিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন, ২ মার্চ ফল ঘোষণা। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল বিজেপি ২০১৮ সালে। তাই এবারে ত্রিপুরায় বিজেপি-কে হারাতে সমঝোতার পথে হেঁটেছে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস৷
এক টেট পরীক্ষার্থীর (TET Exam) করা মামলায় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ফের জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে (Manik Bhattacharya) পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে এই জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি (Justice Ganguly)। জানা গিয়েছে, সহিলা পারভিন নামে ২০১৭-র এক টেট পরীক্ষার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি তথ্যের অধিকার আইনে তাঁর ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এর জন্য নির্ধারিত টাকা দিয়ে এই আবেদন জানিয়েছিলেন সহিলা পারভিন। কিন্তু সহিলার অভিযোগ, 'তাঁকে যথাযথ ওএমআর শিট দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।' যে সময়ের এই ঘটনা, সেই মুহূর্তে পর্ষদের সভাপতি পদে মানিক ভট্টাচার্য।
জানা গিয়েছে, সহিলা পারভিন ২০১৭ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর ফলাফল জানতে পারেনি তিনি। তা জানতে চেয়েই আবেদন করেছিলেন সহিলা। সেই সময় পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, ৫০০ টাকা ড্রাফট কেটে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। তিনি সেই মতো আবেদন জানানো সত্বেও তাঁকে বলা হয়, সঠিক ফরম্যাটে আবেদনে করা হয়নি। কিন্তু অভিযোগকারীর দাবি, 'যে ফরম্যাটে তিনি আবেদন করেছেন, সেটা ছাড়া আর কোনও ফরম্যাট নেই। সেই কারণে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।'
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা এই প্রথম নয়। এর আগেও আদালত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা করেছিল। এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ তুলেছিলেন, ৮ বছর পরও পরীক্ষার ফল জানায়নি পর্ষদ। সেই সময়েও পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।
এবার আমি ঢাকি শুদ্ধ বিসর্জন দিয়ে দেবো। ২০১৬-র প্রাথমিক নিয়োগে (Primary Recruitment) ফের দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly)। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কম নম্বর পাওয়া প্রশিক্ষিতরা চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী। দাবি, 'যারা চাকরি করছেন, তাঁদের থেকে অপ্রশিক্ষিত মামলাকারীদের নম্বর বেশি।' এই অভিযোগ শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'মামলাকারীদের তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে হবে। জানাতে হবে তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কবে অংশ নিয়েছেন, টেটে তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা যেহেতু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, সেজন্য আদালত এখন এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।'
মঙ্গলবার আদালতে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেন, 'এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি নন ট্রেইনড প্রাথমিকে ২০১৬-তে চাকরি পেয়েছেন। মোট ৪২ হাজার নিয়োগ হয়েছিল। ৮২৪ জনের এমন নথি আছে, যারা ১০ থেকে ৩০ পেয়ে চাকরি করছেন।' এই সওয়াল শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্ষদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি,'২০১৬-র গোটা নিয়োগ যদি বাতিল করে দি তখন বুঝতে পারবেন। মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে এই বেনিয়ম হয়েছে।'
জানা গিয়েছে, ২০১৪-র পরীক্ষা আর ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ তুলে ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ। পরবর্তী শুনানিতে প্রত্যেক পক্ষ তাঁদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাবে। তারপর অবস্থান স্পষ্ট করবে আদালত। এদিন জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সৌমেন সুর: 'নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার/কেহ নাহি দিবে অধিকার/হে বিধাতা?' শুধু কাব্য বা কবিতায় নয়, রবীন্দ্রনাথের একাধিক ছোটগল্প ও উপন্যাসে নারীর স্থান হয়েছে উচ্চ আসনে। ধ্বনিত হয়েছে নারীশক্তির জয়গান। প্রথম পর্বের পর...
বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম নারী চরিত্রগুলো হল আয়েশা, শৈবালিনী, কপালকুন্ডলা, কুন্দনন্দিনী, রোহিণী প্রভৃতি। প্রতিটি নারী চরিত্র পৃথক ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী। বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টি ছিল নীতিশাসিত। তিনি সমসাময়িক কালে নারীদের সমস্যাগুলো অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ 'কৃষ্ণকান্তের উইল'উপন্যাসের ভ্রমরের চরিত্র। ভ্রমরের যেমন স্বামীপ্রেম, স্বামী নির্ভরতা যেমন অতীব সুন্দর। তেমনই স্বামীর বিশ্বাসহীনতা তাঁকে অভিমানের কঠোর আচ্ছাদনে বেষ্টন করে। ভ্রমর তীব্র প্রতিবাদ জানায় স্বামীকে লেখা এক পত্রে। 'তোমার প্রতি বিশ্বাস আমার অনন্ত। আমিও জানিতাম। কিন্তু এখন বুঝিলাম তাহা নহে। যতদিন তুমি ভক্তির যোগ্য ততদিন আমারও ভক্তি। যতদিন তুমি বিশ্বাসী, ততদিন আমারও বিশ্বাস। এখন তোমার উপর আমার ভক্তি নাই, বিশ্বাসও নাই। এখন তোমার দর্শনে আমার কোনও সুখ নাই।'
পরবর্তীকালে বাংলা সাহিত্যে নারী চরিত্র স্বার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলতে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অগ্রগণ্য। তাঁর রচিত পুতুল নাচের 'ইতিকথা'র কুসুম চরিত্র এবং পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের কপিলার মতো জটিল নারী চরিত্র বাংলা সাহিত্যে বোধ হয় সৃষ্টি হয়নি। কপিলা স্বামীর ঘর সহজে পায়নি। কিন্তু যখন সে পেলো, তখন পূর্বতন প্রেম তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। অবশেষে কুবেরের সঙ্গে কপিলা দু'জনে এক অজানা দ্বীপের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।
আধুনিক প্রজন্মের লেখকরা নারীর সুখ দুঃখ চাওয়া পাওয়াকে সমর্থন করে নারীকে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। এতে নারী জয়গান ঘোষিত হচ্ছে। আগামি দিনের সাহিত্যে এর নিট ফল সুন্দর।
মঙ্গলবার থেকে আগরতলায় (Agartala) শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পুলিস প্রধানদের ২৭ তম কনফারেন্স। ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্যের রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে (Conference) প্রথম দিনের সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা (Manik Saha), ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত পুলিসের উচ্চ আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবকে স্বাগত জানান।
পরে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার থেকে বিভিন্ন সময় নেশা সামগ্রী উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রবেশ করছে। এরপর এগুলো বাংলাদেশের যাচ্ছে বেআইনিভাবে। আবার ত্রিপুরাতে অবৈধভাবে উৎপাদিত গাঁজা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে। কী করে নেশা সামগ্রী পাচার বন্ধ করা যায়, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তিন বছর পর এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ৩০ বছর পর এই কনফারেন্স হচ্ছে।'
কোভিড-সহ নানা কারণে মাঝে কিছু বছর এই বৈঠক হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যের পুলিস প্রধানের পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সির আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর ফলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও গতিশীল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা আরও বলেন, 'আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের উগ্রবাদীদের বাড়বাড়ন্ত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চেষ্টায় এখন দেশের এই অঞ্চলের শান্তি বিরাজ করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া এক্ট-ইস্ট পলিসির কারণে উত্তর-পূর্বের প্রতিটি রাজ্য একই মালায় আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে রাজ্যগুলির নিজেদের মধ্যে সমস্যা হত, এখন এগুলি নেই বললেই চলে। উগ্রবাদও নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় এখন উগ্রবাদী রয়েছে। এই দিকেও রাজ্যগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রের নজরদারি চলছে। নিজেদের মধ্যে ফিলগুড এবং অষ্টলক্ষ্মীর কথা বলা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়েছে।'
উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্য দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেন তিনি। জানান রোহিঙ্গা মাঝে মাঝে রাজ্য অনুপ্রবেশ করে এবং পুলিস বিভিন্ন সময়ে তাঁদের আটক করছে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তিনি বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট কিছু জায়গা বাকি রয়েছে নানা সমস্যার কারণে। এগুলোতেও যাতে দ্রুত বেড়া নির্মাণ করা যায় তার জন্য আলোচনা চলছে।
ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিঘরে সুশাসনের অঙ্গ হিসাবে জেলা, মহকুমা এবং ব্লকস্তরে সরকারি উদ্যোগে লাভ্যার্থী মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সোমবার বিশ্রামগঞ্জ দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সিপাহিজলা জেলা ভিত্তিক সুশাসন মেলা এবং লাভ্যার্থী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল-সহ অন্য অতিথিরা। মেলায় জেলার বিভিন্ন এলাকার বেনিফিসিয়ারীদের হাতে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সরাসরি তুলে দেওয়া হয়।
সিপাহিজলা জেলার ৬৪টি স্ব-সহায়ক দলের হাতে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৬০হাজার টাকার সাহায্যরাশি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া জেলায় ৩০ জন মহিলাকে অটো গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে জম্পুইজলার সেবিকা জমাতিয়া এবং বিশালগড়ের গীতা রানি ভৌমিকের হাতে গোলাপি ইলেক্ট্রিক অটো গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও কৃষি, বন দফতর, প্রাণী সম্পদ-সহ বিভিন্ন দফতরের তরফে বেনিফিসিয়ারিদের হাতে সাহায্যরাশি তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে লাভ্যার্থীদের সঙ্গে সরাসরি মত বিনময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার কাহিনি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই সরকারের সময়ে মহিলাদের স্বশক্তিকরণের সাথে আত্মনির্ভর ভারতের পাশাপাশি আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার দিকে সরকার কাজ করছে।'
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের উদ্যোগে স্টলের ব্যবস্থাও করা হয়, যা পরবর্তীতে সময় প্রদক্ষিণ করেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ অনুষ্ঠানের অতিথিরা। তার পাশাপাশি আগত সাধারণ মানুষ এই সকল স্টলগুলি থেকে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেন।