সুস্থ হয়ে উঠছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এখনও চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন তিনি। রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাদ্য প্রবেশ করানো হচ্ছে তাঁর শরীরে। এর মধ্যেই আম খাওয়ার আবদার করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসক জানালেন এই কথা।
উল্লেখ্য, শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও বুদ্ধদেববাবুর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের থেকে কম। সেই কারণে রক্ত (Blood) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে।
সূত্রের খবর, বুদ্ধদেববাবুর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০ এর থেকে কম রয়েছে। সেই কারণেই রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। তবে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা বর্তমানে স্থিতিশীল। এখনও কড়া ডোজের অ্য়ান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা নিয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তারপর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও সোমবার ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধের বুলেটিনে জানানো হয়েছে শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
মালদহের ঘটনার ৯দিন পর সক্রিয় প্রশাসন। বামনগোলা থানার পুলিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল মালদা জেলা পুলিশ সুপার। ১৮ই জুলাই ওই দুই নির্যাতিতা মহিলাকে মারধর করা হয় বামন গোলা পাকুয়াহাট বাজার এলাকায় ওই ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি জয়দেব চক্রবর্তী সহ দুইজন সাব ইন্সপেক্টর পদাধিকারী অফিসার এবং একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদাধিকারী অফিসার কে ক্লোজ করা হল। সূত্রের খবর, মালদহের ওই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে সাধারণ মানুষ সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
সূত্রের খবর চলতি মাসে ১৮ই জুলাই মালদহে পাকুয়াহাট বাজার এলাকায়, লেবু বিক্রি করতে আসা দুই মহিলাকে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় এরপরে পুলিস ওই দুই নির্যাতিতাকেই গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। এ ঘটনা সামনে আসতেই পুলিস মারধরে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য রাজনীতি। যদিও ঘটনার সাত দিন পর জামিনে মুক্তি পায় ওই দুই নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পাশাপাশি এ ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে চার পুলিস আধিকারিককে ক্লোজ করল মালদহ জেলা প্রশাসন।
রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা (Criminals) কেটে ফেলছে আম ও লিচু গাছ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার জলঙ্গি ব্লকের সাদিখান দেয়ার অঞ্চলের নওদা পাড়া গ্রামের মাঠ পাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জলঙ্গি থানার পুলিস। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, লিচু সহ ১২ টি আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ফলধারী অনেক গাছপালাও কেটে দেওয়া হয়েছে। বাগান মালিক মতিউর রহমান মণ্ডল জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই। গাড়ি চালিয়ে সংসার চালান তিনি। সকলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে কে বা কী কারণে এতো বড়ো ক্ষতি করল বুঝে উঠতে পারছিনা। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) বাংলার উচ্চমানের আম (Mango) উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এই প্রথম নয়, প্রত্যেক বছর গরমকালে বাংলা থেকে আমের ডালি উপহার যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য বা আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ যতই থাকুক, আম পাঠানোর সৌজন্যতা বছরের পর বছর ধরে চলছে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ছাড়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কেও আম পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, একটি বাক্সে সাজিয়ে আমগুলি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জাতের আম রয়েছে। জানা গিয়েছে, বাক্সে সাজিয়ে পাঠানো হয়েছে হিমসাগর, ফজলি, ল্যাংড়া এবং লক্ষ্মণভোগ জাতের আম। খুব শীঘ্রই দিল্লিতে পৌঁছবে সেই বাক্সভর্তি আম।
উল্লেখ্য, গতবছরও জুন মাসে আমের মরশুমে এমন বিভিন্ন জাতের আমের ডালি উপহার হিসেবে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও সেই সৌজন্যে কোনও খামতি থাকল না।
গ্রীষ্মকাল (Summer) আসলেই আমপ্রেমীদের মুখে দেখা যায় চওড়া হাসি। লোভ সামলাতে না পেরে কেউ কেউ দিনে প্রায় ৪-৫ টা বা এরও বেশি আম (Mango) খেয়ে থাকেন। আবার আম বিভিন্ন ভাবে যেমন-আমের জুস, ডেসার্ট, স্মুথি হিসাবেও খাওয়া যায়। তবে এগুলোর স্বাদ যেমন আলাদা হয়, তেমন এর উপাদানগুলো বিভিন্নভাবে শরীরে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আম একটা পুরো ফল হিসাবেই খাওয়া উচিত, তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কারণ বেশি আম শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। বিশেষজ্ঞরা একাধিকবার জানিয়েছেন যে, আম শরীরের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে আম খেলে শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
আম অ্য়ান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর ও শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সাহায্য় করে। তবে মাত্রাতিরিক্ত আম খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশি পরিমাণ আম খেলে ডায়রিয়া, স্ফীতভাব, পেটে ব্যথা, আলসার, বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার আমে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্রুক্টোজও রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও আমে বিভিন্ন রকমের কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আম খাওয়ার আগে ২ ঘণ্টা জলে ভালো করে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দিনে পুরো একটা আম খাওয়ার বদলে আমকে অর্ধেক করে সেই অর্ধেক অংশটিকে দিনে দুবার খেলে তা শরীরের পক্ষে ভালো। এছাড়া কোনও খাবারের সঙ্গে আম না খেয়ে স্ন্যাকস হিসাবে এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগী দেখা যায়। দিন দিন এই রোগ যেন বেড়েই চলেছে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমত তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার উপর রাশ টানা জরুরী। অনেকেই মনে করে থাকেন যে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম (Mango) খাওয়া ক্ষতিকারক। তাই গ্রীষ্মকালে বাজারে আম আসলেই মুখ ভার হয়ে যায় ডায়াবেটিস রোগীদের। তবে এই ধারণা একেবারেই ভুল, তা জানিয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির পরিমাণ কমাতে হয় এবং এমন খাবার খেতে হয় যেগুলির গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, অর্থাৎ এমন খাবার যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তবে আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সবাই ধরে নেন যে, আম একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অল্প পরিমাণে আম শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকা রোগীরা অল্প পরিমাণে আম খেতে পারেন। যদিও আমে চিনির পরিমাণ বেশি, তবে এতে কার্বোহাইড্রেটও কম থাকে। এছাড়াও আমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, কপার ইত্যাদি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও মজুত রয়েছে এই ফলে। তাই এই ফল অবশ্যই খাওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত পরিমাণেই আম খাওয়া উচিত। কারণ বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের আমের রস খাওয়া উচিত নয়, শুধুমাত্র গোটা ফল হিসাবেই খাওয়া উচিত। এছাড়া ভাত বা দইয়ের সঙ্গে কাঁচা আম খেলেও শরীরে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
গ্রীষ্মকালে আম ছাড়া অন্য কোনও ফলের কথা ভাবাই যায়না। আম (Mango) বিভিন্ন জাতের পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া ইত্যাদি। গরম মানেই খাবারের শেষে পাতে আম থাকবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। আবার অনেকে এমনও আছেন, যাঁরা আমের গন্ধও নিতে পারেন না, খাওয়া তো দূর। তবে জেনে রাখা দরকার আমের বিশেষ কিছু উপকারিতা। আমপ্রেমীদের জন্য এটা সুখবরই বটে। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পরিমাণ আম খাওয়া যেমন শরীরের ক্ষতি পারে, তেমনি দুপুরে খাবারের পর আম পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে বা আমের একটি স্লাইসই স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব কার্যকরী।
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খাবারের পরই আম খাওয়া উচিত। এতে খাবার হজমে সুবিধা হয়। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও হজমে সাহায্য করে এমন কিছু এনজাইম আছে আমে, যেগুলো খাবারের বিভিন্ন উপাদান কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করে ও তাড়াতাড়ি খাবার হজমে করতে সহায়তা করে। আমে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কম, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য় আম উপকারী। এছাড়াও চোখ ও হার্টের জন্যও উপকারী আম।
শহরজুড়ে এখন আমের (Mango Season) মরশুম। সপ্তাহ ঘুরলেই বৈশাখ মাস (Bengali New Year)। ফলের রাজা আমের বাজারে ঢোকা আর শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের (Price Hike)। ন্যূনতম খাবার জোগাড় করতে নাভিশ্বাস উঠছে আম আদমির। তা বলে কাঠফাটা গরমে মানুষ আম খাবে না? খাবে না মানুষ আম? সেই শখ পূরণে অভিনব উপায় বাতলে দিয়েছেন পুণের এক আম বিক্রেতা। আম ব্যবসায় মাসিক কিস্তি বা ইএমআই (EMI Payment) প্রক্রিয়া চালু করেছেন তিনি। অর্থাৎ আগে আয়েশ করে আম খেয়ে নিয়ে পরে মাসিক কিস্তিতে শোধ করুন দাম। এভাবেই মানুষের ঘরে এক প্লেট আম, আমের চাটনি, আমপান্না, আমসূত্র তুলে দেওয়ার সহজ বিকল্প পথ রেখেছেন তিনি।
গৌরব সানস নামের ওই আম বিক্রেতা জানান, আলফানসো আমের দাম সাধারণ আমের তুলনায় অনেক বেশি। এই মরসুমে ডজন প্রতি ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই আম। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই ক্রেতাই আম কিনে উদরস্থ করতে পারছে না। তাই তাঁর ভাবনা বাড়ি, গাড়ি যদি ‘ইএমআই’-তে কেনা যায়, তবে আম কেনা যাবে না কেন? গৌরব বলেন, 'এই আম কিনতে গেলে ক্রেডিট কার্ড থাকা আবশ্যিক। ন্যূনতম ৫ হাজার টাকার কেনাকাটার উপর পাওয়া যাবে এই সুবিধা।'
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সময়ের আগেই এবছর আমের মুকুল (Mango) ধরেছে গাছে। গরমের শুরুতেই আমের রস স্বাদন পাবে বঙ্গবাসী। ফেব্রুয়ারি মাসে ঠান্ডার দাপট এবছর দেখা যায়নি। প্রকৃতির জাদুতে এবছর মালদায় (Malda) সময়ের প্রায় ২০ দিন আগেই আমের মুকুল ধরেছে। এই জেলার সবচেয়ে অর্থকারী ফসল রেকর্ড ভাঙতে পারে এবছর। এদিকে আবার মালদায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। চৈত্র শেষের এই বৃষ্টি আম চাষিদের মাথায় আশির্বাদ রূপেই নেমেছে।
আম চাষিরা এই বিষয়ে বলেন, আমরা চাষিরা কান্নাকাটি করছিলাম। বারবার ভগবানের কাছে প্রার্থনাও করছিলাম, যাতে একটু বৃষ্টি হয়। তাই শুক্রবারের বৃষ্টিতে খুব খুশি আম চাষিরা। এই বৃষ্টির জন্য যেভাবে গাছে মুকুল ধরেছিল, আশা করছি ঠিক সেভাবেই ফলন হবে।
এই বিষয়ে মালদহ জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, 'ঝড়, বৃষ্টি, তারতম্য ও বিভিন্ন কারণে গত বছর আমাদের প্রোডাকশনটা মার খেয়েছে। তবে এবছর এখনও অনুকূল আবহাওয়াতে মুকুল পর্যাপ্ত পরিমাণে এসেছে। যদি আগামীতে কালবৈশাখির ঝড়, শিলাবৃষ্টি এইগুলি না ঘটে তাহলে আমরা আশা রাখছি এই প্রোডাকশনটা ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যতে পারে।'
১২ বছরের পুরনো মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। তথ্য-প্রমাণের অভাবে এই মামলার ১৪ অভিযুক্তকে খালাস করেছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। ২০১০-র মে মাসে হওয়া এই বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির হাত উড়ে গিয়েছিল। তারপরই মামলা রুজু করে মঙ্গলকোট থানা। অনুব্রত মণ্ডল-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়। এই ১৫ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে আইপিসির একাধিক ধারায় চার্জ গঠন করে মামলা চলতে থাকে। সেই চার্জশিটে নাম ছিল কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শাহনওয়াজ শেখের।
গত সপ্তাহেই তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিধান নগরের ময়ূখ ভবনের আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিনও সকালে তাঁকে আসানসোল থেকে বিধাননগর নিয়ে আসা হয়। মাঝে শুধু একবার ৫ মিনিটের জন্য গাড়ি দাঁড়ায় শক্তিগড়ে। এদিকে, এই রায় প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সৌভিক বসু ঠাকুর জানান, সত্যমেব জয়তে। মহামান্য কোর্ট আমার মক্কেলকে বেকসুর খালাস করেছে। ২০১০ সালে মঙ্গলকোটের গ্রামে উনার ভাবমূর্তি খারাপ করতে নাম জড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আদালতে পুলিস অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ।'
একইকথা শোনা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। তিনি জানান, সত্যের জয় হয়েছে। ২০১০ সালে আমাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, সেটা প্রমাণ হল।
তৃণমূলের হাতে প্রাক্তন তৃণমূলকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগে চাঞ্চল্য নানুরে। জানা গিয়েছে, মৃতের (dead) নাম বসির শেখ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা বীরভূমের (Birbhum) নানুরের সাঁতরা গ্রামে। অভিযোগ, শুক্রবার বাসাপাড়া এলাকায় তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় একদল যুবক মঙ্গলকোট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (hospital) ভর্তি করলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, বসির শেখের বাড়ি নানুর থানার সাঁতরা গ্রামে। তিনি একজন তৃণমূলকর্মী ছিলেন। তবে বছর দুয়েক আগেই তৃণমূল দল ছেড়ে দেন, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত ছিলেন না। কেন তিনি রাজনৈতিক দল ছেড়ে দিলেন, সেই নিয়েই বারবার তাঁকে বিভিন্ন সময় পুলিসি কেসও দেওয়া হয়। আরও জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই এলাকার তৃণমূল নেতা করিম খানের সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে অশান্তি হয়। এরপর থেকে তিনি গ্রাম ছাড়া। শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানে আস্তানা নেয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে সেখান থেকে গাড়ি করে তুলে নিয়ে এসে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসীরা মঙ্গলকোট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করলে ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে নানুর থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে। শনিবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই গ্রামে বালি, গরু পাচার মামলায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা ও বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানের। আর তাঁর বাড়ি লাগোয়াই এই বসির শেখের বাড়ি।