অবাক কাণ্ড! আস্ত একটি স্কুল (school) থেকেই উধাও হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সামগ্রী। কখনও সিলিং ফ্যান (Ceiling fan), তো কখনও আবার স্কুলের সাবমারসিবল পাম্প (Submersible pump)। রেহাই নেই মিড ডে মিলের (Mid day meal) খাবার সামগ্রীতেও। কিন্তু কেন এই অবস্থা? একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও খোয়া যাচ্ছে একাধিক জিনিসপত্র? কে বা কারা আছে এই ঘটনার নেপথ্যে? কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি মালদহের (Maldah) সাহাপুর গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলের।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, এই চুরির ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েকদিনে পরপর তিনবার চুরি হয়েছে স্কুলে। বাদ পড়েনি স্কুলের মিড ডে মিলের সামগ্রী, বাসনপত্র, ইলেকট্রনিকের সরঞ্জাম। এমনকি গ্যাস সিলিন্ডার পর্যন্ত লোপাট হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মালদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও মেলেনি কোনও খোঁজ। স্কুলের শিক্ষিকাদের অভিযোগ, স্কুল চত্বরে নেই সঠিক গার্ডওয়ালের ব্যবস্থা। যার জন্যই মূলত এই চুরির ঘটনা। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা স্কুলের লোহার দরজার তালা ভেঙে চুরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক জিনিস। তবে পরপর তিনবার চুরি হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা নদী (Mahananda River)। একদিকে পুরাতন মালদহ (Maldah) ব্লকের মহিষবাথানি এলাকা। অপরদিকে ইংরেজবাজারের নড়হাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েত। এর পাশেই আবার রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের পীরগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত। বহু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই জায়গা দিয়েই যাতায়াত করে। কিন্তু অভিযোগ, নেই কোনও স্থায়ী সেতু (bridge)। অস্থায়ী বাঁশের সেতু দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়। যেকোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এছাড়া রয়েছে নৌকা পারাপারের ব্যবস্থা। বারবার মানুষ স্থায়ী পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছেন কিন্তু তবুও এখনও পূরণ হয়নি।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন মানুষ চায় প্রতিবারের মতো প্রতিশ্রুতি নয়, এবার স্থায়ী সেতুর ব্যবস্থা যাতে করা হোক। এই বিষয়ে মালদহ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শামসুল হক জানান, ইন্সপেকশন হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হবে। তবে তা কবে হবে সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি।
এদিকে, দীর্ঘদিন এখানকার বাসিন্দাদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি জানান, এর আগে বামফ্রন্ট বর্তমান তৃণমূলের ১২ বছরের সরকারে এই কাজ করা হয়নি। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ওই এলাকায় ভালো ফল করবে। মানুষের সেতু নির্মাণের এই দাবি পূরণ করবে। তবে আদতেও কি হবে সেতু নির্মাণের স্বপ্ন পূরণ? এখন সেটাই দেখার।
মর্মান্তিক ঘটনা! খেলতে খেলতেই পুকুরের জলে পড়ে গিয়ে ডুবে মৃত্যু (death) দুই শিশুর। মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি মালদহের (Maldah) চাঁচলের হারোহাজারা গ্রামের। খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলকায়, শোকের ছায়া পরিবারে। মৃতদেহ (deadbody) দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (hospital) পাঠানো হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই শিশুর নাম আনিমুল হক বয়স ৪ বছর এবং তাসমিরা খাতুন বয়স ৩ বছর। মঙ্গলবার দুপুরে তারা দু'জনে পুকুর পাড়ে খেলা করছিল। ঠিক সে সময় খেলতে খেলতে আচমকাই জলে পড়ে যায় আনিমুন। আনিমুলকে বাঁচাতে ছুটে আসে তাসমিনা। তারপরে সেও জলে পড়ে যায়। এরপর দুজনেরই জলে ডুবে মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি করে জলে নেমে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
বিয়ে বাড়ি (Marriage House) যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু ভাই-বোনের। এই দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জন, তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত দশটায় পুরাতন মালদার (Old Maldah) আদমপুরের মহামায়া মন্দিরের সামনে ঘটে। জানা গিয়েছে, মৃত দু'জনের নাম অসীম সরকার (৪০) ও ছবি কর্মকার(৪৫)। এরা দুজনেই ভাই-বোন। বাড়ি হবিবপুর থানার আইহোফিল্ড পাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, পরিবারের এক আত্মীয়র মেয়ের বাড়িতে বিয়ে ছিল এবং সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা অংশ নিতে যাচ্ছিল। আর এই শুভ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথেই এই দুর্ঘটনা। এরা প্রত্যেকে একটা অটোয় ছিল।
জানা গিয়েছে, আইহো থেকে মালদা আসার সময় একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোর পিছনে ধাক্কা মারলে অটো পাল্টি খায় এবং তাতেই মৃত্যু হয় দু'জনের। আহত হয়েছেন ১৫ জন, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি শোকের ছায়া ওই এলাকায়।
ফের রাজ্যে বোমায় আক্রান্ত শৈশব, মিনাখা-কুলপির পর মালদহ! মানিকচকে বোমা ফেটে (Bomb blast) আহত দুই শিশু। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, এবং আহত (injured) দুই। ঘটনাটি মালদহের (Maldah) মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুতোলা এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক শিশু, বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইটভাটা এলাকায় পড়ে থাকা বলের মতো দেখতে একটি জিনিস দেখতে পায়। সেটা বল ভেবে কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ি চলে আসে। বাড়ির সদস্যরা সেটাকে বাইরে ফেলে আসতে বললে শিশুরা বাইরে ফেলতে যায়। এরপরই ঘটে যায় অঘটন। বাড়ির সামনে বোমাগুলো ফেলতেই বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে থাকা দুই শিশু আহত হয়েছে। আহত দু'জন আসিরুল ইসলাম (৯) ও আব্দুল মোমিন (৭)। আহতরা নাসু টোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। তবে ওই এলাকায় কী করে বোমা এলো, তা তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিস (police)। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যেই এসে হাজির হয়েছে বোম স্কোয়াডের টিম। চলছে তল্লাসি।
তবে এই ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অস্ত্র মজুত করছে শাসক দল। এদিকে, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
শিরোনামে আগ্নেয়াস্ত্র (firearms) হাতে তৃণমূল (TMC) নেতার ছেলের ছবি। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও (viral) হয়েছে সেই ছবি। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। জানা গিয়েছে, মালদহের (Maldah) রতুয়ার কাহালা অঞ্চলের তৃণমূলের সহ-সভাপতির ছেলের আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়ায়। আর এই ছবি ঘিরেই শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই ছবি ঘিরে মানুষের মনে ভয়ভীতি সঞ্চার করতে চাইছে অভিযোগ বিরোধীদের। কেউ অন্যায় করলে দল পাশে দাঁড়াবে না। পুলিস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়। এই ছবিতে দেখা যায় রতুয়া এক নম্বর ব্লকের কাহালা অঞ্চলের তৃণমূল অঞ্চল সহ সভাপতি মহম্মদ বদরুজ্জোহার ছেলে মহম্মদ ফারহাদ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে। আর এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তা তাঁর ছেলেরই। তবে এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাহালা অঞ্চলের তৃণমূলের সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, "এটা চক্রান্ত করে কিছু লোক আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য পরিকল্পনা করেছে। আমাকে বদনাম করার জন্য এই ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিছু দুষ্কৃতী এটা করেছে তবে তারা কোন দল করে আমি বলতে পারব না। এই মুহূর্তে নাম বলা সম্ভব নয়।"
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবিটি তাঁদের দলের অঞ্চল সহ-সভাপতির ছেলের, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কাহালা অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি শেখ এন্তাজুল আলম। তিনি বলেন, "আমরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি দেখেছি। এতে আমাদের কিছু করার নেই। যা করার পুলিশ প্রশাসন করবে।"
তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতৃত্বরা। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, "তৃণমূল দলের পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে। তাদের কোনও জনসমর্থন নেই। সামনে পঞ্চায়েত ভোট মানুষকে ভয় দেখিয়ে এরা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।"
মালদহের পর এবার মুর্শিদাবাদ। এবার ক্লাস (class) শুরুর ঠিক আগেই ভেঙে পড়ল আস্ত সিলিং ফ্যান (Ceiling fan)। আহত (injured) দুই ছাত্র। ঘটনাটি হরিহরপাড়া (Hariharpara) গোবরগাড়া হাই মাদ্রাসা স্কুলের। আহত দুই ছাত্রের নাম সামিউল সেখ ও তোহমিদ বাসির। তারা দু'জনেই নবম শ্রেণীর ছাত্র। শুক্রবার এই ঘটনায় আতঙ্কের ছবি স্কুল (school) চত্বর জুড়ে।
ছাত্ররা জানায়, এদিন ১১ টার সময় স্কুলে ঢুকে ক্লাসরুমে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিল ছাত্ররা। সেই সময় হঠাৎই সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে যায়। সিলিং ফ্যানের পাখায় একজনের মাথা ফেটে যায়, অপর এক ছাত্রের হাতে গুরুতর আঘাত। তাদের দুজনকেই শিক্ষকরা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তারা।
আহত ছাত্র তোহমিদ বাসির জানায়, স্কুলের শিক্ষকদের বারবার বলার পরও ফ্যানটি ঠিক করায়নি। বহু পুরনো ফ্যান, সেই কারণেই ভেঙে পড়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মালদহের স্কুলে বাথরুমের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় মালদহের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। গুরুতর জখম হয় এক ছাত্র। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম জিসান সেখ। সে মালদহের বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। ঘটনার দিন দুপুরে টিফিনে সে বাথরুমে যায়। সেই সময় বাথরুমের জীর্ণ দেওয়াল হঠাৎই ভেঙে পড়ে।
অন্য ছাত্ররাই তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। হাসপাতাল একজনকে মৃত ঘোষণা করে, অন্যজনের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনা চাউর হতেই উন্মত্ত জনতা স্কুলে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় স্কুলের সম্পত্তি। বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্কুলে বাথরুমের দেওয়াল ভেঙে মৃত একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। গুরুতর জখম আরও এক ছাত্র। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহের মোথাবাড়ি বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলের। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, মৃত ছাত্রের নাম জিসান সেখ। সে বাঙ্গিটোলা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। এদিন দুপুরে টিফিন পিরিয়ডে সে বাথরুমে যায়। সেই সময় বাথরুমের দেওয়াল হঠাৎই ভেঙে পড়ে তার উপর। দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর জখম হয় জিসান-সহ আরও এক ছাত্র। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে জিসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা জিসানকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আর এক ছাত্র গুরুতর জখম অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনা চাউর হতেই উত্তেজিত জনতা স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দু'জন পুলিস আহত। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিসকে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। ইংরেজবাজার, কালিয়াচক ও মানিকচক থানার বিশাল বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও চাপা উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নতুন করে যাতে জমায়েত না হয় সতর্ক জেলা পুলিসের বাহিনী। এদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির এনেছে ছাত্ররাই। তাঁদের অভিযোগ। দুর্ঘটনার পর শিক্ষকদের জানানো হলেও কেউ আসেননি। পড়ুয়ারাই আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি যে দেওয়াল ধসে এই দুর্ঘটনা, সেটা জীর্ণ ছিল। এমন অভিযোগ তুলেছে পড়ুয়ারা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিসের এক কর্তা জানান, গুজবের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। অনেক লোকের জমায়েত হয়েছিল। স্কুলে হামলার পাশাপাশি পুলিসকেও ইট ছোঁড়া হয়েছিল। আমরা বিশাল বাহিনী নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমাদের দু'জন আহত। জেলা শাসকের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, আহত ছাত্রের সঠিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে সরব এক মহিলা। মালদহ (Maldah) কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ভাইরাল মহিলার বক্তব্য। আর এরই মধ্যে সালিশি সভার আয়োজন করে টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহারের অভিযোগও ওঠে। যদিও সালিশির মধ্যে ভুল কিছু দেখছেন না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক (Trinamool MLA)। তবে এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। অন্যদিকে এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই রহস্যজনকভাবে উধাও অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত প্রধান।
বীরনগর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পল্টু মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানা ৪১৭ এবং ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু এরই মধ্যে সালিশি সভা বসিয়ে পুরো বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেন বৈষ্ণব নগরের তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর স্বামী বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। এই সুযোগে প্রধান পন্টু মণ্ডল তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করেন, এমনকি ধর্ষণ পর্যন্ত করেন। গত তিনমাস ধরে পল্টু মণ্ডল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি, ফলে তিনি বাধ্য হয়ে বিধায়কের কাছে যান। এরপরই বাড়িতে ডেকে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয় এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার।
এই বিষয়ে বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার বলেন, "উভয় পক্ষই আমাদের কাছে এসেছিল। গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে দেড় লক্ষ টাকা প্রধানকে দিতে বলেছি সবকিছু মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। গ্রামে এই ধরনের বিচার হয়ে থাকে।" এরই পাশাপাশি নির্যাতিতার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বৈষ্ণনগরের তৃণমূল বিধায়ক।
আর এই ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। উত্তর মালদহ বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের নারী মর্যাদা নিয়ে বড় বড় কথা বলেন তৃণমূল নেতারা। আরেকজন তৃণমূল বিধায়ক দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে সালিশি সভা করে মিটিয়ে দিচ্ছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু আর হতে পারে না। এরপর তৃণমূল ঘোষণা করে দিক আইন আদালত কিছু থাকবে না এখানে তৃণমূলের শাসন চলবে।" যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ধর্ষণের সেই প্রধান পল্টু মণ্ডলকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার নজির শহর মালদহে (Malda)। দুশ্চরিত্রের অপবাদ দিয়ে নৃশংস অত্যাচার (brutal torture) করা হল এক মহিলার উপরে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extramarital affairs) রয়েছে এমন সন্দেহে গ্রামবাসীরা এক মহিলার মাথার চুল কেটে ও কপালে ৪২০ লিখে দেয়। তবে এখানেই শেষ নয়, এরপর তাঁকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়। এমন ঘটনাও হতে পারে, ভাবলেই শিউরে উঠছেন সকলে। তবে নির্মম এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর শ্বশুর। নির্মম এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহের ক্ষেমপুর জিপির কান্ডরন বেদে পাড়ার ঘটনা।
সূত্রের খবর, মহিলার ওপর যারা নির্যাতন চালাচ্ছিলেন, তাঁরা হলেন ওই মহিলার শাশুড়ি ও দেওর। তাঁর স্বামী গত দেড় দুই বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে কান্ডরনে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু কয়েক মাস থেকে তাঁর কতগুলি অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে এমনটাই অভিযোগ করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তিনি মাঝে মধ্যেই রাতে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে যেতেন। তাঁর শাশুড়ি এই সব বিষয় গ্রামবাসীকে জানালে গ্রামে সালিশি সভা বসে। পরে আবার তিনি বাড়ি থেকে বাইরে গেলে গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে ফেলে। এবং তাঁর মাথার চুল কেটে কপালে খোদায় পড়ে ৪২০। আর এই সমস্ত ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সেই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি সিএন পোর্টাল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বচসার জেরে এক ট্রেন যাত্রীকে (train passenger) চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল অপর এক যাত্রী। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ট্রেনের বাকি সহযাত্রীরা। ঘটনাটি হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস (Howrah-Malda Intercity Express) ট্রেনের। সেই দৃশ্য মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করলেন এক মুক ও বধির যাত্রী। জানা যায়, ঘটনাটি তারাপীঠ রোড (Tarapith Road) ও রামপুরহাট রেল স্টেশনের মাঝে ঘটে। ওই মুক ও বধির যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে মুরারই থানায় বিষয়টি জানান। মুরারই থানার পুলিস (police) বিষয়টি রেল পুলিসকে (rail police) জানায়।
অবশেষে রাতেই আহত অবস্থায় রেল পুলিস ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ভর্তি করে। পুলিস সূত্রে খবর, আহত ওই যাত্রীর নাম সজল সেখ। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট সুন্দিপুর এলাকায়। আহত ওই যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় সাঁইথিয়া থেকে হাওড়া মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস একটি প্রতিবন্ধী কামরায় ওঠেন। সেই সময় এক যাত্রীর সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। সেই সময় চলন্ত ট্রেন থেকে তারাপীঠ রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে তাঁকে ফেলে দেয় ওই যাত্রী। ট্রেনের এই ছবি প্রথমে মুরারই থানার পুলিসের কাছে আসে। সেই ছবি ও খবর রামপুরহাট, তারাপীঠ রেল পুলিস ও রেল আধিকারিকদের কাছে দেওয়া হয়। রাতেই রেল পুলিস তারাপীঠ রামপুরহাট রেল লাইন তল্লাশি শুরু করে।
এরপর রামপুরহাট স্টেশন ঢোকার কিছুটা দূরে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রেল পুলিস, তড়িঘড়ি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। যদিও যে যাত্রী তাঁকে ফেলে দিয়েছিলেন সেই যাত্রীর এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তদন্তে রেল পুলিস।
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Govt) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পুকুরিয়া থানার শ্রীপুর স্ট্যান্ডে তৃণমূলের (tmc) একটি বিক্ষোভ (protest) সমাবেশ হয়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সভায় যোগদান করে বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় (accident) আহত হন ১০ জন তৃণমূল কর্মী, ঘটনাস্থলে মৃত্যু (death) হয় এক শিশুর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে মালদহ শ্রীপুর এলাকায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ৬ জনকে উদ্ধার করে চাঁচল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত চারজনের মধ্যে তিনজন যুবক ও একজন কিশোর। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নীতি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় পুকুরিয়া থানার শ্রীপুর স্ট্যান্ডে তৃণমূলের একটি বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। যেখানে জেলা সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের আব্দুল রহিম বক্সী নেতৃত্বে সভা হয়েছিল। সেই মিটিং শেষ করে টোটো করে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় লস্করপুর থেকে শ্রীপুরের দিকে একটি বোলেরো গাড়ি দ্রুত গতিতে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে টোটো গাড়িটিকে। টোটোর মধ্যে থাকা তৃণমূলকর্মী সমর্থকরা রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। মৃত কিশোর বছর ১১-এর মেহবুব আলম। গুরুতর আহতরা হলেন, যুবরাজ নবী, খাদিমুল ইসলাম, সোনালী। ঘটনার পর পুলিস ঘাতক গাড়ি ও তার চালককে আটক করেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মদ্যপ অবস্থায় চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য মালদহ জেলা তৃণমূলের (Trinamool) সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর (Abdur Rahim Bakshi)। "বিরোধীদের বুথে থাকতে দেওয়া হবে না মুখে শুধু তৃণমূলই থাকবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে," হুংকার দলীয় কর্মীসভা থেকে।
জানা যায়, মালদহ (Maldah) রতুয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীপুরে আয়োজিত এক কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। বলেন, "অনেক সহ্য করেছি, আর নয়। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথে কোনও বিরোধীরা থাকবে না। তাদের থাকতে দেওয়া হবে না। শুধু তৃণমূল থাকবে, তৃণমূল জিতবে। আব্দুর রহিম বলছি।" তাঁর এই হুংকারকে ঘিরে সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল।
তিনদিন আগেই মালদহর গাজলে বিরোধীদের হাত উপড়ে ফেলা, পা ভেঙে দেওয়ার হুংকার দিয়েছিলেন তিনি। তার রেষ কাটছে না কাটতে আবার তাঁর হুংকার। "চোরের মায়ের বড় গলা। এই চোরেদের জায়গা জেল। বাংলার মানুষ এদের সঠিক জায়গা দেখিয়ে দেবে।" পাল্টা হুংকার উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu)।
অসহায় ছেলের চিকিৎসার জন্য পায়ে শিকল বেঁধে ঘুরছেন বাবা-মা। ছেলেকে কখনও সরকারি হাসপাতাল (Government Hospital) আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন গত আট বছর ধরে। কিন্তু হয়নি চিকিৎসা (treatment)। মঙ্গলবার সকালে মালদহ (Maldah) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন বাবা-মা। সেখানেই জানা যায়, ছেলের এই অবস্থাতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। তাঁরা মালদহ জেলা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা রোডের বৈরনাহি গ্রামের বাসিন্দা। ছেলে সেলিম আত্মার বয়স ১৮ বছর। বাবা জাকির হোসেন ও মা সেহেরা বিবি। জাকির বাবুর তিন ছেলে। সেলিম পরিবারে বড়।
পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, বিগত আট বছর ধরে ছেলে মানসিক রোগে আক্রান্ত। তারপর থেকেই পায়ে শিকল বেঁধে বাবা-মা ছেলেকে বেঁধে রেখেছেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য কখনও মালদহ আবার মুর্শিদাবাদের মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও ছেলেকে ভর্তি নিচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসন কেউ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই পুনরায় ছেলেকে পায়ে শিকল বেঁধে বাবা-মা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন ভর্তি করানোর জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর ভর্তির কোনও সুরাহা হয়নি। আর অসহায় ছেলেকে নিয়ে বাবা-মা ঘুরে বেড়াচ্ছেন কখনও সরকারি হাসপাতাল আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতাল। ছেলেকে কোথায় রাখবেন বাবা-মা বুঝতে পারছেন না। থাকার জন্য নেই কোনও পাকা বাড়ি।
বাবা মায়ের কাতর আর্জি সরকারের কাছে, ছেলেকে এখন সরকারি কোনও হাসপাতালে ভর্তি করানো হোক। কখন ছেলেকে ভর্তি করাতে পারবেন সেই অপেক্ষায় বসে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের সামনে। বাবা মায়ের দাবি, ছেলেকে হাসপাতালের মানসিক বিভাগে ভর্তি করলে অনেকটাই শান্তি পাবেন। বিষয়টি নজরে আসার পর তাকে মানসিক বিভাগে ভর্তি করেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের (school) সামনে থেকে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (student) অপহরণের চেষ্টা। ছাত্রীর চিৎকারে অপহরণকারীকে (kidnapper) হাতে-নাতে পাকড়াও করে ব্যাপক গণধোলাই দিল স্থানীয় বাসিন্দারা। শ্রী ঘরে ঠাই হল অভিযুক্ত যুবকের। পুজোর আগে এই ধরনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য মালদহের (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কুশিদা হাইস্কুল এলাকায়।
জানা যায়, স্কুলে সেই সময় ফুটবল (football) খেলা চলছিল। নবম শ্রেণীর কিশোরী ওই ছাত্রী স্কুলের বাইরে বের হয় খাবার কিনতে। তখন অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক, তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাইকে করে নিয়ে যেতে চায়। ছাত্রী তাতে রাজি না হলে জোর করে বাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। ছাত্রী চিৎকার করতেই ছুটে আসে আশে-পাশে থাকা স্থানীয়রা। তারপর ওই অপহরণকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত যুবক বছর ২৮ এর মুস্তাক খান। তার বাড়ি চাঁচল থানার লয়দা বিস্টুপুর এলাকায়।
এদিকে পুজোর কয়েক দিন আগেই এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকের সন্দেহ তাকে অপহরণ করে হয়তো বিহারে পাচার করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। কারণ, ওই এলাকা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই বিহার। ইতিমধ্যেই ছাত্রীর বাড়ির পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অপহরণকারীর কী উদ্দেশ্য ছিল? তার সঙ্গে আর কার কার যোগ রয়েছে সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ধৃত যুবককে সোমবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
ছাত্রীর বাবা জানান, স্কুলে খেলা দেখতে গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। বাইরে যখন বের হয় একজন বাইকে করে এসে প্রলোভন দেখিয়ে ওকে নিয়ে যেতে চায়। না যেতে চাইলে জোর করে। আমার মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে ধরে ফেলে ওই যুবককে। থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। চাইবো এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে।