মুম্বই হামলার স্মৃতি উসকে দিল মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রায়গড়। জেলার হরিহরেশ্বর তীরে বৃহস্পতিবার মিলল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একটি সন্দেহভাজন নৌকা (Boat)। সেই পরিত্যক্ত নৌকার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, তিনটি একে-৪৭ (AK-47 rifles) রাইফেল, বিস্ফোরক (explosives) এবং গুলি। জায়গাটি মুম্বই (Mumbai) থেকে প্রায় ২০০ কিমি এবং পুনে থেকে ১৭০ কিমি দূরে। এরপরই বাড়ানো হয়েছে গোটা রাজ্যের নিরাপত্তা নিরাপত্তা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর জারি করেছে হাই অ্যালার্ট।
সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) প্রধান বিনীত আগরওয়াল বলেছেন, এই আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই নৌকা উদ্ধারের সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে, কোনও সন্ত্রাসী যোগ না পেলেও, এই নৌকার অস্ত্র কোথায় যাচ্ছিল খুঁজে দেখা হবে।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, বৃহস্পতিবার রায়গড় উপকূলে ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি পরিত্যক্ত নৌকা জেলেরা খুঁজে পান। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হয়। নৌকাটি তল্লাশি করতেই পাওয়া যায় তিনটি একে-৪৭ রাইফেল, বিস্ফোরক ও বুলেট। এই সন্দেহজনক নৌকাটি একজন অস্ট্রেলিয়ান মহিলার। এবং নৌকাটি মাস্কট থেকে ইউরোপের দিকে যাচ্ছিল।
উপমুখ্যমন্ত্রী আরও আশ্বস্ত করেছেন যে, প্রবল জোয়ারের কারণে নৌকাটি ভেঙে রায়গড় উপকূলের দিকে চলে এসেছে। নৌকায় পাওয়া অস্ত্রগুলি কোনও নাশকতার ছক হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। যে কারণে আশেপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে। এবং এটিএসও এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের (Maharashtra Cabinet) এক সপ্তাহের মধ্যেই দফতর বণ্টন করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (CM Shinde)। গুরুত্বপূর্ণ অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পেলেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের ডেপুটি দেবেন্দ্র ফড়নবিস (Devendra Fadanvis)। গত মঙ্গলবার শিন্ডে মন্ত্রিসভার জন্য ১৮ জন বিধায়ক শপথ নিয়েছিলেন। শিন্ডে ক্যাম্পের ৯ জন এবং বিজেপির ৯ জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়েছিল।
এবার শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি বিধায়ক রাধাকৃষ্ণ পাটিলের পেয়েছেন রাজস্ব দফতর। চন্দ্রকান্ত পাটিল পেয়েছেন উচ্চশিক্ষা দফতর। এদিকে, মহারাষ্ট্রে পালাবদল একমাস পেরিয়েছে। উদ্ধবের জায়গায় খানিকটা নাটকীয় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। তাঁর ডেপুটি সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। পাশাপাশি শিন্ডে সেনা এবং বিজেপি জোট সরকারের ৪০দিনের মাথায় মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার এই জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় ১৮ জন শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই আগেও কোনও না কোনও আমলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। তবে সবপক্ষকে হতাশ করে এই মন্ত্রিসভায় নেই কোনও মহিলা প্রতিনিধি।
সেদিন সকাল ১১টায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির কাছে শপথ নিয়েছেন শিন্ডে সেনার ৯ জন এবং বিজেপির ৯ জন বিধায়ক। এই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার প্রমুখ। রয়েছেন সদ্য কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রাধাকৃষ্ণ ভিকে পাতিলও।
মহারাষ্ট্রের ধনীতম বিধায়ক তথা মুম্বই শহর বিজেপির সভাপতি এমপি লোঢাও এই জোট সরকারের ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন। এছাড়াও আছেন বিজেপি বিধায়ক, তফসিলি নেতা বিজয়কুমার গাভিট, সুরেশ খারে, অতুল সাভের মতো গেরুয়া শিবির প্রভাবশালী নেতারাও। অন্য দিকে, শিন্ডে ঘনিষ্ঠ দীপক কেসরকর, তানাজি সামন্ত, গুলাবরাও পাটিল, উদয় সাবন্তরা ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়ে জিতেছিলেন আব্দুল সাত্তার। শিন্ডে শিবিরে যোগ দিয়ে এবার মন্ত্রী তিনিও।
ফের উদ্ধার যকের ধন। মহারাষ্ট্রে (Maharastra) আয়কর হানায় (Income Tax Department) বাজেয়াপ্ত ৩৯০ কোটির সম্পত্তি। টাকার পাশাপাশি হিরে, সোনার পাহাড়ও উদ্ধার হয়েছে। কর ফাঁকি মামলায় জালনার একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ৩৯০ কোটির বেনামি সম্পত্তির হদিশ পায় আয়কর দফতর। সেই মোতাবেক তদন্তে নেমে বেরিয়ে এল ৫৬ কোটি টাকা নগদ (Cash), ৩২ কেজি সোনা (Gold) এবং ১৪ কোটি টাকা মূল্যের হিরে-জহরত (Diamond)। বেশ কিছু সম্পত্তির নথিও বাজেয়াপ্ত (Seized) করেছে আয়কর দফতর।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইস্পাত, কাপড় এবং রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে। গত ১লা অগাস্ট থেকে শুরু হয় তল্লাশি। ৮ অগাস্টের মধ্যে দু’টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ বেনামি সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোট ২৬০ জন আয়কর কর্মী পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করেন। টাকার পাহাড় গুনে শেষ করতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায় বলে খবর। এ ঘটনা দেখে সম্প্রতি কলকাতায় ইডির হানার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে অনেকের। কয়েকদিন আগে প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে এরকমই দীর্ঘ সময় লেগেছিল তদন্তকারীদের।