এক তরুণীকে গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ। তরুণীর প্রেমিককে বেধড়ক মারধরের পর নগ্ন করে গাছে বেঁধে রাখারও অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। প্রেমিকের সঙ্গে সন্ধ্যায় হাঁটতে বেড়িয়েছিলেন ওই তরুণী। হাঁটতে হাঁটতে কাছের একটি পাহাড়ে যান দুজনে। ওই প্রমিক যুগল একটু ফাঁকা জায়গাতে গেলেই তাঁদের সমনে পথ আটকে দাঁড়ায় অভিযুক্ত দুই যুবক। পথ আটকানোয় ওই যুবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় তাঁদের। পরে ওই তরুণ একটি খালি বিয়ারের বোতল দিয়ে ওই দুই যুবককে আঘাত করেন। পরে এই আঘাতের পাল্টা হামলা চালায় ওই দুই যুবক। অভিযোগ, 'তরুণকে বেধড়ক মারধরের পর নগ্ন করে গাছে বেঁধে রাখে তাঁরা। পরে তরুণীকে টানতে টানতে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। এমনকি সেখানেই তরুণীকে গণধর্ষণ করে দুই যুবক।'
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কবল থেকে নিজেকে কোনওরকমে মুক্ত করে বাড়িতে পৌঁছন তরুণী। বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনাটি জানান তিনি। তারপরেই থানায় গিয়ে উপস্থিত হয় তরুণীর পরিবার। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর প্রেমিক গাছে বাঁধা অবস্থায় দেখে এবং তাঁকে উদ্ধার করে।
চিতাবাঘের (Tiger Attack) হামলায় মৃত্যু ৫৩ জনের! মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) চন্দ্রপুর জেলাতেই ঘটেছে এই হাড়হিম করা ঘটনা। ২০২২ সালে ঘটেছে এই ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই চন্দ্রপুর-সহ বিদর্ভের অরণ্যভূমিতে এই ঘটনা ঘটেই চলেছে, অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দেওয়ায় ‘মানুষখেকো’ বাঘটিকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল ওই অঞ্চলের যাবৎমলে। গুলি করে মারা ওই বাঘের নাম ছিল অবনী। সেই বিষয়ে ছবিও হয়েছে বলিউডে। পনডারকাওড়া, টিপেশ্বর এলাকায় দু’বছরে ১৩ জন মানুষকে ‘খুনের’ অভিযোগ উঠেছিল অবনীর বিরুদ্ধে। তাই ২০১৮ সালের নভেম্বরে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল তাঁকে।
মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার সোমবার বিধানসভায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জন বাঘের হামলার শিকার হয়েছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘের আক্রমণে। চন্দ্রপুরের পাশাপাশি, বিদর্ভ অঞ্চলের আরও কয়েকটি জেলাতেও বাঘ-চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী।
তবে তিনি আরও বলেন, 'গেল বছরেও বিদর্ভে বিভিন্ন কারণে ১৪টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।'
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর (Maharashtra Deputy CM) স্ত্রীকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বিদ্ধ এক ফ্যাশন ডিজাইনার। দেবেন্দ্র ফড়নবিসের (Devendra Fadnavis) স্ত্রী অমৃতাকে ১ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব (Bribe Row) দেওয়ার অভিযোগ। পোশাকশিল্পী-সহ তাঁর বাবার নামে মামলা রুজু মুম্বই পুলিসের। জানা গিয়েছে, ওই পোশাকশিল্পীর বিরুদ্ধে থাকা একটি পুরনো ফৌজদারি মামলা ধামাচাপা দিতেই এই ঘুষের প্রস্তাব উপমুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীকে (Amruta Fadnavis)।
শিবসেনা (শিন্ডে) পন্থীদের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে জোট সরকারে রয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে আর জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র। তাঁর হাতেই আবার রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বামীর ক্ষমতা কাজে লাগাতে স্ত্রী অমৃতাকে ব্যবহার করতে এই ঘুষের প্রস্তাব-কাণ্ড বলে খবর। জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত অমৃতা গত ২০ ফেব্রুয়ারি মালাবার হিলস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মুম্বই পুলিসের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি, '১৬ মাসে একাধিক বার অমৃতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ফ্যাশন ডিজাইনার এবং তাঁর বাবা। গত ১৮ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি অজানা ফোন নম্বর থেকে পুলিসমন্ত্রীর স্ত্রীকে ভিডিও এবং অডিও বার্তা পাঠান তাঁরা। ১ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাবের পাশাপাশি, কয়েক জন বুকির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে আরও টাকা পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন।' এরপরেই পুলিসে অভিযোগ জানান উপমুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী।
কালাজাদুর(Black Magic) জন্য তরুণীকে হেনস্থার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। স্বামী-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের(Maharashtra) বিড জেলায়। পরিবারের সকলের বিরুদ্ধেই হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭, ৩৫৪, ৪৯৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অভিযোগকারী পুলিসকে জানিয়েছে, ২০১৯ সালে তরুণীর বিয়ে হয়। তারপর থেকেই তাঁকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এমনকি গত বছর অগস্ট মাসে ঋতুস্রাবের রক্ত তুলোর মাধ্যমে বোতলে ভরেন তাঁর দেওর, ভাইপো-সহ এক প্রতিবেশী। তরুণী অভিযোগপত্রে আরও জানায়, তাঁর কাছ থেকে ঋতুস্রাবের রক্ত আদায় করতে পারলে দেওর ৫০ হাজার টাকা পাবেন বলে চুক্তিও হয়েছিল। গোটা ঘটনার পর তরুণী পুনেতে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে চলে যান।
এমনকি পুনের একটি থানাতেই অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি পরিবারের সদস্যদের।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একটি সুগার মিলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। আহমেদনগরের শিবগাঁও এলাকার একটি সুগার মিলে (Sugar Mill) বিধ্বংসী এই আগুনের (Fire) ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মিলের মধ্যে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ লোক আটকা পড়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ফায়ার ব্রিগেড ও পুলিস কর্মীরা কারখানা থেকে ৩২ জনকে উদ্ধার করেছে।
যদিও ইতিমধ্যে জখম অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ টায় গঙ্গামাই সুগার মিলের ডিস্টিলারি ইউনিটে বিস্ফোরণের পরে এই বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে আগুন নেভানোর কাজে অন্তত দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন কাজ করছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। তৈরি রাখা হয়েছে একাধিক অ্যাম্বুলেস।
একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকলকর্মীরা। গোটা এলাকা ঘিরে রয়েছে স্থানীয় পুলিস প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার সময় ওই সুগার মিলে একাধিক শ্রমিক কাজ করছিল। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। কালো ধোঁয়াতে চারপাশ ঢেকে গিয়েছে।
"কু-সন্তান যদি বা হয়, কু-মাতা কভু নয়!" এমনই একটি প্রচলিত কথা রয়েছে বাংলায়। কিন্তু সবসময় সঠিক নয় সে কথা, তা ঔরঙ্গাবাদের সাদাতনগরের ঘটনা থেকে স্পষ্ট। পারিবারিক অশান্তির জেরে সন্তানদের বিষ খাইয়ে খুন করলেন মা। সোমবার রাতে নিজের দুই সন্তানকে খুন করেছে মা, গুরুতর এই অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। দুই শিশুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। পুলিস জানিয়েছে, দুই শিশুর মধ্যে এক জনের বয়স ৮ এবং অন্য জনের বয়স ৪। ওই মহিলা আত্মীয়দের কাছে সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিস সূত্রে দাবি। প্রতিবেদন লেখা অবধি মহিলাকে গ্রেফতার করার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ওই অভিযুক্ত মহিলার আত্মীয়রা জানান, প্রায়শই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত মহিলার। আর গত ১৫ দিন ধরে তা মাত্রারিক্ত হয়। এর জেরেই এই হত্যা বলে অনুমান পুলিসের। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অসুস্থ অবস্থায় দুই শিশুকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ফল কাটার ছুরি নিয়ে দুই চিকিৎসকের উপর হামলা এক রোগীর (Patients attack Doctor)। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) যবৎমল জেলার শ্রী বসন্তরাও নায়েক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা। ঘটনায় জখম হয়েছেন দুই চিকিৎসক। এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন চিকিৎসকেরা।
জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার রাতে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন এক রেসিডেন্ট চিকিৎসক। হঠাৎই তাঁর উপর ছুরি নিয়ে চড়াও হয়েছিলেন ওই রোগী। সহ-চিকিৎসকে উদ্ধার করতে তড়িঘড়ি ছুটে আসে অন্য এক চিকিৎসক। তখনই রোগীর হাতে জখম হয় ওই চিকিৎসকও।
যবৎমলের পুলিশ সুপার পবন বানসোড় বলেন,"অভিযুক্ত রোগীর নাম সুরজ ঠাকুর। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। গত ‘দু’দিন আগে নিজেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলেন সুরজ। তার পর ওই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রোগীকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রায়গড়ে ফের পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। একটি কনটেইনার গাড়ির সঙ্গে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরত একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ। সংঘর্ষে একজন নিহত (Death) হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গড়ে (Raigad), খোপোলি থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানবাড়ির বাসে ৩৫ জন যাত্রী ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে।
একজন পুলিস আধিকারিক বলেছেন, "সিন্ধুদুর্গে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসা একটি বেসরকারি ভলভো বাসকে কন্টেইনার গাড়িটি ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষে বাসের চালকের মৃত্যু হয়। বাসে ৩৫ জন যাত্রী ছিল। যার মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছে।"
নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত যাত্রীদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। দুর্ঘটনার পর বাস ও কন্টেইনার গাড়ি দুটিই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে 'মানুষখেকো' বাঘের হামলায় বেঘোরে প্রাণ গেল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘের হামলায় মৃত এক মহিলা, এই ঘটনা ধরে ২০২২-এ চন্দ্রপুরে এই জেলায় বাঘের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ৫০ জনের। বন দফতরের পরিসংখ্যান, ৪৪ জনকে মেরেছে বাঘ, বাকি ছ’জনকে মারা গিয়েছে চিতার হামলায়।
বন দফতরের এক কর্তা জানান, মৃত মহিলার নাম স্বরূপা তেলেতিওয়ার, বয়স ৫০ বছর। বৃহস্পতিবার গ্রামে ক্ষেতে তুলো তুলছিলেন, সে সময়ই হামলা করে বাঘটি। এদিকে, বুধবার এই চন্দ্রপুরেই তাড়োবা-অন্ধেরী ব্যাঘ্রপ্রকল্প লাগোয়া এলাকায় বাঘের জোড়া হামলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৪ বছর আগে মহারাষ্ট্রের যবতমল জেলায় এভাবেই এক ‘মানুষখেকো’ বাঘিনীর হামলায় প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের। অবনী নামে সেই বাঘিনী ২ বছরে শিকার করেছিল প্রায় এক ডজন মানুষ। তাকে ‘মানুষখেকো’ ঘোষণা করায়, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রের পর ২০১৮-র নভেম্বরে গুলি করে মারা হয় অবনীকে।
মদের নেশা সর্বনাশা! আর তা আরেকবার প্রমাণ পেল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) থানে জেলার ডোম্বিভালি এলাকা। মদ কেনার টাকা নেই, তাই প্রতিবেশী মহিলার কাছে টাকা চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। টাকা না দেওয়ায় সেই মহিলাকে কুপিয়ে খুন (Murder) করেন সেই ব্যক্তি। নিহত মহিলার নাম বৈশালী মাসদুদ (৪৪)। পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায়ই ওই মহিলা ও তাঁর ছেলের কাছ থেকে মদ কেনার জন্য টাকা নিত। এই নিয়ে বৈশালীর পরিবারে অশান্তিও হয়। ঘটনার দিন পুনরায় টাকা ধার নিতে আসে। কিন্তু বৈশালী ওই ব্যক্তিকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। ছুরি বার করে বৈশালীর উপর চড়াও হন অভিযুক্ত। তারপর ছুরির কোপে ক্ষতবিক্ষত ওই মহিলার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনার পিছনে শুধুই কি মদ, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিস।
একসঙ্গে দুই যমজ বোনকে (Twin Sister) বিয়ে। আইনি জালে ফাঁসলেন সদ্য বিবাহিত বর অতুল। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের (Maharastra) শোলাপুরের। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) বিয়ের ছবি প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিচারগ্রাহ্য নয় এমন ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এক সমাজকর্মী।
উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের শোলাপুর জেলার আকলুজ তালুকে ওয়েলাপুর রোডের মালেগাঁও গ্রামে দুই যমজ বোনকে একসঙ্গে বিয়ে করেন অতুল। বিয়ের ছবি নেটমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরই প্রতিবাদ করেন আকলুজের এক সমাজকর্মী। তিনি রবিবার এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে শোলাপুর জেলা পুলিসের দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী একসঙ্গে দু'জনকে বিয়ে করা আইনত অপরাধ। আর সেই আইন অমান্য করেছেন অতুল। শোলাপুর গ্রামীণ পুলিস সুপার শিরীষ সরদেশপাণ্ডে মামলা রুজু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোলাপুরের ডিএসপি বাসবরাজ শিবপুজে বলেন, ‘‘যেহেতু বিচারগ্রাহ্য নয়, এমন ধারায় অভিযোগ, তাই আমরা সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হব এবং মামলার তদন্ত করার অনুমতি চাইব।’’ জানা গিয়েছে, দুই পরিবারের সম্মতিতেই এই বিয়ে হয়। মহারাষ্ট্রের এই দুই যমজ বোন পিঙ্কি ও রিঙ্কি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। কর্মসূত্রে মুম্বই থাকেন তাঁরা। দুই বোন বিয়ের পর আলাদা হতে চান না। তাই একই পাত্রকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাঁরা। আর সেই সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যান মালশিরাস তালুকের বাসিন্দা অতুল। আর সেটাই তাঁর কাল হয়ে দাঁড়াল। উল্লেখ্য, অতুলের সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং সঙ্গে মোটা টাকা জরিমানা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
'জন্মদিন' (Birthday) প্রত্যেকের জীবনেই কমবেশি স্পেশাল। এই দিনটা বিভিন্ন ভাবে পালন করে থাকেন সকলে। কেউ আবার নিজের প্রিয়জনদের সঙ্গে বাড়িতে, হোটেলে বা রেস্টুরেন্টে আবার কেউ দূরে কোনও জায়গায় ঘুরতে গিয়ে উদযাপন করেন। কিন্তু শ্মশানে জন্মদিন পালন করার কথা কোনওদিন কেউ ভেবেছেন? শুনে অবাক লাগছে তাই না? শ্মশানে কেউ জন্মদিন পালন করে নাকি আবার? হ্যাঁ সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharastra) ঠানেতে, যা দেখে হতবাক সকলে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গৌতম রতন মোরে তাঁর জন্মদিন পালনেই ভেনু হিসেবে শ্মশানকেই বেছে নিয়েছিলেন। ১৯ নভেম্বর তিনি ৫৪ তম জন্মদিন পালন করেন মোহনী শ্মশানঘাটে। অন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল না। তিনি সকলের মধ্যে একটা বার্তা প্রদান করতে চেয়েছিলেন। তাই এই পথ অবলম্বন করলেন গৌতম বাবু।
তিনি অতিথি, বন্ধু-বান্ধবদের জন্মদিন পালনের জন্য শ্মশানে আমন্ত্রণ জানান। প্রথমে স্বাভাবিকভাবেই সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তাঁর কথা শুনে। তবে শ্মশানকে কেন বেছে নিলেন গৌতম? সংবাদমাধ্যমকে ‘বার্থডে ম্যান’ জানিয়েছেন, তিনি সমাজের অন্ধবিশ্বাস দূর করতে চান। এ কাজে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন প্রখ্যাত সমাজকর্মী সিন্ধুতাই সপকাল এবং যুক্তিবাদী প্রয়াত নরেন্দ্র দাভোলকরের কাজে। এই দুই ব্যক্তি কালা জাদু, অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন। আর তাঁদেরই পথ অনুসরণ করে সমাজ থেকে অন্ধবিশ্বাস দূর করতে চান। শ্মশানে ‘ভূত’ আছে বলে যে বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে, সেই বিশ্বাসকে তিনি ভেঙে দিতেই এই আয়োজন করেছেন বলে দাবি গৌতমের।
উল্লেখ্য, তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মোট ১০০ জন এদিন এসেছিলেন শ্মশানে জন্মদিন পালনে। কেক কেটে, খাওয়া-দাওয়া করে জন্মদিন পালন করেন তিনি।
শিবসেনা (Shiv Sena) ভেঙেছে। শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) সরকার গড়েছে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) শিবির। তারপর থেকে শিবসেনার দখল কার হাতে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আদালত পর্যন্ত ছুটেছে উদ্ধব (Uddhav Thackrey) গোষ্ঠী এবং শিন্ডে গোষ্ঠী। সেই এক্তিয়ার ঠিক করার ভার নির্বাচন কমিশনের হাতে ছেড়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই মোতাবেক একনাথ শিন্ডে শিবির এবং উদ্ধব ঠাকরে শিবির, শিবসেনার দুই বিবাদমান গোষ্ঠীকেই নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৩ নভেম্বর আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই ভোটে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী ঢাল-তরোয়াল প্রতীকে লড়বে। এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।
পাশাপাশি ওই ভোটে উদ্ধব শিবির মশাল প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে। সোমবার ঘোষণা করেছিল কমিশন। সেই সঙ্গে দুই শিবিরের দলের নামও চূড়ান্ত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনে উদ্ধব গোষ্ঠীর দলের নাম শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)। শিন্ডে শিবিরের নাম হবে বালাসাহেবঞ্চি শিবসেনা।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) অন্যতম প্রধান উৎসব গণেশ চতুর্থী। আর এই গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে গণেশ পুজোয় মেতে ওঠেন মুম্বাইবাসী (Mumbai)। তবে শহর মুম্বাইয়ের পাশাপাশি এখন বাঙালিরাও গণেশ পুজোয় মেতে উঠেছে। গণেশ পুজো উপলক্ষ্যে বহরমপুরে (Baharampur) একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান সেজে উঠেছে মোদক আর লাড্ডুতে।
এখানকার মিষ্টি ব্যবসায়ী সুমন কল্যাণ ঘোষ জানান, গত তিন বছর ধরে তাঁরা মোদক আর লাড্ডু বানাচ্ছেন এই গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে। এবারেও তাঁরা বেশ কিছু মোদক আর বিপুল সংখ্যক লাড্ডু বানিয়েছেন। সুমন বাবু আরও জানিয়েছেন, এবার তাঁরা প্রায় ১০ রকম স্বাদের মোদক তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, বাঙালিরা একটু ভোজন রসিক। তাই তাঁদের কথা চিন্তা করেই বিভিন্ন স্বাদের মোদক বানিয়েছেন। মোদক বানানোর উপকরণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে ছানা, মোয়া, নারকেল ও চিনি। বিভিন্ন স্বাদের মোদক থাকলেও সাধারণ মোদকেরই চাহিদা বেশি। পাশাপাশি ২ টো ৪ টে করে অন্য স্বাদের মোদকও এবছর নিচ্ছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি এবার লাড্ডুতেও চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
কিছু লাড্ডু কেজি ওজনের বানানো হয়েছে ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে। এছাড়াও সাধারণ মাপের লাড্ডুও রয়েছে প্রচুর। বাঙালিরা দুর্গা পুজোর আগে গণেশ চতুর্থীতে গণেশ পুজো দিয়েই দুর্গাপুজো সূচনা শুরু করে দেন। তাি সকলের মধ্যেই উত্সাহ লক্ষ্য করা যায় এই সময়।
চলন্ত ট্রেনের সামনে ধাক্কা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার (Murder) অভিযোগ উঠল খোদ স্বামীর বিরুদ্ধেই। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে থানে পুলিস (Thane police)। ঘটনাটি মুম্বইয়ের শহরতলি (Maharashtra)পালঘর (Palghar) জেলার ভাসাই রোড রেলওয়ে স্টেশনের।
সোমবার ভোর ৪টের দিকে ঘটা এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের কিনারায় টেনে নিয়ে যায়। এবং তাঁকে রেললাইনের ট্র্যাকের ওপর ঠেলে দেয়। সেসময় ঢোকে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এবং বিকৃত ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর দুই সন্তান ও একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ নিয়ে ঘটনার পর প্ল্যাটফর্ম থেকে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে মুম্বইয়ের দাদর এবং সেখান থেকে থানের কল্যাণের ট্রেনে উঠতে দেখা যায়।
সোমবার গভীর রাতে থানের ভিওয়ান্দি শহর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। এক পুলিস কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর সঙ্গে দুই দিনের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। যাতে তিনি রেগে যান। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট, লোকটি তাঁর স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন। যার জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি অভিযুক্তের।